আজকের পত্রিকা ডেস্ক
অভিযান চালিয়ে চীনের অন্যতম বৃহৎ এক আন্ডারগ্রাউন্ড চার্চের বেশ কয়েকজন পাদ্রিকে আটক করেছে পুলিশ। চার্চের এক মুখপাত্র ও আটক ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ২০১৮ সালের পর চীনের খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে এটিই সবচেয়ে বড় দমন অভিযান।
চীনে আন্ডারগ্রাউন্ড চার্চ বলতে বোঝানো হয়, সেসব ক্যাথলিক চার্চকে, যারা রাষ্ট্র অনুমোদিত ক্যাথলিক সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক না রেখে স্বাধীনভাবে পরিচালিত হয়।
গত সপ্তাহে বেইজিং বিরল খনিজ রপ্তানিতে নতুন নিয়ন্ত্রণ আরোপ করার পর ওয়াশিংটনের সঙ্গে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে গির্জায় এই অভিযান চালানো হয়।
ঘটনাটির নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গত রোববার এক বিবৃতিতে আটক পাদ্রিদের অবিলম্বে মুক্তির আহ্বান জানান।
চীনা সরকারের অনুমোদন না থাকা জায়ন চার্চের প্রতিষ্ঠাতা যাজক জিন মিংরিকে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বেইহাইয়ে তাঁর বাড়ি থেকে আটক করা হয়। তাঁর মেয়ে গ্রেস জিন এবং চার্চের মুখপাত্র শন লং এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মুখপাত্র শন লং রয়টার্সকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বলেন, ‘যা ঘটল, তা এই বছরের ধর্মীয় নিপীড়নের নতুন ঢেউয়ের অংশ। পুলিশ দেড় শতাধিক উপাসককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রোববারের প্রার্থনার সময় হয়রানিও বাড়িয়েছে তারা।’
গত মাসে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ঘোষণা দেন, ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে কঠোর আইন প্রয়োগ করা হবে এবং ধর্মের রীতিনীতি এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যাতে তা চীনা কমিউনিস্ট পার্টির মূল্যবোধ, ভাষা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।
অভিযান চালিয়ে চীনের অন্যতম বৃহৎ এক আন্ডারগ্রাউন্ড চার্চের বেশ কয়েকজন পাদ্রিকে আটক করেছে পুলিশ। চার্চের এক মুখপাত্র ও আটক ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ২০১৮ সালের পর চীনের খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে এটিই সবচেয়ে বড় দমন অভিযান।
চীনে আন্ডারগ্রাউন্ড চার্চ বলতে বোঝানো হয়, সেসব ক্যাথলিক চার্চকে, যারা রাষ্ট্র অনুমোদিত ক্যাথলিক সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক না রেখে স্বাধীনভাবে পরিচালিত হয়।
গত সপ্তাহে বেইজিং বিরল খনিজ রপ্তানিতে নতুন নিয়ন্ত্রণ আরোপ করার পর ওয়াশিংটনের সঙ্গে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে গির্জায় এই অভিযান চালানো হয়।
ঘটনাটির নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গত রোববার এক বিবৃতিতে আটক পাদ্রিদের অবিলম্বে মুক্তির আহ্বান জানান।
চীনা সরকারের অনুমোদন না থাকা জায়ন চার্চের প্রতিষ্ঠাতা যাজক জিন মিংরিকে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বেইহাইয়ে তাঁর বাড়ি থেকে আটক করা হয়। তাঁর মেয়ে গ্রেস জিন এবং চার্চের মুখপাত্র শন লং এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মুখপাত্র শন লং রয়টার্সকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বলেন, ‘যা ঘটল, তা এই বছরের ধর্মীয় নিপীড়নের নতুন ঢেউয়ের অংশ। পুলিশ দেড় শতাধিক উপাসককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রোববারের প্রার্থনার সময় হয়রানিও বাড়িয়েছে তারা।’
গত মাসে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ঘোষণা দেন, ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে কঠোর আইন প্রয়োগ করা হবে এবং ধর্মের রীতিনীতি এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যাতে তা চীনা কমিউনিস্ট পার্টির মূল্যবোধ, ভাষা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।
ভারতের পুনে শহরে পুলিশি তৎপরতায় উদ্ধার হলেন দুই বাংলাদেশি তরুণী। উদ্ধারের আগে এদের মধ্যে একজন সরাসরি পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন করে জানিয়েছিলেন, শহরের কাত্রজ এলাকায় তাঁকে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে।
১২ মিনিট আগেএনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্দীপ কুমার সুইসাইড নোটে অভিযোগ করেন, পুরন কুমার ছিলেন ‘দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা’। তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন। কারণ, তিনি তাঁর দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ পেয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছিলেন।
৩৩ মিনিট আগেভারতের রাজধানীতে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সফর ঘিরে শুরু হয়েছে বিস্তর বিতর্ক। কারণ একদিকে এই সফরকে বলা হচ্ছে ‘কূটনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন’, অন্যদিকে দেশের বিশিষ্টজনদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন—বিশ্বের সবচেয়ে নারীবিদ্বেষী গোষ্ঠীর প্রতিনিধিকে এত উষ্ণ অভ্যর্থনা কেন দেওয়া হলো।
১ ঘণ্টা আগেভারতে অবসরপ্রাপ্ত এক আইপিএস অফিসারের বিরুদ্ধে ৪১ বছর পুরোনো একটি মামলায় জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। সাবেক কুলদীপ শর্মা ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বিশেষত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কট্টর সমালোচক। ফলে এই আইনি পদক্ষেপ নিয়ে তু
২ ঘণ্টা আগেকলকাতা প্রতিনিধি
ভারতের পুনে শহরে পুলিশি তৎপরতায় উদ্ধার হলেন দুই বাংলাদেশি তরুণী। উদ্ধারের আগে এদের মধ্যে একজন সরাসরি পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন করে জানিয়েছিলেন, শহরের কাত্রজ এলাকায় তাঁকে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে। পরে দ্রুত পদক্ষেপে পুলিশ সেখানে পৌঁছায় এবং সেখান থেকে পাওয়া সূত্রে আম্বেগাঁও-পাঠার এলাকায় আরও এক বাংলাদেশি তরুণীকে উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া দুজনের বয়স যথাক্রমে ২২ ও ২০ বছর।
প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে—দুজনকেই ‘বিউটি পারলারের চাকরি’ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার করা হয়। পরে তাঁদের দেহ ব্যবসার চক্রে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় পুনের ধনকাওয়াদি এলাকার বাসিন্দা রজু পাটিলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আদালত তাঁকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে এবং এই পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহে তাঁর স্ত্রীকেও খোঁজা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মামলাটি ‘অবৈধ পাচার প্রতিরোধ আইন’ (পিআইটিএ) এর অধীনে দায়ের করা হয়েছে। সীমান্ত পেরিয়ে কাদের মাধ্যমে দুই বাংলাদেশি তরুণীকে ভারতে পাচার করা হয়েছে, তা খুঁজে বের করাই এখন তদন্তের মূল লক্ষ্য। বর্তমানে উদ্ধার হওয়া দুই তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা, মানসিক সহায়তা এবং নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযানে নেতৃত্ব দেন সহকারী পুলিশ ইন্সপেক্টর স্বপ্নিল পাটিল ও সিনিয়র ইন্সপেক্টর রাহুলকুমার খিলারে। তাঁরা স্বল্প সময়ের মধ্যেই দুটি উদ্ধার অভিযান সম্পন্ন করেন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই ঘটনাই শুধু নয়—গত কয়েক মাসে বুধওয়ার পেথ, কাত্রজ ও আম্বেগাঁও এলাকায় একই ধরনের পাচারের ঘটনা ধরা পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভুয়া চাকরির বিজ্ঞাপন, অননুমোদিত এজেন্ট এবং স্থানীয় দালালদের যোগসাজশে গড়ে উঠছে এই নেটওয়ার্ক।
পুলিশ এই আন্তসীমান্ত পাচারচক্রের শিকড় চিহ্নিত করতে চায় এবং ভবিষ্যতে যেন আর কেউ এমন প্রতারণার ফাঁদে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে চায়।
ভারতের পুনে শহরে পুলিশি তৎপরতায় উদ্ধার হলেন দুই বাংলাদেশি তরুণী। উদ্ধারের আগে এদের মধ্যে একজন সরাসরি পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন করে জানিয়েছিলেন, শহরের কাত্রজ এলাকায় তাঁকে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে। পরে দ্রুত পদক্ষেপে পুলিশ সেখানে পৌঁছায় এবং সেখান থেকে পাওয়া সূত্রে আম্বেগাঁও-পাঠার এলাকায় আরও এক বাংলাদেশি তরুণীকে উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া দুজনের বয়স যথাক্রমে ২২ ও ২০ বছর।
প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে—দুজনকেই ‘বিউটি পারলারের চাকরি’ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার করা হয়। পরে তাঁদের দেহ ব্যবসার চক্রে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় পুনের ধনকাওয়াদি এলাকার বাসিন্দা রজু পাটিলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আদালত তাঁকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে এবং এই পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহে তাঁর স্ত্রীকেও খোঁজা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মামলাটি ‘অবৈধ পাচার প্রতিরোধ আইন’ (পিআইটিএ) এর অধীনে দায়ের করা হয়েছে। সীমান্ত পেরিয়ে কাদের মাধ্যমে দুই বাংলাদেশি তরুণীকে ভারতে পাচার করা হয়েছে, তা খুঁজে বের করাই এখন তদন্তের মূল লক্ষ্য। বর্তমানে উদ্ধার হওয়া দুই তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা, মানসিক সহায়তা এবং নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযানে নেতৃত্ব দেন সহকারী পুলিশ ইন্সপেক্টর স্বপ্নিল পাটিল ও সিনিয়র ইন্সপেক্টর রাহুলকুমার খিলারে। তাঁরা স্বল্প সময়ের মধ্যেই দুটি উদ্ধার অভিযান সম্পন্ন করেন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই ঘটনাই শুধু নয়—গত কয়েক মাসে বুধওয়ার পেথ, কাত্রজ ও আম্বেগাঁও এলাকায় একই ধরনের পাচারের ঘটনা ধরা পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভুয়া চাকরির বিজ্ঞাপন, অননুমোদিত এজেন্ট এবং স্থানীয় দালালদের যোগসাজশে গড়ে উঠছে এই নেটওয়ার্ক।
পুলিশ এই আন্তসীমান্ত পাচারচক্রের শিকড় চিহ্নিত করতে চায় এবং ভবিষ্যতে যেন আর কেউ এমন প্রতারণার ফাঁদে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে চায়।
ঘটনাটির নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গত রোববার এক বিবৃতিতে আটক পাদ্রিদের অবিলম্বে মুক্তির আহ্বান জানান।
৩ ঘণ্টা আগেএনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্দীপ কুমার সুইসাইড নোটে অভিযোগ করেন, পুরন কুমার ছিলেন ‘দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা’। তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন। কারণ, তিনি তাঁর দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ পেয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছিলেন।
৩৩ মিনিট আগেভারতের রাজধানীতে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সফর ঘিরে শুরু হয়েছে বিস্তর বিতর্ক। কারণ একদিকে এই সফরকে বলা হচ্ছে ‘কূটনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন’, অন্যদিকে দেশের বিশিষ্টজনদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন—বিশ্বের সবচেয়ে নারীবিদ্বেষী গোষ্ঠীর প্রতিনিধিকে এত উষ্ণ অভ্যর্থনা কেন দেওয়া হলো।
১ ঘণ্টা আগেভারতে অবসরপ্রাপ্ত এক আইপিএস অফিসারের বিরুদ্ধে ৪১ বছর পুরোনো একটি মামলায় জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। সাবেক কুলদীপ শর্মা ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বিশেষত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কট্টর সমালোচক। ফলে এই আইনি পদক্ষেপ নিয়ে তু
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিসের (আইপিএস) কর্মকর্তা ওয়াই পুরন কুমারের আত্মহত্যার ঘটনা নতুন দিকে মোড় নিয়েছে। এ ঘটনা তদন্তে নিয়োজিত পুলিশ কর্মকর্তাও আত্মহত্যা করেছেন।
গত রোববার হরিয়ানার রোহতক শহরের সাইবার সেলে কর্মরত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সন্দীপ কুমার সরকারি অস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন। মৃত্যুর আগে একটি ভিডিও বার্তা এবং তিন পাতার সুইসাইড নোট রেখে যান তিনি।
আজ মঙ্গলবার এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্দীপ কুমার সুইসাইড নোটে অভিযোগ করেন, পুরন কুমার ছিলেন ‘দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা’। তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন। কারণ, তিনি তাঁর দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ পেয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছিলেন।
সন্দীপ আরও অভিযোগ করেন, ওই আইপিএস কর্মকর্তা জাতিগত বৈষম্যের ইস্যু ব্যবহার করে পুরো ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন।
সুইসাইড নোটে সন্দীপ উল্লেখ করেন, দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর পুরন কুমারকে বদলি করা হয়। পুরান কুমারের দেহরক্ষীকে একটি মদের দোকানের ঠিকাদারের কাছ থেকে আড়াই লাখ রুপি ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরেছিলেন সন্দীপ কুমার। ওই ঠিকাদারকে এক গ্যাংস্টার হুমকি দেওয়ায় তিনি পুরান কুমারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। যখন ঘুষের অভিযোগগুলো সামনে আসে, তখন আইপিএস কর্মকর্তা বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বা অন্য দিকে ঘোরাতে এটিকে জাতিগত ইস্যু হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেন এবং এরপরই তিনি আত্মহত্যা করেন।
মৃত্যুর আগে ভিডিও বার্তায় সন্দীপ কুমার বলেন, ‘পুরন কুমার রোহতক রেঞ্জে যোগ দেওয়ার পর সৎ কর্মকর্তাদের বদলে দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের বসাতে শুরু করেন। তাঁরা ফাইল আটকে রাখতেন, আবেদনকারীদের ডেকে অর্থ চাইতেন এবং তাঁদের মানসিক নির্যাতন করতেন। নারী পুলিশ সদস্যদের বদলির বিনিময়ে শারীরিক নির্যাতন করা হতো।’
সন্দীপ বলেন, ‘পুরন কুমারের দুর্নীতির শেকড় অনেক গভীরে। অভিযোগ ওঠার পরই তিনি ভয় পেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তাঁর সম্পদের তদন্ত হওয়া উচিত। এটি কোনো জাতিগত বিষয় নয়—এটি সত্যের প্রশ্ন। তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত ছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘আমি সত্যের জন্য নিজের জীবন দিচ্ছি। সততার পাশে দাঁড়াতে পেরে আমি গর্বিত। এই আত্মত্যাগ দেশকে জাগিয়ে তুলবে। আমার পরিবারের সদস্যরাও স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন।’
ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিসের (আইপিএস) কর্মকর্তা ওয়াই পুরন কুমারের আত্মহত্যার ঘটনা নতুন দিকে মোড় নিয়েছে। এ ঘটনা তদন্তে নিয়োজিত পুলিশ কর্মকর্তাও আত্মহত্যা করেছেন।
গত রোববার হরিয়ানার রোহতক শহরের সাইবার সেলে কর্মরত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সন্দীপ কুমার সরকারি অস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন। মৃত্যুর আগে একটি ভিডিও বার্তা এবং তিন পাতার সুইসাইড নোট রেখে যান তিনি।
আজ মঙ্গলবার এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্দীপ কুমার সুইসাইড নোটে অভিযোগ করেন, পুরন কুমার ছিলেন ‘দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা’। তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন। কারণ, তিনি তাঁর দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ পেয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছিলেন।
সন্দীপ আরও অভিযোগ করেন, ওই আইপিএস কর্মকর্তা জাতিগত বৈষম্যের ইস্যু ব্যবহার করে পুরো ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন।
সুইসাইড নোটে সন্দীপ উল্লেখ করেন, দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর পুরন কুমারকে বদলি করা হয়। পুরান কুমারের দেহরক্ষীকে একটি মদের দোকানের ঠিকাদারের কাছ থেকে আড়াই লাখ রুপি ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরেছিলেন সন্দীপ কুমার। ওই ঠিকাদারকে এক গ্যাংস্টার হুমকি দেওয়ায় তিনি পুরান কুমারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। যখন ঘুষের অভিযোগগুলো সামনে আসে, তখন আইপিএস কর্মকর্তা বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বা অন্য দিকে ঘোরাতে এটিকে জাতিগত ইস্যু হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেন এবং এরপরই তিনি আত্মহত্যা করেন।
মৃত্যুর আগে ভিডিও বার্তায় সন্দীপ কুমার বলেন, ‘পুরন কুমার রোহতক রেঞ্জে যোগ দেওয়ার পর সৎ কর্মকর্তাদের বদলে দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের বসাতে শুরু করেন। তাঁরা ফাইল আটকে রাখতেন, আবেদনকারীদের ডেকে অর্থ চাইতেন এবং তাঁদের মানসিক নির্যাতন করতেন। নারী পুলিশ সদস্যদের বদলির বিনিময়ে শারীরিক নির্যাতন করা হতো।’
সন্দীপ বলেন, ‘পুরন কুমারের দুর্নীতির শেকড় অনেক গভীরে। অভিযোগ ওঠার পরই তিনি ভয় পেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তাঁর সম্পদের তদন্ত হওয়া উচিত। এটি কোনো জাতিগত বিষয় নয়—এটি সত্যের প্রশ্ন। তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত ছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘আমি সত্যের জন্য নিজের জীবন দিচ্ছি। সততার পাশে দাঁড়াতে পেরে আমি গর্বিত। এই আত্মত্যাগ দেশকে জাগিয়ে তুলবে। আমার পরিবারের সদস্যরাও স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন।’
ঘটনাটির নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গত রোববার এক বিবৃতিতে আটক পাদ্রিদের অবিলম্বে মুক্তির আহ্বান জানান।
৩ ঘণ্টা আগেভারতের পুনে শহরে পুলিশি তৎপরতায় উদ্ধার হলেন দুই বাংলাদেশি তরুণী। উদ্ধারের আগে এদের মধ্যে একজন সরাসরি পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন করে জানিয়েছিলেন, শহরের কাত্রজ এলাকায় তাঁকে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে।
১২ মিনিট আগেভারতের রাজধানীতে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সফর ঘিরে শুরু হয়েছে বিস্তর বিতর্ক। কারণ একদিকে এই সফরকে বলা হচ্ছে ‘কূটনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন’, অন্যদিকে দেশের বিশিষ্টজনদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন—বিশ্বের সবচেয়ে নারীবিদ্বেষী গোষ্ঠীর প্রতিনিধিকে এত উষ্ণ অভ্যর্থনা কেন দেওয়া হলো।
১ ঘণ্টা আগেভারতে অবসরপ্রাপ্ত এক আইপিএস অফিসারের বিরুদ্ধে ৪১ বছর পুরোনো একটি মামলায় জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। সাবেক কুলদীপ শর্মা ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বিশেষত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কট্টর সমালোচক। ফলে এই আইনি পদক্ষেপ নিয়ে তু
২ ঘণ্টা আগেকলকাতা প্রতিনিধি
ভারতের রাজধানীতে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সফর ঘিরে শুরু হয়েছে বিস্তর বিতর্ক। কারণ একদিকে এই সফরকে বলা হচ্ছে ‘কূটনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন’, অন্যদিকে দেশের বিশিষ্টজনদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন—বিশ্বের সবচেয়ে নারীবিদ্বেষী গোষ্ঠীর প্রতিনিধিকে এত উষ্ণ অভ্যর্থনা কেন দেওয়া হলো। এর মধ্যে বিশিষ্ট চিত্রনাট্যকার ও গীতিকার জাভেদ আখতার তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন—‘আমি লজ্জায় মাথা নিচু করি, যখন দেখি তালেবান প্রতিনিধিকে এমন সম্মান দেওয়া হচ্ছে, যাদের বিরুদ্ধে এই দেশই একসময় সন্ত্রাসবাদ রোধে মুখর ছিল।’ তাঁর এই বক্তব্য এখন দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্র।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ ছাড়পত্রে ছয় দিনের ভারত সফরে পৌঁছান মুত্তাকি। বিশেষ ছাড়পত্র দেওয়ার কারণ হলো, ২০০১ সাল থেকে তাঁর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। এই নিষেধাজ্ঞার অধীনে তাঁর ভ্রমণ, সম্পদ ও অস্ত্র কেনাবেচায় কড়া বিধিনিষেধ ছিল। এবার প্রথমবারের মতো সেই নিষেধাজ্ঞা সাময়িকভাবে তুলে নেওয়া হয়েছে কূটনৈতিক পরামর্শ বিনিময়ের স্বার্থে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে—এই কূটনীতি কি নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়?
বিশ্লেষকদের মতে, আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা আনার জন্য ভারত বাস্তবতা মেনে চলেছে। সীমান্তপারের নিরাপত্তা, মধ্য এশিয়ার যোগাযোগ এবং আঞ্চলিক প্রভাব ধরে রাখতে কাবুলের বর্তমান প্রশাসনের সঙ্গে সংলাপ চালু রাখা জরুরি বলে মনে করছে নীতি–নির্ধারক মহল। তবু এই বাস্তবতার ভেতরেই উঠে আসছে মানবিকতার প্রশ্ন—যে শাসকগোষ্ঠী মেয়েদের শিক্ষা নিষিদ্ধ করেছে, সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করেছে, তাদের সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত মেলানো কতটা নৈতিক?
