
সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই খাদ্য থেকেই অর্জন করি আমরা। তবে এই ধারণাটি ভুল বলে ব্যাখ্যা করলেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা হয়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
এই নতুন গবেষণাটি ‘অ্যাডভান্সড ইন নিউট্রিশন’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় শ্বাসের মাধ্যমে শোষিত পুষ্টিগুলোকে ‘অ্যারোনিউট্রিয়েন্টস’ বলে অভিহিত করা হয়। এগুলো গ্যাস্ট্রোনিউট্রিয়েন্টস থেকে ভিন্ন, যেগুলো অন্ত্রের মাধ্যমে শোষিত হয়।
খাদ্যের গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান যেমন আয়োডিন, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ এবং কিছু ভিটামিন শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করতে পারে। মানুষ প্রতিদিন প্রায় ৯ হাজার লিটার বায়ু শ্বাস নেওয়ার মাধ্যমে গ্রহণ করে এবং আর জীবনব্যাপী প্রায় ৪৩৮ মিলিয়ন লিটার বায়ু। জীবনের কোনো পর্যায়ে শ্বাস নেওয়া কখনোই থামে না। বায়ুর উপাদানগুলো এমনকি খুব ক্ষুদ্র ঘনত্বের হলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এগুলো শরীরে প্রভাব ফেলতে পারে।
এ পর্যন্ত স্বাস্থ্যের ওপর বায়ুর প্রভাব নিয়ে বেশিরভাগ গবেষণায় ‘দূষণ’–কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নতুন গবেষণার মূল লক্ষ্য হচ্ছে—বায়ুর ক্ষতিকর উপাদানগুলো ফিল্টার করে, যা উপকারী হতে পারে তা খোঁজা। এ ছাড়া একটি একক শ্বাসে পুষ্টির পরিমাণ এত ক্ষুদ্র হওয়ার কারণে কখনো একে গুরুত্বপূর্ণ বলে এর আগের গবেষণাগুলোয় মনে করা হয়নি।
বহু বছর ধরে বিভিন্ন সংস্কৃতিতে বিশুদ্ধ বাতাসকে স্বাস্থ্যকর হিসেবে মূল্যায়ন করেছে। নতুন গবেষণাটি দেখায় যে, এই ধারণা বিজ্ঞান দ্বারা সমর্থিত। উদাহরণস্বরূপ, অক্সিজেন একটি পুষ্টি উপাদান যা ‘শরীরের মৌলিক কার্যক্রম বজায় রাখতে প্রয়োজন’। তবে এটি খাওয়ার বদলে আমরা শ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করি।
নাক, ফুসফুস, গন্ধ শনাক্তকরণের এলাকা (অলফ্যাকটরি এপিথেলিয়াম) এবং মুখগহ্বর এর রক্তনালীর সূক্ষ্ম নেটওয়ার্কের মাধ্যমে শোষিত হয়ে মানুষের দেহে প্রবেশ করে অ্যারোনিউট্রিয়েন্টস।
অন্ত্রের চেয়ে ২৬০ গুণ বড় আকারের অণু শোষণ করতে পারে ফুসফুস। এই অণুগুলো অক্ষত অবস্থায় রক্তপ্রবাহ এবং মস্তিষ্কে শোষিত হয়।
শ্বাসের মাধ্যমে নেওয়া ড্রাগগুলো (যেমন কোকেইন, নিকোটিন) শরীরে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে প্রবেশ করে। মুখে খাওয়ার বদলে শ্বাসের মাধ্যমে নেওয়ার ফলে এগুলো কম ঘনত্বেও বেশি কার্যকারী।
এ ছাড়া এনজাইম এবং অ্যাসিডের মাধ্যমে অন্ত্র বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থকে তাদের ক্ষুদ্রতম অংশে ভেঙে দেয়। একবার যখন এই উপাদানগুলো রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করে, তখন সেগুলো লিভার বা যকৃতের মাধ্যমে বিপাক ও নির্বিষ হয়।
স্টার্চ, শর্করা এবং অ্যামিনো অ্যাসিড খুব দক্ষভাবে শোষণ করে অন্ত্র। তবে কিছু বিশেষ ধরনের ওষুধ শোষণে অন্ত্র ততটা দক্ষ নয়। মূলত, বিজ্ঞানীরা ক্রমাগত এমন ওষুধ তৈরি করতে কাজ করছেন, যাতে সেগুলো কার্যকরভাবে মুখের মাধ্যমে গ্রহণ করা যায়।
১৯৬০-এর দশকের একটি গবেষণায় দেখা যায়, যারা কাপড় ধোয়ার পেশায় নিয়োজিত ছিল তারা অনেক বেশি আয়োডিনের সংস্পর্শে আসতেন। আর তাদের রক্ত এবং মূত্রে আয়োডিনের মাত্রা বেশি ছিল।
সম্প্রতি সাগরের শৈবাল সমৃদ্ধ উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারী স্কুলগামী শিশুদের ওপর গবেষণা করেছেন আয়ারল্যান্ডের গবেষকেরা। সেই অঞ্চলে বায়ুতে আয়োডিন গ্যাসের স্তর অনেক বেশি ছিল। এই শিশুদের মূত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি আয়োডিন পাওয়া গেছে। অপরদিকে যারা কম শৈবালযুক্ত উপকূলীয় বা গ্রামীণ এলাকায় বাস করছিল তাদের মূত্রে আয়োডিনের মাত্রা কম ছিল। তবে উভয় অঞ্চলের শিশুরা যেসব খাদ্য গ্রহণ করত সেগুলোতে আয়োডিনের মাত্রা একই ছিল।
এটি ইঙ্গিত দেয় যে, বায়ুতে থাকা আয়োডিন খাদ্য থেকে প্রাপ্ত আয়োডিনের পরিপূরক হতে পারে। বিশেষ করে যেখানে প্রচুর শৈবাল রয়েছে। এ কারণে এটি একটি অ্যারোনিউট্রিয়েন্ট হতে পারে, যা মানুষের শরীর শ্বাসের মাধ্যমে শোষণ করতে পারে।
নাকে গন্ধ শনাক্তকারী নিউরনের মাধ্যমে মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে পারে ম্যাঙ্গানিজ এবং জিংক। ম্যাঙ্গানিজ একটি অত্যাবশ্যক পুষ্টি উপাদান। তবে বেশি মাত্রার ম্যাঙ্গানিজ মস্তিষ্কে ক্ষতি করতে পারে। গবেষণায় দেখা যায়, ঝালাইয়ের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা বায়ুর মাধ্যমে উচ্চ মাত্রার ম্যাঙ্গানিজের সংস্পর্শে আসেন এবং তাদের শরীরে ম্যাঙ্গানিজের ক্ষতিকর স্তরে জমা হয়।
অলফ্যাকটরি বা ঘাণতন্ত্র এবং শ্বাসযন্ত্রে সিলিয়া (চুলের মতো কাঠামো) বিশেষ রিসেপটর ধারণ করে, যা বিভিন্ন সম্ভাব্য অ্যারোনিউট্রিয়েন্টসের শোষণ করতে পারে। যেমন কোলিন, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম, লোহা এবং এমনকি অ্যামিনো অ্যাসিড।
৭০ বছরেরও বেশি আগে প্রকাশিত একটি গবেষণা দেখা যায়, অ্যারোসোল বা ক্ষুদ্র কণা আকারে ভিটামিন বি১২ শ্বাসের মাধ্যমে শোষণ করা যেতে পারে এবং এটি ভিটামিন বি১২ এর ঘাটতি চিকিৎসায় কার্যকর। বিশেষভাবে মানুষ, ডায়াবেটিস রোগী এবং অতিরিক্ত মদ্যপানকারীদের ভিটামিন বি১২ চিকিৎসার জন্য এই প্রক্রিয়াটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
অ্যারোনিউট্রিয়েন্টস নিয়ে এখনো তথ্য অজানা। প্রাকৃতিক পরিবেশ যেমন বন, সাগর এবং পার্বত্য অঞ্চলে বায়ুর কোন উপাদানগুলো স্বাস্থ্যকর তা প্রথমত জানতে হবে। এখন পর্যন্ত শুধু বায়ুর বিষাক্ত পদার্থ, বিভিন্ন উপাদান এবং এলার্জেন বা অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী পদার্থ যেমন পোলেন বা রেণু নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে।
এরপর কোন কোন উপাদানকে অ্যারোনিউট্রিয়েন্টস হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে তা নির্ধারণ করতে হবে। ভিটামিন বি১২ অ্যারোসোল আকারে নিরাপদ এবং কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। তাই ভবিষ্যতে অন্যান্য মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস, যেমন ভিটামিন ডি অ্যারোসোল আকারে ব্যবহার করে পুষ্টির ঘাটতি মোকাবিলা করা সম্ভব কিনা, তা নিয়ে গবেষণা করা যেতে পারে।
এই সম্ভাব্য অ্যারোনিউট্রিয়েন্টসগুলোকে নিয়ন্ত্রণমূলক পরিবেশে পরীক্ষা করতে হবে। এর ফলে এগুলো ডোজ, নিরাপত্তা এবং খাদ্যতালিকায় অবদান নির্ধারণ করা যাবে। বিশেষভাবে এসব তথ্য এমন জায়গাগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ যেখানে বায়ু উচ্চমাত্রায় ফিল্টার করা হয়। যেমন বিমান, হাসপাতাল, সাবমেরিন এবং মহাকাশ স্টেশন।
অন্যদিকে, অ্যারোনিউট্রিয়েন্টস শহুরে রোগগুলো প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে। একদিন হয়তো সুস্থতার জন্য সুষম খাদ্যের পাশাপাশি অ্যারোনিউট্রিয়েন্টসও গ্রহণের জন্যও চিকিৎসকেরা পরামর্শ দেবে।
তথ্যসূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট

সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই খাদ্য থেকেই অর্জন করি আমরা। তবে এই ধারণাটি ভুল বলে ব্যাখ্যা করলেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা হয়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
এই নতুন গবেষণাটি ‘অ্যাডভান্সড ইন নিউট্রিশন’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় শ্বাসের মাধ্যমে শোষিত পুষ্টিগুলোকে ‘অ্যারোনিউট্রিয়েন্টস’ বলে অভিহিত করা হয়। এগুলো গ্যাস্ট্রোনিউট্রিয়েন্টস থেকে ভিন্ন, যেগুলো অন্ত্রের মাধ্যমে শোষিত হয়।
খাদ্যের গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান যেমন আয়োডিন, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ এবং কিছু ভিটামিন শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করতে পারে। মানুষ প্রতিদিন প্রায় ৯ হাজার লিটার বায়ু শ্বাস নেওয়ার মাধ্যমে গ্রহণ করে এবং আর জীবনব্যাপী প্রায় ৪৩৮ মিলিয়ন লিটার বায়ু। জীবনের কোনো পর্যায়ে শ্বাস নেওয়া কখনোই থামে না। বায়ুর উপাদানগুলো এমনকি খুব ক্ষুদ্র ঘনত্বের হলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এগুলো শরীরে প্রভাব ফেলতে পারে।
এ পর্যন্ত স্বাস্থ্যের ওপর বায়ুর প্রভাব নিয়ে বেশিরভাগ গবেষণায় ‘দূষণ’–কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নতুন গবেষণার মূল লক্ষ্য হচ্ছে—বায়ুর ক্ষতিকর উপাদানগুলো ফিল্টার করে, যা উপকারী হতে পারে তা খোঁজা। এ ছাড়া একটি একক শ্বাসে পুষ্টির পরিমাণ এত ক্ষুদ্র হওয়ার কারণে কখনো একে গুরুত্বপূর্ণ বলে এর আগের গবেষণাগুলোয় মনে করা হয়নি।
বহু বছর ধরে বিভিন্ন সংস্কৃতিতে বিশুদ্ধ বাতাসকে স্বাস্থ্যকর হিসেবে মূল্যায়ন করেছে। নতুন গবেষণাটি দেখায় যে, এই ধারণা বিজ্ঞান দ্বারা সমর্থিত। উদাহরণস্বরূপ, অক্সিজেন একটি পুষ্টি উপাদান যা ‘শরীরের মৌলিক কার্যক্রম বজায় রাখতে প্রয়োজন’। তবে এটি খাওয়ার বদলে আমরা শ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করি।
নাক, ফুসফুস, গন্ধ শনাক্তকরণের এলাকা (অলফ্যাকটরি এপিথেলিয়াম) এবং মুখগহ্বর এর রক্তনালীর সূক্ষ্ম নেটওয়ার্কের মাধ্যমে শোষিত হয়ে মানুষের দেহে প্রবেশ করে অ্যারোনিউট্রিয়েন্টস।
অন্ত্রের চেয়ে ২৬০ গুণ বড় আকারের অণু শোষণ করতে পারে ফুসফুস। এই অণুগুলো অক্ষত অবস্থায় রক্তপ্রবাহ এবং মস্তিষ্কে শোষিত হয়।
শ্বাসের মাধ্যমে নেওয়া ড্রাগগুলো (যেমন কোকেইন, নিকোটিন) শরীরে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে প্রবেশ করে। মুখে খাওয়ার বদলে শ্বাসের মাধ্যমে নেওয়ার ফলে এগুলো কম ঘনত্বেও বেশি কার্যকারী।
এ ছাড়া এনজাইম এবং অ্যাসিডের মাধ্যমে অন্ত্র বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থকে তাদের ক্ষুদ্রতম অংশে ভেঙে দেয়। একবার যখন এই উপাদানগুলো রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করে, তখন সেগুলো লিভার বা যকৃতের মাধ্যমে বিপাক ও নির্বিষ হয়।
স্টার্চ, শর্করা এবং অ্যামিনো অ্যাসিড খুব দক্ষভাবে শোষণ করে অন্ত্র। তবে কিছু বিশেষ ধরনের ওষুধ শোষণে অন্ত্র ততটা দক্ষ নয়। মূলত, বিজ্ঞানীরা ক্রমাগত এমন ওষুধ তৈরি করতে কাজ করছেন, যাতে সেগুলো কার্যকরভাবে মুখের মাধ্যমে গ্রহণ করা যায়।
১৯৬০-এর দশকের একটি গবেষণায় দেখা যায়, যারা কাপড় ধোয়ার পেশায় নিয়োজিত ছিল তারা অনেক বেশি আয়োডিনের সংস্পর্শে আসতেন। আর তাদের রক্ত এবং মূত্রে আয়োডিনের মাত্রা বেশি ছিল।
সম্প্রতি সাগরের শৈবাল সমৃদ্ধ উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারী স্কুলগামী শিশুদের ওপর গবেষণা করেছেন আয়ারল্যান্ডের গবেষকেরা। সেই অঞ্চলে বায়ুতে আয়োডিন গ্যাসের স্তর অনেক বেশি ছিল। এই শিশুদের মূত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি আয়োডিন পাওয়া গেছে। অপরদিকে যারা কম শৈবালযুক্ত উপকূলীয় বা গ্রামীণ এলাকায় বাস করছিল তাদের মূত্রে আয়োডিনের মাত্রা কম ছিল। তবে উভয় অঞ্চলের শিশুরা যেসব খাদ্য গ্রহণ করত সেগুলোতে আয়োডিনের মাত্রা একই ছিল।
এটি ইঙ্গিত দেয় যে, বায়ুতে থাকা আয়োডিন খাদ্য থেকে প্রাপ্ত আয়োডিনের পরিপূরক হতে পারে। বিশেষ করে যেখানে প্রচুর শৈবাল রয়েছে। এ কারণে এটি একটি অ্যারোনিউট্রিয়েন্ট হতে পারে, যা মানুষের শরীর শ্বাসের মাধ্যমে শোষণ করতে পারে।
নাকে গন্ধ শনাক্তকারী নিউরনের মাধ্যমে মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে পারে ম্যাঙ্গানিজ এবং জিংক। ম্যাঙ্গানিজ একটি অত্যাবশ্যক পুষ্টি উপাদান। তবে বেশি মাত্রার ম্যাঙ্গানিজ মস্তিষ্কে ক্ষতি করতে পারে। গবেষণায় দেখা যায়, ঝালাইয়ের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা বায়ুর মাধ্যমে উচ্চ মাত্রার ম্যাঙ্গানিজের সংস্পর্শে আসেন এবং তাদের শরীরে ম্যাঙ্গানিজের ক্ষতিকর স্তরে জমা হয়।
অলফ্যাকটরি বা ঘাণতন্ত্র এবং শ্বাসযন্ত্রে সিলিয়া (চুলের মতো কাঠামো) বিশেষ রিসেপটর ধারণ করে, যা বিভিন্ন সম্ভাব্য অ্যারোনিউট্রিয়েন্টসের শোষণ করতে পারে। যেমন কোলিন, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম, লোহা এবং এমনকি অ্যামিনো অ্যাসিড।
৭০ বছরেরও বেশি আগে প্রকাশিত একটি গবেষণা দেখা যায়, অ্যারোসোল বা ক্ষুদ্র কণা আকারে ভিটামিন বি১২ শ্বাসের মাধ্যমে শোষণ করা যেতে পারে এবং এটি ভিটামিন বি১২ এর ঘাটতি চিকিৎসায় কার্যকর। বিশেষভাবে মানুষ, ডায়াবেটিস রোগী এবং অতিরিক্ত মদ্যপানকারীদের ভিটামিন বি১২ চিকিৎসার জন্য এই প্রক্রিয়াটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
অ্যারোনিউট্রিয়েন্টস নিয়ে এখনো তথ্য অজানা। প্রাকৃতিক পরিবেশ যেমন বন, সাগর এবং পার্বত্য অঞ্চলে বায়ুর কোন উপাদানগুলো স্বাস্থ্যকর তা প্রথমত জানতে হবে। এখন পর্যন্ত শুধু বায়ুর বিষাক্ত পদার্থ, বিভিন্ন উপাদান এবং এলার্জেন বা অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী পদার্থ যেমন পোলেন বা রেণু নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে।
এরপর কোন কোন উপাদানকে অ্যারোনিউট্রিয়েন্টস হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে তা নির্ধারণ করতে হবে। ভিটামিন বি১২ অ্যারোসোল আকারে নিরাপদ এবং কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। তাই ভবিষ্যতে অন্যান্য মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস, যেমন ভিটামিন ডি অ্যারোসোল আকারে ব্যবহার করে পুষ্টির ঘাটতি মোকাবিলা করা সম্ভব কিনা, তা নিয়ে গবেষণা করা যেতে পারে।
এই সম্ভাব্য অ্যারোনিউট্রিয়েন্টসগুলোকে নিয়ন্ত্রণমূলক পরিবেশে পরীক্ষা করতে হবে। এর ফলে এগুলো ডোজ, নিরাপত্তা এবং খাদ্যতালিকায় অবদান নির্ধারণ করা যাবে। বিশেষভাবে এসব তথ্য এমন জায়গাগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ যেখানে বায়ু উচ্চমাত্রায় ফিল্টার করা হয়। যেমন বিমান, হাসপাতাল, সাবমেরিন এবং মহাকাশ স্টেশন।
অন্যদিকে, অ্যারোনিউট্রিয়েন্টস শহুরে রোগগুলো প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে। একদিন হয়তো সুস্থতার জন্য সুষম খাদ্যের পাশাপাশি অ্যারোনিউট্রিয়েন্টসও গ্রহণের জন্যও চিকিৎসকেরা পরামর্শ দেবে।
তথ্যসূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
৪ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
২ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
২ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ফলাফল স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর প্রকাশ করে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভর্তি পরীক্ষায় পাস করা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮১ হাজার ৬৪২ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ১২৮ জন এবং নারী পরীক্ষার্থী ৫০ হাজার ৫১৪ জন। ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ হতে নম্বর যোগ করে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী ৫ হাজার ৬৪৫ জন প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, সরকারি ৩৭টি মেডিকেল কলেজ, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ, আটটি মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটসমূহের ৫ হাজার ৬৪৫টি আসনের জন্য নির্বাচিত নারী পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ৬০৩ জন ও পুরুষ পরীক্ষার্থী ২ হাজার ৪২ জন।
গত শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দেশের ১৭টি কেন্দ্র ও ৪৯টি ভেন্যুতে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৫ হাজার ৬৪৫টি; যার মধ্যে এমবিবিএসের ৫ হাজার ১০০ ও বিডিএসের ৫৪৫টি।
বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৭ হাজার ৩৬১টি; যার মধ্যে এমবিসিএসের ৬ হাজার ১ ও বিডিএসের ১ হাজার ৩৬০টি। মোট ১৩ হাজার ৬টি আসনের বিপরীতে এ বছর মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন। ভর্তি পরীক্ষায় ১ লাখ ২০ হাজার ৪৪০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল।

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ফলাফল স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর প্রকাশ করে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভর্তি পরীক্ষায় পাস করা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮১ হাজার ৬৪২ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ১২৮ জন এবং নারী পরীক্ষার্থী ৫০ হাজার ৫১৪ জন। ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ হতে নম্বর যোগ করে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী ৫ হাজার ৬৪৫ জন প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, সরকারি ৩৭টি মেডিকেল কলেজ, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ, আটটি মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটসমূহের ৫ হাজার ৬৪৫টি আসনের জন্য নির্বাচিত নারী পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ৬০৩ জন ও পুরুষ পরীক্ষার্থী ২ হাজার ৪২ জন।
গত শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দেশের ১৭টি কেন্দ্র ও ৪৯টি ভেন্যুতে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৫ হাজার ৬৪৫টি; যার মধ্যে এমবিবিএসের ৫ হাজার ১০০ ও বিডিএসের ৫৪৫টি।
বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৭ হাজার ৩৬১টি; যার মধ্যে এমবিসিএসের ৬ হাজার ১ ও বিডিএসের ১ হাজার ৩৬০টি। মোট ১৩ হাজার ৬টি আসনের বিপরীতে এ বছর মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন। ভর্তি পরীক্ষায় ১ লাখ ২০ হাজার ৪৪০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল।

সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই আমার খাদ্য থেকেই অর্জন করি। তবে এই ধারণাটি ভুল বললেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা যায়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
১৯ নভেম্বর ২০২৪
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
২ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
২ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
২ দিন আগেমো. ইকবাল হোসেন

ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
মানুষের শরীরের গঠন অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। পৃথিবীর বেশির ভাগ প্রাণীর চেয়ে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন। আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য আলাদা পুষ্টির প্রয়োজন হয়। যেমন চোখের যত্নে ভিটামিন এ, ত্বকের যত্নে ভিটামিন বি, হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি ইত্যাদি। এসব চাহিদা পূরণ করে খাবার খেলে শরীরে সুখের হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং আমাদের সুখানুভূতি হয়, মন শান্ত থাকে।
মন ভালো রাখার অন্যতম হরমোন ডোপামিন। এটি নিঃসরণে খাবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমাদের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা যত বাড়বে, ডোপামিনের নিঃসরণও তত বাড়বে। তাই অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে গুড ফ্যাট বা ভালো চর্বিসমৃদ্ধ, গাঁজানো এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
সে ক্ষেত্রে চমৎকার খাবার হতে পারে শীতকালীন বিভিন্ন শাকসবজি। শিমের বিচি, মটরশুঁটি, বরবটিসহ অন্যান্য শাকসবজি ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে চমৎকার কাজ করে। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, মাছের তেল, অলিভ অয়েল, টক দই ইত্যাদি খাবারও পর্যাপ্ত খেতে হবে। আঁশের উৎস হিসেবে লালশাক, পালংশাক, সবুজ শাক খেতে হবে। ভাজাপোড়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ডুবোতেলে ভাজা খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
আমাদের মন ভালো রাখার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন হচ্ছে সেরোটোনিন। ৯০ শতাংশ সেরোটোনিন উৎপন্ন হয় অন্ত্রের এন্টেরোক্রমাফিন কোষের এন্টেরিক নার্ভাস সিস্টেম থেকে। এ জন্য অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা বেশি জরুরি। অন্ত্রের পেশি নড়াচড়ায় সেরোটোনিন সাহায্য করে। মাত্র ১ শতাংশ সেরোটোনিন মস্তিষ্কে নিঃসৃত হয়। এই ১ শতাংশ সেরোটোনিন মুড, ঘুম, স্মৃতি, ক্ষুধা, মন ভালো থাকা ইত্যাদির ওপর প্রভাব বিস্তার করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন বি-১২ এবং ভিটামিন ডি সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়ায়। খাবারের পাশাপাশি রাতে ভালো ঘুম সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে পরিমিত রেডমিট, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শিম, গাজরসহ সব ধরনের শীতকালীন সবজি এবং শীতের মিষ্টি রোদ দারুণ কাজ করে।
এ ছাড়া অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণসমৃদ্ধ খাবার, যেমন দারুচিনি, লবঙ্গ, হলুদ, ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে।
শীতে শরীরে ব্যথার প্রকোপ কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। তবে এন্ডোরফিন নামক হরমোন প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা উপশম করে। শারীরিক বা মানসিকভাবে আহত হলে এন্ডোরফিন সক্রিয় হয়ে আমাদের ব্যথা নিরাময় করে। অতিরিক্ত ওজন, বিষণ্নতা, উচ্চ রক্তচাপ এন্ডোরফিনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। তবে কিছু খাবার আছে; যেগুলো খেলে এন্ডোরফিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবারগুলো শরীরে ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এন্ডোরফিন নিঃসরণে সহযোগিতা করে। তাই শীতে মন ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পাতিলেবু, মোসাম্বি, পেয়ারা, কলা, জাম্বুরা ও কমলা খেতে হবে।
এর পাশাপাশি টমেটো, কাঁচা মরিচ, ক্যাপসিকাম ও পালংশাক শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর জোগান দিতে পারে; সঙ্গে মেটায় আঁশ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতিও।
এ ছাড়া শীতকালীন প্রায় সব শাকসবজি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এবং ক্যানসার প্রতিরোধী গুণসমৃদ্ধ। এগুলো যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে বাড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। শীতকালীন পালংশাক, গাজর, টমেটো, বিটরুট, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি হয়ে উঠতে পারে সুস্থ থাকার অন্যতম হাতিয়ার। শীতকালীন সবজি ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে অত্যন্ত উপযোগী। তাই শীতকালে সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি হতে পারে এসব সবজি।
আমাদের শরীরের অবহেলিত অঙ্গ ক্ষুদ্রান্ত্র। আমরা বিভিন্ন রকমের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাই। সেসবের প্রভাব পড়ে ক্ষুদ্রান্ত্রের ওপর। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারের ফলে আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমতে থাকে।
ফলে গ্যাসের সমস্যা, ফ্যাটি লিভার, কোলেস্টেরল, কোষ্ঠকাঠিন্য বা কিডনি সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। আবার বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও কমে যায় এসব ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা। তাই সুস্থ থাকতে এবং মন ভালো রাখতে শীতকাল হতে পারে আপনার জীবনের সেরা সময়।
খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে—
পুষ্টিবিদ ও জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
মানুষের শরীরের গঠন অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। পৃথিবীর বেশির ভাগ প্রাণীর চেয়ে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন। আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য আলাদা পুষ্টির প্রয়োজন হয়। যেমন চোখের যত্নে ভিটামিন এ, ত্বকের যত্নে ভিটামিন বি, হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি ইত্যাদি। এসব চাহিদা পূরণ করে খাবার খেলে শরীরে সুখের হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং আমাদের সুখানুভূতি হয়, মন শান্ত থাকে।
মন ভালো রাখার অন্যতম হরমোন ডোপামিন। এটি নিঃসরণে খাবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমাদের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা যত বাড়বে, ডোপামিনের নিঃসরণও তত বাড়বে। তাই অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে গুড ফ্যাট বা ভালো চর্বিসমৃদ্ধ, গাঁজানো এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
সে ক্ষেত্রে চমৎকার খাবার হতে পারে শীতকালীন বিভিন্ন শাকসবজি। শিমের বিচি, মটরশুঁটি, বরবটিসহ অন্যান্য শাকসবজি ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে চমৎকার কাজ করে। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, মাছের তেল, অলিভ অয়েল, টক দই ইত্যাদি খাবারও পর্যাপ্ত খেতে হবে। আঁশের উৎস হিসেবে লালশাক, পালংশাক, সবুজ শাক খেতে হবে। ভাজাপোড়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ডুবোতেলে ভাজা খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
আমাদের মন ভালো রাখার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন হচ্ছে সেরোটোনিন। ৯০ শতাংশ সেরোটোনিন উৎপন্ন হয় অন্ত্রের এন্টেরোক্রমাফিন কোষের এন্টেরিক নার্ভাস সিস্টেম থেকে। এ জন্য অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা বেশি জরুরি। অন্ত্রের পেশি নড়াচড়ায় সেরোটোনিন সাহায্য করে। মাত্র ১ শতাংশ সেরোটোনিন মস্তিষ্কে নিঃসৃত হয়। এই ১ শতাংশ সেরোটোনিন মুড, ঘুম, স্মৃতি, ক্ষুধা, মন ভালো থাকা ইত্যাদির ওপর প্রভাব বিস্তার করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন বি-১২ এবং ভিটামিন ডি সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়ায়। খাবারের পাশাপাশি রাতে ভালো ঘুম সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে পরিমিত রেডমিট, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শিম, গাজরসহ সব ধরনের শীতকালীন সবজি এবং শীতের মিষ্টি রোদ দারুণ কাজ করে।
এ ছাড়া অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণসমৃদ্ধ খাবার, যেমন দারুচিনি, লবঙ্গ, হলুদ, ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে।
শীতে শরীরে ব্যথার প্রকোপ কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। তবে এন্ডোরফিন নামক হরমোন প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা উপশম করে। শারীরিক বা মানসিকভাবে আহত হলে এন্ডোরফিন সক্রিয় হয়ে আমাদের ব্যথা নিরাময় করে। অতিরিক্ত ওজন, বিষণ্নতা, উচ্চ রক্তচাপ এন্ডোরফিনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। তবে কিছু খাবার আছে; যেগুলো খেলে এন্ডোরফিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবারগুলো শরীরে ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এন্ডোরফিন নিঃসরণে সহযোগিতা করে। তাই শীতে মন ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পাতিলেবু, মোসাম্বি, পেয়ারা, কলা, জাম্বুরা ও কমলা খেতে হবে।
এর পাশাপাশি টমেটো, কাঁচা মরিচ, ক্যাপসিকাম ও পালংশাক শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর জোগান দিতে পারে; সঙ্গে মেটায় আঁশ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতিও।
এ ছাড়া শীতকালীন প্রায় সব শাকসবজি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এবং ক্যানসার প্রতিরোধী গুণসমৃদ্ধ। এগুলো যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে বাড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। শীতকালীন পালংশাক, গাজর, টমেটো, বিটরুট, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি হয়ে উঠতে পারে সুস্থ থাকার অন্যতম হাতিয়ার। শীতকালীন সবজি ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে অত্যন্ত উপযোগী। তাই শীতকালে সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি হতে পারে এসব সবজি।
আমাদের শরীরের অবহেলিত অঙ্গ ক্ষুদ্রান্ত্র। আমরা বিভিন্ন রকমের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাই। সেসবের প্রভাব পড়ে ক্ষুদ্রান্ত্রের ওপর। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারের ফলে আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমতে থাকে।
ফলে গ্যাসের সমস্যা, ফ্যাটি লিভার, কোলেস্টেরল, কোষ্ঠকাঠিন্য বা কিডনি সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। আবার বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও কমে যায় এসব ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা। তাই সুস্থ থাকতে এবং মন ভালো রাখতে শীতকাল হতে পারে আপনার জীবনের সেরা সময়।
খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে—
পুষ্টিবিদ ও জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই আমার খাদ্য থেকেই অর্জন করি। তবে এই ধারণাটি ভুল বললেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা যায়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
১৯ নভেম্বর ২০২৪
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
৪ ঘণ্টা আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
২ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
২ দিন আগেডা. অবন্তি ঘোষ

চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
বীর্য পরীক্ষার পর শুক্রাণুর সংখ্যা, গতি, আকৃতি, পরিমাণ ইত্যাদি
দেখা হয়।
চিকিৎসা নির্ভর করে সমস্যা কেমন এবং কোন স্তরে রয়েছে, তার ওপর। সাধারণভাবে চিকিৎসা কয়েকটি ধাপে করা হয়।
শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতি উন্নত করতে কিছু পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন দেওয়া হয়, যেমন:
ওষুধ শুরুর পর রোগীকে তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কারণ, নতুন শুক্রাণু তৈরিতে প্রায় ৭৫ দিন লাগে।
ওষুধে উন্নতি হলে স্বামী-স্ত্রী স্বাভাবিক পদ্ধতিতে গর্ভধারণের চেষ্টা করতে পারেন। প্রয়োজনে স্ত্রীকে ডিম্বাণু উৎপাদন বাড়ানোর ওষুধ দেওয়া হয়।
ভেরিকোসিল কিংবা শুক্রনালির ব্লকেজ থাকলে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।
যাঁদের বীর্যে একেবারেই শুক্রাণু পাওয়া যায় না, যাকে অ্যাজোস্পার্মিয়া বলা হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ থেকে সরাসরি শুক্রাণু সংগ্রহ করে আইসিএসআই করাই সবচেয়ে কার্যকর।
গাইনি, প্রসূতি ও বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ, আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর-১০

চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
বীর্য পরীক্ষার পর শুক্রাণুর সংখ্যা, গতি, আকৃতি, পরিমাণ ইত্যাদি
দেখা হয়।
চিকিৎসা নির্ভর করে সমস্যা কেমন এবং কোন স্তরে রয়েছে, তার ওপর। সাধারণভাবে চিকিৎসা কয়েকটি ধাপে করা হয়।
শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতি উন্নত করতে কিছু পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন দেওয়া হয়, যেমন:
ওষুধ শুরুর পর রোগীকে তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কারণ, নতুন শুক্রাণু তৈরিতে প্রায় ৭৫ দিন লাগে।
ওষুধে উন্নতি হলে স্বামী-স্ত্রী স্বাভাবিক পদ্ধতিতে গর্ভধারণের চেষ্টা করতে পারেন। প্রয়োজনে স্ত্রীকে ডিম্বাণু উৎপাদন বাড়ানোর ওষুধ দেওয়া হয়।
ভেরিকোসিল কিংবা শুক্রনালির ব্লকেজ থাকলে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।
যাঁদের বীর্যে একেবারেই শুক্রাণু পাওয়া যায় না, যাকে অ্যাজোস্পার্মিয়া বলা হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ থেকে সরাসরি শুক্রাণু সংগ্রহ করে আইসিএসআই করাই সবচেয়ে কার্যকর।
গাইনি, প্রসূতি ও বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ, আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর-১০

সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই আমার খাদ্য থেকেই অর্জন করি। তবে এই ধারণাটি ভুল বললেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা যায়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
১৯ নভেম্বর ২০২৪
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
৪ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
২ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
২ দিন আগেডা. কাকলী হালদার

শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
সাধারণ সর্দি-কাশি: রাইনোভাইরাস দিয়ে সংক্রমণ হলে হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং হালকা গলাব্যথা পর্যন্ত হতে পারে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে সাধারণ সর্দির চেয়ে গুরুতর সমস্যা দেখা যায়। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ জ্বর, শরীর ও পেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা, ক্লান্তি এবং গাঢ় কাশি।
রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস বা আরএসভি: এটি শিশুদের মধ্যে ব্রঙ্কিওলাইটিসের মতো গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়।
এ ধরনের রোগ নিউমোনিয়া অথবা স্ট্রেপটোকক্কাসজনিত গলাব্যথার মতো কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের দিকে মোড় নিতে পারে, যা অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
সংক্রমণ এড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে কিছু সহজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন—
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা: নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পরে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার পরে, অপরিচ্ছন্ন কিছু স্পর্শ করার পর হাত ধোয়া জরুরি। হাঁচি-কাশির সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা এবং ব্যবহৃত টিস্যু নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা উচিত।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পানি পান করা: পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল; যেমন লেবু, কমলা, আমলকী ইত্যাদি এবং শাকসবজি খেয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে হবে। পানিশূন্যতা এড়াতে হালকা গরম পানি পান করুন।
উষ্ণতা বজায় রাখা: কান, মাথা ও গলা ঢেকে গরম জামাকাপড় পরুন। ঘর উষ্ণ রাখুন এবং সরাসরি ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলুন।
ভিড় এড়িয়ে চলা: অসুস্থতা চলাকালে যেকোনো ভিড় অথবা জনসমাগমপূর্ণ স্থানে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
টিকা নেওয়া: শিশু, বয়স্ক বা দীর্ঘমেয়াদি রোগীদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়ার টিকা নিতে পারেন।
সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
সাধারণ সর্দি-কাশি: রাইনোভাইরাস দিয়ে সংক্রমণ হলে হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং হালকা গলাব্যথা পর্যন্ত হতে পারে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে সাধারণ সর্দির চেয়ে গুরুতর সমস্যা দেখা যায়। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ জ্বর, শরীর ও পেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা, ক্লান্তি এবং গাঢ় কাশি।
রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস বা আরএসভি: এটি শিশুদের মধ্যে ব্রঙ্কিওলাইটিসের মতো গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়।
এ ধরনের রোগ নিউমোনিয়া অথবা স্ট্রেপটোকক্কাসজনিত গলাব্যথার মতো কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের দিকে মোড় নিতে পারে, যা অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
সংক্রমণ এড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে কিছু সহজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন—
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা: নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পরে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার পরে, অপরিচ্ছন্ন কিছু স্পর্শ করার পর হাত ধোয়া জরুরি। হাঁচি-কাশির সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা এবং ব্যবহৃত টিস্যু নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা উচিত।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পানি পান করা: পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল; যেমন লেবু, কমলা, আমলকী ইত্যাদি এবং শাকসবজি খেয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে হবে। পানিশূন্যতা এড়াতে হালকা গরম পানি পান করুন।
উষ্ণতা বজায় রাখা: কান, মাথা ও গলা ঢেকে গরম জামাকাপড় পরুন। ঘর উষ্ণ রাখুন এবং সরাসরি ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলুন।
ভিড় এড়িয়ে চলা: অসুস্থতা চলাকালে যেকোনো ভিড় অথবা জনসমাগমপূর্ণ স্থানে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
টিকা নেওয়া: শিশু, বয়স্ক বা দীর্ঘমেয়াদি রোগীদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়ার টিকা নিতে পারেন।
সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই আমার খাদ্য থেকেই অর্জন করি। তবে এই ধারণাটি ভুল বললেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা যায়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
১৯ নভেম্বর ২০২৪
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
৪ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
২ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
২ দিন আগে