ভ্যানাডিয়ামসহ কিছু মূল্যবান খনিজ উপাদানের জন্য চীন ও রাশিয়ার ওপর নির্ভর করতে হয় আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলোকে। বহুদিন ধরেই তারা এই নির্ভরশীলতা কমানোর উপায় খুঁজে বেড়াচ্ছে।
কিছুদিন আগেও বিশুদ্ধ ফসফেট শিলার সবচেয়ে বড় মজুত ধরা হতো রাশিয়ার কোলা উপদ্বীপকে। দেশটিতে ভ্যানাডিয়াম, টাইটানিয়ামেরও বিপুল মজুত রয়েছে। তবে গত মাসেই নরজে মাইনিং নামে একটি কোম্পানি চমকপ্রদ তথ্য দিয়েছে।
খনি উত্তোলক অ্যাংলো নরওয়েজীয় ওই কোম্পানি ঘোষণা করেছে, নরওয়ের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে বিশুদ্ধ ফসফেট শিলাসহ ভ্যানাডিয়াম ও টাইটানিয়ামের অন্তত ৭ হাজার কোটি টনের বিপুল মজুত খুঁজে পাওয়া গেছে। এই পরিমাণ মজুত দিয়ে আগামী ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সারা বিশ্বের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব!
দ্য ইকোনমিস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ধরনের কৌশলগত খনিজ উপাদানের জন্য বর্তমানে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি চলছে। টাইটানিয়াম ব্যবহার করা হয় ফাইটার জেটসহ বিভিন্ন ধরনের বিমান তৈরিতে। আর উন্নত ইস্পাত তৈরি ছাড়াও বিদ্যুৎ উৎপাদক কোম্পানিগুলোর ব্যবহৃত উচ্চ প্রযুক্তিসমৃদ্ধ তরল ব্যাটারির জন্য প্রয়োজন ভ্যানাডিয়াম।
ফসফেট শিলা কাজে লাগে মূলত সার ও কম্পিউটার চিপ তৈরিতে। এ ছাড়া সৌর প্যানেলের জন্য পর্যাপ্ত ফসফরাস পেতেও এই শিলার প্রয়োজন।
গুরুত্বপূর্ণ এই তিন খনির জন্য ইউরোপ ও আমেরিকাকে এমন সব দেশের ওপর নির্ভর করতে হয়, যারা বৈশ্বিক রাজনীতিতে তাদের প্রতিপক্ষ ও অবিশ্বস্ত।
জানা গেছে, ইউরোপের বিমান নির্মাণ সংস্থা এয়ারবাস তাদের অতি প্রয়োজনীয় টাইটানিয়াম উপাদানটির অর্ধেকই কেনে রাশিয়া থেকে। আর এক জাপানি সরবরাহকারীর সহযোগিতায় ওই উপাদান আফ্রিকা থেকে সংগ্রহ করে মার্কিন বহুজাতিক বিমান নির্মাণ সংস্থা বোয়িং। তবে আফ্রিকার টাইটানিয়াম খনিগুলো এখন চীনারাই নিয়ন্ত্রণ করছে।
এদিকে ভ্যানাডিয়াম উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে চীন, রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিল। মূল্যবান এসব উপাদানের পুরোটাই আমদানি করতে হয় আমেরিকাকে।
বর্তমানে ইউরোপ ও আমেরিকায় ফসফেট ও ফসফরাসের চাহিদা নতুনভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। কারণ, এ দুটি অঞ্চল খাদ্যনিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এ ছাড়া চিপ তৈরি এবং সৌরশিল্পের বিকাশে এই উপাদানের বিকল্প নেই। এ অবস্থায় নরওয়েতে নতুন খনি আবিষ্কারের ঘটনাটি তাদের জন্য বড় একটি সুখবর।
নতুন আবিষ্কারের বিষয়ে নরজে মাইনিংয়ের সহপ্রধান নির্বাহী মাইকেল ওয়ার্মসার জানিয়েছেন, নতুন ফসফেট শিলা অনেক বিশুদ্ধ হবে। আফ্রিকার ফসফেট শিলা বালুমিশ্রিত এবং এতে অনেক দূষক রয়েছে।
নরজে মাইনিংয়ের প্রাথমিক পরিকল্পনা হলো, খনি উত্তোলন করতে গিয়ে যে কার্বন নিঃসারণ হবে, তা নিয়ন্ত্রণ ও সংরক্ষণ করা। এ ক্ষেত্রে খনি উত্তোলনে পরিবেশগত ছাড়পত্র পেতে তাদের সহজ হবে। আর খনিজ উপাদানগুলো পাওয়ার ক্ষেত্রে নরওয়ের পাশাপাশি ইউরোপ ও আমেরিকা উচ্চ অগ্রাধিকার পাবে। বিষয়টি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অতিগুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল আইন এবং মার্কিন কৌশলগত খনিজ প্রকল্পের অধীনে পড়ে।
আরেকটি বিষয় হলো, সুইডেনের উত্তরাঞ্চলেও একধরনের অতি প্রয়োজনীয় বিরল ধাতুর সন্ধান পাওয়া গেছে। বলা হচ্ছে, ইউরোপের মাটিতে এ ধরনের আবিষ্কার চীন-রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আমেরিকা ও পশ্চিমা দেশগুলোকে দারুণভাবে এগিয়ে রাখবে।
ভ্যানাডিয়ামসহ কিছু মূল্যবান খনিজ উপাদানের জন্য চীন ও রাশিয়ার ওপর নির্ভর করতে হয় আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলোকে। বহুদিন ধরেই তারা এই নির্ভরশীলতা কমানোর উপায় খুঁজে বেড়াচ্ছে।
কিছুদিন আগেও বিশুদ্ধ ফসফেট শিলার সবচেয়ে বড় মজুত ধরা হতো রাশিয়ার কোলা উপদ্বীপকে। দেশটিতে ভ্যানাডিয়াম, টাইটানিয়ামেরও বিপুল মজুত রয়েছে। তবে গত মাসেই নরজে মাইনিং নামে একটি কোম্পানি চমকপ্রদ তথ্য দিয়েছে।
খনি উত্তোলক অ্যাংলো নরওয়েজীয় ওই কোম্পানি ঘোষণা করেছে, নরওয়ের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে বিশুদ্ধ ফসফেট শিলাসহ ভ্যানাডিয়াম ও টাইটানিয়ামের অন্তত ৭ হাজার কোটি টনের বিপুল মজুত খুঁজে পাওয়া গেছে। এই পরিমাণ মজুত দিয়ে আগামী ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সারা বিশ্বের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব!
দ্য ইকোনমিস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ধরনের কৌশলগত খনিজ উপাদানের জন্য বর্তমানে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি চলছে। টাইটানিয়াম ব্যবহার করা হয় ফাইটার জেটসহ বিভিন্ন ধরনের বিমান তৈরিতে। আর উন্নত ইস্পাত তৈরি ছাড়াও বিদ্যুৎ উৎপাদক কোম্পানিগুলোর ব্যবহৃত উচ্চ প্রযুক্তিসমৃদ্ধ তরল ব্যাটারির জন্য প্রয়োজন ভ্যানাডিয়াম।
ফসফেট শিলা কাজে লাগে মূলত সার ও কম্পিউটার চিপ তৈরিতে। এ ছাড়া সৌর প্যানেলের জন্য পর্যাপ্ত ফসফরাস পেতেও এই শিলার প্রয়োজন।
গুরুত্বপূর্ণ এই তিন খনির জন্য ইউরোপ ও আমেরিকাকে এমন সব দেশের ওপর নির্ভর করতে হয়, যারা বৈশ্বিক রাজনীতিতে তাদের প্রতিপক্ষ ও অবিশ্বস্ত।
জানা গেছে, ইউরোপের বিমান নির্মাণ সংস্থা এয়ারবাস তাদের অতি প্রয়োজনীয় টাইটানিয়াম উপাদানটির অর্ধেকই কেনে রাশিয়া থেকে। আর এক জাপানি সরবরাহকারীর সহযোগিতায় ওই উপাদান আফ্রিকা থেকে সংগ্রহ করে মার্কিন বহুজাতিক বিমান নির্মাণ সংস্থা বোয়িং। তবে আফ্রিকার টাইটানিয়াম খনিগুলো এখন চীনারাই নিয়ন্ত্রণ করছে।
এদিকে ভ্যানাডিয়াম উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে চীন, রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিল। মূল্যবান এসব উপাদানের পুরোটাই আমদানি করতে হয় আমেরিকাকে।
বর্তমানে ইউরোপ ও আমেরিকায় ফসফেট ও ফসফরাসের চাহিদা নতুনভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। কারণ, এ দুটি অঞ্চল খাদ্যনিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এ ছাড়া চিপ তৈরি এবং সৌরশিল্পের বিকাশে এই উপাদানের বিকল্প নেই। এ অবস্থায় নরওয়েতে নতুন খনি আবিষ্কারের ঘটনাটি তাদের জন্য বড় একটি সুখবর।
নতুন আবিষ্কারের বিষয়ে নরজে মাইনিংয়ের সহপ্রধান নির্বাহী মাইকেল ওয়ার্মসার জানিয়েছেন, নতুন ফসফেট শিলা অনেক বিশুদ্ধ হবে। আফ্রিকার ফসফেট শিলা বালুমিশ্রিত এবং এতে অনেক দূষক রয়েছে।
নরজে মাইনিংয়ের প্রাথমিক পরিকল্পনা হলো, খনি উত্তোলন করতে গিয়ে যে কার্বন নিঃসারণ হবে, তা নিয়ন্ত্রণ ও সংরক্ষণ করা। এ ক্ষেত্রে খনি উত্তোলনে পরিবেশগত ছাড়পত্র পেতে তাদের সহজ হবে। আর খনিজ উপাদানগুলো পাওয়ার ক্ষেত্রে নরওয়ের পাশাপাশি ইউরোপ ও আমেরিকা উচ্চ অগ্রাধিকার পাবে। বিষয়টি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অতিগুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল আইন এবং মার্কিন কৌশলগত খনিজ প্রকল্পের অধীনে পড়ে।
আরেকটি বিষয় হলো, সুইডেনের উত্তরাঞ্চলেও একধরনের অতি প্রয়োজনীয় বিরল ধাতুর সন্ধান পাওয়া গেছে। বলা হচ্ছে, ইউরোপের মাটিতে এ ধরনের আবিষ্কার চীন-রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আমেরিকা ও পশ্চিমা দেশগুলোকে দারুণভাবে এগিয়ে রাখবে।
ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও নাটকীয়তার পর অবশেষে শেষ হয়েছে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার ১২ দিনের সংঘাত। অবশ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সংঘাতকে ‘১২ দিনের যুদ্ধ’ বলেই আখ্যা দিয়েছেন। ইরান ও ইসরায়েল—দুই দেশের গণমাধ্যমই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
৬ মিনিট আগেযুদ্ধবিরতি নিয়ে ইরান ও ইসরায়েলের তরফ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো নিশ্চয়তা না আসলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবারও ট্রুথ সোশ্যালে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে তার দাবিকৃত যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রশংসা করেছেন। অথচ, এখনো দুই দেশ একে অপরের ভূখণ্ডে প্রাণঘাতী হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
৩৬ মিনিট আগেপ্রথম দফায় দুটি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় ইরান। ওই দুটিকে মাঝপথেই প্রতিহত করা হয়েছে বলে দাবি করছে তারা। পরের দফায় চারটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। যার মধ্যে একটি সরাসরি আঘাত হানে বিরশেবার ওই ভবনে।
১ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের একজন মুখপাত্র লি-এর অনুপস্থিতির কারণ হিসেবে ‘অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন বিষয় এবং মধ্যপ্রাচ্যের অস্থির পরিস্থিতি’র সম্মিলিত প্রভাবের কথা উল্লেখ করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে