Ajker Patrika

শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী কে হচ্ছেন

আপডেট : ১২ মে ২০২২, ১৬: ৫৬
শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী কে হচ্ছেন

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে আজ একজন নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। শ্রীলঙ্কার স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাঁচবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে শপথ নিতে পারেন। তিনি দেশটির ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) নেতা। 

অর্থনৈতিক সংকটের জেরে সম্প্রতি এশিয়ার এই দ্বীপদেশটিতে ব্যাপক সহিংসতা শুরু হয়। সহিংসতায় এ পর্যন্ত আটজনের প্রাণহানি ঘটেছে। প্রচণ্ড গণবিক্ষোভের মুখে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন গোতাবায়া রাজাপক্ষের ভাই মাহিন্দা রাজাপক্ষে। আজ যদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রনিল বিক্রমাসিংহের নাম ঘোষণা করা হয়, তবে তিনিই হবেন শ্রীলঙ্কার ২২৫ সদস্যের সংসদে একটি ‘ঐক্য সরকারের’ প্রধান। 

এদিকে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার ঘনিষ্ঠ একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, শেষ মুহূর্তে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলে আজ রনিল বিক্রমাসিংহের শপথ নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

গতকাল বুধবার গভীর রাতে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে জাতির উদ্দেশে একটি টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, তিনি একটি নতুন সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য দলীয় নেতাদের সঙ্গে কাজ করছেন। একজন নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ এবং রাজাপক্ষে পরিবারের সদস্য ছাড়াই একটি তরুণ মন্ত্রিসভা গঠন করবেন বলেও জনগণকে আশ্বস্ত করেন গোতাবায়া। তিনি বলেন, ‘আমি এমন একজন প্রধানমন্ত্রীর নাম দেব, যিনি সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং জনগণের আস্থাভাজন।’ 

তবে এর আগে নতুন সরকার গঠনের আলোচনা খুব একটা ফলপ্রসূ হয়নি। প্রধান বিরোধী দল এসজেবিকে নতুন সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তবে তারা তা প্রত্যাখ্যান করেছে। দলটি বলেছে, প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া পদত্যাগ না করলে তাঁরা নতুন সরকারে যোগ দেবেন না। 

হিন্দুস্তান টাইমস লিখেছে, এসজেবির প্রায় এক ডজন সাংসদ রনিল বিক্রমাসিংহেকে সমর্থন দিয়েছেন বলে জানা গেছে। ৭৩ বছর বয়সী বিক্রমাসিংহে পাঁচবার শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তাঁকে পশ্চিমাপন্থী মুক্তবাজার অর্থনীতির সংস্কারবাদী হিসেবে দেখা হয়। 

শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যম দ্য মিরর জানিয়েছে, গতকাল বুধবার রাতে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন রনিল বিক্রমাসিংহে। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়েছে শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন রনিল। 

ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি (ইউএনপি) শ্রীলঙ্কায় সবচেয়ে দীর্ঘ সময় শাসনকারী একটি মধ্য ডানপন্থী রাজনৈতিক দল। শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতা পরবর্তী ৭৪ বছরের মধ্যে ৩৮ বছর এককভাবে বা জোটে থেকে দেশের শাসন ক্ষমতায় ছিল দলটি। 

২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ইন্টারন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নের সদস্য হয়েছে দলটি। মধ্য ডানপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন এটি। সংগঠনটির সদরদপ্তর জার্মানির মিউনিখে।

২০১৯ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় দলটির মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল শুরু হয়। ওই নির্বাচনে দলের প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের কাছে পরাজিত হন। ২০২০ সালের এপ্রিলে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে পর্যন্ত দলটি পার্লামেন্টে প্রধান বিরোধী দল ছিল।

২০২০ সালের নির্বাচনে নতুন জোট নিয়ে দল বিভক্ত হয়ে পড়ে। দলের তিন চতুর্থাংশ পার্লামেন্ট সদস্য দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাখ্যান করেন। নতুন জোট সামাগি জানা বালায়েগায়া (এসজিবি) থেকে মনোনয়ন নেন তাঁরা। ফলে ৯৯ জন জ্যেষ্ঠ নেতা দলের সদস্যপদ হারান। দলের সমর্থকেরাও নতুন জোটে ঝুঁকে পড়েন।

সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়ে এসজিবি এবং ইউএনপি ২০২০ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে আলাদাভাবে অংশ নেয়। রাজাপক্ষেদের এসএলপিপি বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়। তারা ১৪৫ আসন জিতে। আর এসজিবি পায় ৫৪টি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সবচেয়ে বাজে ফল করে ইউএনপি। মাত্র ২ দশমিক ১৫ শতাংশ ভোট পায় তারা। একটি আসনও জিততে পারেনি। মাত্র একটি ন্যাশনাল লিস্ট আসন পায় দলটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারা বড় হলে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে লজ্জিত হবে: সেনাপ্রধান

এনবিআর কর্মকর্তার কাণ্ড: কৃত্রিম অঙ্গের ঘোষণা দিয়ে ৪৫০ টন গয়না আমদানি

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিসিএসের আদলে শিক্ষক নিয়োগ

যুগ্ম সদস্যসচিব মাহিন সরকারকে বহিষ্কারের কারণ জানাল এনসিপি

আবাসন কোম্পানির অনিয়ম অনুসন্ধানে গড়িমসি, দুদকের উপপরিচালক বরখাস্ত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত