আজকের পত্রিকা ডেস্ক

দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন স্টারবাকসের কাপেও রাজনীতি ঢুকে পড়েছে। দেশজুড়ে স্টারবাকসের যেকোনো শাখায় গিয়ে আপনি চাইলে ‘লিঁ জে-মিউং’ বা ‘কিম মুন-সু’ নাম দিয়ে কফি অর্ডার করতে পারবেন না—কারণ এটি এখন নিষিদ্ধ। দেশটির আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে স্টারবাকস ঘোষণা দিয়েছে, তারা নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ছয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর নাম গ্রাহকদের কফি অর্ডারে ব্যবহার করতে দেবে না। এই নিষেধাজ্ঞা ৩ জুনের নির্বাচনের পর তুলে নেওয়া হবে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও তারকাদের নিরপেক্ষ ভাবমূর্তি বজায় রাখা দীর্ঘদিনের প্রচলন। তবে সদ্য অপসারিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের পদত্যাগপরবর্তী বিভাজনের পরিপ্রেক্ষিতে এবার সেটা আরও গুরুত্ব পেয়েছে।
সম্প্রতি কিছু গ্রাহক মোবাইল অ্যাপে কফি অর্ডার দেওয়ার সময় ‘ইউন সুক ইওলকে গ্রেপ্তার করো’ কিংবা ‘লিঁ জে-মিউং একজন গুপ্তচর’ এমন সব মন্তব্য নিজের নাম হিসেবে বসাচ্ছিলেন। কফি তৈরি হলে নিয়ম অনুযায়ী নাম ধরে বারিস্তারা (কফি হাউসের কর্মচারী) ডাকতেন। এতে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছিল।
স্টারবাকস জানায়, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, প্রতিটি গ্রাহকের জন্য আমাদের কফি হাউসে একটি ইতিবাচক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা। তাই নির্বাচনের সময় প্রার্থীদের নাম বা সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক বার্তা যাতে ভুলভাবে ব্যাখ্যা না হয়, সে জন্য এগুলো সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’ তবে অনেকেই বিষয়টিকে অতিরিক্ত সংবেদনশীলতার নজির বলেই মনে করছেন।
৩৩ বছর বয়সী জ্যাং হে-মি বলেন, ‘মানুষ খুব বেশি সেনসিটিভ হয়ে পড়েছে। কারও আসল নাম যদি কোনো প্রার্থীর সঙ্গে মিলে যায়, তাহলে কী করবে?’

স্টারবাকসের নিয়মিত গ্রাহক ২৭ বছর বয়সী জি সিয়ক-বিন বলেন, ‘বিষয়টি তুচ্ছ, তবে দেশের রাজনৈতিক উত্তেজনার কথা বিবেচনায় নিয়ে আমি বুঝতে পারি কেন তারা এটা করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইউনের অভিশংসনের পর রাজনীতি নিয়ে কথা বলা ছেড়ে দিয়েছি। এখন মনে হয়, আলোচনা নয়, বিতর্কই হয় বেশি।’
এমনকি দেশের শীর্ষ সার্চ ইঞ্জিন নেভারও নির্বাচনের সময় প্রার্থীদের নিয়ে অটো কমপ্লিট বা সাজেশন বন্ধ রাখছে। গুগলে খুঁজলে এখনো লিঁ জে-মিউংয়ের পাশে ‘মামলা’ শব্দটি উঠে আসে। অপর প্রার্থী কিম মুন-সুর ক্ষেত্রে উঠে আসে ‘রূপান্তর’, কারণ, তিনি একসময় শ্রমিক আন্দোলনে যুক্ত থাকলেও এখন রক্ষণশীল রাজনীতিবিদ।
এমনকি দেশের তারকারাও রীতিমতো সতর্ক থাকেন। তাঁরা লাল বা নীল জামা (যেগুলো রক্ষণশীল পিপলস পাওয়ার পার্টি ও উদারপন্থী ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতীক) পড়া থেকেও বিরত থাকেন।
২০২২ সালের নির্বাচনে কে-পপ তারকা সুপার জুনিয়র কিম হি-চুল লাল স্লিপার আর গোলাপি মাস্ক পরে থাকার কারণে তাঁকে রক্ষণশীল দলের সমর্থক বলে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। গত বছর জনপ্রিয় কায়োটে ব্যান্ডের শিল্পী শিনজি একটি সাদাকালো জিম সেলফি পোস্ট করে বলেন, ‘আমার ট্রাউজারের রং দেখে ছবিটা সাদাকালো করেছি।’
এমনকি মেকআপ আর্টিস্টরাও রাজনৈতিক প্রতীক থেকে দূরে থাকছেন। একজন অভিজ্ঞ মেকআপ আর্টিস্ট বলেন, ‘আমরা নিরপেক্ষ রং, যেমন, কালো, সাদা বা ধূসরই ব্যবহার করি।’ এ ছাড়া ফটোতে কেউ ‘ভি’ চিহ্ন দেখালেও তা নম্বর ২ হিসেবে ধরে নেওয়া হয়, কারণ, অনেকে এই চিহ্নকে নির্দিষ্ট প্রার্থীর নম্বর মনে করতে পারে।
ডুকসাং উইমেন্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. চো জিন-মান বলেন, বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করাও এখন চ্যালেঞ্জ। তাই অনেকেই চুপ থাকার পথ বেছে নিচ্ছে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন স্টারবাকসের কাপেও রাজনীতি ঢুকে পড়েছে। দেশজুড়ে স্টারবাকসের যেকোনো শাখায় গিয়ে আপনি চাইলে ‘লিঁ জে-মিউং’ বা ‘কিম মুন-সু’ নাম দিয়ে কফি অর্ডার করতে পারবেন না—কারণ এটি এখন নিষিদ্ধ। দেশটির আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে স্টারবাকস ঘোষণা দিয়েছে, তারা নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ছয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর নাম গ্রাহকদের কফি অর্ডারে ব্যবহার করতে দেবে না। এই নিষেধাজ্ঞা ৩ জুনের নির্বাচনের পর তুলে নেওয়া হবে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও তারকাদের নিরপেক্ষ ভাবমূর্তি বজায় রাখা দীর্ঘদিনের প্রচলন। তবে সদ্য অপসারিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের পদত্যাগপরবর্তী বিভাজনের পরিপ্রেক্ষিতে এবার সেটা আরও গুরুত্ব পেয়েছে।
সম্প্রতি কিছু গ্রাহক মোবাইল অ্যাপে কফি অর্ডার দেওয়ার সময় ‘ইউন সুক ইওলকে গ্রেপ্তার করো’ কিংবা ‘লিঁ জে-মিউং একজন গুপ্তচর’ এমন সব মন্তব্য নিজের নাম হিসেবে বসাচ্ছিলেন। কফি তৈরি হলে নিয়ম অনুযায়ী নাম ধরে বারিস্তারা (কফি হাউসের কর্মচারী) ডাকতেন। এতে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছিল।
স্টারবাকস জানায়, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, প্রতিটি গ্রাহকের জন্য আমাদের কফি হাউসে একটি ইতিবাচক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা। তাই নির্বাচনের সময় প্রার্থীদের নাম বা সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক বার্তা যাতে ভুলভাবে ব্যাখ্যা না হয়, সে জন্য এগুলো সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’ তবে অনেকেই বিষয়টিকে অতিরিক্ত সংবেদনশীলতার নজির বলেই মনে করছেন।
৩৩ বছর বয়সী জ্যাং হে-মি বলেন, ‘মানুষ খুব বেশি সেনসিটিভ হয়ে পড়েছে। কারও আসল নাম যদি কোনো প্রার্থীর সঙ্গে মিলে যায়, তাহলে কী করবে?’

স্টারবাকসের নিয়মিত গ্রাহক ২৭ বছর বয়সী জি সিয়ক-বিন বলেন, ‘বিষয়টি তুচ্ছ, তবে দেশের রাজনৈতিক উত্তেজনার কথা বিবেচনায় নিয়ে আমি বুঝতে পারি কেন তারা এটা করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইউনের অভিশংসনের পর রাজনীতি নিয়ে কথা বলা ছেড়ে দিয়েছি। এখন মনে হয়, আলোচনা নয়, বিতর্কই হয় বেশি।’
এমনকি দেশের শীর্ষ সার্চ ইঞ্জিন নেভারও নির্বাচনের সময় প্রার্থীদের নিয়ে অটো কমপ্লিট বা সাজেশন বন্ধ রাখছে। গুগলে খুঁজলে এখনো লিঁ জে-মিউংয়ের পাশে ‘মামলা’ শব্দটি উঠে আসে। অপর প্রার্থী কিম মুন-সুর ক্ষেত্রে উঠে আসে ‘রূপান্তর’, কারণ, তিনি একসময় শ্রমিক আন্দোলনে যুক্ত থাকলেও এখন রক্ষণশীল রাজনীতিবিদ।
এমনকি দেশের তারকারাও রীতিমতো সতর্ক থাকেন। তাঁরা লাল বা নীল জামা (যেগুলো রক্ষণশীল পিপলস পাওয়ার পার্টি ও উদারপন্থী ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতীক) পড়া থেকেও বিরত থাকেন।
২০২২ সালের নির্বাচনে কে-পপ তারকা সুপার জুনিয়র কিম হি-চুল লাল স্লিপার আর গোলাপি মাস্ক পরে থাকার কারণে তাঁকে রক্ষণশীল দলের সমর্থক বলে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। গত বছর জনপ্রিয় কায়োটে ব্যান্ডের শিল্পী শিনজি একটি সাদাকালো জিম সেলফি পোস্ট করে বলেন, ‘আমার ট্রাউজারের রং দেখে ছবিটা সাদাকালো করেছি।’
এমনকি মেকআপ আর্টিস্টরাও রাজনৈতিক প্রতীক থেকে দূরে থাকছেন। একজন অভিজ্ঞ মেকআপ আর্টিস্ট বলেন, ‘আমরা নিরপেক্ষ রং, যেমন, কালো, সাদা বা ধূসরই ব্যবহার করি।’ এ ছাড়া ফটোতে কেউ ‘ভি’ চিহ্ন দেখালেও তা নম্বর ২ হিসেবে ধরে নেওয়া হয়, কারণ, অনেকে এই চিহ্নকে নির্দিষ্ট প্রার্থীর নম্বর মনে করতে পারে।
ডুকসাং উইমেন্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. চো জিন-মান বলেন, বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করাও এখন চ্যালেঞ্জ। তাই অনেকেই চুপ থাকার পথ বেছে নিচ্ছে।

সৌদি আরব সরকার শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশের অংশ হিসেবে বিদ্যালয় পর্যায়ে সংগীত শিক্ষা চালু করতে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে দেশটির শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে সংগীত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে হাজারো শিক্ষককে।
৬ মিনিট আগে
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সকাল ৬টা থেকে খোলা হয়েছে ভোটকেন্দ্র, যা খোলা থাকবে রাত ৯টা পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত)।
৩১ মিনিট আগে
খ্রিষ্টানদের একমাত্র ত্রাণকর্তা যিশু—কুমারী মেরি এতে কোনো ভূমিকা রাখেননি বলে ঘোষণা দিয়েছে ভ্যাটিকান। পোপ লিওর অনুমোদনে প্রকাশিত এক নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে ১৪০ কোটি ক্যাথলিক খ্রিষ্টানের উচিত নয় কুমারী মেরিকে ‘সহমুক্তিদাতা’ (co-redeemer) বলে সম্বোধন করা।
১ ঘণ্টা আগে
হামাসের হামলার পর ভারতের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা ভুলব না—ওই ভয়াবহ দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই ছিলেন প্রথম বিশ্বনেতা, যিনি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে ফোন করেছিলেন। ভারত আমাদের পাশে ছিল এবং আমরা তা স্মরণে রাখব।’
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সৌদি আরব সরকার শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশের অংশ হিসেবে বিদ্যালয় পর্যায়ে সংগীত শিক্ষা চালু করতে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে দেশটির শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে সংগীত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে হাজারো শিক্ষককে। বিশেষ করে, কিন্ডারগার্টেন ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নারী শিক্ষকদের।
সৌদি গণমাধ্যম জানিয়েছে, ২০২২ সালের শেষ দিকে দুই মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে মিউজিক কমিশন কর্তৃক পরিচালিত একটি কর্মসূচি শুরু হয়েছিল। এর লক্ষ্য ছিল সংগীত শেখানোর দক্ষতা বাড়ানো এবং সংগীত শিক্ষক গড়ে তোলা। প্রথম ধাপে ১২ হাজারেরও বেশি নারী শিক্ষক সরকারি ও বেসরকারি কিন্ডারগার্টেনে প্রশিক্ষণ নেন।
এবার শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ধাপ—যেখানে আরও ১৭ হাজার নারী শিক্ষককে সংগীত শিক্ষার পেশাগত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি মূলত একটি ‘সাংস্কৃতিক দক্ষতা উন্নয়ন কৌশলের’ অংশ, যার মাধ্যমে শিশুদের প্রাথমিক বয়স থেকেই সংগীত ও শিল্পের সঙ্গে পরিচিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে সৌদি সরকার।
গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—সংগীত শেখানোর এই উদ্যোগ সৌদি শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যৌথ নীতি অনুসারে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর লক্ষ্য হলো—সংগীত ও অন্যান্য শিল্পকে ক্রমান্বয়ে বিদ্যালয়ের মূল পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে সৌদি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় রিয়াদের কিং সৌদ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম আর্টস কলেজ প্রতিষ্ঠা করে, যেখানে শিল্পকলার পাশাপাশি সংগীত বিষয়ে গবেষণা ও উদ্ভাবনের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে সেখানে উচ্চশিক্ষার সুযোগও দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে ২০২০ সালে সৌদি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘মিউজিক কমিশন’ গঠন করা হয়, যার কাজ হলো সংগীত খাতের বিকাশ তদারকি করা, সংগীত শিক্ষায় সমান সুযোগ নিশ্চিত করা, তরুণ প্রতিভাদের উৎসাহিত করা এবং সংগীতকে দেশের অর্থনীতির অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সৌদি আরব দ্রুত পরিবর্তনের পথে। দেশে এখন নিয়মিত আয়োজন করা হচ্ছে কনসার্ট, সিনেমা প্রদর্শনী, নাট্য উৎসব ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। শিল্প ও বিনোদনের এই উত্থান দেশের সামাজিক পরিবর্তনের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
সংগীত শিক্ষকদের দায়িত্ব কী হবে
নতুন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা মূলত কিন্ডারগার্টেন ও প্রাথমিক পর্যায়ের শিশুদের জন্য সংগীত শিক্ষা পরিচালনা করবেন। তাঁরা গান, তাল-লয়, বাদ্যযন্ত্রের মৌলিক ধারণা এবং স্থানীয় লোকসংগীত শেখাবেন—যাতে শিশুরা ছোটবেলা থেকেই সংগীত ও শিল্পের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে।

সৌদি আরব সরকার শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশের অংশ হিসেবে বিদ্যালয় পর্যায়ে সংগীত শিক্ষা চালু করতে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে দেশটির শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে সংগীত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে হাজারো শিক্ষককে। বিশেষ করে, কিন্ডারগার্টেন ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নারী শিক্ষকদের।
সৌদি গণমাধ্যম জানিয়েছে, ২০২২ সালের শেষ দিকে দুই মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে মিউজিক কমিশন কর্তৃক পরিচালিত একটি কর্মসূচি শুরু হয়েছিল। এর লক্ষ্য ছিল সংগীত শেখানোর দক্ষতা বাড়ানো এবং সংগীত শিক্ষক গড়ে তোলা। প্রথম ধাপে ১২ হাজারেরও বেশি নারী শিক্ষক সরকারি ও বেসরকারি কিন্ডারগার্টেনে প্রশিক্ষণ নেন।
এবার শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ধাপ—যেখানে আরও ১৭ হাজার নারী শিক্ষককে সংগীত শিক্ষার পেশাগত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি মূলত একটি ‘সাংস্কৃতিক দক্ষতা উন্নয়ন কৌশলের’ অংশ, যার মাধ্যমে শিশুদের প্রাথমিক বয়স থেকেই সংগীত ও শিল্পের সঙ্গে পরিচিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে সৌদি সরকার।
গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—সংগীত শেখানোর এই উদ্যোগ সৌদি শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যৌথ নীতি অনুসারে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর লক্ষ্য হলো—সংগীত ও অন্যান্য শিল্পকে ক্রমান্বয়ে বিদ্যালয়ের মূল পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে সৌদি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় রিয়াদের কিং সৌদ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম আর্টস কলেজ প্রতিষ্ঠা করে, যেখানে শিল্পকলার পাশাপাশি সংগীত বিষয়ে গবেষণা ও উদ্ভাবনের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে সেখানে উচ্চশিক্ষার সুযোগও দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে ২০২০ সালে সৌদি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘মিউজিক কমিশন’ গঠন করা হয়, যার কাজ হলো সংগীত খাতের বিকাশ তদারকি করা, সংগীত শিক্ষায় সমান সুযোগ নিশ্চিত করা, তরুণ প্রতিভাদের উৎসাহিত করা এবং সংগীতকে দেশের অর্থনীতির অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সৌদি আরব দ্রুত পরিবর্তনের পথে। দেশে এখন নিয়মিত আয়োজন করা হচ্ছে কনসার্ট, সিনেমা প্রদর্শনী, নাট্য উৎসব ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। শিল্প ও বিনোদনের এই উত্থান দেশের সামাজিক পরিবর্তনের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
সংগীত শিক্ষকদের দায়িত্ব কী হবে
নতুন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা মূলত কিন্ডারগার্টেন ও প্রাথমিক পর্যায়ের শিশুদের জন্য সংগীত শিক্ষা পরিচালনা করবেন। তাঁরা গান, তাল-লয়, বাদ্যযন্ত্রের মৌলিক ধারণা এবং স্থানীয় লোকসংগীত শেখাবেন—যাতে শিশুরা ছোটবেলা থেকেই সংগীত ও শিল্পের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন স্টারবাকসের কাপেও রাজনীতি ঢুকে পড়েছে। দেশজুড়ে স্টারবাকসের যেকোনো শাখায় গিয়ে আপনি চাইলে ‘লিঁ জে-মিউং’ বা ‘কিম মুন-সু’ নাম দিয়ে কফি অর্ডার করতে পারবেন না—কারণ এটি এখন নিষিদ্ধ। দেশটির আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে স্টারবাকস ঘোষণা দিয়েছে, তারা নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ছয় প্রেসিডেন্ট
২৫ মে ২০২৫
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সকাল ৬টা থেকে খোলা হয়েছে ভোটকেন্দ্র, যা খোলা থাকবে রাত ৯টা পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত)।
৩১ মিনিট আগে
খ্রিষ্টানদের একমাত্র ত্রাণকর্তা যিশু—কুমারী মেরি এতে কোনো ভূমিকা রাখেননি বলে ঘোষণা দিয়েছে ভ্যাটিকান। পোপ লিওর অনুমোদনে প্রকাশিত এক নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে ১৪০ কোটি ক্যাথলিক খ্রিষ্টানের উচিত নয় কুমারী মেরিকে ‘সহমুক্তিদাতা’ (co-redeemer) বলে সম্বোধন করা।
১ ঘণ্টা আগে
হামাসের হামলার পর ভারতের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা ভুলব না—ওই ভয়াবহ দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই ছিলেন প্রথম বিশ্বনেতা, যিনি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে ফোন করেছিলেন। ভারত আমাদের পাশে ছিল এবং আমরা তা স্মরণে রাখব।’
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সকাল ৬টা থেকে খোলা হয়েছে ভোটকেন্দ্র, যা খোলা থাকবে রাত ৯টা পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত)।
নির্বাচনের আগের রাত থেকেই মেয়র প্রার্থীরা শেষ মুহূর্তের প্রচারে সরব হয়ে উঠেছেন। নিউইয়র্কের রাজনীতিতে ভিন্নধর্মী প্রচারণার জন্য পরিচিত প্রার্থী জো মামদানি এবং সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো—দুজনই সামাজিক মাধ্যমে ভোটারদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
কুমো এক আন্তরিক বার্তায় ভোটারদের উদ্দেশে লিখেছেন, ‘আমি আপনাদের ভোট চাই—অভিজ্ঞতার পক্ষে ভোট দিন, পরিবর্তনের জন্য ভোট দিন, জননিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সুযোগের পক্ষে ভোট দিন। নিউইয়র্ক পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নগরী, আসুন আমরা একসঙ্গে তাকে আবার উজ্জ্বল করে তুলি।’
অন্যদিকে মামদানি প্রচারে ভিন্নধর্মী পথ বেছে নিয়েছেন। নিজের যোগ্যতার কথা না বলে তিনি সামাজিক মাধ্যমে একটি সৃজনশীল ভিডিও পোস্ট করেছেন—যেখানে একটি ফুল ফুটে উঠছে, আর সেই ফুলের ভেতর থেকে তার মুখ ভেসে উঠছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা ছিল—‘ভোটকেন্দ্র এখন খোলা।’ সঙ্গে দেওয়া হয়েছে ভোটকেন্দ্রের অবস্থান জানার লিংক।
এই ভিন্ন প্রচারণা তাঁদের দুজনের রাজনৈতিক দর্শন ও প্রচার কৌশলের পার্থক্যকে আরও স্পষ্ট করে তুলেছে। কুমো যেখানে অভিজ্ঞতা ও নিরাপত্তাকে সামনে আনছেন, মামদানি সেখানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তরুণ ভোটারদের অংশগ্রহণে জোর দিচ্ছেন।
এই নির্বাচনের রিপাবলিকান মনোনীত অপর প্রার্থী হলেন কার্টিস স্লিউয়া। তিনি ১৯৭৯ সালে ’গার্ডিয়ান অ্যাঞ্জেলস’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী অপরাধ দমনকারী সংগঠনের নেতা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। এই সংগঠনটি নিউইয়র্ক সিটির সাবওয়ে ব্যবস্থায় টহল দেওয়ার মাধ্যমে ব্যাপকভাবে পরিচিতি পায়।
এদিকে নির্বাচনের দিন শহরজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রায় ৮৫ লাখ মানুষের এই মহানগর যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনবহুল এবং ঘনবসতিপূর্ণ শহর। ম্যানহাটন, ব্রুকলিন, কুইন্স, দ্য ব্রঙ্কস ও স্ট্যাটেন আইল্যান্ড—এই এলাকাগুলো মিলেই নিউইয়র্ক সিটি গঠিত।
মঙ্গলবার চূড়ান্ত ভোট অনুষ্ঠিত হলেও এই নির্বাচনের প্রাথমিক ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছিল গত ২৫ অক্টোবর, যা শেষ হয় ২ নভেম্বর। মঙ্গলবারের ভোটের ফলই নির্ধারণ করতে যাচ্ছে আগামী কয়েক বছরের জন্য বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী এই শহরের নেতৃত্ব কে দেবেন।

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সকাল ৬টা থেকে খোলা হয়েছে ভোটকেন্দ্র, যা খোলা থাকবে রাত ৯টা পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত)।
নির্বাচনের আগের রাত থেকেই মেয়র প্রার্থীরা শেষ মুহূর্তের প্রচারে সরব হয়ে উঠেছেন। নিউইয়র্কের রাজনীতিতে ভিন্নধর্মী প্রচারণার জন্য পরিচিত প্রার্থী জো মামদানি এবং সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো—দুজনই সামাজিক মাধ্যমে ভোটারদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
কুমো এক আন্তরিক বার্তায় ভোটারদের উদ্দেশে লিখেছেন, ‘আমি আপনাদের ভোট চাই—অভিজ্ঞতার পক্ষে ভোট দিন, পরিবর্তনের জন্য ভোট দিন, জননিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সুযোগের পক্ষে ভোট দিন। নিউইয়র্ক পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নগরী, আসুন আমরা একসঙ্গে তাকে আবার উজ্জ্বল করে তুলি।’
অন্যদিকে মামদানি প্রচারে ভিন্নধর্মী পথ বেছে নিয়েছেন। নিজের যোগ্যতার কথা না বলে তিনি সামাজিক মাধ্যমে একটি সৃজনশীল ভিডিও পোস্ট করেছেন—যেখানে একটি ফুল ফুটে উঠছে, আর সেই ফুলের ভেতর থেকে তার মুখ ভেসে উঠছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা ছিল—‘ভোটকেন্দ্র এখন খোলা।’ সঙ্গে দেওয়া হয়েছে ভোটকেন্দ্রের অবস্থান জানার লিংক।
এই ভিন্ন প্রচারণা তাঁদের দুজনের রাজনৈতিক দর্শন ও প্রচার কৌশলের পার্থক্যকে আরও স্পষ্ট করে তুলেছে। কুমো যেখানে অভিজ্ঞতা ও নিরাপত্তাকে সামনে আনছেন, মামদানি সেখানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তরুণ ভোটারদের অংশগ্রহণে জোর দিচ্ছেন।
এই নির্বাচনের রিপাবলিকান মনোনীত অপর প্রার্থী হলেন কার্টিস স্লিউয়া। তিনি ১৯৭৯ সালে ’গার্ডিয়ান অ্যাঞ্জেলস’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী অপরাধ দমনকারী সংগঠনের নেতা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। এই সংগঠনটি নিউইয়র্ক সিটির সাবওয়ে ব্যবস্থায় টহল দেওয়ার মাধ্যমে ব্যাপকভাবে পরিচিতি পায়।
এদিকে নির্বাচনের দিন শহরজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রায় ৮৫ লাখ মানুষের এই মহানগর যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনবহুল এবং ঘনবসতিপূর্ণ শহর। ম্যানহাটন, ব্রুকলিন, কুইন্স, দ্য ব্রঙ্কস ও স্ট্যাটেন আইল্যান্ড—এই এলাকাগুলো মিলেই নিউইয়র্ক সিটি গঠিত।
মঙ্গলবার চূড়ান্ত ভোট অনুষ্ঠিত হলেও এই নির্বাচনের প্রাথমিক ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছিল গত ২৫ অক্টোবর, যা শেষ হয় ২ নভেম্বর। মঙ্গলবারের ভোটের ফলই নির্ধারণ করতে যাচ্ছে আগামী কয়েক বছরের জন্য বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী এই শহরের নেতৃত্ব কে দেবেন।

দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন স্টারবাকসের কাপেও রাজনীতি ঢুকে পড়েছে। দেশজুড়ে স্টারবাকসের যেকোনো শাখায় গিয়ে আপনি চাইলে ‘লিঁ জে-মিউং’ বা ‘কিম মুন-সু’ নাম দিয়ে কফি অর্ডার করতে পারবেন না—কারণ এটি এখন নিষিদ্ধ। দেশটির আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে স্টারবাকস ঘোষণা দিয়েছে, তারা নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ছয় প্রেসিডেন্ট
২৫ মে ২০২৫
সৌদি আরব সরকার শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশের অংশ হিসেবে বিদ্যালয় পর্যায়ে সংগীত শিক্ষা চালু করতে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে দেশটির শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে সংগীত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে হাজারো শিক্ষককে।
৬ মিনিট আগে
খ্রিষ্টানদের একমাত্র ত্রাণকর্তা যিশু—কুমারী মেরি এতে কোনো ভূমিকা রাখেননি বলে ঘোষণা দিয়েছে ভ্যাটিকান। পোপ লিওর অনুমোদনে প্রকাশিত এক নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে ১৪০ কোটি ক্যাথলিক খ্রিষ্টানের উচিত নয় কুমারী মেরিকে ‘সহমুক্তিদাতা’ (co-redeemer) বলে সম্বোধন করা।
১ ঘণ্টা আগে
হামাসের হামলার পর ভারতের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা ভুলব না—ওই ভয়াবহ দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই ছিলেন প্রথম বিশ্বনেতা, যিনি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে ফোন করেছিলেন। ভারত আমাদের পাশে ছিল এবং আমরা তা স্মরণে রাখব।’
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

খ্রিষ্টানদের একমাত্র ত্রাণকর্তা যিশু—কুমারী মেরি এতে কোনো ভূমিকা রাখেননি বলে ঘোষণা দিয়েছে ভ্যাটিকান সিটি। পোপ লিওর অনুমোদনে প্রকাশিত এক নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে ১৪০ কোটি ক্যাথলিক খ্রিষ্টানের উচিত নয় মাতা মেরিকে ‘সহমুক্তিদাতা’ (co-redeemer) বলে সম্বোধন করা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ মঙ্গলবার ভ্যাটিকানের ‘শীর্ষ মতবাদ দপ্তর’ পোপ লিওর সম্মতিতে এ ডিক্রি বা নির্দেশনা জারি করে।
প্রসঙ্গত, ভ্যাটিকানের শীর্ষ মতবাদ দপ্তর হলো ধর্মীয় মতবাদের ‘ডিকাস্ট্রি’। এই ‘ডিকাস্ট্রি’ (Dicastery) ভ্যাটিকান সিটির একটি প্রশাসনিক বিভাগ, যা রোমান ক্যাথলিক চার্চের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি মূলত একটি মন্ত্রণালয়ের মতো কাজ করে, যা নির্দিষ্ট কিছু বিষয় যেমন—ধর্মীয় সংলাপ, মানব উন্নয়ন বা যোগাযোগের মতো বিষয়গুলো পরিচালনা ও দেখাশোনা করে।
আজ পোপ লিওর নির্দেশনায় বলা হয়, মাতা মেরির জন্য এই উপাধি ব্যবহার উপযুক্ত নয়...এটি খ্রিষ্টান বিশ্বাসের মূল সত্যগুলোর মধ্যে বিভ্রান্তি ও ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করতে পারে।
ক্যাথলিক বিশ্বাস অনুযায়ী, যিশু তাঁর ক্রুশবিদ্ধ হওয়া ও মৃত্যুর মাধ্যমে মানবজাতিকে মুক্তি দিয়েছিলেন। তবে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে পণ্ডিতদের মধ্যে বিতর্ক ছিল—মাতা মেরি যিশুর এই মুক্তির কাজে কোনোভাবে অংশ নিয়েছিলেন কি না।
এই প্রশ্নে চার্চের ভেতরে দীর্ঘদিন মতবিরোধ ছিল। সর্বশেষ নির্দেশনার মাধ্যমে ভ্যাটিকান আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিল—যিশুই বিশ্বের একমাত্র ত্রাণকর্তা।
প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিস মেরিকে ‘সহমুক্তিদাতা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি বলেছিলেন, মাতা মেরি কখনোই তাঁর ছেলের কাছ থেকে নিজের জন্য কিছু নিতে চাননি। এ ধারণা একেবারেই নির্বুদ্ধিতা।
পোপ ফ্রান্সিসের পূর্বসূরি পোপ বেনেডিক্ট ষোড়শও একই অবস্থান নিয়েছিলেন। তবে জন পল দ্বিতীয় প্রথম দিকে এই উপাধিকে সমর্থন করেছিলেন। কিন্তু নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি মতবাদ দপ্তর ‘সংশয়’ প্রকাশ করার পর তিনি প্রকাশ্যে এই উপাধি ব্যবহার করা বন্ধ করে দেন।
ভ্যাটিকানের নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যিশুর মা হিসেবে মেরির ভূমিকা বিশেষ, তবে তিনি ত্রাণকর্ত্রী নন—বরং ঈশ্বর ও মানবজাতির মধ্যে এক মধ্যস্থতাকারী। নির্দেশনায় বলা হয়, মেরি যিশুর জন্ম দিয়ে ‘মানবজাতির প্রতীক্ষিত মুক্তির দ্বার উন্মুক্ত করেছিলেন’।
বাইবেল অনুসারে, দেবদূত যখন মেরিকে জানান যে, তিনি গর্ভবতী হতে চলেছেন, মেরির উত্তর ছিল—‘তা-ই হোক।’

খ্রিষ্টানদের একমাত্র ত্রাণকর্তা যিশু—কুমারী মেরি এতে কোনো ভূমিকা রাখেননি বলে ঘোষণা দিয়েছে ভ্যাটিকান সিটি। পোপ লিওর অনুমোদনে প্রকাশিত এক নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে ১৪০ কোটি ক্যাথলিক খ্রিষ্টানের উচিত নয় মাতা মেরিকে ‘সহমুক্তিদাতা’ (co-redeemer) বলে সম্বোধন করা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ মঙ্গলবার ভ্যাটিকানের ‘শীর্ষ মতবাদ দপ্তর’ পোপ লিওর সম্মতিতে এ ডিক্রি বা নির্দেশনা জারি করে।
প্রসঙ্গত, ভ্যাটিকানের শীর্ষ মতবাদ দপ্তর হলো ধর্মীয় মতবাদের ‘ডিকাস্ট্রি’। এই ‘ডিকাস্ট্রি’ (Dicastery) ভ্যাটিকান সিটির একটি প্রশাসনিক বিভাগ, যা রোমান ক্যাথলিক চার্চের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি মূলত একটি মন্ত্রণালয়ের মতো কাজ করে, যা নির্দিষ্ট কিছু বিষয় যেমন—ধর্মীয় সংলাপ, মানব উন্নয়ন বা যোগাযোগের মতো বিষয়গুলো পরিচালনা ও দেখাশোনা করে।
আজ পোপ লিওর নির্দেশনায় বলা হয়, মাতা মেরির জন্য এই উপাধি ব্যবহার উপযুক্ত নয়...এটি খ্রিষ্টান বিশ্বাসের মূল সত্যগুলোর মধ্যে বিভ্রান্তি ও ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করতে পারে।
ক্যাথলিক বিশ্বাস অনুযায়ী, যিশু তাঁর ক্রুশবিদ্ধ হওয়া ও মৃত্যুর মাধ্যমে মানবজাতিকে মুক্তি দিয়েছিলেন। তবে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে পণ্ডিতদের মধ্যে বিতর্ক ছিল—মাতা মেরি যিশুর এই মুক্তির কাজে কোনোভাবে অংশ নিয়েছিলেন কি না।
এই প্রশ্নে চার্চের ভেতরে দীর্ঘদিন মতবিরোধ ছিল। সর্বশেষ নির্দেশনার মাধ্যমে ভ্যাটিকান আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিল—যিশুই বিশ্বের একমাত্র ত্রাণকর্তা।
প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিস মেরিকে ‘সহমুক্তিদাতা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি বলেছিলেন, মাতা মেরি কখনোই তাঁর ছেলের কাছ থেকে নিজের জন্য কিছু নিতে চাননি। এ ধারণা একেবারেই নির্বুদ্ধিতা।
পোপ ফ্রান্সিসের পূর্বসূরি পোপ বেনেডিক্ট ষোড়শও একই অবস্থান নিয়েছিলেন। তবে জন পল দ্বিতীয় প্রথম দিকে এই উপাধিকে সমর্থন করেছিলেন। কিন্তু নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি মতবাদ দপ্তর ‘সংশয়’ প্রকাশ করার পর তিনি প্রকাশ্যে এই উপাধি ব্যবহার করা বন্ধ করে দেন।
ভ্যাটিকানের নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যিশুর মা হিসেবে মেরির ভূমিকা বিশেষ, তবে তিনি ত্রাণকর্ত্রী নন—বরং ঈশ্বর ও মানবজাতির মধ্যে এক মধ্যস্থতাকারী। নির্দেশনায় বলা হয়, মেরি যিশুর জন্ম দিয়ে ‘মানবজাতির প্রতীক্ষিত মুক্তির দ্বার উন্মুক্ত করেছিলেন’।
বাইবেল অনুসারে, দেবদূত যখন মেরিকে জানান যে, তিনি গর্ভবতী হতে চলেছেন, মেরির উত্তর ছিল—‘তা-ই হোক।’

দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন স্টারবাকসের কাপেও রাজনীতি ঢুকে পড়েছে। দেশজুড়ে স্টারবাকসের যেকোনো শাখায় গিয়ে আপনি চাইলে ‘লিঁ জে-মিউং’ বা ‘কিম মুন-সু’ নাম দিয়ে কফি অর্ডার করতে পারবেন না—কারণ এটি এখন নিষিদ্ধ। দেশটির আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে স্টারবাকস ঘোষণা দিয়েছে, তারা নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ছয় প্রেসিডেন্ট
২৫ মে ২০২৫
সৌদি আরব সরকার শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশের অংশ হিসেবে বিদ্যালয় পর্যায়ে সংগীত শিক্ষা চালু করতে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে দেশটির শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে সংগীত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে হাজারো শিক্ষককে।
৬ মিনিট আগে
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সকাল ৬টা থেকে খোলা হয়েছে ভোটকেন্দ্র, যা খোলা থাকবে রাত ৯টা পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত)।
৩১ মিনিট আগে
হামাসের হামলার পর ভারতের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা ভুলব না—ওই ভয়াবহ দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই ছিলেন প্রথম বিশ্বনেতা, যিনি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে ফোন করেছিলেন। ভারত আমাদের পাশে ছিল এবং আমরা তা স্মরণে রাখব।’
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতকে একটি ‘বৈশ্বিক পরাশক্তি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিওন সার। তিনি বলেছেন, ভারত-ইসরায়েল সম্পর্ক এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি ‘অধিক দৃঢ়’। আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক প্রতিরক্ষা, উদ্ভাবন, বাণিজ্য থেকে শুরু করে সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতার মতো নানা ক্ষেত্রে বিস্তৃত।
সম্প্রতি, ভারত সফরকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকের পর এনডিটিভিকে দেওয়া একমাত্র সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিওন সার।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ভারতের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা ভুলব না—ওই ভয়াবহ দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই ছিলেন প্রথম বিশ্বনেতা, যিনি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে ফোন করেছিলেন। ভারত আমাদের পাশে ছিল এবং আমরা তা স্মরণে রাখব।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিওন বলেন, ‘আমরা ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করছি। ভারতের বন্ধুত্বের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।’ তিনি জানান, দুই দেশ শিগগিরই প্রতিরক্ষা সহযোগিতা-বিষয়ক একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
গাজা ইস্যুতে শান্তি আলোচনার স্থবিরতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনাকে একমাত্র বাস্তব কাঠামো হিসেবে ধরে রাখা। এটি ধাপে ধাপে বাস্তবায়নযোগ্য ও বাস্তবসম্মত একটি পরিকল্পনা। বিশ্বের অনেক দেশ যখন এই পরিকল্পনা থেকে সরে যেতে চাইছে, তখন ভারত বৈশ্বিক পরাশক্তি হিসেবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’
দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান প্রসঙ্গে সার বলেন, ‘বর্তমানে এমন একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব নয়, যা আমাদের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলবে।’ তিনি দাবি করেন, মধ্যপ্রাচ্যে এখনো গাজা, লেবানন ও ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ সক্রিয়।
তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পরিকল্পনা বলছে না যে অবশ্যই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র থাকতে হবে—এই বিষয়টি পরিস্থিতি-নির্ভর। অতীতের ভুল থেকে আমরা শিক্ষা নিয়েছি এবং তার পুনরাবৃত্তি করব না।’
হামাস প্রসঙ্গে ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হামাসের সামরিক ক্ষমতা ধ্বংস করা এবং গাজায় তাদের শাসনের অবসান ঘটানো। হামাস আজও প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রকাশ্যে হত্যা করে ভয় ছড়াচ্ছে। আমরা চাই গাজায় অন্য প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে উঠুক—যাতে এই সন্ত্রাসী শাসনের চিরতরে ইতি টানা যায়।’
গিডিওন সার বলেন, ভারত ও ইসরায়েল ‘একই রকম বেদনা ও অভিজ্ঞতা’ বহন করে। তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ এখন সর্বত্র। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভারতের মানুষও এর ভয়াবহতা জানে। আমরা লস্কর-ই-তাইয়েবার মতো সংগঠনকে সন্ত্রাসী ঘোষণা করেছি এবং গোয়েন্দা, প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা খাতে পরস্পরকে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করছি।’
ইসরায়েলি মন্ত্রী আরও জানান, দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা বিনিময়ের নতুন কাঠামো তৈরি হচ্ছে, যা উভয়ের মধ্যে ‘বাস্তব কৌশলগত অংশীদারত্ব’ প্রতিফলিত করছে।
অর্থনীতি ও যোগাযোগ নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে গিডিওন সার বলেন, ‘ইসরায়েল “ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডর” পুনরায় সক্রিয় করতে প্রস্তুত। যুদ্ধের কারণে প্রকল্পটি কিছুদিন স্থগিত ছিল, তবে আমরা আবার এটি এগিয়ে নিতে প্রস্তুত।’
হাইফা বন্দরে আদানি গ্রুপের বিনিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের পারস্পরিক আস্থার প্রতীক। ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা আমাদের দেশ ও এখানে হওয়া বিনিয়োগকে সুরক্ষা দেয়। আমরা আদানির বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই—এটি দুই দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরও বলেন, ভারত ও ইসরায়েলের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালুর মাধ্যমে পর্যটন, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানে নতুন গতি আসবে।
সাক্ষাৎকারের শেষ অংশে গিডিওন সার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদি ও নেতানিয়াহুর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতাকে আরও গভীর করছে। তাদের আলোচনা সব সময় খোলামেলা ও কৌশলগত বিষয়কেন্দ্রিক। আমি আশা করি, তাঁরা শিগগিরই সাক্ষাৎ করবেন।’

ভারতকে একটি ‘বৈশ্বিক পরাশক্তি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিওন সার। তিনি বলেছেন, ভারত-ইসরায়েল সম্পর্ক এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি ‘অধিক দৃঢ়’। আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক প্রতিরক্ষা, উদ্ভাবন, বাণিজ্য থেকে শুরু করে সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতার মতো নানা ক্ষেত্রে বিস্তৃত।
সম্প্রতি, ভারত সফরকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকের পর এনডিটিভিকে দেওয়া একমাত্র সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিওন সার।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ভারতের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা ভুলব না—ওই ভয়াবহ দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই ছিলেন প্রথম বিশ্বনেতা, যিনি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে ফোন করেছিলেন। ভারত আমাদের পাশে ছিল এবং আমরা তা স্মরণে রাখব।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিওন বলেন, ‘আমরা ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করছি। ভারতের বন্ধুত্বের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।’ তিনি জানান, দুই দেশ শিগগিরই প্রতিরক্ষা সহযোগিতা-বিষয়ক একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
গাজা ইস্যুতে শান্তি আলোচনার স্থবিরতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনাকে একমাত্র বাস্তব কাঠামো হিসেবে ধরে রাখা। এটি ধাপে ধাপে বাস্তবায়নযোগ্য ও বাস্তবসম্মত একটি পরিকল্পনা। বিশ্বের অনেক দেশ যখন এই পরিকল্পনা থেকে সরে যেতে চাইছে, তখন ভারত বৈশ্বিক পরাশক্তি হিসেবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’
দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান প্রসঙ্গে সার বলেন, ‘বর্তমানে এমন একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব নয়, যা আমাদের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলবে।’ তিনি দাবি করেন, মধ্যপ্রাচ্যে এখনো গাজা, লেবানন ও ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ সক্রিয়।
তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পরিকল্পনা বলছে না যে অবশ্যই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র থাকতে হবে—এই বিষয়টি পরিস্থিতি-নির্ভর। অতীতের ভুল থেকে আমরা শিক্ষা নিয়েছি এবং তার পুনরাবৃত্তি করব না।’
হামাস প্রসঙ্গে ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হামাসের সামরিক ক্ষমতা ধ্বংস করা এবং গাজায় তাদের শাসনের অবসান ঘটানো। হামাস আজও প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রকাশ্যে হত্যা করে ভয় ছড়াচ্ছে। আমরা চাই গাজায় অন্য প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে উঠুক—যাতে এই সন্ত্রাসী শাসনের চিরতরে ইতি টানা যায়।’
গিডিওন সার বলেন, ভারত ও ইসরায়েল ‘একই রকম বেদনা ও অভিজ্ঞতা’ বহন করে। তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ এখন সর্বত্র। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভারতের মানুষও এর ভয়াবহতা জানে। আমরা লস্কর-ই-তাইয়েবার মতো সংগঠনকে সন্ত্রাসী ঘোষণা করেছি এবং গোয়েন্দা, প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা খাতে পরস্পরকে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করছি।’
ইসরায়েলি মন্ত্রী আরও জানান, দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা বিনিময়ের নতুন কাঠামো তৈরি হচ্ছে, যা উভয়ের মধ্যে ‘বাস্তব কৌশলগত অংশীদারত্ব’ প্রতিফলিত করছে।
অর্থনীতি ও যোগাযোগ নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে গিডিওন সার বলেন, ‘ইসরায়েল “ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডর” পুনরায় সক্রিয় করতে প্রস্তুত। যুদ্ধের কারণে প্রকল্পটি কিছুদিন স্থগিত ছিল, তবে আমরা আবার এটি এগিয়ে নিতে প্রস্তুত।’
হাইফা বন্দরে আদানি গ্রুপের বিনিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের পারস্পরিক আস্থার প্রতীক। ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা আমাদের দেশ ও এখানে হওয়া বিনিয়োগকে সুরক্ষা দেয়। আমরা আদানির বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই—এটি দুই দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরও বলেন, ভারত ও ইসরায়েলের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালুর মাধ্যমে পর্যটন, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানে নতুন গতি আসবে।
সাক্ষাৎকারের শেষ অংশে গিডিওন সার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদি ও নেতানিয়াহুর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতাকে আরও গভীর করছে। তাদের আলোচনা সব সময় খোলামেলা ও কৌশলগত বিষয়কেন্দ্রিক। আমি আশা করি, তাঁরা শিগগিরই সাক্ষাৎ করবেন।’

দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন স্টারবাকসের কাপেও রাজনীতি ঢুকে পড়েছে। দেশজুড়ে স্টারবাকসের যেকোনো শাখায় গিয়ে আপনি চাইলে ‘লিঁ জে-মিউং’ বা ‘কিম মুন-সু’ নাম দিয়ে কফি অর্ডার করতে পারবেন না—কারণ এটি এখন নিষিদ্ধ। দেশটির আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে স্টারবাকস ঘোষণা দিয়েছে, তারা নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ছয় প্রেসিডেন্ট
২৫ মে ২০২৫
সৌদি আরব সরকার শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশের অংশ হিসেবে বিদ্যালয় পর্যায়ে সংগীত শিক্ষা চালু করতে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে দেশটির শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে সংগীত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে হাজারো শিক্ষককে।
৬ মিনিট আগে
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সকাল ৬টা থেকে খোলা হয়েছে ভোটকেন্দ্র, যা খোলা থাকবে রাত ৯টা পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত)।
৩১ মিনিট আগে
খ্রিষ্টানদের একমাত্র ত্রাণকর্তা যিশু—কুমারী মেরি এতে কোনো ভূমিকা রাখেননি বলে ঘোষণা দিয়েছে ভ্যাটিকান। পোপ লিওর অনুমোদনে প্রকাশিত এক নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে ১৪০ কোটি ক্যাথলিক খ্রিষ্টানের উচিত নয় কুমারী মেরিকে ‘সহমুক্তিদাতা’ (co-redeemer) বলে সম্বোধন করা।
১ ঘণ্টা আগে