Ajker Patrika

এক সপ্তাহে ১৫ হাজার কোটি ডলার গেল যুক্তরাষ্ট্রের দুই ব্যাংক বাঁচাতে

আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২৩, ১৯: ২৩
এক সপ্তাহে ১৫ হাজার কোটি ডলার গেল যুক্তরাষ্ট্রের দুই ব্যাংক বাঁচাতে

৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক ও সিগনেচার ব্যাংক বন্ধ ঘোষণা পর ব্যাংক দুটির মালিকানায় থাকা দুই কোম্পানি এক সপ্তাহে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ১৪ হাজার ৩০০ কোটি ডলার ধার নিয়েছে।

ফেডারেল রিজার্ভের তথ্যের ভিত্তিতে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান বলছে, সব মিলে নগদ অর্থের সংকটে থাকা ব্যাংকগুলো মোট ৩০ হাজার কোটি ডলার ধার করেছে। তবে বাকি ১৫ হাজার কোটি ডলারের বেশি অর্থ কোন কোন ব্যাংক ধার করেছে সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি।

‘ডিসকাউন্ট উইন্ডো’ নামে ফেডারেল রিজার্ভের বিশেষ তহবিল থেকে এই ঋণ সুবিধা নেওয়া হয়। এ সুবিধা থেকে গত সপ্তাহে অতিরিক্ত ১৫ হাজার ৩০০ কোটি ডলার ব্যাংকগুলো ধার করেছে। এই পরিমাণ ঋণ এত অল্প সময়ে আর কখনো ব্যাংক খাতে যায়নি।

এ তহবিল থেকে সাধারণত ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি ডলার ধার করা হয়। এ ডিসকাউন্ট উইন্ডো থেকে ব্যাংকগুলো ৯০ দিনের জন্য অর্থ ধার করতে পারে।

ধসের মুখে পড়া দুই ব্যাংকের দায়িত্ব নিয়েছে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশন (এফডিআইসি)। দুই হোল্ডিং কোম্পানি যে অর্থ ধার করেছে, তা বিমার আওতায় থাকা আমানত ফেরতে ব্যবহৃত হয়েছে। ব্যাংকগুলোর হাতে থাকা বন্ড এ ক্ষেত্রে জামানত হিসেবে রাখা হয়েছে।

এফডিআইসি নিশ্চয়তা দিয়েছে যে ঋণের অর্থ ফেরত দেওয়া হবে। ব্যাংক দুটিতে ধস নামার পর ফেডারেল রিজার্ভ কী পরিমাণ সহায়তা দিয়েছে, অর্থ ধার করার—এ তথ্য প্রকাশের পর সে সম্পর্কে প্রথম একটি ধারণা পাওয়া গেছে।

ফেডারেল রিজার্ভ এর বাইরে আরও ১ হাজার ১১৯ কোটি ডলার ধার দিয়েছে গত রোববার চালু করা আরেকটি ঋণ কর্মসূচির আওতায়। ব্যাংকগুলো এখান থেকে ঋণ নিয়ে তাদের অর্থের প্রবাহ বাড়াতে এবং আমানতকারীদের অর্থ পরিশোধ করতে পারে।

জেপি মরগান চেজ ব্যাংকের অর্থনীতিবিদ মাইকেল ফেরোলির গবেষণা প্রতিবেদনে বলেন, ১৫ বছর আগে আর্থিক সংকটের সময় যে পরিমাণ অর্থসহায়তা ফেডারেল রিজার্ভ দিয়েছিল, এরই মধ্যে তার প্রায় অর্ধেক পরিমাণ সহায়তা তারা দিয়ে ফেলেছে।

সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক ও সিগনেচার ব্যাংকের ধস নামার প্রধান কারণ মোকাবিলা করতেও ফেডারেল রিজার্ভ জরুরি ভিত্তিতে অর্থ ধার দিয়েছে। ওই কারণটি হলো ব্যাংক দুটি মোটামুটি নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত ট্রেজারি এবং অন্যান্য বন্ডে বিনিয়োগ করেছিল, যেখানে সুদ ছিল খুব কম।
এক বছর ধরে ফেডারেল রিজার্ভ নীতি সুদহার বাড়িয়েছে, ফলে দীর্ঘমেয়াদি ট্রেজারি এবং অন্যান্য বন্ডে আয় বেড়েছে। কিন্তু এর ফলে কম আয় করে এমন বন্ডের মূল্য কমেছে। আর ব্যাংকগুলোর হাতে এমন বন্ডই ছিল।

ফলে ব্যাংকগুলো এমন সময়ে ট্রেজারি বন্ড বিক্রি করে প্রয়োজনীয় অর্থ তুলতে পারেনি, যখন আমানতকারীরা ব্যাংকগুলো থেকে টাকা তোলার চেষ্টা করছিল। ব্যাংক থেকে টাকা তোলার হিড়িকের যেসব গল্প শোনা যায়, এ ঘটনা ছিল অনেকটা তার মতোই।
রোববার অর্থ ধার দেওয়ার যে নতুন বিশেষ তহবিল ফেডারেল রিজার্ভ চালু করেছে, তার ফলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আর বন্ড বিক্রি করে টাকা জোগাড় করতে হবে না। বরং তারা বন্ড জমা রেখে এর বিনিময়ে অর্থ নিতে পারবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

মানবিক করিডর না ভূরাজনৈতিক কৌশল? সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতায় উদ্বেগ

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা–ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

ভারত–বাংলাদেশ বাণিজ্য বিধিনিষেধের মূল্য গুনছেন ব্যবসায়ীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত