ইউক্রেনে ভাড়াটে রুশ সেনাদের উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে বলে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাকে ‘অযৌক্তিক’ বলে নিন্দা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছিলেন, ‘ইউক্রেনে যুদ্ধরত রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেটসহ যুদ্ধাস্ত্রের প্রাথমিক চালান পাঠিয়েছে পিয়ংইয়ং। আমরা নিশ্চিত হয়েই বলছি, গত মাসে উত্তর কোরিয়া এসব অস্ত্র পাঠিয়েছে।’
তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই দাবি অস্বীকার করেছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সিতে দেওয়া বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এ ধরনের খবর মিথ্যা ও অযৌক্তিক। এসবের ব্যাখ্যা দেওয়ার কোনো মানে হয় না। উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে অস্ত্র লেনদেন ইস্যুতে উত্তর কোরিয়া তার নীতিগত অবস্থানের কোনো পরিবর্তন করেনি।’
যুক্তরাষ্ট্র নিজেই ইউক্রেনে বিভিন্ন ধরনের প্রাণঘাতী অস্ত্র সরবরাহ করে রক্তপাত ও ধ্বংস ডেকে আনছে বলেও অভিযোগ করেছে উত্তর কোরিয়া।
এদিকে রুশ বাহিনীকে উত্তর কোরিয়ার অস্ত্রের চালান বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে যুক্তরাজ্য। জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত বারবারা উডওয়ার্ড আজ শুক্রবার এক টুইটার পোস্টে বলেছেন, ‘রাশিয়া উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র পেয়েছে। তারা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একাধিক প্রস্তাব লঙ্ঘন করেছে।’
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লিভারলি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিন উত্তর কোরিয়ার দিকে সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়েছেন। এটি রাশিয়ার হতাশা ও বিচ্ছিন্নতার লক্ষণ। ইউক্রেনে রাশিয়ার অবৈধ যুদ্ধকে সমর্থন করার জন্য উত্তর কোরিয়াকে উচ্চমূল্য দিতে হবে এবং তা নিশ্চিত করতে আমরা আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করব।’
গত মাসে হোয়াইট হাউস বলেছিল, পিয়ংইয়ং গোপনে রাশিয়াকে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক আর্টিলারি শেল সরবরাহ করেছে। তবে উত্তর কোরিয়া সেই দাবি অস্বীকার করে বলেছিল, রাশিয়ার সঙ্গে তাদের কখনো অস্ত্রের লেনদেন ছিল না এবং এটি করার কোনো পরিকল্পনা উত্তর কোরিয়ার নেই।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের ভিত্তিতে উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারণ দেশটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রচেষ্টা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে জন কিরবি তাঁর বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ইউক্রেনে ওয়াগনার গ্রুপের অন্তত ৫০ হাজার সেনা যুদ্ধ করছে। এর মধ্যে ১০ হাজার ঠিকাদার এবং ৪০ হাজার রাশিয়ার কারাগার থেকে নিয়োগ করা দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে যুদ্ধ করার জন্য ক্রমবর্ধমানভাবে ওয়াগনারের দিকে ঝুঁকছেন। কারণ ইউক্রেনে রুশ বাহিনী হোঁচট খেয়েছে।’
ওয়াগনারের মালিক ইয়েভজেনি প্রিগোজিন যুক্তরাষ্ট্রের এসব দাবিকে অস্বীকার করেছেন এবং ‘গুজব’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
ওয়াগনার গ্রুপ হচ্ছে একটি ভাড়াটে সেনা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। এই গ্রুপের সদস্যদের বেশির ভাগই সাবেক রুশ সেনা। ওয়াগনার গ্রুপ লিবিয়া, সিরিয়া, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, মালিসহ অন্যান্য দেশে ভাড়াটে সৈন্য সরবরাহ করে থাকে।
প্রতিষ্ঠানটি তাদের সব কার্যক্রম এত দিন গোপন রাখলেও গত মাসে জানিয়েছে, সেন্ট পিটার্সবার্গে সদর দপ্তর খুলেছে তারা। গত অক্টোবরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ওয়াগনার গ্রুপের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছিল। ইইউর অভিযোগ, মস্কোর হয়ে এই গোষ্ঠী চোরাগোপ্তা অভিযান চালাচ্ছে। ওয়াগনার নিয়ন্ত্রণের কারণে ইয়োজিনির ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
ইউক্রেনে ভাড়াটে রুশ সেনাদের উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে বলে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাকে ‘অযৌক্তিক’ বলে নিন্দা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছিলেন, ‘ইউক্রেনে যুদ্ধরত রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেটসহ যুদ্ধাস্ত্রের প্রাথমিক চালান পাঠিয়েছে পিয়ংইয়ং। আমরা নিশ্চিত হয়েই বলছি, গত মাসে উত্তর কোরিয়া এসব অস্ত্র পাঠিয়েছে।’
তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই দাবি অস্বীকার করেছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সিতে দেওয়া বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এ ধরনের খবর মিথ্যা ও অযৌক্তিক। এসবের ব্যাখ্যা দেওয়ার কোনো মানে হয় না। উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে অস্ত্র লেনদেন ইস্যুতে উত্তর কোরিয়া তার নীতিগত অবস্থানের কোনো পরিবর্তন করেনি।’
যুক্তরাষ্ট্র নিজেই ইউক্রেনে বিভিন্ন ধরনের প্রাণঘাতী অস্ত্র সরবরাহ করে রক্তপাত ও ধ্বংস ডেকে আনছে বলেও অভিযোগ করেছে উত্তর কোরিয়া।
এদিকে রুশ বাহিনীকে উত্তর কোরিয়ার অস্ত্রের চালান বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে যুক্তরাজ্য। জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত বারবারা উডওয়ার্ড আজ শুক্রবার এক টুইটার পোস্টে বলেছেন, ‘রাশিয়া উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র পেয়েছে। তারা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একাধিক প্রস্তাব লঙ্ঘন করেছে।’
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লিভারলি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিন উত্তর কোরিয়ার দিকে সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়েছেন। এটি রাশিয়ার হতাশা ও বিচ্ছিন্নতার লক্ষণ। ইউক্রেনে রাশিয়ার অবৈধ যুদ্ধকে সমর্থন করার জন্য উত্তর কোরিয়াকে উচ্চমূল্য দিতে হবে এবং তা নিশ্চিত করতে আমরা আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করব।’
গত মাসে হোয়াইট হাউস বলেছিল, পিয়ংইয়ং গোপনে রাশিয়াকে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক আর্টিলারি শেল সরবরাহ করেছে। তবে উত্তর কোরিয়া সেই দাবি অস্বীকার করে বলেছিল, রাশিয়ার সঙ্গে তাদের কখনো অস্ত্রের লেনদেন ছিল না এবং এটি করার কোনো পরিকল্পনা উত্তর কোরিয়ার নেই।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের ভিত্তিতে উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারণ দেশটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রচেষ্টা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে জন কিরবি তাঁর বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ইউক্রেনে ওয়াগনার গ্রুপের অন্তত ৫০ হাজার সেনা যুদ্ধ করছে। এর মধ্যে ১০ হাজার ঠিকাদার এবং ৪০ হাজার রাশিয়ার কারাগার থেকে নিয়োগ করা দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে যুদ্ধ করার জন্য ক্রমবর্ধমানভাবে ওয়াগনারের দিকে ঝুঁকছেন। কারণ ইউক্রেনে রুশ বাহিনী হোঁচট খেয়েছে।’
ওয়াগনারের মালিক ইয়েভজেনি প্রিগোজিন যুক্তরাষ্ট্রের এসব দাবিকে অস্বীকার করেছেন এবং ‘গুজব’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
ওয়াগনার গ্রুপ হচ্ছে একটি ভাড়াটে সেনা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। এই গ্রুপের সদস্যদের বেশির ভাগই সাবেক রুশ সেনা। ওয়াগনার গ্রুপ লিবিয়া, সিরিয়া, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, মালিসহ অন্যান্য দেশে ভাড়াটে সৈন্য সরবরাহ করে থাকে।
প্রতিষ্ঠানটি তাদের সব কার্যক্রম এত দিন গোপন রাখলেও গত মাসে জানিয়েছে, সেন্ট পিটার্সবার্গে সদর দপ্তর খুলেছে তারা। গত অক্টোবরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ওয়াগনার গ্রুপের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছিল। ইইউর অভিযোগ, মস্কোর হয়ে এই গোষ্ঠী চোরাগোপ্তা অভিযান চালাচ্ছে। ওয়াগনার নিয়ন্ত্রণের কারণে ইয়োজিনির ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব-প্রতিপত্তি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লব। এ বিপ্লবের পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিপক্ষে পরিণত হয়েছিল ইরান। এই বিপ্লবের মাধ্যমে পতন হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির সরকারের। বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আয়াতুল্লাহ...
৭ মিনিট আগেইসরায়েলি বিমানবাহিনী ইরানের রাজধানী তেহরানে অবস্থিত কুখ্যাত এভিন কারাগারে হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কি না বা ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা কতটা গুরুতর, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
১ ঘণ্টা আগেইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে কাজ করা একটি অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে হ্যাকটিভিস্ট গ্রুপ সাইবারইসনাদফ্রন্ট।
২ ঘণ্টা আগেইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর চলমান উত্তেজনার মধ্যে রাশিয়া সফরে গেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। সেখানে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। পুতিন তাঁকে বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে যেকোনো আগ্রাসন ‘ভিত্তিহীন’।
২ ঘণ্টা আগে