নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নারী মৃত্যুর দিক থেকে সারা বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে স্তন ক্যানসার। তবে বাংলাদেশে এর অবস্থান প্রথম। এর কারণ বাংলাদেশে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয় হচ্ছে স্টেজ ফোর বা একেবারে শেষ পর্যায়ে গিয়ে। বাংলাদেশে স্ক্রিনিংয়ের অভাবে স্তন ক্যানসারে রোগী মৃত্যুর হার ভয়াবহ।
আজ বুধবার জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে ‘স্তন ক্যানসার সচেতনতা: গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। স্তন ক্যানসার সচেতনতা মাস উপলক্ষে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক নূরুন নাহার হেনা। তিনি বলেন, প্রতিবছর ১৫ হাজারের বেশি মানুষ ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছে। সচেতনতার অভাবেই এমনটা হচ্ছে। সচেতনতা বৃদ্ধি করতে না পারলে দিনের পর দিন এটা বেড়েই যাবে। আমাদের মেয়েরা স্তন শব্দটা বলতেই লজ্জাবোধ করে। যে কারণে কানসারে আক্রান্ত হওয়ার পরেও তারা বিষয়টি নিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলতে পারে না। যখন করার কিছুই থাকে না, তখন ডাক্তারের কাছে যায়। এ অবস্থা পরিবর্তনে তৃণমূল পর্যায় থেকে সবাইকে কাজ করতে হবে।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত কর কমিশনার এবং বিএসসিএফের (ব্লু স্কাই চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান উপদেষ্টা আয়েশা সিদ্দিকা শেলী। তিনি বলেন, বিশ্বে প্রতি মিনিটে আটজন নারীর মধ্যে একজন নারী এই রোগের ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে এটা সম্পূর্ণ নিরাময় হয়। স্তন ক্যানসার মূলত নারীদের রোগ। তবে এক শতাংশ পুরুষও এতে আক্রান্ত হয়। উন্নত দেশগুলোতে চল্লিশ বছর বয়সের পর নারীদের স্তন ক্যানসার স্ক্রিনিং বাধ্যতামূলক। তবে বাংলাদেশ এমন কোনো ব্যবস্থা নেই।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, নারী স্বাস্থ্যের প্রতি উদাসীনতার কারণে স্তন ক্যানসারে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। চল্লিশ বছর বয়স থেকে বাধ্যতামূলকভাবে সবাইকে স্ক্রিনিংয়ের আওতায় আনার পরামর্শ দেন তাঁরা। বক্তারা জানান, আর্থিক অসচ্ছলতা স্তন ক্যানসারে মৃত্যুর একটা বড় কারণ। অপারেশন, রেডিওথেরাপিসহ ক্যানসারের যেকোনো চিকিৎসা ব্যয়বহুল। তাই স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের জন্য বাজেটে আলাদা বরাদ্দ রাখার আহ্বান জানান তাঁরা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. এ জেড. মাহমুদুল হাসান বলেন, স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত নারীরা শারীরিক জটিলতার পাশাপাশি মেন্টাল ট্রমায়ও আক্রান্ত হয়। এই ক্যানসারের চিকিৎসা ব্যবস্থা মূলত ঢাকা কেন্দ্রিক। লম্বা সময় কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি দিতে হয়। সমস্ত কাজ ফেলে ঢাকায় হাসপাতালে পড়ে থাকতে হয় রোগীকে। রোগীর সঙ্গে তার স্বামী বা কাউকে থাকতে হয়। ফলে সাধারণ নিম্ন আয়ের পরিবারের আয়ের পথও বন্ধ থাকে। এ জন্য দেশের আট বিভাগে সমন্বিতভাবে স্তন ক্যানসার চিকিৎসার ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান তিনি।
কর্মশালায় জানানো হয়, ২০ বছর থেকেই নারীদের নিজেদের স্তন পরীক্ষা করা উচিত। ৩০ বা তার বেশি বয়সের নারীদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে নিয়মিত স্তন ক্যানসার ঝুঁকির বিষয়ে পরামর্শ নিতে হবে। ৪০-৫৪ বছরের নারীদের প্রতি বছর একবার স্তনের আল্ট্রাসনোগ্রাম বা ম্যামোগ্রাম করতে হবে। আর ৫৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের প্রত্যেক দুই বছর পরপর ম্যামোগ্রাম বা আল্ট্রাসনোগ্রাম করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তারা গণমাধ্যমে নাটিকা প্রচার এবং দেশের তৃণমূল পর্যায়ে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে স্তন ক্যানসারের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান।
নারী মৃত্যুর দিক থেকে সারা বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে স্তন ক্যানসার। তবে বাংলাদেশে এর অবস্থান প্রথম। এর কারণ বাংলাদেশে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয় হচ্ছে স্টেজ ফোর বা একেবারে শেষ পর্যায়ে গিয়ে। বাংলাদেশে স্ক্রিনিংয়ের অভাবে স্তন ক্যানসারে রোগী মৃত্যুর হার ভয়াবহ।
আজ বুধবার জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে ‘স্তন ক্যানসার সচেতনতা: গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। স্তন ক্যানসার সচেতনতা মাস উপলক্ষে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক নূরুন নাহার হেনা। তিনি বলেন, প্রতিবছর ১৫ হাজারের বেশি মানুষ ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছে। সচেতনতার অভাবেই এমনটা হচ্ছে। সচেতনতা বৃদ্ধি করতে না পারলে দিনের পর দিন এটা বেড়েই যাবে। আমাদের মেয়েরা স্তন শব্দটা বলতেই লজ্জাবোধ করে। যে কারণে কানসারে আক্রান্ত হওয়ার পরেও তারা বিষয়টি নিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলতে পারে না। যখন করার কিছুই থাকে না, তখন ডাক্তারের কাছে যায়। এ অবস্থা পরিবর্তনে তৃণমূল পর্যায় থেকে সবাইকে কাজ করতে হবে।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত কর কমিশনার এবং বিএসসিএফের (ব্লু স্কাই চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান উপদেষ্টা আয়েশা সিদ্দিকা শেলী। তিনি বলেন, বিশ্বে প্রতি মিনিটে আটজন নারীর মধ্যে একজন নারী এই রোগের ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে এটা সম্পূর্ণ নিরাময় হয়। স্তন ক্যানসার মূলত নারীদের রোগ। তবে এক শতাংশ পুরুষও এতে আক্রান্ত হয়। উন্নত দেশগুলোতে চল্লিশ বছর বয়সের পর নারীদের স্তন ক্যানসার স্ক্রিনিং বাধ্যতামূলক। তবে বাংলাদেশ এমন কোনো ব্যবস্থা নেই।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, নারী স্বাস্থ্যের প্রতি উদাসীনতার কারণে স্তন ক্যানসারে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। চল্লিশ বছর বয়স থেকে বাধ্যতামূলকভাবে সবাইকে স্ক্রিনিংয়ের আওতায় আনার পরামর্শ দেন তাঁরা। বক্তারা জানান, আর্থিক অসচ্ছলতা স্তন ক্যানসারে মৃত্যুর একটা বড় কারণ। অপারেশন, রেডিওথেরাপিসহ ক্যানসারের যেকোনো চিকিৎসা ব্যয়বহুল। তাই স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের জন্য বাজেটে আলাদা বরাদ্দ রাখার আহ্বান জানান তাঁরা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. এ জেড. মাহমুদুল হাসান বলেন, স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত নারীরা শারীরিক জটিলতার পাশাপাশি মেন্টাল ট্রমায়ও আক্রান্ত হয়। এই ক্যানসারের চিকিৎসা ব্যবস্থা মূলত ঢাকা কেন্দ্রিক। লম্বা সময় কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি দিতে হয়। সমস্ত কাজ ফেলে ঢাকায় হাসপাতালে পড়ে থাকতে হয় রোগীকে। রোগীর সঙ্গে তার স্বামী বা কাউকে থাকতে হয়। ফলে সাধারণ নিম্ন আয়ের পরিবারের আয়ের পথও বন্ধ থাকে। এ জন্য দেশের আট বিভাগে সমন্বিতভাবে স্তন ক্যানসার চিকিৎসার ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান তিনি।
কর্মশালায় জানানো হয়, ২০ বছর থেকেই নারীদের নিজেদের স্তন পরীক্ষা করা উচিত। ৩০ বা তার বেশি বয়সের নারীদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে নিয়মিত স্তন ক্যানসার ঝুঁকির বিষয়ে পরামর্শ নিতে হবে। ৪০-৫৪ বছরের নারীদের প্রতি বছর একবার স্তনের আল্ট্রাসনোগ্রাম বা ম্যামোগ্রাম করতে হবে। আর ৫৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের প্রত্যেক দুই বছর পরপর ম্যামোগ্রাম বা আল্ট্রাসনোগ্রাম করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তারা গণমাধ্যমে নাটিকা প্রচার এবং দেশের তৃণমূল পর্যায়ে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে স্তন ক্যানসারের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান।
মাইক্রোপ্লাস্টিক এখন এতটাই ছড়িয়ে পড়েছে যে আমরা তা খাচ্ছি, পান করছি আর নিশ্বাসের সঙ্গে টানছি। ফলে এগুলো আমাদের মল, প্লাসেন্টা, প্রজনন অঙ্গ এমনকি মস্তিষ্কেও পাওয়া যাচ্ছে। এবার জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে তৈরি ৫ মিলিমিটারের চেয়েও ছোট আকারের কণা আমাদের হাড়ের ভেতর গভীর পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৩৭৪ জন। আজ শনিবার (৪ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
১ দিন আগেসুষম খাবারের প্রধান ছয়টি উপাদানের অন্যতম হলো ভিটামিন। যেমন ভিটামিন এ, বি, সি, ডি, ই, কে। তবে ভিটামিন শরীরের জন্য এমন একটি উপাদান, যা পরিমাণে কম লাগে; কিন্তু এর কাজ অনেক বেশি। এই ভিটামিনের অভাব হলে বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া শরীরে দেখা দেয়। শরীরে প্রতিটি ভিটামিনের আলাদা আলাদা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা...
১ দিন আগেখালি পেটে মসলা খেলে পেটে অম্ল তৈরি হয়। এতে গ্যাস ও বুক জ্বালার মতো সমস্যা হতে পারে। শুধু এটিই নয়, এই অভ্যাস একসময় সরাসরি কিডনিতেও প্রভাব ফেলতে পারে।
১ দিন আগে