Ajker Patrika

যুক্তরাষ্ট্র–ইরান বন্দী বিনিময়ে সম্মত: তেহরান

আপডেট : ০৩ মে ২০২১, ১২: ৪৭
যুক্তরাষ্ট্র–ইরান বন্দী বিনিময়ে সম্মত: তেহরান

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান পরস্পরের মধ্যে বন্দি বিনিময়ে সম্মত হয়েছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে আটক থাকা ইরানের ৭০০ কোটি ডলারের তহবিল ছাড়ের বিষয়েও সম্মত হয়েছে ওয়াশিংটন। আজ রোববার ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এ তথ্য জানানো হয়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বন্দি বিনিময়ের বিষয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। ইরানে বন্দি থাকা চার মার্কিন নাগরিকের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রে বন্দী থাকা চার ইরানের নাগরিককে মুক্ত করার বিষয়ে দুই দেশ সম্মত হয়েছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে জব্দ হওয়া ইরানের ৭০০ কোটি মার্কিন ডলারের তহবিল তেহরানের কাছে হস্তান্তরের বিষয়েও ওয়াশিংটন সম্মত হয়েছে। তবে এ বিষয়ে হোয়াইট হাউস বা মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কেউ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত খবরে বলা হয়, ব্রিটিশ–ইরানি নাগরিক নাজানিন জাঘারি র‍্যাটক্লিফকেও তারা ছেড়ে দিয়েছে। ব্রিটেন ইরানের সামরিক পাওনা পরিশোধের পরই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

অবশ্য এ বিষয়েও ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় যুক্তরাষ্ট্রে বন্দী চার ইরানি নাগরিককে বিনিময় করতে রাজি হয়েছে জো বাইডেন প্রশাসন। তবে এর বিনিময়ে ইরানকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক চার মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দিতে হবে। আর ব্রিটিশ নাগরিক নাজানিন জাঘারির মুক্তির বিষয়টি নির্ভর করছে ব্রিটেনের কাছ থেকে ইরানের পাওনা ৪০ কোটি পাউন্ড পরিশোধের ওপর।

জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসার পর ইরানের সঙ্গ ওয়াশিংটনের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিন বছর আগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় ছয় জাতি পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয়। ২০১৫ সালে হওয়া ওই চুক্তিকে পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়ে এখন বিশ্ব শক্তিগুলো আলোচনা করছে। এ ক্ষেত্রে অনেকখানি অগ্রগতিও হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

গত মাসে ইরানের এক সরকারি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছিলেন, একটি অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তিতে পৌঁছার মতো পরিস্থিতি এরই মধ্যে তৈরি হয়েছে। বিশেষত মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে আটকা পড়া ইরানের বিপুল অঙ্কের তহবিল ছাড় হওয়ার একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

এ নিয়ে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় তেহরানের সঙ্গে আলোচনায় বসছে বিশ্ব শক্তিগুলো। মূল চেষ্টা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে হওয়া ছয় জাতি পরমাণু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানকে ফিরিয়ে আনা। আলোচনায় ইরান বলেছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে ২০১৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়া, ইরাক ও চীনে দেশটির ২ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের তহবিল আটকা পড়েছে।

তবে এখন পর্যন্ত আলোচনা চললেও কোনো সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান। আজ রোববার এবিসি নিউজের `দিজ উইক’ অনুষ্ঠানে এ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এখনো বেশ কিছু বিষয়ে দু পক্ষের মধ্যে দূরত্ব রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য দেশগুলো কোন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে বা নেবে না, তা নিয়েই এ দূরত্ব।

এদিকে একই দিনে টাইমস রেডিওতে দেওয়া বক্তব্যে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক র‍্যাব বলেন, ইরানের পাওনা ফিরিয়ে দেওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। আমরা এর একটি পথ খুঁজছি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত