সি চিন পিং ২০১২ সালে যখন ক্ষমতায় আসেন, তখন অনেকেই ভেবেছিলেন চীনের সবচেয়ে উদারনৈতিক কমিউনিস্ট নেতা হবেন তিনি। এ ধারণার নেপথ্যে তাঁর পারিবারিক ইতিহাস। বাবা সি ঝংজুন ছিলেন বিপ্লবী নেতা। কিন্তু আজ মনে হচ্ছে ১০ বছর আগের সেই ধারণা ভুল। মাও সেতুংয়ের পর চীনের সবচেয়ে প্রভাবশালী শাসক হতে যাচ্ছেন সি। চলতি মাসেই পার্টি থেকে আসবে সবুজ সংকেত। প্রেসিডেন্ট পদে দ্বিতীয় দশক শুরু করতে যাচ্ছেন সি চিন পিং।
সিকে কেউ কেউ আধুনিক চীনের রূপকার বলে থাকেন। যে চীন এক দশক আগেও যুক্তরাষ্ট্রের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারত না, সির অধীনে সেই চীনই চোখ রাঙানি দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রকে। সংবাদ সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উচ্চাকাঙ্ক্ষায় নির্মম এক নেতা সি। তবে তাঁর প্রভাবশালী হওয়ার পেছনের সংগ্রাম অনেকেরই অজানা।
মাও সেতুংয়ের অধীনে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন সির বাবা সি ঝংজুন। মাও সেতুং আর তিনি একসঙ্গে লড়েছেন গৃহযুদ্ধে। পার্টিতে ঝংজুনের বেশ গুরুত্ব ছিল। কিন্তু মাও সেতুংয়ের সমালোচনা করে দলীয় পদ হারান তিনি। পরিবারে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। এ সময় একের পর এক আঘাত আসতে থাকে সির পরিবারে। জানা যায়, অপমান সইতে না পেরে তাঁর এক সৎ বোন আত্মহত্যা করেছিলেন।
স্কুলের সহপাঠীরা সিকে ‘একঘরে’ করে দেয়। ছেলেবেলার এসব ঘটনা সির মধ্যে এককেন্দ্রিক চিন্তাভাবনা তৈরি করেছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডেভিড শ্যামবাগ। একসময় চীনে সাংস্কৃতিক বিপ্লব শুরু হলে স্কুল ছাড়তে হয় তাঁকে। সরকারি নির্দেশে যেতে হয় শানজি প্রদেশের একটি দরিদ্র গ্রামে। থাকতে হয় গুহায়। বস্তা নিয়ে যেতে হয় দূর-দূরান্তে। অল্প বয়সেই এসব অভিজ্ঞতা সির চরিত্রে ‘দৃঢ়তা’ গঠন করেছে।
১৬-১৭ বছর বয়সী সি সিদ্ধান্ত নেন রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার। কিন্তু সিসিপিতে সদস্যপদের জন্য আবেদন করলেও বারবার প্রত্যাখ্যাত হতে হয়। শেষ পর্যন্ত যখন সদস্য হয়ে যান, তত দিনে ভবিষ্যতের ছক কষে ফেলা শেষ তাঁর। এরপর এগিয়ে যাওয়ার সময়টা দীর্ঘ হলেও সি তা বেশ সহজ করে নেন।
১৯৭৪ সালে একটি গ্রামে দলীয় প্রধানের পদ দিয়ে যাত্রা শুরু। ধাপে ধাপে সিঁড়ি অতিক্রম করলেও নিজেকে বেশ আড়ালে রেখেছেন এই নেতা। ১৯৮৭ সালে তারকা শিল্পী পেং লিউয়ানকে বিয়ে করেন। ২০০৭ সাল পর্যন্ত তিনি লিউয়ানের স্বামী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। ওই বছর সাংহাইয়ে দলীয় প্রধান হন তিনি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
বিশ্লেষকেরা মনে করেন, কিশোর বয়সের সেই কষ্টের দিনগুলোই আজকের সি চিন পিং তৈরি করেছে। সি নিজেও বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে এ কথা স্বীকার করেছেন।
সি চিন পিং ২০১২ সালে যখন ক্ষমতায় আসেন, তখন অনেকেই ভেবেছিলেন চীনের সবচেয়ে উদারনৈতিক কমিউনিস্ট নেতা হবেন তিনি। এ ধারণার নেপথ্যে তাঁর পারিবারিক ইতিহাস। বাবা সি ঝংজুন ছিলেন বিপ্লবী নেতা। কিন্তু আজ মনে হচ্ছে ১০ বছর আগের সেই ধারণা ভুল। মাও সেতুংয়ের পর চীনের সবচেয়ে প্রভাবশালী শাসক হতে যাচ্ছেন সি। চলতি মাসেই পার্টি থেকে আসবে সবুজ সংকেত। প্রেসিডেন্ট পদে দ্বিতীয় দশক শুরু করতে যাচ্ছেন সি চিন পিং।
সিকে কেউ কেউ আধুনিক চীনের রূপকার বলে থাকেন। যে চীন এক দশক আগেও যুক্তরাষ্ট্রের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারত না, সির অধীনে সেই চীনই চোখ রাঙানি দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রকে। সংবাদ সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উচ্চাকাঙ্ক্ষায় নির্মম এক নেতা সি। তবে তাঁর প্রভাবশালী হওয়ার পেছনের সংগ্রাম অনেকেরই অজানা।
মাও সেতুংয়ের অধীনে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন সির বাবা সি ঝংজুন। মাও সেতুং আর তিনি একসঙ্গে লড়েছেন গৃহযুদ্ধে। পার্টিতে ঝংজুনের বেশ গুরুত্ব ছিল। কিন্তু মাও সেতুংয়ের সমালোচনা করে দলীয় পদ হারান তিনি। পরিবারে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। এ সময় একের পর এক আঘাত আসতে থাকে সির পরিবারে। জানা যায়, অপমান সইতে না পেরে তাঁর এক সৎ বোন আত্মহত্যা করেছিলেন।
স্কুলের সহপাঠীরা সিকে ‘একঘরে’ করে দেয়। ছেলেবেলার এসব ঘটনা সির মধ্যে এককেন্দ্রিক চিন্তাভাবনা তৈরি করেছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডেভিড শ্যামবাগ। একসময় চীনে সাংস্কৃতিক বিপ্লব শুরু হলে স্কুল ছাড়তে হয় তাঁকে। সরকারি নির্দেশে যেতে হয় শানজি প্রদেশের একটি দরিদ্র গ্রামে। থাকতে হয় গুহায়। বস্তা নিয়ে যেতে হয় দূর-দূরান্তে। অল্প বয়সেই এসব অভিজ্ঞতা সির চরিত্রে ‘দৃঢ়তা’ গঠন করেছে।
১৬-১৭ বছর বয়সী সি সিদ্ধান্ত নেন রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার। কিন্তু সিসিপিতে সদস্যপদের জন্য আবেদন করলেও বারবার প্রত্যাখ্যাত হতে হয়। শেষ পর্যন্ত যখন সদস্য হয়ে যান, তত দিনে ভবিষ্যতের ছক কষে ফেলা শেষ তাঁর। এরপর এগিয়ে যাওয়ার সময়টা দীর্ঘ হলেও সি তা বেশ সহজ করে নেন।
১৯৭৪ সালে একটি গ্রামে দলীয় প্রধানের পদ দিয়ে যাত্রা শুরু। ধাপে ধাপে সিঁড়ি অতিক্রম করলেও নিজেকে বেশ আড়ালে রেখেছেন এই নেতা। ১৯৮৭ সালে তারকা শিল্পী পেং লিউয়ানকে বিয়ে করেন। ২০০৭ সাল পর্যন্ত তিনি লিউয়ানের স্বামী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। ওই বছর সাংহাইয়ে দলীয় প্রধান হন তিনি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
বিশ্লেষকেরা মনে করেন, কিশোর বয়সের সেই কষ্টের দিনগুলোই আজকের সি চিন পিং তৈরি করেছে। সি নিজেও বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে এ কথা স্বীকার করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের চাপে ভারত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে— এমন বক্তব্য নাকচ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাসের’ বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতকে সঙ্গ না দিয়ে পাকিস্তান ভুল করেছে। তারা উল্টো ভারতের স্কুল, হাসপাতাল, সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি, উপাসনালয়ে হামলা চালিয়েছে, সেখানেও ব্যর্থ তারা।
৭ ঘণ্টা আগেএকটি ভিডিও ও ছবি ঘিরে অভিযোগ উঠেছে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ তাঁর সামনে রাখা কোকেন লুকানোর চেষ্টা করছেন। তবে এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও ভুয়া সংবাদ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে ফ্রান্স। একটি ট্রেনের কামরায় মাখোঁর পাশে সেই সময়টিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এবং জার্মান রাজনীতিক
৮ ঘণ্টা আগেহামাস জানিয়েছে, তারা আজ সোমবার গাজায় এক ইসরায়েলি-আমেরিকান জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। তবে বৃহত্তর যুদ্ধবিরতি বা জিম্মি মুক্তি নিয়ে কোনো চুক্তি হয়নি। আন্তর্জাতিক রেডক্রস সোসাইটি এদান আলেকজান্ডারের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৯ ঘণ্টা আগেবেলজিয়ামে খুঁজে পাওয়া একটি কঙ্কালের ডিএনএ পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত ব্রিটিশ সেনা প্রাইভেট জন টেইম। সোমবার যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক দ্য টাইমস জানিয়েছে, মৃত্যুর প্রায় ১০৮ বছর পর গত ৮ মে টেইমকে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় সমাহিত করা হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে