
অধূমপায়ী ব্যক্তিদের ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার হার ক্রমাগত বাড়ছে। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে এই হার বেশি। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ক্যানসার বিষয়ক গবেষণা সংস্থা আইএআরসি–এর নতুন গবেষণায় এমন উদ্বেগজনক ফলাফল পাওয়া গেছে।
দ্য ল্যানসেট রেসপিরেটরি মেডিসিন সাময়িকীতে প্রকাশিত এই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, যে ধরনের ফুসফুসের ক্যানসার সাধারণত অধূমপায়ীদের মধ্যে হয়, সেটি হলো—লাং অ্যাডিনোক্যানসার। অধূমপায়ী নারীদের ফুসফুসের ক্যানসারের প্রায় ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই ধরনের ক্যানসার দেখা যাচ্ছে। এটি পুরুষদের মধ্যে দেখা যায় ৪৫ শতাংশ ক্ষেত্রে।
২০২২ সালে সারা বিশ্বে ফুসফুস ক্যানসারের রোগী ছিলেন প্রায় ২৫ লাখ, যা ২০২০ সালের তুলনায় ৩ লাখ বেশি। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিবেশগত উপাদান, বিশেষত বায়ু দূষণের পাশাপাশি জিনগত পরিবর্তন এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার প্রতিক্রিয়া এই প্রবণতা বাড়াতে সাহায্য করেছে।
এই গবেষণায় অধূমপায়ী নারীদের ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাব্য কারণও তুলে ধরা হয়েছে। সেগুলো হলো—
জেনেটিক মিউটেশন
অধূমপায়ী নারীদের ক্যানসার সৃষ্টির সবচেয়ে বড় কারণ হলো ইজিএফআর জিনের মিউটেশন বা পরিব্যক্তি। এই জিন কোষের বৃদ্ধির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন তৈরি করে। যখন এই প্রোটিনের কোডে মিউটেশন ঘটে, তখন অস্বাভাবিক কোষ বিভাজন শুরু হয়, যা ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষত এশিয়ার নারীদের ফুসফুস ক্যানসারের প্রায় ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে ইজিএফআর জিনের মিউটেশন দেখা যাচ্ছে। তবে, পশ্চিমা নারীদের মধ্যে এই হার ১৯ শতাংশ। আর অধূমপায়ী পুরুষদের ক্ষেত্রে ১০ থেকে ২০ শতাংশ।
উল্লেখ্য, কোনো জীবের জিনোম তথা জেনেটিক বস্তুর গুণগত ও পরিমাণগত যেকোনো ধরনের আকস্মিক পরিবর্তনকে মিউটেশন বা পরিব্যক্তি বলে।
জেনেটিক পরীক্ষা–নিরীক্ষার উন্নতির ফলে এখন বিভিন্ন মিউটেশন শনাক্ত করা অনেক সহজ হয়ে গেছে। বায়ুদূষণ ইজিএফআর মিউটেশন ঘটাতে সাহায্য করে। সম্ভবত এ কারণে মানুষের জিনে মিউটেশন বেড়ে গেছে।
আরেকটি জেনেটিক পরিবর্তন যা ক্যানসার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, তা হলো ‘এএলকে’ এবং ‘আরওএস১’ জিনের মিউটেশন। এই মিউটেশনগুলো ক্যানসার আক্রান্ত অধূমপায়ী ব্যক্তিদের ৫ শতাংশের মধ্যে দেখা যায় এবং এটি বিশেষভাবে এশিয়ার কমবয়সী নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তবে এশিয়ার দেশগুলোতে উন্নত স্ক্রিনিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে এখন মিউটেশনগুলো বেশি শনাক্ত করা যাচ্ছে।
এ ছাড়া, টিপি ৫৩ নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ টিউমার–প্রতিরোধক জিনের মিউটেশনও অধূমপায়ীদের মধ্যে নারীদের তুলনায় বেশি দেখা যাচ্ছে। এই জিন কোষগুলোকে ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। তবে মিউটেশন ঘটলে কোষের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে যায়। ইস্ট্রোজেন হরমোন টিপি ৫৩ মিউটেশনের সঙ্গে মিলিত হয়ে নারীদের মধ্যে সময়ের সঙ্গে ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ জিন হলো—কেআরএএস। সাধারণত এই জিনের মিউটেশন ধূমপানের কারণে হওয়া ফুসফুসের ক্যানসারের সঙ্গে যুক্ত, তবে এখন এটি অধূমপায়ী নারীদের মধ্যেও পাওয়া যাচ্ছে এবং এই প্রবণতা বাড়ছে।
বায়ুদূষণ
সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো বলছে, বায়ুর মধ্যে থাকা সূক্ষ্ম কণা পিএম ২.৫ (এটি এমন সূক্ষ্ম কণা যা ২ দশমিক ৫ মাইক্রোমিটার বা তার চেয়ে ছোট) কেআরএএস মিউটেশন ঘটাতে পারে।
এ ছাড়া, অনেক শহরে পিএম ২.৫ কণার পরিমাণ বাড়ছে, যা শুধু ফুসফুস ক্যানসারের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, বরং নারীদের অন্যান্য ধরনের ক্যানসারের জন্যও দায়ী।
বায়ুদূষণ দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকির একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তবে নতুন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যে, বিশেষভাবে নারীরা এটির প্রতি বেশি সংবেদনশীল। নারীদের ফুসফুসের গঠন ও কার্যক্ষমতা তাদের দূষিত উপাদানের ক্ষতিকর প্রভাবের প্রতি বেশি সংবেদনশীল করে তোলে। নারীদের ফুসফুস পুরুষদের তুলনায় ছোট এবং তাদের শ্বাসনালি (এয়ারওয়ে) সংকীর্ণ, যার ফলে পিএম ২.৫ –এর মতো সূক্ষ্ম কণাগুলো তাদের ফুসফুসে আটকে যেতে পারে।
নারীরা সাধারণত ঘরের ভেতরে বেশি সময় কাটান, যেখানে রান্নার ধোঁয়া এবং তাপের কারণে ক্ষতিকর গ্যাসের উপস্থিতি বেশি। ঘরের বায়ুদূষণ, বিশেষত কাঠ, কয়লা, এবং কেরোসিন জ্বালানির কারণে, ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। যেসব নারী কাপড়ের কারখানা, বিউটি সেলুন বা হাসপাতালে কাজ করেন, তাঁরা আরও বেশি ক্ষতিকর রাসায়নিকের সংস্পর্শে আসেন। এসব পদার্থ তাঁদের ফুসফুসের ক্ষতি করতে পারে। দ্রুত বর্ধনশীল শহরগুলোতে নারীরা সাধারণত উচ্চ ট্রাফিক এবং কারখানার দূষণের মধ্যে বসবাস করেন।
হরমোনের পরিবর্তন
জেনেটিক প্রবণতার পাশাপাশি নারীদের মধ্যে ক্যানসার কোষের বৃদ্ধির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে হরমোনের পরিবর্তন। ইস্ট্রোজেন হরমোনের রিসেপ্টর ফুসফুসের কোষে থাকে এবং কিছু পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, ইস্ট্রোজেন টিউমারের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে পারে। তবে, যারা হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি (এইচআরটি) নেন, তাঁদের মধ্যে ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি কম থাকে। অর্থাৎ স্বাভাবিক ইস্ট্রোজেন চক্র হয়তো কিছু পরিমাণে সুরক্ষা দিতে পারে।
এ ছাড়া, ইস্ট্রোজেন হরমোন দূষিত উপাদানগুলোর সংস্পর্শে এলে প্রদাহজনিত প্রতিক্রিয়ার তীব্রতা বাড়িয়ে দেয়, যা ফুসফুসের টিস্যুকে আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করে। এর ফলে ফুসফুসের ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ
জীনগত এবং হরমোনের কারণে ছাড়াও অধূমপায়ী নারীদের ফুসফুসের ক্যানসার হওয়ার আরেকটি কারণ হতে পারে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ।
নারীদের মধ্যে পুরুষের তুলনায় অটোইমিউন রোগ (যেমন: রিউমাটয়েড আর্থরাইটিস, লুপাস ইত্যাদি) হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এই ধরনের রোগগুলো শরীরের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বিকল করে দেয়, যা ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। যখন শরীরে দীর্ঘদিন ধরে প্রদাহ চলে, তখন তা কোষের ক্ষতি করতে পারে। ডিএনএ–তে পরিবর্তন ঘটিয়ে অস্বাভাবিক কোষ বিভাজনের মাধ্যমে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
বিশেষত, যেসব নারীর অটোইমিউন রোগ রয়েছে, তাদের মধ্যে ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি। কারণ ফুসফুসে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। ইনফ্ল্যামেটরি (প্রদাহজনিত) অণু যেমন, ইন্টারলিউকিন-৬ এবং টিউমার ‘নেক্রোসিস ফ্যাক্টর-আলফা’ ক্যানসারের কোষগুলোকে টিকে থাকতে এবং ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করে।
বিশ্বব্যাপী অটোইমিউন রোগ ক্রমেই বাড়ছে। সম্ভবত পরিবেশগত পরিবর্তন, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এবং গাট মাইক্রোবায়োমে (অন্ত্রের উপকারী অণুজীব) পরিবর্তনের জন্য এটি হচ্ছে। নারীদের মধ্যে অটোইমিউন রোগ বেশি হওয়ার কারণে তারা দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ থেকে সৃষ্ট ক্যানসারের জন্য আরও বেশি ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।
এ ছাড়া, গড় আয়ু বাড়ার কারণে নারীদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা আরও দীর্ঘসময় সক্রিয় থাকে, যা তাদের মধ্যে প্রদাহ-সংশ্লিষ্ট ক্যানসারে আক্রান্ত ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া, পরিবেশের দূষণ, গৃহস্থালির রাসায়নিক পদার্থ এবং কর্মস্থলে ক্ষতিকর উপাদানের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সংস্পর্শ ক্যানসারের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়।
জেনেটিক মিউটেশনের কারণে নারীরা প্রাকৃতিকভাবেই পুরুষদের তুলনায় বেশি ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন। তবে, বায়ুদূষণ বেড়ে যাওয়া, হরমোন ক্ষরণ চক্রের পরিবর্তন, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় ত্রুটি এবং আয়ু বৃদ্ধি এই ঝুঁকিগুলো আরও বাড়িয়ে তুলছে।
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, হিউম্যান প্যাপিলোমা (এইচপিভি) নামক একটি ভাইরাসও নারীদের ফুসফুসের ক্যানসারে ভূমিকা রাখতে পারে।

অধূমপায়ী ব্যক্তিদের ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার হার ক্রমাগত বাড়ছে। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে এই হার বেশি। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ক্যানসার বিষয়ক গবেষণা সংস্থা আইএআরসি–এর নতুন গবেষণায় এমন উদ্বেগজনক ফলাফল পাওয়া গেছে।
দ্য ল্যানসেট রেসপিরেটরি মেডিসিন সাময়িকীতে প্রকাশিত এই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, যে ধরনের ফুসফুসের ক্যানসার সাধারণত অধূমপায়ীদের মধ্যে হয়, সেটি হলো—লাং অ্যাডিনোক্যানসার। অধূমপায়ী নারীদের ফুসফুসের ক্যানসারের প্রায় ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই ধরনের ক্যানসার দেখা যাচ্ছে। এটি পুরুষদের মধ্যে দেখা যায় ৪৫ শতাংশ ক্ষেত্রে।
২০২২ সালে সারা বিশ্বে ফুসফুস ক্যানসারের রোগী ছিলেন প্রায় ২৫ লাখ, যা ২০২০ সালের তুলনায় ৩ লাখ বেশি। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিবেশগত উপাদান, বিশেষত বায়ু দূষণের পাশাপাশি জিনগত পরিবর্তন এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার প্রতিক্রিয়া এই প্রবণতা বাড়াতে সাহায্য করেছে।
এই গবেষণায় অধূমপায়ী নারীদের ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাব্য কারণও তুলে ধরা হয়েছে। সেগুলো হলো—
জেনেটিক মিউটেশন
অধূমপায়ী নারীদের ক্যানসার সৃষ্টির সবচেয়ে বড় কারণ হলো ইজিএফআর জিনের মিউটেশন বা পরিব্যক্তি। এই জিন কোষের বৃদ্ধির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন তৈরি করে। যখন এই প্রোটিনের কোডে মিউটেশন ঘটে, তখন অস্বাভাবিক কোষ বিভাজন শুরু হয়, যা ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষত এশিয়ার নারীদের ফুসফুস ক্যানসারের প্রায় ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে ইজিএফআর জিনের মিউটেশন দেখা যাচ্ছে। তবে, পশ্চিমা নারীদের মধ্যে এই হার ১৯ শতাংশ। আর অধূমপায়ী পুরুষদের ক্ষেত্রে ১০ থেকে ২০ শতাংশ।
উল্লেখ্য, কোনো জীবের জিনোম তথা জেনেটিক বস্তুর গুণগত ও পরিমাণগত যেকোনো ধরনের আকস্মিক পরিবর্তনকে মিউটেশন বা পরিব্যক্তি বলে।
জেনেটিক পরীক্ষা–নিরীক্ষার উন্নতির ফলে এখন বিভিন্ন মিউটেশন শনাক্ত করা অনেক সহজ হয়ে গেছে। বায়ুদূষণ ইজিএফআর মিউটেশন ঘটাতে সাহায্য করে। সম্ভবত এ কারণে মানুষের জিনে মিউটেশন বেড়ে গেছে।
আরেকটি জেনেটিক পরিবর্তন যা ক্যানসার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, তা হলো ‘এএলকে’ এবং ‘আরওএস১’ জিনের মিউটেশন। এই মিউটেশনগুলো ক্যানসার আক্রান্ত অধূমপায়ী ব্যক্তিদের ৫ শতাংশের মধ্যে দেখা যায় এবং এটি বিশেষভাবে এশিয়ার কমবয়সী নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তবে এশিয়ার দেশগুলোতে উন্নত স্ক্রিনিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে এখন মিউটেশনগুলো বেশি শনাক্ত করা যাচ্ছে।
এ ছাড়া, টিপি ৫৩ নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ টিউমার–প্রতিরোধক জিনের মিউটেশনও অধূমপায়ীদের মধ্যে নারীদের তুলনায় বেশি দেখা যাচ্ছে। এই জিন কোষগুলোকে ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। তবে মিউটেশন ঘটলে কোষের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে যায়। ইস্ট্রোজেন হরমোন টিপি ৫৩ মিউটেশনের সঙ্গে মিলিত হয়ে নারীদের মধ্যে সময়ের সঙ্গে ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ জিন হলো—কেআরএএস। সাধারণত এই জিনের মিউটেশন ধূমপানের কারণে হওয়া ফুসফুসের ক্যানসারের সঙ্গে যুক্ত, তবে এখন এটি অধূমপায়ী নারীদের মধ্যেও পাওয়া যাচ্ছে এবং এই প্রবণতা বাড়ছে।
বায়ুদূষণ
সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো বলছে, বায়ুর মধ্যে থাকা সূক্ষ্ম কণা পিএম ২.৫ (এটি এমন সূক্ষ্ম কণা যা ২ দশমিক ৫ মাইক্রোমিটার বা তার চেয়ে ছোট) কেআরএএস মিউটেশন ঘটাতে পারে।
এ ছাড়া, অনেক শহরে পিএম ২.৫ কণার পরিমাণ বাড়ছে, যা শুধু ফুসফুস ক্যানসারের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, বরং নারীদের অন্যান্য ধরনের ক্যানসারের জন্যও দায়ী।
বায়ুদূষণ দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকির একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তবে নতুন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যে, বিশেষভাবে নারীরা এটির প্রতি বেশি সংবেদনশীল। নারীদের ফুসফুসের গঠন ও কার্যক্ষমতা তাদের দূষিত উপাদানের ক্ষতিকর প্রভাবের প্রতি বেশি সংবেদনশীল করে তোলে। নারীদের ফুসফুস পুরুষদের তুলনায় ছোট এবং তাদের শ্বাসনালি (এয়ারওয়ে) সংকীর্ণ, যার ফলে পিএম ২.৫ –এর মতো সূক্ষ্ম কণাগুলো তাদের ফুসফুসে আটকে যেতে পারে।
নারীরা সাধারণত ঘরের ভেতরে বেশি সময় কাটান, যেখানে রান্নার ধোঁয়া এবং তাপের কারণে ক্ষতিকর গ্যাসের উপস্থিতি বেশি। ঘরের বায়ুদূষণ, বিশেষত কাঠ, কয়লা, এবং কেরোসিন জ্বালানির কারণে, ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। যেসব নারী কাপড়ের কারখানা, বিউটি সেলুন বা হাসপাতালে কাজ করেন, তাঁরা আরও বেশি ক্ষতিকর রাসায়নিকের সংস্পর্শে আসেন। এসব পদার্থ তাঁদের ফুসফুসের ক্ষতি করতে পারে। দ্রুত বর্ধনশীল শহরগুলোতে নারীরা সাধারণত উচ্চ ট্রাফিক এবং কারখানার দূষণের মধ্যে বসবাস করেন।
হরমোনের পরিবর্তন
জেনেটিক প্রবণতার পাশাপাশি নারীদের মধ্যে ক্যানসার কোষের বৃদ্ধির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে হরমোনের পরিবর্তন। ইস্ট্রোজেন হরমোনের রিসেপ্টর ফুসফুসের কোষে থাকে এবং কিছু পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, ইস্ট্রোজেন টিউমারের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে পারে। তবে, যারা হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি (এইচআরটি) নেন, তাঁদের মধ্যে ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি কম থাকে। অর্থাৎ স্বাভাবিক ইস্ট্রোজেন চক্র হয়তো কিছু পরিমাণে সুরক্ষা দিতে পারে।
এ ছাড়া, ইস্ট্রোজেন হরমোন দূষিত উপাদানগুলোর সংস্পর্শে এলে প্রদাহজনিত প্রতিক্রিয়ার তীব্রতা বাড়িয়ে দেয়, যা ফুসফুসের টিস্যুকে আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করে। এর ফলে ফুসফুসের ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ
জীনগত এবং হরমোনের কারণে ছাড়াও অধূমপায়ী নারীদের ফুসফুসের ক্যানসার হওয়ার আরেকটি কারণ হতে পারে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ।
নারীদের মধ্যে পুরুষের তুলনায় অটোইমিউন রোগ (যেমন: রিউমাটয়েড আর্থরাইটিস, লুপাস ইত্যাদি) হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এই ধরনের রোগগুলো শরীরের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বিকল করে দেয়, যা ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। যখন শরীরে দীর্ঘদিন ধরে প্রদাহ চলে, তখন তা কোষের ক্ষতি করতে পারে। ডিএনএ–তে পরিবর্তন ঘটিয়ে অস্বাভাবিক কোষ বিভাজনের মাধ্যমে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
বিশেষত, যেসব নারীর অটোইমিউন রোগ রয়েছে, তাদের মধ্যে ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি। কারণ ফুসফুসে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। ইনফ্ল্যামেটরি (প্রদাহজনিত) অণু যেমন, ইন্টারলিউকিন-৬ এবং টিউমার ‘নেক্রোসিস ফ্যাক্টর-আলফা’ ক্যানসারের কোষগুলোকে টিকে থাকতে এবং ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করে।
বিশ্বব্যাপী অটোইমিউন রোগ ক্রমেই বাড়ছে। সম্ভবত পরিবেশগত পরিবর্তন, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এবং গাট মাইক্রোবায়োমে (অন্ত্রের উপকারী অণুজীব) পরিবর্তনের জন্য এটি হচ্ছে। নারীদের মধ্যে অটোইমিউন রোগ বেশি হওয়ার কারণে তারা দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ থেকে সৃষ্ট ক্যানসারের জন্য আরও বেশি ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।
এ ছাড়া, গড় আয়ু বাড়ার কারণে নারীদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা আরও দীর্ঘসময় সক্রিয় থাকে, যা তাদের মধ্যে প্রদাহ-সংশ্লিষ্ট ক্যানসারে আক্রান্ত ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া, পরিবেশের দূষণ, গৃহস্থালির রাসায়নিক পদার্থ এবং কর্মস্থলে ক্ষতিকর উপাদানের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সংস্পর্শ ক্যানসারের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়।
জেনেটিক মিউটেশনের কারণে নারীরা প্রাকৃতিকভাবেই পুরুষদের তুলনায় বেশি ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন। তবে, বায়ুদূষণ বেড়ে যাওয়া, হরমোন ক্ষরণ চক্রের পরিবর্তন, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় ত্রুটি এবং আয়ু বৃদ্ধি এই ঝুঁকিগুলো আরও বাড়িয়ে তুলছে।
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, হিউম্যান প্যাপিলোমা (এইচপিভি) নামক একটি ভাইরাসও নারীদের ফুসফুসের ক্যানসারে ভূমিকা রাখতে পারে।

অধূমপায়ী ব্যক্তিদের ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার হার ক্রমাগত বাড়ছে। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে এই হার বেশি। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ক্যানসার বিষয়ক গবেষণা সংস্থা আইএআরসি–এর নতুন গবেষণায় এমন উদ্বেগজনক ফলাফল পাওয়া গেছে।
দ্য ল্যানসেট রেসপিরেটরি মেডিসিন সাময়িকীতে প্রকাশিত এই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, যে ধরনের ফুসফুসের ক্যানসার সাধারণত অধূমপায়ীদের মধ্যে হয়, সেটি হলো—লাং অ্যাডিনোক্যানসার। অধূমপায়ী নারীদের ফুসফুসের ক্যানসারের প্রায় ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই ধরনের ক্যানসার দেখা যাচ্ছে। এটি পুরুষদের মধ্যে দেখা যায় ৪৫ শতাংশ ক্ষেত্রে।
২০২২ সালে সারা বিশ্বে ফুসফুস ক্যানসারের রোগী ছিলেন প্রায় ২৫ লাখ, যা ২০২০ সালের তুলনায় ৩ লাখ বেশি। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিবেশগত উপাদান, বিশেষত বায়ু দূষণের পাশাপাশি জিনগত পরিবর্তন এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার প্রতিক্রিয়া এই প্রবণতা বাড়াতে সাহায্য করেছে।
এই গবেষণায় অধূমপায়ী নারীদের ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাব্য কারণও তুলে ধরা হয়েছে। সেগুলো হলো—
জেনেটিক মিউটেশন
অধূমপায়ী নারীদের ক্যানসার সৃষ্টির সবচেয়ে বড় কারণ হলো ইজিএফআর জিনের মিউটেশন বা পরিব্যক্তি। এই জিন কোষের বৃদ্ধির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন তৈরি করে। যখন এই প্রোটিনের কোডে মিউটেশন ঘটে, তখন অস্বাভাবিক কোষ বিভাজন শুরু হয়, যা ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষত এশিয়ার নারীদের ফুসফুস ক্যানসারের প্রায় ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে ইজিএফআর জিনের মিউটেশন দেখা যাচ্ছে। তবে, পশ্চিমা নারীদের মধ্যে এই হার ১৯ শতাংশ। আর অধূমপায়ী পুরুষদের ক্ষেত্রে ১০ থেকে ২০ শতাংশ।
উল্লেখ্য, কোনো জীবের জিনোম তথা জেনেটিক বস্তুর গুণগত ও পরিমাণগত যেকোনো ধরনের আকস্মিক পরিবর্তনকে মিউটেশন বা পরিব্যক্তি বলে।
জেনেটিক পরীক্ষা–নিরীক্ষার উন্নতির ফলে এখন বিভিন্ন মিউটেশন শনাক্ত করা অনেক সহজ হয়ে গেছে। বায়ুদূষণ ইজিএফআর মিউটেশন ঘটাতে সাহায্য করে। সম্ভবত এ কারণে মানুষের জিনে মিউটেশন বেড়ে গেছে।
আরেকটি জেনেটিক পরিবর্তন যা ক্যানসার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, তা হলো ‘এএলকে’ এবং ‘আরওএস১’ জিনের মিউটেশন। এই মিউটেশনগুলো ক্যানসার আক্রান্ত অধূমপায়ী ব্যক্তিদের ৫ শতাংশের মধ্যে দেখা যায় এবং এটি বিশেষভাবে এশিয়ার কমবয়সী নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তবে এশিয়ার দেশগুলোতে উন্নত স্ক্রিনিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে এখন মিউটেশনগুলো বেশি শনাক্ত করা যাচ্ছে।
এ ছাড়া, টিপি ৫৩ নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ টিউমার–প্রতিরোধক জিনের মিউটেশনও অধূমপায়ীদের মধ্যে নারীদের তুলনায় বেশি দেখা যাচ্ছে। এই জিন কোষগুলোকে ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। তবে মিউটেশন ঘটলে কোষের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে যায়। ইস্ট্রোজেন হরমোন টিপি ৫৩ মিউটেশনের সঙ্গে মিলিত হয়ে নারীদের মধ্যে সময়ের সঙ্গে ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ জিন হলো—কেআরএএস। সাধারণত এই জিনের মিউটেশন ধূমপানের কারণে হওয়া ফুসফুসের ক্যানসারের সঙ্গে যুক্ত, তবে এখন এটি অধূমপায়ী নারীদের মধ্যেও পাওয়া যাচ্ছে এবং এই প্রবণতা বাড়ছে।
বায়ুদূষণ
সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো বলছে, বায়ুর মধ্যে থাকা সূক্ষ্ম কণা পিএম ২.৫ (এটি এমন সূক্ষ্ম কণা যা ২ দশমিক ৫ মাইক্রোমিটার বা তার চেয়ে ছোট) কেআরএএস মিউটেশন ঘটাতে পারে।
