
সারা বিশ্বে মানুষ পানির পরেই সবচেয়ে যে পানীয় বেশি পান করে, তা হলো চা। এর যথেষ্ট কারণও আছে। প্রশান্তিদায়ক প্রভাব, দারুণ স্বাদ এবং স্বাস্থ্যকর গুণের জন্য এই পুষ্টিকর পানীয়র প্রশংসা করা হয়। গবেষকেরা বলছেন, নিয়মিত চা পানের ফলে মানুষের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, যা দীর্ঘ মেয়াদে মানুষের আয়ু বৃদ্ধির সহায়ক।
এ বিষয়ে ডায়েটিশিয়ান এবং ইলিনয়সের একাডেমি অব নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটেটিকসের মুখপাত্র হুইটনি লিনসেনমায়ার বলেন, ‘চা ক্যালোরিহীন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর।’ এই গুণগুলো স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, কোলেস্টেরল লেভেল উন্নত করতে এবং ইমিউন ফাংশন তথা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ২০২২ সালের এক গবেষণা অনুসারে, নিয়মিত চা পানকারীদের মৃত্যুঝুঁকি ১০ বছরে ৯-১৩ শতাংশ কমে যায়।
চায়ে থাকা ক্যাফেইন এবং এল-থিয়ানিন একসঙ্গে মস্তিষ্ককে সতেজ করে, কিন্তু এতে কফির মতো অস্থিরতার অনুভূতি সৃষ্টি হয় না বলে জানান নিবন্ধিত ডায়েটিশিয়ান জেনি নরটন। কফির তুলনায় চা থেকে পাওয়া ক্যাফেইন রক্তে ধীরে ধীরে শোষিত হয়, ফলে এটি দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি প্রদান করে।
এদিকে, চায়ে বিপুল পরিমাণে প্রোটিনহীন অ্যামিনো অ্যাসিড এল-থিয়ানিন থাকে। বিষয়টি মানুষের স্নায়বিক শিথিলতা সৃষ্টি করে এবং মানসিক ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এল-থিয়ানিন মনোযোগ বৃদ্ধি, স্মৃতিশক্তি উন্নত করা, স্ট্রেস কমাতে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করে। এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি গবেষক কুয়ান ভুয়ং বলেন, ‘এটি আপনাকে একটু উমামি স্বাদও (টক-ঝাল-মিষ্টির বাইরে আলাদা একধরনের স্বাদের নাম) দেয়, যা পরিশেষে খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দেয়।’
ম্যাচা চা (একধরনের সবুজ চা) এল-থিয়ানিনে ভরপুর। এ ছাড়া বিভিন্ন ঘরোয়া মসলার মিশ্রণে তৈরি হারবাল চা ক্যাফেইনমুক্ত এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ পান করা যেতে পারে। এমন একটি চায়ের উদাহরণ হতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকার রুইবোস। এই হারবাল চা অ্যাসপালাথিন নামে একটি ফ্ল্যাভোনয়েডে ভরপুর, যা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে। এল-থিয়ানিন ছাড়াও চা সামান্য পরিমাণে গামা-অ্যামিনোবিউটিরিক অ্যাসিড নামক নিউরোট্রান্সমিটার ধারণ করে; যা স্নায়ুকে শিথিল করে এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।
এ ছাড়া চায়ের তাপমাত্রা এবং সুগন্ধি আরও এক ধরনের মানসিক স্থিরতা ও শিথিলতার সৃষ্টি করে। গবেষণায় দেখা গেছে, চা পান করার সময় যে সেন্সরি অভিজ্ঞতা তৈরি হয়, তা কর্টিসল হরমোনের মাত্রা কমাতে, উদ্বেগ কমাতে এবং মানসিক সতেজতা বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।
২০১৮ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ব্ল্যাক টির সুগন্ধি শ্বাস নেওয়ার ফলে অংশগ্রহণকারীদের মানসিক চাপের মাত্রা কমে গিয়েছিল। ফুলের চা, যেমন ক্যামোমাইল বিশেষভাবে এই শিথিলতার জন্য বেশি কার্যকর। পিপারমেন্ট চায়ের সতেজ গন্ধ মানসিক সতেজতা বাড়ানোর অন্যতম উপায়।
চা শরীরকে সতেজ (হাইড্রেটেড) রাখার অন্যতম সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা দেয় বলে জানান অস্ট্রেলিয়ার নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি গবেষক এমা বেকেট। তাঁর মতে, শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার ফলে হৃৎপিণ্ড ও পেশি আরও কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে, শরীরে বিভিন্ন অঙ্গের সংযোগস্থলগুলোতে পিচ্ছিল পদার্থ বা লুব্রিকেশন করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে, হজমে সাহায্য করে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্রম বাড়ায়।
যদিও চা একটি ডাইইউরেটিক (প্রস্রাব বাড়ানো) উপাদান, তবে ক্যাফেইনের কারণে এর প্রভাব খুবই সামান্য। ফলে এটি মোটেও নেতিবাচক হয় না। এই বিষয়ে বেকেট বলেন, ‘হাইড্রেশন মানে যে কেবল শরীরে তরল পদার্থ বা পানি থাকা, বিষয়টি সে রকম নয়। হাইড্রেশন হলো শরীরের মধ্যে পানির চলাচল এবং এর মাধ্যমে শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে দেওয়া হয় এবং লবণের ভারসাম্য বজায় রাখা হয়।’
চা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি সমৃদ্ধ উৎস; বিশেষ করে, এতে ফ্ল্যাভোনয়েডস উপাদান যেমন ক্যাটেচিন উপস্থিত থাকে। এই উপাদানগুলো মানুষের শরীরের কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করে, প্রদাহ কমায় এবং দীর্ঘমেয়াদি রোগ; যেমন হৃদ্রোগ ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। সবুজ চায়ে ক্যাটেচিনের উচ্চ মাত্রা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিষয়টি প্রদাহ ও ক্যানসার প্রতিরোধে শক্তিশালী উপকারী অবদান রাখে।
গ্রিন টি বা সবুজ চা উচ্চ ক্যাটেচিন স্তরের কারণে বিশেষভাবে প্রশংসিত। এই ক্যাটেচিন প্রদাহ কমানো ও ক্যানসারের বিরুদ্ধে কার্যকর। সবুজ চায়ের প্রধান চারটি ক্যাটেচিন হলো—এপিক্যাটেচিন, এপিগ্যালোকাটেচিন, এপিক্যাটেচিন গ্যালেট এবং এপিগ্যালোকাটেচিন গ্যালেট (ইজিজিসি)। এই চারটি উপাদানই একসঙ্গে এই উপকারিতা দেয়। বিশেষ করে, ইজিজিসি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ, পেটের চর্বি কমানো এবং ব্যায়ামের সময় চর্বি গলানোর প্রক্রিয়া বাড়ানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করে বলে জানা গেছে।
যদিও সবুজ চায়ে ক্যাটেচিনের মাত্রা সর্বোচ্চ হলে ব্ল্যাক টি বা কালো চাও কম নয়। ব্ল্যাক টিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের গুণাবলি অক্ষুণ্ন থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, চায়ের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গাট মাইক্রোবায়োম তথা পাকস্থলীর অণুজীবের স্বাস্থ্যের সহায়তা করতে ভূমিকা রাখতে পারে, যা হজম থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা পর্যন্ত নানা বিষয়ের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
