অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহ্রিয়া
আমাদের সম্পর্কগুলো মাঝে মাঝেই বিষাক্ত হয়ে ওঠে। বিভিন্ন কারণে যখন দুজনের মনে বিষবাষ্প জমে, তখন তৈরি হয় সম্পর্কের টানাপোড়েন। এই টানাপোড়েনে সম্পর্কের ইলাস্টিসিটি নষ্ট হতে থাকে। পুঞ্জীভূত বাষ্প উত্তপ্ত হলে সম্পর্ক দূষিত হয়ে যায়। কিন্তু কেন সম্পর্কে জমে বিষবাষ্প, তার কিছু কারণ খুঁজে পেয়েছেন গবেষকেরা। কারণগুলো হলো:
আমরা প্রত্যেকেই বিভিন্ন ধরনের সম্পর্কে যুক্ত আছি। কিন্তু ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতম সম্পর্কে যখন আমরা জড়াই, তখন একটা কথা ভুলে যাই যে আমরা প্রত্যেকে আলাদা আলাদা পরিবেশ থেকে এসেছি। আমাদের প্রত্যেকের বেড়ে ওঠার ধরন আলাদা। কাজেই এসব ব্যাপারে আমাদের মতের মিল হবে না, সেটাই স্বাভাবিক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শেষের কবিতায় চমৎকার বলেছেন, ‘ভালোবাসায় ট্র্যাজেডি সেখানেই ঘটে, যেখানে পরস্পরকে স্বতন্ত্র জেনে মানুষ সন্তুষ্ট থাকতে পারেনি–নিজের ইচ্ছা অন্যের ইচ্ছে করবার জন্য যেখানে জুলুম–যেখানে মনের কবি, আপন মনের মত করে বদলিয়ে অন্যকে সৃষ্টি করে।’
দুই.
এবার কথা এগোই, আসলেই সম্পর্কে যে পলি জমেছে, সেটা দূর করে ভালোবাসার নাব্যতা আমরা আনতে চাই কি না? যদি চাই, তাহলে খেয়াল করতে হবে, আমি কি একাই চাই? নাকি দুজনেই চাই? কারণ সম্পর্ক তৈরি হয় দুজন মানুষের যোগসূত্রে। একজন যদি তাঁর সর্বস্ব দিয়ে দেন, তাহলে তিনি মাত্র ৫০ শতাংশ অবদান রাখবেন সম্পর্কে। এই সম্পর্ক ডিটক্স বা বিষমুক্ত করতে চাইলে বিবেচনায় রাখতে হবে, আমি একা যতই চাই, তাতে মাত্র ৫০ শতাংশ পরিশোধন হবে। আবার নিজের চোখে আয়না ধরাটা এ ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই সম্পর্কের আয়নায় আমার চেহারাটা কী? আমি কি নিজেকেও ডিটক্স করব? নাকি শুধু প্রত্যাশা করব জীবনসঙ্গী ডিটক্স হবেন কিন্তু আমি বদলাব না? অধিকাংশ সময় আমরা আত্মকেন্দ্রিক থাকি অবচেতনভাবে। কাজেই এসব ক্ষেত্রে একজন নিরপেক্ষ পেশাদার কাউন্সেলর বা সাইকোথেরাপিস্টের কাছে গেলে আন্তসম্পর্ক কোথায় কোথায় জট পাকিয়েছে, সেগুলো বোঝা সহজ হয়ে যায়।
তিন.
প্রত্যেক মানুষের একটি নির্দিষ্ট লাইফ পজিশন থাকে। এটাকে চারটা ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথম ভাগ আমি ঠিক, তুমিও ঠিক। যেখান থেকে পরস্পরের সীমাবদ্ধতাকে মেনে নিয়ে শ্রদ্ধায় পরস্পরকে ছাড় দেওয়া হয়। এই অন্যজনের মর্যাদা রেখে তার সীমাবদ্ধতাকে গ্রহণ করা, মতের অমিল হওয়া সত্ত্বেও যেকোনো আন্তসম্পর্ক ডিটক্স করার পূর্বশর্ত।
যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি সেটা গ্রহণে রাজি, ততক্ষণ পর্যন্ত বিষাক্ত বাষ্প আপনাকে নীলকণ্ঠ করবে। লাইভ পজিশনের বাকি তিনটি অংশ, যেমন–
অবচেতনে মানুষ এভাবেও নিজেদের পরিচালিত করতে পারে। আবার আন্তসম্পর্কে তৃতীয় পক্ষ ক্ষেত্রবিশেষে ঢুকে যেতে পারে। তখন ডিটক্স প্রক্রিয়া আরও কঠিন হয়ে যায়।
যা করতে হবে
লেখক: চিকিৎসক ও সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার, ঢাকা
আমাদের সম্পর্কগুলো মাঝে মাঝেই বিষাক্ত হয়ে ওঠে। বিভিন্ন কারণে যখন দুজনের মনে বিষবাষ্প জমে, তখন তৈরি হয় সম্পর্কের টানাপোড়েন। এই টানাপোড়েনে সম্পর্কের ইলাস্টিসিটি নষ্ট হতে থাকে। পুঞ্জীভূত বাষ্প উত্তপ্ত হলে সম্পর্ক দূষিত হয়ে যায়। কিন্তু কেন সম্পর্কে জমে বিষবাষ্প, তার কিছু কারণ খুঁজে পেয়েছেন গবেষকেরা। কারণগুলো হলো:
আমরা প্রত্যেকেই বিভিন্ন ধরনের সম্পর্কে যুক্ত আছি। কিন্তু ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতম সম্পর্কে যখন আমরা জড়াই, তখন একটা কথা ভুলে যাই যে আমরা প্রত্যেকে আলাদা আলাদা পরিবেশ থেকে এসেছি। আমাদের প্রত্যেকের বেড়ে ওঠার ধরন আলাদা। কাজেই এসব ব্যাপারে আমাদের মতের মিল হবে না, সেটাই স্বাভাবিক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শেষের কবিতায় চমৎকার বলেছেন, ‘ভালোবাসায় ট্র্যাজেডি সেখানেই ঘটে, যেখানে পরস্পরকে স্বতন্ত্র জেনে মানুষ সন্তুষ্ট থাকতে পারেনি–নিজের ইচ্ছা অন্যের ইচ্ছে করবার জন্য যেখানে জুলুম–যেখানে মনের কবি, আপন মনের মত করে বদলিয়ে অন্যকে সৃষ্টি করে।’
দুই.
এবার কথা এগোই, আসলেই সম্পর্কে যে পলি জমেছে, সেটা দূর করে ভালোবাসার নাব্যতা আমরা আনতে চাই কি না? যদি চাই, তাহলে খেয়াল করতে হবে, আমি কি একাই চাই? নাকি দুজনেই চাই? কারণ সম্পর্ক তৈরি হয় দুজন মানুষের যোগসূত্রে। একজন যদি তাঁর সর্বস্ব দিয়ে দেন, তাহলে তিনি মাত্র ৫০ শতাংশ অবদান রাখবেন সম্পর্কে। এই সম্পর্ক ডিটক্স বা বিষমুক্ত করতে চাইলে বিবেচনায় রাখতে হবে, আমি একা যতই চাই, তাতে মাত্র ৫০ শতাংশ পরিশোধন হবে। আবার নিজের চোখে আয়না ধরাটা এ ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই সম্পর্কের আয়নায় আমার চেহারাটা কী? আমি কি নিজেকেও ডিটক্স করব? নাকি শুধু প্রত্যাশা করব জীবনসঙ্গী ডিটক্স হবেন কিন্তু আমি বদলাব না? অধিকাংশ সময় আমরা আত্মকেন্দ্রিক থাকি অবচেতনভাবে। কাজেই এসব ক্ষেত্রে একজন নিরপেক্ষ পেশাদার কাউন্সেলর বা সাইকোথেরাপিস্টের কাছে গেলে আন্তসম্পর্ক কোথায় কোথায় জট পাকিয়েছে, সেগুলো বোঝা সহজ হয়ে যায়।
তিন.
প্রত্যেক মানুষের একটি নির্দিষ্ট লাইফ পজিশন থাকে। এটাকে চারটা ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথম ভাগ আমি ঠিক, তুমিও ঠিক। যেখান থেকে পরস্পরের সীমাবদ্ধতাকে মেনে নিয়ে শ্রদ্ধায় পরস্পরকে ছাড় দেওয়া হয়। এই অন্যজনের মর্যাদা রেখে তার সীমাবদ্ধতাকে গ্রহণ করা, মতের অমিল হওয়া সত্ত্বেও যেকোনো আন্তসম্পর্ক ডিটক্স করার পূর্বশর্ত।
যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি সেটা গ্রহণে রাজি, ততক্ষণ পর্যন্ত বিষাক্ত বাষ্প আপনাকে নীলকণ্ঠ করবে। লাইভ পজিশনের বাকি তিনটি অংশ, যেমন–
অবচেতনে মানুষ এভাবেও নিজেদের পরিচালিত করতে পারে। আবার আন্তসম্পর্কে তৃতীয় পক্ষ ক্ষেত্রবিশেষে ঢুকে যেতে পারে। তখন ডিটক্স প্রক্রিয়া আরও কঠিন হয়ে যায়।
যা করতে হবে
লেখক: চিকিৎসক ও সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার, ঢাকা
গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্লাস্টিক পণ্যে রয়েছে ‘থ্যালেটস’ (Phthalates) নামক রাসায়নিক পদার্থ। আর এই থ্যালেটস কোনো নির্বিরোধী রাসায়নিক উপাদান নয়। এর কারণে মৃত্যুর ঘটনা অনেক বেশি। থ্যালেটসের সংস্পর্শে আসার কারণে ২০১৮ সালে বিশ্বব্যাপী ৩ লাখ ৫৬ হাজারেরও বেশি মানুষের হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবর
১১ ঘণ্টা আগেপুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের সিটি স্ক্যান মেশিনের ফিল্মসংকট দেখা দিয়েছে। এতে সিটি স্ক্যান করার প্রয়োজন এমন রোগী ও তাঁদের স্বজনদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে যাঁদের জরুরি ভিত্তিতে সিটি স্ক্যান করা প্রয়োজন, তাঁরা পড়ছেন সবচেয়ে বেশি...
১ দিন আগেআশার কথা হলো, পরিবর্তন আসছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক যুগান্তকারী পরীক্ষায় দেখা গেছে, তীব্রভাবে চিনাবাদামের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত দুই-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ককে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে চিনাবাদাম খাইয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় আনা সম্ভব হয়েছে।
১ দিন আগেঅতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার বা ‘আল্ট্রা প্রসেসড ফুড’ (ইউপিএফ) বেশি খাওয়ার কারণে শুধু স্থূলতা, হতাশা, ডায়াবেটিস কিংবা হৃদরোগই নয়, বাড়ছে অকালমৃত্যুর ঝুঁকিও। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এই ধরনের খাবার খাওয়ার কারণে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু ঘটছে।
১ দিন আগে