অনলাইন ডেস্ক
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার মহাকাশ সংস্থা গঠন করেছে। গত মাসে মিয়ানমার স্পেস এজেন্সি (এমএসএ) নামে এই সংস্থা গঠন করা হয়। এই সংস্থা তৈরিতে সহায়তা করছে রাশিয়া। জান্তা সরকারের প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং রাশিয়া সফরের ৩ মাস পর এই সংস্থা গঠন করা হলো।
থাইল্যান্ড থেকে পরিচালিত মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাস তিনেক আগে রাশিয়া সফরের সময় জান্তা সরকারের প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং মস্কোর সঙ্গে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন। এসব সমঝোতা স্মারকের মধ্যে অন্যতম ছিল এই মহাকাশ সংস্থা গঠনের বিষয়টি। এই সমঝোতার আওতায় রাশিয়ার সহায়তায় মিয়ানমার মহাকাশে শান্তিপূর্ণ কর্মকাণ্ড চালাবে।
মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সরকারি আদেশ অনুসারে, গত জুন মাসের ১ তারিখে এই মহাকাশ সংস্থা গঠন করা হয়। গত ৪ জুলাই এই সরকারি আদেশ প্রকাশিত হয়। এই মহাকাশ সংস্থার সরাসরি নিয়ন্ত্রণ থাকবে জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের কাছে।
জান্তা সরকারের গেজেট অনুযায়ী, মিন অং হ্লাইং নিজেই এই সংস্থায় নিয়োগপ্রাপ্ত বিশেষজ্ঞদের যাচাই ও অনুমোদন করবেন। সংস্থার কার্যপরিধির মধ্যে রয়েছে—সমঝোতা স্মারক, চুক্তি ও ট্রিটি স্বাক্ষর করা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা) (জাতিসংঘসহ) বিশ্ববিদ্যালয়, কোম্পানি ও ব্যক্তিদের সঙ্গে সহযোগিতা করা। তবে বর্তমানে কেবল রাশিয়াই এই সরকারের সঙ্গে মহাকাশ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে বলে জানা গেছে।
মহাকাশ প্রযুক্তি সহযোগিতা নিয়ে জান্তা সরকার ও মস্কোর মধ্যে আলোচনা শুরু হয় ২০২২ সালেই। সে বছর রাশিয়া সফরের সময় মিন অং হ্লাইং একটি কসমোড্রোম (মহাকাশযান উৎক্ষেপণকেন্দ্র) ঘুরে দেখেন।
চলতি বছরের মার্চে মিন অং হ্লাইংয়ের রাশিয়া সফর নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানান, রাশিয়ার সহায়তায় মিয়ানমারে একটি স্যাটেলাইট ডেটা গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। তিনি বলেন, মিন অং হ্লাইং সম্ভবত সামারা অঞ্চলের সফরে অনেক কিছু শিখেছেন। ওই অঞ্চলটি মহাকাশযান ও স্যাটেলাইট উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত এবং এটি মহাকাশ-সেবা কার্যক্রমের একটি কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
ওই সফরেই মিন অং হ্লাইং রুশ প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তাঁরা স্যাটেলাইট ও মহাকাশ প্রযুক্তি নিয়ে সহযোগিতার বিষয়টি আরও আলোচনা করেন। পর্যবেক্ষকদের মতে, এই নতুন সহযোগিতার ফলে জান্তা রাশিয়া থেকে স্যাটেলাইটভিত্তিক গোয়েন্দা সহায়তা পেতে পারে। রাশিয়া মিয়ানমারের প্রধান মিত্র ও অন্যতম অস্ত্র সরবরাহকারী।
মস্কোর কাছ থেকে পাওয়া অস্ত্র ও বিমানের যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে জান্তা সরকার বেসামরিক জনগণের ওপর নির্বিচার ও ইচ্ছাকৃতভাবে বিমান হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় লক্ষ্যবস্তু হয়েছে আবাসিক এলাকা, স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং উপাসনালয়।
জান্তা দাবি করেছে, সংস্থাটি গঠন করা হয়েছে শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে—আন্তর্জাতিকভাবে মহাকাশ গবেষণা ও ব্যবহারে সহযোগিতা করতে এবং জাতীয় নিরাপত্তা, কৃষি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে।
জান্তা সরকার বলেছে, এই সংস্থার দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে স্যাটেলাইট চিত্র সংরক্ষণ ও বিতরণ; আন্তর্জাতিক সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়, কোম্পানি ও ব্যক্তিদের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি স্বাক্ষর এবং সহযোগিতা করা; সরকার ও বেসরকারিভাবে মালিকানাধীন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ; প্রযুক্তিগত ব্যয়, যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, অবকাঠামো উন্নয়ন ও প্রশাসনিক খরচের জন্য বাজেট প্রস্তুত করা।
রাজনৈতিক বন্দীদের সহায়তা বিষয়ক সংগঠন এএপিপি জানিয়েছে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর থেকে জান্তা ও তাদের অনুগত বাহিনীর হাতে এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৯৬২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে আছেন রাজনৈতিক বিরোধী ও সাধারণ নাগরিকেরা।
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার মহাকাশ সংস্থা গঠন করেছে। গত মাসে মিয়ানমার স্পেস এজেন্সি (এমএসএ) নামে এই সংস্থা গঠন করা হয়। এই সংস্থা তৈরিতে সহায়তা করছে রাশিয়া। জান্তা সরকারের প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং রাশিয়া সফরের ৩ মাস পর এই সংস্থা গঠন করা হলো।
থাইল্যান্ড থেকে পরিচালিত মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাস তিনেক আগে রাশিয়া সফরের সময় জান্তা সরকারের প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং মস্কোর সঙ্গে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন। এসব সমঝোতা স্মারকের মধ্যে অন্যতম ছিল এই মহাকাশ সংস্থা গঠনের বিষয়টি। এই সমঝোতার আওতায় রাশিয়ার সহায়তায় মিয়ানমার মহাকাশে শান্তিপূর্ণ কর্মকাণ্ড চালাবে।
মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সরকারি আদেশ অনুসারে, গত জুন মাসের ১ তারিখে এই মহাকাশ সংস্থা গঠন করা হয়। গত ৪ জুলাই এই সরকারি আদেশ প্রকাশিত হয়। এই মহাকাশ সংস্থার সরাসরি নিয়ন্ত্রণ থাকবে জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের কাছে।
জান্তা সরকারের গেজেট অনুযায়ী, মিন অং হ্লাইং নিজেই এই সংস্থায় নিয়োগপ্রাপ্ত বিশেষজ্ঞদের যাচাই ও অনুমোদন করবেন। সংস্থার কার্যপরিধির মধ্যে রয়েছে—সমঝোতা স্মারক, চুক্তি ও ট্রিটি স্বাক্ষর করা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা) (জাতিসংঘসহ) বিশ্ববিদ্যালয়, কোম্পানি ও ব্যক্তিদের সঙ্গে সহযোগিতা করা। তবে বর্তমানে কেবল রাশিয়াই এই সরকারের সঙ্গে মহাকাশ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে বলে জানা গেছে।
মহাকাশ প্রযুক্তি সহযোগিতা নিয়ে জান্তা সরকার ও মস্কোর মধ্যে আলোচনা শুরু হয় ২০২২ সালেই। সে বছর রাশিয়া সফরের সময় মিন অং হ্লাইং একটি কসমোড্রোম (মহাকাশযান উৎক্ষেপণকেন্দ্র) ঘুরে দেখেন।
চলতি বছরের মার্চে মিন অং হ্লাইংয়ের রাশিয়া সফর নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানান, রাশিয়ার সহায়তায় মিয়ানমারে একটি স্যাটেলাইট ডেটা গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। তিনি বলেন, মিন অং হ্লাইং সম্ভবত সামারা অঞ্চলের সফরে অনেক কিছু শিখেছেন। ওই অঞ্চলটি মহাকাশযান ও স্যাটেলাইট উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত এবং এটি মহাকাশ-সেবা কার্যক্রমের একটি কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
ওই সফরেই মিন অং হ্লাইং রুশ প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তাঁরা স্যাটেলাইট ও মহাকাশ প্রযুক্তি নিয়ে সহযোগিতার বিষয়টি আরও আলোচনা করেন। পর্যবেক্ষকদের মতে, এই নতুন সহযোগিতার ফলে জান্তা রাশিয়া থেকে স্যাটেলাইটভিত্তিক গোয়েন্দা সহায়তা পেতে পারে। রাশিয়া মিয়ানমারের প্রধান মিত্র ও অন্যতম অস্ত্র সরবরাহকারী।
মস্কোর কাছ থেকে পাওয়া অস্ত্র ও বিমানের যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে জান্তা সরকার বেসামরিক জনগণের ওপর নির্বিচার ও ইচ্ছাকৃতভাবে বিমান হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় লক্ষ্যবস্তু হয়েছে আবাসিক এলাকা, স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং উপাসনালয়।
জান্তা দাবি করেছে, সংস্থাটি গঠন করা হয়েছে শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে—আন্তর্জাতিকভাবে মহাকাশ গবেষণা ও ব্যবহারে সহযোগিতা করতে এবং জাতীয় নিরাপত্তা, কৃষি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে।
জান্তা সরকার বলেছে, এই সংস্থার দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে স্যাটেলাইট চিত্র সংরক্ষণ ও বিতরণ; আন্তর্জাতিক সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়, কোম্পানি ও ব্যক্তিদের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি স্বাক্ষর এবং সহযোগিতা করা; সরকার ও বেসরকারিভাবে মালিকানাধীন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ; প্রযুক্তিগত ব্যয়, যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, অবকাঠামো উন্নয়ন ও প্রশাসনিক খরচের জন্য বাজেট প্রস্তুত করা।
রাজনৈতিক বন্দীদের সহায়তা বিষয়ক সংগঠন এএপিপি জানিয়েছে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর থেকে জান্তা ও তাদের অনুগত বাহিনীর হাতে এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৯৬২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে আছেন রাজনৈতিক বিরোধী ও সাধারণ নাগরিকেরা।
এদিন রাখিবন্ধন উপলক্ষে ভারতের গুরুগ্রামভিত্তিক ১২ বছরের পুরোনো কুইক-কমার্স কোম্পানি ব্লিংকিট, যা শহুরে মধ্যবিত্তের কেনাকাটার ধরন বদলে দিয়েছে, সেখানে কার্ল মার্ক্স ও ফ্রেডরিক এঙ্গেলস রচিত ‘দ্য কমিউনিস্ট মেনিফেস্টো’ সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা সমগ্রের প্রথম খণ্ডের সঙ্গে ‘গিফট ফর সিস্টার্স’ বা ‘বোনদের...
৭ ঘণ্টা আগেইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে কাজ করার অভিযোগে গত কয়েক মাসে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ইরান। দেশটির বিচার বিভাগ আজ শনিবার এ তথ্য জানিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, এদের প্রতি কোনো দয়া দেখানো হবে না এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।
৮ ঘণ্টা আগেইউক্রেন এক বিন্দু পিছপা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। আজ শনিবার ভোরে তিনি বলেছেন, ইউক্রেনীয়রা তাদের জমি দখলদারদের হাতে তুলে দেবে না। এক ইঞ্চিও না।
৯ ঘণ্টা আগেগত বৃহস্পতিবার ইনস্টাগ্রামে একাধিক পোস্ট করে স্বামীর প্রতি সহানুভূতি দেখানোর আহ্বান জানান আবির। তাঁর স্বামীর সাজা ঘোষণার কয়েক দিন পর এই পোস্ট করেন তিনি। পাকিস্তানে বসবাসরত আবিরের ইনস্টাগ্রাম ও টিকটক মিলিয়ে অনুসারী রয়েছে ৫ লাখের বেশি।
১০ ঘণ্টা আগে