আজকের পত্রিকা ডেস্ক

দীর্ঘ এক দশকের ‘জনযুদ্ধ’ শেষে ২০০৬ সালে কাঠমান্ডুর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল মাওবাদীরা। রাজধানীতে প্রবেশের পর এক মাও নেতাকে সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, ‘এখন আপনার স্বপ্নের শহর কেমন হবে?’ তিনি উচ্ছ্বাসের সঙ্গে বলেছিলেন, ‘ব্যাংককের মতো শপিং মল, পশ্চিমাদের মতো চকচকে সড়ক’। মাওবাদী নেতার সেই কল্পিত শহর বাস্তবায়নে দরকার ছিল সরকারি অর্থনৈতিক প্রকল্পের পাশাপাশি বেসরকারি পুঁজির ব্যাপক বিনিয়োগ।
একজন বিপ্লবীর মুখে এমন কথা ছিল বিদ্রূপাত্মক, কিন্তু স্বপ্নের এই রূপরেখা ছিল একটি কাঙ্ক্ষিত ভবিষ্যতের উন্মোচন। ২০১৫ সালের ভূমিকম্প-পরবর্তী কাঠমান্ডুতে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে থাকে। বহুতল ভবন, বিলাসবহুল হোটেল, আধুনিক ক্যাফে, অত্যাধুনিক প্রাইভেট হাসপাতাল শহরের চেহারা পাল্টে দেয়। নতুনভাবে গড়ে ওঠা হিলটন হোটেল যেন এর প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু ২০২৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সেই স্বপ্ন ভেঙে দেয় জেন-জি আন্দোলন। আগুনে ধ্বংস করে দেওয়া হয় হিলটন হোটেলসহ বহু স্থাপনা।
কীভাবে শুরু হলো এই আন্দোলন
কিছু তরুণ-তরুণীর একটি ভাইবার গ্রুপ থেকে এই আন্দোলনের সূত্রপাত। প্রথমে কবিতা ও সৃজনশীল প্রতিবাদের মাধ্যমেই এই আন্দোলনের পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু ৪ সেপ্টেম্বর সরকার ফেসবুক, টিকটক, ইউটিউবসহ সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা দিলে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। ভাইবার গ্রুপের ১৫-২০ জন সদস্য বেড়ে ৩০০ ছাড়িয়ে যায়।
৮ সেপ্টেম্বর হাজারো মানুষ কাঠমান্ডুর মৈতিঘর মণ্ডলা থেকে সংসদ ভবনের উদ্দেশে মিছিল শুরু করে। কিন্তু শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে ‘অদৃশ্য শক্তি’র অনুপ্রবেশ ঘটে; যাদের মধ্যে কেউ কেউ হতে পারে অসন্তুষ্ট রাজনৈতিক কর্মী, জীবিকার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নির্ভরশীল তরুণ, কিংবা ডানপন্থী রাজতন্ত্রী ও হিন্দুত্ববাদী।
দিন শেষে ৭২ জন নিহত হয়, শত শত আহত। পরদিন কারফিউ অমান্য করে মানুষ আবার রাস্তায় নামে। স্লোগান ওঠে, ‘অলি চোর, দেশ ছাড়’। মুহূর্তেই আগুন জ্বলে ওঠে সংসদ ভবন, সুপ্রিম কোর্ট, আইনসভা ভবন, এমপিদের বাড়িঘরে। প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যান। ভাইরাল হয়, কংগ্রেস নেতা শের বাহাদুর দেউবা ও তাঁর স্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অর্জু দেউবাকে টেনে বের করার ভিডিও।

দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির প্রতীক হিলটন হোটেল
২০২৫ সালের জুনে সাংবাদিক দিল ভূষণ পাঠকের বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। তিনি ইউটিউবে টাফ টক নামের একটি শো প্রকাশ করেছিলেন। সেখানে ভূষণ দাবি করেন, দেউবা পরিবারের ছেলে জয়বীর দেউবা অস্বাভাবিক কম দামে (১৭৭ মিলিয়ন ডলারে) হিলটন হোটেলের শেয়ার কিনেছেন। এ ছাড়া দুবাই, অস্ট্রেলিয়া, কানাডায়ও তাঁর ব্যবসা রয়েছে।
এই কেলেঙ্কারি তুলে ধরে ভূষণ দেখিয়েছিলেন, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা এক হয়ে জনগণকে কীভাবে জিম্মি করছে। এর পাশাপাশি তাদের সন্তানেরা এই ক্ষমতা উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে, যা ক্রনি ক্যাপিটালিজম বা বা স্বজনতোষী পুঁজিবাদের ব্যবস্থাকে চিরস্থায়ী করবে।
এরপরেই ভূষণের বিরুদ্ধে জারি করা হয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। এটি কেবল দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক-ব্যবসায়িক আঁতাতকেই নয়, বরং ক্ষমতাশালীদের হুমকির মুখে পড়লেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে কীভাবে পদদলিত করা হয়, সেই প্রবণতাকেও নগ্নভাবে প্রকাশ করেছে। ফলে এই আন্দোলনের স্লোগান হয়ে ওঠে #NepoBaby ও #Corruption। আর হিলটন হোটেল ছিল এই দুয়েরই ফল এবং নিখুঁত লক্ষ্যবস্তু।
সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, নেপালের অনেক মানুষের মতো সাংবাদিক ভূষণেরও কোনো ধারণা ছিল না যে মাত্র তিন মাস পর জেন-জি আন্দোলন হবে। তাঁরা ভাবতেই পারেননি, হিলটন হোটেল ও অনিয়ন্ত্রিত পুঁজিবাদের মাধ্যমে করা এমন অনেক স্থাপনা এবং দেউবা পরিবারের মতো অন্যান্য ‘ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের’ ভাগ্যে কী ঘটবে।
বিপ্লব-পরবর্তী ভৌতিক অবস্থা
বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে ‘পুরোনো শাসনব্যবস্থা’র প্রতিনিধিত্বকারী আটটি প্রধান রাজনৈতিক দল নেপালি জনগণের দাবি করা সংস্কারের পক্ষে কোনো মত দেয়নি। উল্টো তারা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কারকির নিয়োগকে অসাংবিধানিক বলে একটি যৌথ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এ থেকে বোঝা যায়, পুরোনো দলগুলো এখনো সময়ের পরিবর্তন ও বিপ্লব-পরবর্তী অবস্থা বুঝতে ব্যর্থ কিংবা তারা পরিবর্তন মেনে নেয়নি।

যুব কমিউনিস্ট ও কংগ্রেসের তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। কারণ, এত দিন ধরে তারা যে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার ওপর নির্ভর করে এসেছে, তা হঠাৎ ভেঙে পড়েছে। নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির (ইউনিফায়েড মার্কসবাদী-লেনিনবাদী বা ইউএমএল ও সিপিএন) একজন বিশিষ্ট নেতা মহেশ বসনেট সম্প্রতি একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। ওই ভিডিওতে তিনি জেন-জিদের আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া তাঁর বাড়ি দেখাচ্ছিলেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা একদল অনুচরের মধ্যে একজনকে বলিউডের বিখ্যাত একটি সংলাপ বলতে শোনা যায়। তিনি বলছিলেন, ‘চুন চুন কে মারেঙ্গে’ অর্থাৎ একটা একটা করে বেছে বেছে মারব। তিনি মূলত জেন-জিদের উদ্দেশে এই কথা বলেন। এরই মধ্যে পুরোনো রাজনৈতিক দলের কর্মীদের দ্বারা হয়রানির শিকার হয়ে জেন-জি আন্দোলনের একজন সদস্য আত্মহত্যা করেছেন বলেও খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে আদিবাসী, মধেশি, দলিত ও ভূমিহীন তরুণেরা আলাদাভাবে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে, যা আন্দোলনের মূলধারার জেন-জেড নেতৃত্বের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করছে।
৯ সেপ্টেম্বরের অগ্নিকাণ্ডে নেপালের সাবেক মাওবাদী প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ডের বাড়িও পুড়ে যায়। মজার বিষয়, ‘প্রচণ্ডপথ’-এর রচয়িতা, যিনি একসময় রাজতন্ত্র ভেঙে সমাজতান্ত্রিক নেপালের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, সেই প্রচণ্ডই জেন-জিদের বিপ্লবের আগুনে পালিয়ে বেড়াতে বাধ্য হলেন। তাঁর বাড়ির দেয়ালেও লেখা হলো, ‘বিপ্লব সংক্রামক’। কারণ, ২০০৬ সালের পর এই বিপ্লবী মাওবাদীরাও ক্ষমতার লোভে পুঁজিবাদী রাজনীতিতে ডুবে গিয়েছিল।
কিন্তু প্রচণ্ডের বাসভবনের ধ্বংসাবশেষ সেই মাও বিপ্লবের ব্যর্থ ভুতুড়ে প্রতিচ্ছবি, যাকে একসময় পরিবর্তনের অগ্রদূত বলে মনে করা হয়েছিল। আর এই ব্যর্থতার জন্য তারা নিজেরাই দায়ী।
১৯২০ থেকে ত্রিশের দশকে মুসোলিনির ফ্যাসিবাদী শাসনামলে কারাগারে থাকার সময় ইতালির দার্শনিক আন্তোনিও গ্রামসি লিখেছিলেন, ‘সংকটটি মূলত এই কারণে যে, পুরোনোটা মরে গেছে এবং নতুনটির এখনো জন্ম হয়নি; এই অন্তর্বর্তী সময়ে নানা ধরনের রোগগ্রস্ত লক্ষণ দেখা দেয়।’ নেপাল এখন সেই সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে, যেখানে নতুন ইতিহাস রচনার পথে তাদের ওপর আছর করতে পারে ব্যর্থ মাও বিপ্লবের ভূত। জেন-জিদের এই আন্দোলনের পর নেপালের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো—এই সময়কে সুস্থ রাখা।
দ্য ওয়ার থেকে সংক্ষেপে অনূদিত
লেখক: সাবিন নিংলেখু, আরবান পলিটিকস ও সামাজিক আন্দোলন গবেষক।

দীর্ঘ এক দশকের ‘জনযুদ্ধ’ শেষে ২০০৬ সালে কাঠমান্ডুর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল মাওবাদীরা। রাজধানীতে প্রবেশের পর এক মাও নেতাকে সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, ‘এখন আপনার স্বপ্নের শহর কেমন হবে?’ তিনি উচ্ছ্বাসের সঙ্গে বলেছিলেন, ‘ব্যাংককের মতো শপিং মল, পশ্চিমাদের মতো চকচকে সড়ক’। মাওবাদী নেতার সেই কল্পিত শহর বাস্তবায়নে দরকার ছিল সরকারি অর্থনৈতিক প্রকল্পের পাশাপাশি বেসরকারি পুঁজির ব্যাপক বিনিয়োগ।
একজন বিপ্লবীর মুখে এমন কথা ছিল বিদ্রূপাত্মক, কিন্তু স্বপ্নের এই রূপরেখা ছিল একটি কাঙ্ক্ষিত ভবিষ্যতের উন্মোচন। ২০১৫ সালের ভূমিকম্প-পরবর্তী কাঠমান্ডুতে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে থাকে। বহুতল ভবন, বিলাসবহুল হোটেল, আধুনিক ক্যাফে, অত্যাধুনিক প্রাইভেট হাসপাতাল শহরের চেহারা পাল্টে দেয়। নতুনভাবে গড়ে ওঠা হিলটন হোটেল যেন এর প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু ২০২৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সেই স্বপ্ন ভেঙে দেয় জেন-জি আন্দোলন। আগুনে ধ্বংস করে দেওয়া হয় হিলটন হোটেলসহ বহু স্থাপনা।
কীভাবে শুরু হলো এই আন্দোলন
কিছু তরুণ-তরুণীর একটি ভাইবার গ্রুপ থেকে এই আন্দোলনের সূত্রপাত। প্রথমে কবিতা ও সৃজনশীল প্রতিবাদের মাধ্যমেই এই আন্দোলনের পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু ৪ সেপ্টেম্বর সরকার ফেসবুক, টিকটক, ইউটিউবসহ সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা দিলে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। ভাইবার গ্রুপের ১৫-২০ জন সদস্য বেড়ে ৩০০ ছাড়িয়ে যায়।
৮ সেপ্টেম্বর হাজারো মানুষ কাঠমান্ডুর মৈতিঘর মণ্ডলা থেকে সংসদ ভবনের উদ্দেশে মিছিল শুরু করে। কিন্তু শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে ‘অদৃশ্য শক্তি’র অনুপ্রবেশ ঘটে; যাদের মধ্যে কেউ কেউ হতে পারে অসন্তুষ্ট রাজনৈতিক কর্মী, জীবিকার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নির্ভরশীল তরুণ, কিংবা ডানপন্থী রাজতন্ত্রী ও হিন্দুত্ববাদী।
দিন শেষে ৭২ জন নিহত হয়, শত শত আহত। পরদিন কারফিউ অমান্য করে মানুষ আবার রাস্তায় নামে। স্লোগান ওঠে, ‘অলি চোর, দেশ ছাড়’। মুহূর্তেই আগুন জ্বলে ওঠে সংসদ ভবন, সুপ্রিম কোর্ট, আইনসভা ভবন, এমপিদের বাড়িঘরে। প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যান। ভাইরাল হয়, কংগ্রেস নেতা শের বাহাদুর দেউবা ও তাঁর স্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অর্জু দেউবাকে টেনে বের করার ভিডিও।

দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির প্রতীক হিলটন হোটেল
২০২৫ সালের জুনে সাংবাদিক দিল ভূষণ পাঠকের বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। তিনি ইউটিউবে টাফ টক নামের একটি শো প্রকাশ করেছিলেন। সেখানে ভূষণ দাবি করেন, দেউবা পরিবারের ছেলে জয়বীর দেউবা অস্বাভাবিক কম দামে (১৭৭ মিলিয়ন ডলারে) হিলটন হোটেলের শেয়ার কিনেছেন। এ ছাড়া দুবাই, অস্ট্রেলিয়া, কানাডায়ও তাঁর ব্যবসা রয়েছে।
এই কেলেঙ্কারি তুলে ধরে ভূষণ দেখিয়েছিলেন, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা এক হয়ে জনগণকে কীভাবে জিম্মি করছে। এর পাশাপাশি তাদের সন্তানেরা এই ক্ষমতা উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে, যা ক্রনি ক্যাপিটালিজম বা বা স্বজনতোষী পুঁজিবাদের ব্যবস্থাকে চিরস্থায়ী করবে।
এরপরেই ভূষণের বিরুদ্ধে জারি করা হয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। এটি কেবল দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক-ব্যবসায়িক আঁতাতকেই নয়, বরং ক্ষমতাশালীদের হুমকির মুখে পড়লেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে কীভাবে পদদলিত করা হয়, সেই প্রবণতাকেও নগ্নভাবে প্রকাশ করেছে। ফলে এই আন্দোলনের স্লোগান হয়ে ওঠে #NepoBaby ও #Corruption। আর হিলটন হোটেল ছিল এই দুয়েরই ফল এবং নিখুঁত লক্ষ্যবস্তু।
সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, নেপালের অনেক মানুষের মতো সাংবাদিক ভূষণেরও কোনো ধারণা ছিল না যে মাত্র তিন মাস পর জেন-জি আন্দোলন হবে। তাঁরা ভাবতেই পারেননি, হিলটন হোটেল ও অনিয়ন্ত্রিত পুঁজিবাদের মাধ্যমে করা এমন অনেক স্থাপনা এবং দেউবা পরিবারের মতো অন্যান্য ‘ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের’ ভাগ্যে কী ঘটবে।
বিপ্লব-পরবর্তী ভৌতিক অবস্থা
বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে ‘পুরোনো শাসনব্যবস্থা’র প্রতিনিধিত্বকারী আটটি প্রধান রাজনৈতিক দল নেপালি জনগণের দাবি করা সংস্কারের পক্ষে কোনো মত দেয়নি। উল্টো তারা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কারকির নিয়োগকে অসাংবিধানিক বলে একটি যৌথ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এ থেকে বোঝা যায়, পুরোনো দলগুলো এখনো সময়ের পরিবর্তন ও বিপ্লব-পরবর্তী অবস্থা বুঝতে ব্যর্থ কিংবা তারা পরিবর্তন মেনে নেয়নি।

যুব কমিউনিস্ট ও কংগ্রেসের তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। কারণ, এত দিন ধরে তারা যে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার ওপর নির্ভর করে এসেছে, তা হঠাৎ ভেঙে পড়েছে। নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির (ইউনিফায়েড মার্কসবাদী-লেনিনবাদী বা ইউএমএল ও সিপিএন) একজন বিশিষ্ট নেতা মহেশ বসনেট সম্প্রতি একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। ওই ভিডিওতে তিনি জেন-জিদের আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া তাঁর বাড়ি দেখাচ্ছিলেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা একদল অনুচরের মধ্যে একজনকে বলিউডের বিখ্যাত একটি সংলাপ বলতে শোনা যায়। তিনি বলছিলেন, ‘চুন চুন কে মারেঙ্গে’ অর্থাৎ একটা একটা করে বেছে বেছে মারব। তিনি মূলত জেন-জিদের উদ্দেশে এই কথা বলেন। এরই মধ্যে পুরোনো রাজনৈতিক দলের কর্মীদের দ্বারা হয়রানির শিকার হয়ে জেন-জি আন্দোলনের একজন সদস্য আত্মহত্যা করেছেন বলেও খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে আদিবাসী, মধেশি, দলিত ও ভূমিহীন তরুণেরা আলাদাভাবে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে, যা আন্দোলনের মূলধারার জেন-জেড নেতৃত্বের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করছে।
৯ সেপ্টেম্বরের অগ্নিকাণ্ডে নেপালের সাবেক মাওবাদী প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ডের বাড়িও পুড়ে যায়। মজার বিষয়, ‘প্রচণ্ডপথ’-এর রচয়িতা, যিনি একসময় রাজতন্ত্র ভেঙে সমাজতান্ত্রিক নেপালের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, সেই প্রচণ্ডই জেন-জিদের বিপ্লবের আগুনে পালিয়ে বেড়াতে বাধ্য হলেন। তাঁর বাড়ির দেয়ালেও লেখা হলো, ‘বিপ্লব সংক্রামক’। কারণ, ২০০৬ সালের পর এই বিপ্লবী মাওবাদীরাও ক্ষমতার লোভে পুঁজিবাদী রাজনীতিতে ডুবে গিয়েছিল।
কিন্তু প্রচণ্ডের বাসভবনের ধ্বংসাবশেষ সেই মাও বিপ্লবের ব্যর্থ ভুতুড়ে প্রতিচ্ছবি, যাকে একসময় পরিবর্তনের অগ্রদূত বলে মনে করা হয়েছিল। আর এই ব্যর্থতার জন্য তারা নিজেরাই দায়ী।
১৯২০ থেকে ত্রিশের দশকে মুসোলিনির ফ্যাসিবাদী শাসনামলে কারাগারে থাকার সময় ইতালির দার্শনিক আন্তোনিও গ্রামসি লিখেছিলেন, ‘সংকটটি মূলত এই কারণে যে, পুরোনোটা মরে গেছে এবং নতুনটির এখনো জন্ম হয়নি; এই অন্তর্বর্তী সময়ে নানা ধরনের রোগগ্রস্ত লক্ষণ দেখা দেয়।’ নেপাল এখন সেই সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে, যেখানে নতুন ইতিহাস রচনার পথে তাদের ওপর আছর করতে পারে ব্যর্থ মাও বিপ্লবের ভূত। জেন-জিদের এই আন্দোলনের পর নেপালের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো—এই সময়কে সুস্থ রাখা।
দ্য ওয়ার থেকে সংক্ষেপে অনূদিত
লেখক: সাবিন নিংলেখু, আরবান পলিটিকস ও সামাজিক আন্দোলন গবেষক।

তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
১২ মিনিট আগে
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৪ ঘণ্টা আগে
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
৫ ঘণ্টা আগে
কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত...
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ওডিশার কান্ধামাল জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের অন্যতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা গণেশ উইকে (৬৯) নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে এই অভিযানে গণেশসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ওডিশা পুলিশ। নিহত গণেশ উইকে মাওবাদীদের ‘সেন্ট্রাল কমিটি’র (সিসি) সদস্য এবং ওডিশার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি ওডিশায় মাওবাদী বিরোধী অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (এএনও) সঞ্জীব পান্ডা জানান, কান্ধামাল জেলার চাকাপাদা থানা এলাকায় রাম্ভা বন রেঞ্জের কাছে এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত দুই দিনে কান্ধামাল জেলায় মোট ছয়জন মাওবাদী নিহত হলেন।
গণেশ উইকেকে বলা হতো মাওবাদীদের ‘মস্তিষ্ক’। গণেশ উইকে ‘রূপা’, ‘রাজেশ তিওয়ারি’ এবং ‘পাক্কা হনুমন্তু’সহ একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন। গণেশ উইকেকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ রুপি।
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ের কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার রাতে বেলঘর থানা এলাকার গুম্মা জঙ্গলে প্রথম সংঘর্ষে দুজন মাওবাদী নিহত হন। এরপর আজ সকালে চাকাপাদা এলাকায় দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালায় ওডিশা পুলিশের এসওজি, সিআরপিএফ এবং বিএসএফের যৌথ বাহিনী। আজকের অভিযানে দুই নারী এবং দুই পুরুষসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। নিহতদের পরনে ইউনিফর্ম ছিল।
এনকাউন্টার স্থল থেকে দুটি ইনসাস রাইফেল এবং একটি পয়েন্ট থ্রি জিরো থ্রি রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই সফলতাকে ‘নকশালমুক্ত ভারত’ গড়ার পথে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী সন্ত্রাস নির্মূল করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গণেশ উইকের নিধন ওডিশাকে মাওবাদী মুক্ত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, এ অভিযানের ঠিক দুই দিন আগে মালকানগিরি জেলায় ২২ জন মাওবাদী ওডিশা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্বের এ পতন এই অঞ্চলে মাওবাদী সংগঠনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

ওডিশার কান্ধামাল জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের অন্যতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা গণেশ উইকে (৬৯) নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে এই অভিযানে গণেশসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ওডিশা পুলিশ। নিহত গণেশ উইকে মাওবাদীদের ‘সেন্ট্রাল কমিটি’র (সিসি) সদস্য এবং ওডিশার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি ওডিশায় মাওবাদী বিরোধী অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (এএনও) সঞ্জীব পান্ডা জানান, কান্ধামাল জেলার চাকাপাদা থানা এলাকায় রাম্ভা বন রেঞ্জের কাছে এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত দুই দিনে কান্ধামাল জেলায় মোট ছয়জন মাওবাদী নিহত হলেন।
গণেশ উইকেকে বলা হতো মাওবাদীদের ‘মস্তিষ্ক’। গণেশ উইকে ‘রূপা’, ‘রাজেশ তিওয়ারি’ এবং ‘পাক্কা হনুমন্তু’সহ একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন। গণেশ উইকেকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ রুপি।
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ের কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার রাতে বেলঘর থানা এলাকার গুম্মা জঙ্গলে প্রথম সংঘর্ষে দুজন মাওবাদী নিহত হন। এরপর আজ সকালে চাকাপাদা এলাকায় দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালায় ওডিশা পুলিশের এসওজি, সিআরপিএফ এবং বিএসএফের যৌথ বাহিনী। আজকের অভিযানে দুই নারী এবং দুই পুরুষসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। নিহতদের পরনে ইউনিফর্ম ছিল।
এনকাউন্টার স্থল থেকে দুটি ইনসাস রাইফেল এবং একটি পয়েন্ট থ্রি জিরো থ্রি রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই সফলতাকে ‘নকশালমুক্ত ভারত’ গড়ার পথে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী সন্ত্রাস নির্মূল করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গণেশ উইকের নিধন ওডিশাকে মাওবাদী মুক্ত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, এ অভিযানের ঠিক দুই দিন আগে মালকানগিরি জেলায় ২২ জন মাওবাদী ওডিশা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্বের এ পতন এই অঞ্চলে মাওবাদী সংগঠনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

দীর্ঘ এক দশকের ‘জনযুদ্ধ’ শেষে ২০০৬ সালে কাঠমান্ডুর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল মাওবাদীরা। রাজধানীতে প্রবেশের পর এক মাও নেতাকে সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, ‘এখন আপনার স্বপ্নের শহর কেমন হবে?’ তিনি উচ্ছ্বাসের সঙ্গে বলেছিলেন, ‘ব্যাংককের মতো শপিং মল, পশ্চিমাদের মতো চকচকে সড়ক’।
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৪ ঘণ্টা আগে
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
৫ ঘণ্টা আগে
কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত...
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিজেদের পারমাণবিক সক্ষমতার প্রদর্শন হিসেবে পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে একটি মধ্যপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত। কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রটি গত মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে ভারতের পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন আইএনএস আরিঘাত থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। বিশাখাপত্তনম উপকূলের কাছে এই পরীক্ষা চালানো হয়।
এনডিটিভি জানিয়েছে, সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের নৌভিত্তিক পারমাণবিক সক্ষমতাকে বেশ শক্তিশালী করেছে।
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
অগ্নি-৩ স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর ভিত্তি করে তৈরি কে-৪ বর্তমানে ভারতের সর্বাধিক পাল্লার সমুদ্রভিত্তিক কৌশলগত অস্ত্র। স্থল সংস্করণটিকে সমুদ্র থেকে উৎক্ষেপণের উপযোগী করে পরিবর্তন করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে সাবমেরিনের উৎক্ষেপণ সাইলো থেকে বেরিয়ে পানির ভেতর ভেসে উঠে সমুদ্রপৃষ্ঠে পৌঁছানোর পর রকেট ইঞ্জিন চালু করে আকাশে ছুটে যাওয়ার সক্ষমতা।
এই ক্ষেপণাস্ত্র ২ দশমিক ৫ টন ওজনের পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এবং ভারতের অরিহন্ত শ্রেণির সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়।
কে-৪ হলো ভারতের পারমাণবিক ত্রিমাত্রিক প্রতিরোধব্যবস্থার সবচেয়ে নীরব অংশ। কারণ, অরিহন্ত শ্রেণির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিনগুলো দীর্ঘ সময় ধরে অচেনা সমুদ্রাঞ্চলে সম্পূর্ণ নীরবে প্রতিরোধ টহল পরিচালনার জন্য তৈরি।
কে-সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর নামের ‘কে’ অক্ষরটি ভারতের সাবেক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির রূপকার এ পি জে আবদুল কালামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাখা হয়। ভারতের সমন্বিত ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।

নিজেদের পারমাণবিক সক্ষমতার প্রদর্শন হিসেবে পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে একটি মধ্যপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত। কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রটি গত মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে ভারতের পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন আইএনএস আরিঘাত থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। বিশাখাপত্তনম উপকূলের কাছে এই পরীক্ষা চালানো হয়।
এনডিটিভি জানিয়েছে, সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের নৌভিত্তিক পারমাণবিক সক্ষমতাকে বেশ শক্তিশালী করেছে।
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
অগ্নি-৩ স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর ভিত্তি করে তৈরি কে-৪ বর্তমানে ভারতের সর্বাধিক পাল্লার সমুদ্রভিত্তিক কৌশলগত অস্ত্র। স্থল সংস্করণটিকে সমুদ্র থেকে উৎক্ষেপণের উপযোগী করে পরিবর্তন করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে সাবমেরিনের উৎক্ষেপণ সাইলো থেকে বেরিয়ে পানির ভেতর ভেসে উঠে সমুদ্রপৃষ্ঠে পৌঁছানোর পর রকেট ইঞ্জিন চালু করে আকাশে ছুটে যাওয়ার সক্ষমতা।
এই ক্ষেপণাস্ত্র ২ দশমিক ৫ টন ওজনের পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এবং ভারতের অরিহন্ত শ্রেণির সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়।
কে-৪ হলো ভারতের পারমাণবিক ত্রিমাত্রিক প্রতিরোধব্যবস্থার সবচেয়ে নীরব অংশ। কারণ, অরিহন্ত শ্রেণির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিনগুলো দীর্ঘ সময় ধরে অচেনা সমুদ্রাঞ্চলে সম্পূর্ণ নীরবে প্রতিরোধ টহল পরিচালনার জন্য তৈরি।
কে-সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর নামের ‘কে’ অক্ষরটি ভারতের সাবেক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির রূপকার এ পি জে আবদুল কালামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাখা হয়। ভারতের সমন্বিত ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।

দীর্ঘ এক দশকের ‘জনযুদ্ধ’ শেষে ২০০৬ সালে কাঠমান্ডুর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল মাওবাদীরা। রাজধানীতে প্রবেশের পর এক মাও নেতাকে সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, ‘এখন আপনার স্বপ্নের শহর কেমন হবে?’ তিনি উচ্ছ্বাসের সঙ্গে বলেছিলেন, ‘ব্যাংককের মতো শপিং মল, পশ্চিমাদের মতো চকচকে সড়ক’।
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
১২ মিনিট আগে
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
৫ ঘণ্টা আগে
কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত...
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চীনে বিতর্কিত এক সন্তান নীতির প্রবক্তা পেং পেইইউনের মৃত্যুতে শ্রদ্ধা নিবেদনের বদলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নীতিটি ঘিরে তীব্র সমালোচনা দেখা গেছে। গত রোববার বেইজিংয়ে ৯৬তম জন্মদিনের ঠিক আগমুহূর্তে পেংয়ের মৃত্যুতে চীনাদের প্রতিক্রিয়া অনেকটা নেতিবাচক।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে পেং পেইইউনকে নারী ও শিশুবিষয়ক কাজে ‘একজন অসাধারণ নেতা’ হিসেবে প্রশংসা করা হয়েছে। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত চীনের পরিবার পরিকল্পনা কমিশনের প্রধান ছিলেন তিনি।
তবে চীনের জনপ্রিয় মাইক্রো ব্লগিং ওয়েবসাইট ওয়েইবোতে একজন লিখেছেন, ‘ভূমিষ্ঠ হতে না পারা শিশুরা ওপারে নগ্ন দেহে তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।’
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে, এমন আশঙ্কায় বেইজিং এই এক সন্তান নীতি চালু করেছিল।
এর ফলে দীর্ঘ সময় বিশ্বের সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশ থাকার পর চীনের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শ্লথ হয়ে পড়ে এবং গত বছর টানা তৃতীয়বারের মতো জনসংখ্যা পড়তির দিকে ছিল।
ওয়েইবোতে একজন ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘যদি এই নীতি অন্তত ১০ বছর আগে শেষ করা হতো, তাহলে চীনের জনসংখ্যা আজ এভাবে ধসে পড়ত না!’
গত বছর চীনের জনসংখ্যা কমে ১৩৯ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, সামনের বছরগুলোতে এই নিম্নগতি আরও ত্বরান্বিত হবে।
জনসংখ্যার নীতিনির্ধারক হিসেবে পেং জোর দিয়েছিলেন গ্রামীণ এলাকায়। একসময় চীনের গ্রামগুলোতে বড় পরিবার গড়ে তোলা দম্পতিদের প্রধান লক্ষ্য ছিল, যাতে বৃদ্ধ বয়সে সন্তানেরা তাঁদের দেখাশোনা করতে পারে। এ ছাড়া বংশ রক্ষার জন্য ছেলেসন্তানের প্রতি ঝোঁক বেশি থাকায় মেয়েশিশুদের অবহেলা, এমনকি কন্যা ভ্রূণ হত্যার মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটত।
ওয়েইবোতে একজন লিখেছেন, ‘ওই শিশুগুলো যদি জন্ম নিত, তাহলে আজ তাদের বয়স প্রায় ৪০ হতো—জীবনের সেরা সময়।’
২০১০-এর দশকে এসে পেং প্রকাশ্যে তাঁর অবস্থান বদলান এবং বলেন, এক সন্তান নীতি শিথিল করা উচিত। বর্তমানে বেইজিং কমে যাওয়া জন্মহার বাড়াতে শিশু পরিচর্যা ভর্তুকি, দীর্ঘ মাতৃত্বকালীন ছুটি ও করছাড়ের মতো উদ্যোগ নিচ্ছে।
জনসংখ্যা হ্রাস ও বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতি চীনের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। দেশটিতে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা কমে গেলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

চীনে বিতর্কিত এক সন্তান নীতির প্রবক্তা পেং পেইইউনের মৃত্যুতে শ্রদ্ধা নিবেদনের বদলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নীতিটি ঘিরে তীব্র সমালোচনা দেখা গেছে। গত রোববার বেইজিংয়ে ৯৬তম জন্মদিনের ঠিক আগমুহূর্তে পেংয়ের মৃত্যুতে চীনাদের প্রতিক্রিয়া অনেকটা নেতিবাচক।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে পেং পেইইউনকে নারী ও শিশুবিষয়ক কাজে ‘একজন অসাধারণ নেতা’ হিসেবে প্রশংসা করা হয়েছে। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত চীনের পরিবার পরিকল্পনা কমিশনের প্রধান ছিলেন তিনি।
তবে চীনের জনপ্রিয় মাইক্রো ব্লগিং ওয়েবসাইট ওয়েইবোতে একজন লিখেছেন, ‘ভূমিষ্ঠ হতে না পারা শিশুরা ওপারে নগ্ন দেহে তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।’
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে, এমন আশঙ্কায় বেইজিং এই এক সন্তান নীতি চালু করেছিল।
এর ফলে দীর্ঘ সময় বিশ্বের সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশ থাকার পর চীনের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শ্লথ হয়ে পড়ে এবং গত বছর টানা তৃতীয়বারের মতো জনসংখ্যা পড়তির দিকে ছিল।
ওয়েইবোতে একজন ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘যদি এই নীতি অন্তত ১০ বছর আগে শেষ করা হতো, তাহলে চীনের জনসংখ্যা আজ এভাবে ধসে পড়ত না!’
গত বছর চীনের জনসংখ্যা কমে ১৩৯ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, সামনের বছরগুলোতে এই নিম্নগতি আরও ত্বরান্বিত হবে।
জনসংখ্যার নীতিনির্ধারক হিসেবে পেং জোর দিয়েছিলেন গ্রামীণ এলাকায়। একসময় চীনের গ্রামগুলোতে বড় পরিবার গড়ে তোলা দম্পতিদের প্রধান লক্ষ্য ছিল, যাতে বৃদ্ধ বয়সে সন্তানেরা তাঁদের দেখাশোনা করতে পারে। এ ছাড়া বংশ রক্ষার জন্য ছেলেসন্তানের প্রতি ঝোঁক বেশি থাকায় মেয়েশিশুদের অবহেলা, এমনকি কন্যা ভ্রূণ হত্যার মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটত।
ওয়েইবোতে একজন লিখেছেন, ‘ওই শিশুগুলো যদি জন্ম নিত, তাহলে আজ তাদের বয়স প্রায় ৪০ হতো—জীবনের সেরা সময়।’
২০১০-এর দশকে এসে পেং প্রকাশ্যে তাঁর অবস্থান বদলান এবং বলেন, এক সন্তান নীতি শিথিল করা উচিত। বর্তমানে বেইজিং কমে যাওয়া জন্মহার বাড়াতে শিশু পরিচর্যা ভর্তুকি, দীর্ঘ মাতৃত্বকালীন ছুটি ও করছাড়ের মতো উদ্যোগ নিচ্ছে।
জনসংখ্যা হ্রাস ও বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতি চীনের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। দেশটিতে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা কমে গেলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

দীর্ঘ এক দশকের ‘জনযুদ্ধ’ শেষে ২০০৬ সালে কাঠমান্ডুর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল মাওবাদীরা। রাজধানীতে প্রবেশের পর এক মাও নেতাকে সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, ‘এখন আপনার স্বপ্নের শহর কেমন হবে?’ তিনি উচ্ছ্বাসের সঙ্গে বলেছিলেন, ‘ব্যাংককের মতো শপিং মল, পশ্চিমাদের মতো চকচকে সড়ক’।
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
১২ মিনিট আগে
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৪ ঘণ্টা আগে
কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত...
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্ত বিরোধপূর্ণ এলাকায় সম্প্রতি নির্মিত একটি হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের খবর আমাদের নজরে এসেছে। এই অঞ্চলের মানুষের কাছে হিন্দু ও বৌদ্ধ দেবতারা অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র এবং এটি আমাদের অভিন্ন সভ্যতার ঐতিহ্যের অংশ। এই ধরনের কাজ সারা বিশ্বের অনুসারীদের মনে আঘাত দেয়, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি ব্যাকহো লোডার দিয়ে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তিটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। কম্বোডিয়ার প্রেহ বিহারের মুখপাত্র লিম চানপানহা জানান, ২০১৪ সালে নির্মিত মূর্তিটি থাইল্যান্ড সীমান্ত থেকে মাত্র ১০০ মিটার ভেতরে কম্বোডিয়ার সীমানায় ছিল। তিনি এই ঘটনাকে প্রাচীন ও পবিত্র স্থাপত্যের ওপর আঘাত হিসেবে নিন্দা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাস থেকে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি হলেও চলতি মাসে পুনরায় সংঘাত শুরু হয়েছে। নয়াদিল্লি মনে করে, কূটনৈতিক সংলাপের মাধ্যমেই জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এবং ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সম্পদের বিনাশ রোধ করা সম্ভব।

কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্ত বিরোধপূর্ণ এলাকায় সম্প্রতি নির্মিত একটি হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের খবর আমাদের নজরে এসেছে। এই অঞ্চলের মানুষের কাছে হিন্দু ও বৌদ্ধ দেবতারা অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র এবং এটি আমাদের অভিন্ন সভ্যতার ঐতিহ্যের অংশ। এই ধরনের কাজ সারা বিশ্বের অনুসারীদের মনে আঘাত দেয়, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি ব্যাকহো লোডার দিয়ে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তিটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। কম্বোডিয়ার প্রেহ বিহারের মুখপাত্র লিম চানপানহা জানান, ২০১৪ সালে নির্মিত মূর্তিটি থাইল্যান্ড সীমান্ত থেকে মাত্র ১০০ মিটার ভেতরে কম্বোডিয়ার সীমানায় ছিল। তিনি এই ঘটনাকে প্রাচীন ও পবিত্র স্থাপত্যের ওপর আঘাত হিসেবে নিন্দা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাস থেকে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি হলেও চলতি মাসে পুনরায় সংঘাত শুরু হয়েছে। নয়াদিল্লি মনে করে, কূটনৈতিক সংলাপের মাধ্যমেই জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এবং ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সম্পদের বিনাশ রোধ করা সম্ভব।

দীর্ঘ এক দশকের ‘জনযুদ্ধ’ শেষে ২০০৬ সালে কাঠমান্ডুর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল মাওবাদীরা। রাজধানীতে প্রবেশের পর এক মাও নেতাকে সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, ‘এখন আপনার স্বপ্নের শহর কেমন হবে?’ তিনি উচ্ছ্বাসের সঙ্গে বলেছিলেন, ‘ব্যাংককের মতো শপিং মল, পশ্চিমাদের মতো চকচকে সড়ক’।
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
১২ মিনিট আগে
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৪ ঘণ্টা আগে
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
৫ ঘণ্টা আগে