একাডেমি অব নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটেটিকসের আরেক মুখপাত্র জুলি স্টেফানস্কি বলেন, ‘মানুষ চায়ের ভিন্ন ভিন্ন যৌগ আলাদাভাবে কৃত্রিম উপায়ে আহরণ করার বা পুনর্নির্মাণের চেষ্টা করেছে। তবে চায়ের নির্দিষ্ট যৌগ আলাদা গ্রহণ করার চেয়ে পুরো চা পান করা আরও উপকারী। কারণ, চায়ের ভিন্ন ভিন্ন যৌগ একে অপরের সঙ্গে জটিলভাবে কাজ করে। এগুলো একসঙ্গে কাজ করে।’
তথ্যসূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

সারা বিশ্বে মানুষ পানির পরেই সবচেয়ে যে পানীয় বেশি পান করে, তা হলো চা। এর যথেষ্ট কারণও আছে। প্রশান্তিদায়ক প্রভাব, দারুণ স্বাদ এবং স্বাস্থ্যকর গুণের জন্য এই পুষ্টিকর পানীয়র প্রশংসা করা হয়। গবেষকেরা বলছেন, নিয়মিত চা পানের ফলে মানুষের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, যা দীর্ঘ মেয়াদে মানুষের আয়ু বৃদ্ধির সহায়ক।
এ বিষয়ে ডায়েটিশিয়ান এবং ইলিনয়সের একাডেমি অব নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটেটিকসের মুখপাত্র হুইটনি লিনসেনমায়ার বলেন, ‘চা ক্যালোরিহীন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর।’ এই গুণগুলো স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, কোলেস্টেরল লেভেল উন্নত করতে এবং ইমিউন ফাংশন তথা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ২০২২ সালের এক গবেষণা অনুসারে, নিয়মিত চা পানকারীদের মৃত্যুঝুঁকি ১০ বছরে ৯-১৩ শতাংশ কমে যায়।
চায়ে থাকা ক্যাফেইন এবং এল-থিয়ানিন একসঙ্গে মস্তিষ্ককে সতেজ করে, কিন্তু এতে কফির মতো অস্থিরতার অনুভূতি সৃষ্টি হয় না বলে জানান নিবন্ধিত ডায়েটিশিয়ান জেনি নরটন। কফির তুলনায় চা থেকে পাওয়া ক্যাফেইন রক্তে ধীরে ধীরে শোষিত হয়, ফলে এটি দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি প্রদান করে।
এদিকে, চায়ে বিপুল পরিমাণে প্রোটিনহীন অ্যামিনো অ্যাসিড এল-থিয়ানিন থাকে। বিষয়টি মানুষের স্নায়বিক শিথিলতা সৃষ্টি করে এবং মানসিক ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এল-থিয়ানিন মনোযোগ বৃদ্ধি, স্মৃতিশক্তি উন্নত করা, স্ট্রেস কমাতে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করে। এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি গবেষক কুয়ান ভুয়ং বলেন, ‘এটি আপনাকে একটু উমামি স্বাদও (টক-ঝাল-মিষ্টির বাইরে আলাদা একধরনের স্বাদের নাম) দেয়, যা পরিশেষে খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দেয়।’
ম্যাচা চা (একধরনের সবুজ চা) এল-থিয়ানিনে ভরপুর। এ ছাড়া বিভিন্ন ঘরোয়া মসলার মিশ্রণে তৈরি হারবাল চা ক্যাফেইনমুক্ত এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ পান করা যেতে পারে। এমন একটি চায়ের উদাহরণ হতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকার রুইবোস। এই হারবাল চা অ্যাসপালাথিন নামে একটি ফ্ল্যাভোনয়েডে ভরপুর, যা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে। এল-থিয়ানিন ছাড়াও চা সামান্য পরিমাণে গামা-অ্যামিনোবিউটিরিক অ্যাসিড নামক নিউরোট্রান্সমিটার ধারণ করে; যা স্নায়ুকে শিথিল করে এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।
এ ছাড়া চায়ের তাপমাত্রা এবং সুগন্ধি আরও এক ধরনের মানসিক স্থিরতা ও শিথিলতার সৃষ্টি করে। গবেষণায় দেখা গেছে, চা পান করার সময় যে সেন্সরি অভিজ্ঞতা তৈরি হয়, তা কর্টিসল হরমোনের মাত্রা কমাতে, উদ্বেগ কমাতে এবং মানসিক সতেজতা বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।
২০১৮ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ব্ল্যাক টির সুগন্ধি শ্বাস নেওয়ার ফলে অংশগ্রহণকারীদের মানসিক চাপের মাত্রা কমে গিয়েছিল। ফুলের চা, যেমন ক্যামোমাইল বিশেষভাবে এই শিথিলতার জন্য বেশি কার্যকর। পিপারমেন্ট চায়ের সতেজ গন্ধ মানসিক সতেজতা বাড়ানোর অন্যতম উপায়।
চা শরীরকে সতেজ (হাইড্রেটেড) রাখার অন্যতম সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা দেয় বলে জানান অস্ট্রেলিয়ার নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি গবেষক এমা বেকেট। তাঁর মতে, শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার ফলে হৃৎপিণ্ড ও পেশি আরও কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে, শরীরে বিভিন্ন অঙ্গের সংযোগস্থলগুলোতে পিচ্ছিল পদার্থ বা লুব্রিকেশন করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে, হজমে সাহায্য করে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্রম বাড়ায়।
যদিও চা একটি ডাইইউরেটিক (প্রস্রাব বাড়ানো) উপাদান, তবে ক্যাফেইনের কারণে এর প্রভাব খুবই সামান্য। ফলে এটি মোটেও নেতিবাচক হয় না। এই বিষয়ে বেকেট বলেন, ‘হাইড্রেশন মানে যে কেবল শরীরে তরল পদার্থ বা পানি থাকা, বিষয়টি সে রকম নয়। হাইড্রেশন হলো শরীরের মধ্যে পানির চলাচল এবং এর মাধ্যমে শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে দেওয়া হয় এবং লবণের ভারসাম্য বজায় রাখা হয়।’
চা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি সমৃদ্ধ উৎস; বিশেষ করে, এতে ফ্ল্যাভোনয়েডস উপাদান যেমন ক্যাটেচিন উপস্থিত থাকে। এই উপাদানগুলো মানুষের শরীরের কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করে, প্রদাহ কমায় এবং দীর্ঘমেয়াদি রোগ; যেমন হৃদ্রোগ ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। সবুজ চায়ে ক্যাটেচিনের উচ্চ মাত্রা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিষয়টি প্রদাহ ও ক্যানসার প্রতিরোধে শক্তিশালী উপকারী অবদান রাখে।
গ্রিন টি বা সবুজ চা উচ্চ ক্যাটেচিন স্তরের কারণে বিশেষভাবে প্রশংসিত। এই ক্যাটেচিন প্রদাহ কমানো ও ক্যানসারের বিরুদ্ধে কার্যকর। সবুজ চায়ের প্রধান চারটি ক্যাটেচিন হলো—এপিক্যাটেচিন, এপিগ্যালোকাটেচিন, এপিক্যাটেচিন গ্যালেট এবং এপিগ্যালোকাটেচিন গ্যালেট (ইজিজিসি)। এই চারটি উপাদানই একসঙ্গে এই উপকারিতা দেয়। বিশেষ করে, ইজিজিসি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ, পেটের চর্বি কমানো এবং ব্যায়ামের সময় চর্বি গলানোর প্রক্রিয়া বাড়ানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করে বলে জানা গেছে।
যদিও সবুজ চায়ে ক্যাটেচিনের মাত্রা সর্বোচ্চ হলে ব্ল্যাক টি বা কালো চাও কম নয়। ব্ল্যাক টিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের গুণাবলি অক্ষুণ্ন থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, চায়ের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গাট মাইক্রোবায়োম তথা পাকস্থলীর অণুজীবের স্বাস্থ্যের সহায়তা করতে ভূমিকা রাখতে পারে, যা হজম থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা পর্যন্ত নানা বিষয়ের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
একাডেমি অব নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটেটিকসের আরেক মুখপাত্র জুলি স্টেফানস্কি বলেন, ‘মানুষ চায়ের ভিন্ন ভিন্ন যৌগ আলাদাভাবে কৃত্রিম উপায়ে আহরণ করার বা পুনর্নির্মাণের চেষ্টা করেছে। তবে চায়ের নির্দিষ্ট যৌগ আলাদা গ্রহণ করার চেয়ে পুরো চা পান করা আরও উপকারী। কারণ, চায়ের ভিন্ন ভিন্ন যৌগ একে অপরের সঙ্গে জটিলভাবে কাজ করে। এগুলো একসঙ্গে কাজ করে।’
তথ্যসূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

সারা বিশ্বে মানুষ পানির পরেই সবচেয়ে যে পানীয় বেশি পান করে, তা হলো চা। এর যথেষ্ট কারণও আছে। প্রশান্তিদায়ক প্রভাব, দারুণ স্বাদ এবং স্বাস্থ্যকর গুণের জন্য এই পুষ্টিকর পানীয়র প্রশংসা করা হয়। গবেষকেরা বলছেন, নিয়মিত চা পানের ফলে মানুষের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, যা দীর্ঘ মেয়াদে মানুষের আয়ু বৃদ্ধির সহায়ক।
এ বিষয়ে ডায়েটিশিয়ান এবং ইলিনয়সের একাডেমি অব নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটেটিকসের মুখপাত্র হুইটনি লিনসেনমায়ার বলেন, ‘চা ক্যালোরিহীন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর।’ এই গুণগুলো স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, কোলেস্টেরল লেভেল উন্নত করতে এবং ইমিউন ফাংশন তথা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ২০২২ সালের এক গবেষণা অনুসারে, নিয়মিত চা পানকারীদের মৃত্যুঝুঁকি ১০ বছরে ৯-১৩ শতাংশ কমে যায়।
চায়ে থাকা ক্যাফেইন এবং এল-থিয়ানিন একসঙ্গে মস্তিষ্ককে সতেজ করে, কিন্তু এতে কফির মতো অস্থিরতার অনুভূতি সৃষ্টি হয় না বলে জানান নিবন্ধিত ডায়েটিশিয়ান জেনি নরটন। কফির তুলনায় চা থেকে পাওয়া ক্যাফেইন রক্তে ধীরে ধীরে শোষিত হয়, ফলে এটি দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি প্রদান করে।
এদিকে, চায়ে বিপুল পরিমাণে প্রোটিনহীন অ্যামিনো অ্যাসিড এল-থিয়ানিন থাকে। বিষয়টি মানুষের স্নায়বিক শিথিলতা সৃষ্টি করে এবং মানসিক ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এল-থিয়ানিন মনোযোগ বৃদ্ধি, স্মৃতিশক্তি উন্নত করা, স্ট্রেস কমাতে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করে। এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি গবেষক কুয়ান ভুয়ং বলেন, ‘এটি আপনাকে একটু উমামি স্বাদও (টক-ঝাল-মিষ্টির বাইরে আলাদা একধরনের স্বাদের নাম) দেয়, যা পরিশেষে খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দেয়।’
ম্যাচা চা (একধরনের সবুজ চা) এল-থিয়ানিনে ভরপুর। এ ছাড়া বিভিন্ন ঘরোয়া মসলার মিশ্রণে তৈরি হারবাল চা ক্যাফেইনমুক্ত এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ পান করা যেতে পারে। এমন একটি চায়ের উদাহরণ হতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকার রুইবোস। এই হারবাল চা অ্যাসপালাথিন নামে একটি ফ্ল্যাভোনয়েডে ভরপুর, যা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে। এল-থিয়ানিন ছাড়াও চা সামান্য পরিমাণে গামা-অ্যামিনোবিউটিরিক অ্যাসিড নামক নিউরোট্রান্সমিটার ধারণ করে; যা স্নায়ুকে শিথিল করে এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।
এ ছাড়া চায়ের তাপমাত্রা এবং সুগন্ধি আরও এক ধরনের মানসিক স্থিরতা ও শিথিলতার সৃষ্টি করে। গবেষণায় দেখা গেছে, চা পান করার সময় যে সেন্সরি অভিজ্ঞতা তৈরি হয়, তা কর্টিসল হরমোনের মাত্রা কমাতে, উদ্বেগ কমাতে এবং মানসিক সতেজতা বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।
২০১৮ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ব্ল্যাক টির সুগন্ধি শ্বাস নেওয়ার ফলে অংশগ্রহণকারীদের মানসিক চাপের মাত্রা কমে গিয়েছিল। ফুলের চা, যেমন ক্যামোমাইল বিশেষভাবে এই শিথিলতার জন্য বেশি কার্যকর। পিপারমেন্ট চায়ের সতেজ গন্ধ মানসিক সতেজতা বাড়ানোর অন্যতম উপায়।
চা শরীরকে সতেজ (হাইড্রেটেড) রাখার অন্যতম সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা দেয় বলে জানান অস্ট্রেলিয়ার নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি গবেষক এমা বেকেট। তাঁর মতে, শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার ফলে হৃৎপিণ্ড ও পেশি আরও কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে, শরীরে বিভিন্ন অঙ্গের সংযোগস্থলগুলোতে পিচ্ছিল পদার্থ বা লুব্রিকেশন করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে, হজমে সাহায্য করে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্রম বাড়ায়।
যদিও চা একটি ডাইইউরেটিক (প্রস্রাব বাড়ানো) উপাদান, তবে ক্যাফেইনের কারণে এর প্রভাব খুবই সামান্য। ফলে এটি মোটেও নেতিবাচক হয় না। এই বিষয়ে বেকেট বলেন, ‘হাইড্রেশন মানে যে কেবল শরীরে তরল পদার্থ বা পানি থাকা, বিষয়টি সে রকম নয়। হাইড্রেশন হলো শরীরের মধ্যে পানির চলাচল এবং এর মাধ্যমে শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে দেওয়া হয় এবং লবণের ভারসাম্য বজায় রাখা হয়।’
চা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি সমৃদ্ধ উৎস; বিশেষ করে, এতে ফ্ল্যাভোনয়েডস উপাদান যেমন ক্যাটেচিন উপস্থিত থাকে। এই উপাদানগুলো মানুষের শরীরের কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করে, প্রদাহ কমায় এবং দীর্ঘমেয়াদি রোগ; যেমন হৃদ্রোগ ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। সবুজ চায়ে ক্যাটেচিনের উচ্চ মাত্রা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিষয়টি প্রদাহ ও ক্যানসার প্রতিরোধে শক্তিশালী উপকারী অবদান রাখে।
গ্রিন টি বা সবুজ চা উচ্চ ক্যাটেচিন স্তরের কারণে বিশেষভাবে প্রশংসিত। এই ক্যাটেচিন প্রদাহ কমানো ও ক্যানসারের বিরুদ্ধে কার্যকর। সবুজ চায়ের প্রধান চারটি ক্যাটেচিন হলো—এপিক্যাটেচিন, এপিগ্যালোকাটেচিন, এপিক্যাটেচিন গ্যালেট এবং এপিগ্যালোকাটেচিন গ্যালেট (ইজিজিসি)। এই চারটি উপাদানই একসঙ্গে এই উপকারিতা দেয়। বিশেষ করে, ইজিজিসি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ, পেটের চর্বি কমানো এবং ব্যায়ামের সময় চর্বি গলানোর প্রক্রিয়া বাড়ানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করে বলে জানা গেছে।
যদিও সবুজ চায়ে ক্যাটেচিনের মাত্রা সর্বোচ্চ হলে ব্ল্যাক টি বা কালো চাও কম নয়। ব্ল্যাক টিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের গুণাবলি অক্ষুণ্ন থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, চায়ের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গাট মাইক্রোবায়োম তথা পাকস্থলীর অণুজীবের স্বাস্থ্যের সহায়তা করতে ভূমিকা রাখতে পারে, যা হজম থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা পর্যন্ত নানা বিষয়ের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
একাডেমি অব নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটেটিকসের আরেক মুখপাত্র জুলি স্টেফানস্কি বলেন, ‘মানুষ চায়ের ভিন্ন ভিন্ন যৌগ আলাদাভাবে কৃত্রিম উপায়ে আহরণ করার বা পুনর্নির্মাণের চেষ্টা করেছে। তবে চায়ের নির্দিষ্ট যৌগ আলাদা গ্রহণ করার চেয়ে পুরো চা পান করা আরও উপকারী। কারণ, চায়ের ভিন্ন ভিন্ন যৌগ একে অপরের সঙ্গে জটিলভাবে কাজ করে। এগুলো একসঙ্গে কাজ করে।’
তথ্যসূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

সারা বিশ্বে মানুষ পানির পরেই সবচেয়ে যে পানীয় বেশি পান করে, তা হলো চা। এর যথেষ্ট কারণও আছে। প্রশান্তিদায়ক প্রভাব, দারুণ স্বাদ এবং স্বাস্থ্যকর গুণের জন্য এই পুষ্টিকর পানীয়র প্রশংসা করা হয়। গবেষকেরা বলছেন, নিয়মিত চা পানের ফলে মানুষের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, যা দীর্ঘ মেয়াদে মানুষের আয়ু বৃদ্ধির সহায়ক।
এ বিষয়ে ডায়েটিশিয়ান এবং ইলিনয়সের একাডেমি অব নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটেটিকসের মুখপাত্র হুইটনি লিনসেনমায়ার বলেন, ‘চা ক্যালোরিহীন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর।’ এই গুণগুলো স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, কোলেস্টেরল লেভেল উন্নত করতে এবং ইমিউন ফাংশন তথা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ২০২২ সালের এক গবেষণা অনুসারে, নিয়মিত চা পানকারীদের মৃত্যুঝুঁকি ১০ বছরে ৯-১৩ শতাংশ কমে যায়।
চায়ে থাকা ক্যাফেইন এবং এল-থিয়ানিন একসঙ্গে মস্তিষ্ককে সতেজ করে, কিন্তু এতে কফির মতো অস্থিরতার অনুভূতি সৃষ্টি হয় না বলে জানান নিবন্ধিত ডায়েটিশিয়ান জেনি নরটন। কফির তুলনায় চা থেকে পাওয়া ক্যাফেইন রক্তে ধীরে ধীরে শোষিত হয়, ফলে এটি দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি প্রদান করে।
এদিকে, চায়ে বিপুল পরিমাণে প্রোটিনহীন অ্যামিনো অ্যাসিড এল-থিয়ানিন থাকে। বিষয়টি মানুষের স্নায়বিক শিথিলতা সৃষ্টি করে এবং মানসিক ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এল-থিয়ানিন মনোযোগ বৃদ্ধি, স্মৃতিশক্তি উন্নত করা, স্ট্রেস কমাতে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করে। এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি গবেষক কুয়ান ভুয়ং বলেন, ‘এটি আপনাকে একটু উমামি স্বাদও (টক-ঝাল-মিষ্টির বাইরে আলাদা একধরনের স্বাদের নাম) দেয়, যা পরিশেষে খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দেয়।’
ম্যাচা চা (একধরনের সবুজ চা) এল-থিয়ানিনে ভরপুর। এ ছাড়া বিভিন্ন ঘরোয়া মসলার মিশ্রণে তৈরি হারবাল চা ক্যাফেইনমুক্ত এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ পান করা যেতে পারে। এমন একটি চায়ের উদাহরণ হতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকার রুইবোস। এই হারবাল চা অ্যাসপালাথিন নামে একটি ফ্ল্যাভোনয়েডে ভরপুর, যা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে। এল-থিয়ানিন ছাড়াও চা সামান্য পরিমাণে গামা-অ্যামিনোবিউটিরিক অ্যাসিড নামক নিউরোট্রান্সমিটার ধারণ করে; যা স্নায়ুকে শিথিল করে এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।
এ ছাড়া চায়ের তাপমাত্রা এবং সুগন্ধি আরও এক ধরনের মানসিক স্থিরতা ও শিথিলতার সৃষ্টি করে। গবেষণায় দেখা গেছে, চা পান করার সময় যে সেন্সরি অভিজ্ঞতা তৈরি হয়, তা কর্টিসল হরমোনের মাত্রা কমাতে, উদ্বেগ কমাতে এবং মানসিক সতেজতা বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।
২০১৮ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ব্ল্যাক টির সুগন্ধি শ্বাস নেওয়ার ফলে অংশগ্রহণকারীদের মানসিক চাপের মাত্রা কমে গিয়েছিল। ফুলের চা, যেমন ক্যামোমাইল বিশেষভাবে এই শিথিলতার জন্য বেশি কার্যকর। পিপারমেন্ট চায়ের সতেজ গন্ধ মানসিক সতেজতা বাড়ানোর অন্যতম উপায়।
চা শরীরকে সতেজ (হাইড্রেটেড) রাখার অন্যতম সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা দেয় বলে জানান অস্ট্রেলিয়ার নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি গবেষক এমা বেকেট। তাঁর মতে, শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার ফলে হৃৎপিণ্ড ও পেশি আরও কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে, শরীরে বিভিন্ন অঙ্গের সংযোগস্থলগুলোতে পিচ্ছিল পদার্থ বা লুব্রিকেশন করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে, হজমে সাহায্য করে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্রম বাড়ায়।
যদিও চা একটি ডাইইউরেটিক (প্রস্রাব বাড়ানো) উপাদান, তবে ক্যাফেইনের কারণে এর প্রভাব খুবই সামান্য। ফলে এটি মোটেও নেতিবাচক হয় না। এই বিষয়ে বেকেট বলেন, ‘হাইড্রেশন মানে যে কেবল শরীরে তরল পদার্থ বা পানি থাকা, বিষয়টি সে রকম নয়। হাইড্রেশন হলো শরীরের মধ্যে পানির চলাচল এবং এর মাধ্যমে শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে দেওয়া হয় এবং লবণের ভারসাম্য বজায় রাখা হয়।’
চা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি সমৃদ্ধ উৎস; বিশেষ করে, এতে ফ্ল্যাভোনয়েডস উপাদান যেমন ক্যাটেচিন উপস্থিত থাকে। এই উপাদানগুলো মানুষের শরীরের কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করে, প্রদাহ কমায় এবং দীর্ঘমেয়াদি রোগ; যেমন হৃদ্রোগ ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। সবুজ চায়ে ক্যাটেচিনের উচ্চ মাত্রা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিষয়টি প্রদাহ ও ক্যানসার প্রতিরোধে শক্তিশালী উপকারী অবদান রাখে।
গ্রিন টি বা সবুজ চা উচ্চ ক্যাটেচিন স্তরের কারণে বিশেষভাবে প্রশংসিত। এই ক্যাটেচিন প্রদাহ কমানো ও ক্যানসারের বিরুদ্ধে কার্যকর। সবুজ চায়ের প্রধান চারটি ক্যাটেচিন হলো—এপিক্যাটেচিন, এপিগ্যালোকাটেচিন, এপিক্যাটেচিন গ্যালেট এবং এপিগ্যালোকাটেচিন গ্যালেট (ইজিজিসি)। এই চারটি উপাদানই একসঙ্গে এই উপকারিতা দেয়। বিশেষ করে, ইজিজিসি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ, পেটের চর্বি কমানো এবং ব্যায়ামের সময় চর্বি গলানোর প্রক্রিয়া বাড়ানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করে বলে জানা গেছে।
যদিও সবুজ চায়ে ক্যাটেচিনের মাত্রা সর্বোচ্চ হলে ব্ল্যাক টি বা কালো চাও কম নয়। ব্ল্যাক টিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের গুণাবলি অক্ষুণ্ন থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, চায়ের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গাট মাইক্রোবায়োম তথা পাকস্থলীর অণুজীবের স্বাস্থ্যের সহায়তা করতে ভূমিকা রাখতে পারে, যা হজম থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা পর্যন্ত নানা বিষয়ের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
একাডেমি অব নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটেটিকসের আরেক মুখপাত্র জুলি স্টেফানস্কি বলেন, ‘মানুষ চায়ের ভিন্ন ভিন্ন যৌগ আলাদাভাবে কৃত্রিম উপায়ে আহরণ করার বা পুনর্নির্মাণের চেষ্টা করেছে। তবে চায়ের নির্দিষ্ট যৌগ আলাদা গ্রহণ করার চেয়ে পুরো চা পান করা আরও উপকারী। কারণ, চায়ের ভিন্ন ভিন্ন যৌগ একে অপরের সঙ্গে জটিলভাবে কাজ করে। এগুলো একসঙ্গে কাজ করে।’
তথ্যসূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
৩ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
২ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
২ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ফলাফল স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর প্রকাশ করে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভর্তি পরীক্ষায় পাস করা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮১ হাজার ৬৪২ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ১২৮ জন এবং নারী পরীক্ষার্থী ৫০ হাজার ৫১৪ জন। ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ হতে নম্বর যোগ করে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী ৫ হাজার ৬৪৫ জন প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, সরকারি ৩৭টি মেডিকেল কলেজ, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ, আটটি মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটসমূহের ৫ হাজার ৬৪৫টি আসনের জন্য নির্বাচিত নারী পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ৬০৩ জন ও পুরুষ পরীক্ষার্থী ২ হাজার ৪২ জন।
গত শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দেশের ১৭টি কেন্দ্র ও ৪৯টি ভেন্যুতে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৫ হাজার ৬৪৫টি; যার মধ্যে এমবিবিএসের ৫ হাজার ১০০ ও বিডিএসের ৫৪৫টি।
বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৭ হাজার ৩৬১টি; যার মধ্যে এমবিসিএসের ৬ হাজার ১ ও বিডিএসের ১ হাজার ৩৬০টি। মোট ১৩ হাজার ৬টি আসনের বিপরীতে এ বছর মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন। ভর্তি পরীক্ষায় ১ লাখ ২০ হাজার ৪৪০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল।

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ফলাফল স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর প্রকাশ করে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভর্তি পরীক্ষায় পাস করা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮১ হাজার ৬৪২ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ১২৮ জন এবং নারী পরীক্ষার্থী ৫০ হাজার ৫১৪ জন। ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ হতে নম্বর যোগ করে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী ৫ হাজার ৬৪৫ জন প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, সরকারি ৩৭টি মেডিকেল কলেজ, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ, আটটি মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটসমূহের ৫ হাজার ৬৪৫টি আসনের জন্য নির্বাচিত নারী পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ৬০৩ জন ও পুরুষ পরীক্ষার্থী ২ হাজার ৪২ জন।
গত শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দেশের ১৭টি কেন্দ্র ও ৪৯টি ভেন্যুতে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৫ হাজার ৬৪৫টি; যার মধ্যে এমবিবিএসের ৫ হাজার ১০০ ও বিডিএসের ৫৪৫টি।
বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৭ হাজার ৩৬১টি; যার মধ্যে এমবিসিএসের ৬ হাজার ১ ও বিডিএসের ১ হাজার ৩৬০টি। মোট ১৩ হাজার ৬টি আসনের বিপরীতে এ বছর মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন। ভর্তি পরীক্ষায় ১ লাখ ২০ হাজার ৪৪০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল।

সারা বিশ্বে মানুষ পানির পরেই সবচেয়ে যে পানীয় বেশি পান করে, তা হলো চা। এর যথেষ্ট কারণও আছে। প্রশান্তিদায়ক প্রভাব, দারুণ স্বাদ এবং স্বাস্থ্যকর গুণের জন্য এই পুষ্টিকর পানীয়র প্রশংসা করা হয়। গবেষকেরা বলছেন, নিয়মিত চা পানের ফলে মানুষের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, যা দীর্ঘ মেয়াদে মানুষের আয়ু বৃদ্ধির সহা
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
২ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
২ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
২ দিন আগেমো. ইকবাল হোসেন

ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
মানুষের শরীরের গঠন অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। পৃথিবীর বেশির ভাগ প্রাণীর চেয়ে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন। আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য আলাদা পুষ্টির প্রয়োজন হয়। যেমন চোখের যত্নে ভিটামিন এ, ত্বকের যত্নে ভিটামিন বি, হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি ইত্যাদি। এসব চাহিদা পূরণ করে খাবার খেলে শরীরে সুখের হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং আমাদের সুখানুভূতি হয়, মন শান্ত থাকে।
মন ভালো রাখার অন্যতম হরমোন ডোপামিন। এটি নিঃসরণে খাবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমাদের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা যত বাড়বে, ডোপামিনের নিঃসরণও তত বাড়বে। তাই অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে গুড ফ্যাট বা ভালো চর্বিসমৃদ্ধ, গাঁজানো এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
সে ক্ষেত্রে চমৎকার খাবার হতে পারে শীতকালীন বিভিন্ন শাকসবজি। শিমের বিচি, মটরশুঁটি, বরবটিসহ অন্যান্য শাকসবজি ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে চমৎকার কাজ করে। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, মাছের তেল, অলিভ অয়েল, টক দই ইত্যাদি খাবারও পর্যাপ্ত খেতে হবে। আঁশের উৎস হিসেবে লালশাক, পালংশাক, সবুজ শাক খেতে হবে। ভাজাপোড়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ডুবোতেলে ভাজা খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
আমাদের মন ভালো রাখার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন হচ্ছে সেরোটোনিন। ৯০ শতাংশ সেরোটোনিন উৎপন্ন হয় অন্ত্রের এন্টেরোক্রমাফিন কোষের এন্টেরিক নার্ভাস সিস্টেম থেকে। এ জন্য অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা বেশি জরুরি। অন্ত্রের পেশি নড়াচড়ায় সেরোটোনিন সাহায্য করে। মাত্র ১ শতাংশ সেরোটোনিন মস্তিষ্কে নিঃসৃত হয়। এই ১ শতাংশ সেরোটোনিন মুড, ঘুম, স্মৃতি, ক্ষুধা, মন ভালো থাকা ইত্যাদির ওপর প্রভাব বিস্তার করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন বি-১২ এবং ভিটামিন ডি সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়ায়। খাবারের পাশাপাশি রাতে ভালো ঘুম সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে পরিমিত রেডমিট, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শিম, গাজরসহ সব ধরনের শীতকালীন সবজি এবং শীতের মিষ্টি রোদ দারুণ কাজ করে।
এ ছাড়া অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণসমৃদ্ধ খাবার, যেমন দারুচিনি, লবঙ্গ, হলুদ, ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে।
শীতে শরীরে ব্যথার প্রকোপ কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। তবে এন্ডোরফিন নামক হরমোন প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা উপশম করে। শারীরিক বা মানসিকভাবে আহত হলে এন্ডোরফিন সক্রিয় হয়ে আমাদের ব্যথা নিরাময় করে। অতিরিক্ত ওজন, বিষণ্নতা, উচ্চ রক্তচাপ এন্ডোরফিনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। তবে কিছু খাবার আছে; যেগুলো খেলে এন্ডোরফিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবারগুলো শরীরে ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এন্ডোরফিন নিঃসরণে সহযোগিতা করে। তাই শীতে মন ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পাতিলেবু, মোসাম্বি, পেয়ারা, কলা, জাম্বুরা ও কমলা খেতে হবে।
এর পাশাপাশি টমেটো, কাঁচা মরিচ, ক্যাপসিকাম ও পালংশাক শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর জোগান দিতে পারে; সঙ্গে মেটায় আঁশ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতিও।
এ ছাড়া শীতকালীন প্রায় সব শাকসবজি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এবং ক্যানসার প্রতিরোধী গুণসমৃদ্ধ। এগুলো যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে বাড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। শীতকালীন পালংশাক, গাজর, টমেটো, বিটরুট, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি হয়ে উঠতে পারে সুস্থ থাকার অন্যতম হাতিয়ার। শীতকালীন সবজি ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে অত্যন্ত উপযোগী। তাই শীতকালে সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি হতে পারে এসব সবজি।
আমাদের শরীরের অবহেলিত অঙ্গ ক্ষুদ্রান্ত্র। আমরা বিভিন্ন রকমের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাই। সেসবের প্রভাব পড়ে ক্ষুদ্রান্ত্রের ওপর। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারের ফলে আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমতে থাকে।
ফলে গ্যাসের সমস্যা, ফ্যাটি লিভার, কোলেস্টেরল, কোষ্ঠকাঠিন্য বা কিডনি সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। আবার বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও কমে যায় এসব ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা। তাই সুস্থ থাকতে এবং মন ভালো রাখতে শীতকাল হতে পারে আপনার জীবনের সেরা সময়।
খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে—
পুষ্টিবিদ ও জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
মানুষের শরীরের গঠন অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। পৃথিবীর বেশির ভাগ প্রাণীর চেয়ে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন। আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য আলাদা পুষ্টির প্রয়োজন হয়। যেমন চোখের যত্নে ভিটামিন এ, ত্বকের যত্নে ভিটামিন বি, হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি ইত্যাদি। এসব চাহিদা পূরণ করে খাবার খেলে শরীরে সুখের হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং আমাদের সুখানুভূতি হয়, মন শান্ত থাকে।
মন ভালো রাখার অন্যতম হরমোন ডোপামিন। এটি নিঃসরণে খাবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমাদের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা যত বাড়বে, ডোপামিনের নিঃসরণও তত বাড়বে। তাই অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে গুড ফ্যাট বা ভালো চর্বিসমৃদ্ধ, গাঁজানো এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
সে ক্ষেত্রে চমৎকার খাবার হতে পারে শীতকালীন বিভিন্ন শাকসবজি। শিমের বিচি, মটরশুঁটি, বরবটিসহ অন্যান্য শাকসবজি ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে চমৎকার কাজ করে। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, মাছের তেল, অলিভ অয়েল, টক দই ইত্যাদি খাবারও পর্যাপ্ত খেতে হবে। আঁশের উৎস হিসেবে লালশাক, পালংশাক, সবুজ শাক খেতে হবে। ভাজাপোড়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ডুবোতেলে ভাজা খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
আমাদের মন ভালো রাখার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন হচ্ছে সেরোটোনিন। ৯০ শতাংশ সেরোটোনিন উৎপন্ন হয় অন্ত্রের এন্টেরোক্রমাফিন কোষের এন্টেরিক নার্ভাস সিস্টেম থেকে। এ জন্য অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা বেশি জরুরি। অন্ত্রের পেশি নড়াচড়ায় সেরোটোনিন সাহায্য করে। মাত্র ১ শতাংশ সেরোটোনিন মস্তিষ্কে নিঃসৃত হয়। এই ১ শতাংশ সেরোটোনিন মুড, ঘুম, স্মৃতি, ক্ষুধা, মন ভালো থাকা ইত্যাদির ওপর প্রভাব বিস্তার করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন বি-১২ এবং ভিটামিন ডি সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়ায়। খাবারের পাশাপাশি রাতে ভালো ঘুম সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে পরিমিত রেডমিট, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শিম, গাজরসহ সব ধরনের শীতকালীন সবজি এবং শীতের মিষ্টি রোদ দারুণ কাজ করে।
এ ছাড়া অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণসমৃদ্ধ খাবার, যেমন দারুচিনি, লবঙ্গ, হলুদ, ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে।
শীতে শরীরে ব্যথার প্রকোপ কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। তবে এন্ডোরফিন নামক হরমোন প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা উপশম করে। শারীরিক বা মানসিকভাবে আহত হলে এন্ডোরফিন সক্রিয় হয়ে আমাদের ব্যথা নিরাময় করে। অতিরিক্ত ওজন, বিষণ্নতা, উচ্চ রক্তচাপ এন্ডোরফিনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। তবে কিছু খাবার আছে; যেগুলো খেলে এন্ডোরফিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবারগুলো শরীরে ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এন্ডোরফিন নিঃসরণে সহযোগিতা করে। তাই শীতে মন ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পাতিলেবু, মোসাম্বি, পেয়ারা, কলা, জাম্বুরা ও কমলা খেতে হবে।
এর পাশাপাশি টমেটো, কাঁচা মরিচ, ক্যাপসিকাম ও পালংশাক শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর জোগান দিতে পারে; সঙ্গে মেটায় আঁশ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতিও।
এ ছাড়া শীতকালীন প্রায় সব শাকসবজি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এবং ক্যানসার প্রতিরোধী গুণসমৃদ্ধ। এগুলো যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে বাড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। শীতকালীন পালংশাক, গাজর, টমেটো, বিটরুট, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি হয়ে উঠতে পারে সুস্থ থাকার অন্যতম হাতিয়ার। শীতকালীন সবজি ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে অত্যন্ত উপযোগী। তাই শীতকালে সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি হতে পারে এসব সবজি।
আমাদের শরীরের অবহেলিত অঙ্গ ক্ষুদ্রান্ত্র। আমরা বিভিন্ন রকমের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাই। সেসবের প্রভাব পড়ে ক্ষুদ্রান্ত্রের ওপর। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারের ফলে আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমতে থাকে।
ফলে গ্যাসের সমস্যা, ফ্যাটি লিভার, কোলেস্টেরল, কোষ্ঠকাঠিন্য বা কিডনি সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। আবার বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও কমে যায় এসব ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা। তাই সুস্থ থাকতে এবং মন ভালো রাখতে শীতকাল হতে পারে আপনার জীবনের সেরা সময়।
খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে—
পুষ্টিবিদ ও জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

সারা বিশ্বে মানুষ পানির পরেই সবচেয়ে যে পানীয় বেশি পান করে, তা হলো চা। এর যথেষ্ট কারণও আছে। প্রশান্তিদায়ক প্রভাব, দারুণ স্বাদ এবং স্বাস্থ্যকর গুণের জন্য এই পুষ্টিকর পানীয়র প্রশংসা করা হয়। গবেষকেরা বলছেন, নিয়মিত চা পানের ফলে মানুষের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, যা দীর্ঘ মেয়াদে মানুষের আয়ু বৃদ্ধির সহা
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
৩ ঘণ্টা আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
২ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
২ দিন আগেডা. অবন্তি ঘোষ

চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
বীর্য পরীক্ষার পর শুক্রাণুর সংখ্যা, গতি, আকৃতি, পরিমাণ ইত্যাদি
দেখা হয়।
চিকিৎসা নির্ভর করে সমস্যা কেমন এবং কোন স্তরে রয়েছে, তার ওপর। সাধারণভাবে চিকিৎসা কয়েকটি ধাপে করা হয়।
শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতি উন্নত করতে কিছু পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন দেওয়া হয়, যেমন:
ওষুধ শুরুর পর রোগীকে তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কারণ, নতুন শুক্রাণু তৈরিতে প্রায় ৭৫ দিন লাগে।
ওষুধে উন্নতি হলে স্বামী-স্ত্রী স্বাভাবিক পদ্ধতিতে গর্ভধারণের চেষ্টা করতে পারেন। প্রয়োজনে স্ত্রীকে ডিম্বাণু উৎপাদন বাড়ানোর ওষুধ দেওয়া হয়।
ভেরিকোসিল কিংবা শুক্রনালির ব্লকেজ থাকলে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।
যাঁদের বীর্যে একেবারেই শুক্রাণু পাওয়া যায় না, যাকে অ্যাজোস্পার্মিয়া বলা হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ থেকে সরাসরি শুক্রাণু সংগ্রহ করে আইসিএসআই করাই সবচেয়ে কার্যকর।
গাইনি, প্রসূতি ও বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ, আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর-১০

চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
বীর্য পরীক্ষার পর শুক্রাণুর সংখ্যা, গতি, আকৃতি, পরিমাণ ইত্যাদি
দেখা হয়।
চিকিৎসা নির্ভর করে সমস্যা কেমন এবং কোন স্তরে রয়েছে, তার ওপর। সাধারণভাবে চিকিৎসা কয়েকটি ধাপে করা হয়।
শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতি উন্নত করতে কিছু পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন দেওয়া হয়, যেমন:
ওষুধ শুরুর পর রোগীকে তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কারণ, নতুন শুক্রাণু তৈরিতে প্রায় ৭৫ দিন লাগে।
ওষুধে উন্নতি হলে স্বামী-স্ত্রী স্বাভাবিক পদ্ধতিতে গর্ভধারণের চেষ্টা করতে পারেন। প্রয়োজনে স্ত্রীকে ডিম্বাণু উৎপাদন বাড়ানোর ওষুধ দেওয়া হয়।
ভেরিকোসিল কিংবা শুক্রনালির ব্লকেজ থাকলে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।
যাঁদের বীর্যে একেবারেই শুক্রাণু পাওয়া যায় না, যাকে অ্যাজোস্পার্মিয়া বলা হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ থেকে সরাসরি শুক্রাণু সংগ্রহ করে আইসিএসআই করাই সবচেয়ে কার্যকর।
গাইনি, প্রসূতি ও বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ, আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর-১০

সারা বিশ্বে মানুষ পানির পরেই সবচেয়ে যে পানীয় বেশি পান করে, তা হলো চা। এর যথেষ্ট কারণও আছে। প্রশান্তিদায়ক প্রভাব, দারুণ স্বাদ এবং স্বাস্থ্যকর গুণের জন্য এই পুষ্টিকর পানীয়র প্রশংসা করা হয়। গবেষকেরা বলছেন, নিয়মিত চা পানের ফলে মানুষের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, যা দীর্ঘ মেয়াদে মানুষের আয়ু বৃদ্ধির সহা
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
৩ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
২ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
২ দিন আগেডা. কাকলী হালদার

শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
সাধারণ সর্দি-কাশি: রাইনোভাইরাস দিয়ে সংক্রমণ হলে হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং হালকা গলাব্যথা পর্যন্ত হতে পারে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে সাধারণ সর্দির চেয়ে গুরুতর সমস্যা দেখা যায়। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ জ্বর, শরীর ও পেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা, ক্লান্তি এবং গাঢ় কাশি।
রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস বা আরএসভি: এটি শিশুদের মধ্যে ব্রঙ্কিওলাইটিসের মতো গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়।
এ ধরনের রোগ নিউমোনিয়া অথবা স্ট্রেপটোকক্কাসজনিত গলাব্যথার মতো কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের দিকে মোড় নিতে পারে, যা অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
সংক্রমণ এড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে কিছু সহজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন—
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা: নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পরে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার পরে, অপরিচ্ছন্ন কিছু স্পর্শ করার পর হাত ধোয়া জরুরি। হাঁচি-কাশির সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা এবং ব্যবহৃত টিস্যু নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা উচিত।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পানি পান করা: পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল; যেমন লেবু, কমলা, আমলকী ইত্যাদি এবং শাকসবজি খেয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে হবে। পানিশূন্যতা এড়াতে হালকা গরম পানি পান করুন।
উষ্ণতা বজায় রাখা: কান, মাথা ও গলা ঢেকে গরম জামাকাপড় পরুন। ঘর উষ্ণ রাখুন এবং সরাসরি ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলুন।
ভিড় এড়িয়ে চলা: অসুস্থতা চলাকালে যেকোনো ভিড় অথবা জনসমাগমপূর্ণ স্থানে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
টিকা নেওয়া: শিশু, বয়স্ক বা দীর্ঘমেয়াদি রোগীদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়ার টিকা নিতে পারেন।
সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
সাধারণ সর্দি-কাশি: রাইনোভাইরাস দিয়ে সংক্রমণ হলে হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং হালকা গলাব্যথা পর্যন্ত হতে পারে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে সাধারণ সর্দির চেয়ে গুরুতর সমস্যা দেখা যায়। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ জ্বর, শরীর ও পেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা, ক্লান্তি এবং গাঢ় কাশি।
রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস বা আরএসভি: এটি শিশুদের মধ্যে ব্রঙ্কিওলাইটিসের মতো গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়।
এ ধরনের রোগ নিউমোনিয়া অথবা স্ট্রেপটোকক্কাসজনিত গলাব্যথার মতো কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের দিকে মোড় নিতে পারে, যা অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
সংক্রমণ এড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে কিছু সহজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন—
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা: নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পরে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার পরে, অপরিচ্ছন্ন কিছু স্পর্শ করার পর হাত ধোয়া জরুরি। হাঁচি-কাশির সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা এবং ব্যবহৃত টিস্যু নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা উচিত।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পানি পান করা: পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল; যেমন লেবু, কমলা, আমলকী ইত্যাদি এবং শাকসবজি খেয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে হবে। পানিশূন্যতা এড়াতে হালকা গরম পানি পান করুন।
উষ্ণতা বজায় রাখা: কান, মাথা ও গলা ঢেকে গরম জামাকাপড় পরুন। ঘর উষ্ণ রাখুন এবং সরাসরি ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলুন।
ভিড় এড়িয়ে চলা: অসুস্থতা চলাকালে যেকোনো ভিড় অথবা জনসমাগমপূর্ণ স্থানে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
টিকা নেওয়া: শিশু, বয়স্ক বা দীর্ঘমেয়াদি রোগীদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়ার টিকা নিতে পারেন।
সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

সারা বিশ্বে মানুষ পানির পরেই সবচেয়ে যে পানীয় বেশি পান করে, তা হলো চা। এর যথেষ্ট কারণও আছে। প্রশান্তিদায়ক প্রভাব, দারুণ স্বাদ এবং স্বাস্থ্যকর গুণের জন্য এই পুষ্টিকর পানীয়র প্রশংসা করা হয়। গবেষকেরা বলছেন, নিয়মিত চা পানের ফলে মানুষের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, যা দীর্ঘ মেয়াদে মানুষের আয়ু বৃদ্ধির সহা
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
৩ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
২ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
২ দিন আগে