প্রায় দুই দশক ধরে হাক্কানি নেটওয়ার্কের বর্তমান প্রধান সিরাজুদ্দিন হাক্কানি ছিলেন সন্ত্রাসের প্রতীক। আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনী এবং আফগান বেসামরিকদের বিরুদ্ধে অসংখ্য প্রাণঘাতী হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। এক সময়ের মোস্ট ওয়ান্টেড এই সন্ত্রাসীর বর্তমান কার্যকলাপ নিয়ে বৃহস্পতিবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক টাইমস। এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাক্কানির কার্যকলাপে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটেছে। আফগানিস্তানের সবচেয়ে ভয়ংকর জঙ্গি থেকে তিনি এখন দেশটির তালেবান শাসনের মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বাধীন হাক্কানি নেটওয়ার্ক এখন আফগানিস্তানের তালেবান শাসনের অংশীদার। আফগান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন তিনি নিজেও।
নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ২০২১ সালে তালেবান বাহিনী আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ফিরে আসার পর একজন বাস্তববাদী কূটনীতিক হিসাবে আবির্ভূত হন হাক্কানি। বিশেষ করে শেখ হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার নেতৃত্বে কট্টরপন্থী তালেবান সরকারের মধ্যে থেকেও তিনি মধ্যপন্থী দৃষ্টিভঙ্গির পক্ষে কথা বলা শুরু করেছিলেন।
তালেবানের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা হিসেবে সিরাজুদ্দিন হাক্কানি মেয়েদের ষষ্ঠ শ্রেণির বেশি পড়ার অনুমতি এবং সরকারে নারীদের কাজ করার অনুমতি দেওয়ার মতো নীতিগুলোর ওপর জোর দিয়ে আসছেন। পাশাপাশি তিনি ইউরোপ, রাশিয়া এবং চীন সহ বিভিন্ন জাতির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে তিনি তালেবানের মধ্যে থাকা চরমপন্থী দলগুলোর প্রভাব কমানোরও চেষ্টা করছেন।
কালিমাযুক্ত অতীত থাকলেও হাক্কানির বর্তমান কার্যকলাপকে আফগানিস্তানের একটি ইতিবাচক সম্পৃক্ততার সুযোগ হিসেবে দেখছেন পশ্চিমা কূটনীতিকেরা। তাঁরা যুক্তি দিচ্ছেন, হাক্কানিকে এই মুহূর্তে প্রত্যাখ্যান করলে অতীতের মতোই আরেকটি ভুল পদক্ষেপ হবে। তা ছাড়া যুদ্ধের দিনগুলোতে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টাও করেছিলেন। তিনি নিজেকে আমেরিকা-বিরোধী মতাদর্শী হিসেবে না রেখে বরং বিদেশি আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন।
এদিকে তালেবান শাসনের মধ্যে থেকে আফগানিস্তানে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সহজ বিষয় নয়। ফলে অভ্যন্তরীণভাবে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতারও মুখোমুখি হচ্ছেন হাক্কানি। তালেবান শাসনকে কিছুটা উদারপন্থী করতে গিয়ে তাঁর প্রচেষ্টা প্রায় সময়ই সংগঠনটির আমির শেখ হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার কট্টরপন্থী অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আখুন্দজাদা আফগান নারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা আরও জোরদার করেছেন। এ অবস্থায় হাক্কানির অনেক মিত্র আখুন্দজাদার ক্র্যাকডাউনে নীরব হয়ে গেছেন।
এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও আফগানিস্তানকে ইতিবাচক দিকে নিয়ে যেতে হাক্কানির প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তাঁর কূটনৈতিক কার্যকলাপও আন্তর্জাতিক মহলের নজর কেড়েছে। গত জুনেই তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। সামগ্রিকভাবে আফগানিস্তানের অনমনীয় শাসনব্যবস্থায় সম্ভাব্য পরিবর্তনের সিরাজুদ্দিন হাক্কানিকেই আশার ঝলক হিসেবে দেখছে এখন বাকি দুনিয়া।
প্রায় দুই দশক ধরে হাক্কানি নেটওয়ার্কের বর্তমান প্রধান সিরাজুদ্দিন হাক্কানি ছিলেন সন্ত্রাসের প্রতীক। আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনী এবং আফগান বেসামরিকদের বিরুদ্ধে অসংখ্য প্রাণঘাতী হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। এক সময়ের মোস্ট ওয়ান্টেড এই সন্ত্রাসীর বর্তমান কার্যকলাপ নিয়ে বৃহস্পতিবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক টাইমস। এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাক্কানির কার্যকলাপে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটেছে। আফগানিস্তানের সবচেয়ে ভয়ংকর জঙ্গি থেকে তিনি এখন দেশটির তালেবান শাসনের মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বাধীন হাক্কানি নেটওয়ার্ক এখন আফগানিস্তানের তালেবান শাসনের অংশীদার। আফগান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন তিনি নিজেও।
নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ২০২১ সালে তালেবান বাহিনী আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ফিরে আসার পর একজন বাস্তববাদী কূটনীতিক হিসাবে আবির্ভূত হন হাক্কানি। বিশেষ করে শেখ হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার নেতৃত্বে কট্টরপন্থী তালেবান সরকারের মধ্যে থেকেও তিনি মধ্যপন্থী দৃষ্টিভঙ্গির পক্ষে কথা বলা শুরু করেছিলেন।
তালেবানের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা হিসেবে সিরাজুদ্দিন হাক্কানি মেয়েদের ষষ্ঠ শ্রেণির বেশি পড়ার অনুমতি এবং সরকারে নারীদের কাজ করার অনুমতি দেওয়ার মতো নীতিগুলোর ওপর জোর দিয়ে আসছেন। পাশাপাশি তিনি ইউরোপ, রাশিয়া এবং চীন সহ বিভিন্ন জাতির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে তিনি তালেবানের মধ্যে থাকা চরমপন্থী দলগুলোর প্রভাব কমানোরও চেষ্টা করছেন।
কালিমাযুক্ত অতীত থাকলেও হাক্কানির বর্তমান কার্যকলাপকে আফগানিস্তানের একটি ইতিবাচক সম্পৃক্ততার সুযোগ হিসেবে দেখছেন পশ্চিমা কূটনীতিকেরা। তাঁরা যুক্তি দিচ্ছেন, হাক্কানিকে এই মুহূর্তে প্রত্যাখ্যান করলে অতীতের মতোই আরেকটি ভুল পদক্ষেপ হবে। তা ছাড়া যুদ্ধের দিনগুলোতে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টাও করেছিলেন। তিনি নিজেকে আমেরিকা-বিরোধী মতাদর্শী হিসেবে না রেখে বরং বিদেশি আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন।
এদিকে তালেবান শাসনের মধ্যে থেকে আফগানিস্তানে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সহজ বিষয় নয়। ফলে অভ্যন্তরীণভাবে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতারও মুখোমুখি হচ্ছেন হাক্কানি। তালেবান শাসনকে কিছুটা উদারপন্থী করতে গিয়ে তাঁর প্রচেষ্টা প্রায় সময়ই সংগঠনটির আমির শেখ হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার কট্টরপন্থী অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আখুন্দজাদা আফগান নারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা আরও জোরদার করেছেন। এ অবস্থায় হাক্কানির অনেক মিত্র আখুন্দজাদার ক্র্যাকডাউনে নীরব হয়ে গেছেন।
এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও আফগানিস্তানকে ইতিবাচক দিকে নিয়ে যেতে হাক্কানির প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তাঁর কূটনৈতিক কার্যকলাপও আন্তর্জাতিক মহলের নজর কেড়েছে। গত জুনেই তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। সামগ্রিকভাবে আফগানিস্তানের অনমনীয় শাসনব্যবস্থায় সম্ভাব্য পরিবর্তনের সিরাজুদ্দিন হাক্কানিকেই আশার ঝলক হিসেবে দেখছে এখন বাকি দুনিয়া।
পারস্য উপসাগরের উপকূলে ইরানের বুশেহর শহরে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যদি কোনো হামলার শিকার হয়, তবে তার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। শুধু ইরান নয়, পুরো উপসাগরীয় অঞ্চল পড়বে বিপদের মুখে।
৫ ঘণ্টা আগেবি-২ বিমানের সঙ্গে ছিল চারটি বোয়িং কেসি-৪৬ পেগাসাস ফুয়েল ট্যাংকার। এর মধ্যে দুটি ইতিমধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরের আকাশে বি-২ বোমারুতে জ্বালানি সরবরাহ করেছে। বাকি দুটি প্রায় ৭৫ কিলোমিটার পেছনে অবস্থান করছে।
৫ ঘণ্টা আগেসামরিক শক্তিতে বরাবরই নিজেকে অপরাজেয় হিসেবে জাহির করা ইসরায়েলকে সত্যিই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে ইরান। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলকে ইতিমধ্যেই ব্যতিব্যস্ত করার পর গতকাল শনিবার দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করে সফল ড্রোন হামলা চালায় ইরান। ইরানের দুটি ড্রোন ইসরায়েলের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে...
৫ ঘণ্টা আগেইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাত নবম দিনে গড়িয়েছে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলের পক্ষে সরাসরি ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে লোহিতসাগরে মার্কিন জাহাজগুলোতে হামলা চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। হুতি বিদ্রোহীদের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে
৬ ঘণ্টা আগে