তালেবান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে মুত্তাকি দিল্লিতে বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, কূটনীতিক এবং ব্যবসায়ী মহলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তবে সবচেয়ে বিতর্কিত হয়েছে তাঁর প্রথম সংবাদ সম্মেলন, যেখানে কোনো নারী সাংবাদিকদের প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হয়নি। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিরোধী নেতারা একে ‘অগ্রহণযোগ্য’ এবং ‘নারীর প্রতি অবমাননা’ বলে মন্তব্য করেন। প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনও বিষয়টির নিন্দা জানায়।
পরিস্থিতি সামলাতে গত রোববার (১২ অক্টোবর) মুত্তাকি আরেকটি সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন, যেখানে কয়েকজন নারী সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘প্রথম বৈঠকটি হঠাৎ নির্ধারিত হয়েছিল, তালিকা তৈরি করতে ভুল হয়েছিল, এতে অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।’ কিন্তু সমালোচকেরা বলছেন, ‘যাদের দেশে মেয়েদের শিক্ষা নিষিদ্ধ, তাদের পক্ষ থেকে এই ব্যাখ্যা কেবল একটি ছদ্মবেশ।’
এদিকে তালেবানবিরোধী বুদ্ধিজীবী মহলে নতুন আরেকটি বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মুত্তাকিকে নিয়ে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ভূমিকাকেও তাঁরা প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে দারুল উলুম দেওবন্দ মুত্তাকিকে যে সম্মান দিয়েছে, তা জাভেদ আখতারের ভাষায় ‘লজ্জার বিষয়’। তিনি বলেছেন, “দেওবন্দের মতো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এই ধরনের ‘ইসলামিক হিরোকে’ স্বাগত জানানো মানবতা ও শিক্ষার প্রতি আঘাত।”
এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মুত্তাকির সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন বা অতিথি বাছাইয়ে জড়িত ছিল না। কিন্তু রাজনৈতিক মহল মনে করছে, সরকারের নীরবতা একপ্রকার সম্মতি নির্দেশ করছে। বিশেষ করে, যখন আন্তর্জাতিক মহল এখনো তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি, তখন এমন সফর ভারতের ‘নৈতিক অবস্থান’ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
ভারতের দক্ষিণ এশীয় বিশ্লেষকেরা বলছেন, কাবুলের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখলে ভূরাজনীতির সমীকরণে ভারত পিছিয়ে পড়বে। চীন ও পাকিস্তান ইতিমধ্যে কাবুলে সক্রিয়, তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় থাকতে এই সংলাপ কৌশলগতভাবে জরুরি। কিন্তু নাগরিক সমাজ মনে করছে, রাষ্ট্রীয় কৌশলের আড়ালে যদি মানবাধিকারবোধ উপেক্ষিত হয়, তবে সেই লাভ দীর্ঘস্থায়ী হবে না।
একদিকে তালেবানের নিষ্ঠুর শাসন, অন্যদিকে বাস্তবতার কূটনীতি—এই দ্বৈততার মধ্যেই ভারতীয় সমাজ এখন নৈতিক সংকটে পড়েছে। এ অবস্থায় ‘কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ—কৌশল না মূল্যবোধ? ’ এই প্রশ্নটাই এখন জনমনে সবচেয়ে বেশি প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।
ভারতের রাজধানীতে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সফর ঘিরে শুরু হয়েছে বিস্তর বিতর্ক। কারণ একদিকে এই সফরকে বলা হচ্ছে ‘কূটনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন’, অন্যদিকে দেশের বিশিষ্টজনদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন—বিশ্বের সবচেয়ে নারীবিদ্বেষী গোষ্ঠীর প্রতিনিধিকে এত উষ্ণ অভ্যর্থনা কেন দেওয়া হলো। এর মধ্যে বিশিষ্ট চিত্রনাট্যকার ও গীতিকার জাভেদ আখতার তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন—‘আমি লজ্জায় মাথা নিচু করি, যখন দেখি তালেবান প্রতিনিধিকে এমন সম্মান দেওয়া হচ্ছে, যাদের বিরুদ্ধে এই দেশই একসময় সন্ত্রাসবাদ রোধে মুখর ছিল।’ তাঁর এই বক্তব্য এখন দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্র।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ ছাড়পত্রে ছয় দিনের ভারত সফরে পৌঁছান মুত্তাকি। বিশেষ ছাড়পত্র দেওয়ার কারণ হলো, ২০০১ সাল থেকে তাঁর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। এই নিষেধাজ্ঞার অধীনে তাঁর ভ্রমণ, সম্পদ ও অস্ত্র কেনাবেচায় কড়া বিধিনিষেধ ছিল। এবার প্রথমবারের মতো সেই নিষেধাজ্ঞা সাময়িকভাবে তুলে নেওয়া হয়েছে কূটনৈতিক পরামর্শ বিনিময়ের স্বার্থে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে—এই কূটনীতি কি নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়?
বিশ্লেষকদের মতে, আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা আনার জন্য ভারত বাস্তবতা মেনে চলেছে। সীমান্তপারের নিরাপত্তা, মধ্য এশিয়ার যোগাযোগ এবং আঞ্চলিক প্রভাব ধরে রাখতে কাবুলের বর্তমান প্রশাসনের সঙ্গে সংলাপ চালু রাখা জরুরি বলে মনে করছে নীতি–নির্ধারক মহল। তবু এই বাস্তবতার ভেতরেই উঠে আসছে মানবিকতার প্রশ্ন—যে শাসকগোষ্ঠী মেয়েদের শিক্ষা নিষিদ্ধ করেছে, সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করেছে, তাদের সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত মেলানো কতটা নৈতিক?
তালেবান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে মুত্তাকি দিল্লিতে বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, কূটনীতিক এবং ব্যবসায়ী মহলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তবে সবচেয়ে বিতর্কিত হয়েছে তাঁর প্রথম সংবাদ সম্মেলন, যেখানে কোনো নারী সাংবাদিকদের প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হয়নি। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিরোধী নেতারা একে ‘অগ্রহণযোগ্য’ এবং ‘নারীর প্রতি অবমাননা’ বলে মন্তব্য করেন। প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনও বিষয়টির নিন্দা জানায়।
পরিস্থিতি সামলাতে গত রোববার (১২ অক্টোবর) মুত্তাকি আরেকটি সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন, যেখানে কয়েকজন নারী সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘প্রথম বৈঠকটি হঠাৎ নির্ধারিত হয়েছিল, তালিকা তৈরি করতে ভুল হয়েছিল, এতে অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।’ কিন্তু সমালোচকেরা বলছেন, ‘যাদের দেশে মেয়েদের শিক্ষা নিষিদ্ধ, তাদের পক্ষ থেকে এই ব্যাখ্যা কেবল একটি ছদ্মবেশ।’
এদিকে তালেবানবিরোধী বুদ্ধিজীবী মহলে নতুন আরেকটি বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মুত্তাকিকে নিয়ে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ভূমিকাকেও তাঁরা প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে দারুল উলুম দেওবন্দ মুত্তাকিকে যে সম্মান দিয়েছে, তা জাভেদ আখতারের ভাষায় ‘লজ্জার বিষয়’। তিনি বলেছেন, “দেওবন্দের মতো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এই ধরনের ‘ইসলামিক হিরোকে’ স্বাগত জানানো মানবতা ও শিক্ষার প্রতি আঘাত।”
এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মুত্তাকির সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন বা অতিথি বাছাইয়ে জড়িত ছিল না। কিন্তু রাজনৈতিক মহল মনে করছে, সরকারের নীরবতা একপ্রকার সম্মতি নির্দেশ করছে। বিশেষ করে, যখন আন্তর্জাতিক মহল এখনো তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি, তখন এমন সফর ভারতের ‘নৈতিক অবস্থান’ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
ভারতের দক্ষিণ এশীয় বিশ্লেষকেরা বলছেন, কাবুলের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখলে ভূরাজনীতির সমীকরণে ভারত পিছিয়ে পড়বে। চীন ও পাকিস্তান ইতিমধ্যে কাবুলে সক্রিয়, তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় থাকতে এই সংলাপ কৌশলগতভাবে জরুরি। কিন্তু নাগরিক সমাজ মনে করছে, রাষ্ট্রীয় কৌশলের আড়ালে যদি মানবাধিকারবোধ উপেক্ষিত হয়, তবে সেই লাভ দীর্ঘস্থায়ী হবে না।
একদিকে তালেবানের নিষ্ঠুর শাসন, অন্যদিকে বাস্তবতার কূটনীতি—এই দ্বৈততার মধ্যেই ভারতীয় সমাজ এখন নৈতিক সংকটে পড়েছে। এ অবস্থায় ‘কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ—কৌশল না মূল্যবোধ? ’ এই প্রশ্নটাই এখন জনমনে সবচেয়ে বেশি প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।
ঘটনাটির নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গত রোববার এক বিবৃতিতে আটক পাদ্রিদের অবিলম্বে মুক্তির আহ্বান জানান।
৩ ঘণ্টা আগেভারতের পুনে শহরে পুলিশি তৎপরতায় উদ্ধার হলেন দুই বাংলাদেশি তরুণী। উদ্ধারের আগে এদের মধ্যে একজন সরাসরি পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন করে জানিয়েছিলেন, শহরের কাত্রজ এলাকায় তাঁকে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে।
১২ মিনিট আগেএনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্দীপ কুমার সুইসাইড নোটে অভিযোগ করেন, পুরন কুমার ছিলেন ‘দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা’। তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন। কারণ, তিনি তাঁর দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ পেয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছিলেন।
৩৩ মিনিট আগেভারতে অবসরপ্রাপ্ত এক আইপিএস অফিসারের বিরুদ্ধে ৪১ বছর পুরোনো একটি মামলায় জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। সাবেক কুলদীপ শর্মা ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বিশেষত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কট্টর সমালোচক। ফলে এই আইনি পদক্ষেপ নিয়ে তু
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভারতে অবসরপ্রাপ্ত এক আইপিএস অফিসারের বিরুদ্ধে ৪১ বছর পুরোনো একটি মামলায় জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। সাবেক কুলদীপ শর্মা ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বিশেষত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কট্টর সমালোচক। ফলে এই আইনি পদক্ষেপ নিয়ে তুমুল রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে।
১৯৮৪ সালের একটি ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত এই মামলায় কুলদীপ শর্মাকে তৎকালীন কংগ্রেস নেতার ওপর নির্যাতনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
দ্য ওয়্যারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৮৪ সালের মে মাসে, গুজরাটের কচ্ছ জেলার নালিয়াতে একটি মামলার তদন্ত সংক্রান্ত হয়রানির অভিযোগ জানাতে স্থানীয় কিছু বাসিন্দা কুলদীপ শর্মার (তখন তিনি এসপি ছিলেন) কাছে যান। এই দলে ছিলেন কংগ্রেস নেতা হাতি আব্দুল্লাহ হাজি ইব্রাহিম (ইবলা শেঠ)। অভিযোগ রয়েছে, ইবলা শেঠকে ‘চোরাকারবারি’ আখ্যা দিয়ে কুলদীপ শর্মা তাঁকে পাশের ঘরে নিয়ে যান। সেখানে ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ গিরিশ বাসাবাদা ও আরও দুই পুলিশ অফিসার (যারা বর্তমানে মৃত) শেঠকে মারধর করেন।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে কচ্ছের একটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কুলদীপ শর্মা ও বাসাবাদাকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দোষী সাব্যস্ত করে। আদালত ভুলভাবে আটক, অপরাধমূলক ভয় দেখানো এবং আঘাত করার অভিযোগে তাঁদের তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়। ২৪ সেপ্টেম্বরের দায়রা আদালত নিম্ন আদালতের এই রায় বহাল রাখে।
দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর হাইকোর্টে আবেদনের জন্য আদালত ১৫ দিনের স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে হাইকোর্ট থেকে আর কোনো স্থগিতাদেশ না মেলায়, কচ্ছের দায়রা আদালত কুলদীপ শর্মা এবং অবসরপ্রাপ্ত ডিএসপি গিরিশ বাসাবাদার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
কুলদীপ শর্মার আইনজীবী জানিয়েছেন, তাঁরা দায়রা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে গুজরাট হাইকোর্টে আবেদন করেছেন এবং আত্মসমর্পণ থেকে অব্যাহতি, সাজার স্থগিতাদেশ এবং জামিনের আবেদন করেছেন।
১৯৭৬ ব্যাচের আইপিএস অফিসার কুলদীপ শর্মার বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপটি রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ তিনি বহুদিন ধরেই বিজেপি নেতৃত্বের কঠোর সমালোচক।
২০০৫ সালে ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকার ব্যাংক কেলেঙ্কারির ঘটনায় তৎকালীন গুজরাটের জুনিয়র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে আড়াই কোটি রুপি ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন কুলদীপ শর্মা। ওই সময় কুলদীপ শর্মা সিআইডির অতিরিক্ত ডিজি ছিলেন এবং এই অভিযোগের তদন্ত শুরু করার পরই তাঁকে পুলিশ বাহিনী থেকে সরিয়ে গুজরাট স্টেট শিপ অ্যান্ড উল ডেভলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টে বদলি করা হয়।
২০১৫ সালে অবসর নেওয়ার প্রায় এক বছর পর কুলদীপ শর্মা কংগ্রেস দলে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি এমন এক ৪১ বছর পুরোনো মামলায় ফেঁসেছেন, যেখানে তিনি কংগ্রেস নেতার ওপরই নির্যাতন করার অভিযোগে অভিযুক্ত।
কুলদীপ শর্মার ভাই, অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার প্রদীপ শর্মাও দীর্ঘদিন ধরে গুজরাট সরকারের সঙ্গে দ্বন্দ্বে লিপ্ত। প্রদীপ শর্মা ২০০১ সালের ভূমিকম্পের পর কচ্ছের কালেক্টর হিসেবে মোদির আস্থা অর্জন করলেও পরে সম্পর্ক খারাপ হয়। প্রদীপ শর্মা অভিযোগ করেন, মোদির নির্দেশে এক তরুণী স্থপতিকে আড়িপাতার বিষয়ে তিনি অবগত থাকায় তাঁকে হেনস্তা করা হচ্ছে। প্রদীপ শর্মা বর্তমানে অবৈধ জমি বরাদ্দ, ঘুষ ও অর্থ পাচার সংক্রান্ত ১৫টি ফৌজদারি মামলার সম্মুখীন এবং প্রায় ছয় বছর জেল খেটেছেন।
কুলদীপ শর্মা অতীতে সোহরাবুদ্দিন শেখ ভুয়া এনকাউন্টার মামলা এবং ১৯৮৪ সালের আরেকটি ভুয়ো এনকাউন্টার মামলাতেও অভিযুক্ত হয়েছিলেন। যদিও ২০১০ সালে গুজরাট হাইকোর্ট দ্বিতীয় মামলাটি বাতিল করে দেয়।
ভারতে অবসরপ্রাপ্ত এক আইপিএস অফিসারের বিরুদ্ধে ৪১ বছর পুরোনো একটি মামলায় জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। সাবেক কুলদীপ শর্মা ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বিশেষত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কট্টর সমালোচক। ফলে এই আইনি পদক্ষেপ নিয়ে তুমুল রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে।
১৯৮৪ সালের একটি ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত এই মামলায় কুলদীপ শর্মাকে তৎকালীন কংগ্রেস নেতার ওপর নির্যাতনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
দ্য ওয়্যারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৮৪ সালের মে মাসে, গুজরাটের কচ্ছ জেলার নালিয়াতে একটি মামলার তদন্ত সংক্রান্ত হয়রানির অভিযোগ জানাতে স্থানীয় কিছু বাসিন্দা কুলদীপ শর্মার (তখন তিনি এসপি ছিলেন) কাছে যান। এই দলে ছিলেন কংগ্রেস নেতা হাতি আব্দুল্লাহ হাজি ইব্রাহিম (ইবলা শেঠ)। অভিযোগ রয়েছে, ইবলা শেঠকে ‘চোরাকারবারি’ আখ্যা দিয়ে কুলদীপ শর্মা তাঁকে পাশের ঘরে নিয়ে যান। সেখানে ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ গিরিশ বাসাবাদা ও আরও দুই পুলিশ অফিসার (যারা বর্তমানে মৃত) শেঠকে মারধর করেন।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে কচ্ছের একটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কুলদীপ শর্মা ও বাসাবাদাকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দোষী সাব্যস্ত করে। আদালত ভুলভাবে আটক, অপরাধমূলক ভয় দেখানো এবং আঘাত করার অভিযোগে তাঁদের তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়। ২৪ সেপ্টেম্বরের দায়রা আদালত নিম্ন আদালতের এই রায় বহাল রাখে।
দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর হাইকোর্টে আবেদনের জন্য আদালত ১৫ দিনের স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে হাইকোর্ট থেকে আর কোনো স্থগিতাদেশ না মেলায়, কচ্ছের দায়রা আদালত কুলদীপ শর্মা এবং অবসরপ্রাপ্ত ডিএসপি গিরিশ বাসাবাদার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
কুলদীপ শর্মার আইনজীবী জানিয়েছেন, তাঁরা দায়রা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে গুজরাট হাইকোর্টে আবেদন করেছেন এবং আত্মসমর্পণ থেকে অব্যাহতি, সাজার স্থগিতাদেশ এবং জামিনের আবেদন করেছেন।
১৯৭৬ ব্যাচের আইপিএস অফিসার কুলদীপ শর্মার বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপটি রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ তিনি বহুদিন ধরেই বিজেপি নেতৃত্বের কঠোর সমালোচক।
২০০৫ সালে ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকার ব্যাংক কেলেঙ্কারির ঘটনায় তৎকালীন গুজরাটের জুনিয়র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে আড়াই কোটি রুপি ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন কুলদীপ শর্মা। ওই সময় কুলদীপ শর্মা সিআইডির অতিরিক্ত ডিজি ছিলেন এবং এই অভিযোগের তদন্ত শুরু করার পরই তাঁকে পুলিশ বাহিনী থেকে সরিয়ে গুজরাট স্টেট শিপ অ্যান্ড উল ডেভলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টে বদলি করা হয়।
২০১৫ সালে অবসর নেওয়ার প্রায় এক বছর পর কুলদীপ শর্মা কংগ্রেস দলে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি এমন এক ৪১ বছর পুরোনো মামলায় ফেঁসেছেন, যেখানে তিনি কংগ্রেস নেতার ওপরই নির্যাতন করার অভিযোগে অভিযুক্ত।
কুলদীপ শর্মার ভাই, অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার প্রদীপ শর্মাও দীর্ঘদিন ধরে গুজরাট সরকারের সঙ্গে দ্বন্দ্বে লিপ্ত। প্রদীপ শর্মা ২০০১ সালের ভূমিকম্পের পর কচ্ছের কালেক্টর হিসেবে মোদির আস্থা অর্জন করলেও পরে সম্পর্ক খারাপ হয়। প্রদীপ শর্মা অভিযোগ করেন, মোদির নির্দেশে এক তরুণী স্থপতিকে আড়িপাতার বিষয়ে তিনি অবগত থাকায় তাঁকে হেনস্তা করা হচ্ছে। প্রদীপ শর্মা বর্তমানে অবৈধ জমি বরাদ্দ, ঘুষ ও অর্থ পাচার সংক্রান্ত ১৫টি ফৌজদারি মামলার সম্মুখীন এবং প্রায় ছয় বছর জেল খেটেছেন।
কুলদীপ শর্মা অতীতে সোহরাবুদ্দিন শেখ ভুয়া এনকাউন্টার মামলা এবং ১৯৮৪ সালের আরেকটি ভুয়ো এনকাউন্টার মামলাতেও অভিযুক্ত হয়েছিলেন। যদিও ২০১০ সালে গুজরাট হাইকোর্ট দ্বিতীয় মামলাটি বাতিল করে দেয়।
ঘটনাটির নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গত রোববার এক বিবৃতিতে আটক পাদ্রিদের অবিলম্বে মুক্তির আহ্বান জানান।
৩ ঘণ্টা আগেভারতের পুনে শহরে পুলিশি তৎপরতায় উদ্ধার হলেন দুই বাংলাদেশি তরুণী। উদ্ধারের আগে এদের মধ্যে একজন সরাসরি পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন করে জানিয়েছিলেন, শহরের কাত্রজ এলাকায় তাঁকে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে।
১২ মিনিট আগেএনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্দীপ কুমার সুইসাইড নোটে অভিযোগ করেন, পুরন কুমার ছিলেন ‘দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা’। তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন। কারণ, তিনি তাঁর দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ পেয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছিলেন।
৩৩ মিনিট আগেভারতের রাজধানীতে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সফর ঘিরে শুরু হয়েছে বিস্তর বিতর্ক। কারণ একদিকে এই সফরকে বলা হচ্ছে ‘কূটনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন’, অন্যদিকে দেশের বিশিষ্টজনদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন—বিশ্বের সবচেয়ে নারীবিদ্বেষী গোষ্ঠীর প্রতিনিধিকে এত উষ্ণ অভ্যর্থনা কেন দেওয়া হলো।
১ ঘণ্টা আগে