Ajker Patrika

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট: আইসিইউতেও নেই ডায়ালাইসিস সুবিধা

  • অস্ত্রোপচারের পর অনেকে কিডনি জটিলতায় আক্রান্ত হন।
  • প্রতি শয্যায় লাইফ সাপোর্ট মেশিন নেই।
  • পুরো হাসপাতালে নেফ্রোলজিস্ট একজন।
  • সংক্রমণ প্রতিরোধের ব্যবস্থাও নাজুক।
মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা
আপডেট : ২৬ আগস্ট ২০২৫, ১১: ০৮
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

হৃদ্‌যন্ত্রে অস্ত্রোপচারের পর কিছুসংখ্যক রোগীর কিডনির ডায়ালাইসিস প্রয়োজন হয়। কিন্তু একমাত্র সরকারি বিশেষায়িত হৃদ্‌রোগ চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠান জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে (এনআইসিভিডি) ডায়ালাইসিস সুবিধা নেই। সংক্রমণ প্রতিরোধের ব্যবস্থায় রয়েছে ঘাটতি। আইসিইউতে পর্যাপ্তসংখ্যক লাইফ সাপোর্ট মেশিন ও নার্স নেই। এসব সীমাবদ্ধতা সংগত কারণেই রোগের জটিলতা এমনকি মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, হৃদ্‌যন্ত্র ও কিডনির স্বাস্থ্য একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত অনেক রোগী অস্ত্রোপচারের পর কিডনির জটিলতায় আক্রান্ত হন। বিশেষ করে হৃদ্‌যন্ত্রে অস্ত্রোপচারের সময় ‘হার্ট-লাং মেশিন’ ব্যবহারের কারণে আকস্মিকভাবে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার (একিউট কিডনি ইনজুরি—একেআই) ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ সমস্যা হলে হৃদ্‌রোগীর ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হয়। হৃদ্‌রোগের যেকোনো ধরনের অস্ত্রোপচারের পরই রোগীদের সেটি প্রয়োজন হতে পারে।

স্ট্রোক, মস্তিষ্ক এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ গবেষণা সংস্থা ফ্লোরি ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড মেন্টাল হেলথের তথ্য অনুযায়ী, হার্ট-লাং মেশিন ব্যবহার করে অস্ত্রোপচার করা রোগীদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ একেআইয়ে ভোগেন। এসব রোগীর ৬ শতাংশের ডায়ালাইসিস প্রয়োজন হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের তথ্য অনুযায়ী, কার্ডিওথোরাসিক সার্জারিতে একেআই একটি পরিচিত সমস্যা, যা রোগীর জীবনে স্বল্প ও দীর্ঘ—উভয় মেয়াদে প্রভাব ফেলতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন কলেজের তথ্য অনুযায়ী, একটি আদর্শ কার্ডিয়াক আইসিইউতে যেসব ব্যবস্থা ও সরঞ্জাম অপরিহার্য, ডায়ালাইসিস সুবিধা তার অন্যতম।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এনআইসিভিডিতে রোগীদের ডায়ালাইসিস করার কোনো সুবিধা নেই। অস্ত্রোপচারের পর রোগীদের যে আইসিইউতে রাখা হয়, বর্তমানে সেখানে ৩০টি শয্যা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৫টি শিশুরোগীদের জন্য। প্রতিটি শয্যার জন্য একটি লাইফ সাপোর্ট মেশিন থাকার কথা। তবে এই আইসিইউতে মেশিন রয়েছে ১১টি।

নার্স রয়েছেন ৩৭ জন। অথচ চিকিৎসকদের মতে, প্রত্যেক রোগীর জন্য একজন হিসাবে তিন শিফটে ৯০ জন নার্স থাকা উচিত।

হৃদ্‌রোগের সরকারি সর্বোচ্চ এই স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ঘুরে এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আইসিইউতে সংক্রমণ প্রতিরোধের ব্যবস্থা নাজুক। নার্সের সংখ্যায় ঘাটতি থাকায় রোগীর সেবার জন্য কখনো কখনো পরিবারের সদস্যদের আইসিইউতে প্রবেশ করতে হয়। কোনো কোনো রোগীর স্বজনেরা বাইরে থেকে খাবারও সরবরাহ করেন। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। আইসিইউর ব্যবস্থাপনায় ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন থাকলেও তা এখানে নেই।

হাসপাতালের পোস্টকার্ডিয়াক সার্জারি আইসিইউ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা সহযোগী অধ্যাপক এ এম জিয়াউল হক মাসুম আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘একটি আদর্শ কার্ডিয়াক আইসিইউ তৈরির চেষ্টা করছি। শুরু থেকে বহু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আইসিইউতে সংক্রমণ প্রতিরোধ, পরিবেশগত দিক ও দর্শনার্থী নিয়ন্ত্রণ গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি তিন মাসে ফ্লোর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে কালচার (জীবাণু শনাক্তকরণ) করা হয়। যন্ত্রাংশ নিয়মিতভাবে কেন্দ্রীয় জীবাণুমুক্ত পরিষেবা বিভাগ (সিএসএসডি) থেকে পরিশুদ্ধ করা হয়। তবে রোগীদের ডায়ালাইসিস সেবা দেওয়ার সুবিধা এখানে নেই। আইসিইউতে দক্ষ লোকবলসহ কয়েকটি ডায়ালাইসিস মেশিন প্রয়োজন।’

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কিডনি জটিলতা রয়েছে এমন হৃদ্‌রোগীদের অস্ত্রোপচারের পর কারও কারও ডায়ালাইসিস প্রয়োজন হতে পারে। তবে তা সংখ্যায় খুবই কম। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দুটি ডায়ালাইসিস মেশিন চেয়েছি। একই সঙ্গে ডায়ালাইসিস টেকনিশিয়ান এবং নার্সও প্রয়োজন হবে। আশা করি শিগগির তা পাব।’

হৃদ্‌রোগীদের কিডনি ছাড়াও স্নায়বিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয় জানিয়েছে, সেখানে মাত্র একজন কিডনি বিশেষজ্ঞ থাকলেও কোনো স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ নেই।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কার্ডিওভাসকুলার অ্যান্ড থোরাসিক অ্যানেস্থেসিওলজিস্টের সভাপতি অধ্যাপক এ টি এম খলিলুর রহমানও ডায়ালাইসিসের ব্যবস্থা থাকার ওপর জোর দেন। এ নিয়ে আজকের পত্রিকার প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অনেক হৃদ্‌রোগীর কিডনির জটিলতা থাকে। কেউ ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন। আবার কেউ বাইপাস সার্জারির বহু বছর আগে থেকে এমন ওষুধ সেবন করেন, যা কিডনির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। কারও কিডনি আকস্মিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাৎক্ষণিক ডায়ালাইসিস অপরিহার্য। কয়েকটি ডায়ালাইসিস মেশিন এবং প্রশিক্ষিত টেকনিশিয়ান থাকলে এই ধরনের জটিল রোগীকে সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব।’

এ ছাড়া সাধারণ আইসিইউ এবং কার্ডিয়াক আইসিইউর পার্থক্য উল্লেখ করে অধ্যাপক খলিলুর রহমান বলেন, কার্ডিয়াক আইসিইউ পরিচালনায় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। শয্যার তুলনায় পাঁচ গুণ নার্স থাকা উচিত। একটি শয্যার জন্য প্রতিদিন তিন শিফটে একজন করে নার্স প্রয়োজন। যে নার্স রাতের শিফটে দায়িত্ব পালন করবেন, তাঁকে পরদিন ডিউটি দেওয়া যায় না। তা ছাড়া অনেক কারণে নার্সদের ছুটি প্রয়োজন হয়। পর্যাপ্ত জনবল না থাকলে রোগীর সেবা বিঘ্নিত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এরদোয়ানের বাধায় নেতানিয়াহুকে মিসরের সম্মেলনে নিতে পারলেন না ট্রাম্প

ইসরায়েল থেকে মুক্তি পেলেও ফিলিস্তিনে ফিরছেন না ১৫৪ জন, যেতে হবে ‘অমানবিক’ নির্বাসনে

বাংলাদেশ-হংকং ফুটবল ম্যাচ টিভিতে দেখাবে না, তাহলে দেখার উপায়

ভারতে দলিত পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যায় তোলপাড়, সুইসাইড নোটে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ

রাজধানীতে ডিপ ফ্রিজ থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘এশিয়া-ওশেনিয়া মেডিকেল ফিজিকস অ্যালায়েন্স’-এর সভাপতি হলেন বাংলাদেশের প্রফেসর ড. হাসিন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০০: ৩০
ড. হাসিন অনুপমা। ছবি: সংগৃহীত
ড. হাসিন অনুপমা। ছবি: সংগৃহীত

এশিয়া-ওশেনিয়া ফেডারেশন অব অর্গানাইজেশনস ফর মেডিকেল ফিজিকস (এএফওএমপি)-এর সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের মেডিকেল ফিজিকস বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. হাসিন অনুপমা আজহারি। এই নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি এএফওএমপির ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশি এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রফেসর ইভা বেজাকের পর দ্বিতীয় নারী হিসেবে মর্যাদাপূর্ণ এই সংগঠনের সর্বোচ্চ পদে নির্বাচিত হলেন। এটি আন্তর্জাতিক মেডিকেল ফিজিকস সংস্থার (আইওএমপি) একটি আঞ্চলিক শাখা।

সভাপতি হিসেবে ড. হাসিন অনুপমার এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের নারী বিজ্ঞানীদের আন্তর্জাতিক মঞ্চে অবদানকে উজ্জ্বল করে তুলেছে। ২০২৫-২৮ মেয়াদে তিনি এই মর্যাদাপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করবেন এবং এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ২৫টির বেশি দেশের মেডিকেল ফিজিকস সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে গঠিত সংঘের নেতৃত্ব দেবেন।

প্রফেসর আজহারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) সেন্টার ফর বায়োমেডিকেল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিরেক্টর এবং প্রফেসর। এর আগে তিনি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল ফিজিকস অ্যান্ড বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান এবং ফিজিক্যাল অ্যান্ড ম্যাথমেটিক্যাল সায়েন্সেসের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ মেডিকেল ফিজিকস সোসাইটির (বিএমপিএস) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে তিনি দেশে মেডিকেল ফিজিকস শিক্ষা ও গবেষণার ভিত্তি স্থাপন করেছেন।

ড. অনুপমা বলেন, ‘এএফওএমপির সভাপতি নির্বাচিত হওয়া আমার জন্য শুধু সম্মান নয়। বাংলাদেশের মেডিকেল ফিজিকস ক্ষেত্রকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার এক অভূতপূর্ব সুযোগ। আমাদের দেশে ক্যানসার চিকিৎসার উন্নতির জন্য আধুনিক প্রযুক্তি, দক্ষ জনশক্তি এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য। আমি বিশ্বাস করি, গবেষণা, শিক্ষা এবং প্রাথমিক স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে আমরা প্রতিটি ক্যানসার রোগীর জন্য নিরাপদ ও কার্যকর চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পারি। আমার স্বপ্ন বাংলাদেশের প্রতিটি কোণে মেডিকেল ফিজিকসের আলো ছড়িয়ে দেওয়া এবং তরুণ বিজ্ঞানীদের, বিশেষ করে নারীদের এই ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করা।’

বর্তমানে তিনি সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মেডিকেল ফিজিকস অ্যান্ড ক্যানসার রিসার্চের সিইও হিসেবে ক্যানসার চিকিৎসা এবং রেডিয়েশন থেরাপিতে উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োগে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এরদোয়ানের বাধায় নেতানিয়াহুকে মিসরের সম্মেলনে নিতে পারলেন না ট্রাম্প

ইসরায়েল থেকে মুক্তি পেলেও ফিলিস্তিনে ফিরছেন না ১৫৪ জন, যেতে হবে ‘অমানবিক’ নির্বাসনে

বাংলাদেশ-হংকং ফুটবল ম্যাচ টিভিতে দেখাবে না, তাহলে দেখার উপায়

ভারতে দলিত পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যায় তোলপাড়, সুইসাইড নোটে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ

রাজধানীতে ডিপ ফ্রিজ থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডেঙ্গুতে এক দিনে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯৫৩

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে আরও ৯৫৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

আজ রোববার (১২ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৪১, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০৭, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৯৭, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১৪৭, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১২২, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৩, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৬, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৯, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৩ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) আটজন রয়েছে।

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ছয়জনই পুরুষ। তাঁদের মধ্যে তিনজন ঢাকার, একজন বরিশালের, একজন খুলনা ও অন্যজন রাজশাহী জেলার বাসিন্দা। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৫৩, ২৪, ৩৫, ৬৫, ৬২ ও ৫০ বছর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের বিজ্ঞপ্তি। ছবি: স্ক্রিনশট
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের বিজ্ঞপ্তি। ছবি: স্ক্রিনশট

চলতি বছরের আজ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৫৪ হাজার ৫৫৯ জন। তাদের মধ্যে জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪, মার্চে ৩৩৬, এপ্রিলে ৭০১, মে মাসে ১ হাজার ৭৭৩, জুনে ৫ হাজার ৯৫১, জুলাইয়ে ১০ হাজার ৬৮৪, আগস্টে ১০ হাজার ৪৯৬ ও সেপ্টেম্বরে ১৫ হাজার ৮৬৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এ ছাড়া অক্টোবরে আজ পর্যন্ত ৭ হাজার ২১৭ জন ভর্তি হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত মোট ৫১ হাজার ৭৮৩ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে জানুয়ারিতে ১০, ফেব্রুয়ারিতে তিন, এপ্রিলে সাত, মে মাসে তিন, জুনে ১৯, জুলাইয়ে ৪১, আগস্টে ৩৯ ও সেপ্টেম্বরে ৭৬ জন মারা গেছে। মার্চে কারও মৃত্যু হয়নি। আর অক্টোবরে এখন পর্যন্ত ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এরদোয়ানের বাধায় নেতানিয়াহুকে মিসরের সম্মেলনে নিতে পারলেন না ট্রাম্প

ইসরায়েল থেকে মুক্তি পেলেও ফিলিস্তিনে ফিরছেন না ১৫৪ জন, যেতে হবে ‘অমানবিক’ নির্বাসনে

বাংলাদেশ-হংকং ফুটবল ম্যাচ টিভিতে দেখাবে না, তাহলে দেখার উপায়

ভারতে দলিত পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যায় তোলপাড়, সুইসাইড নোটে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ

রাজধানীতে ডিপ ফ্রিজ থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও ৪১৩

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৪১৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। একই সময়ে কারও মৃত্যু হয়নি।

আজ শনিবার (১১ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৩, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২২, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৭৫, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৬ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৫ জন রয়েছে।

২৪ ঘণ্টায় ৪১০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত মোট ৫০ হাজার ৫২৯ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

চলতি বছরের ১১ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৫৩ হাজার ৬০৬ জন। তাদের মধ্যে জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪, মার্চে ৩৩৬, এপ্রিলে ৭০১, মে মাসে ১ হাজার ৭৭৩, জুনে ৫ হাজার ৯৫১, জুলাইয়ে ১০ হাজার ৬৮৪, আগস্টে ১০ হাজার ৪৯৬ জন এবং সেপ্টেম্বরে ১৫ হাজার ৮৬৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এ ছাড়া অক্টোবরে আজ পর্যন্ত ৬ হাজার ২৬৪ জন ভর্তি হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট ২২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিন, এপ্রিলে সাত, মে মাসে তিন, জুনে ১৯, জুলাইয়ে ৪১, আগস্টে ৩৯ ও সেপ্টেম্বরে ৭৬ জন মারা গেছে। মার্চে কারও মৃত্যু হয়নি। আর অক্টোবর মাসে এখন পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এরদোয়ানের বাধায় নেতানিয়াহুকে মিসরের সম্মেলনে নিতে পারলেন না ট্রাম্প

ইসরায়েল থেকে মুক্তি পেলেও ফিলিস্তিনে ফিরছেন না ১৫৪ জন, যেতে হবে ‘অমানবিক’ নির্বাসনে

বাংলাদেশ-হংকং ফুটবল ম্যাচ টিভিতে দেখাবে না, তাহলে দেখার উপায়

ভারতে দলিত পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যায় তোলপাড়, সুইসাইড নোটে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ

রাজধানীতে ডিপ ফ্রিজ থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিশ্ব হসপিস এবং প্যালিয়েটিভ কেয়ার দিবসে পিসিএসবি’র বিশেষ আয়োজন

অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া
বিশ্ব হসপিস
বিশ্ব হসপিস

আজ বিশ্ব হসপিস এবং প্যালিয়েটিভ কেয়ার দিবস। প্রতিবছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শনিবার বিশ্বব্যাপী এই দিনটি পালিত হয়। চলতি বছরের এই দিবস উপলক্ষ্যে প্যালিয়েটিভ কেয়ার সোসাইটি অব বাংলাদেশ (পিসিএসবি) আজ ১১ অক্টোবর, শনিবার একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ঢাকার কড়াইলে অবস্থিত প্যালিয়েটিভ কেয়ার সোসাইটি অব বাংলাদেশ (পিসিএসবি) ’-এর ‘মমতাময় কড়াইল’ নামের একটি প্যালিয়েটিভ সেবাদান কেন্দ্রে এই অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়।

সেখানে আমন্ত্রিত ছিল পিসিএসবির নিবন্ধিত শিশু রোগীরা। যেখানে নিরাময় অযোগ্য রোগে আক্রান্ত শিশুদের সাথে সাথে সুস্থ শিশুরাও সাংস্কৃতিক আয়োজনে অংশগ্রহণ করেছে। উপস্থিত ছিলেন প্যালিয়েটিভ কেয়ার সোসাইটি অব বাংলাদেশের সভাপতি, ড. নাঈম আহমেদ, ইনস্টিটিউট অব প্যালিয়েটিভ কেয়ার বাংলাদেশের পরিচালক অধ্যাপক নিজামউদ্দিন আহমদ, সদস্য সচিব অধ্যাপক সানজিদা শাহরিয়া, কোষাধক্ষ্য জনাব সালাউদ্দিন আহমদ শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. নুরজাহান বেগম, কড়াইল প্রকল্প পরিচালক তাসনিম জেরিন ও কড়াইল প্রকল্প কো-অর্ডিনেটর ফারজানা মালা সহ আরও সংশ্লিষ্ট আরও অনেকে।

অনুষ্ঠানটি শুরু হয় আজ সকাল ১০টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাসহ অন্যান্য প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান ও একটি বুক কর্নার স্থাপন করা হয়। সবশেষে সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে।

বিশ্ব হসপিস এবং প্যালিয়েটিভ কেয়ার দিবস সম্পর্কে আমরা অনেকেই হয়ত অবগত নই। হসপিস এবং প্যালিয়েটিভ কেয়ার বলতে বোঝায় দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতা বা মৃত্যুঝুঁকিপূর্ণ অসুস্থতা যেমন-ক্যান্সারে ভুগছে এমন রোগী ও তার পরিবারের শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক সুরক্ষায় সাহায্য করা বা যত্ন নেওয়া।

‘বিশ্ব হসপিস এবং প্যালিয়েটিভ কেয়ার দিবস’ প্রথমবারের মতো বিশ্বব্যাপী ২০০৫ সালের ৮ অক্টোবর পালিত হয়। ওয়ার্ল্ডওয়াইড হসপিস প্যালিয়েটিভ কেয়ার অ্যালায়েন্স (ডব্লিউএইচপিসিএ) এই দিবসটি চালু করে একটি ঐক্যবদ্ধ কর্মদিবস হিসেবে বিশ্বজুড়ে হসপিস এবং প্যালিয়েটিভ কেয়ারকে উদযাপন এবং সমর্থন করার জন্য।

এই দিবসের প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলো: বিশ্বজুড়ে প্যালিয়েটিভ কেয়ারের প্রাপ্যতা বৃদ্ধি করা, জীবন-সীমিত রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের চিকিৎসা, সামাজিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক প্রয়োজন সম্পর্কে সচেতনতা ও সমঝোতা বৃদ্ধি করা এবং বিশ্বব্যাপী এই সেবা সমর্থন ও বিকাশের জন্য তহবিল সংগ্রহ করা।

২

আর এই দিবসকে কেন্দ্র করে পিসিএসবি’র আজকের এই আয়োজনের লক্ষ্য হলো, বাংলাদেশে প্যালিয়েটিভ কেয়ার বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি, মানবিক সেবার মূল্যবোধ ছড়িয়ে দেওয়া এবং জীবনসীমিত মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা ও ভালোবাসার বার্তা সমাজে প্রসারিত করা।

উল্লেখ্য, পিসিএসবি’র ‘মমতাময় কড়াইল প্রকল্প’ ২০১৫ সাল থেকে কড়াইল এলাকার দরিদ্র ও অসহায় জনগোষ্ঠীর জন্য বিনামূল্যে প্যালিয়েটিভ কেয়ার সেবা, চিকিৎসা সহায়তা, মানসিক পরামর্শ ও জীবনমান উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিশ্ব হসপিস এবং প্যালিয়েটিভ কেয়ার দিবসের এই আয়োজনের মাধ্যমে সংগঠনটি জীবনের শেষপ্রান্তে থাকা রোগীদের প্রতি সামাজিক দায়বদ্ধতা, ভালোবাসা ও সহমর্মিতার গুরুত্ব সংশ্লিষ্ট সমাজে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে।

প্যালিয়েটিভ কেয়ার সোসাইটি অব বাংলাদেশ (পিসিএসবি) আশা করছে, এই আয়োজনের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ প্যালিয়েটিভ কেয়ার সম্পর্কে আরও সচেতন হবেন এবং মানবিক সেবায় অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ হবেন।

জেনে রাখা ভালো, প্যালিয়েটিভ কেয়ার সোসাইটি অব বাংলাদেশ (পিসিএসবি) ২০১৩ সাল থেকে সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের অধীনে নিবন্ধিত জনকল্যাণমূলক সংস্থা, যা নিয়মিত বার্ষিক অডিট দ্বারা নিরক্ষিত। এর কার্যকরী পর্ষদ সম্পূর্ণ অবৈতনিক। প্যালিয়েটিভ কেয়ার সোসাইটি অব বাংলাদেশ (পিসিএসবি)-তে প্রদেয় অনুদান আয়কর মুক্ত।

লেখক: সদস্য সচিব, প্যালিয়েটিভ কেয়ার সোসাইটি অব বাংলাদেশ (পিসিএসবি)

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এরদোয়ানের বাধায় নেতানিয়াহুকে মিসরের সম্মেলনে নিতে পারলেন না ট্রাম্প

ইসরায়েল থেকে মুক্তি পেলেও ফিলিস্তিনে ফিরছেন না ১৫৪ জন, যেতে হবে ‘অমানবিক’ নির্বাসনে

বাংলাদেশ-হংকং ফুটবল ম্যাচ টিভিতে দেখাবে না, তাহলে দেখার উপায়

ভারতে দলিত পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যায় তোলপাড়, সুইসাইড নোটে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ

রাজধানীতে ডিপ ফ্রিজ থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত