আফগানিস্তানে তালেবানের শরণার্থী মন্ত্রী খলিল রহমান হাক্কানিকে ইসলামিক গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) হত্যা করেছে বলে দাবি করেছে তালেবান সরকার। গতকাল বুধবার নিজের ব্যক্তিগত দেহরক্ষীদের পাহারায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে এক বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় খলিল হাক্কানির। এ সময় আরও ছয়জন মারা যান।
আফগানিস্তানের স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার দেশটির প্রধান গণমাধ্যম খামা প্রেস এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
তালেবান সরকারের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ এক বার্তায় বলেন, তালেবানের শরণার্থী বিষয়ক মন্ত্রী খলিল হাক্কানি আফগানিস্তানে সক্রিয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক অ্যান্ড সিরিয়ার আইএসআইএস-খোরাসান শাখার হামলায় নিহত হয়েছেন। হাক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে আইএসআইএসের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তবে আইএসআইএস এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
মুজাহিদ আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র হাক্কানির গ্রেপ্তারের জন্য ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। হাক্কানি একটি বিশাল জিহাদী পরিবারের বিশিষ্ট সদস্য ছিলেন এবং ইসলামের শত্রুরা তাঁর মাথার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘আজ তিনি তাঁদের হাতে শহীদ হলেন, যাঁরা নিজেদের মুসলিম দাবি করে কিন্তু অন্য মুসলিমদের ধর্ম অমান্যকারী বলে ঘোষণা করে।’
তালেবান মুখপাত্র বলেন, এ ধরনের কাপুরুষোচিত কাজ মুসলিমদের সংকল্প দুর্বল করতে পারবে না। বরং ইসলামিক শাসনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ করবে। এ ধরনের কাজ শুধুমাত্র ইসলামের শত্রুদের খারাপ উদ্দেশ্য প্রকাশ করে।
ধারণা করা হচ্ছে, মন্ত্রণালয়ে উচ্চ নিরাপত্তার মধ্যেও এ হামলার পেছনে অভ্যন্তরীণ কারও সহযোগিতায় রয়েছে।
খলিল হাক্কানির ভাতিজা আনাস হাক্কানি রয়টার্সকে বলেন, ‘খলিল হাক্কানি বিকেলের নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় বিস্ফোরণটি ঘটে। আমরা একজন খুবই সাহসী মুজাহিদকে হারিয়েছি। আমরা তাঁকে এবং তাঁর ত্যাগকে কখনোই ভুলব না।’
৫০ বছর বয়সী খলিল হাক্কানি তালেবানের শক্তিশালী গোষ্ঠী হাক্কানি নেটওয়ার্কের একজন শীর্ষ সদস্য ছিলেন। তাঁকে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের তথ্য মতে, আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর ওপর ২০ বছর ধরে অনেক বড় বড় হামলার জন্য দায়ী ছিলেন হাক্কানি।
খলিল হাক্কানির ভাই জালালুদ্দিন হাক্কানি ছিলেন একজন বিখ্যাত গেরিলা নেতা। আশির দশকে আফগানিস্তানে সোভিয়েত সৈন্যদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন তিনি। হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন জালালুদ্দিন। তালেবানের ২০ বছরের বিদ্রোহের সময় অনেক হামলার পেছনে ছিল এ নেটওয়ার্ক।
২০২১ সালে মার্কিন সেনারা আফগানিস্তান ত্যাগ করলে খলিল হাক্কানি তালেবানের অন্তর্বর্তী সরকারের মন্ত্রী হিসেবে যোগ দেন। বিবিসির তথ্য মোতাবেক, ২০২১ সালে তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম কোনো শীর্ষ নেতা নিহত হলেন।
আফগানিস্তানে তালেবানের শরণার্থী মন্ত্রী খলিল রহমান হাক্কানিকে ইসলামিক গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) হত্যা করেছে বলে দাবি করেছে তালেবান সরকার। গতকাল বুধবার নিজের ব্যক্তিগত দেহরক্ষীদের পাহারায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে এক বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় খলিল হাক্কানির। এ সময় আরও ছয়জন মারা যান।
আফগানিস্তানের স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার দেশটির প্রধান গণমাধ্যম খামা প্রেস এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
তালেবান সরকারের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ এক বার্তায় বলেন, তালেবানের শরণার্থী বিষয়ক মন্ত্রী খলিল হাক্কানি আফগানিস্তানে সক্রিয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক অ্যান্ড সিরিয়ার আইএসআইএস-খোরাসান শাখার হামলায় নিহত হয়েছেন। হাক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে আইএসআইএসের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তবে আইএসআইএস এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
মুজাহিদ আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র হাক্কানির গ্রেপ্তারের জন্য ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। হাক্কানি একটি বিশাল জিহাদী পরিবারের বিশিষ্ট সদস্য ছিলেন এবং ইসলামের শত্রুরা তাঁর মাথার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘আজ তিনি তাঁদের হাতে শহীদ হলেন, যাঁরা নিজেদের মুসলিম দাবি করে কিন্তু অন্য মুসলিমদের ধর্ম অমান্যকারী বলে ঘোষণা করে।’
তালেবান মুখপাত্র বলেন, এ ধরনের কাপুরুষোচিত কাজ মুসলিমদের সংকল্প দুর্বল করতে পারবে না। বরং ইসলামিক শাসনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ করবে। এ ধরনের কাজ শুধুমাত্র ইসলামের শত্রুদের খারাপ উদ্দেশ্য প্রকাশ করে।
ধারণা করা হচ্ছে, মন্ত্রণালয়ে উচ্চ নিরাপত্তার মধ্যেও এ হামলার পেছনে অভ্যন্তরীণ কারও সহযোগিতায় রয়েছে।
খলিল হাক্কানির ভাতিজা আনাস হাক্কানি রয়টার্সকে বলেন, ‘খলিল হাক্কানি বিকেলের নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় বিস্ফোরণটি ঘটে। আমরা একজন খুবই সাহসী মুজাহিদকে হারিয়েছি। আমরা তাঁকে এবং তাঁর ত্যাগকে কখনোই ভুলব না।’
৫০ বছর বয়সী খলিল হাক্কানি তালেবানের শক্তিশালী গোষ্ঠী হাক্কানি নেটওয়ার্কের একজন শীর্ষ সদস্য ছিলেন। তাঁকে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের তথ্য মতে, আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর ওপর ২০ বছর ধরে অনেক বড় বড় হামলার জন্য দায়ী ছিলেন হাক্কানি।
খলিল হাক্কানির ভাই জালালুদ্দিন হাক্কানি ছিলেন একজন বিখ্যাত গেরিলা নেতা। আশির দশকে আফগানিস্তানে সোভিয়েত সৈন্যদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন তিনি। হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন জালালুদ্দিন। তালেবানের ২০ বছরের বিদ্রোহের সময় অনেক হামলার পেছনে ছিল এ নেটওয়ার্ক।
২০২১ সালে মার্কিন সেনারা আফগানিস্তান ত্যাগ করলে খলিল হাক্কানি তালেবানের অন্তর্বর্তী সরকারের মন্ত্রী হিসেবে যোগ দেন। বিবিসির তথ্য মোতাবেক, ২০২১ সালে তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম কোনো শীর্ষ নেতা নিহত হলেন।
পারস্য উপসাগরের উপকূলে ইরানের বুশেহর শহরে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যদি কোনো হামলার শিকার হয়, তবে তার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। শুধু ইরান নয়, পুরো উপসাগরীয় অঞ্চল পড়বে বিপদের মুখে।
৭ ঘণ্টা আগেবি-২ বিমানের সঙ্গে ছিল চারটি বোয়িং কেসি-৪৬ পেগাসাস ফুয়েল ট্যাংকার। এর মধ্যে দুটি ইতিমধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরের আকাশে বি-২ বোমারুতে জ্বালানি সরবরাহ করেছে। বাকি দুটি প্রায় ৭৫ কিলোমিটার পেছনে অবস্থান করছে।
৭ ঘণ্টা আগেসামরিক শক্তিতে বরাবরই নিজেকে অপরাজেয় হিসেবে জাহির করা ইসরায়েলকে সত্যিই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে ইরান। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলকে ইতিমধ্যেই ব্যতিব্যস্ত করার পর গতকাল শনিবার দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করে সফল ড্রোন হামলা চালায় ইরান। ইরানের দুটি ড্রোন ইসরায়েলের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে...
৮ ঘণ্টা আগেইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাত নবম দিনে গড়িয়েছে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলের পক্ষে সরাসরি ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে লোহিতসাগরে মার্কিন জাহাজগুলোতে হামলা চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। হুতি বিদ্রোহীদের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে
৮ ঘণ্টা আগে