লাইফস্টাইল ডেস্ক
অনেকেরই কোনো কোনো খাবার খাওয়ার পর শরীরে কিছু প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। চুলকানি, ত্বক ফুলে যাওয়া বা লাল হয়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, জিহবা ফুলে যাওয়া, হাঁচি-কাশি, বমি, রক্তচাপ কমে যাওয়া ইত্যাদি হতে পারে। আবার কিছু কিছু খাবারে হজমের সমস্যাও হতে পারে।
এমন সব সমস্যার কারণ হিসেবে সাধারণভাবে ‘ফুড অ্যালার্জি’ দায়ী বলে ধরা হয়। তবে খাবারে প্রতিক্রিয়া হলেই তা ফুড অ্যালার্জি নয়। এ ছাড়া শরীরে কোনো কোনো খাবার গ্রহণের পর সমস্যা হতে পারে। ‘ফুড ইনটলারেন্স’ বা খাদ্যে অসহিষ্ণুতার কারণেও সমস্যা হতে পারে।
‘ফুড অ্যালার্জি’ ও ‘ফুড ইনটলারেন্স’ কী ও কেন হয়, দুটির মধ্যে পার্থক্য কী; কোন কোন উপসর্গ দিয়ে এসব পার্থক্য বোঝা যাবে; কোন কোন উপায়ে খাবারের এসব প্রতিক্রিয়া এড়ানো যাবে—স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়েবএমডি এক প্রতিবেদনে বিস্তারিত তুলে ধরেছে।
‘ফুড অ্যালার্জি’ বনাম ‘ফুড ইনটলারেন্স’
ইমিউন সিস্টেম, অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার কারণে ফুড অ্যালার্জি হয়। এর ফলে কিছু খাবার গ্রহণে চুলকানি, ত্বক ফুলে যাওয়া বা লাল হয়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, জিহবা ফুলে যাওয়া, হাঁচি-কাশি, বমি, রক্তচাপ কমে যাওয়া ইত্যাদির মতো প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
‘ফুড ইনটলারেন্স’ বা খাদ্যে অসহনশীলতার ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা দায়ী নয়। বেশির ভাগ হজমের সমস্যা থেকে এটি হয়। যেমন—দুধ বা দুগ্ধজাতীয় খাবারে অনেকের অ্যালার্জি হয়। দুধে থাকা ল্যাকটোজেন অসহনশীলতার কারণে এ সমস্যা হয়। এ রকম সুনির্দিষ্ট কিছু খাবার খাওয়ার সাথে সাথেই সমস্যা হয়। তবে এটি অ্যালার্জি নয়। খাবারে অনিয়ম, ঘুম ঠিকমতো না হওয়া, পানি কম খাওয়া, অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার গ্রহণ ইত্যাদি কারণে হজমে সমস্যা হতে পারে।
যেভাবে বুঝবেন খাবারে অ্যালার্জি
কোন খাবারে অ্যালার্জি তা বুঝতে চিকিৎসক নিচের তথ্যগুলো জানবেন—
* খাবার খাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই প্রতিক্রিয়া দিলে
* একই খাবারে অন্য কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে
* প্রতিক্রিয়া শুরু হওয়ার আগে খাবারের পরিমাণ এবং একই সময়ে অন্য কিছু খেয়েছেন কি না
* আগে কখনো একই খাবারের প্রতিক্রিয়ায় অ্যান্টিহিস্টামিন খেয়ে সমস্যার উপশম হয়েছে কি না
* যখন সেই খাবারটা খান, সব সময় সমস্যা হয় কি না
এই লক্ষণ ও কারণগুলো থেকে চিকিৎসক বুঝবেন খাবারে অ্যালার্জি নাকি সুনির্দিষ্ট কোনো খাবারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিছু খাবার যেমন ডিম বন্ধ করে দেখা যায় সমস্যাগুলো বন্ধ হয়েছে কি না। কিছুদিন পর ডিম খেয়ে সমস্যা আবার শুরু হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করা যায়।
অনেকের বাদামে অ্যালার্জি হয়। সেক্ষেত্রে সুনিশ্চিতভাবে বোঝা যায়, এই খাবারে অ্যালার্জি আছে। এরকম যেসব খাবারে সমস্যা হয়, সেগুলোর প্রতিটি পরীক্ষা করে দেখা যায়।
খাবারে অ্যালার্জির চিকিৎসা
খাবারে অ্যালার্জির প্রধান প্রতিকার হলো যেসব খাবারে প্রতিক্রিয়া হয়, সেসব এড়িয়ে চলা। একবার খাবার শনাক্ত করে ফেলতে পারলে তা খাওয়া বন্ধ করতে হবে। অনেক সময় রেস্তোরাঁয় মিক্সড খাবার বা বিভিন্ন আইটেমের সালাদ খাওয়া হয়। সেখান থেকে বোঝার উপায় নেই ডিমে অ্যালার্জি, নাকি বাদামে।
তাই আলাদাভাবে খেয়েই সেটি শনাক্ত করতে হবে। অতিরিক্ত অ্যালার্জির প্রবণতা থাকলে যেকোনো সময়ই এটি দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কখনো কখনো খাবারের অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া এত বেশি গুরুতর হয় যে প্রাণঘাতীও হতে পারে। সেক্ষেত্রে কী কারণে এটি ঘটছে, তা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা জরুরি।
অনেকেরই কোনো কোনো খাবার খাওয়ার পর শরীরে কিছু প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। চুলকানি, ত্বক ফুলে যাওয়া বা লাল হয়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, জিহবা ফুলে যাওয়া, হাঁচি-কাশি, বমি, রক্তচাপ কমে যাওয়া ইত্যাদি হতে পারে। আবার কিছু কিছু খাবারে হজমের সমস্যাও হতে পারে।
এমন সব সমস্যার কারণ হিসেবে সাধারণভাবে ‘ফুড অ্যালার্জি’ দায়ী বলে ধরা হয়। তবে খাবারে প্রতিক্রিয়া হলেই তা ফুড অ্যালার্জি নয়। এ ছাড়া শরীরে কোনো কোনো খাবার গ্রহণের পর সমস্যা হতে পারে। ‘ফুড ইনটলারেন্স’ বা খাদ্যে অসহিষ্ণুতার কারণেও সমস্যা হতে পারে।
‘ফুড অ্যালার্জি’ ও ‘ফুড ইনটলারেন্স’ কী ও কেন হয়, দুটির মধ্যে পার্থক্য কী; কোন কোন উপসর্গ দিয়ে এসব পার্থক্য বোঝা যাবে; কোন কোন উপায়ে খাবারের এসব প্রতিক্রিয়া এড়ানো যাবে—স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়েবএমডি এক প্রতিবেদনে বিস্তারিত তুলে ধরেছে।
‘ফুড অ্যালার্জি’ বনাম ‘ফুড ইনটলারেন্স’
ইমিউন সিস্টেম, অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার কারণে ফুড অ্যালার্জি হয়। এর ফলে কিছু খাবার গ্রহণে চুলকানি, ত্বক ফুলে যাওয়া বা লাল হয়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, জিহবা ফুলে যাওয়া, হাঁচি-কাশি, বমি, রক্তচাপ কমে যাওয়া ইত্যাদির মতো প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
‘ফুড ইনটলারেন্স’ বা খাদ্যে অসহনশীলতার ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা দায়ী নয়। বেশির ভাগ হজমের সমস্যা থেকে এটি হয়। যেমন—দুধ বা দুগ্ধজাতীয় খাবারে অনেকের অ্যালার্জি হয়। দুধে থাকা ল্যাকটোজেন অসহনশীলতার কারণে এ সমস্যা হয়। এ রকম সুনির্দিষ্ট কিছু খাবার খাওয়ার সাথে সাথেই সমস্যা হয়। তবে এটি অ্যালার্জি নয়। খাবারে অনিয়ম, ঘুম ঠিকমতো না হওয়া, পানি কম খাওয়া, অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার গ্রহণ ইত্যাদি কারণে হজমে সমস্যা হতে পারে।
যেভাবে বুঝবেন খাবারে অ্যালার্জি
কোন খাবারে অ্যালার্জি তা বুঝতে চিকিৎসক নিচের তথ্যগুলো জানবেন—
* খাবার খাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই প্রতিক্রিয়া দিলে
* একই খাবারে অন্য কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে
* প্রতিক্রিয়া শুরু হওয়ার আগে খাবারের পরিমাণ এবং একই সময়ে অন্য কিছু খেয়েছেন কি না
* আগে কখনো একই খাবারের প্রতিক্রিয়ায় অ্যান্টিহিস্টামিন খেয়ে সমস্যার উপশম হয়েছে কি না
* যখন সেই খাবারটা খান, সব সময় সমস্যা হয় কি না
এই লক্ষণ ও কারণগুলো থেকে চিকিৎসক বুঝবেন খাবারে অ্যালার্জি নাকি সুনির্দিষ্ট কোনো খাবারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিছু খাবার যেমন ডিম বন্ধ করে দেখা যায় সমস্যাগুলো বন্ধ হয়েছে কি না। কিছুদিন পর ডিম খেয়ে সমস্যা আবার শুরু হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করা যায়।
অনেকের বাদামে অ্যালার্জি হয়। সেক্ষেত্রে সুনিশ্চিতভাবে বোঝা যায়, এই খাবারে অ্যালার্জি আছে। এরকম যেসব খাবারে সমস্যা হয়, সেগুলোর প্রতিটি পরীক্ষা করে দেখা যায়।
খাবারে অ্যালার্জির চিকিৎসা
খাবারে অ্যালার্জির প্রধান প্রতিকার হলো যেসব খাবারে প্রতিক্রিয়া হয়, সেসব এড়িয়ে চলা। একবার খাবার শনাক্ত করে ফেলতে পারলে তা খাওয়া বন্ধ করতে হবে। অনেক সময় রেস্তোরাঁয় মিক্সড খাবার বা বিভিন্ন আইটেমের সালাদ খাওয়া হয়। সেখান থেকে বোঝার উপায় নেই ডিমে অ্যালার্জি, নাকি বাদামে।
তাই আলাদাভাবে খেয়েই সেটি শনাক্ত করতে হবে। অতিরিক্ত অ্যালার্জির প্রবণতা থাকলে যেকোনো সময়ই এটি দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কখনো কখনো খাবারের অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া এত বেশি গুরুতর হয় যে প্রাণঘাতীও হতে পারে। সেক্ষেত্রে কী কারণে এটি ঘটছে, তা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা জরুরি।
আশার কথা হলো, পরিবর্তন আসছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক যুগান্তকারী পরীক্ষায় দেখা গেছে, তীব্রভাবে চিনাবাদামের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত দুই-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ককে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে চিনাবাদাম খাইয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় আনা সম্ভব হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেঅতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার বা ‘আল্ট্রা প্রসেসড ফুড’ (ইউপিএফ) বেশি খাওয়ার কারণে শুধু স্থূলতা, হতাশা, ডায়াবেটিস কিংবা হৃদরোগই নয়, বাড়ছে অকালমৃত্যুর ঝুঁকিও। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এই ধরনের খাবার খাওয়ার কারণে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু ঘটছে।
৯ ঘণ্টা আগেদেশের প্রায় পাঁচ লাখ শিশু সময়মতো টিকার সব ডোজ পাচ্ছে না। তাদের মধ্যে ৭০ হাজার শিশু কোনো টিকাই পায় না। টিকা না পাওয়ার হার শহরাঞ্চলে বেশি। টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলেও এসব তথ্য উঠে এসেছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)...
২১ ঘণ্টা আগেভিটামিন ‘ডি’-এর অভাবে অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে; বিশেষ করে হৃদ্রোগ, কিডনি রোগ, বিষণ্নতাজনিত রোগ, রক্তে চর্বি বেড়ে যাওয়া, হাড় ক্ষয়, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসতন্ত্রের রোগ, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, কম ওজনে জন্ম নেওয়া, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে। গতকাল সোমবার রাজধানীতে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব
১ দিন আগে