আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মরক্কো বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুটবল স্টেডিয়াম তৈরি করছে। ২০৩০ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ যৌথভাবে আয়োজনের অংশ হিসেবে এটি নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু গত শনিবার থেকে রাস্তায় নামা প্রতিবাদকারীদের জন্য এই ১ লাখ ১৫ হাজার আসনের স্টেডিয়াম এবং নির্মাণাধীন অন্যান্য ফুটবল অবকাঠামো—যার খরচ আনুমানিক ৫ বিলিয়ন ডলার—একধরনের আঘাত। তাদের মতে, এটি এমন একটি সরকারের উদাহরণ, যার অগ্রাধিকার ভুল।
সেতত শহরের ২৫ বছর বয়সী কমিউনিকেশন ম্যানেজার হাজর বেলহাসান বলেন, ‘আমি প্রতিবাদ করছি। কারণ, আমি চাই আমার দেশ ভালো হোক। আমি মরক্কো ছাড়তে চাই না এবং আমি চাই না যে দেশ আমাকে অবজ্ঞা করুক।’
জেন-জেড ২১২ নামের একটি গোষ্ঠী এই আন্দোলনের সমন্বয় করছে। ২১২ মূলত দেশটির আন্তর্জাতিক ডায়ালিং কোডের সঙ্গে সম্পর্কিত। ডিসকর্ড, টিকটক এবং ইনস্টাগ্রামের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে এই প্রতিবাদ সমন্বয় করা হচ্ছে। নেপালের সাম্প্রতিক জেন-জি আন্দোলনের অনুপ্রেরণা নিয়ে তরুণ মরক্কানরা চান, তাদের সমস্যাগুলো সমাধানে সরকার তৎপরতা এবং উদ্যম দেখাক, যেমনটি বিশ্বমানের ক্রীড়া আয়োজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১০টি শহরে শুরু হওয়া প্রতিবাদে অংশগ্রহণকারী লোকের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। মানুষ ধ্বনি তুলছে—‘বিশ্বকাপ নয়, স্বাস্থ্যসেবা অগ্রাধিকার হোক’ এবং ‘আমরা চাই হাসপাতাল, স্টেডিয়াম নয়’। পুলিশ কিছু এলাকায় নির্বিচার দমন-পীড়ন চালিয়ে লোকদের গ্রেপ্তার করছে। কিছু জায়গায় পরিস্থিতি সহিংস হয়ে উঠেছিল, যার ফলে তিনজন প্রতিবাদকারী মারা গেছেন।
প্রধানমন্ত্রী আজিজ আখানউচ গত বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, তিনি সংলাপের জন্য উন্মুক্ত। তবে কেন্দ্রীয় নেতাহীন এই আন্দোলন নিশ্চিত করেছে যে তারা বাস্তব পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত থামবে না। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে—
সেপ্টেম্বরে আগাদির একটি হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে আট নারীর মৃত্যু এই আন্দোলনকে আরও বেগবান করে তোলে। রিপোর্টে বলা হয়, এই মৃত্যু প্রতিরোধ করা যেত যদি স্বাস্থ্যসেবা, যথাযথ সরঞ্জাম ও পর্যাপ্ত চিকিৎসক থাকত।
বিভিন্ন হিসাবে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে মরক্কোর প্রতি ১০ হাজার জনের বিপরীতে মাত্র ৭ দশমিক ৮ জন ডাক্তার ছিলেন, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২৩ জনের সুপারিশের তুলনায় অনেক কম।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদের খবর পড়ে এবং বন্ধুর অনুপ্রেরণায় হাজর বেলহাসান গত সোমবার প্রতিবাদে যোগ দেন। বন্ধুটি তাঁর নিজের ভিডিও পাঠাচ্ছিল। সেই ভিডিওগুলো হাজর তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করতেন। এরপর বন্ধুর ভাই গ্রেপ্তার হন। রাতভর আটক রেখে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। হাজর বলেন, এটি তাঁকে সড়কে নামতে প্রভাবিত করেছিল। তিনি বললেন, ‘আমরা যৌক্তিক, মৌলিক দাবি করছি। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা এমন জিনিস, যেগুলোকে অগ্রাধিকার পেতেই হবে।’
প্রতিবাদে যাওয়ার সময় পুলিশ মানুষকে জড়ো হওয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা এবং গ্রেপ্তার করছিল। বুধবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাশিদ এল খালফি জানান, এখন পর্যন্ত ৪০৯ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। এ ছাড়া, ২৬০ পুলিশ কর্মকর্তা এবং ২০ প্রতিবাদী আহত হয়েছে। সহিংস সংঘর্ষে ৪০টি পুলিশ যানবাহন এবং ২০টি ব্যক্তিগত গাড়ি ভস্মীভূত হয়েছে।
২৩ বছর বয়সী আন্দোলনকারী হাকিম (ছদ্মনাম) বলেছেন, ‘আমি শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলাম, কিন্তু পুলিশের সামনে পড়ে যাই। এখানে প্রায় ৪০ জন ছিল। সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। আমার বাবা সাম্প্রতিক সময়ে স্ট্রোক করেছেন। যদি আমাদের কিছু সঞ্চয় না থাকত, তাঁকে বেসরকারি হাসপাতালে না পাঠাতাম, তিনি মারা যেতেন।’
হাকিম সরকারি শিক্ষাব্যবস্থা প্রাইভেট শিক্ষাব্যবস্থার তুলনায় ‘অনেক পিছিয়ে’ বলে মনে করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সম্মানজনক জীবন চাই। আমরা চাই বিশ্বকাপ হোক, কিন্তু মাথা উঁচু করে, মুখোশের আড়ালে নয়।’
পুলিশের এই হিংসাত্মক প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করেছে মরক্কোর মানবাধিকার সংস্থা, প্রতিবাদী ও বিরোধী পক্ষগুলো। জেন–জি ২১২ আন্দোলন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নয়। হাজর বলেন, ‘আমরা কোনো রাজনৈতিক আন্দোলন না, আমাদের কোনো নেতা নেই। হয়তো এ জন্যই পুলিশ গ্রেপ্তার করছিল এবং সরকার চুপ থাকছিল।’
কিন্তু কিছু এলাকা থেকে সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ১ অক্টোবর রাতে পুলিশ স্টেশন ঘেরাও করার চেষ্টাকালে লক্লিয়া শহরে তিন প্রতিবাদী মারা যান। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, নিরাপত্তা বাহিনী আগুন ধরানো এবং অস্ত্র চুরির চেষ্টা করার পর গুলি চালায়।
প্রতিবাদীরা হামলা ও লুটপাট নিন্দা করেছে এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার গ্রুপ গঠন করেছে। তারা বারবার শান্তি ও সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যে সংলাপের জন্য উন্মুক্ত তা বিশ্বাস করছেন না। গতকাল শুক্রবার থেকে তারা সরকার বিলুপ্ত করাতে বাদশাহর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। হয়তো এটি অনেক বড় দাবি, কিন্তু প্রতিবাদীরা রাস্তা থেকে ঘরে ফেরার মানসিকতায় নেই।
২০৩০ সালের দিকে তাকিয়ে হাজর বলেন, ‘অবশ্যই আমরা বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে উত্তেজিত। আমরা ফুটবল ভালোবাসি, এটি আমাদের রক্তে। কিন্তু আমাদের ভিত্তি নেই। আমরা চাই, স্টেডিয়াম তৈরি হোক, কিন্তু আমাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা তার আগে গড়তে হবে।’

মরক্কো বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুটবল স্টেডিয়াম তৈরি করছে। ২০৩০ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ যৌথভাবে আয়োজনের অংশ হিসেবে এটি নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু গত শনিবার থেকে রাস্তায় নামা প্রতিবাদকারীদের জন্য এই ১ লাখ ১৫ হাজার আসনের স্টেডিয়াম এবং নির্মাণাধীন অন্যান্য ফুটবল অবকাঠামো—যার খরচ আনুমানিক ৫ বিলিয়ন ডলার—একধরনের আঘাত। তাদের মতে, এটি এমন একটি সরকারের উদাহরণ, যার অগ্রাধিকার ভুল।
সেতত শহরের ২৫ বছর বয়সী কমিউনিকেশন ম্যানেজার হাজর বেলহাসান বলেন, ‘আমি প্রতিবাদ করছি। কারণ, আমি চাই আমার দেশ ভালো হোক। আমি মরক্কো ছাড়তে চাই না এবং আমি চাই না যে দেশ আমাকে অবজ্ঞা করুক।’
জেন-জেড ২১২ নামের একটি গোষ্ঠী এই আন্দোলনের সমন্বয় করছে। ২১২ মূলত দেশটির আন্তর্জাতিক ডায়ালিং কোডের সঙ্গে সম্পর্কিত। ডিসকর্ড, টিকটক এবং ইনস্টাগ্রামের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে এই প্রতিবাদ সমন্বয় করা হচ্ছে। নেপালের সাম্প্রতিক জেন-জি আন্দোলনের অনুপ্রেরণা নিয়ে তরুণ মরক্কানরা চান, তাদের সমস্যাগুলো সমাধানে সরকার তৎপরতা এবং উদ্যম দেখাক, যেমনটি বিশ্বমানের ক্রীড়া আয়োজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১০টি শহরে শুরু হওয়া প্রতিবাদে অংশগ্রহণকারী লোকের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। মানুষ ধ্বনি তুলছে—‘বিশ্বকাপ নয়, স্বাস্থ্যসেবা অগ্রাধিকার হোক’ এবং ‘আমরা চাই হাসপাতাল, স্টেডিয়াম নয়’। পুলিশ কিছু এলাকায় নির্বিচার দমন-পীড়ন চালিয়ে লোকদের গ্রেপ্তার করছে। কিছু জায়গায় পরিস্থিতি সহিংস হয়ে উঠেছিল, যার ফলে তিনজন প্রতিবাদকারী মারা গেছেন।
প্রধানমন্ত্রী আজিজ আখানউচ গত বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, তিনি সংলাপের জন্য উন্মুক্ত। তবে কেন্দ্রীয় নেতাহীন এই আন্দোলন নিশ্চিত করেছে যে তারা বাস্তব পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত থামবে না। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে—
সেপ্টেম্বরে আগাদির একটি হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে আট নারীর মৃত্যু এই আন্দোলনকে আরও বেগবান করে তোলে। রিপোর্টে বলা হয়, এই মৃত্যু প্রতিরোধ করা যেত যদি স্বাস্থ্যসেবা, যথাযথ সরঞ্জাম ও পর্যাপ্ত চিকিৎসক থাকত।
বিভিন্ন হিসাবে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে মরক্কোর প্রতি ১০ হাজার জনের বিপরীতে মাত্র ৭ দশমিক ৮ জন ডাক্তার ছিলেন, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২৩ জনের সুপারিশের তুলনায় অনেক কম।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদের খবর পড়ে এবং বন্ধুর অনুপ্রেরণায় হাজর বেলহাসান গত সোমবার প্রতিবাদে যোগ দেন। বন্ধুটি তাঁর নিজের ভিডিও পাঠাচ্ছিল। সেই ভিডিওগুলো হাজর তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করতেন। এরপর বন্ধুর ভাই গ্রেপ্তার হন। রাতভর আটক রেখে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। হাজর বলেন, এটি তাঁকে সড়কে নামতে প্রভাবিত করেছিল। তিনি বললেন, ‘আমরা যৌক্তিক, মৌলিক দাবি করছি। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা এমন জিনিস, যেগুলোকে অগ্রাধিকার পেতেই হবে।’
প্রতিবাদে যাওয়ার সময় পুলিশ মানুষকে জড়ো হওয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা এবং গ্রেপ্তার করছিল। বুধবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাশিদ এল খালফি জানান, এখন পর্যন্ত ৪০৯ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। এ ছাড়া, ২৬০ পুলিশ কর্মকর্তা এবং ২০ প্রতিবাদী আহত হয়েছে। সহিংস সংঘর্ষে ৪০টি পুলিশ যানবাহন এবং ২০টি ব্যক্তিগত গাড়ি ভস্মীভূত হয়েছে।
২৩ বছর বয়সী আন্দোলনকারী হাকিম (ছদ্মনাম) বলেছেন, ‘আমি শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলাম, কিন্তু পুলিশের সামনে পড়ে যাই। এখানে প্রায় ৪০ জন ছিল। সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। আমার বাবা সাম্প্রতিক সময়ে স্ট্রোক করেছেন। যদি আমাদের কিছু সঞ্চয় না থাকত, তাঁকে বেসরকারি হাসপাতালে না পাঠাতাম, তিনি মারা যেতেন।’
হাকিম সরকারি শিক্ষাব্যবস্থা প্রাইভেট শিক্ষাব্যবস্থার তুলনায় ‘অনেক পিছিয়ে’ বলে মনে করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সম্মানজনক জীবন চাই। আমরা চাই বিশ্বকাপ হোক, কিন্তু মাথা উঁচু করে, মুখোশের আড়ালে নয়।’
পুলিশের এই হিংসাত্মক প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করেছে মরক্কোর মানবাধিকার সংস্থা, প্রতিবাদী ও বিরোধী পক্ষগুলো। জেন–জি ২১২ আন্দোলন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নয়। হাজর বলেন, ‘আমরা কোনো রাজনৈতিক আন্দোলন না, আমাদের কোনো নেতা নেই। হয়তো এ জন্যই পুলিশ গ্রেপ্তার করছিল এবং সরকার চুপ থাকছিল।’
কিন্তু কিছু এলাকা থেকে সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ১ অক্টোবর রাতে পুলিশ স্টেশন ঘেরাও করার চেষ্টাকালে লক্লিয়া শহরে তিন প্রতিবাদী মারা যান। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, নিরাপত্তা বাহিনী আগুন ধরানো এবং অস্ত্র চুরির চেষ্টা করার পর গুলি চালায়।
প্রতিবাদীরা হামলা ও লুটপাট নিন্দা করেছে এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার গ্রুপ গঠন করেছে। তারা বারবার শান্তি ও সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যে সংলাপের জন্য উন্মুক্ত তা বিশ্বাস করছেন না। গতকাল শুক্রবার থেকে তারা সরকার বিলুপ্ত করাতে বাদশাহর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। হয়তো এটি অনেক বড় দাবি, কিন্তু প্রতিবাদীরা রাস্তা থেকে ঘরে ফেরার মানসিকতায় নেই।
২০৩০ সালের দিকে তাকিয়ে হাজর বলেন, ‘অবশ্যই আমরা বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে উত্তেজিত। আমরা ফুটবল ভালোবাসি, এটি আমাদের রক্তে। কিন্তু আমাদের ভিত্তি নেই। আমরা চাই, স্টেডিয়াম তৈরি হোক, কিন্তু আমাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা তার আগে গড়তে হবে।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মরক্কো বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুটবল স্টেডিয়াম তৈরি করছে। ২০৩০ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ যৌথভাবে আয়োজনের অংশ হিসেবে এটি নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু গত শনিবার থেকে রাস্তায় নামা প্রতিবাদকারীদের জন্য এই ১ লাখ ১৫ হাজার আসনের স্টেডিয়াম এবং নির্মাণাধীন অন্যান্য ফুটবল অবকাঠামো—যার খরচ আনুমানিক ৫ বিলিয়ন ডলার—একধরনের আঘাত। তাদের মতে, এটি এমন একটি সরকারের উদাহরণ, যার অগ্রাধিকার ভুল।
সেতত শহরের ২৫ বছর বয়সী কমিউনিকেশন ম্যানেজার হাজর বেলহাসান বলেন, ‘আমি প্রতিবাদ করছি। কারণ, আমি চাই আমার দেশ ভালো হোক। আমি মরক্কো ছাড়তে চাই না এবং আমি চাই না যে দেশ আমাকে অবজ্ঞা করুক।’
জেন-জেড ২১২ নামের একটি গোষ্ঠী এই আন্দোলনের সমন্বয় করছে। ২১২ মূলত দেশটির আন্তর্জাতিক ডায়ালিং কোডের সঙ্গে সম্পর্কিত। ডিসকর্ড, টিকটক এবং ইনস্টাগ্রামের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে এই প্রতিবাদ সমন্বয় করা হচ্ছে। নেপালের সাম্প্রতিক জেন-জি আন্দোলনের অনুপ্রেরণা নিয়ে তরুণ মরক্কানরা চান, তাদের সমস্যাগুলো সমাধানে সরকার তৎপরতা এবং উদ্যম দেখাক, যেমনটি বিশ্বমানের ক্রীড়া আয়োজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১০টি শহরে শুরু হওয়া প্রতিবাদে অংশগ্রহণকারী লোকের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। মানুষ ধ্বনি তুলছে—‘বিশ্বকাপ নয়, স্বাস্থ্যসেবা অগ্রাধিকার হোক’ এবং ‘আমরা চাই হাসপাতাল, স্টেডিয়াম নয়’। পুলিশ কিছু এলাকায় নির্বিচার দমন-পীড়ন চালিয়ে লোকদের গ্রেপ্তার করছে। কিছু জায়গায় পরিস্থিতি সহিংস হয়ে উঠেছিল, যার ফলে তিনজন প্রতিবাদকারী মারা গেছেন।
প্রধানমন্ত্রী আজিজ আখানউচ গত বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, তিনি সংলাপের জন্য উন্মুক্ত। তবে কেন্দ্রীয় নেতাহীন এই আন্দোলন নিশ্চিত করেছে যে তারা বাস্তব পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত থামবে না। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে—
সেপ্টেম্বরে আগাদির একটি হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে আট নারীর মৃত্যু এই আন্দোলনকে আরও বেগবান করে তোলে। রিপোর্টে বলা হয়, এই মৃত্যু প্রতিরোধ করা যেত যদি স্বাস্থ্যসেবা, যথাযথ সরঞ্জাম ও পর্যাপ্ত চিকিৎসক থাকত।
বিভিন্ন হিসাবে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে মরক্কোর প্রতি ১০ হাজার জনের বিপরীতে মাত্র ৭ দশমিক ৮ জন ডাক্তার ছিলেন, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২৩ জনের সুপারিশের তুলনায় অনেক কম।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদের খবর পড়ে এবং বন্ধুর অনুপ্রেরণায় হাজর বেলহাসান গত সোমবার প্রতিবাদে যোগ দেন। বন্ধুটি তাঁর নিজের ভিডিও পাঠাচ্ছিল। সেই ভিডিওগুলো হাজর তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করতেন। এরপর বন্ধুর ভাই গ্রেপ্তার হন। রাতভর আটক রেখে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। হাজর বলেন, এটি তাঁকে সড়কে নামতে প্রভাবিত করেছিল। তিনি বললেন, ‘আমরা যৌক্তিক, মৌলিক দাবি করছি। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা এমন জিনিস, যেগুলোকে অগ্রাধিকার পেতেই হবে।’
প্রতিবাদে যাওয়ার সময় পুলিশ মানুষকে জড়ো হওয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা এবং গ্রেপ্তার করছিল। বুধবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাশিদ এল খালফি জানান, এখন পর্যন্ত ৪০৯ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। এ ছাড়া, ২৬০ পুলিশ কর্মকর্তা এবং ২০ প্রতিবাদী আহত হয়েছে। সহিংস সংঘর্ষে ৪০টি পুলিশ যানবাহন এবং ২০টি ব্যক্তিগত গাড়ি ভস্মীভূত হয়েছে।
২৩ বছর বয়সী আন্দোলনকারী হাকিম (ছদ্মনাম) বলেছেন, ‘আমি শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলাম, কিন্তু পুলিশের সামনে পড়ে যাই। এখানে প্রায় ৪০ জন ছিল। সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। আমার বাবা সাম্প্রতিক সময়ে স্ট্রোক করেছেন। যদি আমাদের কিছু সঞ্চয় না থাকত, তাঁকে বেসরকারি হাসপাতালে না পাঠাতাম, তিনি মারা যেতেন।’
হাকিম সরকারি শিক্ষাব্যবস্থা প্রাইভেট শিক্ষাব্যবস্থার তুলনায় ‘অনেক পিছিয়ে’ বলে মনে করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সম্মানজনক জীবন চাই। আমরা চাই বিশ্বকাপ হোক, কিন্তু মাথা উঁচু করে, মুখোশের আড়ালে নয়।’
পুলিশের এই হিংসাত্মক প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করেছে মরক্কোর মানবাধিকার সংস্থা, প্রতিবাদী ও বিরোধী পক্ষগুলো। জেন–জি ২১২ আন্দোলন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নয়। হাজর বলেন, ‘আমরা কোনো রাজনৈতিক আন্দোলন না, আমাদের কোনো নেতা নেই। হয়তো এ জন্যই পুলিশ গ্রেপ্তার করছিল এবং সরকার চুপ থাকছিল।’
কিন্তু কিছু এলাকা থেকে সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ১ অক্টোবর রাতে পুলিশ স্টেশন ঘেরাও করার চেষ্টাকালে লক্লিয়া শহরে তিন প্রতিবাদী মারা যান। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, নিরাপত্তা বাহিনী আগুন ধরানো এবং অস্ত্র চুরির চেষ্টা করার পর গুলি চালায়।
প্রতিবাদীরা হামলা ও লুটপাট নিন্দা করেছে এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার গ্রুপ গঠন করেছে। তারা বারবার শান্তি ও সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যে সংলাপের জন্য উন্মুক্ত তা বিশ্বাস করছেন না। গতকাল শুক্রবার থেকে তারা সরকার বিলুপ্ত করাতে বাদশাহর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। হয়তো এটি অনেক বড় দাবি, কিন্তু প্রতিবাদীরা রাস্তা থেকে ঘরে ফেরার মানসিকতায় নেই।
২০৩০ সালের দিকে তাকিয়ে হাজর বলেন, ‘অবশ্যই আমরা বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে উত্তেজিত। আমরা ফুটবল ভালোবাসি, এটি আমাদের রক্তে। কিন্তু আমাদের ভিত্তি নেই। আমরা চাই, স্টেডিয়াম তৈরি হোক, কিন্তু আমাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা তার আগে গড়তে হবে।’

মরক্কো বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুটবল স্টেডিয়াম তৈরি করছে। ২০৩০ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ যৌথভাবে আয়োজনের অংশ হিসেবে এটি নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু গত শনিবার থেকে রাস্তায় নামা প্রতিবাদকারীদের জন্য এই ১ লাখ ১৫ হাজার আসনের স্টেডিয়াম এবং নির্মাণাধীন অন্যান্য ফুটবল অবকাঠামো—যার খরচ আনুমানিক ৫ বিলিয়ন ডলার—একধরনের আঘাত। তাদের মতে, এটি এমন একটি সরকারের উদাহরণ, যার অগ্রাধিকার ভুল।
সেতত শহরের ২৫ বছর বয়সী কমিউনিকেশন ম্যানেজার হাজর বেলহাসান বলেন, ‘আমি প্রতিবাদ করছি। কারণ, আমি চাই আমার দেশ ভালো হোক। আমি মরক্কো ছাড়তে চাই না এবং আমি চাই না যে দেশ আমাকে অবজ্ঞা করুক।’
জেন-জেড ২১২ নামের একটি গোষ্ঠী এই আন্দোলনের সমন্বয় করছে। ২১২ মূলত দেশটির আন্তর্জাতিক ডায়ালিং কোডের সঙ্গে সম্পর্কিত। ডিসকর্ড, টিকটক এবং ইনস্টাগ্রামের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে এই প্রতিবাদ সমন্বয় করা হচ্ছে। নেপালের সাম্প্রতিক জেন-জি আন্দোলনের অনুপ্রেরণা নিয়ে তরুণ মরক্কানরা চান, তাদের সমস্যাগুলো সমাধানে সরকার তৎপরতা এবং উদ্যম দেখাক, যেমনটি বিশ্বমানের ক্রীড়া আয়োজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১০টি শহরে শুরু হওয়া প্রতিবাদে অংশগ্রহণকারী লোকের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। মানুষ ধ্বনি তুলছে—‘বিশ্বকাপ নয়, স্বাস্থ্যসেবা অগ্রাধিকার হোক’ এবং ‘আমরা চাই হাসপাতাল, স্টেডিয়াম নয়’। পুলিশ কিছু এলাকায় নির্বিচার দমন-পীড়ন চালিয়ে লোকদের গ্রেপ্তার করছে। কিছু জায়গায় পরিস্থিতি সহিংস হয়ে উঠেছিল, যার ফলে তিনজন প্রতিবাদকারী মারা গেছেন।
প্রধানমন্ত্রী আজিজ আখানউচ গত বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, তিনি সংলাপের জন্য উন্মুক্ত। তবে কেন্দ্রীয় নেতাহীন এই আন্দোলন নিশ্চিত করেছে যে তারা বাস্তব পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত থামবে না। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে—
সেপ্টেম্বরে আগাদির একটি হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে আট নারীর মৃত্যু এই আন্দোলনকে আরও বেগবান করে তোলে। রিপোর্টে বলা হয়, এই মৃত্যু প্রতিরোধ করা যেত যদি স্বাস্থ্যসেবা, যথাযথ সরঞ্জাম ও পর্যাপ্ত চিকিৎসক থাকত।
বিভিন্ন হিসাবে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে মরক্কোর প্রতি ১০ হাজার জনের বিপরীতে মাত্র ৭ দশমিক ৮ জন ডাক্তার ছিলেন, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২৩ জনের সুপারিশের তুলনায় অনেক কম।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদের খবর পড়ে এবং বন্ধুর অনুপ্রেরণায় হাজর বেলহাসান গত সোমবার প্রতিবাদে যোগ দেন। বন্ধুটি তাঁর নিজের ভিডিও পাঠাচ্ছিল। সেই ভিডিওগুলো হাজর তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করতেন। এরপর বন্ধুর ভাই গ্রেপ্তার হন। রাতভর আটক রেখে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। হাজর বলেন, এটি তাঁকে সড়কে নামতে প্রভাবিত করেছিল। তিনি বললেন, ‘আমরা যৌক্তিক, মৌলিক দাবি করছি। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা এমন জিনিস, যেগুলোকে অগ্রাধিকার পেতেই হবে।’
প্রতিবাদে যাওয়ার সময় পুলিশ মানুষকে জড়ো হওয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা এবং গ্রেপ্তার করছিল। বুধবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাশিদ এল খালফি জানান, এখন পর্যন্ত ৪০৯ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। এ ছাড়া, ২৬০ পুলিশ কর্মকর্তা এবং ২০ প্রতিবাদী আহত হয়েছে। সহিংস সংঘর্ষে ৪০টি পুলিশ যানবাহন এবং ২০টি ব্যক্তিগত গাড়ি ভস্মীভূত হয়েছে।
২৩ বছর বয়সী আন্দোলনকারী হাকিম (ছদ্মনাম) বলেছেন, ‘আমি শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলাম, কিন্তু পুলিশের সামনে পড়ে যাই। এখানে প্রায় ৪০ জন ছিল। সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। আমার বাবা সাম্প্রতিক সময়ে স্ট্রোক করেছেন। যদি আমাদের কিছু সঞ্চয় না থাকত, তাঁকে বেসরকারি হাসপাতালে না পাঠাতাম, তিনি মারা যেতেন।’
হাকিম সরকারি শিক্ষাব্যবস্থা প্রাইভেট শিক্ষাব্যবস্থার তুলনায় ‘অনেক পিছিয়ে’ বলে মনে করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সম্মানজনক জীবন চাই। আমরা চাই বিশ্বকাপ হোক, কিন্তু মাথা উঁচু করে, মুখোশের আড়ালে নয়।’
পুলিশের এই হিংসাত্মক প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করেছে মরক্কোর মানবাধিকার সংস্থা, প্রতিবাদী ও বিরোধী পক্ষগুলো। জেন–জি ২১২ আন্দোলন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নয়। হাজর বলেন, ‘আমরা কোনো রাজনৈতিক আন্দোলন না, আমাদের কোনো নেতা নেই। হয়তো এ জন্যই পুলিশ গ্রেপ্তার করছিল এবং সরকার চুপ থাকছিল।’
কিন্তু কিছু এলাকা থেকে সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ১ অক্টোবর রাতে পুলিশ স্টেশন ঘেরাও করার চেষ্টাকালে লক্লিয়া শহরে তিন প্রতিবাদী মারা যান। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, নিরাপত্তা বাহিনী আগুন ধরানো এবং অস্ত্র চুরির চেষ্টা করার পর গুলি চালায়।
প্রতিবাদীরা হামলা ও লুটপাট নিন্দা করেছে এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার গ্রুপ গঠন করেছে। তারা বারবার শান্তি ও সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যে সংলাপের জন্য উন্মুক্ত তা বিশ্বাস করছেন না। গতকাল শুক্রবার থেকে তারা সরকার বিলুপ্ত করাতে বাদশাহর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। হয়তো এটি অনেক বড় দাবি, কিন্তু প্রতিবাদীরা রাস্তা থেকে ঘরে ফেরার মানসিকতায় নেই।
২০৩০ সালের দিকে তাকিয়ে হাজর বলেন, ‘অবশ্যই আমরা বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে উত্তেজিত। আমরা ফুটবল ভালোবাসি, এটি আমাদের রক্তে। কিন্তু আমাদের ভিত্তি নেই। আমরা চাই, স্টেডিয়াম তৈরি হোক, কিন্তু আমাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা তার আগে গড়তে হবে।’

ভারতের রাজধানী দিল্লির আকাশ ঘন ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা। শহরটির বাতাসের মান ‘সিভিয়ার বা গুরুতর’ শ্রেণিতেই আটকে আছে বেশ কয়েক দিন ধরে। আজ রোববার সকালের ভারতের কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (সিপিসিবি) জানায়, সকাল ৬টায় দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই ছিল ৪৬২।
২৯ মিনিট আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের রাজধানী দিল্লির আকাশ ঘন ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা। শহরটির বাতাসের মান ‘সিভিয়ার বা গুরুতর’ শ্রেণিতেই আটকে আছে বেশ কয়েক দিন ধরে। আজ রোববার সকালের ভারতের কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (সিপিসিবি) জানায়, সকাল ৬টায় দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই ছিল ৪৬২।
দিল্লির ৪০টি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সব কটিতেই বাতাসের দূষণ নির্দেশক সূচক ‘লাল’, অর্থাৎ বাতাসের মান ‘গুরুতর’ পর্যায়ে রয়েছে। উত্তর-পশ্চিম দিল্লির রোহিণীতে একিউআই রেকর্ড করা হয়েছে ৪৯৯। সেখানে প্রধান দূষক ছিল পার্টিকুলেট ম্যাটার ২.৫ বা পিএম ২.৫ কণা। এর পরেই আছে জাহাঙ্গীরপুরী ও বিবেক বিহার, যেখানে একিউআই ছিল ৪৯৫।
স্মগ বা ধোঁয়াশার কারণে দিল্লির একাধিক এলাকায় দৃষ্টিসীমা কমে গেছে। পূর্ব দিল্লির পাটপারগঞ্জ থেকে পাওয়া দৃশ্যে দেখা যায়, সকাল ৬টায় সেখানে একিউআই ছিল ৪৮৮ এবং মানুষজন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরে ধীরে গাড়ি চালাচ্ছেন।
একিউআই বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স হলো—জনস্বাস্থ্যের একটি সূচক, যার মাধ্যমে বাতাসে দূষণের মাত্রা বা বায়ুর গুণমান সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে জানানো হয়। সিপিসিবির তথ্য অনুযায়ী, কোনো এলাকার একিউআই নির্ধারণে আটটি দূষককে প্রধান সূচক হিসেবে ধরা হয়। এগুলো হলো পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএস) ১০, পিএম ২.৫, ওজোন, সালফার ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, সিসা এবং অ্যামোনিয়া।
সিপিসিবি জানায়, একিউআই যদি ০ থেকে ৫০—এর মধ্যে থাকে, তবে তা ‘ভালো।’ ৫১ থেকে ১০০ হলে ‘সন্তোষজনক’, ১০১ থেকে ২০০ ‘মাঝারি’, ২০১ থেকে ৩০০ ‘খারাপ’, ৩০১ থেকে ৪০০ ‘অত্যন্ত খারাপ’ এবং ৪০১ থেকে ৫০০ হলে তা ‘গুরুতর’ হিসেবে ধরা হয়। এই প্রতিটি স্তরই দূষণের মাত্রা এবং তার সঙ্গে যুক্ত স্বাস্থ্যঝুঁকির ইঙ্গিত দেয়। যেমন, একিউআই যদি ‘গুরুতর’ পর্যায়ে থাকে, তাহলে তা সুস্থ মানুষের জন্যও বিপজ্জনক। এ অবস্থায় বাইরে বের হওয়া বা খোলা জায়গায় শরীরচর্চা না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এই অবস্থায় দিল্লির দূষণ বর্তমানে একিউআইয়ের সর্বোচ্চ সীমা ৫০০ ছাড়াতে পারে কী—এই প্রশ্নও সামনে এসেছে। ভারতের একিউআই স্কেল সর্বোচ্চ ৫০০ পর্যন্ত নির্ধারিত। অর্থাৎ ৫০০-এর বেশি হলে সেটিও ‘গুরুতর’ শ্রেণির মধ্যেই ধরা হয়, যা একটি জনস্বাস্থ্য জরুরি পরিস্থিতির ইঙ্গিত দেয়।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্সড স্টাডিজের চেয়ার প্রফেসর অধ্যাপক ড. গুফরান বেগ বলেন, ‘৪০০-এর ওপরে একিউআই অত্যন্ত বিপজ্জনক। ধরে নেওয়া হয়, একিউআই ৫০০ আর একিউআই ৯০০-এর স্বাস্থ্যগত প্রভাব প্রায় একই। তাই বেশি সংখ্যা দেখিয়ে মানুষকে আতঙ্কিত করার প্রয়োজন নেই।’
তবে এনভায়রোক্যাটালিস্টসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান বিশ্লেষক সুনীল দাহিয়া বলেন, একিউআই ৫০০-তে সীমাবদ্ধ রাখার পেছনে কোনো বৈজ্ঞানিক যুক্তি নেই, যদিও প্রযুক্তিগতভাবে এর চেয়েও বেশি মান নির্ণয় করা সম্ভব। তাঁর ভাষায়, ‘এটা ঠিক যে, দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব তুলনামূলক কম ঘনত্বে বেশি হয় এবং খুব উচ্চ ঘনত্বে বাড়লেও তা ধীরে বাড়ে। কিন্তু তাৎক্ষণিক ঝুঁকি তখন অনেক বেশি হয়। বিশেষ করে দূষণ হঠাৎ খুব বেড়ে গেলে হৃদ্রোগী, শ্বাসকষ্টে ভোগা মানুষ এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য তা হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বা চিকিৎসাজনিত জরুরি অবস্থার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। খড় পোড়ানোর মৌসুম বা দীপাবলির সময় আমরা এমন পরিস্থিতি বারবার দেখেছি।’
দিল্লিতে বাড়তে থাকা বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে শনিবার বায়ু মান ব্যবস্থাপনা কমিশন গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান বা গ্র্যাপ-এর তৃতীয় ধাপের বিধিনিষেধ জারি করে। পরে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সেটি আরও কঠোর করে গ্র্যাপ-৪ কার্যকর করা হয়।
একিউআই হঠাৎ খারাপ হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সংস্থাটি জানায়, উত্তর-পশ্চিম ভারতে ধেয়ে আসা দুর্বল পশ্চিমা ঝঞ্ঝাই ছিল এর প্রধান কারণ, স্থানীয় নির্গমন নয়। কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান আবহাওয়াজনিত পরিস্থিতিতে বাতাসের গতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে, অনেক সময় একেবারেই স্থির হয়ে পড়ছে। বাতাসের দিক পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিকে ঘুরেছে এবং নিম্ন বায়ুমণ্ডলে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়েছে। শীতকালীন এ ধরনের পরিস্থিতি ধোঁয়াশা ও কুয়াশা তৈরির জন্য অনুকূল, ফলে দূষকগুলো সহজে ছড়িয়ে না পড়ে ভূপৃষ্ঠের কাছেই আটকে থাকে। এই বিরূপ আবহাওয়ার কারণেই হঠাৎ করে বায়ুর মানের অবনতি ঘটেছে।
গ্র্যাপ-৪-এর আওতায় একাধিক কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। দিল্লিতে অপ্রয়োজনীয় ট্রাকের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে যেসব ট্রাক জরুরি পণ্য বা পরিষেবা বহন করে, অথবা এলএনজি, সিএনজি, বিদ্যুৎ চালিত কিংবা বিএস-ফাইভ ডিজেলে চলে, সেগুলো এর বাইরে থাকবে। দিল্লিতে নিবন্ধিত মাঝারি ও ভারী পণ্যবাহী ডিজেলচালিত যানবাহন, বিশেষ করে বিএস-৪ ও তার আগের মানের যান, নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধু জরুরি পরিষেবায় ব্যবহৃত যানবাহন এ ক্ষেত্রে ছাড় পাবে। দিল্লির বাইরে নিবন্ধিত হালকা বাণিজ্যিক যান, যেগুলো ইভি, সিএনজি বা বিএস-৬ ডিজেল মান পূরণ করে না, সেগুলোর প্রবেশও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বন্ধ থাকবে।
এ ছাড়া সব ধরনের নির্মাণ ও ভাঙচুর কার্যক্রম, এমনকি মহাসড়কের মতো সরকারি প্রকল্পও সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দিল্লি ও ভারতের কেন্দ্রীয় রাজধানী অঞ্চল যেসব রাজ্যের মধ্যে পড়েছে সেসব রাজ্যের সরকারগুলোতে ষষ্ঠ থেকে নবম এবং একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য সশরীরে ক্লাসের বদলে অনলাইন ক্লাসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। সরকারি, পৌর এবং বেসরকারি দপ্তরগুলোকে অন্তত ৫০ শতাংশ কর্মী দিয়ে ওয়ার্ক ফ্রম হোম চালুর সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি অফিসের সময় ধাপে ধাপে নির্ধারণ করার কথাও বলা হয়েছে, যাতে ব্যস্ত সময়ের যানজট ও দূষণ কিছুটা কমানো যায়।

ভারতের রাজধানী দিল্লির আকাশ ঘন ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা। শহরটির বাতাসের মান ‘সিভিয়ার বা গুরুতর’ শ্রেণিতেই আটকে আছে বেশ কয়েক দিন ধরে। আজ রোববার সকালের ভারতের কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (সিপিসিবি) জানায়, সকাল ৬টায় দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই ছিল ৪৬২।
দিল্লির ৪০টি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সব কটিতেই বাতাসের দূষণ নির্দেশক সূচক ‘লাল’, অর্থাৎ বাতাসের মান ‘গুরুতর’ পর্যায়ে রয়েছে। উত্তর-পশ্চিম দিল্লির রোহিণীতে একিউআই রেকর্ড করা হয়েছে ৪৯৯। সেখানে প্রধান দূষক ছিল পার্টিকুলেট ম্যাটার ২.৫ বা পিএম ২.৫ কণা। এর পরেই আছে জাহাঙ্গীরপুরী ও বিবেক বিহার, যেখানে একিউআই ছিল ৪৯৫।
স্মগ বা ধোঁয়াশার কারণে দিল্লির একাধিক এলাকায় দৃষ্টিসীমা কমে গেছে। পূর্ব দিল্লির পাটপারগঞ্জ থেকে পাওয়া দৃশ্যে দেখা যায়, সকাল ৬টায় সেখানে একিউআই ছিল ৪৮৮ এবং মানুষজন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরে ধীরে গাড়ি চালাচ্ছেন।
একিউআই বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স হলো—জনস্বাস্থ্যের একটি সূচক, যার মাধ্যমে বাতাসে দূষণের মাত্রা বা বায়ুর গুণমান সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে জানানো হয়। সিপিসিবির তথ্য অনুযায়ী, কোনো এলাকার একিউআই নির্ধারণে আটটি দূষককে প্রধান সূচক হিসেবে ধরা হয়। এগুলো হলো পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএস) ১০, পিএম ২.৫, ওজোন, সালফার ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, সিসা এবং অ্যামোনিয়া।
সিপিসিবি জানায়, একিউআই যদি ০ থেকে ৫০—এর মধ্যে থাকে, তবে তা ‘ভালো।’ ৫১ থেকে ১০০ হলে ‘সন্তোষজনক’, ১০১ থেকে ২০০ ‘মাঝারি’, ২০১ থেকে ৩০০ ‘খারাপ’, ৩০১ থেকে ৪০০ ‘অত্যন্ত খারাপ’ এবং ৪০১ থেকে ৫০০ হলে তা ‘গুরুতর’ হিসেবে ধরা হয়। এই প্রতিটি স্তরই দূষণের মাত্রা এবং তার সঙ্গে যুক্ত স্বাস্থ্যঝুঁকির ইঙ্গিত দেয়। যেমন, একিউআই যদি ‘গুরুতর’ পর্যায়ে থাকে, তাহলে তা সুস্থ মানুষের জন্যও বিপজ্জনক। এ অবস্থায় বাইরে বের হওয়া বা খোলা জায়গায় শরীরচর্চা না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এই অবস্থায় দিল্লির দূষণ বর্তমানে একিউআইয়ের সর্বোচ্চ সীমা ৫০০ ছাড়াতে পারে কী—এই প্রশ্নও সামনে এসেছে। ভারতের একিউআই স্কেল সর্বোচ্চ ৫০০ পর্যন্ত নির্ধারিত। অর্থাৎ ৫০০-এর বেশি হলে সেটিও ‘গুরুতর’ শ্রেণির মধ্যেই ধরা হয়, যা একটি জনস্বাস্থ্য জরুরি পরিস্থিতির ইঙ্গিত দেয়।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্সড স্টাডিজের চেয়ার প্রফেসর অধ্যাপক ড. গুফরান বেগ বলেন, ‘৪০০-এর ওপরে একিউআই অত্যন্ত বিপজ্জনক। ধরে নেওয়া হয়, একিউআই ৫০০ আর একিউআই ৯০০-এর স্বাস্থ্যগত প্রভাব প্রায় একই। তাই বেশি সংখ্যা দেখিয়ে মানুষকে আতঙ্কিত করার প্রয়োজন নেই।’
