Ajker Patrika

ভারতের বিরল খনিজ যত লাগে, দেবে চীন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৯ আগস্ট ২০২৫, ২০: ৩৯
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ই। ছবি: রয়টার্স
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ই। ছবি: রয়টার্স

ভারত-চীন সম্পর্কের উন্নতির ধারায় নতুন মাত্রা যোগ হলো রেয়ার আর্থ তথা বিরল খনিজ নিয়ে। বৈদ্যুতিক গাড়ি, ইলেকট্রনিক ব্যাটারি, মহাকাশ থেকে শুরু করে বর্তমান বিশ্বে এ ধরনের খনিজ এখন অপরিহার্য উপাদান হয়ে দাঁড়িয়েছে। চীন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ভারতের বিরল খনিজের প্রয়োজন মেটাতে তারা পদক্ষেপ নেবে। আজ মঙ্গলবার এক শীর্ষ ভারতীয় কর্মকর্তা ও কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের সীমান্ত সংঘর্ষে ভারত ও চীনের সম্পর্কে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল, তা কাটিয়ে সম্পর্ক পুনর্গঠনের চেষ্টা চলছে। এই প্রেক্ষাপটে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ভারত সফর করছেন। সফরে তিনি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে ২৪তম সীমান্ত বৈঠকে বসেন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও তাঁর সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।

বৈঠকের শুরুতে অজিত দোভাল বলেন, সম্পর্ক উন্নতির ধারায় রয়েছে। সীমান্ত শান্ত রয়েছে, স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে। দ্বিপক্ষীয় আলোচনাও আরও অর্থবহ হয়েছে। তিনি আরও যোগ করেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তা আমাদের নানা খাতে এগিয়ে যেতে সহায়তা করছে।’

ওয়াং ই দোভালকে বলেন, চীন-ভারত সম্পর্কের স্থিতিশীল ও ইতিবাচক উন্নয়ন দুই দেশের জনগণের মৌলিক স্বার্থে জরুরি। তিনি জোর দিয়ে বলেন, উভয় দেশকে আলোচনার মাধ্যমে পারস্পরিক আস্থা বাড়াতে হবে এবং সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ, চিহ্ন নির্ধারণসহ বিভিন্ন বিষয়ে ঐকমত্য গড়ে তুলতে হবে।

এক ভারতীয় সূত্র জানিয়েছে, চীন ভারতের তিনটি বড় চাহিদা মেটাতে সম্মত হয়েছে। ওয়াং ই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে আশ্বাস দিয়েছেন, ভারতের জন্য সার, বিরল খনিজ ও টানেল বোরিং মেশিনের চাহিদা মেটাতে বেইজিং উদ্যোগ নেবে।

তবে ভারতের পররাষ্ট্র ও খনিজ মন্ত্রণালয় এবং চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। এখনো পরিষ্কার নয়, চীন কি ভারতের জন্য রপ্তানি লাইসেন্স দ্রুত অনুমোদন করবে, না বিশেষ ছাড় দেবে।

এর আগে চীন ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রকেও বিরল খনিজের রপ্তানি অনুমোদন দ্রুত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, যদিও এই খনিজের ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা এখনো পুরোপুরি শিথিল করা হয়নি। তবে গত জুনে এমন আশ্বাসের পর চীনের বিরল খনিজ ও সংশ্লিষ্ট চুম্বক রপ্তানি কিছুটা বেড়েছিল। তবে তাদের ভারতমুখী রপ্তানি জানুয়ারির তুলনায় এখনো ৫৮ শতাংশ কম।

উল্লেখ্য, ভারতে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম বিরল খনিজের মজুত রয়েছে। এর পরিমাণ প্রায় ৬৯ লাখ টন। কিন্তু দেশটিতে চুম্বক উৎপাদন নেই। ফলে এ খাতে ভারতকে প্রধানত চীনের আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত