আজকের পত্রিকা ডেস্ক
জাম্বিয়ায় ‘পরিবেশগত বিপর্যয়’-এর অভিযোগে দুটি চীনা খননকারী কোম্পানির বিরুদ্ধে ৮০ বিলিয়ন ডলারের মামলা করেছেন স্থানীয় কৃষকেরা। মামলার নথি থেকে জানা গেছে, গত ফেব্রুয়ারিতে তামার খনির বর্জ্য ধারণকারী বাঁধ ভেঙে লাখ লাখ লিটার উচ্চমাত্রার অ্যাসিডিক উপাদান নদী-নালায় ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে পানি পানের অযোগ্য হয়ে পড়ে, মাছসহ জলজ প্রাণীদের মৃত্যু হয়। পুরো এলাকার ফসল নষ্ট হয়ে যায়, জমি উর্বরতা হারায়।
পরিবেশের ক্ষতি নিয়ে জাম্বিয়ার ইতিহাসে এটি অন্যতম বড় মামলা। কৃষকেরা দাবি করছেন, তামার খনি অঞ্চলের এই বর্জ্য ছড়িয়ে পড়ায় প্রায় ৩ লাখ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গত আগস্টে মার্কিন দূতাবাস ওই এলাকায় পানি ও মাটির ব্যাপক দূষণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছিল।
এই মামলায় চীনা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থার সহযোগী প্রতিষ্ঠান সিনো মেটালস লিচ জাম্বিয়া এবং এনএফসি আফ্রিকা মাইনিংয়ের স্থানীয় কৃষক ও গ্রামবাসীরা লড়াই করছেন। লুসাকা হাইকোর্টে ১৭৬ জন কৃষক তাঁদের সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে মামলা করেছেন।
তাঁদের অভিযোগ, সিনো মেটালস লিচ জাম্বিয়ার মালিকানাধীন এনএফসি আফ্রিকা মাইনিংয়ের এলাকার ভেতরে অবস্থিত টেইলিংস ড্যামটি প্রকৌশলগত ত্রুটি, নির্মাণজনিত খুঁত ও অব্যবস্থাপনার কারণে ভেঙে পড়েছে।
এই সংস্থা দুটি এখনো মামলাটি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে সিনো মেটালস লিচ জাম্বিয়া এর আগে জানিয়েছিল প্রায় ৫০ হাজার ঘনমিটার বর্জ্য ছড়িয়ে পড়েছিল।
গত ৩ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে দাবি করে, বর্জ্য ছড়িয়ে পড়া এবং বাঁধ ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি শনাক্ত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছিল। অন্যদিকে আদালতে দাখিল করা নথিতে কৃষকেরা জানান, টেইলিংস ড্যাম ভেঙে পড়ার কয়েক দিন পর তারা বুঝতে পারেন, পানি অত্যন্ত বিষাক্ত হয়ে গেছে।
নথিতে তাঁরা অভিযোগ করেন, পানি বিষাক্ত হয়ে পড়ায় তাঁদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে পড়েছে। অনেকের এরই মধ্যে প্রসাবের সঙ্গে রক্ত আসা এবং বুকে চাপ অনুভূত হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিয়েছে।
কৃষকেরা আরও দাবি করেন, এই বিপর্যয়ে বেশির ভাগ গ্রামের কূপের পানিও দূষিত হয়ে গেছে। এমনকি ফসলও পুড়িয়ে ফেলতে হয়েছে, কারণ সেগুলো খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল।
তাঁরা আদালতের কাছে দাবি জানিয়েছেন, দুই প্রতিষ্ঠানকে ৮০ বিলিয়ন ডলার জাম্বিয়া সরকারের তত্ত্বাবধানে থাকা একটি অ্যাকাউন্টে জমা দিতে হবে, যা ‘পরিবেশ পুনরুদ্ধার’ এবং ‘ক্ষতিপূরণ’ বাবদ নিরাপত্তা তহবিল হিসেবে রাখা হবে।
এই বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ‘তাৎক্ষণিক ও জরুরি’ সহায়তা দিতে এবং স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত মূল্যায়ন চালানোর জন্য ২ কোটি ডলারের একটি জরুরি তহবিল গঠন করা উচিত বলে মনে করেন আবেদনকারীরা।
গত মাসে মার্কিন দূতাবাস জানায়, তারা কপারবেল্ট অঞ্চলের সবচেয়ে বড় শহর কিতওয়ে এবং আশপাশের এলাকা থেকে তাদের কর্মীদের অবিলম্বে সরিয়ে নিয়েছে। দূতাবাস উদ্বেগ প্রকাশ করে জানায়, শুধু পানি ও মাটিই নয়, ছড়িয়ে পড়া খনির বর্জ্য থেকে দূষিত পদার্থ বাতাসেও মিশে যেতে পারে, যা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে মানবস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এর জবাবে জনস্বাস্থ্যের জন্য আর কোনো গুরুতর প্রভাব নেই মন্তব্য করে জাম্বিয়ার সরকারের মুখপাত্র কর্নেলিয়াস মুইটওয়া বলেন, ‘দেশ ও আন্তর্জাতিক মহলকে আতঙ্কিত করার জন্য “প্যানিক বাটন” চাপার কোনো প্রয়োজন নেই।’
জাম্বিয়ায় ‘পরিবেশগত বিপর্যয়’-এর অভিযোগে দুটি চীনা খননকারী কোম্পানির বিরুদ্ধে ৮০ বিলিয়ন ডলারের মামলা করেছেন স্থানীয় কৃষকেরা। মামলার নথি থেকে জানা গেছে, গত ফেব্রুয়ারিতে তামার খনির বর্জ্য ধারণকারী বাঁধ ভেঙে লাখ লাখ লিটার উচ্চমাত্রার অ্যাসিডিক উপাদান নদী-নালায় ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে পানি পানের অযোগ্য হয়ে পড়ে, মাছসহ জলজ প্রাণীদের মৃত্যু হয়। পুরো এলাকার ফসল নষ্ট হয়ে যায়, জমি উর্বরতা হারায়।
পরিবেশের ক্ষতি নিয়ে জাম্বিয়ার ইতিহাসে এটি অন্যতম বড় মামলা। কৃষকেরা দাবি করছেন, তামার খনি অঞ্চলের এই বর্জ্য ছড়িয়ে পড়ায় প্রায় ৩ লাখ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গত আগস্টে মার্কিন দূতাবাস ওই এলাকায় পানি ও মাটির ব্যাপক দূষণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছিল।
এই মামলায় চীনা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থার সহযোগী প্রতিষ্ঠান সিনো মেটালস লিচ জাম্বিয়া এবং এনএফসি আফ্রিকা মাইনিংয়ের স্থানীয় কৃষক ও গ্রামবাসীরা লড়াই করছেন। লুসাকা হাইকোর্টে ১৭৬ জন কৃষক তাঁদের সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে মামলা করেছেন।
তাঁদের অভিযোগ, সিনো মেটালস লিচ জাম্বিয়ার মালিকানাধীন এনএফসি আফ্রিকা মাইনিংয়ের এলাকার ভেতরে অবস্থিত টেইলিংস ড্যামটি প্রকৌশলগত ত্রুটি, নির্মাণজনিত খুঁত ও অব্যবস্থাপনার কারণে ভেঙে পড়েছে।
এই সংস্থা দুটি এখনো মামলাটি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে সিনো মেটালস লিচ জাম্বিয়া এর আগে জানিয়েছিল প্রায় ৫০ হাজার ঘনমিটার বর্জ্য ছড়িয়ে পড়েছিল।
গত ৩ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে দাবি করে, বর্জ্য ছড়িয়ে পড়া এবং বাঁধ ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি শনাক্ত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছিল। অন্যদিকে আদালতে দাখিল করা নথিতে কৃষকেরা জানান, টেইলিংস ড্যাম ভেঙে পড়ার কয়েক দিন পর তারা বুঝতে পারেন, পানি অত্যন্ত বিষাক্ত হয়ে গেছে।
নথিতে তাঁরা অভিযোগ করেন, পানি বিষাক্ত হয়ে পড়ায় তাঁদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে পড়েছে। অনেকের এরই মধ্যে প্রসাবের সঙ্গে রক্ত আসা এবং বুকে চাপ অনুভূত হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিয়েছে।
কৃষকেরা আরও দাবি করেন, এই বিপর্যয়ে বেশির ভাগ গ্রামের কূপের পানিও দূষিত হয়ে গেছে। এমনকি ফসলও পুড়িয়ে ফেলতে হয়েছে, কারণ সেগুলো খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল।
তাঁরা আদালতের কাছে দাবি জানিয়েছেন, দুই প্রতিষ্ঠানকে ৮০ বিলিয়ন ডলার জাম্বিয়া সরকারের তত্ত্বাবধানে থাকা একটি অ্যাকাউন্টে জমা দিতে হবে, যা ‘পরিবেশ পুনরুদ্ধার’ এবং ‘ক্ষতিপূরণ’ বাবদ নিরাপত্তা তহবিল হিসেবে রাখা হবে।
এই বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ‘তাৎক্ষণিক ও জরুরি’ সহায়তা দিতে এবং স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত মূল্যায়ন চালানোর জন্য ২ কোটি ডলারের একটি জরুরি তহবিল গঠন করা উচিত বলে মনে করেন আবেদনকারীরা।
গত মাসে মার্কিন দূতাবাস জানায়, তারা কপারবেল্ট অঞ্চলের সবচেয়ে বড় শহর কিতওয়ে এবং আশপাশের এলাকা থেকে তাদের কর্মীদের অবিলম্বে সরিয়ে নিয়েছে। দূতাবাস উদ্বেগ প্রকাশ করে জানায়, শুধু পানি ও মাটিই নয়, ছড়িয়ে পড়া খনির বর্জ্য থেকে দূষিত পদার্থ বাতাসেও মিশে যেতে পারে, যা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে মানবস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এর জবাবে জনস্বাস্থ্যের জন্য আর কোনো গুরুতর প্রভাব নেই মন্তব্য করে জাম্বিয়ার সরকারের মুখপাত্র কর্নেলিয়াস মুইটওয়া বলেন, ‘দেশ ও আন্তর্জাতিক মহলকে আতঙ্কিত করার জন্য “প্যানিক বাটন” চাপার কোনো প্রয়োজন নেই।’
ক্ষুব্ধ জনগণের প্রশ্ন—দেশের জনগণ যেখানে মৌলিক চাহিদার জোগান নিশ্চিত করতে গিয়েই হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে রাজনীতিবিদদের সন্তানেরা এত বিলাসবহুল জীবন কীভাবে যাপন করছে?
১ ঘণ্টা আগেট্রাম্প রাজপ্রাসাদে যাওয়ার আগের দিন অর্থাৎ গতকাল বিক্ষোভকারীরা উইন্ডসর ক্যাসেলের কাছে ট্রাম্প এবং এপস্টেইনের ছবি সম্বলিত একটি বিশাল ব্যানার খুলে ধরে। পরে তারা দুজনের বেশ কিছু ছবি ক্যাসেলের একটি টাওয়ারের ওপর প্রজেক্ট করে।
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অস্ট্রেলিয়ার সাংবাদিক সমাজকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেছেন, সাংবাদিকেরাই ‘অস্ট্রেলিয়ার ক্ষতি করছে।’ সম্প্রতি, এক অস্ট্রেলীয় সাংবাদিক ট্রাম্পের কাছে জানতে চান, গত জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তিনি নিজের ব্যবসায় প্রেসিডেন্সি ক্ষমতার কতটা ফায়দা নিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগেডানপন্থী রাজনৈতিক কর্মী ও বিতর্কিত বক্তা চার্লি কার্কের হত্যায় রুমমেট তথা প্রেমিকার সঙ্গের অভিযুক্ত টাইলার রবিনসনের একটি বার্তালাপ প্রসিকিউটরদের হাতে এসেছে। ওই বার্তালাপে হত্যার মোটিফ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা মিলেছে বলে দাবি করছেন তারা।
৪ ঘণ্টা আগে