আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিঙ্গাপুরের ব্যস্ততম একটি সড়কে হঠাৎ তৈরি হওয়া এক সুবিশাল গর্তে গাড়ি সমেত পড়ে যান এক নারী। সড়কের পাশে কর্মরত একদল নির্মাণশ্রমিক রীতিমতো ফিল্মি কায়দায় উদ্ধার করেন তাঁকে। গর্তের ভেতর থেকে ওই নারীকে উদ্ধারে শ্রমিকদের সময় লেগেছে পাঁচ মিনিটেরও কম।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৬ জুলাই দুর্ঘটনাটি ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই নির্মাণ শ্রমিকদের ফোরম্যান সুপ্পিয়াহ পিচাই উদাইয়াপ্পান দেরি না করে একটি দড়ি নিয়ে এগিয়ে যান। গর্তের ভেতর ছুড়ে দেন দড়িটি। কোনোমতে গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন চালক ওই নারী। পরে, ওই দড়ি ধরে টেনে তাঁকে ওপরে তোলা হয়। পরে উদাইয়াপ্পান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি প্রচণ্ড ভয় পেয়েছিলাম, কিন্তু আমরা খালি মনে হয়েছিল, যেকোনো মূল্যে ওই নারীকে বাঁচাতে হবে।’
এরই মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল তাঁদের সেই দুঃসাহসিক উদ্ধার অভিযান। অনেকেই তাঁদের ‘হিরো’ আখ্যা দিচ্ছেন। এই শ্রমিকদের সবাই অভিবাসী। উদ্ধারকারী সাত ভারতীয় অভিবাসী শ্রমিককে ব্যক্তিগতভাবে ইস্তানা প্যালেস ওপেন হাউসে আমন্ত্রণ জানাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট থারমান শানমুগরত্নম। এ ছাড়া সিঙ্গাপুরের জনশক্তি মন্ত্রণালয় এই শ্রমিকদের ‘প্রশংসা মুদ্রা’ দিয়ে সম্মানিত করেছে এবং অভিবাসী শ্রমিকদের একটি দাতব্য সংস্থা তাঁদের জন্য ৭২ হাজার সিঙ্গাপুরি ডলার সংগ্রহ করেছে।
দেশটিতে অভিবাসী শ্রমিকদের এমন বীরত্বের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগে চলতি বছর এপ্রিলেও একটি দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বীরত্ব দেখিয়েছে অভিবাসী শ্রমিকেরা। দোকানটিতে আটকা পড়া শিশুদের উদ্ধার করেছেন তাঁরা।
সরকারের এমন স্বীকৃতি সত্ত্বেও, অভিবাসী শ্রমিকেরা কম বেতন, অনিশ্চিত পরিস্থিতি এবং স্থায়ী বসবাসের অধিকার না পাওয়ার মতো বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বহুদিন ধরেই।
এবারের এই ঘটনাটি সিঙ্গাপুরে স্বল্প আয়ের শ্রমিকদের অধিকার এবং তাদের দৈনন্দিন দুর্দশা নিয়ে বহু পুরোনো বিতর্ককে আবারও উসকে দিয়েছে। সিঙ্গাপুরে ১১ লাখ ৭ হাজার অভিবাসী শ্রমিক কাজ করেন। তাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের নাগরিক। দেশটির বিদেশি কর্মশক্তির প্রায় তিন-চতুর্থাংশই এই শ্রমিকেরা। সাধারণত, স্থানীয়রা যেসব কম বেতনের শ্রমসাধ্য কাজ এড়িয়ে চলেন, সেগুলোই করেন এসব শ্রমিক। ভবন নির্মাণ, জাহাজ নির্মাণ এবং উৎপাদন খাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ শিল্পে তাঁদের অবদান ব্যাপক।
কিন্তু সিঙ্গাপুরে অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য কোনো ন্যূনতম মজুরি দেওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, কিছু শ্রমিক মাসে মাত্র ৩০০ সিঙ্গাপুরি ডলার (২৩৩ মার্কিন ডলার) উপার্জন করেন। তাঁরা সাধারণত আবাসিক এলাকা থেকে দূরে, ঘিঞ্জি ডরমিটরিতে থাকেন। শ্রমিকদের অভিযোগ, অনেক সময়ই তাঁদের নিয়োগকারী সংস্থা বা মালিকদের দ্বারা শোষণ ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়। ওভারটাইম মজুরি ছাড়াই অতিরিক্ত কাজ, মজুরি না পাওয়া এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করতে বাধ্য হওয়ার মতো শোষণের শিকার হন তাঁরা। এই সমস্যাগুলো বহু বছর ধরে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় থাকলেও, অধিকার কর্মীরা বলছেন, পরিস্থিতি খুব বেশি বদলায়নি।
সিঙ্গাপুরের সমাজকর্মী সুরেন্দ্র কুমার ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘আজ আপনারা তাঁদের বীর হিসেবে সম্মান জানাচ্ছেন। কিন্তু আগামীকাল আবার তাঁদেরই “প্রতারক, মিথ্যাবাদী ও নোংরা” বলে সাধারণীকরণ করবেন।’
২০২০ সালের কোভিড মহামারির সময় এই শ্রমিকদের দুর্দশা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তাঁদের ডরমিটরিগুলো ভাইরাস সংক্রমণের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল এবং প্রতিদিন শত শত শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁদের জীবনযাত্রা নিয়ে তীব্র আলোচনা শুরু হয়, যার ফলস্বরূপ বাধ্য হয়ে ডরমিটরির মান উন্নয়নে কিছু পদক্ষেপ নেয় কর্তৃপক্ষ।
সিঙ্কহোলের ঘটনাটি শ্রমিকদের আরেকটি গুরুতর সমস্যার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, সেটি হলো ফ্ল্যাট-বেড ট্রাকে (বাংলাদেশের লেগুনার মতো) করে তাঁদের কর্মস্থলে যাতায়াত। অধিকার কর্মী সুরেন্দ্র কুমার এই পরিস্থিতিকে ‘করুণ বাস্তবতা’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, যেসব শ্রমিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একজন সিঙ্গাপুরি নারীকে উদ্ধার করেছেন, সম্ভবত তাঁরা লরিতে করেই যাতায়াত করেন।
সিঙ্গাপুরের আইন অনুযায়ী, জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ছাড়া সাধারণ মানুষের ট্রাকে করে যাতায়াত নিষিদ্ধ। তবে, যদি শ্রমিকেরা ওই ট্রাকের মালিকের কর্মচারী হন, তাহলে এই নিয়ম শিথিল। কিন্তু এই পরিবহন ব্যবস্থার ফলে বহু দুর্ঘটনা ঘটে। প্রায়শই ১২ জন পর্যন্ত শ্রমিককে ট্রাকে গাদাগাদি করে পরিবহন করা হয়, এতে কোনো সিটবেল্ট নেই। এই পদ্ধতি অনেক নিয়োগকর্তার জন্য সাশ্রয়ী, কারণ তাঁরা একই ট্রাকে পণ্যও পরিবহন করতে পারেন।
২০২১ সালের এপ্রিলে এ রকম এক দুর্ঘটনায় দুজন প্রবাসী শ্রমিক নিহত হন। এমনকি গত বছরও ট্রাক দুর্ঘটনায় নিহত হন অন্তত চারজন শ্রমিক। এতে আহত হয়েছিলেন আরও চার শতাধিক।
অধিকারকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের পরিবহন নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে আসছেন। বিষয়টি একাধিকবার পার্লামেন্টেও আলোচিত হয়েছে, কিন্তু খুব একটা গুরুত্ব পায়নি। সিঙ্গাপুর সরকার বারবার বলে আসছে, তারা কোম্পানিগুলোকে বাসে করে শ্রমিক পরিবহনের জন্য উৎসাহিত করছে। কিন্তু ছোট ব্যবসার জন্য এই ধরনের ট্রাক নিষিদ্ধ করা সম্ভব নয়। একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী গত ফেব্রুয়ারিতে পার্লামেন্টে বলেন, ‘বাসে শ্রমিক পরিবহনে বাধ্য করলে অনেক কোম্পানি বন্ধ হয়ে যেতে বাধ্য হবে। এতে দেশি ও বিদেশি উভয় ধরনের শ্রমিকই কাজ হারাবে। এতে আবাসন, স্কুল, হাসপাতাল এবং ট্রেন লাইনের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলো বিলম্বিত হবে এবং সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের জন্য খরচও বাড়বে।’
শ্রমিকদের অধিকারকে কেবল অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার এই দৃষ্টিভঙ্গির কারণে ওই সময় সরকার ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। অধিকারকর্মীরা উল্লেখ করেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইনের মতো যেসব দেশ অভিবাসী শ্রমিকের ওপর নির্ভরশীল, তারাও ট্রাকে করে মানুষ পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে। সুরেন্দ্র কুমার বলেন, সরকার বিদেশি শ্রমিকদের থেকে যে কর বা লেভি সংগ্রহ করে, তা ব্যবহার করে শ্রমিকদের জন্য বাসের ব্যবস্থা করা যেতে পারে, এতে ব্যবসা ও ভোক্তাদের ওপর বাড়তি খরচ চাপবে না।
মানবাধিকার সংস্থা ‘হিউম্যানিটেরিয়ান অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন ইকোনমিকসের’ সিনিয়র গবেষক জয়া অনিল কুমার বলেন, সরকারের এই ধরনের যুক্তিই অভিবাসী শ্রমিকদের জীবন ও জীবিকার ওপর নিয়োগকর্তাদের অন্যায্য নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতার উৎস।
শ্রমিকদের সুরক্ষায় ট্রাকে পরিবহন নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি আরও কিছু পরিবর্তনের কথা বলা হচ্ছে, যেমন—যথাযথ মজুরি, হুইসেলব্লোয়ার (গোপন তথ্য ফাঁসকারী) সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবাতে ভর্তুকি। দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুরে কাজ করেও এই শ্রমিকেরা স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পান না, কারণ বিদেশি পেশাজীবী ও কর্মকর্তাদের চেয়ে তাঁদের কর্মসংস্থান ভিসা ভিন্ন। সুপ্পিয়াহ উদাইয়াপ্পান, যার নেতৃত্বে শ্রমিকেরা ওই সিঙ্গাপুরি নারীকে গর্ত থেকে উদ্ধার করেছেন, তিনি ২২ বছর ধরে সিঙ্গাপুরে কাজ করছেন, তাঁরও স্থায়ীভাবে বসবাসের কোনো সুযোগ নেই।
এ ছাড়া কর্মসংস্থান ভিসাধারীদের সিঙ্গাপুরিদের বিয়ে করার জন্যও সরকারের অনুমতি নিতে হয়—এটিও অধিকার কর্মীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ। অনিল কুমার বলেন, ‘খুব ধীর গতিতে আইনের পরিবর্তন হচ্ছে, কারণ কার্যকর পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক সদিচ্ছা নেই।’
এই সপ্তাহে কর্তৃপক্ষ সিঙ্কহোল থেকে উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া সাতজন শ্রমিককে ‘অ্যাপ্রেসিয়েশন কয়েন’ দিয়ে সম্মানিত করেছে। কিন্তু অনেকেই এই পদক্ষেপকে ‘টোকেনিজম’ বলে সমালোচনা করেছেন। সুরেন্দ্র কুমার বলেন, ‘তাঁদের বীরত্বের জন্য যত ধন্যবাদই দেওয়া হোক না কেন, তা সেই শোষণমূলক অর্থনৈতিক মডেলকে ন্যায্যতা দিতে পারে না, যা প্রতিদিন তাঁদের দমিয়ে রেখে সিঙ্গাপুরে আমাদের জীবনধারা টিকিয়ে রাখে।’
অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই কথার প্রতিধ্বনি তুলেছেন এবং বলেছেন যে এই শ্রমিকদের আরও বেশি স্বীকৃতি প্রাপ্য। কেউ কেউ তাঁদের আর্থিক পুরস্কার এবং এমনকি স্থায়ী নাগরিকত্ব দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন। সিঙ্গাপুরের জনশক্তি মন্ত্রণালয় বিবিসিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘অভিবাসী শ্রমিকদের আরও নানাভাবে সম্মান জানানোর জন্য পাওয়া ফিডব্যাকে আমরা উৎসাহিত।’ তবে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাবের বিষয়ে তাঁরা সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি।
অভিবাসী অধিকার বিষয়ক সংগঠন ‘ইটস রেইনিং রেইনকোটস’ ৭২ হাজার সিঙ্গাপুরি ডলার সংগ্রহ করেছে। উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া সাত শ্রমিকের মধ্যে এই অর্থ সমানভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে। বাংলাদেশি শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালনাকারী একেএম মহসিন এ প্রসঙ্গে বিবিসিকে বলেন, ‘এই শ্রমিকেরা প্রায়শই নিজেদের জীবন বিপন্ন করে অনেক সিঙ্গাপুরিকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেছেন। তাঁরা সংবাদমাধ্যমে প্রশংসিত হন এবং মানবিক কাজের চমৎকার উদাহরণ হিসেবে পরিচিতি পান, কিন্তু কর্মস্থলে, পরিবহনে এবং বাসস্থানে তাঁদের মানবাধিকার প্রতিনিয়ত লঙ্ঘিত হচ্ছে।’
মানবাধিকার কর্মীদের মতে, অভিবাসী শ্রমিকদের নিজেদের তুলনায় একটি ভিন্ন এবং নিম্ন শ্রেণির মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে অধিকাংশ সিঙ্গাপুরি।
অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা ট্রানজিয়েন্ট ওয়ার্কার্স কাউন্ট টু-এর সহসভাপতি অ্যালেক্স আউ নির্দ্বিধায় বলেন, ‘আমরা মূলত তাদের ভিন্ন শ্রেণির মানুষ হিসেবে দেখি। আমরা তাদের কাছ থেকে সেবা আশা করি এবং বিশ্বাস করি যে তারা এই জন্যই এখানে আছে। আর ভৃত্যদের অবশ্যই তাদের প্রভুদের বিপদে এগিয়ে আসা উচিত।’

সিঙ্গাপুরের ব্যস্ততম একটি সড়কে হঠাৎ তৈরি হওয়া এক সুবিশাল গর্তে গাড়ি সমেত পড়ে যান এক নারী। সড়কের পাশে কর্মরত একদল নির্মাণশ্রমিক রীতিমতো ফিল্মি কায়দায় উদ্ধার করেন তাঁকে। গর্তের ভেতর থেকে ওই নারীকে উদ্ধারে শ্রমিকদের সময় লেগেছে পাঁচ মিনিটেরও কম।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৬ জুলাই দুর্ঘটনাটি ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই নির্মাণ শ্রমিকদের ফোরম্যান সুপ্পিয়াহ পিচাই উদাইয়াপ্পান দেরি না করে একটি দড়ি নিয়ে এগিয়ে যান। গর্তের ভেতর ছুড়ে দেন দড়িটি। কোনোমতে গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন চালক ওই নারী। পরে, ওই দড়ি ধরে টেনে তাঁকে ওপরে তোলা হয়। পরে উদাইয়াপ্পান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি প্রচণ্ড ভয় পেয়েছিলাম, কিন্তু আমরা খালি মনে হয়েছিল, যেকোনো মূল্যে ওই নারীকে বাঁচাতে হবে।’
এরই মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল তাঁদের সেই দুঃসাহসিক উদ্ধার অভিযান। অনেকেই তাঁদের ‘হিরো’ আখ্যা দিচ্ছেন। এই শ্রমিকদের সবাই অভিবাসী। উদ্ধারকারী সাত ভারতীয় অভিবাসী শ্রমিককে ব্যক্তিগতভাবে ইস্তানা প্যালেস ওপেন হাউসে আমন্ত্রণ জানাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট থারমান শানমুগরত্নম। এ ছাড়া সিঙ্গাপুরের জনশক্তি মন্ত্রণালয় এই শ্রমিকদের ‘প্রশংসা মুদ্রা’ দিয়ে সম্মানিত করেছে এবং অভিবাসী শ্রমিকদের একটি দাতব্য সংস্থা তাঁদের জন্য ৭২ হাজার সিঙ্গাপুরি ডলার সংগ্রহ করেছে।
দেশটিতে অভিবাসী শ্রমিকদের এমন বীরত্বের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগে চলতি বছর এপ্রিলেও একটি দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বীরত্ব দেখিয়েছে অভিবাসী শ্রমিকেরা। দোকানটিতে আটকা পড়া শিশুদের উদ্ধার করেছেন তাঁরা।
সরকারের এমন স্বীকৃতি সত্ত্বেও, অভিবাসী শ্রমিকেরা কম বেতন, অনিশ্চিত পরিস্থিতি এবং স্থায়ী বসবাসের অধিকার না পাওয়ার মতো বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বহুদিন ধরেই।
এবারের এই ঘটনাটি সিঙ্গাপুরে স্বল্প আয়ের শ্রমিকদের অধিকার এবং তাদের দৈনন্দিন দুর্দশা নিয়ে বহু পুরোনো বিতর্ককে আবারও উসকে দিয়েছে। সিঙ্গাপুরে ১১ লাখ ৭ হাজার অভিবাসী শ্রমিক কাজ করেন। তাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের নাগরিক। দেশটির বিদেশি কর্মশক্তির প্রায় তিন-চতুর্থাংশই এই শ্রমিকেরা। সাধারণত, স্থানীয়রা যেসব কম বেতনের শ্রমসাধ্য কাজ এড়িয়ে চলেন, সেগুলোই করেন এসব শ্রমিক। ভবন নির্মাণ, জাহাজ নির্মাণ এবং উৎপাদন খাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ শিল্পে তাঁদের অবদান ব্যাপক।
কিন্তু সিঙ্গাপুরে অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য কোনো ন্যূনতম মজুরি দেওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, কিছু শ্রমিক মাসে মাত্র ৩০০ সিঙ্গাপুরি ডলার (২৩৩ মার্কিন ডলার) উপার্জন করেন। তাঁরা সাধারণত আবাসিক এলাকা থেকে দূরে, ঘিঞ্জি ডরমিটরিতে থাকেন। শ্রমিকদের অভিযোগ, অনেক সময়ই তাঁদের নিয়োগকারী সংস্থা বা মালিকদের দ্বারা শোষণ ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়। ওভারটাইম মজুরি ছাড়াই অতিরিক্ত কাজ, মজুরি না পাওয়া এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করতে বাধ্য হওয়ার মতো শোষণের শিকার হন তাঁরা। এই সমস্যাগুলো বহু বছর ধরে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় থাকলেও, অধিকার কর্মীরা বলছেন, পরিস্থিতি খুব বেশি বদলায়নি।
সিঙ্গাপুরের সমাজকর্মী সুরেন্দ্র কুমার ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘আজ আপনারা তাঁদের বীর হিসেবে সম্মান জানাচ্ছেন। কিন্তু আগামীকাল আবার তাঁদেরই “প্রতারক, মিথ্যাবাদী ও নোংরা” বলে সাধারণীকরণ করবেন।’
২০২০ সালের কোভিড মহামারির সময় এই শ্রমিকদের দুর্দশা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তাঁদের ডরমিটরিগুলো ভাইরাস সংক্রমণের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল এবং প্রতিদিন শত শত শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁদের জীবনযাত্রা নিয়ে তীব্র আলোচনা শুরু হয়, যার ফলস্বরূপ বাধ্য হয়ে ডরমিটরির মান উন্নয়নে কিছু পদক্ষেপ নেয় কর্তৃপক্ষ।
সিঙ্কহোলের ঘটনাটি শ্রমিকদের আরেকটি গুরুতর সমস্যার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, সেটি হলো ফ্ল্যাট-বেড ট্রাকে (বাংলাদেশের লেগুনার মতো) করে তাঁদের কর্মস্থলে যাতায়াত। অধিকার কর্মী সুরেন্দ্র কুমার এই পরিস্থিতিকে ‘করুণ বাস্তবতা’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, যেসব শ্রমিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একজন সিঙ্গাপুরি নারীকে উদ্ধার করেছেন, সম্ভবত তাঁরা লরিতে করেই যাতায়াত করেন।
সিঙ্গাপুরের আইন অনুযায়ী, জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ছাড়া সাধারণ মানুষের ট্রাকে করে যাতায়াত নিষিদ্ধ। তবে, যদি শ্রমিকেরা ওই ট্রাকের মালিকের কর্মচারী হন, তাহলে এই নিয়ম শিথিল। কিন্তু এই পরিবহন ব্যবস্থার ফলে বহু দুর্ঘটনা ঘটে। প্রায়শই ১২ জন পর্যন্ত শ্রমিককে ট্রাকে গাদাগাদি করে পরিবহন করা হয়, এতে কোনো সিটবেল্ট নেই। এই পদ্ধতি অনেক নিয়োগকর্তার জন্য সাশ্রয়ী, কারণ তাঁরা একই ট্রাকে পণ্যও পরিবহন করতে পারেন।
২০২১ সালের এপ্রিলে এ রকম এক দুর্ঘটনায় দুজন প্রবাসী শ্রমিক নিহত হন। এমনকি গত বছরও ট্রাক দুর্ঘটনায় নিহত হন অন্তত চারজন শ্রমিক। এতে আহত হয়েছিলেন আরও চার শতাধিক।
অধিকারকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের পরিবহন নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে আসছেন। বিষয়টি একাধিকবার পার্লামেন্টেও আলোচিত হয়েছে, কিন্তু খুব একটা গুরুত্ব পায়নি। সিঙ্গাপুর সরকার বারবার বলে আসছে, তারা কোম্পানিগুলোকে বাসে করে শ্রমিক পরিবহনের জন্য উৎসাহিত করছে। কিন্তু ছোট ব্যবসার জন্য এই ধরনের ট্রাক নিষিদ্ধ করা সম্ভব নয়। একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী গত ফেব্রুয়ারিতে পার্লামেন্টে বলেন, ‘বাসে শ্রমিক পরিবহনে বাধ্য করলে অনেক কোম্পানি বন্ধ হয়ে যেতে বাধ্য হবে। এতে দেশি ও বিদেশি উভয় ধরনের শ্রমিকই কাজ হারাবে। এতে আবাসন, স্কুল, হাসপাতাল এবং ট্রেন লাইনের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলো বিলম্বিত হবে এবং সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের জন্য খরচও বাড়বে।’
শ্রমিকদের অধিকারকে কেবল অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার এই দৃষ্টিভঙ্গির কারণে ওই সময় সরকার ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। অধিকারকর্মীরা উল্লেখ করেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইনের মতো যেসব দেশ অভিবাসী শ্রমিকের ওপর নির্ভরশীল, তারাও ট্রাকে করে মানুষ পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে। সুরেন্দ্র কুমার বলেন, সরকার বিদেশি শ্রমিকদের থেকে যে কর বা লেভি সংগ্রহ করে, তা ব্যবহার করে শ্রমিকদের জন্য বাসের ব্যবস্থা করা যেতে পারে, এতে ব্যবসা ও ভোক্তাদের ওপর বাড়তি খরচ চাপবে না।
মানবাধিকার সংস্থা ‘হিউম্যানিটেরিয়ান অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন ইকোনমিকসের’ সিনিয়র গবেষক জয়া অনিল কুমার বলেন, সরকারের এই ধরনের যুক্তিই অভিবাসী শ্রমিকদের জীবন ও জীবিকার ওপর নিয়োগকর্তাদের অন্যায্য নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতার উৎস।
শ্রমিকদের সুরক্ষায় ট্রাকে পরিবহন নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি আরও কিছু পরিবর্তনের কথা বলা হচ্ছে, যেমন—যথাযথ মজুরি, হুইসেলব্লোয়ার (গোপন তথ্য ফাঁসকারী) সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবাতে ভর্তুকি। দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুরে কাজ করেও এই শ্রমিকেরা স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পান না, কারণ বিদেশি পেশাজীবী ও কর্মকর্তাদের চেয়ে তাঁদের কর্মসংস্থান ভিসা ভিন্ন। সুপ্পিয়াহ উদাইয়াপ্পান, যার নেতৃত্বে শ্রমিকেরা ওই সিঙ্গাপুরি নারীকে গর্ত থেকে উদ্ধার করেছেন, তিনি ২২ বছর ধরে সিঙ্গাপুরে কাজ করছেন, তাঁরও স্থায়ীভাবে বসবাসের কোনো সুযোগ নেই।
এ ছাড়া কর্মসংস্থান ভিসাধারীদের সিঙ্গাপুরিদের বিয়ে করার জন্যও সরকারের অনুমতি নিতে হয়—এটিও অধিকার কর্মীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ। অনিল কুমার বলেন, ‘খুব ধীর গতিতে আইনের পরিবর্তন হচ্ছে, কারণ কার্যকর পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক সদিচ্ছা নেই।’
এই সপ্তাহে কর্তৃপক্ষ সিঙ্কহোল থেকে উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া সাতজন শ্রমিককে ‘অ্যাপ্রেসিয়েশন কয়েন’ দিয়ে সম্মানিত করেছে। কিন্তু অনেকেই এই পদক্ষেপকে ‘টোকেনিজম’ বলে সমালোচনা করেছেন। সুরেন্দ্র কুমার বলেন, ‘তাঁদের বীরত্বের জন্য যত ধন্যবাদই দেওয়া হোক না কেন, তা সেই শোষণমূলক অর্থনৈতিক মডেলকে ন্যায্যতা দিতে পারে না, যা প্রতিদিন তাঁদের দমিয়ে রেখে সিঙ্গাপুরে আমাদের জীবনধারা টিকিয়ে রাখে।’
অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই কথার প্রতিধ্বনি তুলেছেন এবং বলেছেন যে এই শ্রমিকদের আরও বেশি স্বীকৃতি প্রাপ্য। কেউ কেউ তাঁদের আর্থিক পুরস্কার এবং এমনকি স্থায়ী নাগরিকত্ব দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন। সিঙ্গাপুরের জনশক্তি মন্ত্রণালয় বিবিসিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘অভিবাসী শ্রমিকদের আরও নানাভাবে সম্মান জানানোর জন্য পাওয়া ফিডব্যাকে আমরা উৎসাহিত।’ তবে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাবের বিষয়ে তাঁরা সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি।
অভিবাসী অধিকার বিষয়ক সংগঠন ‘ইটস রেইনিং রেইনকোটস’ ৭২ হাজার সিঙ্গাপুরি ডলার সংগ্রহ করেছে। উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া সাত শ্রমিকের মধ্যে এই অর্থ সমানভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে। বাংলাদেশি শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালনাকারী একেএম মহসিন এ প্রসঙ্গে বিবিসিকে বলেন, ‘এই শ্রমিকেরা প্রায়শই নিজেদের জীবন বিপন্ন করে অনেক সিঙ্গাপুরিকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেছেন। তাঁরা সংবাদমাধ্যমে প্রশংসিত হন এবং মানবিক কাজের চমৎকার উদাহরণ হিসেবে পরিচিতি পান, কিন্তু কর্মস্থলে, পরিবহনে এবং বাসস্থানে তাঁদের মানবাধিকার প্রতিনিয়ত লঙ্ঘিত হচ্ছে।’
মানবাধিকার কর্মীদের মতে, অভিবাসী শ্রমিকদের নিজেদের তুলনায় একটি ভিন্ন এবং নিম্ন শ্রেণির মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে অধিকাংশ সিঙ্গাপুরি।
অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা ট্রানজিয়েন্ট ওয়ার্কার্স কাউন্ট টু-এর সহসভাপতি অ্যালেক্স আউ নির্দ্বিধায় বলেন, ‘আমরা মূলত তাদের ভিন্ন শ্রেণির মানুষ হিসেবে দেখি। আমরা তাদের কাছ থেকে সেবা আশা করি এবং বিশ্বাস করি যে তারা এই জন্যই এখানে আছে। আর ভৃত্যদের অবশ্যই তাদের প্রভুদের বিপদে এগিয়ে আসা উচিত।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে—ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাদের সেনাদের ওপর আইএসআইএসের হামলার জবাব আমরা দেব। যদি মার্কিন বাহিনীর ওপর আবারও হামলা হয় সেটার জবাও আমরা দেব।’
এর আগে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলকেন্দ্রিক কমান্ড ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, আইসিসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং তাদের এক দোভাষী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আরও তিনজন সেনা গুরুতর আহত হয়েছে। সেন্টকম আরও বলেছে, ‘বন্দুকধারীকে শনাক্ত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল। সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়। সানা আরও জানায়, আহত ব্যক্তিদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন। আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে—ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাদের সেনাদের ওপর আইএসআইএসের হামলার জবাব আমরা দেব। যদি মার্কিন বাহিনীর ওপর আবারও হামলা হয় সেটার জবাও আমরা দেব।’
এর আগে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলকেন্দ্রিক কমান্ড ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, আইসিসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং তাদের এক দোভাষী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আরও তিনজন সেনা গুরুতর আহত হয়েছে। সেন্টকম আরও বলেছে, ‘বন্দুকধারীকে শনাক্ত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল। সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়। সানা আরও জানায়, আহত ব্যক্তিদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন। আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

একটি দুর্ঘটনা সিঙ্গাপুরে স্বল্প আয়ের শ্রমিকদের অধিকার এবং তাদের দৈনন্দিন দুর্দশা নিয়ে বহু পুরোনো বিতর্ককে আবারও উসকে দিয়েছে। সিঙ্গাপুরে ১১ লাখ ৭ হাজার অভিবাসী শ্রমিক কাজ করেন। তাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের নাগরিক। দেশটির বিদেশি কর্মশক্তির প্রায় তিন-চতুর্থাংশই এই শ্রমিকেরা।
০১ আগস্ট ২০২৫
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্য রোড আইল্যান্ডের রাজধানী প্রভিডেন্সের মেয়র ব্রেট স্মাইলি নিশ্চিত করেছেন, ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে সক্রিয় বন্দুকধারীর হামলায় দুজন নিহত এবং আরও আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই আইভি লীগ ক্যাম্পাসে শনিবার যখন গোলাগুলি শুরু হয়, তখন সেখানে পরীক্ষা চলছিল।
রোড আইল্যান্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি এখনও পলাতক। তারা হামলাকারীকে কালো পোশাক পরিহিত পুরুষ হিসেবে শনাক্ত করেছেন, যিনি পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। তারা আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি।
এক সংবাদ সম্মেলনে স্মাইলি বলেন, স্থানীয় সময় বিকেল ৪ টা ৫ মিনিটের দিকে জরুরি সেবা প্রতিক্রিয়াকারীদের কাছে ৯১১ কল আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গোলাগুলির বিষয়টি জানতে পারে। স্মাইলি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, আজ বিকেলে দুইজন ব্যক্তি মারা গেছেন এবং আরও আটজন গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন, যদিও তারা রোড আইল্যান্ড হাসপাতালে স্থিতিশীল আছেন।’
তিনি যোগ করেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা শুধুমাত্র এই আঘাত বা হতাহতের খবর জানি। তবে যেমনটি আমি উল্লেখ করেছি—এবং জনসাধারণকে মনে করিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ—এই সংখ্যাগুলি পরিবর্তিত হতে পারে। আমরা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।’
চলমান তদন্তের ওপর জোর দিয়ে স্মাইলি নিহতদের পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা প্যাক্সটন এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি এমন একটি দিন যা আমরা আশা করেছিলাম যেন আমাদের সম্প্রদায়ে কখনও না আসে। এটি আমাদের সকলের জন্য গভীরভাবে হৃদয়বিদারক।’ তিনি ক্যাম্পাসের সবাইকে সতর্ক থাকার এবং লকডাউন প্রোটোকল মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হলো সমস্ত দরজা তালাবদ্ধ রাখা এবং ক্যাম্পাস জুড়ে কোনো চলাচল না করা নিশ্চিত করা।’
শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বিকেল ৪ টা ২২ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথম জরুরি সতর্কতা জারি করে জানায়, বারাস অ্যান্ড হলি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফিজিক্স ভবনের কাছে একজন বন্দুকধারী রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সতর্কবার্তায় বলে, ‘দরজা লক করুন, ফোন নীরব করুন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লুকিয়ে থাকুন।’
এতে আরও বলা হয়, ‘মনে রাখবেন—দৌড়ান, যদি আপনি আক্রান্ত স্থানে থাকেন তবে নিরাপদে সরে যান; লুকান, যদি সরে যাওয়া সম্ভব না হয় তবে আড়াল নিন; প্রতিরোধ করুন, শেষ অবলম্বন হিসেবে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নিন।’
প্রভিডেন্সের পুলিশ প্রধান টিমোথি ও’হারা জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভবনটিতে তল্লাশি চালায়। ও’হারা বলেন, ‘তারা ভবনটিতে পদ্ধতিগতভাবে তল্লাশি চালিয়েছে। তবে সে সময় কোনো সন্দেহভাজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা সেই ভবনটি খালি করতে সক্ষম হন এবং সেই ভবনের সমস্ত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করে দেন।’ তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন কীভাবে ভবনে প্রবেশ করেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে সে হোপ স্ট্রিট দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল।
স্থানীয় সময় ৫ টা ২৭ মিনিটে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি জানায়, গভর্নর স্ট্রিটের কাছে, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফিজিক্স ল্যাব থেকে প্রায় দুটি ব্লক দূরে, গুলি চালানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের আগে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোনো সন্দেহভাজনকে আটক করেছে কিনা তা স্পষ্ট ছিল না, কারণ অনলাইনে পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন প্রচারিত হচ্ছিল।
উদাহরণস্বরূপ, বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি প্রাথমিক ঘোষণা প্রত্যাহার করতে হয়েছিল যে, একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা লিখেছিল, ’পুলিশের হেফাজতে কোনো সন্দেহভাজন নেই এবং তারা সন্দেহভাজনদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।’
স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এবং তাদের সাথে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এবং ব্যুরো অব অ্যালকোহল, টোব্যাকো, ফায়ারআর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস (এটিএফ) এর ফেডারেল এজেন্টরাও যোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্য রোড আইল্যান্ডের রাজধানী প্রভিডেন্সের মেয়র ব্রেট স্মাইলি নিশ্চিত করেছেন, ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে সক্রিয় বন্দুকধারীর হামলায় দুজন নিহত এবং আরও আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই আইভি লীগ ক্যাম্পাসে শনিবার যখন গোলাগুলি শুরু হয়, তখন সেখানে পরীক্ষা চলছিল।
রোড আইল্যান্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি এখনও পলাতক। তারা হামলাকারীকে কালো পোশাক পরিহিত পুরুষ হিসেবে শনাক্ত করেছেন, যিনি পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। তারা আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি।
এক সংবাদ সম্মেলনে স্মাইলি বলেন, স্থানীয় সময় বিকেল ৪ টা ৫ মিনিটের দিকে জরুরি সেবা প্রতিক্রিয়াকারীদের কাছে ৯১১ কল আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গোলাগুলির বিষয়টি জানতে পারে। স্মাইলি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, আজ বিকেলে দুইজন ব্যক্তি মারা গেছেন এবং আরও আটজন গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন, যদিও তারা রোড আইল্যান্ড হাসপাতালে স্থিতিশীল আছেন।’
তিনি যোগ করেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা শুধুমাত্র এই আঘাত বা হতাহতের খবর জানি। তবে যেমনটি আমি উল্লেখ করেছি—এবং জনসাধারণকে মনে করিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ—এই সংখ্যাগুলি পরিবর্তিত হতে পারে। আমরা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।’
চলমান তদন্তের ওপর জোর দিয়ে স্মাইলি নিহতদের পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা প্যাক্সটন এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি এমন একটি দিন যা আমরা আশা করেছিলাম যেন আমাদের সম্প্রদায়ে কখনও না আসে। এটি আমাদের সকলের জন্য গভীরভাবে হৃদয়বিদারক।’ তিনি ক্যাম্পাসের সবাইকে সতর্ক থাকার এবং লকডাউন প্রোটোকল মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হলো সমস্ত দরজা তালাবদ্ধ রাখা এবং ক্যাম্পাস জুড়ে কোনো চলাচল না করা নিশ্চিত করা।’
শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বিকেল ৪ টা ২২ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথম জরুরি সতর্কতা জারি করে জানায়, বারাস অ্যান্ড হলি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফিজিক্স ভবনের কাছে একজন বন্দুকধারী রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সতর্কবার্তায় বলে, ‘দরজা লক করুন, ফোন নীরব করুন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লুকিয়ে থাকুন।’
এতে আরও বলা হয়, ‘মনে রাখবেন—দৌড়ান, যদি আপনি আক্রান্ত স্থানে থাকেন তবে নিরাপদে সরে যান; লুকান, যদি সরে যাওয়া সম্ভব না হয় তবে আড়াল নিন; প্রতিরোধ করুন, শেষ অবলম্বন হিসেবে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নিন।’
প্রভিডেন্সের পুলিশ প্রধান টিমোথি ও’হারা জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভবনটিতে তল্লাশি চালায়। ও’হারা বলেন, ‘তারা ভবনটিতে পদ্ধতিগতভাবে তল্লাশি চালিয়েছে। তবে সে সময় কোনো সন্দেহভাজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা সেই ভবনটি খালি করতে সক্ষম হন এবং সেই ভবনের সমস্ত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করে দেন।’ তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন কীভাবে ভবনে প্রবেশ করেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে সে হোপ স্ট্রিট দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল।
স্থানীয় সময় ৫ টা ২৭ মিনিটে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি জানায়, গভর্নর স্ট্রিটের কাছে, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফিজিক্স ল্যাব থেকে প্রায় দুটি ব্লক দূরে, গুলি চালানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের আগে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোনো সন্দেহভাজনকে আটক করেছে কিনা তা স্পষ্ট ছিল না, কারণ অনলাইনে পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন প্রচারিত হচ্ছিল।
উদাহরণস্বরূপ, বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি প্রাথমিক ঘোষণা প্রত্যাহার করতে হয়েছিল যে, একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা লিখেছিল, ’পুলিশের হেফাজতে কোনো সন্দেহভাজন নেই এবং তারা সন্দেহভাজনদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।’
স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এবং তাদের সাথে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এবং ব্যুরো অব অ্যালকোহল, টোব্যাকো, ফায়ারআর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস (এটিএফ) এর ফেডারেল এজেন্টরাও যোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।

একটি দুর্ঘটনা সিঙ্গাপুরে স্বল্প আয়ের শ্রমিকদের অধিকার এবং তাদের দৈনন্দিন দুর্দশা নিয়ে বহু পুরোনো বিতর্ককে আবারও উসকে দিয়েছে। সিঙ্গাপুরে ১১ লাখ ৭ হাজার অভিবাসী শ্রমিক কাজ করেন। তাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের নাগরিক। দেশটির বিদেশি কর্মশক্তির প্রায় তিন-চতুর্থাংশই এই শ্রমিকেরা।
০১ আগস্ট ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গতকাল শনিবারের এই হামলায় ৫ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে।
হামাস কোনো বিবৃতিতে রায়েদ সাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তারা জানিয়েছে, গাজা সিটির বাইরে একটি বেসামরিক গাড়িতে আঘাত হানা হয়েছে এবং এটিকে অক্টোবরে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন বলে ঘোষণা করেছে।
টেলিগ্রামে পোস্ট করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, এই কমান্ডার হামাসের সক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিলেন, যা দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের গাজায় চালানো গণহত্যার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাঁকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ইসরায়েলে হামলার অন্যতম স্থপতি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
যদি সাদ নিহত হন, তবে চলতি বছরের অক্টোবরে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এটি হবে হামাসের একজন সিনিয়র নেতাদের মধ্যে সর্বোচ্চ-পর্যায়ের হত্যাকাণ্ড। এক ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সাদকে এই হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল এবং তাকে হামাসের অস্ত্র উৎপাদনকারী বাহিনীর প্রধান হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
হামাসের সূত্রগুলো তাকে ইজ আল-দিন আল-হাদ্দাদের পরে এই গোষ্ঠীর সশস্ত্র শাখার দ্বিতীয়-কমান্ডার হিসেবেও বর্ণনা করেছে। সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, সাদ হামাসের গাজা সিটি ব্যাটালিয়নের প্রধান ছিলেন, যা গোষ্ঠীটির সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সুসজ্জিত ব্যাটালিয়নগুলোর মধ্যে একটি।
ফিলিস্তিনি ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, একটি ইসরায়েলি ড্রোন গাজা শহরের পশ্চিমে নাবুলসি মোড়ে একটি গাড়িতে আঘাত হানে, যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংস্থাটি নির্দিষ্ট সংখ্যার কথা জানায়নি এবং স্পষ্ট নয় যে এই হামলাটিই সেই হামলা কি না, যেখানে কথিত হামাসের সদস্য নিহত হয়েছিলেন।
গাজার কর্তৃপক্ষের মতে, অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল প্রতিদিন গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, যা প্রায় ৮০০ বার পৌঁছেছে এবং কমপক্ষে ৩৮৬ জনকে হত্যা করেছে, যা চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। ইসরায়েল এখনো ছিটমহলটিতে বেশির ভাগ সাহায্যবাহী ট্রাকের প্রবেশ বন্ধ করে রেখেছে। শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় একটি প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে, যেখানে ইসরায়েলের প্রতি গাজা উপত্যকায় অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করা, জাতিসংঘের স্থাপনাগুলোতে হামলা বন্ধ করা এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা, অর্থাৎ দখলদার শক্তি হিসেবে এর বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলার দাবি জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গতকাল শনিবারের এই হামলায় ৫ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে।
হামাস কোনো বিবৃতিতে রায়েদ সাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তারা জানিয়েছে, গাজা সিটির বাইরে একটি বেসামরিক গাড়িতে আঘাত হানা হয়েছে এবং এটিকে অক্টোবরে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন বলে ঘোষণা করেছে।
টেলিগ্রামে পোস্ট করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, এই কমান্ডার হামাসের সক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিলেন, যা দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের গাজায় চালানো গণহত্যার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাঁকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ইসরায়েলে হামলার অন্যতম স্থপতি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
যদি সাদ নিহত হন, তবে চলতি বছরের অক্টোবরে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এটি হবে হামাসের একজন সিনিয়র নেতাদের মধ্যে সর্বোচ্চ-পর্যায়ের হত্যাকাণ্ড। এক ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সাদকে এই হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল এবং তাকে হামাসের অস্ত্র উৎপাদনকারী বাহিনীর প্রধান হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
হামাসের সূত্রগুলো তাকে ইজ আল-দিন আল-হাদ্দাদের পরে এই গোষ্ঠীর সশস্ত্র শাখার দ্বিতীয়-কমান্ডার হিসেবেও বর্ণনা করেছে। সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, সাদ হামাসের গাজা সিটি ব্যাটালিয়নের প্রধান ছিলেন, যা গোষ্ঠীটির সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সুসজ্জিত ব্যাটালিয়নগুলোর মধ্যে একটি।
ফিলিস্তিনি ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, একটি ইসরায়েলি ড্রোন গাজা শহরের পশ্চিমে নাবুলসি মোড়ে একটি গাড়িতে আঘাত হানে, যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংস্থাটি নির্দিষ্ট সংখ্যার কথা জানায়নি এবং স্পষ্ট নয় যে এই হামলাটিই সেই হামলা কি না, যেখানে কথিত হামাসের সদস্য নিহত হয়েছিলেন।
গাজার কর্তৃপক্ষের মতে, অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল প্রতিদিন গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, যা প্রায় ৮০০ বার পৌঁছেছে এবং কমপক্ষে ৩৮৬ জনকে হত্যা করেছে, যা চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। ইসরায়েল এখনো ছিটমহলটিতে বেশির ভাগ সাহায্যবাহী ট্রাকের প্রবেশ বন্ধ করে রেখেছে। শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় একটি প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে, যেখানে ইসরায়েলের প্রতি গাজা উপত্যকায় অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করা, জাতিসংঘের স্থাপনাগুলোতে হামলা বন্ধ করা এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা, অর্থাৎ দখলদার শক্তি হিসেবে এর বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলার দাবি জানানো হয়েছে।

একটি দুর্ঘটনা সিঙ্গাপুরে স্বল্প আয়ের শ্রমিকদের অধিকার এবং তাদের দৈনন্দিন দুর্দশা নিয়ে বহু পুরোনো বিতর্ককে আবারও উসকে দিয়েছে। সিঙ্গাপুরে ১১ লাখ ৭ হাজার অভিবাসী শ্রমিক কাজ করেন। তাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের নাগরিক। দেশটির বিদেশি কর্মশক্তির প্রায় তিন-চতুর্থাংশই এই শ্রমিকেরা।
০১ আগস্ট ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল।
সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়।
সানা আরও জানায়, আহতদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শীও জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন।
আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল।
সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়।
সানা আরও জানায়, আহতদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শীও জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন।
আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

একটি দুর্ঘটনা সিঙ্গাপুরে স্বল্প আয়ের শ্রমিকদের অধিকার এবং তাদের দৈনন্দিন দুর্দশা নিয়ে বহু পুরোনো বিতর্ককে আবারও উসকে দিয়েছে। সিঙ্গাপুরে ১১ লাখ ৭ হাজার অভিবাসী শ্রমিক কাজ করেন। তাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের নাগরিক। দেশটির বিদেশি কর্মশক্তির প্রায় তিন-চতুর্থাংশই এই শ্রমিকেরা।
০১ আগস্ট ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে