অনলাইন ডেস্ক
দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন স্টারবাকসের কাপেও রাজনীতি ঢুকে পড়েছে। দেশজুড়ে স্টারবাকসের যেকোনো শাখায় গিয়ে আপনি চাইলে ‘লিঁ জে-মিউং’ বা ‘কিম মুন-সু’ নাম দিয়ে কফি অর্ডার করতে পারবেন না—কারণ এটি এখন নিষিদ্ধ। দেশটির আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে স্টারবাকস ঘোষণা দিয়েছে, তারা নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ছয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর নাম গ্রাহকদের কফি অর্ডারে ব্যবহার করতে দেবে না। এই নিষেধাজ্ঞা ৩ জুনের নির্বাচনের পর তুলে নেওয়া হবে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও তারকাদের নিরপেক্ষ ভাবমূর্তি বজায় রাখা দীর্ঘদিনের প্রচলন। তবে সদ্য অপসারিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের পদত্যাগপরবর্তী বিভাজনের পরিপ্রেক্ষিতে এবার সেটা আরও গুরুত্ব পেয়েছে।
সম্প্রতি কিছু গ্রাহক মোবাইল অ্যাপে কফি অর্ডার দেওয়ার সময় ‘ইউন সুক ইওলকে গ্রেপ্তার করো’ কিংবা ‘লিঁ জে-মিউং একজন গুপ্তচর’ এমন সব মন্তব্য নিজের নাম হিসেবে বসাচ্ছিলেন। কফি তৈরি হলে নিয়ম অনুযায়ী নাম ধরে বারিস্তারা (কফি হাউসের কর্মচারী) ডাকতেন। এতে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছিল।
স্টারবাকস জানায়, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, প্রতিটি গ্রাহকের জন্য আমাদের কফি হাউসে একটি ইতিবাচক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা। তাই নির্বাচনের সময় প্রার্থীদের নাম বা সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক বার্তা যাতে ভুলভাবে ব্যাখ্যা না হয়, সে জন্য এগুলো সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’ তবে অনেকেই বিষয়টিকে অতিরিক্ত সংবেদনশীলতার নজির বলেই মনে করছেন।
৩৩ বছর বয়সী জ্যাং হে-মি বলেন, ‘মানুষ খুব বেশি সেনসিটিভ হয়ে পড়েছে। কারও আসল নাম যদি কোনো প্রার্থীর সঙ্গে মিলে যায়, তাহলে কী করবে?’
স্টারবাকসের নিয়মিত গ্রাহক ২৭ বছর বয়সী জি সিয়ক-বিন বলেন, ‘বিষয়টি তুচ্ছ, তবে দেশের রাজনৈতিক উত্তেজনার কথা বিবেচনায় নিয়ে আমি বুঝতে পারি কেন তারা এটা করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইউনের অভিশংসনের পর রাজনীতি নিয়ে কথা বলা ছেড়ে দিয়েছি। এখন মনে হয়, আলোচনা নয়, বিতর্কই হয় বেশি।’
এমনকি দেশের শীর্ষ সার্চ ইঞ্জিন নেভারও নির্বাচনের সময় প্রার্থীদের নিয়ে অটো কমপ্লিট বা সাজেশন বন্ধ রাখছে। গুগলে খুঁজলে এখনো লিঁ জে-মিউংয়ের পাশে ‘মামলা’ শব্দটি উঠে আসে। অপর প্রার্থী কিম মুন-সুর ক্ষেত্রে উঠে আসে ‘রূপান্তর’, কারণ, তিনি একসময় শ্রমিক আন্দোলনে যুক্ত থাকলেও এখন রক্ষণশীল রাজনীতিবিদ।
এমনকি দেশের তারকারাও রীতিমতো সতর্ক থাকেন। তাঁরা লাল বা নীল জামা (যেগুলো রক্ষণশীল পিপলস পাওয়ার পার্টি ও উদারপন্থী ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতীক) পড়া থেকেও বিরত থাকেন।
২০২২ সালের নির্বাচনে কে-পপ তারকা সুপার জুনিয়র কিম হি-চুল লাল স্লিপার আর গোলাপি মাস্ক পরে থাকার কারণে তাঁকে রক্ষণশীল দলের সমর্থক বলে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। গত বছর জনপ্রিয় কায়োটে ব্যান্ডের শিল্পী শিনজি একটি সাদাকালো জিম সেলফি পোস্ট করে বলেন, ‘আমার ট্রাউজারের রং দেখে ছবিটা সাদাকালো করেছি।’
এমনকি মেকআপ আর্টিস্টরাও রাজনৈতিক প্রতীক থেকে দূরে থাকছেন। একজন অভিজ্ঞ মেকআপ আর্টিস্ট বলেন, ‘আমরা নিরপেক্ষ রং, যেমন, কালো, সাদা বা ধূসরই ব্যবহার করি।’ এ ছাড়া ফটোতে কেউ ‘ভি’ চিহ্ন দেখালেও তা নম্বর ২ হিসেবে ধরে নেওয়া হয়, কারণ, অনেকে এই চিহ্নকে নির্দিষ্ট প্রার্থীর নম্বর মনে করতে পারে।
ডুকসাং উইমেন্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. চো জিন-মান বলেন, বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করাও এখন চ্যালেঞ্জ। তাই অনেকেই চুপ থাকার পথ বেছে নিচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন স্টারবাকসের কাপেও রাজনীতি ঢুকে পড়েছে। দেশজুড়ে স্টারবাকসের যেকোনো শাখায় গিয়ে আপনি চাইলে ‘লিঁ জে-মিউং’ বা ‘কিম মুন-সু’ নাম দিয়ে কফি অর্ডার করতে পারবেন না—কারণ এটি এখন নিষিদ্ধ। দেশটির আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে স্টারবাকস ঘোষণা দিয়েছে, তারা নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ছয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর নাম গ্রাহকদের কফি অর্ডারে ব্যবহার করতে দেবে না। এই নিষেধাজ্ঞা ৩ জুনের নির্বাচনের পর তুলে নেওয়া হবে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও তারকাদের নিরপেক্ষ ভাবমূর্তি বজায় রাখা দীর্ঘদিনের প্রচলন। তবে সদ্য অপসারিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের পদত্যাগপরবর্তী বিভাজনের পরিপ্রেক্ষিতে এবার সেটা আরও গুরুত্ব পেয়েছে।
সম্প্রতি কিছু গ্রাহক মোবাইল অ্যাপে কফি অর্ডার দেওয়ার সময় ‘ইউন সুক ইওলকে গ্রেপ্তার করো’ কিংবা ‘লিঁ জে-মিউং একজন গুপ্তচর’ এমন সব মন্তব্য নিজের নাম হিসেবে বসাচ্ছিলেন। কফি তৈরি হলে নিয়ম অনুযায়ী নাম ধরে বারিস্তারা (কফি হাউসের কর্মচারী) ডাকতেন। এতে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছিল।
স্টারবাকস জানায়, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, প্রতিটি গ্রাহকের জন্য আমাদের কফি হাউসে একটি ইতিবাচক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা। তাই নির্বাচনের সময় প্রার্থীদের নাম বা সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক বার্তা যাতে ভুলভাবে ব্যাখ্যা না হয়, সে জন্য এগুলো সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’ তবে অনেকেই বিষয়টিকে অতিরিক্ত সংবেদনশীলতার নজির বলেই মনে করছেন।
৩৩ বছর বয়সী জ্যাং হে-মি বলেন, ‘মানুষ খুব বেশি সেনসিটিভ হয়ে পড়েছে। কারও আসল নাম যদি কোনো প্রার্থীর সঙ্গে মিলে যায়, তাহলে কী করবে?’
স্টারবাকসের নিয়মিত গ্রাহক ২৭ বছর বয়সী জি সিয়ক-বিন বলেন, ‘বিষয়টি তুচ্ছ, তবে দেশের রাজনৈতিক উত্তেজনার কথা বিবেচনায় নিয়ে আমি বুঝতে পারি কেন তারা এটা করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইউনের অভিশংসনের পর রাজনীতি নিয়ে কথা বলা ছেড়ে দিয়েছি। এখন মনে হয়, আলোচনা নয়, বিতর্কই হয় বেশি।’
এমনকি দেশের শীর্ষ সার্চ ইঞ্জিন নেভারও নির্বাচনের সময় প্রার্থীদের নিয়ে অটো কমপ্লিট বা সাজেশন বন্ধ রাখছে। গুগলে খুঁজলে এখনো লিঁ জে-মিউংয়ের পাশে ‘মামলা’ শব্দটি উঠে আসে। অপর প্রার্থী কিম মুন-সুর ক্ষেত্রে উঠে আসে ‘রূপান্তর’, কারণ, তিনি একসময় শ্রমিক আন্দোলনে যুক্ত থাকলেও এখন রক্ষণশীল রাজনীতিবিদ।
এমনকি দেশের তারকারাও রীতিমতো সতর্ক থাকেন। তাঁরা লাল বা নীল জামা (যেগুলো রক্ষণশীল পিপলস পাওয়ার পার্টি ও উদারপন্থী ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতীক) পড়া থেকেও বিরত থাকেন।
২০২২ সালের নির্বাচনে কে-পপ তারকা সুপার জুনিয়র কিম হি-চুল লাল স্লিপার আর গোলাপি মাস্ক পরে থাকার কারণে তাঁকে রক্ষণশীল দলের সমর্থক বলে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। গত বছর জনপ্রিয় কায়োটে ব্যান্ডের শিল্পী শিনজি একটি সাদাকালো জিম সেলফি পোস্ট করে বলেন, ‘আমার ট্রাউজারের রং দেখে ছবিটা সাদাকালো করেছি।’
এমনকি মেকআপ আর্টিস্টরাও রাজনৈতিক প্রতীক থেকে দূরে থাকছেন। একজন অভিজ্ঞ মেকআপ আর্টিস্ট বলেন, ‘আমরা নিরপেক্ষ রং, যেমন, কালো, সাদা বা ধূসরই ব্যবহার করি।’ এ ছাড়া ফটোতে কেউ ‘ভি’ চিহ্ন দেখালেও তা নম্বর ২ হিসেবে ধরে নেওয়া হয়, কারণ, অনেকে এই চিহ্নকে নির্দিষ্ট প্রার্থীর নম্বর মনে করতে পারে।
ডুকসাং উইমেন্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. চো জিন-মান বলেন, বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করাও এখন চ্যালেঞ্জ। তাই অনেকেই চুপ থাকার পথ বেছে নিচ্ছে।
কেনিয়ার মাই-মাহিউ শহরে ১৩ বছর বয়সী শিশুরাও যৌন বাণিজ্যের শিকার—বিবিসি আফ্রিকা আই-এর গোপন অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এমনই এক নির্মম বাস্তবতা। শহরটির অবস্থান একটি ব্যস্ত ট্রানজিট পয়েন্ট। এর ফলে এখানে প্রতিদিন প্রচুর ট্রাক আসা-যাওয়া করে।
৭ মিনিট আগেভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই এর জন্য অভিবাসী, বিশেষ করে ভারতীয় সম্প্রদায়ের মানুষকে দায়ী করছেন। একজন মন্তব্য করেন, ‘গুজরাটি, পাঞ্জাবি, গোয়ানিজরা যুক্তরাজ্যের জন্য এক ঝামেলা। ট্রাম্পের উচিত দ্রুত যুক্তরাজ্য দখল করা।’ আরও একজন লিখেছেন, ‘ভারতের সম্মান নষ্ট করার জন্য অন্য দেশের
১ ঘণ্টা আগেপরিবারের অমতে বিয়ে করায় বিয়ের এক বছর পর গুলি করে হত্যা করা হলো এক পাকিস্তানি দম্পতিকে। গতকাল রোববার পাঞ্জাব প্রদেশের রাজনপুর জেলায় এ ঘটনা ঘটেছে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের তথ্যমতে, নিহত দুজনের নাম সাকলাইন এবং আয়েশা। হত্যাকারী নিহত আয়েশার ভাই বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে ডন। হত্যাকারীকে আটক করা হয়েছে বলে
৩ ঘণ্টা আগেঝাড়খন্ডের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী, আদিবাসী আন্দোলনের অগ্রপথিক এবং ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) প্রধান শিবু সোরেন মারা গেছেন। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা ও কিডনির জটিলতায় দীর্ঘদিন লড়াইয়ের পর আজ সোমবার সকালে দিল্লির গঙ্গা রাম হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
৩ ঘণ্টা আগে