মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইনে জান্তাবাহিনী ও বিদ্রোহী জোটের মধ্যে ব্যাপক লড়াই চলছে। এমনকি বিদ্রোহীরা রাজ্যটির বড় একটি অংশের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ারও দাবি করেছে। তার পরও রাখাইনের কায়াকপায়ুতে চীনা অর্থায়নে নির্মিত হতে যাওয়া গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্প এগিয়ে নেওয়ার তোড়জোড় চালাচ্ছে জান্তা সরকার। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে গত সপ্তাহে দেশটির রাজধানী নেপিডোতে জান্তা সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠকে বসেছিলেন।
মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূলত কায়াকপায়ুতে চীনা অর্থায়নের এই বিশাল প্রকল্প এগিয়ে নিতে কীভাবে এগিয়ে যাওয়া হবে এবং কী কী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, সে বিষয়টি পর্যালোচনা করতেই জান্তা সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠকে বসেছিলেন।
গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাজ্য রাখাইনে প্রায় ৯০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করা নিয়ে নেপিডোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করে চীন। এই চুক্তির আওতায় রাখাইনের কায়াকপায়ু গভীর সমুদ্রবন্দর ও বন্দরে কাছাকাছি একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসএইজেড) গড়ে তোলার কাজ এগিয়ে নেবে বেইজিং।
এই প্রকল্পের আওতায় গভীর সমুদ্রবন্দর, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ছাড়াও বন্দর থেকে চীনের কুনমিং পর্যন্ত ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি অর্থনৈতিক করিডরও তৈরি করা হবে। চুক্তি অনুসারে, বন্দর নির্মাণে চীন বিনিয়োগ করবে ৭৩০ কোটি ডলার এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করা হবে ১৩০ কোটি ডলার। মূলত দুটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়া হবে এই প্রকল্পের আওতায়। এর মধ্যে একটি হবে মাদায় দ্বীপে, যার আয়তন হবে প্রায় ৩৭১ একর। অপরটি হবে রামরি দ্বীপে, যার আয়তন হবে ২৩৭ একর।
এই চুক্তির পর চীনের মধ্যস্থতায় তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ), তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) ও আরাকান আর্মির (এএ) সমন্বয়ে গঠিত জোট থ্রি ব্রাদার্স অ্যালায়েন্সের সঙ্গে অস্ত্রবিরতিতে গিয়েছিল জান্তাবাহিনী। কিন্তু দুই দিন না পেরোতেই সেই অস্ত্রবিরতি ভেস্তে যায়। এরপর থেকেই চিন, শান ও রাখাইনে আক্রমণ ব্যাপক তীব্র করেছে থ্রি ব্রাদার্স। বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে প্রায়ই হারছে জান্তাবাহিনী এমন খবর পাওয়া যাচ্ছে নিয়মিত।
বুধবারের বৈঠকে মিয়ানমারের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান অং নাইং ওও সময়মতো প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করার জন্য সরকারের মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের আহ্বান জানিয়েছেন। এর আগে তিনি বলেছিলেন, সমুদ্রবন্দর ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপের বাজারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী একটি কেন্দ্রে পরিণত হবে। এই প্রকল্প মিয়ানমার ও আশপাশের অঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।
যাই হোক, অস্ত্রবিরতি ভেস্তে যাওয়ার পর বিদ্রোহী আরাকান আর্মি কায়াকপায়ু সমুদ্রবন্দরের আশপাশের এলাকায় তীব্র আক্রমণ শুরু করে। জবাবে জান্তাবাহিনীও আক্রমণ জোরদার করে। কিন্তু সেগুলো খুব বেশি ফলপ্রসূ হয়নি। কারণ রাখাইনের বিশাল একটি অংশ দখলের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি শহরও দখল করে নিয়েছে আরাকান আর্মি। এমনকি চিন রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ শহর পালেতওয়াও দখল করে নিয়েছে তারা।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, জান্তাবাহিনী যতই তোড়জোড় করুক, রাখাইনে আরাকান আর্মির শক্তিমত্তা ও নিয়ন্ত্রণ বাড়তে থাকায় বন্দর ও অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার কাজ খুব একটা সহজ হবে না।
মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইনে জান্তাবাহিনী ও বিদ্রোহী জোটের মধ্যে ব্যাপক লড়াই চলছে। এমনকি বিদ্রোহীরা রাজ্যটির বড় একটি অংশের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ারও দাবি করেছে। তার পরও রাখাইনের কায়াকপায়ুতে চীনা অর্থায়নে নির্মিত হতে যাওয়া গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্প এগিয়ে নেওয়ার তোড়জোড় চালাচ্ছে জান্তা সরকার। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে গত সপ্তাহে দেশটির রাজধানী নেপিডোতে জান্তা সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠকে বসেছিলেন।
মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূলত কায়াকপায়ুতে চীনা অর্থায়নের এই বিশাল প্রকল্প এগিয়ে নিতে কীভাবে এগিয়ে যাওয়া হবে এবং কী কী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, সে বিষয়টি পর্যালোচনা করতেই জান্তা সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠকে বসেছিলেন।
গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাজ্য রাখাইনে প্রায় ৯০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করা নিয়ে নেপিডোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করে চীন। এই চুক্তির আওতায় রাখাইনের কায়াকপায়ু গভীর সমুদ্রবন্দর ও বন্দরে কাছাকাছি একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসএইজেড) গড়ে তোলার কাজ এগিয়ে নেবে বেইজিং।
এই প্রকল্পের আওতায় গভীর সমুদ্রবন্দর, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ছাড়াও বন্দর থেকে চীনের কুনমিং পর্যন্ত ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি অর্থনৈতিক করিডরও তৈরি করা হবে। চুক্তি অনুসারে, বন্দর নির্মাণে চীন বিনিয়োগ করবে ৭৩০ কোটি ডলার এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করা হবে ১৩০ কোটি ডলার। মূলত দুটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়া হবে এই প্রকল্পের আওতায়। এর মধ্যে একটি হবে মাদায় দ্বীপে, যার আয়তন হবে প্রায় ৩৭১ একর। অপরটি হবে রামরি দ্বীপে, যার আয়তন হবে ২৩৭ একর।
এই চুক্তির পর চীনের মধ্যস্থতায় তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ), তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) ও আরাকান আর্মির (এএ) সমন্বয়ে গঠিত জোট থ্রি ব্রাদার্স অ্যালায়েন্সের সঙ্গে অস্ত্রবিরতিতে গিয়েছিল জান্তাবাহিনী। কিন্তু দুই দিন না পেরোতেই সেই অস্ত্রবিরতি ভেস্তে যায়। এরপর থেকেই চিন, শান ও রাখাইনে আক্রমণ ব্যাপক তীব্র করেছে থ্রি ব্রাদার্স। বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে প্রায়ই হারছে জান্তাবাহিনী এমন খবর পাওয়া যাচ্ছে নিয়মিত।
বুধবারের বৈঠকে মিয়ানমারের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান অং নাইং ওও সময়মতো প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করার জন্য সরকারের মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের আহ্বান জানিয়েছেন। এর আগে তিনি বলেছিলেন, সমুদ্রবন্দর ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপের বাজারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী একটি কেন্দ্রে পরিণত হবে। এই প্রকল্প মিয়ানমার ও আশপাশের অঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।
যাই হোক, অস্ত্রবিরতি ভেস্তে যাওয়ার পর বিদ্রোহী আরাকান আর্মি কায়াকপায়ু সমুদ্রবন্দরের আশপাশের এলাকায় তীব্র আক্রমণ শুরু করে। জবাবে জান্তাবাহিনীও আক্রমণ জোরদার করে। কিন্তু সেগুলো খুব বেশি ফলপ্রসূ হয়নি। কারণ রাখাইনের বিশাল একটি অংশ দখলের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি শহরও দখল করে নিয়েছে আরাকান আর্মি। এমনকি চিন রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ শহর পালেতওয়াও দখল করে নিয়েছে তারা।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, জান্তাবাহিনী যতই তোড়জোড় করুক, রাখাইনে আরাকান আর্মির শক্তিমত্তা ও নিয়ন্ত্রণ বাড়তে থাকায় বন্দর ও অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার কাজ খুব একটা সহজ হবে না।
ইরানের প্রধান তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা ফোরদো, নাতানজ ও ইস্পাহানে হামলা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনটি স্থাপনাই ‘শেষ’ করে দেওয়া হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের হুমকি দূর করা হয়েছে।
১০ মিনিট আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরানে হামলার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। তবে, এর অনেক সমালোচক বা এমনকি অনেক সমর্থকও এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হবেন বলে মনে হয় না। কারণ, তিনি কোথাও উল্লেখ করেননি যে, যুক্তরাষ্ট্র আসন্ন হুমকির মুখে ছিল, যার কারণে মার্কিন সংবিধান অনুসারে এই হামলাকে বৈধতা দেওয়া যেতে পারে।
৩৪ মিনিট আগেইরানের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা ফোরদো, নাতানজ ও ইস্পাহানের শক্তিশালী বোমা নিক্ষেপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বোমার পর তাৎক্ষণিক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেছেন, ‘ফোরদো শেষ!’ বাকি দুটি অবস্থা অবশ্য এখনো জানানো হয়নি।
১ ঘণ্টা আগেইরানের পারমাণবিক সংস্থা মার্কিন হামলার নিন্দা জানিয়েছে, বলেছে তাদের পরমাণু শিল্প বন্ধ হবে না। সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইরানের পারমাণবিক সংস্থা দেশটির তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার নিন্দা জানিয়েছে এবং তাদের পরমাণু কর্মসূচি ‘কখনোই’ বন্ধ না করার অঙ্গ
১ ঘণ্টা আগে