তবে এনভায়রোক্যাটালিস্টসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান বিশ্লেষক সুনীল দাহিয়া বলেন, একিউআই ৫০০-তে সীমাবদ্ধ রাখার পেছনে কোনো বৈজ্ঞানিক যুক্তি নেই, যদিও প্রযুক্তিগতভাবে এর চেয়েও বেশি মান নির্ণয় করা সম্ভব। তাঁর ভাষায়, ‘এটা ঠিক যে, দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব তুলনামূলক কম ঘনত্বে বেশি হয় এবং খুব উচ্চ ঘনত্বে বাড়লেও তা ধীরে বাড়ে। কিন্তু তাৎক্ষণিক ঝুঁকি তখন অনেক বেশি হয়। বিশেষ করে দূষণ হঠাৎ খুব বেড়ে গেলে হৃদ্রোগী, শ্বাসকষ্টে ভোগা মানুষ এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য তা হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বা চিকিৎসাজনিত জরুরি অবস্থার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। খড় পোড়ানোর মৌসুম বা দীপাবলির সময় আমরা এমন পরিস্থিতি বারবার দেখেছি।’
দিল্লিতে বাড়তে থাকা বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে শনিবার বায়ু মান ব্যবস্থাপনা কমিশন গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান বা গ্র্যাপ-এর তৃতীয় ধাপের বিধিনিষেধ জারি করে। পরে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সেটি আরও কঠোর করে গ্র্যাপ-৪ কার্যকর করা হয়।
একিউআই হঠাৎ খারাপ হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সংস্থাটি জানায়, উত্তর-পশ্চিম ভারতে ধেয়ে আসা দুর্বল পশ্চিমা ঝঞ্ঝাই ছিল এর প্রধান কারণ, স্থানীয় নির্গমন নয়। কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান আবহাওয়াজনিত পরিস্থিতিতে বাতাসের গতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে, অনেক সময় একেবারেই স্থির হয়ে পড়ছে। বাতাসের দিক পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিকে ঘুরেছে এবং নিম্ন বায়ুমণ্ডলে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়েছে। শীতকালীন এ ধরনের পরিস্থিতি ধোঁয়াশা ও কুয়াশা তৈরির জন্য অনুকূল, ফলে দূষকগুলো সহজে ছড়িয়ে না পড়ে ভূপৃষ্ঠের কাছেই আটকে থাকে। এই বিরূপ আবহাওয়ার কারণেই হঠাৎ করে বায়ুর মানের অবনতি ঘটেছে।
গ্র্যাপ-৪-এর আওতায় একাধিক কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। দিল্লিতে অপ্রয়োজনীয় ট্রাকের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে যেসব ট্রাক জরুরি পণ্য বা পরিষেবা বহন করে, অথবা এলএনজি, সিএনজি, বিদ্যুৎ চালিত কিংবা বিএস-ফাইভ ডিজেলে চলে, সেগুলো এর বাইরে থাকবে। দিল্লিতে নিবন্ধিত মাঝারি ও ভারী পণ্যবাহী ডিজেলচালিত যানবাহন, বিশেষ করে বিএস-৪ ও তার আগের মানের যান, নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধু জরুরি পরিষেবায় ব্যবহৃত যানবাহন এ ক্ষেত্রে ছাড় পাবে। দিল্লির বাইরে নিবন্ধিত হালকা বাণিজ্যিক যান, যেগুলো ইভি, সিএনজি বা বিএস-৬ ডিজেল মান পূরণ করে না, সেগুলোর প্রবেশও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বন্ধ থাকবে।
এ ছাড়া সব ধরনের নির্মাণ ও ভাঙচুর কার্যক্রম, এমনকি মহাসড়কের মতো সরকারি প্রকল্পও সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দিল্লি ও ভারতের কেন্দ্রীয় রাজধানী অঞ্চল যেসব রাজ্যের মধ্যে পড়েছে সেসব রাজ্যের সরকারগুলোতে ষষ্ঠ থেকে নবম এবং একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য সশরীরে ক্লাসের বদলে অনলাইন ক্লাসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। সরকারি, পৌর এবং বেসরকারি দপ্তরগুলোকে অন্তত ৫০ শতাংশ কর্মী দিয়ে ওয়ার্ক ফ্রম হোম চালুর সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি অফিসের সময় ধাপে ধাপে নির্ধারণ করার কথাও বলা হয়েছে, যাতে ব্যস্ত সময়ের যানজট ও দূষণ কিছুটা কমানো যায়।

মরক্কো বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুটবল স্টেডিয়াম তৈরি করছে। ২০৩০ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ যৌথভাবে আয়োজনের অংশ হিসেবে এটি নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু গত শনিবার থেকে রাস্তায় নামা প্রতিবাদকারীদের জন্য এই ১ লাখ ১৫ হাজার আসনের স্টেডিয়াম এবং নির্মাণাধীন অন্যান্য ফুটবল অবকাঠামো—যার খরচ আনুমানিক ৫ বিলিয়ন ডলার...
০৪ অক্টোবর ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে—ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাদের সেনাদের ওপর আইএসআইএসের হামলার জবাব আমরা দেব। যদি মার্কিন বাহিনীর ওপর আবারও হামলা হয় সেটার জবাও আমরা দেব।’
এর আগে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলকেন্দ্রিক কমান্ড ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, আইসিসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং তাদের এক দোভাষী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আরও তিনজন সেনা গুরুতর আহত হয়েছে। সেন্টকম আরও বলেছে, ‘বন্দুকধারীকে শনাক্ত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল। সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়। সানা আরও জানায়, আহত ব্যক্তিদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন। আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে—ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাদের সেনাদের ওপর আইএসআইএসের হামলার জবাব আমরা দেব। যদি মার্কিন বাহিনীর ওপর আবারও হামলা হয় সেটার জবাও আমরা দেব।’
এর আগে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলকেন্দ্রিক কমান্ড ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, আইসিসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং তাদের এক দোভাষী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আরও তিনজন সেনা গুরুতর আহত হয়েছে। সেন্টকম আরও বলেছে, ‘বন্দুকধারীকে শনাক্ত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল। সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়। সানা আরও জানায়, আহত ব্যক্তিদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন। আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

মরক্কো বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুটবল স্টেডিয়াম তৈরি করছে। ২০৩০ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ যৌথভাবে আয়োজনের অংশ হিসেবে এটি নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু গত শনিবার থেকে রাস্তায় নামা প্রতিবাদকারীদের জন্য এই ১ লাখ ১৫ হাজার আসনের স্টেডিয়াম এবং নির্মাণাধীন অন্যান্য ফুটবল অবকাঠামো—যার খরচ আনুমানিক ৫ বিলিয়ন ডলার...
০৪ অক্টোবর ২০২৫
ভারতের রাজধানী দিল্লির আকাশ ঘন ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা। শহরটির বাতাসের মান ‘সিভিয়ার বা গুরুতর’ শ্রেণিতেই আটকে আছে বেশ কয়েক দিন ধরে। আজ রোববার সকালের ভারতের কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (সিপিসিবি) জানায়, সকাল ৬টায় দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই ছিল ৪৬২।
২৯ মিনিট আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্য রোড আইল্যান্ডের রাজধানী প্রভিডেন্সের মেয়র ব্রেট স্মাইলি নিশ্চিত করেছেন, ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে সক্রিয় বন্দুকধারীর হামলায় দুজন নিহত এবং আরও আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই আইভি লীগ ক্যাম্পাসে শনিবার যখন গোলাগুলি শুরু হয়, তখন সেখানে পরীক্ষা চলছিল।
রোড আইল্যান্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি এখনও পলাতক। তারা হামলাকারীকে কালো পোশাক পরিহিত পুরুষ হিসেবে শনাক্ত করেছেন, যিনি পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। তারা আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি।
এক সংবাদ সম্মেলনে স্মাইলি বলেন, স্থানীয় সময় বিকেল ৪ টা ৫ মিনিটের দিকে জরুরি সেবা প্রতিক্রিয়াকারীদের কাছে ৯১১ কল আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গোলাগুলির বিষয়টি জানতে পারে। স্মাইলি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, আজ বিকেলে দুইজন ব্যক্তি মারা গেছেন এবং আরও আটজন গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন, যদিও তারা রোড আইল্যান্ড হাসপাতালে স্থিতিশীল আছেন।’
তিনি যোগ করেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা শুধুমাত্র এই আঘাত বা হতাহতের খবর জানি। তবে যেমনটি আমি উল্লেখ করেছি—এবং জনসাধারণকে মনে করিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ—এই সংখ্যাগুলি পরিবর্তিত হতে পারে। আমরা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।’
চলমান তদন্তের ওপর জোর দিয়ে স্মাইলি নিহতদের পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা প্যাক্সটন এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি এমন একটি দিন যা আমরা আশা করেছিলাম যেন আমাদের সম্প্রদায়ে কখনও না আসে। এটি আমাদের সকলের জন্য গভীরভাবে হৃদয়বিদারক।’ তিনি ক্যাম্পাসের সবাইকে সতর্ক থাকার এবং লকডাউন প্রোটোকল মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হলো সমস্ত দরজা তালাবদ্ধ রাখা এবং ক্যাম্পাস জুড়ে কোনো চলাচল না করা নিশ্চিত করা।’
শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বিকেল ৪ টা ২২ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথম জরুরি সতর্কতা জারি করে জানায়, বারাস অ্যান্ড হলি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফিজিক্স ভবনের কাছে একজন বন্দুকধারী রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সতর্কবার্তায় বলে, ‘দরজা লক করুন, ফোন নীরব করুন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লুকিয়ে থাকুন।’
এতে আরও বলা হয়, ‘মনে রাখবেন—দৌড়ান, যদি আপনি আক্রান্ত স্থানে থাকেন তবে নিরাপদে সরে যান; লুকান, যদি সরে যাওয়া সম্ভব না হয় তবে আড়াল নিন; প্রতিরোধ করুন, শেষ অবলম্বন হিসেবে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নিন।’
প্রভিডেন্সের পুলিশ প্রধান টিমোথি ও’হারা জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভবনটিতে তল্লাশি চালায়। ও’হারা বলেন, ‘তারা ভবনটিতে পদ্ধতিগতভাবে তল্লাশি চালিয়েছে। তবে সে সময় কোনো সন্দেহভাজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা সেই ভবনটি খালি করতে সক্ষম হন এবং সেই ভবনের সমস্ত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করে দেন।’ তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন কীভাবে ভবনে প্রবেশ করেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে সে হোপ স্ট্রিট দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল।
স্থানীয় সময় ৫ টা ২৭ মিনিটে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি জানায়, গভর্নর স্ট্রিটের কাছে, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফিজিক্স ল্যাব থেকে প্রায় দুটি ব্লক দূরে, গুলি চালানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের আগে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোনো সন্দেহভাজনকে আটক করেছে কিনা তা স্পষ্ট ছিল না, কারণ অনলাইনে পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন প্রচারিত হচ্ছিল।
উদাহরণস্বরূপ, বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি প্রাথমিক ঘোষণা প্রত্যাহার করতে হয়েছিল যে, একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা লিখেছিল, ’পুলিশের হেফাজতে কোনো সন্দেহভাজন নেই এবং তারা সন্দেহভাজনদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।’
স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এবং তাদের সাথে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এবং ব্যুরো অব অ্যালকোহল, টোব্যাকো, ফায়ারআর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস (এটিএফ) এর ফেডারেল এজেন্টরাও যোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্য রোড আইল্যান্ডের রাজধানী প্রভিডেন্সের মেয়র ব্রেট স্মাইলি নিশ্চিত করেছেন, ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে সক্রিয় বন্দুকধারীর হামলায় দুজন নিহত এবং আরও আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই আইভি লীগ ক্যাম্পাসে শনিবার যখন গোলাগুলি শুরু হয়, তখন সেখানে পরীক্ষা চলছিল।
রোড আইল্যান্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি এখনও পলাতক। তারা হামলাকারীকে কালো পোশাক পরিহিত পুরুষ হিসেবে শনাক্ত করেছেন, যিনি পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। তারা আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি।
এক সংবাদ সম্মেলনে স্মাইলি বলেন, স্থানীয় সময় বিকেল ৪ টা ৫ মিনিটের দিকে জরুরি সেবা প্রতিক্রিয়াকারীদের কাছে ৯১১ কল আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গোলাগুলির বিষয়টি জানতে পারে। স্মাইলি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, আজ বিকেলে দুইজন ব্যক্তি মারা গেছেন এবং আরও আটজন গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন, যদিও তারা রোড আইল্যান্ড হাসপাতালে স্থিতিশীল আছেন।’
তিনি যোগ করেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা শুধুমাত্র এই আঘাত বা হতাহতের খবর জানি। তবে যেমনটি আমি উল্লেখ করেছি—এবং জনসাধারণকে মনে করিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ—এই সংখ্যাগুলি পরিবর্তিত হতে পারে। আমরা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।’
চলমান তদন্তের ওপর জোর দিয়ে স্মাইলি নিহতদের পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা প্যাক্সটন এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি এমন একটি দিন যা আমরা আশা করেছিলাম যেন আমাদের সম্প্রদায়ে কখনও না আসে। এটি আমাদের সকলের জন্য গভীরভাবে হৃদয়বিদারক।’ তিনি ক্যাম্পাসের সবাইকে সতর্ক থাকার এবং লকডাউন প্রোটোকল মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হলো সমস্ত দরজা তালাবদ্ধ রাখা এবং ক্যাম্পাস জুড়ে কোনো চলাচল না করা নিশ্চিত করা।’
শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বিকেল ৪ টা ২২ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথম জরুরি সতর্কতা জারি করে জানায়, বারাস অ্যান্ড হলি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফিজিক্স ভবনের কাছে একজন বন্দুকধারী রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সতর্কবার্তায় বলে, ‘দরজা লক করুন, ফোন নীরব করুন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লুকিয়ে থাকুন।’
এতে আরও বলা হয়, ‘মনে রাখবেন—দৌড়ান, যদি আপনি আক্রান্ত স্থানে থাকেন তবে নিরাপদে সরে যান; লুকান, যদি সরে যাওয়া সম্ভব না হয় তবে আড়াল নিন; প্রতিরোধ করুন, শেষ অবলম্বন হিসেবে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নিন।’
প্রভিডেন্সের পুলিশ প্রধান টিমোথি ও’হারা জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভবনটিতে তল্লাশি চালায়। ও’হারা বলেন, ‘তারা ভবনটিতে পদ্ধতিগতভাবে তল্লাশি চালিয়েছে। তবে সে সময় কোনো সন্দেহভাজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা সেই ভবনটি খালি করতে সক্ষম হন এবং সেই ভবনের সমস্ত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করে দেন।’ তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন কীভাবে ভবনে প্রবেশ করেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে সে হোপ স্ট্রিট দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল।
স্থানীয় সময় ৫ টা ২৭ মিনিটে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি জানায়, গভর্নর স্ট্রিটের কাছে, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফিজিক্স ল্যাব থেকে প্রায় দুটি ব্লক দূরে, গুলি চালানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের আগে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোনো সন্দেহভাজনকে আটক করেছে কিনা তা স্পষ্ট ছিল না, কারণ অনলাইনে পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন প্রচারিত হচ্ছিল।
উদাহরণস্বরূপ, বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি প্রাথমিক ঘোষণা প্রত্যাহার করতে হয়েছিল যে, একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা লিখেছিল, ’পুলিশের হেফাজতে কোনো সন্দেহভাজন নেই এবং তারা সন্দেহভাজনদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।’
স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এবং তাদের সাথে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এবং ব্যুরো অব অ্যালকোহল, টোব্যাকো, ফায়ারআর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস (এটিএফ) এর ফেডারেল এজেন্টরাও যোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।

মরক্কো বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুটবল স্টেডিয়াম তৈরি করছে। ২০৩০ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ যৌথভাবে আয়োজনের অংশ হিসেবে এটি নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু গত শনিবার থেকে রাস্তায় নামা প্রতিবাদকারীদের জন্য এই ১ লাখ ১৫ হাজার আসনের স্টেডিয়াম এবং নির্মাণাধীন অন্যান্য ফুটবল অবকাঠামো—যার খরচ আনুমানিক ৫ বিলিয়ন ডলার...
০৪ অক্টোবর ২০২৫
ভারতের রাজধানী দিল্লির আকাশ ঘন ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা। শহরটির বাতাসের মান ‘সিভিয়ার বা গুরুতর’ শ্রেণিতেই আটকে আছে বেশ কয়েক দিন ধরে। আজ রোববার সকালের ভারতের কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (সিপিসিবি) জানায়, সকাল ৬টায় দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই ছিল ৪৬২।
২৯ মিনিট আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গতকাল শনিবারের এই হামলায় ৫ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে।
হামাস কোনো বিবৃতিতে রায়েদ সাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তারা জানিয়েছে, গাজা সিটির বাইরে একটি বেসামরিক গাড়িতে আঘাত হানা হয়েছে এবং এটিকে অক্টোবরে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন বলে ঘোষণা করেছে।
টেলিগ্রামে পোস্ট করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, এই কমান্ডার হামাসের সক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিলেন, যা দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের গাজায় চালানো গণহত্যার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাঁকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ইসরায়েলে হামলার অন্যতম স্থপতি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
যদি সাদ নিহত হন, তবে চলতি বছরের অক্টোবরে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এটি হবে হামাসের একজন সিনিয়র নেতাদের মধ্যে সর্বোচ্চ-পর্যায়ের হত্যাকাণ্ড। এক ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সাদকে এই হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল এবং তাকে হামাসের অস্ত্র উৎপাদনকারী বাহিনীর প্রধান হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
হামাসের সূত্রগুলো তাকে ইজ আল-দিন আল-হাদ্দাদের পরে এই গোষ্ঠীর সশস্ত্র শাখার দ্বিতীয়-কমান্ডার হিসেবেও বর্ণনা করেছে। সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, সাদ হামাসের গাজা সিটি ব্যাটালিয়নের প্রধান ছিলেন, যা গোষ্ঠীটির সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সুসজ্জিত ব্যাটালিয়নগুলোর মধ্যে একটি।
ফিলিস্তিনি ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, একটি ইসরায়েলি ড্রোন গাজা শহরের পশ্চিমে নাবুলসি মোড়ে একটি গাড়িতে আঘাত হানে, যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংস্থাটি নির্দিষ্ট সংখ্যার কথা জানায়নি এবং স্পষ্ট নয় যে এই হামলাটিই সেই হামলা কি না, যেখানে কথিত হামাসের সদস্য নিহত হয়েছিলেন।
গাজার কর্তৃপক্ষের মতে, অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল প্রতিদিন গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, যা প্রায় ৮০০ বার পৌঁছেছে এবং কমপক্ষে ৩৮৬ জনকে হত্যা করেছে, যা চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। ইসরায়েল এখনো ছিটমহলটিতে বেশির ভাগ সাহায্যবাহী ট্রাকের প্রবেশ বন্ধ করে রেখেছে। শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় একটি প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে, যেখানে ইসরায়েলের প্রতি গাজা উপত্যকায় অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করা, জাতিসংঘের স্থাপনাগুলোতে হামলা বন্ধ করা এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা, অর্থাৎ দখলদার শক্তি হিসেবে এর বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলার দাবি জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গতকাল শনিবারের এই হামলায় ৫ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে।
হামাস কোনো বিবৃতিতে রায়েদ সাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তারা জানিয়েছে, গাজা সিটির বাইরে একটি বেসামরিক গাড়িতে আঘাত হানা হয়েছে এবং এটিকে অক্টোবরে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন বলে ঘোষণা করেছে।
টেলিগ্রামে পোস্ট করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, এই কমান্ডার হামাসের সক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিলেন, যা দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের গাজায় চালানো গণহত্যার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাঁকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ইসরায়েলে হামলার অন্যতম স্থপতি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
যদি সাদ নিহত হন, তবে চলতি বছরের অক্টোবরে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এটি হবে হামাসের একজন সিনিয়র নেতাদের মধ্যে সর্বোচ্চ-পর্যায়ের হত্যাকাণ্ড। এক ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সাদকে এই হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল এবং তাকে হামাসের অস্ত্র উৎপাদনকারী বাহিনীর প্রধান হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
হামাসের সূত্রগুলো তাকে ইজ আল-দিন আল-হাদ্দাদের পরে এই গোষ্ঠীর সশস্ত্র শাখার দ্বিতীয়-কমান্ডার হিসেবেও বর্ণনা করেছে। সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, সাদ হামাসের গাজা সিটি ব্যাটালিয়নের প্রধান ছিলেন, যা গোষ্ঠীটির সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সুসজ্জিত ব্যাটালিয়নগুলোর মধ্যে একটি।
ফিলিস্তিনি ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, একটি ইসরায়েলি ড্রোন গাজা শহরের পশ্চিমে নাবুলসি মোড়ে একটি গাড়িতে আঘাত হানে, যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংস্থাটি নির্দিষ্ট সংখ্যার কথা জানায়নি এবং স্পষ্ট নয় যে এই হামলাটিই সেই হামলা কি না, যেখানে কথিত হামাসের সদস্য নিহত হয়েছিলেন।
গাজার কর্তৃপক্ষের মতে, অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল প্রতিদিন গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, যা প্রায় ৮০০ বার পৌঁছেছে এবং কমপক্ষে ৩৮৬ জনকে হত্যা করেছে, যা চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। ইসরায়েল এখনো ছিটমহলটিতে বেশির ভাগ সাহায্যবাহী ট্রাকের প্রবেশ বন্ধ করে রেখেছে। শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় একটি প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে, যেখানে ইসরায়েলের প্রতি গাজা উপত্যকায় অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করা, জাতিসংঘের স্থাপনাগুলোতে হামলা বন্ধ করা এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা, অর্থাৎ দখলদার শক্তি হিসেবে এর বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলার দাবি জানানো হয়েছে।

মরক্কো বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুটবল স্টেডিয়াম তৈরি করছে। ২০৩০ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ যৌথভাবে আয়োজনের অংশ হিসেবে এটি নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু গত শনিবার থেকে রাস্তায় নামা প্রতিবাদকারীদের জন্য এই ১ লাখ ১৫ হাজার আসনের স্টেডিয়াম এবং নির্মাণাধীন অন্যান্য ফুটবল অবকাঠামো—যার খরচ আনুমানিক ৫ বিলিয়ন ডলার...
০৪ অক্টোবর ২০২৫
ভারতের রাজধানী দিল্লির আকাশ ঘন ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা। শহরটির বাতাসের মান ‘সিভিয়ার বা গুরুতর’ শ্রেণিতেই আটকে আছে বেশ কয়েক দিন ধরে। আজ রোববার সকালের ভারতের কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (সিপিসিবি) জানায়, সকাল ৬টায় দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই ছিল ৪৬২।
২৯ মিনিট আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে