
জাতিসংঘের হিসাবে গোটা বিশ্বে দেশের সংখ্যা এখন ১৯৫। এর মধ্যে ১৯৩টি জাতিসংঘের সদস্য। আর এই দেশগুলোর মধ্যে কোনো কোনোটি আয়তনে একেবারেই ছোট। আবার এমনও দেশ আছে, যার পেটের মধ্যে অনায়াসে জায়গা হয়ে যাবে ছোট ৩০-৪০টি দেশের। বিশাল আয়তনের দেশগুলোর মধ্যে তাই নানা ধরনের ভূ-প্রকৃতির সমাবেশ ঘটেছে। আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব আয়তনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০টি দেশের সঙ্গে।
১. রাশিয়া
বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশ রাশিয়ার আয়তন শুনলে চোখ কপালে উঠবে আপনার, সেটা ১ কোটি ৭০ লাখ ৯৮ হাজার ২৪২ বর্গকিলোমিটার। উত্তর এশিয়ার বড় একটি অংশের পাশাপাশি পূর্ব ইউরোপেও বিস্তৃত বিশাল দেশটি। রাজধানী মস্কো ইউরোপের বড় শহরগুলোর একটি। দেশটির মুদ্রা রাশিয়ান রুবল। শিল্প-সাহিত্য ও স্থাপত্যে সমৃদ্ধ ঐতিহ্য আছে রাশিয়ার।
আয়তনে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ কানাডার প্রায় দ্বিগুণ এটি। বিশ্বের রাজনীতিতে বড় প্রভাব আছে দেশটির। গোটা বিশ্বের মোটা ভূমির ১১ শতাংশ পড়েছে রাশিয়ায়। তবে প্রচণ্ড শীতল জলবায়ুর কারণে দেশটির ৬০ শতাংশ এলাকা বসবাসের অনুপযোগী। পৃথিবীতে মানুষের বসবাস আছে এমন সবচেয়ে ঠান্ডা দুই জায়গা ওয়ামিয়াকোন এবং ভেরখোইয়ান্স্কের অবস্থান রাশিয়াতেই।
২. কানাডা
৯৯ লাখ ৮৪ হাজার ৬৭৪ বর্গকিলোমিটারের কানাডা আয়তনে বিশ্বে দ্বিতীয় এবং উত্তর আমেরিকায় প্রথম। প্রচুর তেল, প্রাকৃতিক গ্যাসসহ নানা ধরনের খনিজের উপস্থিতির কারণে বেশ ধনী এক দেশ এটি। এখানে স্বাদু পানির উৎসেরও অভাব নেই। এত বিশাল দেশ হলেও কানাডার জনসংখ্যা অনেকই কম, ৪ কোটির নিচে।
নায়াগ্রা জলপ্রপাত, ভালুক, নেকড়ে এবং ক্যুগার বা পার্বত্য সিংহে ভরপুর বিশাল সব জঙ্গলের জন্য আলাদা নাম আছে কানাডার। বিশ্বের দীর্ঘতম উপকূলরেখা কানাডার। অবিশ্বাস্য হলেও ছোট-বড় মিলিয়ে ২০ লাখ হ্রদ আছে কানাডায়।
৩. যুক্তরাষ্ট্র
৯৮ লাখ ৩৩ হাজার ৫১৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের তৃতীয় এবং উত্তর আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। যুক্তরাজ্য থেকে ১৭৭৬ সালে স্বাধীনতা লাভ করে বর্তমানে বিশ্বের এই অন্যতম পরাশক্তি। মরু এলাকা, নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল এবং প্রচণ্ড শীতল এলাকা—সবই পাবেন বৈচিত্র্যময় এই ভূভাগে। এই বৈচিত্র্য প্রতিফলিত হয় শিল্প, সংগীত, সাহিত্য এবং উৎসবেও। দেশটির মুদ্রা ইউএস ডলার।
রকি পর্বতমালা, ইয়েলোস্টোন ন্যাশনাল পার্ক, ডেথ ভ্যালি, গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের মতো বিখ্যাত প্রাকৃতিক বিস্ময়ের পাশাপাশি মানুষের তৈরি নানা স্থাপনার জন্যও বিখ্যাত যুক্তরাষ্ট্র।
৪. চীন
৯৫ লাখ ৯৬ হাজার ৯৬০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের চীনের অবস্থান বিশ্বে চতুর্থ। এদিকে বিশ্বের জনবহুল দেশের তালিকায় সম্প্রতি তাদের টপকে শীর্ষে উঠে গেছে ভারত।
তিব্বতের মালভূমি, গোবি মরুভূমি, ইয়াংজি এবং ইয়েলো রিভারের উপত্যকার উর্বর সমভূমি এবং হিমালয়ের মতো পর্বতমালা মিলিয়ে চীন তার বৈচিত্র্যময় ভূপ্রকৃতির জন্য বিখ্যাত। বহু পুরোনো ঐতিহ্যের অধিকারী দেশটি গ্রেট ওয়াল বা চীনের প্রাচীর এবং জায়ান্ট পান্ডার জন্যও পরিচিত। অর্থনৈতিকভাবেও দেশটি শক্তিশালী।
৫. ব্রাজিল
ব্রাজিল আয়তনের দিক থেকে বিশ্বে পঞ্চম এবং দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে বড় দেশ। ৮৫ লাখ ১৫ হাজার ৭৭০ বর্গকিলোমিটারের দেশটি পৃথিবীর বৃহত্তম উষ্ণমণ্ডলীয় অরণ্যের জন্য বিখ্যাত। নানা জাতি-গোষ্ঠীর মানুষের বসবাসের ছাপ ফুটে ওঠে এখানকার সংগীত, নাচ, উৎসব ও সাহিত্যে।
বিশ্ব ঐতিহ্য ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার এখানকার বড় আকর্ষণ। ব্রাজিল ফুটবল দলের ভক্ত ছড়িয়ে আছে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বে।
৬. অস্ট্রেলিয়া
৭৭ লাখ ৪১ হাজার ২২০ বর্গকিলোমিটারের দেশটি আয়তনে বিশ্বে ষষ্ঠ। এটিই একমাত্র দেশ, যার নামে আস্ত একটি মহাদেশই আছে।
অস্ট্রেলিয়া তার স্বতন্ত্র ও বৈচিত্র্যময় ভূ-প্রকৃতির জন্য পরিচিত। অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের সংস্কৃতি, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতা এবং ইউরোপ, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে অভিবাসনের কারণে বহু সংস্কৃতির বিকাশ ঘটেছে এখানে; যা দেশটির শিল্পকলা, রন্ধনপ্রণালি, উৎসব ও খেলাধুলায় প্রভাব ফেলেছে। ক্যাঙারুর বাসস্থান হিসেবে আলাদা নাম আছে দেশটির। তেমনি অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দলও পরিচিত বিশ্বজুড়ে।
৭. ভারত
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারত আয়তনে আছে সাতে। ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ২৬৩ বর্গকিলোমিটারের দেশটির অবস্থান দক্ষিণ-এশিয়ায়। আকাশছোঁয়া হিমালয় পর্বতমালা, গঙ্গা নদীর ধারে উর্বর সমভূমি, পশ্চিম ঘাটের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বৃষ্টিবন এবং আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী উপকূলীয় অঞ্চল মিলিয়ে বৈচিত্র্যময় ভূ-প্রকৃতি দেশটির বড় আকর্ষণ। হাজারো বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্যের চিহ্ন বুকে ধারণ করা ভারত নানা জাতি-গোষ্ঠীর বসবাসের জন্য বিখ্যাত।
পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বাঘ ও এশীয় হাতির বাসস্থানও ভারতে। তেমনি গন্ডার, কৃষ্ণসার মৃগ, ঘড়িয়াল, লাল পান্ডাসহ নানা ধরনের পশু-পাখির দেখা মেলে দেশটির অরণ্যে।
৮. আর্জেন্টিনা
২৭ লাখ ৮০ হাজার ৪০০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের আর্জেন্টিনা দক্ষিণ আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। গোটা বিশ্বে এর অবস্থান অষ্টম। ১৮১৬ সালে স্পেন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে দেশটি। মুদ্রা আর্জেন্টাইন পেসো।
সমৃদ্ধ শিল্প-সাহিত্য, স্থাপত্য, সংগীত ও রন্ধনপ্রণালির জন্য দেশটির আলাদা নাম আছে। রাজধানী বুয়েনস এইরেস ইউরোপীয় ঘরানার স্থাপত্য, থিয়েটার, জাদুঘর ও বর্ণিল নাইট লাইফের জন্য বিখ্যাত। আর্জেন্টিনাকে সারা বিশ্বে পরিচিত করতে বড় ভূমিকা রেখেছে ফুটবল এবং কিংবদন্তি দুই খেলোয়াড় দিয়াগো ম্যারাডোনা এবং লিওনেল মেসি।
৯. কাজাখস্তান
২৭ লাখ ২৪ হাজার ৯০০ বর্গকিলোমিটারের কাজাখস্তান আয়তনে মধ্য এশিয়ার বৃহত্তম দেশ। এত বিশাল দেশ, কিন্তু জনসংখ্যা ২ কোটিরও কম। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাগ হয়ে যাওয়ার পর ১৯৯১ সালে স্বাধীনতা পায় দেশটি।
চারপাশে ভূ-ভাগ দিয়ে ঘেরা দেশকে বলা হয় ল্যান্ডলকড দেশ। আর কাজাখস্তান বিশ্বের সবচেয়ে বড় ল্যান্ডলকড কান্ট্রি। বিস্তীর্ণ স্তেপস বা সমতল ঘাসসমৃদ্ধ এলাকা, মরুভূমি এবং পর্বতমালা মিলিয়ে গড়ে উঠেছে দেশটি। নানা জাতি-গোষ্ঠীর মানুষের বসবাস এখানে। এদের মধ্যে কাজাখরা ঐতিহ্যগতভাবে যাযাবর।
প্রাকৃতিক সম্পদেও সমৃদ্ধ দেশটিতে তেল, গ্যাসসহ নানা খনিজ পদার্থের খনি রয়েছে।
১০. আলজেরিয়া
আয়তনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশের তালিকায় ১০ নম্বর স্থানটি আফ্রিকার আলজেরিয়ার। ২৩ লাখ ৮১ হাজার ৭৪০ বর্গকিলোমিটারের দেশটি ১৯৬২ সালে স্বাধীনতা লাভ করে ফ্রান্স থেকে।
আলজেরিয়ার মোট আয়তনের বিশাল একটি অংশজুড়ে বিখ্যাত সাহারা মরুভূমি। সাংস্কৃতিকভাবে আলজেরিয়ার একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। বারবার আরব ও ফরাসি ঔপনিবেশিক উত্তরাধিকার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। আর এর প্রভাব পড়েছে এখানকার স্থাপত্য, সাহিত্য, সংগীত ও খাবার-দাবারে।
সূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস ম্যাগাজিন, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
আরও খবর পড়ুন:

জাতিসংঘের হিসাবে গোটা বিশ্বে দেশের সংখ্যা এখন ১৯৫। এর মধ্যে ১৯৩টি জাতিসংঘের সদস্য। আর এই দেশগুলোর মধ্যে কোনো কোনোটি আয়তনে একেবারেই ছোট। আবার এমনও দেশ আছে, যার পেটের মধ্যে অনায়াসে জায়গা হয়ে যাবে ছোট ৩০-৪০টি দেশের। বিশাল আয়তনের দেশগুলোর মধ্যে তাই নানা ধরনের ভূ-প্রকৃতির সমাবেশ ঘটেছে। আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব আয়তনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০টি দেশের সঙ্গে।
১. রাশিয়া
বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশ রাশিয়ার আয়তন শুনলে চোখ কপালে উঠবে আপনার, সেটা ১ কোটি ৭০ লাখ ৯৮ হাজার ২৪২ বর্গকিলোমিটার। উত্তর এশিয়ার বড় একটি অংশের পাশাপাশি পূর্ব ইউরোপেও বিস্তৃত বিশাল দেশটি। রাজধানী মস্কো ইউরোপের বড় শহরগুলোর একটি। দেশটির মুদ্রা রাশিয়ান রুবল। শিল্প-সাহিত্য ও স্থাপত্যে সমৃদ্ধ ঐতিহ্য আছে রাশিয়ার।
আয়তনে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ কানাডার প্রায় দ্বিগুণ এটি। বিশ্বের রাজনীতিতে বড় প্রভাব আছে দেশটির। গোটা বিশ্বের মোটা ভূমির ১১ শতাংশ পড়েছে রাশিয়ায়। তবে প্রচণ্ড শীতল জলবায়ুর কারণে দেশটির ৬০ শতাংশ এলাকা বসবাসের অনুপযোগী। পৃথিবীতে মানুষের বসবাস আছে এমন সবচেয়ে ঠান্ডা দুই জায়গা ওয়ামিয়াকোন এবং ভেরখোইয়ান্স্কের অবস্থান রাশিয়াতেই।
২. কানাডা
৯৯ লাখ ৮৪ হাজার ৬৭৪ বর্গকিলোমিটারের কানাডা আয়তনে বিশ্বে দ্বিতীয় এবং উত্তর আমেরিকায় প্রথম। প্রচুর তেল, প্রাকৃতিক গ্যাসসহ নানা ধরনের খনিজের উপস্থিতির কারণে বেশ ধনী এক দেশ এটি। এখানে স্বাদু পানির উৎসেরও অভাব নেই। এত বিশাল দেশ হলেও কানাডার জনসংখ্যা অনেকই কম, ৪ কোটির নিচে।
নায়াগ্রা জলপ্রপাত, ভালুক, নেকড়ে এবং ক্যুগার বা পার্বত্য সিংহে ভরপুর বিশাল সব জঙ্গলের জন্য আলাদা নাম আছে কানাডার। বিশ্বের দীর্ঘতম উপকূলরেখা কানাডার। অবিশ্বাস্য হলেও ছোট-বড় মিলিয়ে ২০ লাখ হ্রদ আছে কানাডায়।
৩. যুক্তরাষ্ট্র
৯৮ লাখ ৩৩ হাজার ৫১৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের তৃতীয় এবং উত্তর আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। যুক্তরাজ্য থেকে ১৭৭৬ সালে স্বাধীনতা লাভ করে বর্তমানে বিশ্বের এই অন্যতম পরাশক্তি। মরু এলাকা, নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল এবং প্রচণ্ড শীতল এলাকা—সবই পাবেন বৈচিত্র্যময় এই ভূভাগে। এই বৈচিত্র্য প্রতিফলিত হয় শিল্প, সংগীত, সাহিত্য এবং উৎসবেও। দেশটির মুদ্রা ইউএস ডলার।
রকি পর্বতমালা, ইয়েলোস্টোন ন্যাশনাল পার্ক, ডেথ ভ্যালি, গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের মতো বিখ্যাত প্রাকৃতিক বিস্ময়ের পাশাপাশি মানুষের তৈরি নানা স্থাপনার জন্যও বিখ্যাত যুক্তরাষ্ট্র।
৪. চীন
৯৫ লাখ ৯৬ হাজার ৯৬০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের চীনের অবস্থান বিশ্বে চতুর্থ। এদিকে বিশ্বের জনবহুল দেশের তালিকায় সম্প্রতি তাদের টপকে শীর্ষে উঠে গেছে ভারত।
তিব্বতের মালভূমি, গোবি মরুভূমি, ইয়াংজি এবং ইয়েলো রিভারের উপত্যকার উর্বর সমভূমি এবং হিমালয়ের মতো পর্বতমালা মিলিয়ে চীন তার বৈচিত্র্যময় ভূপ্রকৃতির জন্য বিখ্যাত। বহু পুরোনো ঐতিহ্যের অধিকারী দেশটি গ্রেট ওয়াল বা চীনের প্রাচীর এবং জায়ান্ট পান্ডার জন্যও পরিচিত। অর্থনৈতিকভাবেও দেশটি শক্তিশালী।
৫. ব্রাজিল
ব্রাজিল আয়তনের দিক থেকে বিশ্বে পঞ্চম এবং দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে বড় দেশ। ৮৫ লাখ ১৫ হাজার ৭৭০ বর্গকিলোমিটারের দেশটি পৃথিবীর বৃহত্তম উষ্ণমণ্ডলীয় অরণ্যের জন্য বিখ্যাত। নানা জাতি-গোষ্ঠীর মানুষের বসবাসের ছাপ ফুটে ওঠে এখানকার সংগীত, নাচ, উৎসব ও সাহিত্যে।
বিশ্ব ঐতিহ্য ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার এখানকার বড় আকর্ষণ। ব্রাজিল ফুটবল দলের ভক্ত ছড়িয়ে আছে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বে।
৬. অস্ট্রেলিয়া
৭৭ লাখ ৪১ হাজার ২২০ বর্গকিলোমিটারের দেশটি আয়তনে বিশ্বে ষষ্ঠ। এটিই একমাত্র দেশ, যার নামে আস্ত একটি মহাদেশই আছে।
অস্ট্রেলিয়া তার স্বতন্ত্র ও বৈচিত্র্যময় ভূ-প্রকৃতির জন্য পরিচিত। অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের সংস্কৃতি, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতা এবং ইউরোপ, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে অভিবাসনের কারণে বহু সংস্কৃতির বিকাশ ঘটেছে এখানে; যা দেশটির শিল্পকলা, রন্ধনপ্রণালি, উৎসব ও খেলাধুলায় প্রভাব ফেলেছে। ক্যাঙারুর বাসস্থান হিসেবে আলাদা নাম আছে দেশটির। তেমনি অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দলও পরিচিত বিশ্বজুড়ে।
৭. ভারত
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারত আয়তনে আছে সাতে। ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ২৬৩ বর্গকিলোমিটারের দেশটির অবস্থান দক্ষিণ-এশিয়ায়। আকাশছোঁয়া হিমালয় পর্বতমালা, গঙ্গা নদীর ধারে উর্বর সমভূমি, পশ্চিম ঘাটের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বৃষ্টিবন এবং আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী উপকূলীয় অঞ্চল মিলিয়ে বৈচিত্র্যময় ভূ-প্রকৃতি দেশটির বড় আকর্ষণ। হাজারো বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্যের চিহ্ন বুকে ধারণ করা ভারত নানা জাতি-গোষ্ঠীর বসবাসের জন্য বিখ্যাত।
পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বাঘ ও এশীয় হাতির বাসস্থানও ভারতে। তেমনি গন্ডার, কৃষ্ণসার মৃগ, ঘড়িয়াল, লাল পান্ডাসহ নানা ধরনের পশু-পাখির দেখা মেলে দেশটির অরণ্যে।
৮. আর্জেন্টিনা
২৭ লাখ ৮০ হাজার ৪০০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের আর্জেন্টিনা দক্ষিণ আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। গোটা বিশ্বে এর অবস্থান অষ্টম। ১৮১৬ সালে স্পেন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে দেশটি। মুদ্রা আর্জেন্টাইন পেসো।
সমৃদ্ধ শিল্প-সাহিত্য, স্থাপত্য, সংগীত ও রন্ধনপ্রণালির জন্য দেশটির আলাদা নাম আছে। রাজধানী বুয়েনস এইরেস ইউরোপীয় ঘরানার স্থাপত্য, থিয়েটার, জাদুঘর ও বর্ণিল নাইট লাইফের জন্য বিখ্যাত। আর্জেন্টিনাকে সারা বিশ্বে পরিচিত করতে বড় ভূমিকা রেখেছে ফুটবল এবং কিংবদন্তি দুই খেলোয়াড় দিয়াগো ম্যারাডোনা এবং লিওনেল মেসি।
৯. কাজাখস্তান
২৭ লাখ ২৪ হাজার ৯০০ বর্গকিলোমিটারের কাজাখস্তান আয়তনে মধ্য এশিয়ার বৃহত্তম দেশ। এত বিশাল দেশ, কিন্তু জনসংখ্যা ২ কোটিরও কম। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাগ হয়ে যাওয়ার পর ১৯৯১ সালে স্বাধীনতা পায় দেশটি।
চারপাশে ভূ-ভাগ দিয়ে ঘেরা দেশকে বলা হয় ল্যান্ডলকড দেশ। আর কাজাখস্তান বিশ্বের সবচেয়ে বড় ল্যান্ডলকড কান্ট্রি। বিস্তীর্ণ স্তেপস বা সমতল ঘাসসমৃদ্ধ এলাকা, মরুভূমি এবং পর্বতমালা মিলিয়ে গড়ে উঠেছে দেশটি। নানা জাতি-গোষ্ঠীর মানুষের বসবাস এখানে। এদের মধ্যে কাজাখরা ঐতিহ্যগতভাবে যাযাবর।
প্রাকৃতিক সম্পদেও সমৃদ্ধ দেশটিতে তেল, গ্যাসসহ নানা খনিজ পদার্থের খনি রয়েছে।
১০. আলজেরিয়া
আয়তনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশের তালিকায় ১০ নম্বর স্থানটি আফ্রিকার আলজেরিয়ার। ২৩ লাখ ৮১ হাজার ৭৪০ বর্গকিলোমিটারের দেশটি ১৯৬২ সালে স্বাধীনতা লাভ করে ফ্রান্স থেকে।
আলজেরিয়ার মোট আয়তনের বিশাল একটি অংশজুড়ে বিখ্যাত সাহারা মরুভূমি। সাংস্কৃতিকভাবে আলজেরিয়ার একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। বারবার আরব ও ফরাসি ঔপনিবেশিক উত্তরাধিকার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। আর এর প্রভাব পড়েছে এখানকার স্থাপত্য, সাহিত্য, সংগীত ও খাবার-দাবারে।
সূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস ম্যাগাজিন, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
আরও খবর পড়ুন:

জাতিসংঘের হিসাবে গোটা বিশ্বে দেশের সংখ্যা এখন ১৯৫। এর মধ্যে ১৯৩টি জাতিসংঘের সদস্য। আর এই দেশগুলোর মধ্যে কোনো কোনোটি আয়তনে একেবারেই ছোট। আবার এমনও দেশ আছে, যার পেটের মধ্যে অনায়াসে জায়গা হয়ে যাবে ছোট ৩০-৪০টি দেশের। বিশাল আয়তনের দেশগুলোর মধ্যে তাই নানা ধরনের ভূ-প্রকৃতির সমাবেশ ঘটেছে। আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব আয়তনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০টি দেশের সঙ্গে।
১. রাশিয়া
বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশ রাশিয়ার আয়তন শুনলে চোখ কপালে উঠবে আপনার, সেটা ১ কোটি ৭০ লাখ ৯৮ হাজার ২৪২ বর্গকিলোমিটার। উত্তর এশিয়ার বড় একটি অংশের পাশাপাশি পূর্ব ইউরোপেও বিস্তৃত বিশাল দেশটি। রাজধানী মস্কো ইউরোপের বড় শহরগুলোর একটি। দেশটির মুদ্রা রাশিয়ান রুবল। শিল্প-সাহিত্য ও স্থাপত্যে সমৃদ্ধ ঐতিহ্য আছে রাশিয়ার।
আয়তনে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ কানাডার প্রায় দ্বিগুণ এটি। বিশ্বের রাজনীতিতে বড় প্রভাব আছে দেশটির। গোটা বিশ্বের মোটা ভূমির ১১ শতাংশ পড়েছে রাশিয়ায়। তবে প্রচণ্ড শীতল জলবায়ুর কারণে দেশটির ৬০ শতাংশ এলাকা বসবাসের অনুপযোগী। পৃথিবীতে মানুষের বসবাস আছে এমন সবচেয়ে ঠান্ডা দুই জায়গা ওয়ামিয়াকোন এবং ভেরখোইয়ান্স্কের অবস্থান রাশিয়াতেই।
২. কানাডা
৯৯ লাখ ৮৪ হাজার ৬৭৪ বর্গকিলোমিটারের কানাডা আয়তনে বিশ্বে দ্বিতীয় এবং উত্তর আমেরিকায় প্রথম। প্রচুর তেল, প্রাকৃতিক গ্যাসসহ নানা ধরনের খনিজের উপস্থিতির কারণে বেশ ধনী এক দেশ এটি। এখানে স্বাদু পানির উৎসেরও অভাব নেই। এত বিশাল দেশ হলেও কানাডার জনসংখ্যা অনেকই কম, ৪ কোটির নিচে।
নায়াগ্রা জলপ্রপাত, ভালুক, নেকড়ে এবং ক্যুগার বা পার্বত্য সিংহে ভরপুর বিশাল সব জঙ্গলের জন্য আলাদা নাম আছে কানাডার। বিশ্বের দীর্ঘতম উপকূলরেখা কানাডার। অবিশ্বাস্য হলেও ছোট-বড় মিলিয়ে ২০ লাখ হ্রদ আছে কানাডায়।
৩. যুক্তরাষ্ট্র
৯৮ লাখ ৩৩ হাজার ৫১৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের তৃতীয় এবং উত্তর আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। যুক্তরাজ্য থেকে ১৭৭৬ সালে স্বাধীনতা লাভ করে বর্তমানে বিশ্বের এই অন্যতম পরাশক্তি। মরু এলাকা, নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল এবং প্রচণ্ড শীতল এলাকা—সবই পাবেন বৈচিত্র্যময় এই ভূভাগে। এই বৈচিত্র্য প্রতিফলিত হয় শিল্প, সংগীত, সাহিত্য এবং উৎসবেও। দেশটির মুদ্রা ইউএস ডলার।
রকি পর্বতমালা, ইয়েলোস্টোন ন্যাশনাল পার্ক, ডেথ ভ্যালি, গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের মতো বিখ্যাত প্রাকৃতিক বিস্ময়ের পাশাপাশি মানুষের তৈরি নানা স্থাপনার জন্যও বিখ্যাত যুক্তরাষ্ট্র।
৪. চীন
৯৫ লাখ ৯৬ হাজার ৯৬০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের চীনের অবস্থান বিশ্বে চতুর্থ। এদিকে বিশ্বের জনবহুল দেশের তালিকায় সম্প্রতি তাদের টপকে শীর্ষে উঠে গেছে ভারত।
তিব্বতের মালভূমি, গোবি মরুভূমি, ইয়াংজি এবং ইয়েলো রিভারের উপত্যকার উর্বর সমভূমি এবং হিমালয়ের মতো পর্বতমালা মিলিয়ে চীন তার বৈচিত্র্যময় ভূপ্রকৃতির জন্য বিখ্যাত। বহু পুরোনো ঐতিহ্যের অধিকারী দেশটি গ্রেট ওয়াল বা চীনের প্রাচীর এবং জায়ান্ট পান্ডার জন্যও পরিচিত। অর্থনৈতিকভাবেও দেশটি শক্তিশালী।
৫. ব্রাজিল
ব্রাজিল আয়তনের দিক থেকে বিশ্বে পঞ্চম এবং দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে বড় দেশ। ৮৫ লাখ ১৫ হাজার ৭৭০ বর্গকিলোমিটারের দেশটি পৃথিবীর বৃহত্তম উষ্ণমণ্ডলীয় অরণ্যের জন্য বিখ্যাত। নানা জাতি-গোষ্ঠীর মানুষের বসবাসের ছাপ ফুটে ওঠে এখানকার সংগীত, নাচ, উৎসব ও সাহিত্যে।
বিশ্ব ঐতিহ্য ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার এখানকার বড় আকর্ষণ। ব্রাজিল ফুটবল দলের ভক্ত ছড়িয়ে আছে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বে।
৬. অস্ট্রেলিয়া
৭৭ লাখ ৪১ হাজার ২২০ বর্গকিলোমিটারের দেশটি আয়তনে বিশ্বে ষষ্ঠ। এটিই একমাত্র দেশ, যার নামে আস্ত একটি মহাদেশই আছে।
অস্ট্রেলিয়া তার স্বতন্ত্র ও বৈচিত্র্যময় ভূ-প্রকৃতির জন্য পরিচিত। অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের সংস্কৃতি, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতা এবং ইউরোপ, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে অভিবাসনের কারণে বহু সংস্কৃতির বিকাশ ঘটেছে এখানে; যা দেশটির শিল্পকলা, রন্ধনপ্রণালি, উৎসব ও খেলাধুলায় প্রভাব ফেলেছে। ক্যাঙারুর বাসস্থান হিসেবে আলাদা নাম আছে দেশটির। তেমনি অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দলও পরিচিত বিশ্বজুড়ে।
৭. ভারত
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারত আয়তনে আছে সাতে। ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ২৬৩ বর্গকিলোমিটারের দেশটির অবস্থান দক্ষিণ-এশিয়ায়। আকাশছোঁয়া হিমালয় পর্বতমালা, গঙ্গা নদীর ধারে উর্বর সমভূমি, পশ্চিম ঘাটের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বৃষ্টিবন এবং আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী উপকূলীয় অঞ্চল মিলিয়ে বৈচিত্র্যময় ভূ-প্রকৃতি দেশটির বড় আকর্ষণ। হাজারো বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্যের চিহ্ন বুকে ধারণ করা ভারত নানা জাতি-গোষ্ঠীর বসবাসের জন্য বিখ্যাত।
পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বাঘ ও এশীয় হাতির বাসস্থানও ভারতে। তেমনি গন্ডার, কৃষ্ণসার মৃগ, ঘড়িয়াল, লাল পান্ডাসহ নানা ধরনের পশু-পাখির দেখা মেলে দেশটির অরণ্যে।
৮. আর্জেন্টিনা
২৭ লাখ ৮০ হাজার ৪০০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের আর্জেন্টিনা দক্ষিণ আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। গোটা বিশ্বে এর অবস্থান অষ্টম। ১৮১৬ সালে স্পেন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে দেশটি। মুদ্রা আর্জেন্টাইন পেসো।
সমৃদ্ধ শিল্প-সাহিত্য, স্থাপত্য, সংগীত ও রন্ধনপ্রণালির জন্য দেশটির আলাদা নাম আছে। রাজধানী বুয়েনস এইরেস ইউরোপীয় ঘরানার স্থাপত্য, থিয়েটার, জাদুঘর ও বর্ণিল নাইট লাইফের জন্য বিখ্যাত। আর্জেন্টিনাকে সারা বিশ্বে পরিচিত করতে বড় ভূমিকা রেখেছে ফুটবল এবং কিংবদন্তি দুই খেলোয়াড় দিয়াগো ম্যারাডোনা এবং লিওনেল মেসি।
৯. কাজাখস্তান
২৭ লাখ ২৪ হাজার ৯০০ বর্গকিলোমিটারের কাজাখস্তান আয়তনে মধ্য এশিয়ার বৃহত্তম দেশ। এত বিশাল দেশ, কিন্তু জনসংখ্যা ২ কোটিরও কম। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাগ হয়ে যাওয়ার পর ১৯৯১ সালে স্বাধীনতা পায় দেশটি।
চারপাশে ভূ-ভাগ দিয়ে ঘেরা দেশকে বলা হয় ল্যান্ডলকড দেশ। আর কাজাখস্তান বিশ্বের সবচেয়ে বড় ল্যান্ডলকড কান্ট্রি। বিস্তীর্ণ স্তেপস বা সমতল ঘাসসমৃদ্ধ এলাকা, মরুভূমি এবং পর্বতমালা মিলিয়ে গড়ে উঠেছে দেশটি। নানা জাতি-গোষ্ঠীর মানুষের বসবাস এখানে। এদের মধ্যে কাজাখরা ঐতিহ্যগতভাবে যাযাবর।
প্রাকৃতিক সম্পদেও সমৃদ্ধ দেশটিতে তেল, গ্যাসসহ নানা খনিজ পদার্থের খনি রয়েছে।
১০. আলজেরিয়া
আয়তনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশের তালিকায় ১০ নম্বর স্থানটি আফ্রিকার আলজেরিয়ার। ২৩ লাখ ৮১ হাজার ৭৪০ বর্গকিলোমিটারের দেশটি ১৯৬২ সালে স্বাধীনতা লাভ করে ফ্রান্স থেকে।
আলজেরিয়ার মোট আয়তনের বিশাল একটি অংশজুড়ে বিখ্যাত সাহারা মরুভূমি। সাংস্কৃতিকভাবে আলজেরিয়ার একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। বারবার আরব ও ফরাসি ঔপনিবেশিক উত্তরাধিকার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। আর এর প্রভাব পড়েছে এখানকার স্থাপত্য, সাহিত্য, সংগীত ও খাবার-দাবারে।
সূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস ম্যাগাজিন, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
আরও খবর পড়ুন:

জাতিসংঘের হিসাবে গোটা বিশ্বে দেশের সংখ্যা এখন ১৯৫। এর মধ্যে ১৯৩টি জাতিসংঘের সদস্য। আর এই দেশগুলোর মধ্যে কোনো কোনোটি আয়তনে একেবারেই ছোট। আবার এমনও দেশ আছে, যার পেটের মধ্যে অনায়াসে জায়গা হয়ে যাবে ছোট ৩০-৪০টি দেশের। বিশাল আয়তনের দেশগুলোর মধ্যে তাই নানা ধরনের ভূ-প্রকৃতির সমাবেশ ঘটেছে। আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব আয়তনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০টি দেশের সঙ্গে।
১. রাশিয়া
বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশ রাশিয়ার আয়তন শুনলে চোখ কপালে উঠবে আপনার, সেটা ১ কোটি ৭০ লাখ ৯৮ হাজার ২৪২ বর্গকিলোমিটার। উত্তর এশিয়ার বড় একটি অংশের পাশাপাশি পূর্ব ইউরোপেও বিস্তৃত বিশাল দেশটি। রাজধানী মস্কো ইউরোপের বড় শহরগুলোর একটি। দেশটির মুদ্রা রাশিয়ান রুবল। শিল্প-সাহিত্য ও স্থাপত্যে সমৃদ্ধ ঐতিহ্য আছে রাশিয়ার।
আয়তনে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ কানাডার প্রায় দ্বিগুণ এটি। বিশ্বের রাজনীতিতে বড় প্রভাব আছে দেশটির। গোটা বিশ্বের মোটা ভূমির ১১ শতাংশ পড়েছে রাশিয়ায়। তবে প্রচণ্ড শীতল জলবায়ুর কারণে দেশটির ৬০ শতাংশ এলাকা বসবাসের অনুপযোগী। পৃথিবীতে মানুষের বসবাস আছে এমন সবচেয়ে ঠান্ডা দুই জায়গা ওয়ামিয়াকোন এবং ভেরখোইয়ান্স্কের অবস্থান রাশিয়াতেই।
২. কানাডা
৯৯ লাখ ৮৪ হাজার ৬৭৪ বর্গকিলোমিটারের কানাডা আয়তনে বিশ্বে দ্বিতীয় এবং উত্তর আমেরিকায় প্রথম। প্রচুর তেল, প্রাকৃতিক গ্যাসসহ নানা ধরনের খনিজের উপস্থিতির কারণে বেশ ধনী এক দেশ এটি। এখানে স্বাদু পানির উৎসেরও অভাব নেই। এত বিশাল দেশ হলেও কানাডার জনসংখ্যা অনেকই কম, ৪ কোটির নিচে।
নায়াগ্রা জলপ্রপাত, ভালুক, নেকড়ে এবং ক্যুগার বা পার্বত্য সিংহে ভরপুর বিশাল সব জঙ্গলের জন্য আলাদা নাম আছে কানাডার। বিশ্বের দীর্ঘতম উপকূলরেখা কানাডার। অবিশ্বাস্য হলেও ছোট-বড় মিলিয়ে ২০ লাখ হ্রদ আছে কানাডায়।
৩. যুক্তরাষ্ট্র
৯৮ লাখ ৩৩ হাজার ৫১৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের তৃতীয় এবং উত্তর আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। যুক্তরাজ্য থেকে ১৭৭৬ সালে স্বাধীনতা লাভ করে বর্তমানে বিশ্বের এই অন্যতম পরাশক্তি। মরু এলাকা, নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল এবং প্রচণ্ড শীতল এলাকা—সবই পাবেন বৈচিত্র্যময় এই ভূভাগে। এই বৈচিত্র্য প্রতিফলিত হয় শিল্প, সংগীত, সাহিত্য এবং উৎসবেও। দেশটির মুদ্রা ইউএস ডলার।
রকি পর্বতমালা, ইয়েলোস্টোন ন্যাশনাল পার্ক, ডেথ ভ্যালি, গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের মতো বিখ্যাত প্রাকৃতিক বিস্ময়ের পাশাপাশি মানুষের তৈরি নানা স্থাপনার জন্যও বিখ্যাত যুক্তরাষ্ট্র।
৪. চীন
৯৫ লাখ ৯৬ হাজার ৯৬০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের চীনের অবস্থান বিশ্বে চতুর্থ। এদিকে বিশ্বের জনবহুল দেশের তালিকায় সম্প্রতি তাদের টপকে শীর্ষে উঠে গেছে ভারত।
তিব্বতের মালভূমি, গোবি মরুভূমি, ইয়াংজি এবং ইয়েলো রিভারের উপত্যকার উর্বর সমভূমি এবং হিমালয়ের মতো পর্বতমালা মিলিয়ে চীন তার বৈচিত্র্যময় ভূপ্রকৃতির জন্য বিখ্যাত। বহু পুরোনো ঐতিহ্যের অধিকারী দেশটি গ্রেট ওয়াল বা চীনের প্রাচীর এবং জায়ান্ট পান্ডার জন্যও পরিচিত। অর্থনৈতিকভাবেও দেশটি শক্তিশালী।
৫. ব্রাজিল
ব্রাজিল আয়তনের দিক থেকে বিশ্বে পঞ্চম এবং দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে বড় দেশ। ৮৫ লাখ ১৫ হাজার ৭৭০ বর্গকিলোমিটারের দেশটি পৃথিবীর বৃহত্তম উষ্ণমণ্ডলীয় অরণ্যের জন্য বিখ্যাত। নানা জাতি-গোষ্ঠীর মানুষের বসবাসের ছাপ ফুটে ওঠে এখানকার সংগীত, নাচ, উৎসব ও সাহিত্যে।
বিশ্ব ঐতিহ্য ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার এখানকার বড় আকর্ষণ। ব্রাজিল ফুটবল দলের ভক্ত ছড়িয়ে আছে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বে।
৬. অস্ট্রেলিয়া
৭৭ লাখ ৪১ হাজার ২২০ বর্গকিলোমিটারের দেশটি আয়তনে বিশ্বে ষষ্ঠ। এটিই একমাত্র দেশ, যার নামে আস্ত একটি মহাদেশই আছে।
অস্ট্রেলিয়া তার স্বতন্ত্র ও বৈচিত্র্যময় ভূ-প্রকৃতির জন্য পরিচিত। অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের সংস্কৃতি, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতা এবং ইউরোপ, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে অভিবাসনের কারণে বহু সংস্কৃতির বিকাশ ঘটেছে এখানে; যা দেশটির শিল্পকলা, রন্ধনপ্রণালি, উৎসব ও খেলাধুলায় প্রভাব ফেলেছে। ক্যাঙারুর বাসস্থান হিসেবে আলাদা নাম আছে দেশটির। তেমনি অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দলও পরিচিত বিশ্বজুড়ে।
৭. ভারত
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারত আয়তনে আছে সাতে। ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ২৬৩ বর্গকিলোমিটারের দেশটির অবস্থান দক্ষিণ-এশিয়ায়। আকাশছোঁয়া হিমালয় পর্বতমালা, গঙ্গা নদীর ধারে উর্বর সমভূমি, পশ্চিম ঘাটের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বৃষ্টিবন এবং আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী উপকূলীয় অঞ্চল মিলিয়ে বৈচিত্র্যময় ভূ-প্রকৃতি দেশটির বড় আকর্ষণ। হাজারো বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্যের চিহ্ন বুকে ধারণ করা ভারত নানা জাতি-গোষ্ঠীর বসবাসের জন্য বিখ্যাত।
পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বাঘ ও এশীয় হাতির বাসস্থানও ভারতে। তেমনি গন্ডার, কৃষ্ণসার মৃগ, ঘড়িয়াল, লাল পান্ডাসহ নানা ধরনের পশু-পাখির দেখা মেলে দেশটির অরণ্যে।
৮. আর্জেন্টিনা
২৭ লাখ ৮০ হাজার ৪০০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের আর্জেন্টিনা দক্ষিণ আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। গোটা বিশ্বে এর অবস্থান অষ্টম। ১৮১৬ সালে স্পেন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে দেশটি। মুদ্রা আর্জেন্টাইন পেসো।
সমৃদ্ধ শিল্প-সাহিত্য, স্থাপত্য, সংগীত ও রন্ধনপ্রণালির জন্য দেশটির আলাদা নাম আছে। রাজধানী বুয়েনস এইরেস ইউরোপীয় ঘরানার স্থাপত্য, থিয়েটার, জাদুঘর ও বর্ণিল নাইট লাইফের জন্য বিখ্যাত। আর্জেন্টিনাকে সারা বিশ্বে পরিচিত করতে বড় ভূমিকা রেখেছে ফুটবল এবং কিংবদন্তি দুই খেলোয়াড় দিয়াগো ম্যারাডোনা এবং লিওনেল মেসি।
৯. কাজাখস্তান
২৭ লাখ ২৪ হাজার ৯০০ বর্গকিলোমিটারের কাজাখস্তান আয়তনে মধ্য এশিয়ার বৃহত্তম দেশ। এত বিশাল দেশ, কিন্তু জনসংখ্যা ২ কোটিরও কম। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাগ হয়ে যাওয়ার পর ১৯৯১ সালে স্বাধীনতা পায় দেশটি।
চারপাশে ভূ-ভাগ দিয়ে ঘেরা দেশকে বলা হয় ল্যান্ডলকড দেশ। আর কাজাখস্তান বিশ্বের সবচেয়ে বড় ল্যান্ডলকড কান্ট্রি। বিস্তীর্ণ স্তেপস বা সমতল ঘাসসমৃদ্ধ এলাকা, মরুভূমি এবং পর্বতমালা মিলিয়ে গড়ে উঠেছে দেশটি। নানা জাতি-গোষ্ঠীর মানুষের বসবাস এখানে। এদের মধ্যে কাজাখরা ঐতিহ্যগতভাবে যাযাবর।
প্রাকৃতিক সম্পদেও সমৃদ্ধ দেশটিতে তেল, গ্যাসসহ নানা খনিজ পদার্থের খনি রয়েছে।
১০. আলজেরিয়া
আয়তনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশের তালিকায় ১০ নম্বর স্থানটি আফ্রিকার আলজেরিয়ার। ২৩ লাখ ৮১ হাজার ৭৪০ বর্গকিলোমিটারের দেশটি ১৯৬২ সালে স্বাধীনতা লাভ করে ফ্রান্স থেকে।
আলজেরিয়ার মোট আয়তনের বিশাল একটি অংশজুড়ে বিখ্যাত সাহারা মরুভূমি। সাংস্কৃতিকভাবে আলজেরিয়ার একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। বারবার আরব ও ফরাসি ঔপনিবেশিক উত্তরাধিকার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। আর এর প্রভাব পড়েছে এখানকার স্থাপত্য, সাহিত্য, সংগীত ও খাবার-দাবারে।
সূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস ম্যাগাজিন, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
আরও খবর পড়ুন:

ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্র
১ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
১ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
৩ ঘণ্টা আগে
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্রিক নানা বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেছে।
নলবাড়ির সিনিয়র পুলিশ সুপার বিবেকানন্দ দাস ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, পানিগাঁওয়ের সেন্ট মেরিস ইংলিশ স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় অভিযোগ করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা স্কুলের বড়দিনের সাজসজ্জা নষ্ট করার পাশাপাশি শহরের একটি দোকানে বিক্রি হওয়া ক্রিসমাস অর্নামেন্টও ভাঙচুর করেন।
তবে বড়দিন উদ্যাপনের সময় সবচেয়ে বেশি উত্তেজনার খবর পাওয়া গেছে বিজেপিশাসিত রাজ্য ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশে। ছত্তিশগড়ে রাজধানী রায়পুরের ম্যাগনেটো মলে লাঠিসোঁটা নিয়ে একদল লোক অতর্কিতে হামলা চালান এবং বড়দিনের সব সাজসজ্জা গুঁড়িয়ে দেন। কথিত ধর্মান্তরের প্রতিবাদে ‘সর্ব হিন্দু সমাজ’-এর ডাকা ধর্মঘট চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এফআইআর করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এদিকে বিজেপিশাসিত আরেক রাজ্য মধ্যপ্রদেশের জবলপুর জেলায় একটি গির্জায় প্রার্থনা চলাকালে কট্টরপন্থী বজরং দলের কর্মীরা ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিয়ে ভেতরে ঢুকে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। এ ছাড়া কাটঙ্গা এলাকায় এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে জেলা বিজেপি নেত্রী অঞ্জু ভার্গবের বিরুদ্ধে। ওই নারীর অপরাধ ছিল, তিনি বড়দিন উদ্যাপনে গির্জায় গিয়েছিলেন। যদিও ওই নারী স্পষ্ট করেছেন, বড়দিন পালন করা মানেই ধর্ম পরিবর্তন করা নয়।
রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগর জেলায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এক বিতর্কিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো স্কুল শিশুদের ‘সান্তা ক্লজ’ সাজতে বাধ্য করতে পারবে না। স্থানীয় এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়, যেখানে দাবি করা হয়েছে—সনাতন ধর্মাবলম্বী-অধ্যুষিত এই এলাকায় শিশুদের ওপর খ্রিষ্টীয় সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
রাজধানী দিল্লির লাজপতনগর এলাকায় বড়দিনের টুপি পরা একদল নারীকে হেনস্তা করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বজরং দলের সদস্যরা ওই নারীদের ধর্মান্তরচেষ্টার অভিযোগে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেন। তবে দিল্লি পুলিশ বিষয়টিকে ‘তুচ্ছ ব্যক্তিগত বিতর্ক’ হিসেবে অভিহিত করে কোনো মামলা নেয়নি।

ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্রিক নানা বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেছে।
নলবাড়ির সিনিয়র পুলিশ সুপার বিবেকানন্দ দাস ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, পানিগাঁওয়ের সেন্ট মেরিস ইংলিশ স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় অভিযোগ করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা স্কুলের বড়দিনের সাজসজ্জা নষ্ট করার পাশাপাশি শহরের একটি দোকানে বিক্রি হওয়া ক্রিসমাস অর্নামেন্টও ভাঙচুর করেন।
তবে বড়দিন উদ্যাপনের সময় সবচেয়ে বেশি উত্তেজনার খবর পাওয়া গেছে বিজেপিশাসিত রাজ্য ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশে। ছত্তিশগড়ে রাজধানী রায়পুরের ম্যাগনেটো মলে লাঠিসোঁটা নিয়ে একদল লোক অতর্কিতে হামলা চালান এবং বড়দিনের সব সাজসজ্জা গুঁড়িয়ে দেন। কথিত ধর্মান্তরের প্রতিবাদে ‘সর্ব হিন্দু সমাজ’-এর ডাকা ধর্মঘট চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এফআইআর করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এদিকে বিজেপিশাসিত আরেক রাজ্য মধ্যপ্রদেশের জবলপুর জেলায় একটি গির্জায় প্রার্থনা চলাকালে কট্টরপন্থী বজরং দলের কর্মীরা ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিয়ে ভেতরে ঢুকে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। এ ছাড়া কাটঙ্গা এলাকায় এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে জেলা বিজেপি নেত্রী অঞ্জু ভার্গবের বিরুদ্ধে। ওই নারীর অপরাধ ছিল, তিনি বড়দিন উদ্যাপনে গির্জায় গিয়েছিলেন। যদিও ওই নারী স্পষ্ট করেছেন, বড়দিন পালন করা মানেই ধর্ম পরিবর্তন করা নয়।
রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগর জেলায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এক বিতর্কিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো স্কুল শিশুদের ‘সান্তা ক্লজ’ সাজতে বাধ্য করতে পারবে না। স্থানীয় এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়, যেখানে দাবি করা হয়েছে—সনাতন ধর্মাবলম্বী-অধ্যুষিত এই এলাকায় শিশুদের ওপর খ্রিষ্টীয় সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
রাজধানী দিল্লির লাজপতনগর এলাকায় বড়দিনের টুপি পরা একদল নারীকে হেনস্তা করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বজরং দলের সদস্যরা ওই নারীদের ধর্মান্তরচেষ্টার অভিযোগে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেন। তবে দিল্লি পুলিশ বিষয়টিকে ‘তুচ্ছ ব্যক্তিগত বিতর্ক’ হিসেবে অভিহিত করে কোনো মামলা নেয়নি।

জাতিসংঘের হিসেবে গোটা বিশ্বে দেশের সংখ্যা এখন ১৯৫। এর মধ্যে ১৯৩টি জাতিসংঘের সদস্য। আর এই দেশগুলোর মধ্যে কোনো কোনোটি আয়তনে একেবারেই ছোট। আবার এমনও দেশ আছে, যার পেটের মধ্যে অনায়াসে জায়গা হয়ে যাবে ছোট ৩০-৪০টি দেশের। বিশাল আয়তনের দেশগুলোর মধ্যে তাই নানা ধরনের ভূ-প্রকৃতির সমাবেশ ঘটেছে। আজ আমরা পরিচয় করিয়
১২ অক্টোবর ২০২৪
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
১ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
৩ ঘণ্টা আগে
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক বিশ্বাস ও ঐক্য দখল করতে পারবে না।
পুতিনের নাম সরাসরি উল্লেখ না করলেও জেলেনস্কি বলেন, ‘আজ আমরা সবাই একটি স্বপ্ন ভাগ করে নিচ্ছি। আর আমাদের সবার একটিই কামনা—সে ধ্বংস হোক; যেমনটা সবাই মনে মনে বলে।’ এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জেলেনস্কির এই ভাষণ এমন এক সময়ে এল, যখন বড়দিনের আগের দিনই রাশিয়া ইউক্রেনে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ওই হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন এবং বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
জেলেনস্কি তাঁর ভাষণে বলেন, ‘ক্রিসমাসের প্রাক্কালে রুশরা আবারও দেখিয়েছে তারা আসলে কারা। ব্যাপক গোলাবর্ষণ, শত শত শাহেদ ড্রোন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, কিনঝাল হামলা—সবকিছুই ব্যবহার করা হয়েছে। এটাই ঈশ্বরহীন আঘাত।’
তবে যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যেও শান্তির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, তখন অবশ্যই আরও বড় কিছুর জন্য চাই। আমরা ইউক্রেনের জন্য শান্তি চাই। আমরা এর জন্য লড়ছি, প্রার্থনা করছি এবং আমরা এটি পাওয়ার যোগ্য।’
একই সময়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে জেলেনস্কি যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে একটি ২০ দফা পরিকল্পনার কথাও জানান। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনি বলেন—শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইউক্রেন দেশের পূর্বাঞ্চলীয় শিল্পাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে পারে, তবে শর্ত হলো রাশিয়াকেও একইভাবে সেনা সরাতে হবে এবং ওই অঞ্চল আন্তর্জাতিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে নিরস্ত্রীকৃত এলাকায় পরিণত করতে হবে।
দনবাস অঞ্চল নিয়ে এটিই এখন পর্যন্ত জেলেনস্কির সবচেয়ে স্পষ্ট সমঝোতার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। একই ধরনের ব্যবস্থা রাশিয়ার দখলে থাকা জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশপাশের এলাকাতেও প্রযোজ্য হতে পারে বলে জানান তিনি। তবে যে কোনো শান্তি পরিকল্পনাই গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হতে হবে বলে জোর দেন জেলেনস্কি।
এদিকে রাশিয়া এখনো দখলকৃত অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়নি। বর্তমানে লুহানস্কের অধিকাংশ ও দোনেৎস্কের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক বিশ্বাস ও ঐক্য দখল করতে পারবে না।
পুতিনের নাম সরাসরি উল্লেখ না করলেও জেলেনস্কি বলেন, ‘আজ আমরা সবাই একটি স্বপ্ন ভাগ করে নিচ্ছি। আর আমাদের সবার একটিই কামনা—সে ধ্বংস হোক; যেমনটা সবাই মনে মনে বলে।’ এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জেলেনস্কির এই ভাষণ এমন এক সময়ে এল, যখন বড়দিনের আগের দিনই রাশিয়া ইউক্রেনে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ওই হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন এবং বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
জেলেনস্কি তাঁর ভাষণে বলেন, ‘ক্রিসমাসের প্রাক্কালে রুশরা আবারও দেখিয়েছে তারা আসলে কারা। ব্যাপক গোলাবর্ষণ, শত শত শাহেদ ড্রোন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, কিনঝাল হামলা—সবকিছুই ব্যবহার করা হয়েছে। এটাই ঈশ্বরহীন আঘাত।’
তবে যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যেও শান্তির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, তখন অবশ্যই আরও বড় কিছুর জন্য চাই। আমরা ইউক্রেনের জন্য শান্তি চাই। আমরা এর জন্য লড়ছি, প্রার্থনা করছি এবং আমরা এটি পাওয়ার যোগ্য।’
একই সময়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে জেলেনস্কি যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে একটি ২০ দফা পরিকল্পনার কথাও জানান। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনি বলেন—শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইউক্রেন দেশের পূর্বাঞ্চলীয় শিল্পাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে পারে, তবে শর্ত হলো রাশিয়াকেও একইভাবে সেনা সরাতে হবে এবং ওই অঞ্চল আন্তর্জাতিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে নিরস্ত্রীকৃত এলাকায় পরিণত করতে হবে।
দনবাস অঞ্চল নিয়ে এটিই এখন পর্যন্ত জেলেনস্কির সবচেয়ে স্পষ্ট সমঝোতার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। একই ধরনের ব্যবস্থা রাশিয়ার দখলে থাকা জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশপাশের এলাকাতেও প্রযোজ্য হতে পারে বলে জানান তিনি। তবে যে কোনো শান্তি পরিকল্পনাই গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হতে হবে বলে জোর দেন জেলেনস্কি।
এদিকে রাশিয়া এখনো দখলকৃত অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়নি। বর্তমানে লুহানস্কের অধিকাংশ ও দোনেৎস্কের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

জাতিসংঘের হিসেবে গোটা বিশ্বে দেশের সংখ্যা এখন ১৯৫। এর মধ্যে ১৯৩টি জাতিসংঘের সদস্য। আর এই দেশগুলোর মধ্যে কোনো কোনোটি আয়তনে একেবারেই ছোট। আবার এমনও দেশ আছে, যার পেটের মধ্যে অনায়াসে জায়গা হয়ে যাবে ছোট ৩০-৪০টি দেশের। বিশাল আয়তনের দেশগুলোর মধ্যে তাই নানা ধরনের ভূ-প্রকৃতির সমাবেশ ঘটেছে। আজ আমরা পরিচয় করিয়
১২ অক্টোবর ২০২৪
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্র
১ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
৩ ঘণ্টা আগে
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ওডিশার কান্ধামাল জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের অন্যতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা গণেশ উইকে (৬৯) নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে এই অভিযানে গণেশসহ চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ওডিশা পুলিশ। নিহত গণেশ উইকে মাওবাদীদের ‘সেন্ট্রাল কমিটি’র (সিসি) সদস্য এবং ওডিশার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি ওডিশায় মাওবাদীবিরোধী অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (এএনও) সঞ্জীব পান্ডা জানান, কান্ধামাল জেলার চাকাপাদা থানা এলাকায় রাম্ভা বন রেঞ্জের কাছে এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত দুই দিনে কান্ধামাল জেলায় মোট ছয়জন মাওবাদী নিহত হলেন।
গণেশ উইকেকে বলা হতো মাওবাদীদের ‘মস্তিষ্ক’। গণেশ উইকে ‘রূপা’, ‘রাজেশ তিওয়ারি’, ‘পাক্কা হনুমন্তু’সহ একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন। গণেশ উইকেকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ রুপি।
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ের কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার রাতে বেলঘর থানা এলাকার গুম্মা জঙ্গলে প্রথম সংঘর্ষে দুজন মাওবাদী নিহত হন। এরপর আজ সকালে চাকাপাদা এলাকায় দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালায় ওডিশা পুলিশের এসওজি, সিআরপিএফ এবং বিএসএফের যৌথ বাহিনী। আজকের অভিযানে দুই নারী, দুই পুরুষসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের পরনে ইউনিফর্ম ছিল।
এনকাউন্টারস্থল থেকে দুটি ইনসাস রাইফেল ও একটি পয়েন্ট থ্রি জিরো থ্রি রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই সফলতাকে ‘নকশালমুক্ত ভারত’ গড়ার পথে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী সন্ত্রাস নির্মূল করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গণেশ উইকের নিধন ওডিশাকে মাওবাদীমুক্ত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, এই অভিযানের ঠিক দুই দিন আগে মালকানগিরি জেলায় ২২ জন মাওবাদী ওডিশা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্বের এ পতন এই অঞ্চলে মাওবাদী সংগঠনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

ওডিশার কান্ধামাল জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের অন্যতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা গণেশ উইকে (৬৯) নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে এই অভিযানে গণেশসহ চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ওডিশা পুলিশ। নিহত গণেশ উইকে মাওবাদীদের ‘সেন্ট্রাল কমিটি’র (সিসি) সদস্য এবং ওডিশার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি ওডিশায় মাওবাদীবিরোধী অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (এএনও) সঞ্জীব পান্ডা জানান, কান্ধামাল জেলার চাকাপাদা থানা এলাকায় রাম্ভা বন রেঞ্জের কাছে এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত দুই দিনে কান্ধামাল জেলায় মোট ছয়জন মাওবাদী নিহত হলেন।
গণেশ উইকেকে বলা হতো মাওবাদীদের ‘মস্তিষ্ক’। গণেশ উইকে ‘রূপা’, ‘রাজেশ তিওয়ারি’, ‘পাক্কা হনুমন্তু’সহ একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন। গণেশ উইকেকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ রুপি।
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ের কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার রাতে বেলঘর থানা এলাকার গুম্মা জঙ্গলে প্রথম সংঘর্ষে দুজন মাওবাদী নিহত হন। এরপর আজ সকালে চাকাপাদা এলাকায় দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালায় ওডিশা পুলিশের এসওজি, সিআরপিএফ এবং বিএসএফের যৌথ বাহিনী। আজকের অভিযানে দুই নারী, দুই পুরুষসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের পরনে ইউনিফর্ম ছিল।
এনকাউন্টারস্থল থেকে দুটি ইনসাস রাইফেল ও একটি পয়েন্ট থ্রি জিরো থ্রি রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই সফলতাকে ‘নকশালমুক্ত ভারত’ গড়ার পথে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী সন্ত্রাস নির্মূল করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গণেশ উইকের নিধন ওডিশাকে মাওবাদীমুক্ত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, এই অভিযানের ঠিক দুই দিন আগে মালকানগিরি জেলায় ২২ জন মাওবাদী ওডিশা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্বের এ পতন এই অঞ্চলে মাওবাদী সংগঠনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

জাতিসংঘের হিসেবে গোটা বিশ্বে দেশের সংখ্যা এখন ১৯৫। এর মধ্যে ১৯৩টি জাতিসংঘের সদস্য। আর এই দেশগুলোর মধ্যে কোনো কোনোটি আয়তনে একেবারেই ছোট। আবার এমনও দেশ আছে, যার পেটের মধ্যে অনায়াসে জায়গা হয়ে যাবে ছোট ৩০-৪০টি দেশের। বিশাল আয়তনের দেশগুলোর মধ্যে তাই নানা ধরনের ভূ-প্রকৃতির সমাবেশ ঘটেছে। আজ আমরা পরিচয় করিয়
১২ অক্টোবর ২০২৪
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্র
১ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
১ ঘণ্টা আগে
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিজেদের পারমাণবিক সক্ষমতার প্রদর্শন হিসেবে পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে একটি মধ্যপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত। কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রটি গত মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে ভারতের পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন আইএনএস আরিঘাত থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। বিশাখাপত্তনম উপকূলের কাছে এই পরীক্ষা চালানো হয়।
এনডিটিভি জানিয়েছে, সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের নৌভিত্তিক পারমাণবিক সক্ষমতাকে বেশ শক্তিশালী করেছে।
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
অগ্নি-৩ স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর ভিত্তি করে তৈরি কে-৪ বর্তমানে ভারতের সর্বাধিক পাল্লার সমুদ্রভিত্তিক কৌশলগত অস্ত্র। স্থল সংস্করণটিকে সমুদ্র থেকে উৎক্ষেপণের উপযোগী করে পরিবর্তন করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে সাবমেরিনের উৎক্ষেপণ সাইলো থেকে বেরিয়ে পানির ভেতর ভেসে উঠে সমুদ্রপৃষ্ঠে পৌঁছানোর পর রকেট ইঞ্জিন চালু করে আকাশে ছুটে যাওয়ার সক্ষমতা।
এই ক্ষেপণাস্ত্র ২ দশমিক ৫ টন ওজনের পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এবং ভারতের অরিহন্ত শ্রেণির সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়।
কে-৪ হলো ভারতের পারমাণবিক ত্রিমাত্রিক প্রতিরোধব্যবস্থার সবচেয়ে নীরব অংশ। কারণ, অরিহন্ত শ্রেণির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিনগুলো দীর্ঘ সময় ধরে অচেনা সমুদ্রাঞ্চলে সম্পূর্ণ নীরবে প্রতিরোধ টহল পরিচালনার জন্য তৈরি।
কে-সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর নামের ‘কে’ অক্ষরটি ভারতের সাবেক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির রূপকার এ পি জে আবদুল কালামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাখা হয়। ভারতের সমন্বিত ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।

নিজেদের পারমাণবিক সক্ষমতার প্রদর্শন হিসেবে পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে একটি মধ্যপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত। কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রটি গত মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে ভারতের পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন আইএনএস আরিঘাত থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। বিশাখাপত্তনম উপকূলের কাছে এই পরীক্ষা চালানো হয়।
এনডিটিভি জানিয়েছে, সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের নৌভিত্তিক পারমাণবিক সক্ষমতাকে বেশ শক্তিশালী করেছে।
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
অগ্নি-৩ স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর ভিত্তি করে তৈরি কে-৪ বর্তমানে ভারতের সর্বাধিক পাল্লার সমুদ্রভিত্তিক কৌশলগত অস্ত্র। স্থল সংস্করণটিকে সমুদ্র থেকে উৎক্ষেপণের উপযোগী করে পরিবর্তন করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে সাবমেরিনের উৎক্ষেপণ সাইলো থেকে বেরিয়ে পানির ভেতর ভেসে উঠে সমুদ্রপৃষ্ঠে পৌঁছানোর পর রকেট ইঞ্জিন চালু করে আকাশে ছুটে যাওয়ার সক্ষমতা।
এই ক্ষেপণাস্ত্র ২ দশমিক ৫ টন ওজনের পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এবং ভারতের অরিহন্ত শ্রেণির সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়।
কে-৪ হলো ভারতের পারমাণবিক ত্রিমাত্রিক প্রতিরোধব্যবস্থার সবচেয়ে নীরব অংশ। কারণ, অরিহন্ত শ্রেণির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিনগুলো দীর্ঘ সময় ধরে অচেনা সমুদ্রাঞ্চলে সম্পূর্ণ নীরবে প্রতিরোধ টহল পরিচালনার জন্য তৈরি।
কে-সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর নামের ‘কে’ অক্ষরটি ভারতের সাবেক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির রূপকার এ পি জে আবদুল কালামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাখা হয়। ভারতের সমন্বিত ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।

জাতিসংঘের হিসেবে গোটা বিশ্বে দেশের সংখ্যা এখন ১৯৫। এর মধ্যে ১৯৩টি জাতিসংঘের সদস্য। আর এই দেশগুলোর মধ্যে কোনো কোনোটি আয়তনে একেবারেই ছোট। আবার এমনও দেশ আছে, যার পেটের মধ্যে অনায়াসে জায়গা হয়ে যাবে ছোট ৩০-৪০টি দেশের। বিশাল আয়তনের দেশগুলোর মধ্যে তাই নানা ধরনের ভূ-প্রকৃতির সমাবেশ ঘটেছে। আজ আমরা পরিচয় করিয়
১২ অক্টোবর ২০২৪
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্র
১ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
১ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
৩ ঘণ্টা আগে