
জাপানের ক্ষমতাসীন দলের সবচেয়ে শক্তিশালী উপদলের রাজনৈতিক তহবিল সংগ্রহে লোপাটের প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন মন্ত্রিসভার চার মন্ত্রী। দলীয় দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা আস্থা সংকটে জর্জরিত থাকার সময়েই পদত্যাগের এ ঘটনা ঘটল।
পদত্যাগকারীদের মধ্যে জাপানের মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিরোকাজু মাৎসুনোও রয়েছেন। জাপানের শাসনতন্ত্রে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পদটিকে পূর্ণ মন্ত্রী এবং সরকারের প্রধান মুখপাত্রের মর্যাদা দেওয়া হয়। এর বাইরেও হিরোকাজু মাৎসুনো জাপানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার ‘ডান হাত’ নামে পরিচিত ছিলেন।
পদত্যাগকারী আর তিন মন্ত্রী হলেন অর্থ ও শিল্পমন্ত্রী ইয়াসুতোশি নিশিমুরা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জুনজি সুজুকি এবং কৃষিমন্ত্রী ইচিরো মিয়াশিতা।
অর্থ লোপাটের ঘটনা তদন্তে কৌঁসুলিরা দলীয় কার্যালয়গুলোয় তল্লাশি চালানো এবং ক্ষমতাসীন দলের আইনপ্রণেতাদের জেরা করার উদ্যোগ নিচ্ছেন—এমন খবরের মধ্যে চার মন্ত্রী পদত্যাগ করলেন।
আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়ে হিরোকাজু মাৎসুনো জানিয়েছেন, শিগগিরই মন্ত্রিসভার আরও ৫ জন জ্যেষ্ঠ উপমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা মিচিকো উয়েনোও দায়িত্ব ছাড়ছেন।
এই মন্ত্রীরা ১০০ সদস্যের শক্তিশালী আবে উপদলের সদস্য। এই উপদলের নেতৃত্ব একসময় দিতেন হত্যাকাণ্ডের শিকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিতে (এলডিপি) এই আবে উপদলের এমপি’র সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি।
চার মন্ত্রীর পাশাপাশি এই উপদল থেকে পাঁচজন ঊর্ধ্বতন উপমন্ত্রী ও একজন সংসদীয় উপমন্ত্রীও পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
অভিযোগ আছে, আবে উপদলের সদস্যরা গত পাঁচ বছরে তহবিল সংগ্রহের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সংগৃহীত ৫০ কোটিরও (প্রায় ৩৪ লাখ) বেশি ইয়েনের হিসাব দিতে পারেননি; অর্থাৎ, রাজনৈতিক তহবিল সংক্রান্ত প্রতিবেদনে তারা আয় হিসাবে এই অর্থের উল্লেখ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
কৌঁসুলিরা এ অভিযোগ তদন্ত করে দেখছেন। প্রধানমন্ত্রী কিশিদার উপদলও এতে জড়িত কি না তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে গণমাধ্যমের খবরে। পাশাপাশি দুর্নীতির তদন্তও করছেন কৌঁসুলিরা।
জাপানে তহবিল সংগ্রহের জন্য অনুষ্ঠান করা বৈধ। দলের তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানের জন্য টিকিট বিক্রির যে কোটা থাকে তা আবে উপদলের সদস্যরা অতিক্রম করেছিলেন। তবে সেটিও কোনও অপরাধ নয়। কিন্তু সংগ্রীহিত অর্থের অঙ্ক সরকারি বিবৃতিতে উল্লেখ না করাটা রাজনৈতিক তহবিল আইনের লঙ্ঘন।
ক্ষমতাসীন দল এলডিপি’র এক আইনপ্রণেতার কার্যালয়ে কাজ করতেন এমন এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘টিকিট বিক্রির ব্যাপারে আপনি আত্মবিশ্বাসী হলে আপনার যেটুকু টিকিট বিক্রির সীমা বেঁধে দেওয়া আছে, তার চেয়েও বেশি আপনি বিক্রি করতে পারেন। আর সেটা থেকে সংগ্রীহিত অর্থ আপনার আয় হিসাবেই গণ্য হবে...সহজ হিসাব।’
এই অতিরিক্ত রাজস্বেরই রেকর্ড রাখা হয়নি, বরং এ অর্থ চলে গেছে স্লাশ ফান্ডে। এলডিপিতে ইতোপূর্বে কিশিদার নেতৃত্বাধীন একটি উপদলসহ অন্যান্য উপদলগুলোও তহবিল সংগ্রহ থেকে আয়ের অর্থ কম দেখানোর অভিযোগের সম্মুখীন হয়েছে।
আগামী বছর সেপ্টেম্বরে এলডিপি’র নেতৃত্ব নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। আর ২০২৫ সালে হওয়ার কথা রয়েছে সাধারণ নির্বাচন।
কিন্তু জরিপে দেখা যাচ্ছে ২০১২ সালে জাপানে এলডিপি দল ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে এখনই দলটির জনসমর্থন সবচেয়ে নিম্নে অবস্থান করছে। প্রথমবারের মতো এলডিপি’র জনসমর্থন ৩০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে।
তা ছাড়া, এলডিপি ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত যারা প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তার মধ্যে কিশিদার অবস্থানই সবচেয়ে নাজুক।

জাপানের ক্ষমতাসীন দলের সবচেয়ে শক্তিশালী উপদলের রাজনৈতিক তহবিল সংগ্রহে লোপাটের প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন মন্ত্রিসভার চার মন্ত্রী। দলীয় দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা আস্থা সংকটে জর্জরিত থাকার সময়েই পদত্যাগের এ ঘটনা ঘটল।
পদত্যাগকারীদের মধ্যে জাপানের মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিরোকাজু মাৎসুনোও রয়েছেন। জাপানের শাসনতন্ত্রে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পদটিকে পূর্ণ মন্ত্রী এবং সরকারের প্রধান মুখপাত্রের মর্যাদা দেওয়া হয়। এর বাইরেও হিরোকাজু মাৎসুনো জাপানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার ‘ডান হাত’ নামে পরিচিত ছিলেন।
পদত্যাগকারী আর তিন মন্ত্রী হলেন অর্থ ও শিল্পমন্ত্রী ইয়াসুতোশি নিশিমুরা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জুনজি সুজুকি এবং কৃষিমন্ত্রী ইচিরো মিয়াশিতা।
অর্থ লোপাটের ঘটনা তদন্তে কৌঁসুলিরা দলীয় কার্যালয়গুলোয় তল্লাশি চালানো এবং ক্ষমতাসীন দলের আইনপ্রণেতাদের জেরা করার উদ্যোগ নিচ্ছেন—এমন খবরের মধ্যে চার মন্ত্রী পদত্যাগ করলেন।
আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়ে হিরোকাজু মাৎসুনো জানিয়েছেন, শিগগিরই মন্ত্রিসভার আরও ৫ জন জ্যেষ্ঠ উপমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা মিচিকো উয়েনোও দায়িত্ব ছাড়ছেন।
এই মন্ত্রীরা ১০০ সদস্যের শক্তিশালী আবে উপদলের সদস্য। এই উপদলের নেতৃত্ব একসময় দিতেন হত্যাকাণ্ডের শিকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিতে (এলডিপি) এই আবে উপদলের এমপি’র সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি।
চার মন্ত্রীর পাশাপাশি এই উপদল থেকে পাঁচজন ঊর্ধ্বতন উপমন্ত্রী ও একজন সংসদীয় উপমন্ত্রীও পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
অভিযোগ আছে, আবে উপদলের সদস্যরা গত পাঁচ বছরে তহবিল সংগ্রহের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সংগৃহীত ৫০ কোটিরও (প্রায় ৩৪ লাখ) বেশি ইয়েনের হিসাব দিতে পারেননি; অর্থাৎ, রাজনৈতিক তহবিল সংক্রান্ত প্রতিবেদনে তারা আয় হিসাবে এই অর্থের উল্লেখ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
কৌঁসুলিরা এ অভিযোগ তদন্ত করে দেখছেন। প্রধানমন্ত্রী কিশিদার উপদলও এতে জড়িত কি না তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে গণমাধ্যমের খবরে। পাশাপাশি দুর্নীতির তদন্তও করছেন কৌঁসুলিরা।
জাপানে তহবিল সংগ্রহের জন্য অনুষ্ঠান করা বৈধ। দলের তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানের জন্য টিকিট বিক্রির যে কোটা থাকে তা আবে উপদলের সদস্যরা অতিক্রম করেছিলেন। তবে সেটিও কোনও অপরাধ নয়। কিন্তু সংগ্রীহিত অর্থের অঙ্ক সরকারি বিবৃতিতে উল্লেখ না করাটা রাজনৈতিক তহবিল আইনের লঙ্ঘন।
ক্ষমতাসীন দল এলডিপি’র এক আইনপ্রণেতার কার্যালয়ে কাজ করতেন এমন এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘টিকিট বিক্রির ব্যাপারে আপনি আত্মবিশ্বাসী হলে আপনার যেটুকু টিকিট বিক্রির সীমা বেঁধে দেওয়া আছে, তার চেয়েও বেশি আপনি বিক্রি করতে পারেন। আর সেটা থেকে সংগ্রীহিত অর্থ আপনার আয় হিসাবেই গণ্য হবে...সহজ হিসাব।’
এই অতিরিক্ত রাজস্বেরই রেকর্ড রাখা হয়নি, বরং এ অর্থ চলে গেছে স্লাশ ফান্ডে। এলডিপিতে ইতোপূর্বে কিশিদার নেতৃত্বাধীন একটি উপদলসহ অন্যান্য উপদলগুলোও তহবিল সংগ্রহ থেকে আয়ের অর্থ কম দেখানোর অভিযোগের সম্মুখীন হয়েছে।
আগামী বছর সেপ্টেম্বরে এলডিপি’র নেতৃত্ব নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। আর ২০২৫ সালে হওয়ার কথা রয়েছে সাধারণ নির্বাচন।
কিন্তু জরিপে দেখা যাচ্ছে ২০১২ সালে জাপানে এলডিপি দল ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে এখনই দলটির জনসমর্থন সবচেয়ে নিম্নে অবস্থান করছে। প্রথমবারের মতো এলডিপি’র জনসমর্থন ৩০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে।
তা ছাড়া, এলডিপি ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত যারা প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তার মধ্যে কিশিদার অবস্থানই সবচেয়ে নাজুক।

ফিলিস্তিনি অবরুদ্ধ ছিটমহল গাজায় ইসরায়েল গত ৭৩ দিনে অন্তত ৮৭৫ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। এই সময়ের মধ্যে দেশটি অন্তত ৪১১ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। গাজার সরকারি জনসংযোগ বিভাগের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে লেবানিজ সংবাদমাধ্যম আল–মায়েদিনের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
১৭ মিনিট আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, মার্কিন নৌবাহিনীর জন্য তিনি এক নতুন শ্রেণির যুদ্ধজাহাজ বা ‘ব্যাটলশিপ’ তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। অতি শক্তিশালী অস্ত্রে সজ্জিত এই জাহাজগুলোর নাম রাখা হবে তাঁর নিজের নামেই। মূলত মার্কিন নৌবাহিনীকে ঢেলে সাজানোর যে উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা তিনি নিয়েছেন...
৩৮ মিনিট আগে
উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার একাংশের নিয়ন্ত্রক জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির কাছে ৪০০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির চুক্তি চূড়ান্ত করেছে পাকিস্তান। চুক্তির আওতায় চীন ও পাকিস্তানের যৌথভাবে তৈরি যুদ্ধবিমান সরবরাহের কথা রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় রক্ষণশীল সংগঠন টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ আয়োজিত ‘আমেরিকাফেস্ট’ সম্মেলনে হঠাৎ উপস্থিত হয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের প্রশংসা করেছেন মার্কিন র্যাপ তারকা নিকি মিনাজ।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ফিলিস্তিনি অবরুদ্ধ ছিটমহল গাজায় ইসরায়েল গত ৭৩ দিনে অন্তত ৮৭৫ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। এই সময়ের মধ্যে দেশটি অন্তত ৪১১ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। গাজার সরকারি জনসংযোগ বিভাগের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে লেবানিজ সংবাদমাধ্যম আল–মায়েদিনের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
গাজা সরকারি জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে, গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী গত ৭৩ দিন ধরে ক্রমাগত এবং পরিকল্পিতভাবে তা লঙ্ঘন করে চলেছে। তাদের এই কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক মানবিক আইন এবং চুক্তির মানবিক প্রটোকলকে চরমভাবে অবজ্ঞা করছে।
সোমবার এক বিবৃতিতে দপ্তর জানায়, সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলো ‘ইসরায়েল’-এর পক্ষ থেকে মোট ৮৭৫টি লঙ্ঘনের ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। এর মধ্যে—সামরিক নাগরিকদের ওপর সরাসরি গুলিবর্ষণের ঘটনা ২৬৫টি, আবাসিক এলাকায় সামরিক যানের অনুপ্রবেশ ৪৯টি, ফিলিস্তিনি ও তাদের ঘরবাড়ি লক্ষ্য করে ৪২১টি গোলাবর্ষণ ও হামলার ঘটনা এবং বেসামরিক ভবন ও স্থাপনা ধ্বংস ও গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ১৫০টি।
বিবৃতি অনুযায়ী, এসব যুদ্ধপারাধ লঙ্ঘনের ঘটনায় ৪১১ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ হাজার ১১২ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া ৪৫ জনকে বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে, মানবিক সহায়তার বিষয়ে জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে—সহায়তা প্রবেশের ক্ষেত্রে ইসরায়েল প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। নির্ধারিত ৪৩ হাজার ৮০০টি ট্রাকের বদলে ওই সময়ে গাজায় মাত্র ১৭ হাজার ৮১৯টি সহায়তার ট্রাক প্রবেশ করতে পেরেছে, যা মোট প্রতিশ্রুতির মাত্র ৪১ শতাংশ।
জ্বালানি সরবরাহেও মারাত্মক কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। তফশিল অনুযায়ী ৩ হাজার ৬৫০টি ট্রাক আসার কথা থাকলেও এসেছে মাত্র ৩৯৪ টি, যা মাত্র ১০ শতাংশ। এর ফলে হাসপাতাল, বেকারি, পানি শোধনাগার এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা প্রায় অচল হয়ে পড়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
জনসংযোগ বিভাগ আরও সতর্ক করেছে, তাঁবু ও ভ্রাম্যমাণ ঘর (মোবাইল হোম) প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকায় আশ্রয় সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে। সাম্প্রতিক শীতকালীন ঝোড়ো হাওয়ায় এর আগে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ৪৬টি ঘর ধসে পড়েছে এবং ভেতরে আশ্রয় নেওয়া ১৫ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
এ ছাড়া, বাস্তুচ্যুতদের তাঁবুতে প্রচণ্ড ঠান্ডায় দুই শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ১ লাখ ২৫ হাজারেরও বেশি তাঁবু ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, যার ফলে প্রায় ১৫ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষ কোনো প্রকার সুরক্ষা ছাড়াই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বিশেষ করে সামনে যখন হাড়কাঁপানো ঠান্ডার সময় তথা ‘চল্লিশ দিনের’ সময় ঘনিয়ে আসছে, তখন পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে, এই চলমান লঙ্ঘনগুলো যুদ্ধবিরতি চুক্তির সঙ্গে এক বিপজ্জনক প্রতারণা। তারা ইসরায়েলকে অবদমন, অনাহার এবং জবরদস্তির নীতি চাপিয়ে দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছে। একটি দীর্ঘস্থায়ী শান্তি বজায় রাখার কথা থাকলেও এই মানবিক বিপর্যয়ের সময় যে পরিমাণ প্রাণহানি এবং পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে, তার জন্য ইসরায়েলকেই সম্পূর্ণ দায়ী করা হয়েছে।

ফিলিস্তিনি অবরুদ্ধ ছিটমহল গাজায় ইসরায়েল গত ৭৩ দিনে অন্তত ৮৭৫ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। এই সময়ের মধ্যে দেশটি অন্তত ৪১১ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। গাজার সরকারি জনসংযোগ বিভাগের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে লেবানিজ সংবাদমাধ্যম আল–মায়েদিনের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
গাজা সরকারি জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে, গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী গত ৭৩ দিন ধরে ক্রমাগত এবং পরিকল্পিতভাবে তা লঙ্ঘন করে চলেছে। তাদের এই কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক মানবিক আইন এবং চুক্তির মানবিক প্রটোকলকে চরমভাবে অবজ্ঞা করছে।
সোমবার এক বিবৃতিতে দপ্তর জানায়, সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলো ‘ইসরায়েল’-এর পক্ষ থেকে মোট ৮৭৫টি লঙ্ঘনের ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। এর মধ্যে—সামরিক নাগরিকদের ওপর সরাসরি গুলিবর্ষণের ঘটনা ২৬৫টি, আবাসিক এলাকায় সামরিক যানের অনুপ্রবেশ ৪৯টি, ফিলিস্তিনি ও তাদের ঘরবাড়ি লক্ষ্য করে ৪২১টি গোলাবর্ষণ ও হামলার ঘটনা এবং বেসামরিক ভবন ও স্থাপনা ধ্বংস ও গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ১৫০টি।
বিবৃতি অনুযায়ী, এসব যুদ্ধপারাধ লঙ্ঘনের ঘটনায় ৪১১ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ হাজার ১১২ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া ৪৫ জনকে বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে, মানবিক সহায়তার বিষয়ে জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে—সহায়তা প্রবেশের ক্ষেত্রে ইসরায়েল প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। নির্ধারিত ৪৩ হাজার ৮০০টি ট্রাকের বদলে ওই সময়ে গাজায় মাত্র ১৭ হাজার ৮১৯টি সহায়তার ট্রাক প্রবেশ করতে পেরেছে, যা মোট প্রতিশ্রুতির মাত্র ৪১ শতাংশ।
জ্বালানি সরবরাহেও মারাত্মক কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। তফশিল অনুযায়ী ৩ হাজার ৬৫০টি ট্রাক আসার কথা থাকলেও এসেছে মাত্র ৩৯৪ টি, যা মাত্র ১০ শতাংশ। এর ফলে হাসপাতাল, বেকারি, পানি শোধনাগার এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা প্রায় অচল হয়ে পড়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
জনসংযোগ বিভাগ আরও সতর্ক করেছে, তাঁবু ও ভ্রাম্যমাণ ঘর (মোবাইল হোম) প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকায় আশ্রয় সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে। সাম্প্রতিক শীতকালীন ঝোড়ো হাওয়ায় এর আগে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ৪৬টি ঘর ধসে পড়েছে এবং ভেতরে আশ্রয় নেওয়া ১৫ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
এ ছাড়া, বাস্তুচ্যুতদের তাঁবুতে প্রচণ্ড ঠান্ডায় দুই শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ১ লাখ ২৫ হাজারেরও বেশি তাঁবু ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, যার ফলে প্রায় ১৫ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষ কোনো প্রকার সুরক্ষা ছাড়াই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বিশেষ করে সামনে যখন হাড়কাঁপানো ঠান্ডার সময় তথা ‘চল্লিশ দিনের’ সময় ঘনিয়ে আসছে, তখন পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে, এই চলমান লঙ্ঘনগুলো যুদ্ধবিরতি চুক্তির সঙ্গে এক বিপজ্জনক প্রতারণা। তারা ইসরায়েলকে অবদমন, অনাহার এবং জবরদস্তির নীতি চাপিয়ে দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছে। একটি দীর্ঘস্থায়ী শান্তি বজায় রাখার কথা থাকলেও এই মানবিক বিপর্যয়ের সময় যে পরিমাণ প্রাণহানি এবং পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে, তার জন্য ইসরায়েলকেই সম্পূর্ণ দায়ী করা হয়েছে।

জাপানের ক্ষমতাসীন দলের সবচেয়ে শক্তিশালী উপদলের রাজনৈতিক তহবিল সংগ্রহে লোপাটের প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন মন্ত্রিসভার চার মন্ত্রী। দলীয় দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা আস্থা সংকটে জর্জরিত থাকার সময়েই পদত্যাগের এ ঘটনা ঘটল।
১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, মার্কিন নৌবাহিনীর জন্য তিনি এক নতুন শ্রেণির যুদ্ধজাহাজ বা ‘ব্যাটলশিপ’ তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। অতি শক্তিশালী অস্ত্রে সজ্জিত এই জাহাজগুলোর নাম রাখা হবে তাঁর নিজের নামেই। মূলত মার্কিন নৌবাহিনীকে ঢেলে সাজানোর যে উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা তিনি নিয়েছেন...
৩৮ মিনিট আগে
উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার একাংশের নিয়ন্ত্রক জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির কাছে ৪০০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির চুক্তি চূড়ান্ত করেছে পাকিস্তান। চুক্তির আওতায় চীন ও পাকিস্তানের যৌথভাবে তৈরি যুদ্ধবিমান সরবরাহের কথা রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় রক্ষণশীল সংগঠন টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ আয়োজিত ‘আমেরিকাফেস্ট’ সম্মেলনে হঠাৎ উপস্থিত হয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের প্রশংসা করেছেন মার্কিন র্যাপ তারকা নিকি মিনাজ।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, মার্কিন নৌবাহিনীর জন্য তিনি এক নতুন শ্রেণির যুদ্ধজাহাজ বা ‘ব্যাটলশিপ’ তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। অতি শক্তিশালী অস্ত্রে সজ্জিত এই জাহাজগুলোর নাম রাখা হবে তাঁর নিজের নামেই। মূলত মার্কিন নৌবাহিনীকে ঢেলে সাজানোর যে উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা তিনি নিয়েছেন, তার নাম দিয়েছেন ‘গোল্ডেন ফ্লিট।’
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে বলা হয়েছে, ট্রাম্প ক্লাস ইউএসএস ডিফায়েন্ট—নামের এই বিশেষ যুদ্ধজাহাজগুলোর নির্মাণকাজ খুব দ্রুতই শুরু হতে যাচ্ছে। ট্রাম্প বুক ফুলিয়ে দাবি করেছেন, আগামী আড়াই বছরের মধ্যে এই রণতরিগুলো সাগরে দাপিয়ে বেড়ানোর জন্য পুরোপুরি তৈরি হয়ে যাবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই ঘোষণার পেছনে রয়েছে মার্কিন নৌবাহিনীকে এক বিশাল আকৃতি দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা। সেখানে যেমন থাকবে মনুষ্যচালিত বিশাল সব যুদ্ধজাহাজ, তেমনি থাকবে চালকহীন ছোট ছোট নৌযানও। এই বহরে যুক্ত হবে বড় আকারের ক্ষেপণাস্ত্রবাহী রণতরি এবং ছোট গতির নৌকা।
মার্কিন সরকারের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা বেশ কিছুদিন ধরে একটা সতর্কবার্তা দিয়ে আসছেন। তাঁদের দুশ্চিন্তা চীন। জাহাজ নির্মাণের সক্ষমতা এবং মোট উৎপাদনের হিসাবে আমেরিকা এখন চীনের চেয়ে বেশখানিকটা পিছিয়ে পড়েছে। ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো গলফ ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প যখন এই নতুন পরিকল্পনার কথা বলছিলেন, তখন তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং নৌবাহিনী সচিব জন ফেলান। সোমবারের সেই সভায় ট্রাম্প জানান, প্রাথমিকভাবে তিনি দুটি ব্যাটলশিপ তৈরির অনুমোদন দিয়েছেন। তবে তাঁর আসল লক্ষ্য হলো, এমন অন্তত ২৫টি জাহাজ নির্মাণ করা।
নিজের পরিকল্পনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘এই জাহাজগুলো হবে ইতিহাসের দ্রুততম এবং দীর্ঘতম। এযাবৎকালের পৃথিবীতে যত ব্যাটলশিপ তৈরি হয়েছে, তার চেয়ে অন্তত ১০০ গুণ বেশি শক্তিশালী হবে এগুলো।’ তিনি আরও জানান, এই দানবীয় জলযানগুলোতে মোতায়েন করা হবে হাইপারসনিক মিসাইল এবং এমন সব মারণাস্ত্র, যা এর আগে কেউ দেখেনি। ট্রাম্পের ভাষায় এগুলো হবে মার্কিন নৌবাহিনীর ‘ফ্ল্যাগশিপ’ বা প্রধান গর্ব।
বক্তব্যের সময় ট্রাম্পের দুই পাশে ঝোলানো ছিল বড় বড় পোস্টার, যেখানে সেই ‘ট্রাম্প ক্লাস’ জাহাজের কাল্পনিক সব ছবি আঁকা। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই জাহাজগুলো দেশের মাটিতেই তৈরি হবে। যার ফলে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নৌবাহিনী সচিব জন ফেলান একটি মজার তথ্য দিয়েছেন। তিনি জানান, ট্রাম্প নিজে থেকে তাঁর কাছে একটি ‘বিশাল ও সুন্দর’ ব্যাটলশিপ তৈরির আবদার করেছিলেন। সেই বহরে আরও থাকবে কয়েক ডজন সহায়ক ও পণ্যবাহী নৌযান।
১৯ ডিসেম্বর মার্কিন নৌবাহিনী আরও একগুচ্ছ নতুন নৌযানের ঘোষণা দিয়েছিল, যেগুলো তৈরি হবে কোস্ট গার্ডের লিজেন্ড-ক্লাস ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাটারের আদলে। নৌ অপারেশনপ্রধান ড্যারিল কডল এক ভিডিও বার্তায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, লোহিত সাগর থেকে শুরু করে ক্যারিবীয় অঞ্চল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের যে অপারেশন চলছে, তাতে আমাদের হাতে থাকা ছোট যুদ্ধজাহাজের সংখ্যা চাহিদার তুলনায় মাত্র এক-তৃতীয়াংশ। অর্থাৎ পানির নিচে বা ওপরে ছোট নৌযানের ঘাটতি এখন আর অস্বীকার করার উপায় নেই। ড্যারিল কডল মনে করেন, বড় যুদ্ধজাহাজগুলোকে বড় লড়াইয়ের জন্য বাঁচিয়ে রাখতে হলে ছোটখাটো মোকাবিলায় এই ধরনের গতির জাহাজগুলোর খুব প্রয়োজন।
তবে মুদ্রার উল্টো পিঠও আছে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ‘কনস্টেলেশন-ক্লাস ফ্রিগেট’ নামের একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বারবার কাজ পিছিয়ে যাওয়া আর খরচ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় ২০২৪ সালে সেটি বাতিল হয়ে যায়। দেখা গেছে, প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার খরচ করার পরও মাত্র দুটি জাহাজ পাওয়ার আশা ছিল। এদিকে সমুদ্রের দখল নিয়ে আমেরিকার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী চীন ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে। চলতি বছরে সারা বিশ্বের জাহাজ নির্মাণের যত অর্ডার এসেছে, তার ৬০ শতাংশের বেশি গেছে চীনের দখলে। চীনের নৌবাহিনী এখন সংখ্যার বিচারে বিশ্বের বৃহত্তম।
জানুয়ারিতে ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার পর থেকেই ট্রাম্প তাঁর দেশের জাহাজশিল্পকে টেনে তোলার কথা বলে আসছেন। গত মার্চে তিনি আক্ষেপ করে বলেছিলেন, ‘একসময় আমরা কত জাহাজ বানাতাম! এখন প্রায় বানাই না বললে চলে। কিন্তু আমরা আবার খুব দ্রুত জাহাজ বানানো শুরু করব। দেখবেন, এর প্রভাব হবে বিশাল।’ সেই ধারাবাহিকতায় অক্টোবরে ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাবের সঙ্গে ট্রাম্প একটি চুক্তি করেছেন। আমেরিকা ফিনল্যান্ডের নকশা করা ১১টি আইসব্রেকার বা বরফ কাটার জাহাজ কিনবে, যার সাতটিই তৈরি হবে আমেরিকার মাটিতে ফিনিশ কারিগরি জ্ঞান ব্যবহার করে।
ট্রাম্পের এই যুদ্ধজাহাজ তৈরির ঘোষণাটি এমন এক সময়ে এল, যখন ভেনেজুয়েলার সঙ্গে উত্তেজনা তুঙ্গে থাকায় ক্যারিবীয় সাগরে মার্কিন নৌ ও বিমান শক্তি বাড়ানো হয়েছে। গত সেপ্টেম্বর থেকে মাদক পাচারের সন্দেহে আমেরিকা বেশ কিছু নৌযানে আক্রমণ শুরু করেছে, যেখানে অন্তত ১০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সাংবাদিকদের সামনে ট্রাম্প দাবি করেন, এই কড়া পদক্ষেপের ফলে মাদক চোরাচালান বন্ধ হয়েছে এবং হাজার হাজার আমেরিকান নাগরিকের প্রাণ বেঁচেছে। যদিও অনেক বিশেষজ্ঞ এই হামলার আইনি ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের মতে, এই ধরনের সরাসরি আক্রমণ আন্তর্জাতিক যুদ্ধ আইনের পরিপন্থী হতে পারে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, মার্কিন নৌবাহিনীর জন্য তিনি এক নতুন শ্রেণির যুদ্ধজাহাজ বা ‘ব্যাটলশিপ’ তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। অতি শক্তিশালী অস্ত্রে সজ্জিত এই জাহাজগুলোর নাম রাখা হবে তাঁর নিজের নামেই। মূলত মার্কিন নৌবাহিনীকে ঢেলে সাজানোর যে উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা তিনি নিয়েছেন, তার নাম দিয়েছেন ‘গোল্ডেন ফ্লিট।’
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে বলা হয়েছে, ট্রাম্প ক্লাস ইউএসএস ডিফায়েন্ট—নামের এই বিশেষ যুদ্ধজাহাজগুলোর নির্মাণকাজ খুব দ্রুতই শুরু হতে যাচ্ছে। ট্রাম্প বুক ফুলিয়ে দাবি করেছেন, আগামী আড়াই বছরের মধ্যে এই রণতরিগুলো সাগরে দাপিয়ে বেড়ানোর জন্য পুরোপুরি তৈরি হয়ে যাবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই ঘোষণার পেছনে রয়েছে মার্কিন নৌবাহিনীকে এক বিশাল আকৃতি দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা। সেখানে যেমন থাকবে মনুষ্যচালিত বিশাল সব যুদ্ধজাহাজ, তেমনি থাকবে চালকহীন ছোট ছোট নৌযানও। এই বহরে যুক্ত হবে বড় আকারের ক্ষেপণাস্ত্রবাহী রণতরি এবং ছোট গতির নৌকা।
মার্কিন সরকারের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা বেশ কিছুদিন ধরে একটা সতর্কবার্তা দিয়ে আসছেন। তাঁদের দুশ্চিন্তা চীন। জাহাজ নির্মাণের সক্ষমতা এবং মোট উৎপাদনের হিসাবে আমেরিকা এখন চীনের চেয়ে বেশখানিকটা পিছিয়ে পড়েছে। ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো গলফ ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প যখন এই নতুন পরিকল্পনার কথা বলছিলেন, তখন তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং নৌবাহিনী সচিব জন ফেলান। সোমবারের সেই সভায় ট্রাম্প জানান, প্রাথমিকভাবে তিনি দুটি ব্যাটলশিপ তৈরির অনুমোদন দিয়েছেন। তবে তাঁর আসল লক্ষ্য হলো, এমন অন্তত ২৫টি জাহাজ নির্মাণ করা।
নিজের পরিকল্পনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘এই জাহাজগুলো হবে ইতিহাসের দ্রুততম এবং দীর্ঘতম। এযাবৎকালের পৃথিবীতে যত ব্যাটলশিপ তৈরি হয়েছে, তার চেয়ে অন্তত ১০০ গুণ বেশি শক্তিশালী হবে এগুলো।’ তিনি আরও জানান, এই দানবীয় জলযানগুলোতে মোতায়েন করা হবে হাইপারসনিক মিসাইল এবং এমন সব মারণাস্ত্র, যা এর আগে কেউ দেখেনি। ট্রাম্পের ভাষায় এগুলো হবে মার্কিন নৌবাহিনীর ‘ফ্ল্যাগশিপ’ বা প্রধান গর্ব।
বক্তব্যের সময় ট্রাম্পের দুই পাশে ঝোলানো ছিল বড় বড় পোস্টার, যেখানে সেই ‘ট্রাম্প ক্লাস’ জাহাজের কাল্পনিক সব ছবি আঁকা। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই জাহাজগুলো দেশের মাটিতেই তৈরি হবে। যার ফলে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নৌবাহিনী সচিব জন ফেলান একটি মজার তথ্য দিয়েছেন। তিনি জানান, ট্রাম্প নিজে থেকে তাঁর কাছে একটি ‘বিশাল ও সুন্দর’ ব্যাটলশিপ তৈরির আবদার করেছিলেন। সেই বহরে আরও থাকবে কয়েক ডজন সহায়ক ও পণ্যবাহী নৌযান।
১৯ ডিসেম্বর মার্কিন নৌবাহিনী আরও একগুচ্ছ নতুন নৌযানের ঘোষণা দিয়েছিল, যেগুলো তৈরি হবে কোস্ট গার্ডের লিজেন্ড-ক্লাস ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাটারের আদলে। নৌ অপারেশনপ্রধান ড্যারিল কডল এক ভিডিও বার্তায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, লোহিত সাগর থেকে শুরু করে ক্যারিবীয় অঞ্চল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের যে অপারেশন চলছে, তাতে আমাদের হাতে থাকা ছোট যুদ্ধজাহাজের সংখ্যা চাহিদার তুলনায় মাত্র এক-তৃতীয়াংশ। অর্থাৎ পানির নিচে বা ওপরে ছোট নৌযানের ঘাটতি এখন আর অস্বীকার করার উপায় নেই। ড্যারিল কডল মনে করেন, বড় যুদ্ধজাহাজগুলোকে বড় লড়াইয়ের জন্য বাঁচিয়ে রাখতে হলে ছোটখাটো মোকাবিলায় এই ধরনের গতির জাহাজগুলোর খুব প্রয়োজন।
তবে মুদ্রার উল্টো পিঠও আছে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ‘কনস্টেলেশন-ক্লাস ফ্রিগেট’ নামের একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বারবার কাজ পিছিয়ে যাওয়া আর খরচ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় ২০২৪ সালে সেটি বাতিল হয়ে যায়। দেখা গেছে, প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার খরচ করার পরও মাত্র দুটি জাহাজ পাওয়ার আশা ছিল। এদিকে সমুদ্রের দখল নিয়ে আমেরিকার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী চীন ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে। চলতি বছরে সারা বিশ্বের জাহাজ নির্মাণের যত অর্ডার এসেছে, তার ৬০ শতাংশের বেশি গেছে চীনের দখলে। চীনের নৌবাহিনী এখন সংখ্যার বিচারে বিশ্বের বৃহত্তম।
জানুয়ারিতে ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার পর থেকেই ট্রাম্প তাঁর দেশের জাহাজশিল্পকে টেনে তোলার কথা বলে আসছেন। গত মার্চে তিনি আক্ষেপ করে বলেছিলেন, ‘একসময় আমরা কত জাহাজ বানাতাম! এখন প্রায় বানাই না বললে চলে। কিন্তু আমরা আবার খুব দ্রুত জাহাজ বানানো শুরু করব। দেখবেন, এর প্রভাব হবে বিশাল।’ সেই ধারাবাহিকতায় অক্টোবরে ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাবের সঙ্গে ট্রাম্প একটি চুক্তি করেছেন। আমেরিকা ফিনল্যান্ডের নকশা করা ১১টি আইসব্রেকার বা বরফ কাটার জাহাজ কিনবে, যার সাতটিই তৈরি হবে আমেরিকার মাটিতে ফিনিশ কারিগরি জ্ঞান ব্যবহার করে।
ট্রাম্পের এই যুদ্ধজাহাজ তৈরির ঘোষণাটি এমন এক সময়ে এল, যখন ভেনেজুয়েলার সঙ্গে উত্তেজনা তুঙ্গে থাকায় ক্যারিবীয় সাগরে মার্কিন নৌ ও বিমান শক্তি বাড়ানো হয়েছে। গত সেপ্টেম্বর থেকে মাদক পাচারের সন্দেহে আমেরিকা বেশ কিছু নৌযানে আক্রমণ শুরু করেছে, যেখানে অন্তত ১০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সাংবাদিকদের সামনে ট্রাম্প দাবি করেন, এই কড়া পদক্ষেপের ফলে মাদক চোরাচালান বন্ধ হয়েছে এবং হাজার হাজার আমেরিকান নাগরিকের প্রাণ বেঁচেছে। যদিও অনেক বিশেষজ্ঞ এই হামলার আইনি ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের মতে, এই ধরনের সরাসরি আক্রমণ আন্তর্জাতিক যুদ্ধ আইনের পরিপন্থী হতে পারে।

জাপানের ক্ষমতাসীন দলের সবচেয়ে শক্তিশালী উপদলের রাজনৈতিক তহবিল সংগ্রহে লোপাটের প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন মন্ত্রিসভার চার মন্ত্রী। দলীয় দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা আস্থা সংকটে জর্জরিত থাকার সময়েই পদত্যাগের এ ঘটনা ঘটল।
১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
ফিলিস্তিনি অবরুদ্ধ ছিটমহল গাজায় ইসরায়েল গত ৭৩ দিনে অন্তত ৮৭৫ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। এই সময়ের মধ্যে দেশটি অন্তত ৪১১ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। গাজার সরকারি জনসংযোগ বিভাগের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে লেবানিজ সংবাদমাধ্যম আল–মায়েদিনের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
১৭ মিনিট আগে
উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার একাংশের নিয়ন্ত্রক জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির কাছে ৪০০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির চুক্তি চূড়ান্ত করেছে পাকিস্তান। চুক্তির আওতায় চীন ও পাকিস্তানের যৌথভাবে তৈরি যুদ্ধবিমান সরবরাহের কথা রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় রক্ষণশীল সংগঠন টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ আয়োজিত ‘আমেরিকাফেস্ট’ সম্মেলনে হঠাৎ উপস্থিত হয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের প্রশংসা করেছেন মার্কিন র্যাপ তারকা নিকি মিনাজ।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার একাংশের নিয়ন্ত্রক জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির কাছে ৪০০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির চুক্তি চূড়ান্ত করেছে পাকিস্তান। চুক্তির আওতায় চীন ও পাকিস্তানের যৌথভাবে তৈরি যুদ্ধবিমান সরবরাহের কথা রয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই।
এই চুক্তি তেলসমৃদ্ধ উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে সামরিক সক্ষমতার ভারসাম্যে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে। বর্তমানে লিবিয়া দ্বিখণ্ডিত। খলিফা হাফতার দেশটির পূর্বাঞ্চল শাসন করছেন, আর পশ্চিমে ত্রিপোলিতে রয়েছে জাতিসংঘ স্বীকৃত প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ দিবেইবাহর নেতৃত্বাধীন সরকার।
গত সপ্তাহে বেনগাজি সফরের সময় পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির বলেন, ‘আপনাদের সশস্ত্র বাহিনীকে যতটা সম্ভব শক্তিশালী করে গড়ে তুলুন। কারণ, এই বাহিনীই দেশের অস্তিত্ব নিশ্চিত করে।’ সেখানে হাফতারের ছেলে সাদ্দামের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। রয়টার্স জানিয়েছে, ওই বৈঠকেই অস্ত্র চুক্তির বিষয়টি চূড়ান্ত হয়।
লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে মুনির বলেন, ‘লিবিয়া সিংহদের দেশ।’ এ সময় তিনি লিবিয়ার প্রখ্যাত ইসলামি পণ্ডিত ওমর আল-মুখতারের প্রসঙ্গ টানেন। মুখতার ১৯২০-৩০-এর দশকে ইতালীয় দখলদারত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করে কিংবদন্তি হয়ে আছেন।
চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার আগে রয়টার্সের দেখা নথিপত্র অনুযায়ী, হাফতারের বাহিনী ১৬টি জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান কিনবে, যা পাকিস্তান ও চীন যৌথভাবে তৈরি করেছে। এর সঙ্গে ১২টি সুপার মাশাক প্রশিক্ষণ বিমানও থাকছে। এক পাকিস্তানি কর্মকর্তা জানান, এই চুক্তি আড়াই বছর মেয়াদি এবং এতে স্থল, জল ও আকাশপথের নানা সরঞ্জাম অন্তর্ভুক্ত। দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চুক্তির অঙ্ক ৪৬০ কোটি ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির চুক্তি।
বর্তমানে ত্রিপোলি বা হাফতার, কারও হাতেই শক্তিশালী কোনো বিমানবাহিনী নেই। এর আগে ২০১৯ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, মিসর ও রাশিয়ার সমর্থনে ত্রিপোলি দখলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন হাফতার। সে সময় তুরস্ক ড্রোন ও ভাড়াটে সৈন্য পাঠিয়ে ত্রিপোলি সরকারকে রক্ষা করে। সেই থেকে পশ্চিম লিবিয়ায় তুরস্কের হাজারো সৈন্য মোতায়েন রয়েছে।
২০১১ সালে ন্যাটো-সমর্থিত অভিযানে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকে লিবিয়া মূলত তুরস্ক ও উপসাগরীয় দেশগুলোর ছায়াযুদ্ধের ময়দানে পরিণত হয়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেই শত্রুতার রেখা কিছুটা ঝাপসা হয়ে এসেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব এখন ত্রিপোলির সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াচ্ছে। অন্যদিকে তুরস্কও হাফতারের ছেলে সাদ্দামের মাধ্যমে হাফতারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছে। পাকিস্তানের সঙ্গে সৌদি ও আমিরাতের ঘনিষ্ঠতা পুরোনো। হাফতারের সঙ্গে আমিরাতের সম্পর্ক সবচেয়ে গভীর হলেও সৌদি আরবও তাঁর পক্ষে লবিং করে থাকে।
তবে সুদানের আধা সামরিক বাহিনী আরএসএফকে সমর্থনের ইস্যুতে হাফতার পরিবারের সঙ্গে মিসরের সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, হাফতার আরএসএফকে অস্ত্র সরবরাহে সহায়তা করছেন। পাকিস্তানের এই অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত তাদের এক গুরুত্বপূর্ণ বন্ধুরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক জটিলতা তৈরি করতে পারে। উপসাগরীয় দেশগুলো এতে উদ্বিগ্ন না হলেও তুরস্ক বিষয়টি সহজভাবে না-ও নিতে পারে। কারণ, তুরস্ক ও পাকিস্তানের মধ্যে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা সম্পর্ক রয়েছে এবং কাশ্মীর ইস্যুতে আঙ্কারা সব সময় ইসলামাবাদকে সমর্থন দেয়।
অর্থনৈতিক সংকটে থাকা পাকিস্তান এখন তাদের সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানি বাড়িয়ে আয় বাড়ানোর চেষ্টা করছে। ভারত ও পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে তাদের অস্ত্রের সক্ষমতা প্রদর্শিত হওয়ার পর এই প্রচেষ্টা আরও জোরদার হয়েছে। ২০১১ সাল থেকে লিবিয়ায় জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বছরের পর বছর ধরে দেশটিতে অস্ত্রের প্রবাহ থেমে নেই। যদিও পাকিস্তান এখানে চীনা প্রযুক্তির অস্ত্র বিক্রি করছে, তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফেরার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও পাকিস্তানের সম্পর্কের যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে।
গত অক্টোবর মাসে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মিসর থেকে সরাসরি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। পাকিস্তানের প্রভাবশালী সেনাপ্রধান আসিম মুনির এ বছর ইতিমধ্যে দুবার ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং গাজা ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য তৃতীয়বার হোয়াইট হাউস সফরের কথা রয়েছে তাঁর।

উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার একাংশের নিয়ন্ত্রক জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির কাছে ৪০০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির চুক্তি চূড়ান্ত করেছে পাকিস্তান। চুক্তির আওতায় চীন ও পাকিস্তানের যৌথভাবে তৈরি যুদ্ধবিমান সরবরাহের কথা রয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই।
এই চুক্তি তেলসমৃদ্ধ উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে সামরিক সক্ষমতার ভারসাম্যে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে। বর্তমানে লিবিয়া দ্বিখণ্ডিত। খলিফা হাফতার দেশটির পূর্বাঞ্চল শাসন করছেন, আর পশ্চিমে ত্রিপোলিতে রয়েছে জাতিসংঘ স্বীকৃত প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ দিবেইবাহর নেতৃত্বাধীন সরকার।
গত সপ্তাহে বেনগাজি সফরের সময় পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির বলেন, ‘আপনাদের সশস্ত্র বাহিনীকে যতটা সম্ভব শক্তিশালী করে গড়ে তুলুন। কারণ, এই বাহিনীই দেশের অস্তিত্ব নিশ্চিত করে।’ সেখানে হাফতারের ছেলে সাদ্দামের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। রয়টার্স জানিয়েছে, ওই বৈঠকেই অস্ত্র চুক্তির বিষয়টি চূড়ান্ত হয়।
লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে মুনির বলেন, ‘লিবিয়া সিংহদের দেশ।’ এ সময় তিনি লিবিয়ার প্রখ্যাত ইসলামি পণ্ডিত ওমর আল-মুখতারের প্রসঙ্গ টানেন। মুখতার ১৯২০-৩০-এর দশকে ইতালীয় দখলদারত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করে কিংবদন্তি হয়ে আছেন।
চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার আগে রয়টার্সের দেখা নথিপত্র অনুযায়ী, হাফতারের বাহিনী ১৬টি জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান কিনবে, যা পাকিস্তান ও চীন যৌথভাবে তৈরি করেছে। এর সঙ্গে ১২টি সুপার মাশাক প্রশিক্ষণ বিমানও থাকছে। এক পাকিস্তানি কর্মকর্তা জানান, এই চুক্তি আড়াই বছর মেয়াদি এবং এতে স্থল, জল ও আকাশপথের নানা সরঞ্জাম অন্তর্ভুক্ত। দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চুক্তির অঙ্ক ৪৬০ কোটি ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির চুক্তি।
বর্তমানে ত্রিপোলি বা হাফতার, কারও হাতেই শক্তিশালী কোনো বিমানবাহিনী নেই। এর আগে ২০১৯ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, মিসর ও রাশিয়ার সমর্থনে ত্রিপোলি দখলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন হাফতার। সে সময় তুরস্ক ড্রোন ও ভাড়াটে সৈন্য পাঠিয়ে ত্রিপোলি সরকারকে রক্ষা করে। সেই থেকে পশ্চিম লিবিয়ায় তুরস্কের হাজারো সৈন্য মোতায়েন রয়েছে।
২০১১ সালে ন্যাটো-সমর্থিত অভিযানে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকে লিবিয়া মূলত তুরস্ক ও উপসাগরীয় দেশগুলোর ছায়াযুদ্ধের ময়দানে পরিণত হয়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেই শত্রুতার রেখা কিছুটা ঝাপসা হয়ে এসেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব এখন ত্রিপোলির সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াচ্ছে। অন্যদিকে তুরস্কও হাফতারের ছেলে সাদ্দামের মাধ্যমে হাফতারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছে। পাকিস্তানের সঙ্গে সৌদি ও আমিরাতের ঘনিষ্ঠতা পুরোনো। হাফতারের সঙ্গে আমিরাতের সম্পর্ক সবচেয়ে গভীর হলেও সৌদি আরবও তাঁর পক্ষে লবিং করে থাকে।
তবে সুদানের আধা সামরিক বাহিনী আরএসএফকে সমর্থনের ইস্যুতে হাফতার পরিবারের সঙ্গে মিসরের সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, হাফতার আরএসএফকে অস্ত্র সরবরাহে সহায়তা করছেন। পাকিস্তানের এই অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত তাদের এক গুরুত্বপূর্ণ বন্ধুরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক জটিলতা তৈরি করতে পারে। উপসাগরীয় দেশগুলো এতে উদ্বিগ্ন না হলেও তুরস্ক বিষয়টি সহজভাবে না-ও নিতে পারে। কারণ, তুরস্ক ও পাকিস্তানের মধ্যে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা সম্পর্ক রয়েছে এবং কাশ্মীর ইস্যুতে আঙ্কারা সব সময় ইসলামাবাদকে সমর্থন দেয়।
অর্থনৈতিক সংকটে থাকা পাকিস্তান এখন তাদের সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানি বাড়িয়ে আয় বাড়ানোর চেষ্টা করছে। ভারত ও পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে তাদের অস্ত্রের সক্ষমতা প্রদর্শিত হওয়ার পর এই প্রচেষ্টা আরও জোরদার হয়েছে। ২০১১ সাল থেকে লিবিয়ায় জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বছরের পর বছর ধরে দেশটিতে অস্ত্রের প্রবাহ থেমে নেই। যদিও পাকিস্তান এখানে চীনা প্রযুক্তির অস্ত্র বিক্রি করছে, তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফেরার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও পাকিস্তানের সম্পর্কের যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে।
গত অক্টোবর মাসে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মিসর থেকে সরাসরি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। পাকিস্তানের প্রভাবশালী সেনাপ্রধান আসিম মুনির এ বছর ইতিমধ্যে দুবার ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং গাজা ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য তৃতীয়বার হোয়াইট হাউস সফরের কথা রয়েছে তাঁর।

জাপানের ক্ষমতাসীন দলের সবচেয়ে শক্তিশালী উপদলের রাজনৈতিক তহবিল সংগ্রহে লোপাটের প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন মন্ত্রিসভার চার মন্ত্রী। দলীয় দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা আস্থা সংকটে জর্জরিত থাকার সময়েই পদত্যাগের এ ঘটনা ঘটল।
১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
ফিলিস্তিনি অবরুদ্ধ ছিটমহল গাজায় ইসরায়েল গত ৭৩ দিনে অন্তত ৮৭৫ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। এই সময়ের মধ্যে দেশটি অন্তত ৪১১ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। গাজার সরকারি জনসংযোগ বিভাগের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে লেবানিজ সংবাদমাধ্যম আল–মায়েদিনের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
১৭ মিনিট আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, মার্কিন নৌবাহিনীর জন্য তিনি এক নতুন শ্রেণির যুদ্ধজাহাজ বা ‘ব্যাটলশিপ’ তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। অতি শক্তিশালী অস্ত্রে সজ্জিত এই জাহাজগুলোর নাম রাখা হবে তাঁর নিজের নামেই। মূলত মার্কিন নৌবাহিনীকে ঢেলে সাজানোর যে উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা তিনি নিয়েছেন...
৩৮ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় রক্ষণশীল সংগঠন টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ আয়োজিত ‘আমেরিকাফেস্ট’ সম্মেলনে হঠাৎ উপস্থিত হয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের প্রশংসা করেছেন মার্কিন র্যাপ তারকা নিকি মিনাজ।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় রক্ষণশীল সংগঠন টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ আয়োজিত ‘আমেরিকাফেস্ট’ সম্মেলনে হঠাৎ উপস্থিত হয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের প্রশংসা করেছেন মার্কিন র্যাপ তারকা নিকি মিনাজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে তিনি তরুণ পুরুষদের জন্য ট্রাম্প ও ভ্যান্সকে ‘রোল মডেল’ হিসেবে উল্লেখ করেন। মিনাজের এই মন্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ চমক সৃষ্টি করেছে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ‘ফরচুন’ জানিয়েছে, এই সম্মেলনটি প্রয়াত রক্ষণশীল কর্মী চার্লি কার্কের স্মরণে আয়োজন করা হয়। মঞ্চে নিকি মিনাজের সাক্ষাৎকার নেন চার্লি কার্কের স্ত্রী ও বর্তমানে টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ-এর নেতৃত্বে থাকা অ্যারিকা কার্ক। আলোচনায় ট্রাম্পের প্রতি নতুন সমর্থনের কথা জানান মিনাজ—যদিও অতীতে তিনি ট্রাম্পের কঠোর সমালোচক ছিলেন। পাশাপাশি তিনি নাইজেরিয়ায় খ্রিষ্টানদের ওপর সহিংসতারও নিন্দা জানান।
মিনাজ ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাট গভর্নর গ্যাভিন নিউসমকে কটাক্ষ করে ট্রাম্পের দেওয়া ‘নিউ-স্কাম’ নামটি ব্যবহার করেন। বর্তমান প্রশাসনের প্রশংসা করে তিনি বলেন—বর্তমান প্রশাসনে হৃদয় ও আত্মা আছে এবং ট্রাম্প ও ভ্যান্স দুজনই এমন নেতা, যাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষ সহজে নিজেদের মিল খুঁজে পায়।
এদিকে মঞ্চে এক অস্বস্তিকর মুহূর্ত তৈরি হয়, যখন ভ্যান্সের রাজনৈতিক দক্ষতার প্রশংসা করতে গিয়ে মিনাজ তাঁকে ‘অ্যাসাসিন’ বলে ফেলেন। কথাটি বলার পরই তিনি থেমে যান এবং পরিস্থিতি কিছুটা বিব্রতকর হয়ে ওঠে। চার্লি কার্ক হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ায় শব্দটি উপস্থিত অনেকের মনে আঘাত দেয়।
সম্প্রতি মিনাজ ট্রাম্পের ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ দেওয়া নাইজেরিয়ায় খ্রিষ্টান নির্যাতন সংক্রান্ত একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলেন, যেখানে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়। এ নিয়ে তিনি জাতিসংঘে মার্কিন মিশনে আয়োজিত এক প্যানেল আলোচনাতেও অংশ নেন।
নিজের পরিবর্তিত অবস্থান নিয়ে মিনাজ বলেন, ‘মত বদলানো দোষের নয়—মনের কথা বলাই এখন সবচেয়ে বড় অপরাধ হয়ে গেছে।’ বিনোদন জগৎ থেকে সমালোচনার প্রসঙ্গে জানান, তিনি এসব নিয়ে ভাবেন না। একসময় ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির তীব্র বিরোধিতা করা এই শিল্পী এখন প্রকাশ্যেই বলছেন, তাঁর মত বদলানো ঠিকই আছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় রক্ষণশীল সংগঠন টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ আয়োজিত ‘আমেরিকাফেস্ট’ সম্মেলনে হঠাৎ উপস্থিত হয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের প্রশংসা করেছেন মার্কিন র্যাপ তারকা নিকি মিনাজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে তিনি তরুণ পুরুষদের জন্য ট্রাম্প ও ভ্যান্সকে ‘রোল মডেল’ হিসেবে উল্লেখ করেন। মিনাজের এই মন্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ চমক সৃষ্টি করেছে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ‘ফরচুন’ জানিয়েছে, এই সম্মেলনটি প্রয়াত রক্ষণশীল কর্মী চার্লি কার্কের স্মরণে আয়োজন করা হয়। মঞ্চে নিকি মিনাজের সাক্ষাৎকার নেন চার্লি কার্কের স্ত্রী ও বর্তমানে টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ-এর নেতৃত্বে থাকা অ্যারিকা কার্ক। আলোচনায় ট্রাম্পের প্রতি নতুন সমর্থনের কথা জানান মিনাজ—যদিও অতীতে তিনি ট্রাম্পের কঠোর সমালোচক ছিলেন। পাশাপাশি তিনি নাইজেরিয়ায় খ্রিষ্টানদের ওপর সহিংসতারও নিন্দা জানান।
মিনাজ ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাট গভর্নর গ্যাভিন নিউসমকে কটাক্ষ করে ট্রাম্পের দেওয়া ‘নিউ-স্কাম’ নামটি ব্যবহার করেন। বর্তমান প্রশাসনের প্রশংসা করে তিনি বলেন—বর্তমান প্রশাসনে হৃদয় ও আত্মা আছে এবং ট্রাম্প ও ভ্যান্স দুজনই এমন নেতা, যাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষ সহজে নিজেদের মিল খুঁজে পায়।
এদিকে মঞ্চে এক অস্বস্তিকর মুহূর্ত তৈরি হয়, যখন ভ্যান্সের রাজনৈতিক দক্ষতার প্রশংসা করতে গিয়ে মিনাজ তাঁকে ‘অ্যাসাসিন’ বলে ফেলেন। কথাটি বলার পরই তিনি থেমে যান এবং পরিস্থিতি কিছুটা বিব্রতকর হয়ে ওঠে। চার্লি কার্ক হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ায় শব্দটি উপস্থিত অনেকের মনে আঘাত দেয়।
সম্প্রতি মিনাজ ট্রাম্পের ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ দেওয়া নাইজেরিয়ায় খ্রিষ্টান নির্যাতন সংক্রান্ত একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলেন, যেখানে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়। এ নিয়ে তিনি জাতিসংঘে মার্কিন মিশনে আয়োজিত এক প্যানেল আলোচনাতেও অংশ নেন।
নিজের পরিবর্তিত অবস্থান নিয়ে মিনাজ বলেন, ‘মত বদলানো দোষের নয়—মনের কথা বলাই এখন সবচেয়ে বড় অপরাধ হয়ে গেছে।’ বিনোদন জগৎ থেকে সমালোচনার প্রসঙ্গে জানান, তিনি এসব নিয়ে ভাবেন না। একসময় ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির তীব্র বিরোধিতা করা এই শিল্পী এখন প্রকাশ্যেই বলছেন, তাঁর মত বদলানো ঠিকই আছে।

জাপানের ক্ষমতাসীন দলের সবচেয়ে শক্তিশালী উপদলের রাজনৈতিক তহবিল সংগ্রহে লোপাটের প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন মন্ত্রিসভার চার মন্ত্রী। দলীয় দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা আস্থা সংকটে জর্জরিত থাকার সময়েই পদত্যাগের এ ঘটনা ঘটল।
১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
ফিলিস্তিনি অবরুদ্ধ ছিটমহল গাজায় ইসরায়েল গত ৭৩ দিনে অন্তত ৮৭৫ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। এই সময়ের মধ্যে দেশটি অন্তত ৪১১ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। গাজার সরকারি জনসংযোগ বিভাগের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে লেবানিজ সংবাদমাধ্যম আল–মায়েদিনের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
১৭ মিনিট আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, মার্কিন নৌবাহিনীর জন্য তিনি এক নতুন শ্রেণির যুদ্ধজাহাজ বা ‘ব্যাটলশিপ’ তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। অতি শক্তিশালী অস্ত্রে সজ্জিত এই জাহাজগুলোর নাম রাখা হবে তাঁর নিজের নামেই। মূলত মার্কিন নৌবাহিনীকে ঢেলে সাজানোর যে উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা তিনি নিয়েছেন...
৩৮ মিনিট আগে
উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার একাংশের নিয়ন্ত্রক জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির কাছে ৪০০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির চুক্তি চূড়ান্ত করেছে পাকিস্তান। চুক্তির আওতায় চীন ও পাকিস্তানের যৌথভাবে তৈরি যুদ্ধবিমান সরবরাহের কথা রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে