সামরিক অভ্যুত্থান করে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করা নাইজারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর জোট ইকোওয়াস। দ্য ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস-ইকোওয়াসের সদস্য দেশগুলো নাইজেরিয়ার রাজধানী আবুজায় এক বৈঠকে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় গতকাল বৃহস্পতিবার। তবে জোটটি এখনো শান্তিপূর্ণ উপায়ে সংকট সমাধানের বিষয়টি বাতিল করে দেয়নি।
নাইজেরিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান নাইজেরিয়া ও রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির পৃথক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানানো হয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে ইকোওয়াসভুক্ত দেশগুলোর প্রধানেরা দেশগুলোর সেনাবাহিনীকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে করে যেকোনো সময় ইউরেনিয়ামসমৃদ্ধ নাইজারে হস্তক্ষেপ করা যায়।
ইকোওয়াস বৃহস্পতিবার বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে সেনাদের সক্রিয় করার নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, নাইজারে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে তারা এখনো শান্তিপূর্ণ উপায়কেই বেছে নিতে চায়। এর আগে জোটটি নাইজারকে সাত দিনের মধ্যে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বাজুমেকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে আল্টিমেটাম দিয়েছিল। কিন্তু সেই সময় পেরিয়ে গেলেও নাইজারের জান্তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ইকোওয়াস এই সিদ্ধান্ত নিল।
এ বিষয়ে নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা তিনিবু বলেন, ‘(নাইজারে শান্তি ফিরিয়ে আনতে) কোনো উপায়ই এখনো হাতছাড়া হয়ে যায়নি, এমনকি শক্তি প্রয়োগও একটি শেষ পন্থা হতে পারে।’ তবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সংকট সমাধানের আশা করে তিনিবু আরও বলেন, ‘তবে আমি আশা করি, আমাদের যৌথ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে নাইজারে গণতন্ত্র ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজে পাব। সব উপায় এখনো বন্ধ হয়ে যায়নি।’
এদিকে, সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নাইজারের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমেকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্ব। পশ্চিম আফ্রিকায় পশ্চিমা বিশ্বের মিত্র বলে পরিচিত দেশটির ক্ষমতার এই পালাবদলকে আবারও গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে তাগিদ দিতে দেশটি সফরে গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড।
ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বলেন, তিনি নাইজারের রাজধানী নিয়ামেতে সামরিক বাহিনীর নেতা মুসা সালাউ বারমু ও তাঁর তিন কর্নেলের সঙ্গে ‘স্পষ্ট ও কঠিন’ আলোচনা করেছেন। নুল্যান্ড বলেন, তিনি নাইজারের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বাজুমে এবং সামরিক সরকারের স্বঘোষিত প্রধান আবদুর রহমানে চিয়ানির সঙ্গে দেখা করার অনুরোধ করলে তা প্রত্যাখ্যান করা হয়। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে টেলিফোন ব্রিফিংয়ে তিনি সামরিক নেতাদের সঙ্গে তার আলোচনার একটি গুরুতর মূল্যায়নের প্রস্তাব দেন।
নুল্যান্ড বলেন, ‘তাঁরা (অভ্যুত্থানকারীরা) কীভাবে এগিয়ে যেতে চায়, সে বিষয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বেশ দৃঢ়। তবে এটি নাইজারের সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’ এ সময় নুল্যান্ড সংঘাতের পরিবর্তে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের প্রতি তাঁর দেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
মার্কিন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যদি অভ্যুত্থানের নেতারা নাইজারের সাংবিধানিক শাসনব্যবস্থায় ফিরে যেতে ইচ্ছুক হন, তবে যুক্তরাষ্ট্র এতে সহায়তা করতে প্রস্তুত।’ এর আগে সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর নিশ্চিত করেছে যে, তারা অভ্যুত্থানের নেতাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছে এবং বাজুমেকে পুনর্বহাল করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।
সামরিক অভ্যুত্থান করে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করা নাইজারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর জোট ইকোওয়াস। দ্য ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস-ইকোওয়াসের সদস্য দেশগুলো নাইজেরিয়ার রাজধানী আবুজায় এক বৈঠকে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় গতকাল বৃহস্পতিবার। তবে জোটটি এখনো শান্তিপূর্ণ উপায়ে সংকট সমাধানের বিষয়টি বাতিল করে দেয়নি।
নাইজেরিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান নাইজেরিয়া ও রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির পৃথক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানানো হয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে ইকোওয়াসভুক্ত দেশগুলোর প্রধানেরা দেশগুলোর সেনাবাহিনীকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে করে যেকোনো সময় ইউরেনিয়ামসমৃদ্ধ নাইজারে হস্তক্ষেপ করা যায়।
ইকোওয়াস বৃহস্পতিবার বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে সেনাদের সক্রিয় করার নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, নাইজারে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে তারা এখনো শান্তিপূর্ণ উপায়কেই বেছে নিতে চায়। এর আগে জোটটি নাইজারকে সাত দিনের মধ্যে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বাজুমেকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে আল্টিমেটাম দিয়েছিল। কিন্তু সেই সময় পেরিয়ে গেলেও নাইজারের জান্তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ইকোওয়াস এই সিদ্ধান্ত নিল।
এ বিষয়ে নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা তিনিবু বলেন, ‘(নাইজারে শান্তি ফিরিয়ে আনতে) কোনো উপায়ই এখনো হাতছাড়া হয়ে যায়নি, এমনকি শক্তি প্রয়োগও একটি শেষ পন্থা হতে পারে।’ তবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সংকট সমাধানের আশা করে তিনিবু আরও বলেন, ‘তবে আমি আশা করি, আমাদের যৌথ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে নাইজারে গণতন্ত্র ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজে পাব। সব উপায় এখনো বন্ধ হয়ে যায়নি।’
এদিকে, সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নাইজারের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমেকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্ব। পশ্চিম আফ্রিকায় পশ্চিমা বিশ্বের মিত্র বলে পরিচিত দেশটির ক্ষমতার এই পালাবদলকে আবারও গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে তাগিদ দিতে দেশটি সফরে গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড।
ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বলেন, তিনি নাইজারের রাজধানী নিয়ামেতে সামরিক বাহিনীর নেতা মুসা সালাউ বারমু ও তাঁর তিন কর্নেলের সঙ্গে ‘স্পষ্ট ও কঠিন’ আলোচনা করেছেন। নুল্যান্ড বলেন, তিনি নাইজারের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বাজুমে এবং সামরিক সরকারের স্বঘোষিত প্রধান আবদুর রহমানে চিয়ানির সঙ্গে দেখা করার অনুরোধ করলে তা প্রত্যাখ্যান করা হয়। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে টেলিফোন ব্রিফিংয়ে তিনি সামরিক নেতাদের সঙ্গে তার আলোচনার একটি গুরুতর মূল্যায়নের প্রস্তাব দেন।
নুল্যান্ড বলেন, ‘তাঁরা (অভ্যুত্থানকারীরা) কীভাবে এগিয়ে যেতে চায়, সে বিষয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বেশ দৃঢ়। তবে এটি নাইজারের সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’ এ সময় নুল্যান্ড সংঘাতের পরিবর্তে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের প্রতি তাঁর দেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
মার্কিন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যদি অভ্যুত্থানের নেতারা নাইজারের সাংবিধানিক শাসনব্যবস্থায় ফিরে যেতে ইচ্ছুক হন, তবে যুক্তরাষ্ট্র এতে সহায়তা করতে প্রস্তুত।’ এর আগে সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর নিশ্চিত করেছে যে, তারা অভ্যুত্থানের নেতাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছে এবং বাজুমেকে পুনর্বহাল করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।
ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর প্রথম প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। তিনি এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ এবং পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (এনপিটি) গুরুতর লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—এই
৯ মিনিট আগেমার্কিন হামলার পর এবার সবার চোখ ইরানের দিকে। এই হামলার পাল্টা আঘাত হিসেবে কী করতে যাচ্ছে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের এই দেশটি। ইসরায়েলি হামলায় শীর্ষ নেতাদের হারানো এবং নতুন করে দায়িত্ব সমর্পণ করে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া খামেনি এবার মার্কিন আঘাতের পাল্টা জবাব কীভাবে দেবেন, সেটা দেখার অপেক্ষায় সবাই।
১১ মিনিট আগেলোহিত সাগরে মার্কিন রণতরীতে তাৎক্ষণিকভাবে হামলা চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদমাধ্যম প্রেস টিভির এক প্রতিবেদনে হুতি মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারির বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, জায়নবাদী শত্রুর পক্ষে মার্কিন আগ্রাসন উপেক্ষা করার মতো নয়।
৩৪ মিনিট আগেচলমান সংঘাতে প্রাণনাশের আশঙ্কায় সম্ভাব্য তিনজন উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। যে কোনো সময় গুপ্তহত্যার শিকার হতে পারেন, এমন শঙ্কায় বর্তমানে বাঙ্কারে অবস্থান করছেন তিনি। অবস্থান গোপন রাখতে মোবাইল ফোনসহ যেকোনো ডিভাইস ব্যবহার থেকে বিরত থাকছেন।
১ ঘণ্টা আগে