প্রায় দু দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর হাতে প্রশিক্ষিত আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর এতটা দ্রুত পতন হলো, এ বিস্ময় অনেকের কাটছে না। এ নিয়ে সংশ্লিষ্টরা নানা ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। চলছে বহুমুখী তর্ক–বিতর্ক। চেষ্টা চলছে কাবুল পতনের গভীর কারণ বের করার।
যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনার ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন স্যানফোর্ড স্কুল অব পাবলিক পলিসির জননীতি বিভাগের অধ্যাপক ডেভিড শ্যাঞ্জার একটি প্রবন্ধে কাবুল পতনের খোঁজার চেষ্টা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের দ্য হিল পত্রিকায় গত মঙ্গলবার প্রকাশিত এ প্রবন্ধে কাবুল পতনের বীজ ২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি করা তালেবান–ট্রাম্পের চুক্তিতে নিহিত ছিল বলে সিদ্ধান্ত টেনেছেন তিনি। প্রবন্ধটির সারমর্ম এখানে তুলে ধরা হলো।
কাবুল পতনের তারিখ হিসেবে ১৫ আগস্ট ইতিহাস মনে রাখবে। তবে একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে ২০২০ সালে ২৯ ফেব্রুয়ারি তালেবান–ট্রাম্প প্রশাসনের তথাকথিত ‘শান্তি’ চুক্তি সই হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কিন্তু কাবুলের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গিয়েছিল, চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল কাবুল পতনের অমোঘ লিখন। তবে যেটাকে ‘শান্তি’ চুক্তি বলে প্রচার করা হয়েছে, আদপে এটা কোনো অর্থেই তা ছিল না। কারণ এ ধরনের কোনো চুক্তির অপরিহার্য পক্ষ আফগান সরকারকেই এতে যুক্ত করা হয়নি। তাই প্রকৃত অর্থে এটা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের আফগান ছাড়ার চুক্তি। যদি কেউ প্রশ্ন করে, এ চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্জন কী? আমি বলব, এ চুক্তির বিনিময়ে তালেবান থেকে যুক্তরাষ্ট্র অনিশ্চয়তা ছাড়া কিছুই পায়নি।
চুক্তিতে প্রত্যাহারের সময় যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যদের ওপর হামলা না করা এবং আল–কায়েদার মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীদের আশ্রয় না দেওয়ার বিষয়ে ভাসা-ভাসা কিছু প্রতিশ্রুতি তালেবান দিয়েছে বটে, কিন্তু এসব করা হলে জবাবে কী করা হবে সে বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই। অর্থাৎ ট্রাম্পের তাড়াহুড়োর কারণে এখানে সুস্পষ্ট কোনো প্রতিবিধানের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। তাই এমন একটি খামখেয়ালি চুক্তি সই করার সঙ্গে সঙ্গে তালেবানের বিজয় চূড়ান্ত হয়ে যায়। এ অবস্থায় কাবুল সরকার টিকার কোনো উপায় বাকি থাকে না।
তালেবানের সঙ্গে চুক্তির পুরো প্রক্রিয়ায় কাবুল সরকারকে যুক্ত করা না করার বিষয়টি আফগান সরকার, নিরাপত্তা বাহিনীর বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তা, সাধারণ নাগরিকের মনোবল ভেঙে দিয়েছিল। আশরাফ গনি সরকার হয়ে পড়েছিল ঢালহীন তলোয়ারহীন নিধি রাম সর্দার। তাই স্বাভাবিকভাবে মে মাস থেকে প্রায় সব তালেবানি হামলায় অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করতে বা পালাতে দেখা গেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদ্যদের।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি মধ্য দিয়ে নিজেদের ক্ষমতা দখলের বিষয়ে তালেবান মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। বাকিটা ছিল উপযুক্ত সময়ের জন্য অপেক্ষা মাত্র। আর ১৫ আগস্ট, ২০২১ ছিল তালেবানের সেই কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত, যেদিন তারা কাবুল দখলে নিল।
প্রায় দু দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর হাতে প্রশিক্ষিত আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর এতটা দ্রুত পতন হলো, এ বিস্ময় অনেকের কাটছে না। এ নিয়ে সংশ্লিষ্টরা নানা ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। চলছে বহুমুখী তর্ক–বিতর্ক। চেষ্টা চলছে কাবুল পতনের গভীর কারণ বের করার।
যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনার ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন স্যানফোর্ড স্কুল অব পাবলিক পলিসির জননীতি বিভাগের অধ্যাপক ডেভিড শ্যাঞ্জার একটি প্রবন্ধে কাবুল পতনের খোঁজার চেষ্টা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের দ্য হিল পত্রিকায় গত মঙ্গলবার প্রকাশিত এ প্রবন্ধে কাবুল পতনের বীজ ২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি করা তালেবান–ট্রাম্পের চুক্তিতে নিহিত ছিল বলে সিদ্ধান্ত টেনেছেন তিনি। প্রবন্ধটির সারমর্ম এখানে তুলে ধরা হলো।
কাবুল পতনের তারিখ হিসেবে ১৫ আগস্ট ইতিহাস মনে রাখবে। তবে একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে ২০২০ সালে ২৯ ফেব্রুয়ারি তালেবান–ট্রাম্প প্রশাসনের তথাকথিত ‘শান্তি’ চুক্তি সই হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কিন্তু কাবুলের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গিয়েছিল, চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল কাবুল পতনের অমোঘ লিখন। তবে যেটাকে ‘শান্তি’ চুক্তি বলে প্রচার করা হয়েছে, আদপে এটা কোনো অর্থেই তা ছিল না। কারণ এ ধরনের কোনো চুক্তির অপরিহার্য পক্ষ আফগান সরকারকেই এতে যুক্ত করা হয়নি। তাই প্রকৃত অর্থে এটা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের আফগান ছাড়ার চুক্তি। যদি কেউ প্রশ্ন করে, এ চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্জন কী? আমি বলব, এ চুক্তির বিনিময়ে তালেবান থেকে যুক্তরাষ্ট্র অনিশ্চয়তা ছাড়া কিছুই পায়নি।
চুক্তিতে প্রত্যাহারের সময় যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যদের ওপর হামলা না করা এবং আল–কায়েদার মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীদের আশ্রয় না দেওয়ার বিষয়ে ভাসা-ভাসা কিছু প্রতিশ্রুতি তালেবান দিয়েছে বটে, কিন্তু এসব করা হলে জবাবে কী করা হবে সে বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই। অর্থাৎ ট্রাম্পের তাড়াহুড়োর কারণে এখানে সুস্পষ্ট কোনো প্রতিবিধানের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। তাই এমন একটি খামখেয়ালি চুক্তি সই করার সঙ্গে সঙ্গে তালেবানের বিজয় চূড়ান্ত হয়ে যায়। এ অবস্থায় কাবুল সরকার টিকার কোনো উপায় বাকি থাকে না।
তালেবানের সঙ্গে চুক্তির পুরো প্রক্রিয়ায় কাবুল সরকারকে যুক্ত করা না করার বিষয়টি আফগান সরকার, নিরাপত্তা বাহিনীর বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তা, সাধারণ নাগরিকের মনোবল ভেঙে দিয়েছিল। আশরাফ গনি সরকার হয়ে পড়েছিল ঢালহীন তলোয়ারহীন নিধি রাম সর্দার। তাই স্বাভাবিকভাবে মে মাস থেকে প্রায় সব তালেবানি হামলায় অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করতে বা পালাতে দেখা গেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদ্যদের।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি মধ্য দিয়ে নিজেদের ক্ষমতা দখলের বিষয়ে তালেবান মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। বাকিটা ছিল উপযুক্ত সময়ের জন্য অপেক্ষা মাত্র। আর ১৫ আগস্ট, ২০২১ ছিল তালেবানের সেই কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত, যেদিন তারা কাবুল দখলে নিল।
‘শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু’। ভারত ও চীনের এই সম্পর্ক ট্রাম্পের আমেরিকার প্রতি তাদের তীব্র অসন্তোষের ফল। তবে ভারতের জন্য এটি একটি কৌশলগত সুযোগ, যেখানে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি থেকে দূরে থাকার পর এটি চীন ও রাশিয়ার মতো ওয়াশিংটনের প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক তৈরির সুযোগ নিতে পারে।
১৯ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্র যখন পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করছে, তখন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র অতীত ইতিহাস ভুলে যাচ্ছে। তিনি মনে করিয়ে দেন, আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতাপ্রধান ওসামা বিন লাদেনকে ২০১১ সালে পাকিস্তানের সামরিক শহর অ্যাবোটাবাদে খুঁজে পাওয়া
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রে ডাক পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে ভারতের ডাক বিভাগ। ২৫ আগস্ট থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কনীতির কারণে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ভারতীয় ডাক বিভাগ।
২ ঘণ্টা আগেইরান বিভিন্ন দেশে অস্ত্র উৎপাদন কারখানা গড়ে তুলেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদে। তবে এসব দেশের নাম এখনই প্রকাশ করবেন না বলে তিনি স্পষ্ট করেছেন। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার রাতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমরা কয়েকটি দেশে অস্ত্র কারখানা তৈরি করেছি।
৫ ঘণ্টা আগে