গুলনারা কারিমোভার অনেক পরিচয়। তিনি পপ তারকা, কূটনীতিক ও স্বৈরশাসকের কন্যা। তাঁর আরেকটি পরিচয় হচ্ছে—‘কোটিপতি’। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি বলেছে, উজবেকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্টের মেয়ে গুলনারা কারিমোভা লন্ডন থেকে হংকং পর্যন্ত ২৪ কোটি ডলারের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন।
গুলনারা কারিমোভার সম্পদ নিয়ে অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ফ্রিডম ফর ইউরেশিয়া একটি গবেষণা চালিয়েছে। সেই গবেষণার বরাত দিয়ে বিবিসি বলেছে, ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদ গড়েছেন গুলনারা। তিনি একটি উড়োজাহাজ ও বাড়ি কেনার জন্য যুক্তরাজ্যের দুটি কোম্পানিকে বড় অঙ্কের টাকা দিয়েছিলেন। ওই দুটি কোম্পানিকে টাকা দেওয়ার চুক্তির সঙ্গে লন্ডন ও ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জের অ্যাকাউন্টিং ফার্মগুলোও যুক্ত ছিল বলে দাবি করেছে ফ্রিডম ফর ইউরেশিয়া।
১৯৮৯ থেকে ২০১৬ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন ইসলাম কারিমভ। তাঁর কন্যা গুলনারা কারিমোভা বাবার উত্তরসূরি হিসেবে প্রেসিডেন্ট হবেন—এমনটাই ধারণা করেছিল সবাই। কিন্তু তিনি সেই পথে না গিয়ে পপ তারকা হয়েছেন, গুগুশা নামের মঞ্চে গেয়েছেন, জুয়েলারি কোম্পানি চালিয়েছেন এবং স্পেনে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০১৪ সালে হঠাৎ করেই লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে গিয়েছিলেন গুলনারা। তখন তাঁর বাবা ক্ষমতায়, তবু তাঁকে দুর্নীতির অভিযোগে আটক করা হয়েছিল। ২০১৭ সালে তাঁকে গৃহবন্দিত্বের সাজা দেওয়া হয়। পরে ২০১৯ সালে গৃহবন্দিত্বের শর্ত ভাঙার অভিযোগে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।
সেই গুলনারা কারিমোভার ব্যাপারে এখন আইনজীবীরা বলছেন, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১২টি দেশে ১০০ কোটির বেশি সম্পদ নিয়ন্ত্রণ করে এমন অপরাধী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে গুলনারা কারিমোভার। ফ্রিডম ফর ইউরেশিয়ার গবেষক ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ফেলো টম মেন বলেছেন, ‘কারিমোভার এই ঘটনা সর্বকালের সবচেয়ে বড় ঘুষ ও দুর্নীতির ঘটনার একটি।’
গুলনারা ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের কিছু অংশ বিক্রিও করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন আইনজীবীরা।
ফ্রিডম ফর ইউরেশিয়া বলেছে, তারা যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, দুবাই, হংকংসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশে কারিমোভার ১৪টি সম্পত্তি শনাক্ত করেছে এবং জমির রেজিস্ট্রি রেকর্ড নিয়ে গবেষণা করেছে।
লন্ডনের আশপাশে পাঁচটি সম্পত্তি রয়েছে গুলনারা কারিমোভার, যার আনুমানিক মূল্য পাঁচ কোটি পাউন্ড। বাকিংহাম প্যালেসের ঠিক পশ্চিমে তিনটি ফ্ল্যাটসহ একটি বাড়ি রয়েছে তাঁর। মে ফেয়ার লেকের পাশে তাঁর একটি বাড়ি রয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৮০ লাখ পাউন্ড।
ফ্রিডম ফর ইউরেশিয়ার প্রতিবেদনে করিমোভার বয়ফ্রেন্ড রুস্তম মাদুমারভকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি কারিমোভার প্রক্সি হিসেবে কাজ করেছিলেন এবং যুক্তরাজ্যভিত্তিক কোম্পানিগুলোতে কয়েক লাখ ডলার পাচারে সহায়তা করেছিলেন।
মানবাধিকার সংস্থাটি বলেছে, যুক্তরাজ্যভিত্তিক দুটি কোম্পানি প্যানালি লিমিটেড এবং ওডেনটন ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডকে গুলনারা কারিমোভা অর্থ দিয়েছিলেন। এ কাজে তিনি পূর্ব লন্ডনের ফার্ম এসএইচ ল্যান্ডস এলএলপিকে ব্যবহার করেছিলেন।
গুলনারা কারিমোভার অনেক পরিচয়। তিনি পপ তারকা, কূটনীতিক ও স্বৈরশাসকের কন্যা। তাঁর আরেকটি পরিচয় হচ্ছে—‘কোটিপতি’। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি বলেছে, উজবেকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্টের মেয়ে গুলনারা কারিমোভা লন্ডন থেকে হংকং পর্যন্ত ২৪ কোটি ডলারের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন।
গুলনারা কারিমোভার সম্পদ নিয়ে অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ফ্রিডম ফর ইউরেশিয়া একটি গবেষণা চালিয়েছে। সেই গবেষণার বরাত দিয়ে বিবিসি বলেছে, ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদ গড়েছেন গুলনারা। তিনি একটি উড়োজাহাজ ও বাড়ি কেনার জন্য যুক্তরাজ্যের দুটি কোম্পানিকে বড় অঙ্কের টাকা দিয়েছিলেন। ওই দুটি কোম্পানিকে টাকা দেওয়ার চুক্তির সঙ্গে লন্ডন ও ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জের অ্যাকাউন্টিং ফার্মগুলোও যুক্ত ছিল বলে দাবি করেছে ফ্রিডম ফর ইউরেশিয়া।
১৯৮৯ থেকে ২০১৬ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন ইসলাম কারিমভ। তাঁর কন্যা গুলনারা কারিমোভা বাবার উত্তরসূরি হিসেবে প্রেসিডেন্ট হবেন—এমনটাই ধারণা করেছিল সবাই। কিন্তু তিনি সেই পথে না গিয়ে পপ তারকা হয়েছেন, গুগুশা নামের মঞ্চে গেয়েছেন, জুয়েলারি কোম্পানি চালিয়েছেন এবং স্পেনে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০১৪ সালে হঠাৎ করেই লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে গিয়েছিলেন গুলনারা। তখন তাঁর বাবা ক্ষমতায়, তবু তাঁকে দুর্নীতির অভিযোগে আটক করা হয়েছিল। ২০১৭ সালে তাঁকে গৃহবন্দিত্বের সাজা দেওয়া হয়। পরে ২০১৯ সালে গৃহবন্দিত্বের শর্ত ভাঙার অভিযোগে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।
সেই গুলনারা কারিমোভার ব্যাপারে এখন আইনজীবীরা বলছেন, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১২টি দেশে ১০০ কোটির বেশি সম্পদ নিয়ন্ত্রণ করে এমন অপরাধী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে গুলনারা কারিমোভার। ফ্রিডম ফর ইউরেশিয়ার গবেষক ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ফেলো টম মেন বলেছেন, ‘কারিমোভার এই ঘটনা সর্বকালের সবচেয়ে বড় ঘুষ ও দুর্নীতির ঘটনার একটি।’
গুলনারা ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের কিছু অংশ বিক্রিও করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন আইনজীবীরা।
ফ্রিডম ফর ইউরেশিয়া বলেছে, তারা যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, দুবাই, হংকংসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশে কারিমোভার ১৪টি সম্পত্তি শনাক্ত করেছে এবং জমির রেজিস্ট্রি রেকর্ড নিয়ে গবেষণা করেছে।
লন্ডনের আশপাশে পাঁচটি সম্পত্তি রয়েছে গুলনারা কারিমোভার, যার আনুমানিক মূল্য পাঁচ কোটি পাউন্ড। বাকিংহাম প্যালেসের ঠিক পশ্চিমে তিনটি ফ্ল্যাটসহ একটি বাড়ি রয়েছে তাঁর। মে ফেয়ার লেকের পাশে তাঁর একটি বাড়ি রয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৮০ লাখ পাউন্ড।
ফ্রিডম ফর ইউরেশিয়ার প্রতিবেদনে করিমোভার বয়ফ্রেন্ড রুস্তম মাদুমারভকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি কারিমোভার প্রক্সি হিসেবে কাজ করেছিলেন এবং যুক্তরাজ্যভিত্তিক কোম্পানিগুলোতে কয়েক লাখ ডলার পাচারে সহায়তা করেছিলেন।
মানবাধিকার সংস্থাটি বলেছে, যুক্তরাজ্যভিত্তিক দুটি কোম্পানি প্যানালি লিমিটেড এবং ওডেনটন ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডকে গুলনারা কারিমোভা অর্থ দিয়েছিলেন। এ কাজে তিনি পূর্ব লন্ডনের ফার্ম এসএইচ ল্যান্ডস এলএলপিকে ব্যবহার করেছিলেন।
গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকগুণ বেড়েছে ইহুদি ও ইসলামবিদ্বেষ। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গঠিত দুটি টাস্কফোর্সের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এ তথ্য।
১২ মিনিট আগেপ্রেমিকের ফোনে অন্য নারীর বার্তা দেখার পর তাঁকে গুলি করে হত্যা করেছেন এক মার্কিন তরুণী। ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে। ম্যাডিসন রুকার্ট নামে ২৩ বছরের ওই তরুণী ঘুমের মধ্যেই তাঁর প্রেমিক জোনাথন মিলারকে গুলি করে হত্যা করেন। এই ঘটনায় ম্যাডিসনের ৩৫ বছরের সাজা হয়েছে।
৩৫ মিনিট আগেভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার বিবদমান কাশ্মীর সীমান্তের (নিয়ন্ত্রণ রেখা—লাইন অব কন্ট্রোল বা এলওসি) কাছে টহল দিচ্ছিল ভারতীয় রাফাল যুদ্ধবিমান। সেই বিমানগুলো ধাওয়া দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ার দাবি করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম পিটিভির এক প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেবিদেশে জন্ম নেওয়া ৮৬ লাখ অস্ট্রেলিয়ানের মধ্যে শুধু চীনেই জন্মগ্রহণকারীর সংখ্যা ৭ লাখ ১২০। এর আগে ২০১৯ সালে এই সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ৬১ হাজার। করোনা মহামারির সময় (২০২০ ও ২০২১ সাল) সীমান্ত বন্ধ থাকায় চীনে জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলিয়ান শিশুর সংখ্যা তুলনামূলক বেশ কম ছিল।
২ ঘণ্টা আগে