ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে পাহাড়ি এলাকায় বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে অবতরণের সময় আছড়ে পড়ে হেলিকপ্টারটির দুর্ঘটনা অনেকের কাছেই ধাক্কা হিসেবে এসেছে। কারণ প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টার, তার পাইলট এবং রক্ষণাবেক্ষণকারী ক্রুদের দেশসেরা হওয়ার কথা। তাই দেশের প্রেসিডেন্ট নিখোঁজ হবেন বা দুর্ঘটনায় পড়বেন—এটা কিছুটা অপ্রত্যাশিতই বটে।
তারপরও দুর্ঘটনায় জীবন হারিয়েছেন বিশ্বের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও সামরিক নেতা। কেন তাঁদের বাহন বিধ্বস্ত হয়েছিল তা নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র তত্ত্বও রয়েছে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হেলিকপ্টার এবং বিমান দুর্ঘটনার কারণ এর যান্ত্রিক ত্রুটি, পাইলটের ভুল বা প্রতিকূল আবহাওয়া।
ইব্রাহিম রাইসি এখন ঢুকে পড়েছেন বিশ্বের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির তালিকায়, যাঁদের মৃত্যু ঘটেছে রহস্যজনক দুর্ঘটনায়।
জাতিসংঘ মহাসচিব দ্যাগ হ্যামারশোল্ড
১৯৬১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ডিসি-৬ মডেলের যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনায় জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিব ও সুইডিশ কূটনীতিক দ্যাগ হ্যামারশোল্ড নিহত হন। ট্রান্সএয়ার সুইডেনের বিমানটি তখন জাতিসংঘের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছিল।
জাম্বিয়ায় বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। নিহত হন ১৬ জন। হ্যামারশোল্ড তখন কঙ্গোর যুদ্ধ সম্পর্কে স্পর্শকাতর আলোচনা চালাচ্ছিলেন। কঙ্গোর প্রদেশ কাতাঙ্গায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত আলোচনায় যাওয়ার কথা ছিল তাঁর।
দুর্ঘটনার ব্যাপারে তদন্তে বিমানটির কোনো যন্ত্রাংশের ত্রুটির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হয়েছিল যে খুব নিচু দিয়ে ওড়ার কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল। তা সত্ত্বেও, দুর্ঘটনাটি বেশ কিছু ষড়যন্ত্র তত্ত্বের জন্ম দিয়েছিল—যার প্রায় প্রতিটিতেই বলার চেষ্টা করা হয়েছে যে জাতিসংঘের প্রধানকে হত্যা করা হয়েছিল।
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লিন বিয়াও
১৯৭১ সালে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লিন বিয়াও একটি বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন। কমিউনিস্ট পার্টির উত্থান এবং চীনে জাপানি ও জাতীয়তাবাদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় একজন প্রখ্যাত কমান্ডার ছিলেন লিন বিয়াও।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন লিন বিয়াওয়ের মৃত্যু সম্পর্কে বলেছিল, লিন তাঁর সকল সামরিক কর্মকাণ্ডে জয়লাভ করলেও অন্য ধরনের একটি যুদ্ধ তাঁকে পরাজিত করেছিল। আর সেটা হলো কমিউনিস্ট পার্টির অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক যুদ্ধ।
লিন ১৯৭১ সালে নিখোঁজ হন। চীনা সরকার তখন বলেছিল যে চেয়ারম্যান মাওকে হত্যার ব্যাপারে লিনের পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ার পরে মঙ্গোলিয়ায় একটি বিমান দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান।
ফ্লাইটের সময় কী ঘটেছিল এবং কীভাবে তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল তা এখনো জানা যায়নি। হকার সিডেলি এইচএস-১২১ ট্রাইডেন্ট নামের লিনকে বহনকারী বিমানটি মঙ্গোলিয়ায় বিধ্বস্ত হয়।
পানামার প্রেসিডেন্ট ওমর তরিজোস
পানামার প্রেসিডেন্ট ওমর তরিজোস ১৯৮১ সালের ৩১ জুলাই পানামার পেনোনোমের কাছে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন।
তিনি পানামা এয়ারফোর্সের ডি হ্যাভিল্যান্ড কানাডার ডিএইচসি-৬ টুইন অটারে যাচ্ছিলেন। তাঁর বিমান নিখোঁজ হওয়ার খবর দিতে এক দিন এবং দুর্ঘটনাস্থল খুঁজে পেতে বেশ কয়েক দিন লেগেছিল।
তরিজোস যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তির কাজ করছিলেন। পানামা খালের ওপর পানামাকে নিয়ন্ত্রণ দেওয়া সম্পর্কিত সেই চুক্তিকে তাঁর মৃত্যুর কারণ হিসেবে ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বলা হয়।
অনেক বছর পর, পানামার একনায়ক ম্যানুয়েল নরিগার একজন অ্যাটর্নি জোর দিয়ে বলেছিলেন যে নরিয়েগার কাছে এমন তথ্য রয়েছে যা তরিজোসকে হত্যার ষড়যন্ত্রকে দেখায়। তবে সেই ষড়যন্ত্রের কোনো প্রমাণ মেলেনি।
মোজাম্বিকের প্রেসিডেন্ট সামোরা ম্যাচেল
মোজাম্বিকের রাষ্ট্রপতি সামোরা ম্যাচেল ১৯৮৬ সালের ১৯ অক্টোবর বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন। তিনি একটি সোভিয়েত তুপোলেভ টু-১৩৪ জেটলাইনারে ছিলেন। এ দুর্ঘটনায় ৩৪ জন মারা গেলেও ১০ জন বেঁচে যান।
নিহতদের মধ্যে ম্যাচেলের সরকারের সিনিয়র সদস্যরাও ছিলেন। একটি তদন্তে দেখা গেছে, কম উচ্চতায় উড়ে যাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা উপেক্ষা করেছিলেন বিমানের ক্রুরা।
সে সময় অবশ্য কিছু ষড়যন্ত্র তত্ত্ব দুর্ঘটনায় দক্ষিণ আফ্রিকার জড়িত থাকার দিকে ইঙ্গিত করেছিল। ফ্লাইটটি মোজাম্বিক থেকে জাম্বিয়ার দিকে যাওয়ার কথা থাকলেও এটি দক্ষিণ আফ্রিকায় বিধ্বস্ত হয়েছিল বলে ডালপালা মেলে এসব ষড়যন্ত্র তত্ত্ব।
দুর্ঘটনার তদন্তকারী আন্তর্জাতিক কমিশনের নেতৃত্বে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সেসিল মার্গো দুর্ঘটনার পর বলেছেন, ‘তারা কোথায় ছিল তা না জানলে নিচু দিয়ে উড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তটি ক্ষমার অযোগ্য।’
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক ১৯৮৮ সালের ১৭ আগস্ট বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন। বিমানটি বাহাওয়ালপুরে বিধ্বস্ত হয়। এটি ইসলামাবাদ পর্যন্ত ৬০০ কিলোমিটার উড়ে যাওয়ার কথা ছিল।
বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময় ৩০ জন যাত্রী ছিলেন। বিমানটিতে পাকিস্তানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্নল্ড রাফেল ছাড়াও পাকিস্তানে মার্কিন সামরিক মিশনের প্রধান এবং পাকিস্তানের সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তারা ছিলেন। বিমানটি ছিল একটি সি-১৩০। যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সম্পর্ক ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠার সময় জিয়ার মৃত্যু ঘটে।
আফগানিস্তানে সোভিয়েতদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় ঘটে এ দুর্ঘটনা। কোনো বিমান দুর্ঘটনায় একসঙ্গে এতজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নিহত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নিয়ে হয়েছে অনেক চর্চা। ইসলামপন্থী চরমপন্থীদের সমর্থন এবং পাকিস্তানের রূপান্তরের জন্য দায়ী জিয়া ছিলেন একজন অতি ডানপন্থী রাজনীতিবিদ।
দক্ষিণ সুদানের প্রেসিডেন্ট জন গ্যারাং ডি মাবিওর
সুদানের নেতা জন গ্যারাং ডি মাবিওর ২০০৫ সালে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন। নৃশংস শাসন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য দক্ষিণ সুদানের সংগ্রামের সময় সুদান পিপলস লিবারেশন আর্মির নেতৃত্ব দেন তিনি। বাহিনীটি এখন দক্ষিণ সুদান পিপলস ডিফেন্স ফোর্স নামে পরিচিত।
তিনি উগান্ডার রাষ্ট্রপতির এমআই-১৭২ হেলিকপ্টারে ভ্রমণ করছিলেন। উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইউওয়েরি মুসেভেনির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি দক্ষিণ সুদানে ফিরছিলেন।
তিনি কোথায় যাচ্ছেন তা কাউকে জানাননি বলে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার অনুসন্ধানে অতিরিক্ত সময় লেগেছিল এবং কী কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে সে সম্পর্কে ছড়িয়েছিল গুজব। তা সত্ত্বেও দক্ষিণ সুদানের পাহাড়ি অঞ্চলে খারাপ আবহাওয়ায় হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছিল বলেই জানান হয়। গ্যারাংয়ের সঙ্গে থাকা ছয়জনের সঙ্গে উগান্ডার সাতজন ক্রুও তখন নিহত হন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে পাহাড়ি এলাকায় বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে অবতরণের সময় আছড়ে পড়ে হেলিকপ্টারটির দুর্ঘটনা অনেকের কাছেই ধাক্কা হিসেবে এসেছে। কারণ প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টার, তার পাইলট এবং রক্ষণাবেক্ষণকারী ক্রুদের দেশসেরা হওয়ার কথা। তাই দেশের প্রেসিডেন্ট নিখোঁজ হবেন বা দুর্ঘটনায় পড়বেন—এটা কিছুটা অপ্রত্যাশিতই বটে।
তারপরও দুর্ঘটনায় জীবন হারিয়েছেন বিশ্বের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও সামরিক নেতা। কেন তাঁদের বাহন বিধ্বস্ত হয়েছিল তা নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র তত্ত্বও রয়েছে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হেলিকপ্টার এবং বিমান দুর্ঘটনার কারণ এর যান্ত্রিক ত্রুটি, পাইলটের ভুল বা প্রতিকূল আবহাওয়া।
ইব্রাহিম রাইসি এখন ঢুকে পড়েছেন বিশ্বের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির তালিকায়, যাঁদের মৃত্যু ঘটেছে রহস্যজনক দুর্ঘটনায়।
জাতিসংঘ মহাসচিব দ্যাগ হ্যামারশোল্ড
১৯৬১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ডিসি-৬ মডেলের যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনায় জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিব ও সুইডিশ কূটনীতিক দ্যাগ হ্যামারশোল্ড নিহত হন। ট্রান্সএয়ার সুইডেনের বিমানটি তখন জাতিসংঘের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছিল।
জাম্বিয়ায় বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। নিহত হন ১৬ জন। হ্যামারশোল্ড তখন কঙ্গোর যুদ্ধ সম্পর্কে স্পর্শকাতর আলোচনা চালাচ্ছিলেন। কঙ্গোর প্রদেশ কাতাঙ্গায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত আলোচনায় যাওয়ার কথা ছিল তাঁর।
দুর্ঘটনার ব্যাপারে তদন্তে বিমানটির কোনো যন্ত্রাংশের ত্রুটির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হয়েছিল যে খুব নিচু দিয়ে ওড়ার কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল। তা সত্ত্বেও, দুর্ঘটনাটি বেশ কিছু ষড়যন্ত্র তত্ত্বের জন্ম দিয়েছিল—যার প্রায় প্রতিটিতেই বলার চেষ্টা করা হয়েছে যে জাতিসংঘের প্রধানকে হত্যা করা হয়েছিল।
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লিন বিয়াও
১৯৭১ সালে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লিন বিয়াও একটি বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন। কমিউনিস্ট পার্টির উত্থান এবং চীনে জাপানি ও জাতীয়তাবাদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় একজন প্রখ্যাত কমান্ডার ছিলেন লিন বিয়াও।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন লিন বিয়াওয়ের মৃত্যু সম্পর্কে বলেছিল, লিন তাঁর সকল সামরিক কর্মকাণ্ডে জয়লাভ করলেও অন্য ধরনের একটি যুদ্ধ তাঁকে পরাজিত করেছিল। আর সেটা হলো কমিউনিস্ট পার্টির অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক যুদ্ধ।
লিন ১৯৭১ সালে নিখোঁজ হন। চীনা সরকার তখন বলেছিল যে চেয়ারম্যান মাওকে হত্যার ব্যাপারে লিনের পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ার পরে মঙ্গোলিয়ায় একটি বিমান দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান।
ফ্লাইটের সময় কী ঘটেছিল এবং কীভাবে তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল তা এখনো জানা যায়নি। হকার সিডেলি এইচএস-১২১ ট্রাইডেন্ট নামের লিনকে বহনকারী বিমানটি মঙ্গোলিয়ায় বিধ্বস্ত হয়।
পানামার প্রেসিডেন্ট ওমর তরিজোস
পানামার প্রেসিডেন্ট ওমর তরিজোস ১৯৮১ সালের ৩১ জুলাই পানামার পেনোনোমের কাছে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন।
তিনি পানামা এয়ারফোর্সের ডি হ্যাভিল্যান্ড কানাডার ডিএইচসি-৬ টুইন অটারে যাচ্ছিলেন। তাঁর বিমান নিখোঁজ হওয়ার খবর দিতে এক দিন এবং দুর্ঘটনাস্থল খুঁজে পেতে বেশ কয়েক দিন লেগেছিল।
তরিজোস যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তির কাজ করছিলেন। পানামা খালের ওপর পানামাকে নিয়ন্ত্রণ দেওয়া সম্পর্কিত সেই চুক্তিকে তাঁর মৃত্যুর কারণ হিসেবে ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বলা হয়।
অনেক বছর পর, পানামার একনায়ক ম্যানুয়েল নরিগার একজন অ্যাটর্নি জোর দিয়ে বলেছিলেন যে নরিয়েগার কাছে এমন তথ্য রয়েছে যা তরিজোসকে হত্যার ষড়যন্ত্রকে দেখায়। তবে সেই ষড়যন্ত্রের কোনো প্রমাণ মেলেনি।
মোজাম্বিকের প্রেসিডেন্ট সামোরা ম্যাচেল
মোজাম্বিকের রাষ্ট্রপতি সামোরা ম্যাচেল ১৯৮৬ সালের ১৯ অক্টোবর বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন। তিনি একটি সোভিয়েত তুপোলেভ টু-১৩৪ জেটলাইনারে ছিলেন। এ দুর্ঘটনায় ৩৪ জন মারা গেলেও ১০ জন বেঁচে যান।
নিহতদের মধ্যে ম্যাচেলের সরকারের সিনিয়র সদস্যরাও ছিলেন। একটি তদন্তে দেখা গেছে, কম উচ্চতায় উড়ে যাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা উপেক্ষা করেছিলেন বিমানের ক্রুরা।
সে সময় অবশ্য কিছু ষড়যন্ত্র তত্ত্ব দুর্ঘটনায় দক্ষিণ আফ্রিকার জড়িত থাকার দিকে ইঙ্গিত করেছিল। ফ্লাইটটি মোজাম্বিক থেকে জাম্বিয়ার দিকে যাওয়ার কথা থাকলেও এটি দক্ষিণ আফ্রিকায় বিধ্বস্ত হয়েছিল বলে ডালপালা মেলে এসব ষড়যন্ত্র তত্ত্ব।
দুর্ঘটনার তদন্তকারী আন্তর্জাতিক কমিশনের নেতৃত্বে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সেসিল মার্গো দুর্ঘটনার পর বলেছেন, ‘তারা কোথায় ছিল তা না জানলে নিচু দিয়ে উড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তটি ক্ষমার অযোগ্য।’
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক ১৯৮৮ সালের ১৭ আগস্ট বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন। বিমানটি বাহাওয়ালপুরে বিধ্বস্ত হয়। এটি ইসলামাবাদ পর্যন্ত ৬০০ কিলোমিটার উড়ে যাওয়ার কথা ছিল।
বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময় ৩০ জন যাত্রী ছিলেন। বিমানটিতে পাকিস্তানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্নল্ড রাফেল ছাড়াও পাকিস্তানে মার্কিন সামরিক মিশনের প্রধান এবং পাকিস্তানের সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তারা ছিলেন। বিমানটি ছিল একটি সি-১৩০। যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সম্পর্ক ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠার সময় জিয়ার মৃত্যু ঘটে।
আফগানিস্তানে সোভিয়েতদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় ঘটে এ দুর্ঘটনা। কোনো বিমান দুর্ঘটনায় একসঙ্গে এতজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নিহত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নিয়ে হয়েছে অনেক চর্চা। ইসলামপন্থী চরমপন্থীদের সমর্থন এবং পাকিস্তানের রূপান্তরের জন্য দায়ী জিয়া ছিলেন একজন অতি ডানপন্থী রাজনীতিবিদ।
দক্ষিণ সুদানের প্রেসিডেন্ট জন গ্যারাং ডি মাবিওর
সুদানের নেতা জন গ্যারাং ডি মাবিওর ২০০৫ সালে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন। নৃশংস শাসন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য দক্ষিণ সুদানের সংগ্রামের সময় সুদান পিপলস লিবারেশন আর্মির নেতৃত্ব দেন তিনি। বাহিনীটি এখন দক্ষিণ সুদান পিপলস ডিফেন্স ফোর্স নামে পরিচিত।
তিনি উগান্ডার রাষ্ট্রপতির এমআই-১৭২ হেলিকপ্টারে ভ্রমণ করছিলেন। উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইউওয়েরি মুসেভেনির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি দক্ষিণ সুদানে ফিরছিলেন।
তিনি কোথায় যাচ্ছেন তা কাউকে জানাননি বলে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার অনুসন্ধানে অতিরিক্ত সময় লেগেছিল এবং কী কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে সে সম্পর্কে ছড়িয়েছিল গুজব। তা সত্ত্বেও দক্ষিণ সুদানের পাহাড়ি অঞ্চলে খারাপ আবহাওয়ায় হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছিল বলেই জানান হয়। গ্যারাংয়ের সঙ্গে থাকা ছয়জনের সঙ্গে উগান্ডার সাতজন ক্রুও তখন নিহত হন।
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়েছে ইরান। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা। পাহাড়ের ভেতরে গড়ে ওঠা এই গোপন ও কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত পরমাণু জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের একাধিক প্রবেশপথে মাটি জমে থাকতে দেখা
৩৮ মিনিট আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে ইরানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলার ঘোষণা দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি বিশ্বজুড়ে অচল হয়ে পড়ে। স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৮টার দিকে এই বিভ্রাট শুরু হয়, যা চলে অনেকক্ষণ। তবে এখন আবার স্বাভাবিকভাবে চলছে প্ল্যাটফর্মটি।
১ ঘণ্টা আগেইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর প্রথম প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। তিনি এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ এবং পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (এনপিটি) গুরুতর লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—এই
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন হামলার পর এবার সবার চোখ ইরানের দিকে। এই হামলার পাল্টা আঘাত হিসেবে কী করতে যাচ্ছে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের এই দেশটি। ইসরায়েলি হামলায় শীর্ষ নেতাদের হারানো এবং নতুন করে দায়িত্ব সমর্পণ করে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া খামেনি এবার মার্কিন আঘাতের পাল্টা জবাব কীভাবে দেবেন, সেটা দেখার অপেক্ষায় সবাই।
১ ঘণ্টা আগে