প্রেসিডেন্টকে হত্যার ষড়যন্ত্র, ব্যাপক দুর্নীতি এবং বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে ফিলিপিনো বাহিনীর বিরুদ্ধে চীনের আগ্রাসন নিয়ে শক্ত অবস্থান গ্রহণে ব্যর্থতার অভিযোগে অভিশংসিত হয়েছেন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট সারা দুতার্তে। ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের কন্যা তিনি।
গার্ডিয়ান জানিয়েছে, গতকাল বুধবার দেশটির প্রতিনিধি পরিষদের আইনপ্রণেতারা এই সিদ্ধান্ত নেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই পদক্ষেপ ফিলিপাইনের দুই শীর্ষ নেতা মার্কোস ও সারার মধ্যে তীব্র রাজনৈতিক দ্বন্দ্বকে আরও গভীর করে তুলবে।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট মার্কোস ক্ষমতা গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদার করেছেন। অন্যদিকে তাঁর আগের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তাঁর শাসনামলে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন।
নিজের অভিশংসন নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি রদ্রিগো দুতার্তের কন্যা সারা। তবে তাঁর ভাই কংগ্রেস সদস্য পাওলো দুতার্তে এটিকে রাজনৈতিক হয়রানির স্পষ্ট উদাহরণ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, এটি একটি মিথ্যা অভিশংসন মামলা। বিষয়টিকে দ্রুত সিনেটে পাঠানোর জন্য প্রতিপক্ষরা চক্রান্ত করছে।
জানা গেছে, সারার বিরুদ্ধে আনা অভিশংসন অভিযোগে ২১৫ জন আইনপ্রণেতা স্বাক্ষর করেছেন, যা প্রয়োজনীয় সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি। ফলে এটি দ্রুত সিনেটে পাঠানো সম্ভব হয়েছে এবং সিনেটেই ভাইস প্রেসিডেন্ট সারা বিচার অনুষ্ঠিত হবে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে—সারার কর্মকাণ্ড জনগণের বিশ্বাসের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। ক্ষমতার অপব্যবহারের পাশাপাশি তিনি সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।
২০২২ সালের নির্বাচনে সারা দুতার্তে ও মার্কোস একসঙ্গে জোট বেঁধে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। ঐক্যের বার্তা দিয়ে ক্ষমতায় আসার পর তাঁদের রাজনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
মূলত তিনটি বিষয়কে কেন্দ্র করে সারার বিরুদ্ধে অভিশংসন অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রথমত তিনি প্রেসিডেন্ট মার্কোস, তাঁর স্ত্রী এবং প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার মার্টিন রোমুয়ালদেজকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। দ্বিতীয়ত, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি ১ কোটি ৫ লাখ ডলারের গোপন তহবিলের অপব্যবহার করেছেন। তৃতীয়ত, দক্ষিণ চীন সাগরে চীনা আগ্রাসনের বিষয়ে তিনি নীরব থেকেছেন।
সারা দুতার্তে গত বছর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, যদি তাঁকে হত্যা করা হয়, তবে তিনি গুপ্তঘাতক নিয়োগ করেছেন যারা প্রেসিডেন্ট, তাঁর স্ত্রী ও স্পিকারকে হত্যা করবে। পরবর্তীতে তিনি দাবি করেন, এটি কেবল তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের প্রকাশ ছিল, হুমকি নয়। কিন্তু পরে তাঁর এই বক্তব্য তদন্তের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে ঘোষিত সম্পদের বাইরে বিশাল বিত্তবৈভবের মালিকানা এবং আইন অনুযায়ী সম্পদ ঘোষণা না করার অভিযোগও আনা হয়েছে।
অভিশংসন অভিযোগে বলা হয়েছে, দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে সরকারের নীতির সমালোচনা করে সারা দুতার্তে মার্কোস প্রশাসনকে দুর্বল করার চেষ্টা করেছেন।
এই অভিশংসন প্রক্রিয়া ফিলিপাইনের রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্টকে হত্যার ষড়যন্ত্র, ব্যাপক দুর্নীতি এবং বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে ফিলিপিনো বাহিনীর বিরুদ্ধে চীনের আগ্রাসন নিয়ে শক্ত অবস্থান গ্রহণে ব্যর্থতার অভিযোগে অভিশংসিত হয়েছেন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট সারা দুতার্তে। ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের কন্যা তিনি।
গার্ডিয়ান জানিয়েছে, গতকাল বুধবার দেশটির প্রতিনিধি পরিষদের আইনপ্রণেতারা এই সিদ্ধান্ত নেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই পদক্ষেপ ফিলিপাইনের দুই শীর্ষ নেতা মার্কোস ও সারার মধ্যে তীব্র রাজনৈতিক দ্বন্দ্বকে আরও গভীর করে তুলবে।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট মার্কোস ক্ষমতা গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদার করেছেন। অন্যদিকে তাঁর আগের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তাঁর শাসনামলে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন।
নিজের অভিশংসন নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি রদ্রিগো দুতার্তের কন্যা সারা। তবে তাঁর ভাই কংগ্রেস সদস্য পাওলো দুতার্তে এটিকে রাজনৈতিক হয়রানির স্পষ্ট উদাহরণ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, এটি একটি মিথ্যা অভিশংসন মামলা। বিষয়টিকে দ্রুত সিনেটে পাঠানোর জন্য প্রতিপক্ষরা চক্রান্ত করছে।
জানা গেছে, সারার বিরুদ্ধে আনা অভিশংসন অভিযোগে ২১৫ জন আইনপ্রণেতা স্বাক্ষর করেছেন, যা প্রয়োজনীয় সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি। ফলে এটি দ্রুত সিনেটে পাঠানো সম্ভব হয়েছে এবং সিনেটেই ভাইস প্রেসিডেন্ট সারা বিচার অনুষ্ঠিত হবে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে—সারার কর্মকাণ্ড জনগণের বিশ্বাসের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। ক্ষমতার অপব্যবহারের পাশাপাশি তিনি সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।
২০২২ সালের নির্বাচনে সারা দুতার্তে ও মার্কোস একসঙ্গে জোট বেঁধে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। ঐক্যের বার্তা দিয়ে ক্ষমতায় আসার পর তাঁদের রাজনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
মূলত তিনটি বিষয়কে কেন্দ্র করে সারার বিরুদ্ধে অভিশংসন অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রথমত তিনি প্রেসিডেন্ট মার্কোস, তাঁর স্ত্রী এবং প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার মার্টিন রোমুয়ালদেজকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। দ্বিতীয়ত, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি ১ কোটি ৫ লাখ ডলারের গোপন তহবিলের অপব্যবহার করেছেন। তৃতীয়ত, দক্ষিণ চীন সাগরে চীনা আগ্রাসনের বিষয়ে তিনি নীরব থেকেছেন।
সারা দুতার্তে গত বছর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, যদি তাঁকে হত্যা করা হয়, তবে তিনি গুপ্তঘাতক নিয়োগ করেছেন যারা প্রেসিডেন্ট, তাঁর স্ত্রী ও স্পিকারকে হত্যা করবে। পরবর্তীতে তিনি দাবি করেন, এটি কেবল তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের প্রকাশ ছিল, হুমকি নয়। কিন্তু পরে তাঁর এই বক্তব্য তদন্তের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে ঘোষিত সম্পদের বাইরে বিশাল বিত্তবৈভবের মালিকানা এবং আইন অনুযায়ী সম্পদ ঘোষণা না করার অভিযোগও আনা হয়েছে।
অভিশংসন অভিযোগে বলা হয়েছে, দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে সরকারের নীতির সমালোচনা করে সারা দুতার্তে মার্কোস প্রশাসনকে দুর্বল করার চেষ্টা করেছেন।
এই অভিশংসন প্রক্রিয়া ফিলিপাইনের রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সব জল্পনা-কল্পনা উড়িয়ে দিয়ে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে জড়ালই যুক্তরাষ্ট্র। আজ রোববার মধ্যপ্রাচ্যের স্থানীয় সময় ভোরে ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্র— ফোরদো, নাতানজ ও ইস্পাহানে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই স্থাপনাগুলোতে গত শুক্রবার ইসরায়েলও হামলা চালিয়েছিল।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রকে কেন ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়ানো হলো, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে তার কৈফিয়ত চেয়েছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটর চাক শুমার। কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া তিনি কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার স্পষ্ট জবাব জানতে চেয়েছেন ওই ডেমোক্র্যাট নেতা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়েছে ইরান। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা। পাহাড়ের ভেতরে গড়ে ওঠা এই গোপন ও কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত পরমাণু জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের একাধিক প্রবেশপথে মাটি জমে থাকতে দেখা
৪ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে ইরানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলার ঘোষণা দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি বিশ্বজুড়ে অচল হয়ে পড়ে। স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৮টার দিকে এই বিভ্রাট শুরু হয়, যা চলে অনেকক্ষণ। তবে এখন আবার স্বাভাবিকভাবে চলছে প্ল্যাটফর্মটি।
৫ ঘণ্টা আগে