ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রথমবারে মতো ইউরোপের একাধিক দেশ কিয়েভে অত্যাধুনিক ট্যাংক পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
সিএনএন বলেছে, রাশিয়ার হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করার প্রচেষ্টায় ফ্রান্স, পোল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য সম্প্রতি ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ফিনল্যান্ডও ট্যাংক পাঠানোর কথা ভাবছে।
ব্রিটিশ সরকার বলেছে, ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জোরালো করার অংশ হিসেবে এক ডজন চ্যালেঞ্জার-২ ট্যাংক ও অতিরিক্ত কামান পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। গত শনিবার দুই দেশের নেতা টেলিফোনে কথা বলার পর এ পরিকল্পনার কথা জানা গেছে। ব্রিটিশ সরকারের এ পরিকল্পনার জন্য প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, ‘ট্যাংক পাঠানোর সিদ্ধান্ত শুধু আমাদের যুদ্ধক্ষেত্রকেই শক্তিশালী করবে না, বরং অন্যদের কাছেও সঠিক সংকেত পাঠাবে।’
এর আগে গত বুধবারে ইউক্রেনের লভিভ শহরে জেলেনস্কির সঙ্গে বক্তৃতা দেওয়ার সময়ে পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদা বলেছেন, পশ্চিমা মিত্রদের একটি ট্যাংক খুব শিগগিরই ইউক্রেনের বিভিন্ন রুট দিয়ে যাবে বলে তিনি আশা করছেন। এতে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় দেশগুলোর এসব পদক্ষেপের কারণে জার্মানি চাপে পড়তে পারে। তবে জার্মানি এখনো ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেয়নি। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজ বলেছেন, ‘এ জাতীয় পরিকল্পনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা জোটের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে।’
একজন প্রবীণ পশ্চিমা কূটনীতিক বলেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ একটি নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনকে সমর্থনকারী দেশগুলো সামরিক সহায়তা বাড়াবে এবং রুশ আক্রমণ কোণঠাসা হতে পারে।
এদিকে ইউরোপিয়ান কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস নামের একটি থিংক ট্যাংক জানিয়েছে, পোল্যান্ড ও ফিনল্যান্ডসহ তেরোটি ইউরোপীয় দেশের কাছে আধুনিক জার্মান লিওপার্ড-২ ট্যাংক রয়েছে। এসব ট্যাংক ১৯৭৯ সালে চালু করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকবার আপগ্রেড করা হয়েছে। এসব ট্যাংক যদি অন্য কোনো দেশে রপ্তানি করতে চায়, তবে জার্মান সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হয়। তবে জার্মানির ভাইস চ্যান্সেলর রবার্ট হ্যাবেক গত বৃহস্পতিবার বলেছেন, ইউক্রেনকে এসব ট্যাংক হস্তান্তর করলে তারা বাধা দেবে না।
জার্মান সরকারের মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান হফম্যান গত শুক্রবার বলেছেন, ‘পোল্যান্ড বা ফিনল্যান্ডের কাছ থেকে জার্মানি এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক অনুরোধ পায়নি।’
গত বছরের ডিসেম্বরে ইউক্রেন সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কমান্ডার জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনি দ্য ইকোনমিস্টকে বলেছিলেন, ‘রুশ সেনাদের পরাজিত করতে আমাদের অন্তত ৩০০টি ট্যাংক প্রয়োজন।’
ইউরোপীয় কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস বলেছেন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অন্তত ২ হাজার লিওপার্ড ট্যাংক রয়েছে।
ইউক্রেনের ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড ডিফেন্স কাউন্সিলের সেক্রেটারি ওলেক্সি ড্যানিলভ গত বৃহস্পতিবার বলেছেন, তিনি নিশ্চিত যে ইউরোপের দেশগুলো থেকে প্রতিশ্রুত ট্যাংকগুলো খুব শিগগিরই সরবরাহ করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার অত্যাধুনিক হিমার্স রকেট সিস্টেম সরবরাহ করেছে। এর ফলে সম্প্রতি ইউক্রেন যুদ্ধের মোড় ঘুরে গেছে। জার্মানির গবেষণা প্রতিষ্ঠান কিল ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও পোল্যান্ড যথাক্রমে ইউক্রেনকে সাড়ে ৭ বিলিয়ন দেড় বিলিয়ন ও ৩ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে। এর আগে পোল্যান্ড ২০০ টিরও বেশি সোভিয়েত আমলের ট্যাংক পাঠিয়েছে ইউক্রেনে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রথমবারে মতো ইউরোপের একাধিক দেশ কিয়েভে অত্যাধুনিক ট্যাংক পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
সিএনএন বলেছে, রাশিয়ার হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করার প্রচেষ্টায় ফ্রান্স, পোল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য সম্প্রতি ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ফিনল্যান্ডও ট্যাংক পাঠানোর কথা ভাবছে।
ব্রিটিশ সরকার বলেছে, ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জোরালো করার অংশ হিসেবে এক ডজন চ্যালেঞ্জার-২ ট্যাংক ও অতিরিক্ত কামান পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। গত শনিবার দুই দেশের নেতা টেলিফোনে কথা বলার পর এ পরিকল্পনার কথা জানা গেছে। ব্রিটিশ সরকারের এ পরিকল্পনার জন্য প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, ‘ট্যাংক পাঠানোর সিদ্ধান্ত শুধু আমাদের যুদ্ধক্ষেত্রকেই শক্তিশালী করবে না, বরং অন্যদের কাছেও সঠিক সংকেত পাঠাবে।’
এর আগে গত বুধবারে ইউক্রেনের লভিভ শহরে জেলেনস্কির সঙ্গে বক্তৃতা দেওয়ার সময়ে পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদা বলেছেন, পশ্চিমা মিত্রদের একটি ট্যাংক খুব শিগগিরই ইউক্রেনের বিভিন্ন রুট দিয়ে যাবে বলে তিনি আশা করছেন। এতে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় দেশগুলোর এসব পদক্ষেপের কারণে জার্মানি চাপে পড়তে পারে। তবে জার্মানি এখনো ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেয়নি। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজ বলেছেন, ‘এ জাতীয় পরিকল্পনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা জোটের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে।’
একজন প্রবীণ পশ্চিমা কূটনীতিক বলেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ একটি নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনকে সমর্থনকারী দেশগুলো সামরিক সহায়তা বাড়াবে এবং রুশ আক্রমণ কোণঠাসা হতে পারে।
এদিকে ইউরোপিয়ান কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস নামের একটি থিংক ট্যাংক জানিয়েছে, পোল্যান্ড ও ফিনল্যান্ডসহ তেরোটি ইউরোপীয় দেশের কাছে আধুনিক জার্মান লিওপার্ড-২ ট্যাংক রয়েছে। এসব ট্যাংক ১৯৭৯ সালে চালু করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকবার আপগ্রেড করা হয়েছে। এসব ট্যাংক যদি অন্য কোনো দেশে রপ্তানি করতে চায়, তবে জার্মান সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হয়। তবে জার্মানির ভাইস চ্যান্সেলর রবার্ট হ্যাবেক গত বৃহস্পতিবার বলেছেন, ইউক্রেনকে এসব ট্যাংক হস্তান্তর করলে তারা বাধা দেবে না।
জার্মান সরকারের মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান হফম্যান গত শুক্রবার বলেছেন, ‘পোল্যান্ড বা ফিনল্যান্ডের কাছ থেকে জার্মানি এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক অনুরোধ পায়নি।’
গত বছরের ডিসেম্বরে ইউক্রেন সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কমান্ডার জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনি দ্য ইকোনমিস্টকে বলেছিলেন, ‘রুশ সেনাদের পরাজিত করতে আমাদের অন্তত ৩০০টি ট্যাংক প্রয়োজন।’
ইউরোপীয় কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস বলেছেন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অন্তত ২ হাজার লিওপার্ড ট্যাংক রয়েছে।
ইউক্রেনের ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড ডিফেন্স কাউন্সিলের সেক্রেটারি ওলেক্সি ড্যানিলভ গত বৃহস্পতিবার বলেছেন, তিনি নিশ্চিত যে ইউরোপের দেশগুলো থেকে প্রতিশ্রুত ট্যাংকগুলো খুব শিগগিরই সরবরাহ করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার অত্যাধুনিক হিমার্স রকেট সিস্টেম সরবরাহ করেছে। এর ফলে সম্প্রতি ইউক্রেন যুদ্ধের মোড় ঘুরে গেছে। জার্মানির গবেষণা প্রতিষ্ঠান কিল ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও পোল্যান্ড যথাক্রমে ইউক্রেনকে সাড়ে ৭ বিলিয়ন দেড় বিলিয়ন ও ৩ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে। এর আগে পোল্যান্ড ২০০ টিরও বেশি সোভিয়েত আমলের ট্যাংক পাঠিয়েছে ইউক্রেনে।
‘এই লোক বলেন এক কথা, করেন ঠিক আরেকটা’—মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে বাংকার বাস্টার বোমা ফেলবেন কি না, তা নিয়ে যখন ব্যাপক গুঞ্জন; তখনই এ মন্তব্য করেন এক রাজনৈতিক ভাষ্যকার। ট্রাম্পের কাজকর্মের ধরন সম্পর্কে তাঁর এ কথায় একমত লোকের অভাব হবে না, তা ভরসা নিয়েই বলা যায়। আর জনমনের সেই ধারণা সত্যি
১ ঘণ্টা আগেইরানের ফোরদো পরমাণু স্থাপনার মূল কার্যক্রম চলত পাহাড়ের ৮০ থেকে ৯০ মিটার নিচে। ইরানের কোম শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে এই স্থাপনার অবস্থান। বলা হয়ে থাকে, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মূল কার্যক্রম চলত এ কেন্দ্রে। এটি ছাড়াও শনিবার দিবাগত রাতে আরও দুটি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র থেকে সরাসরি ইরানে গিয়ে হামলা চালাল বি-টু বোমারু বিমান। দেশটির মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে গত শনিবার দিবাগত রাতে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় এই বিমান। এর মধ্য দিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বহরে থাকা অন্যতম সেরা বোমারু বিমানটি।
১ ঘণ্টা আগেইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে গত শনিবার দিবাগত রাতে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, খুব সফলভাবে অভিযানটি পরিচালিত হয়েছে। তবে ইরানের দাবি, মার্কিন বোমায় পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোর খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
১ ঘণ্টা আগে