Ajker Patrika

ট্রাম্প–পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক নিয়ে অস্বস্তিতে ইউরোপ, ক্ষুব্ধ ও হতাশ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
হাঙ্গেরি পুতিন ও ট্রাম্পের বৈঠকের আয়োজনের ভেন্যু হওয়ায় ইউরোপ ক্ষুব্ধ ও হতাশ। ছবি: সংগৃহীত
হাঙ্গেরি পুতিন ও ট্রাম্পের বৈঠকের আয়োজনের ভেন্যু হওয়ায় ইউরোপ ক্ষুব্ধ ও হতাশ। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর পরবর্তী বৈঠক হবে হাঙ্গেরিতে। বৈঠকের আয়োজক হাঙ্গেরির রুশপন্থী প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে ইউরোপজুড়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার ব্যাপারে মস্কোর অবস্থানের প্রতি সমর্থন জানানোয় এই উদ্বেগ।

গত সপ্তাহে ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে এক বন্ধুত্বপূর্ণ ফোনালাপে বুদাপেস্টে বৈঠকের বিষয়টি নির্ধারিত হয়। এর পরদিনই ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে মস্কোর দাবির কাছে নতি স্বীকারে চাপ দেন। বৈঠকের স্থান হিসেবে হাঙ্গেরি নির্বাচিত হওয়ায় ‘ক্ষুব্ধ’ হয়েছে কিয়েভসহ ইউরোপের বহু দেশ। কারণ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ন্যাটোর সদস্য হয়েও অরবান দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং ইউরোপের সমালোচক।

এক ইইউ কূটনীতিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ইউরোপীয় নেতাদের ‘কেউই খুশি নন। সবাই কেবল জোর করে মুখে হাসি ধরে আছেন, যেন সব ঠিক আছে।’ জার্মানির ইইউ বিষয়কমন্ত্রী গুন্থার ক্রিশবাউম সোমবার বলেন, ‘এখনই আমাদের আলোচনা শুরু করা প্রয়োজন, কীভাবে এই যুদ্ধ থামানো যায়।’ তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘ইউক্রেনকে অবশ্যই আলোচনার টেবিলে রাখতে হবে, না হলে এটি ব্যর্থ চুক্তি হবে।’

এই বৈঠকের সমালোচনা করে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি মনে করি না, বুদাপেস্ট এই বৈঠকের উপযুক্ত স্থান।’ কারণ, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী নিয়মিত রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা নরম করার চেষ্টা করেছেন এবং ইউক্রেনের সামরিক সহায়তারও বিরোধিতা করেছেন। জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘যে প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেনকে সব জায়গায় বাধা দেন, তিনি ইউক্রেনের পক্ষে কোনো ইতিবাচক কিছু করতে পারবেন না বা নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে পারবেন না।’ তবে তিনি জানান, চাইলে বুদাপেস্টে ট্রাম্পের সঙ্গে একটি পৃথক বৈঠকে অংশ নিতে রাজি আছেন।

বুদাপেস্টে ট্রাম্প–পুতিনের বৈঠক আয়োজনের ক্ষেত্রে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আংশিকভাবে দায় দেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফকে। কারণ, তিনিই হাঙ্গেরিকে বৈঠকের স্থান হিসেবে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। জেলেনস্কি বলেন, ‘সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, ভ্যাটিকান, সৌদি আরব, কাতার, তুরস্ক—এর মতো আরও অনেক ভালো বিকল্প ছিল।’

পুতিনকে আতিথ্য দেওয়া হাঙ্গেরির জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সমস্যাজনক হতে পারে। কারণ, রুশ প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। হাঙ্গেরি ঘোষণা দিয়েছে, তারা আইসিসি থেকে বেরিয়ে যাবে, তবে আগামী গ্রীষ্ম পর্যন্ত আদালতের নিয়ম মানতে বাধ্য। এর আগে অরবান গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকেও আতিথ্য দিয়েছেন।

ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কাইয়া ক্যালাস বলেন, ‘আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত একজন ব্যক্তিকে ইউরোপে স্বাগত জানানো ভালো বিষয় নয়।’ লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেস্তুতিস বুদ্রিস বলেন, ‘পুতিনের ইউরোপে একমাত্র জায়গা হলো দ্য হেগের আদালতের সামনে, আমাদের কোনো রাজধানীতে নয়।’

ট্রাম্প গত সপ্তাহে অরবানকে ফোনে প্রশংসা করে বলেন, ‘তিনি এমন একজন নেতা যাকে আমরা পছন্দ করি। পুতিনও তাঁকে পছন্দ করে, আমিও করি। হাঙ্গেরি নিরাপদ দেশ, তিনি খুব ভালো আয়োজক হবেন।’

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সোমবার বলেন, বৈঠকের প্রস্তুতি এখনো শুরু হয়নি, তবে অরবান ট্রাম্প ও পুতিন—দুজনের সঙ্গেই উষ্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। রাশিয়া আশা করছে, এই বৈঠক ইউক্রেন ইস্যুতে শান্তির পথ তৈরিতে সহায়ক হবে এবং একই সঙ্গে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা হবে।

এক জার্মান কর্মকর্তা জানান, আশা করা হচ্ছে—অরবান ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের আগে তাঁর পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করবেন, যার মধ্যে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ট্রাম্পের একটি বৈঠকও থাকতে পারে। তবে এখনো কিছু নিশ্চিত হয়নি। রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ৩০ অক্টোবর বুদাপেস্টে আসবেন বলেও জানান তিনি।

এদিকে, বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে ইইউ নেতারা বৈঠকে বসবেন। সেখানে রাশিয়ার স্থগিত সম্পদ ব্যবহার করে ইউক্রেনকে ১৪০ বিলিয়ন ইউরোর ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব এবং নতুন নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ অনুমোদনের সম্ভাবনা রয়েছে। নেতারা আশা করছেন, জাতীয় দিবস উদ্‌যাপন শেষে অরবান দেরিতে বৈঠকে যোগ দিলে সমঝোতায় পৌঁছানো সহজ হবে।

ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক নিয়ে অরবান বলেন, ‘আমরা শুধু আয়োজক নই। এটা রাজনৈতিক সাফল্য যে এখনো বুদাপেস্ট শান্তি বৈঠক আয়োজনের যোগ্য স্থান।’ তিনি ইউরোপীয় নেতাদের সমালোচনা করে বলেন, ‘তারা রাশিয়ার সঙ্গে সংলাপের পথ বন্ধ করেছে অথচ ইউক্রেনকে অস্ত্র দিচ্ছে।’

ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংক ট্যাংক ডিফেন্স প্রায়োরিটিজের বিশ্লেষক জেনিফার কেভানাহ বলেন, ‘এটা অরবানের জন্য বড় জয়। এত দিন তাঁকে ইইউ-তে একঘরে করা হয়েছিল, এবার তিনি সেটার পাল্টা জবাব দিলেন।’ তিনি মনে করেন, এই বৈঠক হাঙ্গেরির রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে, কারণ আগামী বসন্তে নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা অরবান এবার কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে।

হাঙ্গেরির ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষক বোতন্ড ফেলেদি বলেন, ‘এটি অরবান ধাঁচের সাফল্য। কিন্তু এতে ইউরোপীয় ঐক্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যা শুরু থেকেই ইউরোপ এড়াতে চেয়েছিল।’ তাঁর ভাষায়, ‘এ ধরনের বৈঠক ব্যক্তিগত সম্পর্ককে রাজনীতির ওপরে তুলে ধরে, যা ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার হাতিয়ার হয়ে ওঠে। কোনো ইউরোপীয় দেশেরই এতে সহায়তার আগ্রহ থাকা উচিত নয়।’

বুদাপেস্টের প্রতীকী তাৎপর্য ইউক্রেনের কাছে গভীর। কারণ, ১৯৯৪ সালে এখানেই রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল ইউক্রেন, যেখানে তারা পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগের বিনিময়ে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেয়েছিল। কিন্তু ২০১৪ সালে পুতিন ক্রিমিয়া দখল করেন এবং ২০২২ সালে ইউক্রেনে পূর্ণাঙ্গ হামলা চালিয়ে সেই চুক্তি ভঙ্গ করেন। জেলেনস্কি বলেন, ‘আরেকটি বুদাপেস্ট চুক্তি ইউক্রেনের জন্য শুভ হবে না। তবে যদি সত্যিকারের শান্তি আসে, তাহলে স্থান ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।’

সোমবার লুক্সেমবার্গে ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে কয়েকজন কূটনীতিক বলেন, ‘ইতিহাস নিজেকে পুনরাবৃত্তি করতে চায়। একবার বুদাপেস্টে একটি চুক্তি হয়েছিল, যার ফল ইউক্রেনের জন্য ভালো হয়নি।’

তথ্যসূত্র: ফিন্যান্সিয়াল টাইমস

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কিমের সাক্ষাৎ চান জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ৪৭
জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। ছবি: সংগৃহীত
জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। ছবি: সংগৃহীত

জাপানের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠক করতে চান তিনি।

গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে কোনো জাপানি নেতাকে এমনটা চাইতে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে সিএনএন।

আজ সোমবার এক সমাবেশে তাকাইচি বলেন, ‘উত্তর কোরিয়াকে এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছি, আমরা শীর্ষ বৈঠক আয়োজন করতে চাই।’

উত্তর কোরিয়া কয়েক দশক আগে জাপানের যে নাগরিকদের অপহরণ করেছিল, তাদের ফেরানোর দাবিতে সমাবেশটি আয়োজন করা হয়।

অপহরণের এ ঘটনা বহুদিন ধরে এক অনিষ্পন্ন ক্ষত হিসেবে রয়ে গেছে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে, যাদের সম্পর্কের ইতিহাস উপনিবেশবাদ ও সংঘাতে পরিপূর্ণ।

তাকাইচি বলেন, ‘আমি চাই, দুই দেশের নেতা সরাসরি মুখোমুখি হোক এবং বাস্তবসম্মত ফলাফল অর্জন করুক। আমার দায়িত্বকালেই আমি অপহরণসংক্রান্ত এ সমস্যার সমাধান করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’

জাপানের দাবি, ১৯৭০ ও ১৯৮০-এর দশকে অন্তত ১৭ জন জাপানি নাগরিককে উত্তর কোরিয়ার এজেন্টরা অপহরণ করেন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনকে ২০০২ সালে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। জাতিসংঘের ২০১৪ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব অপহরণ ছিল উত্তর কোরিয়ার গুপ্তচরবৃত্তি কর্মসূচির অংশ।

তবে পিয়ংইয়ং এ সংখ্যা নিয়ে দ্বিমত জানিয়ে দাবি করে, কয়েকজন দুর্ঘটনা, পানিতে ডুবে বা আত্মহত্যায় মারা গেছেন। তাদের মতে, বিষয়টি এরই মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার এই দাবি অবশ্য নিখোঁজ ব্যক্তিদের (যাঁদের কেউ কেউ কিশোর বয়সে অপহৃত হন) পরিবারগুলোকে স্বস্তি দিতে পারেনি। তারা বহু বছর ধরে জাপানের বিভিন্ন নেতার সঙ্গে এই ইস্যুতে চাপ অব্যাহত রেখেছে। তবে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি।

দুই দেশের মধ্যে সর্বশেষ শীর্ষ বৈঠক হয়েছিল ২০০২ সালে। সে বছর তৎকালীন জাপানি প্রধানমন্ত্রী জুনিচিরো কোইজুমি পিয়ংইয়ং সফর করেন এবং কিম জং উনের বাবা কিম জং ইলের সঙ্গে দেখা করেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সেটিই ছিল প্রথম কোনো জাপানি প্রধানমন্ত্রীর উত্তর কোরিয়া সফর।

সে বৈঠকে দীর্ঘদিন ধরে অস্বীকারের পর প্রথম উত্তর কোরিয়া স্বীকার করেছিল, তারা অপহরণের সঙ্গে জড়িত ছিল। কিম জং ইল তখন ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং জানান, যারা এর সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঠেকানো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশি জাহাঙ্গীরের পরামর্শে আবুধাবিতে রাতারাতি কোটিপতি ভারতীয় সন্দীপ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ভারতীয় প্রবাসী শ্রমিক সন্দীপ কুমার প্রসাদ। ছবি: সংগৃহীত
ভারতীয় প্রবাসী শ্রমিক সন্দীপ কুমার প্রসাদ। ছবি: সংগৃহীত

দুবাইয়ে কর্মরত এক ভারতীয় শ্রমিকের জীবন রাতারাতি বদলে গেল তাঁর এক বাংলাদেশি বন্ধুর দেওয়া একটি টিপসের সৌজন্যে। জাহাজ শিল্পে টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ করা উত্তর প্রদেশের সন্দীপ কুমার প্রসাদ আবুধাবির ‘বিগ টিকিট’ র‍্যাফেল ড্র-তে জিতেছেন দেড় কোটি দিরহাম-এর গ্র্যান্ড প্রাইজ।

গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্দীপের এই অবিশ্বাস্য জয়ের নেপথ্যে রয়েছেন তাঁর বন্ধু জাহাঙ্গীর আলম। জাহাঙ্গীর নিজেও গত মার্চ মাসের ড্র-তে ২ কোটি দিরহাম জিতেছিলেন।

বিগ টিকিট স্টুডিওতে এক আলাপচারিতায় সন্দীপ বলেন, ‘জাহাঙ্গীরই আমাকে প্রথম বিগ টিকিট সম্পর্কে বলে। ওর কারণেই আমি সাহস করে টিকিট কেনা শুরু করি।’ আর্থিক অবস্থার কারণে প্রতি মাসে টিকিট কেনা তাঁর পক্ষে সম্ভব না হলেও, গত তিন মাস ধরে তিনি নিয়মিত টিকিট কাটছিলেন। শেষমেশ, তাঁর সেই অধ্যবসায় ফল দিল। গত ১৯ আগস্ট কেনা তাঁর টিকিট নম্বর ২০৬৬৯-ই সেপ্টেম্বর মাসের ড্র-তে জ্যাকপট জয় করে।

৩০ বছর বয়সী এই শ্রমিক জানান, তিনি এই টিকিটটি আরও ২০ জনের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন।

গত ৩ সেপ্টেম্বর যখন লটারি জেতার ফোনকল আসে, তখন সন্দীপ পরিবারের সঙ্গে কথা বলছিলেন। প্রথমে তিনি বিশ্বাসই করতে পারেননি। ‘আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না যে আমি এমন একটি ফোন পেতে পারি। যখন বুঝলাম এটা সত্যি, তখন আমি খুব খুশি হয়েছিলাম, ’ বলেন সন্দীপ।

স্টুডিওতে কথা বলার সময় অসুস্থ বাবার কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন সন্দীপ। তিন বছর ধরে দুবাইয়ে থাকা সন্দীপ এখন ভারতে ফিরে গিয়ে বাবার জন্য সেরা চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে চান।

টেকনিশিয়ান থেকে কোটিপতি হয়ে ওঠার এই যাত্রা সন্দীপের কাছে এখনো যেন অবিশ্বাস্য! অন্যদের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা সহজ: ‘আপনি যদি টিকিট কেনেন, তাহলে নিজেকেই কোটিপতি হওয়ার একটা সুযোগ দিচ্ছেন। ফলাফল তো দেখতেই পাচ্ছেন—আমি দেড় কোটি দিরহাম জিতেছি! শুধু একবার চেষ্টা করে দেখুন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভেনেজুয়েলায় যুদ্ধে জড়াচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র, তবে মাদুরোর দিন শেষ: ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় সামরিক হস্তক্ষেপ নিয়ে মিশ্র বার্তা দিয়েছেন। তিনি একদিকে ‘যুদ্ধের’ আলোচনা উড়িয়ে দিয়েছেন, আবার অন্যদিকে তিনি দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির নেতাকে হুমকিও দিয়েছেন। বলেছেন, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর দিন ফুরিয়ে এসেছে।

স্থানীয় সময় গতকাল রোববার প্রকাশিত মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিবিএসের এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছেন, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সময় ফুরিয়ে এসেছে। এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি বেড়েছে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র একাধিকবার কথিত মাদকবাহী জাহাজে হামলা চালিয়েছে। জাতিসংঘের কর্মকর্তারা ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব হামলা স্পষ্টভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।

সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে জিজ্ঞেস করা হয়, যুক্তরাষ্ট্র কি ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুদ্ধে জড়াচ্ছে? উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমার তা মনে হয় না। আমি তেমনটা ভাবি না।’ তবে যখন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, মাদুরোর প্রেসিডেন্ট হিসেবে সময় কি শেষ হয়ে আসছে—তখন ট্রাম্প বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি তাই মনে করি।’

মার্কিন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ‘নার্কো-টেররিজম’ বা মাদক সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ওয়াশিংটন ভেনেজুয়েলার সামরিক স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করছে। তবে ট্রাম্প দাবি করেছেন, ভেনেজুয়েলার ভেতরে আক্রমণের কোনো পরিকল্পনা তাঁর নেই। যদিও তিনি সম্পূর্ণভাবে সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি। তিনি বলেন, ‘আমি এখনই বলব না যে আমি সেটা করব। আমি বলব না, ভেনেজুয়েলাকে নিয়ে আমি কী করতে যাচ্ছি।’

এদিকে, ভেনেজুয়েলা উপকূলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি দেশটিতে সরকার পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধীদলীয় নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো। চলতি বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত এই রাজনীতিক জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে সরাতে সহায়তা করলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক পদক্ষেপকেও স্বাগত জানাবেন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাচাদো এই কথা বলেছেন। তিনি এমন এক সময়ে এই অবস্থান ব্যক্ত করলেন, যখন কোনো প্রমাণ ছাড়াই ওয়াশিংটন মাদুরোর বিরুদ্ধে মাদকচক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছে। তাঁকে বলা হচ্ছে ‘নার্কোটেররিস্ট’ বা মাদক-সন্ত্রাসী। চলতি বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পশ্চিম ক্যারিবীয় সাগরে এক নৌবহর মোতায়েন করেন। সেপ্টেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী ভেনেজুয়েলার উপকূলে কথিত মাদকবাহী জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওয়াশিংটন ওই এলাকায় নৌবাহিনীর উপস্থিতি আরও বাড়াচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই অভিযানের লক্ষ্য মাদকবিরোধী অভিযানের বাইরেও বিস্তৃত হতে পারে। যদিও ট্রাম্প বলেছেন, ভেনেজুয়েলার ভেতরে সরাসরি হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই, তবু তিনি সম্ভাব্য টার্গেটের তালিকা পর্যালোচনা করেছেন বলে জানা গেছে।

ব্লুমবার্গের দ্য মিশাল হোসেন শোতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাচাদোকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি কি ভেনেজুয়েলায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক পদক্ষেপকে সমর্থন করেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, এখন যে উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে, সেটাই একমাত্র উপায় মাদুরোকে বুঝিয়ে দেওয়ার যে, তার এখন চলে যাওয়ার সময় এসেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভেনেজুয়েলা উপকূলে ট্রাম্পের রণসাজ: বি-২ যুদ্ধবিমানসহ মোতায়েন ১৬ যুদ্ধজাহাজ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ১১
ট্রাম্প যখন এশিয়ায় শান্তির বার্তা ছড়াচ্ছেন, তখন তাঁর প্রশাসন লাতিনে যুদ্ধের দামামা বাজাচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত
ট্রাম্প যখন এশিয়ায় শান্তির বার্তা ছড়াচ্ছেন, তখন তাঁর প্রশাসন লাতিনে যুদ্ধের দামামা বাজাচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের বিপুল সামরিক উপস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন সেখানে অভিযান আরও বিস্তারের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এতে ওয়াশিংটন ও কারাকাসের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে এবং ভেনেজুয়েলায় যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য প্রথম হামলার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর আটটি যুদ্ধজাহাজ, একটি বিশেষ অভিযান জাহাজ এবং একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত আক্রমণকারী সাবমেরিন। আগামী সপ্তাহে বিমানবাহী রণতরি ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড সেখানে পৌঁছাবে। এর সঙ্গে আরও তিনটি যুদ্ধজাহাজ এবং চার হাজারের বেশি অতিরিক্ত সেনা যুক্ত হবে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, এর ফলে ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের মোতায়েন করা জনবল হবে ১৬ হাজারের মতো। যার মধ্যে ১০ হাজার সেনা এবং ৬ হাজার নাবিক। জেরাল্ড আর ফোর্ডের সঙ্গে পাঁচটি গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার—ইউএসএস মাহান, উইনস্টন এস চার্চিল, বেইন্ডরিজ, মিশার এবং ইউএসএস ফরেস্ট শেরম্যানও সেখানে যোগ দিচ্ছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরুদ্ধে অভিযান বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন। তবে শুক্রবার সাংবাদিকেরা তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি কি ভেনেজুয়েলার ভেতরে সামরিক হামলার কথা ভাবছেন, তখন ট্রাম্প বলেন, ‘না।’

নৌবাহিনীর এই শক্তি প্রদর্শনের পাশাপাশি, পেন্টাগন ভেনেজুয়েলার উপকূলের ওপর দিয়ে বোমারু বিমান উড়িয়ে শক্তি প্রদর্শন করেছে। এ ছাড়া, তারা ওই অঞ্চলের যুক্তরাষ্ট্র ঘাঁটিগুলোতে সামরিক সরঞ্জাম সরিয়ে নিচ্ছে। ওয়াশিংটন পোস্টের স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ অনুযায়ী, পুয়ের্তো রিকোর একটি ঘাঁটিতে এখন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানও রাখা হয়েছে। কেবল তা-ই নয়, ক্যারিবীয় অঞ্চলে মার্কিন প্রশাসন বি-১ ল্যান্সার, বি-৫২ বোমারু বিমান, এমকিউ-৯ রিপার আনম্যানড ভেহিকলসহ বিমানবাহিনীর কৌশলগত বিভিন্ন যানও মোতায়েন করেছে।

জেরাল্ড ফোর্ড বিমানবাহী রণতরির সঙ্গে আসা পাঁচটি গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ছাড়াও আগে থেকেই ক্যারিবীয় অঞ্চলে মোতায়েন করার জন্য পাঠানো হয়েছে আরও পাঁচটি একই ধরনের যুদ্ধজাহাজ। সেগুলো হলো—ইউএসএস জ্যাসন ডানহাম, স্টকডেল, গ্রেভলি, লেক এইরি এবং ইউএসএস গেটিসবার্গ। এর বাইরে, উভচর আক্রমণে ব্যবহৃত ইউএসএস আইও জিমা এবং ইউএসএস সান আন্তোনি—এই অঞ্চলে মোতায়েন করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, পারমাণবিক শক্তিচালিত অ্যাটাক সাবমেরিন ইউএসএস নিউপোর্ট নিউজও মোতায়েন করা হয়েছে ক্যারিবীয় অঞ্চলে।

ভেনেজুয়েলা উপকূলে মার্কিন সামরিক অবস্থানের বিষয়ে সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের আমেরিকা প্রোগ্রামের পরিচালক রায়ান বার্গ বলেন, ‘শুরু থেকেই ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক প্রস্তুতি স্বাভাবিক মাদকবিরোধী অভিযানের চেয়েও অনেক বেশি ছিল। এতে বোঝা যায়, এই মিশন শুরু থেকেই আরও বড় পরিসরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল।’

বার্গ আরও বলেন, বিমানবাহী রণতরির সংযোজন সম্ভবত ইঙ্গিত দিচ্ছে যে এই সম্প্রসারিত অভিযান এখন প্রায় প্রস্তুত। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের জাহাজের কাছ থেকে চাওয়াটা অনেক। কারণ, মাত্র তিনটি এমন জাহাজই মোতায়েন থাকে।’ ফোর্ড আগামী সপ্তাহে ক্যারিবিয়ান সাগরে পৌঁছালে ‘একধরনের সময়সীমা শুরু হবে—ট্রাম্পের হাতে তখন থাকবে প্রায় এক মাস, ওই সময়ের মধ্যেই তাঁকে বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হবে, নইলে জাহাজটি অন্যত্র সরিয়ে নিতে হবে’।

এদিকে, ওয়াশিংটনে ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা বলছেন, এসব অভিযানের স্বচ্ছতার অভাব নিয়ে তাঁরা ক্রমেই বিরক্ত হয়ে উঠছেন। কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, ট্রাম্প প্রশাসন সম্ভাব্য হামলার আইনি ভিত্তি সম্পর্কে কোনো তথ্য প্রকাশ করছে না।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকারপ্রধান ভেনেজুয়েলা উপকূলে তথাকথিত মাদকবাহী নৌযানে মার্কিন হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এসব আক্রমণ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং ‘বিচারবহির্ভূত হত্যার’ শামিল। কারণ, ট্রাম্প প্রশাসন এখনো কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি যে ‘লক্ষ্যবস্তু করা নৌকাগুলোর লোকজন অন্যের জীবনের জন্য তাৎক্ষণিক হুমকি ছিল’।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত