Ajker Patrika

চীনে বন্যায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৩৩

চীনে বন্যায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৩৩

চীনের হেনান প্রদেশে বন্যায় এখন পর্যন্ত ৩৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে এক ডজনই মারা গেছে প্রদেশটির রাজধানী ঝেংঝুতে। সামনে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেনান প্রদেশে আগামী কয়েক দিনে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। ফলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট এই বন্যা সামনে আরও তীব্র হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে অঞ্চলটি থেকে প্রায় ১ লাখ লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

হেনান প্রদেশের ঝেংঝু শহরটি শিল্প ও যোগাযোগ সংযোগস্থল। এখন বন্যার কারণে এই গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থলটিই ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জলাধার ও বাঁধগুলো ধসে পড়তে পারে বলে এরই মধ্যে গুরুতর সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, শুধু পাতাল রেলের টানেলে আটকা পড়েই ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। টানেলে আটকে পড়াদের মধ্য থেকে ৫০০ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়েছে।

আজ বুধবার এ সম্পর্কিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা জানান, এখন পর্যন্ত ৩৩ জন নিহত হয়েছে। নিখোঁজ আছে সাতজন।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে সহায়তা করার জন্য হেনান প্রদেশে ৫৭ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। আগামী তিন দিনও প্রদেশটিতে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।

রয়টার্স জানায়, গত শনিবার থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ঝেংঝু শহরে ৬১৭ দশমিক ১ মিলিমিটার (২৪ দশমিক ৩ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত হয়েছে। অথচ শহরটির বার্ষিক মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৬৪০ দশমিক ৮ মিলিমিটার।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সাম্প্রতিক তাপপ্রবাহ, পশ্চিম ইউরোপে হয়ে যাওয়া প্রবল বন্যার মতো করেই চীনের এমন অস্বাভাবিক ভার বৃষ্টিপাতের কারণ নিশ্চিতভাবে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন।
এ বিষয়ে সিটি ইউনিভার্সিটি অব হংকংয়ের বায়ুমণ্ডলীয় বিজ্ঞানের অধ্যাপক জনি চ্যান রয়টার্সকে বলেন, ‘এমন অস্বাভাবিক আবহাওয়ার মুখে ভবিষ্যতে ঘন ঘন পড়তে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট মোকাবিলায় ভবিষ্যৎ কৌশল নির্ধারণ করা এখনই জরুরি।’

অবস্থা এতটাই বাজে আকার ধারণ করেছে যে, চীনের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বন্যা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হয়েছে। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এ সম্পর্কিত এক বিবৃতিতে বলেছেন, বন্যা প্রতিরোধ খুবই কঠিন হয়ে পড়ছে। ঝেংঝু শহরের পশ্চিমের লুইয়াং শহরের পরিস্থিতি ভয়াবহ। সেখানে থাকা ইহেতান বাঁধে ২০ মিটারের চেয়েও বেশি এলাকা ধরে ফাটল দেখা দিয়েছে। যেকোনো সময় এই বাঁধ ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার নিষিদ্ধ করল বিমান বাংলাদেশ

আমাকে ধর্ষণের সময় পাশে দাঁড়িয়ে দেখছিল দুই যুবক: ধর্ষণের শিকার তরুণী

বংশরক্ষায় মৃত ছেলের শুক্রাণু চান মা, সংরক্ষণের নির্দেশ মুম্বাই হাইকোর্টের

যেখানে মিলেছে ‘কামসূত্র’ নির্মাতা মীরা নায়ার ও তাঁর পুত্র মামদানির সংগ্রাম

ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ভারতের সংসদীয় কমিটির দীর্ঘ বৈঠক

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত