আফ্রিকা মহাদেশের পূর্বাঞ্চল হর্ন অব আফ্রিকায় অন্তত ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন বলে জানিয়েছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। এই সংকট কাটিয়ে উঠতে সংস্থাটি বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে ৩২৭ মিলিয়ন ডলারের আর্থিক সহায়তা চেয়েছে। মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য ওঠে এসেছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এক দশক আগে এই এলাকায় ঘটে যাওয়া এক দুর্ভিক্ষের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছে, সেই দুর্ভিক্ষের মতো এবারও কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে। সেই মৃত্যু এড়াতে অবিলম্বে বৈশ্বিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
হর্ন অব আফ্রিকায় বিগত তিন বছর ধরে উল্লেখযোগ্য হারে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় প্রচণ্ড খরা দেখা দিয়েছে। ১৯৮০ সালের পর ওই এলাকায় বর্তমানে সবচেয়ে শুষ্ক আবহাওয়ার সৃষ্টি করেছে। এ দিকে ওই এলাকায় সম্ভাব্য আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, সেখানে আগামী কয়েক মাসেও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কম থাকায় দুর্ভোগ আরও বাড়বে।
ডব্লিউএফপি-এর পূর্ব আফ্রিকার আঞ্চলিক ব্যুরোর পরিচালক মাইকেল ড্যানফোর্ড বলেন, ‘ফসল নষ্ট হচ্ছে, গবাদিপশু মারা যাচ্ছে এবং বারবার খরায় আফ্রিকা এই অঞ্চলে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি গবাদিপশুগুলোকেও বাঁচতে দিচ্ছে না। এই অঞ্চলের হাজার হাজার কৃষক বাধ্য হয়েছে নিজের বাসভূমি ছেড়ে শরণার্থীশিবিরে বাস করতে।
ডব্লিউএফপি প্রকাশিত এক ভিডিওতে সংস্থাটির সোমালিয়া অঞ্চলের দায়িত্ব থাকা মোহাম্মদ আদেম বলেন, ‘আমরা আগে কখনো এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হইনি। আমরা এই এলাকায় এখন শুধু ধুলোঝড় দেখি। আমাদের ভয় হচ্ছে যে, এই ভয়াবহ ধুলোঝড় আমাদের সবাইকে ঢেকে ফেলবে এবং এই স্থানটিকে কবরস্থানে পরিণত করবে।’
ইথিওপিয়া সরকারের মুখপাত্র লেগেসে টুলু রয়টার্সকে বলেছেন, ‘পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়নি। সোমালি, ওরোমিয়া এবং সোমালিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কিছু রাজ্যে তীব্র খরা রয়েছে। ফলে ডাব্লিউএফপি সতর্কতাটি বেশ সঠিক।’
এই খরা এরই মধ্যে কেনিয়া, দক্ষিণ-মধ্য সোমালিয়া এবং ইরিত্রিয়ার কিছু অংশেও ছড়িয়ে পড়ছে। ২০১০ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে মাত্র দুই বছরে সোমালিয়ায় প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ ক্ষুধার কারণে মারা গিয়েছ। এদের অর্ধেকই শিশু। এই বিষয়ে জাতিসংঘের শিশু সংস্থার মোহাম্মদ ফল এক ব্রিফিংয়ে সতর্ক করেছেন যে, ‘বর্তমানে চলমান অবস্থায় দুর্ভিক্ষ এড়াতে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে অনেক শিশু মারা যাবে কিংবা আজীবনের জন্য শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির শিকার হবে।’
বিপর্যয় রোধে এখনই কাজে নামা দরকার উল্লেখ করে মোহাম্মদ ফল বলেন, ‘চারটি দেশে অন্তত ৫৫ লাখ শিশু বর্তমানে তীব্র অপুষ্টির সম্মুখীন।’
আফ্রিকা মহাদেশের পূর্বাঞ্চল হর্ন অব আফ্রিকায় অন্তত ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন বলে জানিয়েছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। এই সংকট কাটিয়ে উঠতে সংস্থাটি বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে ৩২৭ মিলিয়ন ডলারের আর্থিক সহায়তা চেয়েছে। মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য ওঠে এসেছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এক দশক আগে এই এলাকায় ঘটে যাওয়া এক দুর্ভিক্ষের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছে, সেই দুর্ভিক্ষের মতো এবারও কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে। সেই মৃত্যু এড়াতে অবিলম্বে বৈশ্বিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
হর্ন অব আফ্রিকায় বিগত তিন বছর ধরে উল্লেখযোগ্য হারে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় প্রচণ্ড খরা দেখা দিয়েছে। ১৯৮০ সালের পর ওই এলাকায় বর্তমানে সবচেয়ে শুষ্ক আবহাওয়ার সৃষ্টি করেছে। এ দিকে ওই এলাকায় সম্ভাব্য আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, সেখানে আগামী কয়েক মাসেও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কম থাকায় দুর্ভোগ আরও বাড়বে।
ডব্লিউএফপি-এর পূর্ব আফ্রিকার আঞ্চলিক ব্যুরোর পরিচালক মাইকেল ড্যানফোর্ড বলেন, ‘ফসল নষ্ট হচ্ছে, গবাদিপশু মারা যাচ্ছে এবং বারবার খরায় আফ্রিকা এই অঞ্চলে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি গবাদিপশুগুলোকেও বাঁচতে দিচ্ছে না। এই অঞ্চলের হাজার হাজার কৃষক বাধ্য হয়েছে নিজের বাসভূমি ছেড়ে শরণার্থীশিবিরে বাস করতে।
ডব্লিউএফপি প্রকাশিত এক ভিডিওতে সংস্থাটির সোমালিয়া অঞ্চলের দায়িত্ব থাকা মোহাম্মদ আদেম বলেন, ‘আমরা আগে কখনো এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হইনি। আমরা এই এলাকায় এখন শুধু ধুলোঝড় দেখি। আমাদের ভয় হচ্ছে যে, এই ভয়াবহ ধুলোঝড় আমাদের সবাইকে ঢেকে ফেলবে এবং এই স্থানটিকে কবরস্থানে পরিণত করবে।’
ইথিওপিয়া সরকারের মুখপাত্র লেগেসে টুলু রয়টার্সকে বলেছেন, ‘পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়নি। সোমালি, ওরোমিয়া এবং সোমালিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কিছু রাজ্যে তীব্র খরা রয়েছে। ফলে ডাব্লিউএফপি সতর্কতাটি বেশ সঠিক।’
এই খরা এরই মধ্যে কেনিয়া, দক্ষিণ-মধ্য সোমালিয়া এবং ইরিত্রিয়ার কিছু অংশেও ছড়িয়ে পড়ছে। ২০১০ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে মাত্র দুই বছরে সোমালিয়ায় প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ ক্ষুধার কারণে মারা গিয়েছ। এদের অর্ধেকই শিশু। এই বিষয়ে জাতিসংঘের শিশু সংস্থার মোহাম্মদ ফল এক ব্রিফিংয়ে সতর্ক করেছেন যে, ‘বর্তমানে চলমান অবস্থায় দুর্ভিক্ষ এড়াতে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে অনেক শিশু মারা যাবে কিংবা আজীবনের জন্য শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির শিকার হবে।’
বিপর্যয় রোধে এখনই কাজে নামা দরকার উল্লেখ করে মোহাম্মদ ফল বলেন, ‘চারটি দেশে অন্তত ৫৫ লাখ শিশু বর্তমানে তীব্র অপুষ্টির সম্মুখীন।’
জম্মু–কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় আকাশসীমা বন্ধ করে করে দিয়েছে পাকিস্তান। আগামী ২৩ মে পর্যন্ত এটি বহাল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, এই নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
১ ঘণ্টা আগেগত ২৪ এপ্রিল রাত থেকে, ভারত সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করার কয়েক ঘণ্টা পরেই, পাকিস্তানি সেনারা জম্মু ও কাশ্মীরের এলওসির বিভিন্ন স্থানে বিনা উসকানিতে গুলি চালাচ্ছে বলে অভিযোগ ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর।
২ ঘণ্টা আগেউপত্যকার বিভিন্ন স্থান থেকে হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। কুদ্স নিউজ নেটওয়ার্ক আজ সকালে জানিয়েছে, মধ্য গাজার বুরেজি শরণার্থী শিবিরে বোমা হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন একই পরিবারের অন্তত ৫ জন। হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে দেশের অর্থনীতি সংকুচিত হওয়ার জন্য দায়ী করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে। নতুন শুল্ক আরোপের আগেই আমদানির চাপ, সরকারি ব্যয়ে কাটছাঁট এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা— এই বাস্তব কারণগুলো উপেক্ষা করে তিনি বারবার দায় দিচ্ছেন বাইডেন প্রশাসন
১৪ ঘণ্টা আগে