শরীরে তরলের পরিমাণ পর্যাপ্ত থাকাটা খুবই জরুরি। বিভিন্ন শরীরবৃত্তীয় কাজের ক্ষেত্রে এটি সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এ কথা আগে থেকেই জানা ছিল। কিন্তু এবার বিজ্ঞানীরা বলছেন, শরীরে তরলের পরিমাণের সঙ্গে যোগ রয়েছে হৃদ্যন্ত্রেরও। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল থাকলে হৃদ্যন্ত্র ভালো থাকে বলে জানাচ্ছেন গবেষকেরা।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের এক দল গবেষক সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছেন। তাঁদের গবেষণালব্ধ ফলাফল ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নালে প্রকাশ হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নিয়মিতভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল গ্রহণ শুধু শরীরবৃত্তিয় নানা কাজের জন্যই নয়, এটি ভবিষ্যতে হৃদ্যন্ত্রের বড় ধরনের সংকটের ঝুঁকিও কমায়।
অনলাইনভিত্তিক গবেষণা পত্রিকা সায়েন্সডেইলির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের বহু মানুষ হৃদ্যন্ত্রের সমস্যায় ভোগে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে হার্ট ফেইলর। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই ৬২ লাখ লোক এ সংকটে ভুগছে, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার ২ শতাংশের কিছু বেশি।
কথা হলো হার্ট ফেইলর বলতে আদতে কী বোঝায়? এমনিতে ‘হার্ট ফেইলে’ মারা গেছে বলে নানা সময় শোনা যায়। এটা খুবই প্রচলিত। কিন্তু এর অর্থ কী? হার্ট ফেইলর হওয়া মানেই কি মৃত্যু? না, মৃত্যু এ সংকটের চূড়ান্ত ধাপ। সাধারণত হৃদ্যন্ত্র যখন শরীরে পর্যাপ্ত রক্ত সঞ্চালনের ক্ষমতা হারায়, তখনই তাকে ‘হৃদয়ের ব্যর্থতা’ বা হার্ট ফেইলর হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। এরই চূড়ান্ত পর্যায়ে অপেক্ষা করে মৃত্যু।
গবেষক দলটির নেতৃত্ব দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হার্ট, লাং অ্যান্ড ব্লাড ইনস্টিটিউটের (এনএইচএলবিআই) ল্যাবরেটরি অব কার্ডিওভাসকুলার রিজেনারেটিভ মেডিসিনের গবেষক নাতালিয়া দিমিত্রিয়েভা। তাঁর মতে, হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে লবণ খাওয়ার পরিমাণ কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। ঠিক একই রকমের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো শরীরে পর্যাপ্ত তরলের উপস্থিতি নিশ্চিত করা। এ জন্য নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি পান জরুরি।
দিমিত্রিয়েভা ও তাঁর দল ১৯৮৭ থেকে ১৯৮৯ সাল সময়ে হৃদ্রোগ সংক্রান্ত গবেষণায় অংশ নেওয়া ৪৫ থেকে ৬৬ বছর বয়সী ১৫ হাজার ব্যক্তির তথ্য সন্নিবেশিত করা হয়। এতে দেখা যায়, শরীরে তরলের পরিমাণ কমে গেলে হৃদপেশি শক্ত হয়ে যেতে পারে। আর তেমনটি হলে রক্ত পাম্প করায় হৃদ্যন্ত্রের সক্ষমতা কমতে থাকে। অর্থাৎ, হার্ট ফেইলরের ঝুঁকি বাড়তে থাকে।
গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ডায়াবেটিস, স্থূলতা বা হার্ট ফেইলরের কোনো লক্ষণ ছিল না। গবেষকেরা অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের তরল গ্রহণের প্রবণতার সঙ্গে তাঁদের শারীরিক এই বিষয়গুলোর সংযোগের বিষয়টি বিশ্লেষণ করেন। গবেষণার চূড়ান্ত পর্যায়ে অংশ নেন ১১ হাজার ৮১৪ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ৩৬৬ জনের মধ্যে হার্ট ফেইলরের প্রবণতা তৈরি হয় পরে। উল্লিখিত এই ব্যক্তিদের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, তাঁরা পর্যাপ্ত তরল গ্রহণ করতেন না।
শরীরে তরলের পরিমাণ পর্যাপ্ত থাকাটা খুবই জরুরি। বিভিন্ন শরীরবৃত্তীয় কাজের ক্ষেত্রে এটি সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এ কথা আগে থেকেই জানা ছিল। কিন্তু এবার বিজ্ঞানীরা বলছেন, শরীরে তরলের পরিমাণের সঙ্গে যোগ রয়েছে হৃদ্যন্ত্রেরও। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল থাকলে হৃদ্যন্ত্র ভালো থাকে বলে জানাচ্ছেন গবেষকেরা।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের এক দল গবেষক সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছেন। তাঁদের গবেষণালব্ধ ফলাফল ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নালে প্রকাশ হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নিয়মিতভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল গ্রহণ শুধু শরীরবৃত্তিয় নানা কাজের জন্যই নয়, এটি ভবিষ্যতে হৃদ্যন্ত্রের বড় ধরনের সংকটের ঝুঁকিও কমায়।
অনলাইনভিত্তিক গবেষণা পত্রিকা সায়েন্সডেইলির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের বহু মানুষ হৃদ্যন্ত্রের সমস্যায় ভোগে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে হার্ট ফেইলর। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই ৬২ লাখ লোক এ সংকটে ভুগছে, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার ২ শতাংশের কিছু বেশি।
কথা হলো হার্ট ফেইলর বলতে আদতে কী বোঝায়? এমনিতে ‘হার্ট ফেইলে’ মারা গেছে বলে নানা সময় শোনা যায়। এটা খুবই প্রচলিত। কিন্তু এর অর্থ কী? হার্ট ফেইলর হওয়া মানেই কি মৃত্যু? না, মৃত্যু এ সংকটের চূড়ান্ত ধাপ। সাধারণত হৃদ্যন্ত্র যখন শরীরে পর্যাপ্ত রক্ত সঞ্চালনের ক্ষমতা হারায়, তখনই তাকে ‘হৃদয়ের ব্যর্থতা’ বা হার্ট ফেইলর হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। এরই চূড়ান্ত পর্যায়ে অপেক্ষা করে মৃত্যু।
গবেষক দলটির নেতৃত্ব দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হার্ট, লাং অ্যান্ড ব্লাড ইনস্টিটিউটের (এনএইচএলবিআই) ল্যাবরেটরি অব কার্ডিওভাসকুলার রিজেনারেটিভ মেডিসিনের গবেষক নাতালিয়া দিমিত্রিয়েভা। তাঁর মতে, হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে লবণ খাওয়ার পরিমাণ কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। ঠিক একই রকমের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো শরীরে পর্যাপ্ত তরলের উপস্থিতি নিশ্চিত করা। এ জন্য নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি পান জরুরি।
দিমিত্রিয়েভা ও তাঁর দল ১৯৮৭ থেকে ১৯৮৯ সাল সময়ে হৃদ্রোগ সংক্রান্ত গবেষণায় অংশ নেওয়া ৪৫ থেকে ৬৬ বছর বয়সী ১৫ হাজার ব্যক্তির তথ্য সন্নিবেশিত করা হয়। এতে দেখা যায়, শরীরে তরলের পরিমাণ কমে গেলে হৃদপেশি শক্ত হয়ে যেতে পারে। আর তেমনটি হলে রক্ত পাম্প করায় হৃদ্যন্ত্রের সক্ষমতা কমতে থাকে। অর্থাৎ, হার্ট ফেইলরের ঝুঁকি বাড়তে থাকে।
গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ডায়াবেটিস, স্থূলতা বা হার্ট ফেইলরের কোনো লক্ষণ ছিল না। গবেষকেরা অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের তরল গ্রহণের প্রবণতার সঙ্গে তাঁদের শারীরিক এই বিষয়গুলোর সংযোগের বিষয়টি বিশ্লেষণ করেন। গবেষণার চূড়ান্ত পর্যায়ে অংশ নেন ১১ হাজার ৮১৪ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ৩৬৬ জনের মধ্যে হার্ট ফেইলরের প্রবণতা তৈরি হয় পরে। উল্লিখিত এই ব্যক্তিদের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, তাঁরা পর্যাপ্ত তরল গ্রহণ করতেন না।
বিশ্বের অন্যতম নিষ্ঠুর ও ধ্বংসাত্মক স্নায়বিক অসুখ হান্টিংটন রোগের প্রথম সফল চিকিৎসার ঘোষণা দিলেন চিকিৎসকেরা। এই রোগ বংশানুক্রমে এবং পরিবার থেকে পরিবারে ছড়িয়ে পড়ে। এটি মস্তিষ্কের কোষ ধ্বংস করে এবং একই সঙ্গে ডিমেনশিয়া, পারকিনসন ও মোটর নিউরন রোগের মতো উপসর্গ তৈরি করে।
২ দিন আগেডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। সবাই ঢাকার হাসপাতালে মারা গেছে। আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এসব তথ্য জানিয়েছে।
২ দিন আগেএডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু ভাইরাস দেশের জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রথম দিকে এর বিস্তার মূলত নগরাঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকলেও গত পাঁচ বছরে কম-বেশি দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বব্যাপী গণপরিসরে কার্যকর প্রতিষেধক না থাকায় রোগী ও মৃত্যুহার কমানোর...
২ দিন আগেদেশে বর্তমানে যেসব ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাচ্ছে, তাদের বেশির ভাগের মৃত্যুর কারণ শক সিনড্রোম। এসব রোগীর অর্ধেকের বেশি মারা যাচ্ছে হাসপাতালে ভর্তির এক দিনের মধ্যে। দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আজ সোমবার বিকেলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর...
৪ দিন আগে