এ ছাড়া, অনেক শহরে পিএম ২.৫ কণার পরিমাণ বাড়ছে, যা শুধু ফুসফুস ক্যানসারের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, বরং নারীদের অন্যান্য ধরনের ক্যানসারের জন্যও দায়ী।
বায়ুদূষণ দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকির একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তবে নতুন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যে, বিশেষভাবে নারীরা এটির প্রতি বেশি সংবেদনশীল। নারীদের ফুসফুসের গঠন ও কার্যক্ষমতা তাদের দূষিত উপাদানের ক্ষতিকর প্রভাবের প্রতি বেশি সংবেদনশীল করে তোলে। নারীদের ফুসফুস পুরুষদের তুলনায় ছোট এবং তাদের শ্বাসনালি (এয়ারওয়ে) সংকীর্ণ, যার ফলে পিএম ২.৫ –এর মতো সূক্ষ্ম কণাগুলো তাদের ফুসফুসে আটকে যেতে পারে।
নারীরা সাধারণত ঘরের ভেতরে বেশি সময় কাটান, যেখানে রান্নার ধোঁয়া এবং তাপের কারণে ক্ষতিকর গ্যাসের উপস্থিতি বেশি। ঘরের বায়ুদূষণ, বিশেষত কাঠ, কয়লা, এবং কেরোসিন জ্বালানির কারণে, ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। যেসব নারী কাপড়ের কারখানা, বিউটি সেলুন বা হাসপাতালে কাজ করেন, তাঁরা আরও বেশি ক্ষতিকর রাসায়নিকের সংস্পর্শে আসেন। এসব পদার্থ তাঁদের ফুসফুসের ক্ষতি করতে পারে। দ্রুত বর্ধনশীল শহরগুলোতে নারীরা সাধারণত উচ্চ ট্রাফিক এবং কারখানার দূষণের মধ্যে বসবাস করেন।
হরমোনের পরিবর্তন
জেনেটিক প্রবণতার পাশাপাশি নারীদের মধ্যে ক্যানসার কোষের বৃদ্ধির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে হরমোনের পরিবর্তন। ইস্ট্রোজেন হরমোনের রিসেপ্টর ফুসফুসের কোষে থাকে এবং কিছু পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, ইস্ট্রোজেন টিউমারের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে পারে। তবে, যারা হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি (এইচআরটি) নেন, তাঁদের মধ্যে ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি কম থাকে। অর্থাৎ স্বাভাবিক ইস্ট্রোজেন চক্র হয়তো কিছু পরিমাণে সুরক্ষা দিতে পারে।
এ ছাড়া, ইস্ট্রোজেন হরমোন দূষিত উপাদানগুলোর সংস্পর্শে এলে প্রদাহজনিত প্রতিক্রিয়ার তীব্রতা বাড়িয়ে দেয়, যা ফুসফুসের টিস্যুকে আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করে। এর ফলে ফুসফুসের ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ
জীনগত এবং হরমোনের কারণে ছাড়াও অধূমপায়ী নারীদের ফুসফুসের ক্যানসার হওয়ার আরেকটি কারণ হতে পারে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ।
নারীদের মধ্যে পুরুষের তুলনায় অটোইমিউন রোগ (যেমন: রিউমাটয়েড আর্থরাইটিস, লুপাস ইত্যাদি) হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এই ধরনের রোগগুলো শরীরের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বিকল করে দেয়, যা ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। যখন শরীরে দীর্ঘদিন ধরে প্রদাহ চলে, তখন তা কোষের ক্ষতি করতে পারে। ডিএনএ–তে পরিবর্তন ঘটিয়ে অস্বাভাবিক কোষ বিভাজনের মাধ্যমে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
বিশেষত, যেসব নারীর অটোইমিউন রোগ রয়েছে, তাদের মধ্যে ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি। কারণ ফুসফুসে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। ইনফ্ল্যামেটরি (প্রদাহজনিত) অণু যেমন, ইন্টারলিউকিন-৬ এবং টিউমার ‘নেক্রোসিস ফ্যাক্টর-আলফা’ ক্যানসারের কোষগুলোকে টিকে থাকতে এবং ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করে।
বিশ্বব্যাপী অটোইমিউন রোগ ক্রমেই বাড়ছে। সম্ভবত পরিবেশগত পরিবর্তন, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এবং গাট মাইক্রোবায়োমে (অন্ত্রের উপকারী অণুজীব) পরিবর্তনের জন্য এটি হচ্ছে। নারীদের মধ্যে অটোইমিউন রোগ বেশি হওয়ার কারণে তারা দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ থেকে সৃষ্ট ক্যানসারের জন্য আরও বেশি ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।
এ ছাড়া, গড় আয়ু বাড়ার কারণে নারীদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা আরও দীর্ঘসময় সক্রিয় থাকে, যা তাদের মধ্যে প্রদাহ-সংশ্লিষ্ট ক্যানসারে আক্রান্ত ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া, পরিবেশের দূষণ, গৃহস্থালির রাসায়নিক পদার্থ এবং কর্মস্থলে ক্ষতিকর উপাদানের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সংস্পর্শ ক্যানসারের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়।
জেনেটিক মিউটেশনের কারণে নারীরা প্রাকৃতিকভাবেই পুরুষদের তুলনায় বেশি ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন। তবে, বায়ুদূষণ বেড়ে যাওয়া, হরমোন ক্ষরণ চক্রের পরিবর্তন, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় ত্রুটি এবং আয়ু বৃদ্ধি এই ঝুঁকিগুলো আরও বাড়িয়ে তুলছে।
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, হিউম্যান প্যাপিলোমা (এইচপিভি) নামক একটি ভাইরাসও নারীদের ফুসফুসের ক্যানসারে ভূমিকা রাখতে পারে।

অধূমপায়ী ব্যক্তিদের ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার হার ক্রমাগত বাড়ছে। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে এই হার বেশি। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ক্যানসার বিষয়ক গবেষণা সংস্থা আইএআরসি–এর নতুন গবেষণায় এমন উদ্বেগজনক ফলাফল পাওয়া গেছে।
দ্য ল্যানসেট রেসপিরেটরি মেডিসিন সাময়িকীতে প্রকাশিত এই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, যে ধরনের ফুসফুসের ক্যানসার সাধারণত অধূমপায়ীদের মধ্যে হয়, সেটি হলো—লাং অ্যাডিনোক্যানসার। অধূমপায়ী নারীদের ফুসফুসের ক্যানসারের প্রায় ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই ধরনের ক্যানসার দেখা যাচ্ছে। এটি পুরুষদের মধ্যে দেখা যায় ৪৫ শতাংশ ক্ষেত্রে।
২০২২ সালে সারা বিশ্বে ফুসফুস ক্যানসারের রোগী ছিলেন প্রায় ২৫ লাখ, যা ২০২০ সালের তুলনায় ৩ লাখ বেশি। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিবেশগত উপাদান, বিশেষত বায়ু দূষণের পাশাপাশি জিনগত পরিবর্তন এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার প্রতিক্রিয়া এই প্রবণতা বাড়াতে সাহায্য করেছে।
এই গবেষণায় অধূমপায়ী নারীদের ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাব্য কারণও তুলে ধরা হয়েছে। সেগুলো হলো—
জেনেটিক মিউটেশন
অধূমপায়ী নারীদের ক্যানসার সৃষ্টির সবচেয়ে বড় কারণ হলো ইজিএফআর জিনের মিউটেশন বা পরিব্যক্তি। এই জিন কোষের বৃদ্ধির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন তৈরি করে। যখন এই প্রোটিনের কোডে মিউটেশন ঘটে, তখন অস্বাভাবিক কোষ বিভাজন শুরু হয়, যা ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষত এশিয়ার নারীদের ফুসফুস ক্যানসারের প্রায় ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে ইজিএফআর জিনের মিউটেশন দেখা যাচ্ছে। তবে, পশ্চিমা নারীদের মধ্যে এই হার ১৯ শতাংশ। আর অধূমপায়ী পুরুষদের ক্ষেত্রে ১০ থেকে ২০ শতাংশ।
উল্লেখ্য, কোনো জীবের জিনোম তথা জেনেটিক বস্তুর গুণগত ও পরিমাণগত যেকোনো ধরনের আকস্মিক পরিবর্তনকে মিউটেশন বা পরিব্যক্তি বলে।
জেনেটিক পরীক্ষা–নিরীক্ষার উন্নতির ফলে এখন বিভিন্ন মিউটেশন শনাক্ত করা অনেক সহজ হয়ে গেছে। বায়ুদূষণ ইজিএফআর মিউটেশন ঘটাতে সাহায্য করে। সম্ভবত এ কারণে মানুষের জিনে মিউটেশন বেড়ে গেছে।
আরেকটি জেনেটিক পরিবর্তন যা ক্যানসার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, তা হলো ‘এএলকে’ এবং ‘আরওএস১’ জিনের মিউটেশন। এই মিউটেশনগুলো ক্যানসার আক্রান্ত অধূমপায়ী ব্যক্তিদের ৫ শতাংশের মধ্যে দেখা যায় এবং এটি বিশেষভাবে এশিয়ার কমবয়সী নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তবে এশিয়ার দেশগুলোতে উন্নত স্ক্রিনিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে এখন মিউটেশনগুলো বেশি শনাক্ত করা যাচ্ছে।
এ ছাড়া, টিপি ৫৩ নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ টিউমার–প্রতিরোধক জিনের মিউটেশনও অধূমপায়ীদের মধ্যে নারীদের তুলনায় বেশি দেখা যাচ্ছে। এই জিন কোষগুলোকে ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। তবে মিউটেশন ঘটলে কোষের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে যায়। ইস্ট্রোজেন হরমোন টিপি ৫৩ মিউটেশনের সঙ্গে মিলিত হয়ে নারীদের মধ্যে সময়ের সঙ্গে ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ জিন হলো—কেআরএএস। সাধারণত এই জিনের মিউটেশন ধূমপানের কারণে হওয়া ফুসফুসের ক্যানসারের সঙ্গে যুক্ত, তবে এখন এটি অধূমপায়ী নারীদের মধ্যেও পাওয়া যাচ্ছে এবং এই প্রবণতা বাড়ছে।
বায়ুদূষণ
সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো বলছে, বায়ুর মধ্যে থাকা সূক্ষ্ম কণা পিএম ২.৫ (এটি এমন সূক্ষ্ম কণা যা ২ দশমিক ৫ মাইক্রোমিটার বা তার চেয়ে ছোট) কেআরএএস মিউটেশন ঘটাতে পারে।
এ ছাড়া, অনেক শহরে পিএম ২.৫ কণার পরিমাণ বাড়ছে, যা শুধু ফুসফুস ক্যানসারের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, বরং নারীদের অন্যান্য ধরনের ক্যানসারের জন্যও দায়ী।
বায়ুদূষণ দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকির একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তবে নতুন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যে, বিশেষভাবে নারীরা এটির প্রতি বেশি সংবেদনশীল। নারীদের ফুসফুসের গঠন ও কার্যক্ষমতা তাদের দূষিত উপাদানের ক্ষতিকর প্রভাবের প্রতি বেশি সংবেদনশীল করে তোলে। নারীদের ফুসফুস পুরুষদের তুলনায় ছোট এবং তাদের শ্বাসনালি (এয়ারওয়ে) সংকীর্ণ, যার ফলে পিএম ২.৫ –এর মতো সূক্ষ্ম কণাগুলো তাদের ফুসফুসে আটকে যেতে পারে।
নারীরা সাধারণত ঘরের ভেতরে বেশি সময় কাটান, যেখানে রান্নার ধোঁয়া এবং তাপের কারণে ক্ষতিকর গ্যাসের উপস্থিতি বেশি। ঘরের বায়ুদূষণ, বিশেষত কাঠ, কয়লা, এবং কেরোসিন জ্বালানির কারণে, ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। যেসব নারী কাপড়ের কারখানা, বিউটি সেলুন বা হাসপাতালে কাজ করেন, তাঁরা আরও বেশি ক্ষতিকর রাসায়নিকের সংস্পর্শে আসেন। এসব পদার্থ তাঁদের ফুসফুসের ক্ষতি করতে পারে। দ্রুত বর্ধনশীল শহরগুলোতে নারীরা সাধারণত উচ্চ ট্রাফিক এবং কারখানার দূষণের মধ্যে বসবাস করেন।
হরমোনের পরিবর্তন
জেনেটিক প্রবণতার পাশাপাশি নারীদের মধ্যে ক্যানসার কোষের বৃদ্ধির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে হরমোনের পরিবর্তন। ইস্ট্রোজেন হরমোনের রিসেপ্টর ফুসফুসের কোষে থাকে এবং কিছু পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, ইস্ট্রোজেন টিউমারের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে পারে। তবে, যারা হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি (এইচআরটি) নেন, তাঁদের মধ্যে ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি কম থাকে। অর্থাৎ স্বাভাবিক ইস্ট্রোজেন চক্র হয়তো কিছু পরিমাণে সুরক্ষা দিতে পারে।
এ ছাড়া, ইস্ট্রোজেন হরমোন দূষিত উপাদানগুলোর সংস্পর্শে এলে প্রদাহজনিত প্রতিক্রিয়ার তীব্রতা বাড়িয়ে দেয়, যা ফুসফুসের টিস্যুকে আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করে। এর ফলে ফুসফুসের ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ
জীনগত এবং হরমোনের কারণে ছাড়াও অধূমপায়ী নারীদের ফুসফুসের ক্যানসার হওয়ার আরেকটি কারণ হতে পারে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ।
নারীদের মধ্যে পুরুষের তুলনায় অটোইমিউন রোগ (যেমন: রিউমাটয়েড আর্থরাইটিস, লুপাস ইত্যাদি) হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এই ধরনের রোগগুলো শরীরের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বিকল করে দেয়, যা ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। যখন শরীরে দীর্ঘদিন ধরে প্রদাহ চলে, তখন তা কোষের ক্ষতি করতে পারে। ডিএনএ–তে পরিবর্তন ঘটিয়ে অস্বাভাবিক কোষ বিভাজনের মাধ্যমে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
বিশেষত, যেসব নারীর অটোইমিউন রোগ রয়েছে, তাদের মধ্যে ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি। কারণ ফুসফুসে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। ইনফ্ল্যামেটরি (প্রদাহজনিত) অণু যেমন, ইন্টারলিউকিন-৬ এবং টিউমার ‘নেক্রোসিস ফ্যাক্টর-আলফা’ ক্যানসারের কোষগুলোকে টিকে থাকতে এবং ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করে।
বিশ্বব্যাপী অটোইমিউন রোগ ক্রমেই বাড়ছে। সম্ভবত পরিবেশগত পরিবর্তন, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এবং গাট মাইক্রোবায়োমে (অন্ত্রের উপকারী অণুজীব) পরিবর্তনের জন্য এটি হচ্ছে। নারীদের মধ্যে অটোইমিউন রোগ বেশি হওয়ার কারণে তারা দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ থেকে সৃষ্ট ক্যানসারের জন্য আরও বেশি ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।
এ ছাড়া, গড় আয়ু বাড়ার কারণে নারীদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা আরও দীর্ঘসময় সক্রিয় থাকে, যা তাদের মধ্যে প্রদাহ-সংশ্লিষ্ট ক্যানসারে আক্রান্ত ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া, পরিবেশের দূষণ, গৃহস্থালির রাসায়নিক পদার্থ এবং কর্মস্থলে ক্ষতিকর উপাদানের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সংস্পর্শ ক্যানসারের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়।
জেনেটিক মিউটেশনের কারণে নারীরা প্রাকৃতিকভাবেই পুরুষদের তুলনায় বেশি ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন। তবে, বায়ুদূষণ বেড়ে যাওয়া, হরমোন ক্ষরণ চক্রের পরিবর্তন, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় ত্রুটি এবং আয়ু বৃদ্ধি এই ঝুঁকিগুলো আরও বাড়িয়ে তুলছে।
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, হিউম্যান প্যাপিলোমা (এইচপিভি) নামক একটি ভাইরাসও নারীদের ফুসফুসের ক্যানসারে ভূমিকা রাখতে পারে।

সরকারি মেডিকেল কলেজের সঙ্গে বেসরকারি মেডিকেল কলেজেও এমবিবিএস ডিগ্রিতে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন কমানো হয়েছে। মোট ৩৬৭টি আসন কমানো হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ সূত্রে আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিষয়টি জানা গেছে।
৮ ঘণ্টা আগে
দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজের আসনসংখ্যা পুনর্বিন্যাস করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্য থেকে ১৪টিতে আসন কমানো হয়েছে আর বাড়ানো হয়েছে তিনটিতে। অন্যান্য মেডিকেলের আসনসংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক...
১১ ঘণ্টা আগে
দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরও একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি মেডিকেল কলেজের সঙ্গে বেসরকারি মেডিকেল কলেজেও এমবিবিএস ডিগ্রিতে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন কমানো হয়েছে। মোট ৩৬৭টি আসন কমানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ সূত্রে আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিষয়টি জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ১০টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন কমানো হয়েছে। অন্যদিকে দুটি বেসরকারি কলেজে আসন বাড়ানো হয়েছে এবং একটি কলেজের নতুন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর উত্তরায় শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে ১৪০টি থেকে ১৫টি আসন কমানো হয়েছে। ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ১৫টি, কিশোরগঞ্জে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজে ৯৫টি থেকে ৪৫টি, ফরিদপুরে ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ৪০টি, গাজীপুরে সিটি মেডিকেল কলেজে ৮০ থেকে ৩০টি, রাজধানীতে মার্কস মেডিকেল কলেজে ৭০ থেকে ২০টি, ডেলটা মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ১৫টি, সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ১৫টি, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে ১০০ থেকে ৫০টি এবং এম এইচ শমরিতা মেডিকেল কলেজে ১১৫ থেকে ১৫টি আসন কমানো হয়েছে। এই ১০টি মেডিকেল কলেজ থেকে আসন কমানো হয়েছে ২৬০টি।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে ৬০টির সঙ্গে নতুন করে ২০টি আসন এবং খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজে পাঁচটি বাড়িয়ে ৫৫টি করা হয়েছে। এতে মোট আসন বাড়ানো হয়েছে ২৫টি।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ওই দুই মেডিকেল হলো—শরীয়তপুরের মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ ও মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর ভূঁইয়া মেডিকেল কলেজ। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে ভূঁইয়া মেডিকেল কলেজে ৫৭ ও মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজে ৫০টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো।
দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা কয়েক বছর আগে ৭০টির বেশি ছিল। ২০২৩ সালে ছয়টি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এরপর কয়েকটির অনুমোদনও বাতিল করা হয়। বর্তমানে দেশে ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। নতুন করে ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে বেসরকারি কলেজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬টিতে। নতুন ওই কলেজের আসনসংখ্যা ৫০। আজ রাতে অনুমোদনের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন।
চলতি অর্থবছরে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস শিক্ষার্থী ভর্তির আসন ৬ হাজার ২৯৩টি। আগামী শিক্ষাবর্ষে দুটি মেডিকেল কলেজে (১০৭টি আসন) ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত ও ১০টি মেডিকেলে কলেজে ২৬০টি আসন কমানোয় আসন কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯২৬টি। একই সঙ্গে ২৫টি আসন বাড়ায় ও নতুন করে ৫০টি আসন নিয়ে একটি কলেজের অনুমোদন হওয়ায় আসনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার একটি।

সরকারি মেডিকেল কলেজের সঙ্গে বেসরকারি মেডিকেল কলেজেও এমবিবিএস ডিগ্রিতে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন কমানো হয়েছে। মোট ৩৬৭টি আসন কমানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ সূত্রে আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিষয়টি জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ১০টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন কমানো হয়েছে। অন্যদিকে দুটি বেসরকারি কলেজে আসন বাড়ানো হয়েছে এবং একটি কলেজের নতুন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর উত্তরায় শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে ১৪০টি থেকে ১৫টি আসন কমানো হয়েছে। ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ১৫টি, কিশোরগঞ্জে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজে ৯৫টি থেকে ৪৫টি, ফরিদপুরে ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ৪০টি, গাজীপুরে সিটি মেডিকেল কলেজে ৮০ থেকে ৩০টি, রাজধানীতে মার্কস মেডিকেল কলেজে ৭০ থেকে ২০টি, ডেলটা মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ১৫টি, সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ১৫টি, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে ১০০ থেকে ৫০টি এবং এম এইচ শমরিতা মেডিকেল কলেজে ১১৫ থেকে ১৫টি আসন কমানো হয়েছে। এই ১০টি মেডিকেল কলেজ থেকে আসন কমানো হয়েছে ২৬০টি।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে ৬০টির সঙ্গে নতুন করে ২০টি আসন এবং খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজে পাঁচটি বাড়িয়ে ৫৫টি করা হয়েছে। এতে মোট আসন বাড়ানো হয়েছে ২৫টি।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ওই দুই মেডিকেল হলো—শরীয়তপুরের মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ ও মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর ভূঁইয়া মেডিকেল কলেজ। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে ভূঁইয়া মেডিকেল কলেজে ৫৭ ও মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজে ৫০টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো।
দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা কয়েক বছর আগে ৭০টির বেশি ছিল। ২০২৩ সালে ছয়টি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এরপর কয়েকটির অনুমোদনও বাতিল করা হয়। বর্তমানে দেশে ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। নতুন করে ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে বেসরকারি কলেজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬টিতে। নতুন ওই কলেজের আসনসংখ্যা ৫০। আজ রাতে অনুমোদনের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন।
চলতি অর্থবছরে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস শিক্ষার্থী ভর্তির আসন ৬ হাজার ২৯৩টি। আগামী শিক্ষাবর্ষে দুটি মেডিকেল কলেজে (১০৭টি আসন) ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত ও ১০টি মেডিকেলে কলেজে ২৬০টি আসন কমানোয় আসন কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯২৬টি। একই সঙ্গে ২৫টি আসন বাড়ায় ও নতুন করে ৫০টি আসন নিয়ে একটি কলেজের অনুমোদন হওয়ায় আসনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার একটি।

অধূমপায়ী ব্যক্তিদের ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার হার ক্রমাগত বাড়ছে। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে এই হার বেশি। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ক্যানসার বিষয়ক গবেষণা সংস্থা আইএআরসি–এর নতুন গবেষণায় এমন উদ্বেগজনক ফলাফল দেখা গেছে।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজের আসনসংখ্যা পুনর্বিন্যাস করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্য থেকে ১৪টিতে আসন কমানো হয়েছে আর বাড়ানো হয়েছে তিনটিতে। অন্যান্য মেডিকেলের আসনসংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক...
১১ ঘণ্টা আগে
দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরও একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজের আসনসংখ্যা পুনর্বিন্যাস করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্য থেকে ১৪টিতে আসন কমানো হয়েছে আর বাড়ানো হয়েছে তিনটিতে। অন্যান্য মেডিকেলের আসনসংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠান স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব (চিকিৎসা শিক্ষা-১) সঞ্জীব দাশ।
বিদ্যমান আসন পুনর্বিন্যাস করে ১৪টি প্রতিষ্ঠানের ৫ হাজার ৩৮০টি থেকে কমিয়ে ৫ হাজার ১০০টি আসন নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ ২৮০টি আসন কমানো হয়েছে। আর তিন প্রতিষ্ঠানে মোট আসন বেড়েছে ৭৫টি।
চিঠিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস কোর্সের বিদ্যমান আসন পুনর্বিন্যাস করা হলো।
চিঠি অনুযায়ী, দেশের প্রথম সারির পুরোনো আটটি মেডিকেল থেকে ২৫টি করে আসন কমানো হয়েছে। ২৫০ থেকে কমে এই আট প্রতিষ্ঠানে আসনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২৫-এ। এগুলো হলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, সিলেট এম এ জি ওসমানী, বরিশাল শেরেবাংলা, ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ ও রংপুর মেডিকেল কলেজ। এ ছাড়া শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজেও ২৩০ থেকে পাঁচটি কমিয়ে ২২৫টি আসন নির্ধারণ করা হয়েছে।
আর হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ থেকে ৫০টি এবং নেত্রকোনা, নীলফামারী, নওগাঁ, মাগুরা ও চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ থেকে ২৫টি করে কমিয়ে ৫০টি করে নির্ধারণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে আসনসংখ্যা বাড়ানো তিনটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে—গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ, টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ ও পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ। এর মধ্যে শহীদ তাজউদ্দীন ও টাঙ্গাইল মেডিকেলে ২৫ করে বাড়িয়ে আসন দাঁড়িয়েছে ১২৫টি আর পটুয়াখালী মেডিকেলে ২৫ বাড়িয়ে আসন নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০টি। অর্থাৎ তিন প্রতিষ্ঠানে মোট আসন ৭৫টি বেড়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে কুমিল্লা, খুলনা, বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান, ফরিদপুর ও দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ডিগ্রিতে আসনসংখ্যা ২০০ করে। আর ১০০ করে এই ডিগ্রির জন্য আসন রয়েছে পাবনা, নোয়াখালী, কক্সবাজার, যশোর, সাতক্ষীরা, কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া, জামালপুর ও মুগদা মেডিকেল কলেজে।
অপর দিকে ১২৫টি করে আসন রয়েছে গোপালগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজে। আর রাঙামাটি ও নীলফামারী মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ৭৫টি করে।

দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজের আসনসংখ্যা পুনর্বিন্যাস করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্য থেকে ১৪টিতে আসন কমানো হয়েছে আর বাড়ানো হয়েছে তিনটিতে। অন্যান্য মেডিকেলের আসনসংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠান স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব (চিকিৎসা শিক্ষা-১) সঞ্জীব দাশ।
বিদ্যমান আসন পুনর্বিন্যাস করে ১৪টি প্রতিষ্ঠানের ৫ হাজার ৩৮০টি থেকে কমিয়ে ৫ হাজার ১০০টি আসন নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ ২৮০টি আসন কমানো হয়েছে। আর তিন প্রতিষ্ঠানে মোট আসন বেড়েছে ৭৫টি।
চিঠিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস কোর্সের বিদ্যমান আসন পুনর্বিন্যাস করা হলো।
চিঠি অনুযায়ী, দেশের প্রথম সারির পুরোনো আটটি মেডিকেল থেকে ২৫টি করে আসন কমানো হয়েছে। ২৫০ থেকে কমে এই আট প্রতিষ্ঠানে আসনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২৫-এ। এগুলো হলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, সিলেট এম এ জি ওসমানী, বরিশাল শেরেবাংলা, ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ ও রংপুর মেডিকেল কলেজ। এ ছাড়া শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজেও ২৩০ থেকে পাঁচটি কমিয়ে ২২৫টি আসন নির্ধারণ করা হয়েছে।
আর হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ থেকে ৫০টি এবং নেত্রকোনা, নীলফামারী, নওগাঁ, মাগুরা ও চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ থেকে ২৫টি করে কমিয়ে ৫০টি করে নির্ধারণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে আসনসংখ্যা বাড়ানো তিনটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে—গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ, টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ ও পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ। এর মধ্যে শহীদ তাজউদ্দীন ও টাঙ্গাইল মেডিকেলে ২৫ করে বাড়িয়ে আসন দাঁড়িয়েছে ১২৫টি আর পটুয়াখালী মেডিকেলে ২৫ বাড়িয়ে আসন নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০টি। অর্থাৎ তিন প্রতিষ্ঠানে মোট আসন ৭৫টি বেড়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে কুমিল্লা, খুলনা, বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান, ফরিদপুর ও দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ডিগ্রিতে আসনসংখ্যা ২০০ করে। আর ১০০ করে এই ডিগ্রির জন্য আসন রয়েছে পাবনা, নোয়াখালী, কক্সবাজার, যশোর, সাতক্ষীরা, কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া, জামালপুর ও মুগদা মেডিকেল কলেজে।
অপর দিকে ১২৫টি করে আসন রয়েছে গোপালগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজে। আর রাঙামাটি ও নীলফামারী মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ৭৫টি করে।

অধূমপায়ী ব্যক্তিদের ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার হার ক্রমাগত বাড়ছে। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে এই হার বেশি। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ক্যানসার বিষয়ক গবেষণা সংস্থা আইএআরসি–এর নতুন গবেষণায় এমন উদ্বেগজনক ফলাফল দেখা গেছে।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সরকারি মেডিকেল কলেজের সঙ্গে বেসরকারি মেডিকেল কলেজেও এমবিবিএস ডিগ্রিতে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন কমানো হয়েছে। মোট ৩৬৭টি আসন কমানো হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ সূত্রে আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিষয়টি জানা গেছে।
৮ ঘণ্টা আগে
শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক...
১১ ঘণ্টা আগে
দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরও একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দেশের দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন। তবে তিনি কলেজ দুটির নাম তাৎক্ষণিক জানাননি।
অধিদপ্তরের চিকিৎসাশিক্ষা শাখার একাধিক কর্মকর্তা জানান, গতকাল রোববার স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ হতে যাওয়া দুই মেডিকেল কলেজ হলো—শরীয়তপুরের মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ ও মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর ভূঁইয়া মেডিকেল কলেজ। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা ও শিক্ষার পরিবেশ না থাকায় এই দুই মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বিদ্যমান শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম চলমান থাকবে।

শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দেশের দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন। তবে তিনি কলেজ দুটির নাম তাৎক্ষণিক জানাননি।
অধিদপ্তরের চিকিৎসাশিক্ষা শাখার একাধিক কর্মকর্তা জানান, গতকাল রোববার স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ হতে যাওয়া দুই মেডিকেল কলেজ হলো—শরীয়তপুরের মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ ও মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর ভূঁইয়া মেডিকেল কলেজ। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা ও শিক্ষার পরিবেশ না থাকায় এই দুই মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বিদ্যমান শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম চলমান থাকবে।

অধূমপায়ী ব্যক্তিদের ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার হার ক্রমাগত বাড়ছে। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে এই হার বেশি। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ক্যানসার বিষয়ক গবেষণা সংস্থা আইএআরসি–এর নতুন গবেষণায় এমন উদ্বেগজনক ফলাফল দেখা গেছে।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সরকারি মেডিকেল কলেজের সঙ্গে বেসরকারি মেডিকেল কলেজেও এমবিবিএস ডিগ্রিতে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন কমানো হয়েছে। মোট ৩৬৭টি আসন কমানো হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ সূত্রে আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিষয়টি জানা গেছে।
৮ ঘণ্টা আগে
দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজের আসনসংখ্যা পুনর্বিন্যাস করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্য থেকে ১৪টিতে আসন কমানো হয়েছে আর বাড়ানো হয়েছে তিনটিতে। অন্যান্য মেডিকেলের আসনসংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরও একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরও একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা কয়েক বছর আগে ৭০টির বেশি ছিল। পরে ২০২৩ সালে ছয়টি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এরপর কয়েকটির অনুমোদনও বাতিল করা হয়। বর্তমানে দেশে ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। নতুন করে আরও একটি কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
রুবীনা ইয়াসমীন বলেন, ৬৭টি মেডিকেল কলেজের মধ্যে দুটি কলেজে নতুন করে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ তারা ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না। তবে বিদ্যমান শিক্ষাবর্ষের একাডেমিক কার্যক্রম চলবে। এই হিসাবে দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬টিতে।
চিকিৎসাশিক্ষার মান নিয়ে বিতর্কের মধ্যে সরকার কেন নতুন করে একটি কলেজের অনুমোদন দিয়েছে—এমন প্রশ্নে তিনি জানান, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন অনুযায়ী শর্ত মেনে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই কলেজকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আজ সরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তির আসন কমানো হলেও বেসরকারি কলেজের আসন কমানো হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টিকে আসন পুনর্বিন্যাস বলছি। সরকারিতেই শুধু নয়, বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর মধ্যেও যেসব কলেজ বিভিন্ন শর্ত পূরণ করতে পারেনি, তাদেরও কমানো হয়েছে। শিগগির প্রকাশ করা হবে।’
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, নতুন মেডিকেল কলেজ অনুমোদনসহ আসন্ন এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নানা বিষয়ে সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন এই মেডিকেল কলেজে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকেই শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবেন। ৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এই মেডিকেলের কার্যক্রম শুরু হবে।

দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরও একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা কয়েক বছর আগে ৭০টির বেশি ছিল। পরে ২০২৩ সালে ছয়টি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এরপর কয়েকটির অনুমোদনও বাতিল করা হয়। বর্তমানে দেশে ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। নতুন করে আরও একটি কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
রুবীনা ইয়াসমীন বলেন, ৬৭টি মেডিকেল কলেজের মধ্যে দুটি কলেজে নতুন করে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ তারা ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না। তবে বিদ্যমান শিক্ষাবর্ষের একাডেমিক কার্যক্রম চলবে। এই হিসাবে দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬টিতে।
চিকিৎসাশিক্ষার মান নিয়ে বিতর্কের মধ্যে সরকার কেন নতুন করে একটি কলেজের অনুমোদন দিয়েছে—এমন প্রশ্নে তিনি জানান, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন অনুযায়ী শর্ত মেনে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই কলেজকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আজ সরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তির আসন কমানো হলেও বেসরকারি কলেজের আসন কমানো হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টিকে আসন পুনর্বিন্যাস বলছি। সরকারিতেই শুধু নয়, বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর মধ্যেও যেসব কলেজ বিভিন্ন শর্ত পূরণ করতে পারেনি, তাদেরও কমানো হয়েছে। শিগগির প্রকাশ করা হবে।’
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, নতুন মেডিকেল কলেজ অনুমোদনসহ আসন্ন এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নানা বিষয়ে সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন এই মেডিকেল কলেজে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকেই শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবেন। ৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এই মেডিকেলের কার্যক্রম শুরু হবে।

অধূমপায়ী ব্যক্তিদের ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার হার ক্রমাগত বাড়ছে। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে এই হার বেশি। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ক্যানসার বিষয়ক গবেষণা সংস্থা আইএআরসি–এর নতুন গবেষণায় এমন উদ্বেগজনক ফলাফল দেখা গেছে।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সরকারি মেডিকেল কলেজের সঙ্গে বেসরকারি মেডিকেল কলেজেও এমবিবিএস ডিগ্রিতে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন কমানো হয়েছে। মোট ৩৬৭টি আসন কমানো হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ সূত্রে আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিষয়টি জানা গেছে।
৮ ঘণ্টা আগে
দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজের আসনসংখ্যা পুনর্বিন্যাস করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্য থেকে ১৪টিতে আসন কমানো হয়েছে আর বাড়ানো হয়েছে তিনটিতে। অন্যান্য মেডিকেলের আসনসংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক...
১১ ঘণ্টা আগে