প্রতিবছর অক্টোবরের শেষে ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ‘মৃত মানুষের আত্মার স্মরণে’ হ্যালোইন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলেও আয়োজন করা হয়েছিল উৎসবের। অংশ নিয়েছিল প্রায় লাখো মানুষ। সেই উৎসব নিমেষেই পরিণত হয় মৃত্যুপুরীতে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানা যায়, দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে শনিবার অনুষ্ঠিত হ্যালোইন উৎসবে পদদলিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে দেড় শতাধিক মানুষের। গুরুতর আহত আরও অনেকে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখনো নিখোঁজ বহু মানুষ।
মৃতদের অধিকাংশের বয়স বিশের কোঠায় বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ১৯ জন বিদেশিও। হুড়োহুড়ির মধ্যে হৃদ্যন্ত্র বিকল হয়ে, নিশ্বাস নিতে না পেরেই প্রাণ হারিয়েছেন অধিকাংশ।
বেঁচে ফেরাদের অনেকে জানান ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা। বেশি মানুষ সরু গলিতে জড়ো হওয়ায় একে অপরের সঙ্গে গাদাগাদি করে থাকায় একসময় আর নিশ্বাস নিতে পারছিলেন না বলে জানান তাঁরা।
ওই এলাকায় হাজার হাজার লোকের ভিড় জমে এবং ভিড়ে চাপা পড়া থেকে বাঁচতে বড় রাস্তায় বেরিয়ে এসেছিলেন অনেকে। তাঁদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছিল দুর্ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে।’ আরেকজন বলেন, মৃতদেহের তলায় চাপা পড়ে শ্বাস নিতে না পেরে মারা যান অনেকে।
ঘটনার সময় চিকিৎসাসহায়তা দিয়েছিলেন এমন একজন চিকিৎসক জানান, মৃতের সংখ্যা এত দ্রুত বাড়ছিল যে সেখানে সহায়তা দিতে আসা কর্মীরা সামাল দিতে পারছিলেন না।
স্থানীয় একটি টেলিভিশনকে ওই চিকিৎসক বলেন, ‘প্রথমে আমি রাস্তায় পড়ে থাকা দুজনকে প্রাথমিক সহায়তা দিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ সংখ্যা মারাত্মকভাবে বাড়তে লাগল। দুর্ঘটনার শিকার মুখগুলো ফ্যাকাশে, আমি তাদের হৃৎস্পন্দন পাচ্ছিলাম না, তাদের অনেকের নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এরই মধ্যে এ দুর্ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, উদ্ধারকারীরা সিপিআর (বুকে চাপ দেওয়া) দিয়ে বাঁচিয়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। নিথর দেহে মুখ দিয়ে শ্বাস দেওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছিল অনেকেরই। কেউ কেউ আবার একাধিক মরদেহের তলায় চাপা পড়ে যান।
এদিন শহরের জনপ্রিয় নৈশ বিনোদন এলাকা ইতেওনে হ্যালোইন উদ্যাপনের জন্য প্রায় এক লাখ লোক সমবেত হয়েছিল বলে জানা যায়। একজন দমকল কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই এলাকার উঁচু স্থান থেকে লোকেরা নিচে পড়ে গেলে একটি সরু গলিতে থাকা বিপুলসংখ্যক মানুষের মধ্যে হুড়োহুড়ির সৃষ্টি হয়। এ সময় পদদলিত ও দম বন্ধ হয়েই মারা যান অনেকে।
মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ দক্ষিণ কোরিয়া। ইতিমধ্যে জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, এটি সত্যিই দুঃখজনক। গত রাতে সিউলে যে ট্র্যাজিক ঘটনা ঘটেছে, তা হওয়ার কথা ছিল না। এই শোক কাটিয়ে ওঠা কঠিন।’
প্রতিবছর অক্টোবরের শেষে ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ‘মৃত মানুষের আত্মার স্মরণে’ হ্যালোইন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলেও আয়োজন করা হয়েছিল উৎসবের। অংশ নিয়েছিল প্রায় লাখো মানুষ। সেই উৎসব নিমেষেই পরিণত হয় মৃত্যুপুরীতে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানা যায়, দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে শনিবার অনুষ্ঠিত হ্যালোইন উৎসবে পদদলিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে দেড় শতাধিক মানুষের। গুরুতর আহত আরও অনেকে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখনো নিখোঁজ বহু মানুষ।
মৃতদের অধিকাংশের বয়স বিশের কোঠায় বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ১৯ জন বিদেশিও। হুড়োহুড়ির মধ্যে হৃদ্যন্ত্র বিকল হয়ে, নিশ্বাস নিতে না পেরেই প্রাণ হারিয়েছেন অধিকাংশ।
বেঁচে ফেরাদের অনেকে জানান ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা। বেশি মানুষ সরু গলিতে জড়ো হওয়ায় একে অপরের সঙ্গে গাদাগাদি করে থাকায় একসময় আর নিশ্বাস নিতে পারছিলেন না বলে জানান তাঁরা।
ওই এলাকায় হাজার হাজার লোকের ভিড় জমে এবং ভিড়ে চাপা পড়া থেকে বাঁচতে বড় রাস্তায় বেরিয়ে এসেছিলেন অনেকে। তাঁদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছিল দুর্ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে।’ আরেকজন বলেন, মৃতদেহের তলায় চাপা পড়ে শ্বাস নিতে না পেরে মারা যান অনেকে।
ঘটনার সময় চিকিৎসাসহায়তা দিয়েছিলেন এমন একজন চিকিৎসক জানান, মৃতের সংখ্যা এত দ্রুত বাড়ছিল যে সেখানে সহায়তা দিতে আসা কর্মীরা সামাল দিতে পারছিলেন না।
স্থানীয় একটি টেলিভিশনকে ওই চিকিৎসক বলেন, ‘প্রথমে আমি রাস্তায় পড়ে থাকা দুজনকে প্রাথমিক সহায়তা দিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ সংখ্যা মারাত্মকভাবে বাড়তে লাগল। দুর্ঘটনার শিকার মুখগুলো ফ্যাকাশে, আমি তাদের হৃৎস্পন্দন পাচ্ছিলাম না, তাদের অনেকের নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এরই মধ্যে এ দুর্ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, উদ্ধারকারীরা সিপিআর (বুকে চাপ দেওয়া) দিয়ে বাঁচিয়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। নিথর দেহে মুখ দিয়ে শ্বাস দেওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছিল অনেকেরই। কেউ কেউ আবার একাধিক মরদেহের তলায় চাপা পড়ে যান।
এদিন শহরের জনপ্রিয় নৈশ বিনোদন এলাকা ইতেওনে হ্যালোইন উদ্যাপনের জন্য প্রায় এক লাখ লোক সমবেত হয়েছিল বলে জানা যায়। একজন দমকল কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই এলাকার উঁচু স্থান থেকে লোকেরা নিচে পড়ে গেলে একটি সরু গলিতে থাকা বিপুলসংখ্যক মানুষের মধ্যে হুড়োহুড়ির সৃষ্টি হয়। এ সময় পদদলিত ও দম বন্ধ হয়েই মারা যান অনেকে।
মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ দক্ষিণ কোরিয়া। ইতিমধ্যে জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, এটি সত্যিই দুঃখজনক। গত রাতে সিউলে যে ট্র্যাজিক ঘটনা ঘটেছে, তা হওয়ার কথা ছিল না। এই শোক কাটিয়ে ওঠা কঠিন।’
শনিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রন্ধীর জয়সওয়াল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠককে ভারত স্বাগত জানাচ্ছে। শান্তির পথে তাঁদের নেতৃত্ব প্রশংসনীয়। তবে সমাধানের একমাত্র পথ হলো সংলাপ ও কূটনীতি। বিশ্ব চায় ইউক্রেন যুদ্ধ
৪০ মিনিট আগেতদন্তকারীরা জানিয়েছেন, পাকিস্তানি এজেন্টরা প্রথমে জ্যোতির সঙ্গে অনলাইনে ঘনিষ্ঠতা বাড়ায়। এভাবেই পাকিস্তান হাইকমিশনে কর্মরত এহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশ নামে এক কর্মকর্তার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়। এহসানের সঙ্গে অন্তত দুবার তিনি পাকিস্তানে গিয়েছিলেন।
২ ঘণ্টা আগেদেশভাগ কোনো একক নেতার কাজ ছিল না। তিনটি প্রধান শক্তি একত্রে কাজ করেছে—জিন্নাহ যিনি পাকিস্তানের দাবি তুলেছিলেন, কংগ্রেস যারা অবশেষে বিভাজন মেনে নিয়েছিল এবং লর্ড মাউন্টব্যাটেন যিনি তা বাস্তবায়ন করেছিলেন।
৩ ঘণ্টা আগেইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পে সহায়তা করছে চীন। এমনটাই দাবি করা হয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইয়েদিয়োথ আরোনাথের এক প্রতিবেদনে। আর, ইরান-চীনের এই যৌথ উদ্যোগের বিষয়ে উদ্বিগ্ন ইসরায়েল। যদিও ইরান বা চীনের তরফ থেকে এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য প্রকাশ করা হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগে