নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের বড় অংশ বিক্রি হচ্ছে ব্যবস্থাপত্র ছাড়া। রোগীর একটু পাতলা পায়খানা, মাথাব্যথা, পিঠে ব্যথাসহ নানা জটিলতা দেখা দিলে ফার্মেসি দোকানিরা গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ দিচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবস্থাপত্র ও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ সেবনের কারণে মানুষের শরীরে নানা ধরনের জটিলতা দেখা দিচ্ছে। গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ সেবনের কারণে গ্যাস্ট্রিক, ক্যানসার, স্মৃতিভ্রমের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। এমনকি ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম কমে আসতে পারে।
রোববার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ‘ওভার ইউজ অব পিপিআই: আ রিভিউ অব ইমার্জিং কনসার্ন’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. রাজীবুল আলম ও ফার্মাকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. শরবিন্দু কান্তি সিনহা। তাঁরা বলেন, ‘রোগীর প্রয়োজন পড়লে অবশ্যই এ ধরনের ওষুধ ব্যবস্থাপত্রে লিখতে হবে। কিন্তু অতিরিক্ত ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে।’ যত্রতত্র এবং অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের ব্যবহার কমাতে নীতিমালা প্রণয়নেরও দাবি জানান বিশেষজ্ঞরা।
চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ বিক্রি বন্ধ করার জোর দাবি জানানো হয় আলোচনায়। বক্তারা বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে যখন ইচ্ছা তখন ওষুধ বিক্রি এবং কেনা সম্ভব নয়। বছরে তিনবার গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ কিনতে পারবেন একজন। কিন্তু একা কেউ কিনতে পারবেন না। কারণ সেখানে সবকিছু রেকর্ড থাকে আর ওষুধের বিল পরিশোধ করে কোনো বেসরকারি বিমা প্রতিষ্ঠান। যদি আমাদের দেশে স্বাস্থ্যবিমা থাকত এবং ওষুধ বিক্রি ও কেনা তদারকি করা সম্ভব হতো, তাহলে এই অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ বিক্রি ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রোটন-পাম্প ইনহিবিটর (পিপিআই) বা গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ মাত্রাতিরিক্ত খাওয়ার কারণে ৪৫ শতাংশ গ্যাস্ট্রিক আলসার হয়। ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন-১২, আয়রন এই পিপিআই ব্যবহারের ফলে ডিফিসিয়েন্ট হচ্ছে। তাই বলে এসব রোগের ভয়ে হঠাৎ করে পিপিআই বন্ধ করা যাবে না। পিপিআই ক্রমে দুই সপ্তাহ, এক সপ্তাহ করে কমিয়ে দিতে হয়। দিনে একটি, দুদিন পরে আরেকটি করে ওষুধ দেওয়া যেতে পারে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, ‘আমরা দেখছি বাংলাদেশের মানুষ রাস্তাঘাটে পণ্যের মতো ওষুধ কিনে থাকেন। অনেকে আবার ফার্মাসিতে গিয়ে দামি ওষুধ কিনে থাকেন। অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের ফলে আমরা অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে যে অবস্থায় আছি তাতে দেশে ২০৫০ সালের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক এর অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে করোনা ভাইরাসের চেয়ে বেশি লোক মারা যাবে। আমাদের অনেকে যখন-তখন স্টেরয়েড কিনে খাই। স্টেরয়েড খেয়ে মোটাতাজা হই। কিন্তু তার ভবিষ্যৎ খারাপ।’
নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ সবুজের সঞ্চালনায় প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররাফ হোসেন, উপ উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান।
গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের বড় অংশ বিক্রি হচ্ছে ব্যবস্থাপত্র ছাড়া। রোগীর একটু পাতলা পায়খানা, মাথাব্যথা, পিঠে ব্যথাসহ নানা জটিলতা দেখা দিলে ফার্মেসি দোকানিরা গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ দিচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবস্থাপত্র ও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ সেবনের কারণে মানুষের শরীরে নানা ধরনের জটিলতা দেখা দিচ্ছে। গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ সেবনের কারণে গ্যাস্ট্রিক, ক্যানসার, স্মৃতিভ্রমের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। এমনকি ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম কমে আসতে পারে।
রোববার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ‘ওভার ইউজ অব পিপিআই: আ রিভিউ অব ইমার্জিং কনসার্ন’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. রাজীবুল আলম ও ফার্মাকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. শরবিন্দু কান্তি সিনহা। তাঁরা বলেন, ‘রোগীর প্রয়োজন পড়লে অবশ্যই এ ধরনের ওষুধ ব্যবস্থাপত্রে লিখতে হবে। কিন্তু অতিরিক্ত ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে।’ যত্রতত্র এবং অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের ব্যবহার কমাতে নীতিমালা প্রণয়নেরও দাবি জানান বিশেষজ্ঞরা।
চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ বিক্রি বন্ধ করার জোর দাবি জানানো হয় আলোচনায়। বক্তারা বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে যখন ইচ্ছা তখন ওষুধ বিক্রি এবং কেনা সম্ভব নয়। বছরে তিনবার গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ কিনতে পারবেন একজন। কিন্তু একা কেউ কিনতে পারবেন না। কারণ সেখানে সবকিছু রেকর্ড থাকে আর ওষুধের বিল পরিশোধ করে কোনো বেসরকারি বিমা প্রতিষ্ঠান। যদি আমাদের দেশে স্বাস্থ্যবিমা থাকত এবং ওষুধ বিক্রি ও কেনা তদারকি করা সম্ভব হতো, তাহলে এই অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ বিক্রি ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রোটন-পাম্প ইনহিবিটর (পিপিআই) বা গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ মাত্রাতিরিক্ত খাওয়ার কারণে ৪৫ শতাংশ গ্যাস্ট্রিক আলসার হয়। ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন-১২, আয়রন এই পিপিআই ব্যবহারের ফলে ডিফিসিয়েন্ট হচ্ছে। তাই বলে এসব রোগের ভয়ে হঠাৎ করে পিপিআই বন্ধ করা যাবে না। পিপিআই ক্রমে দুই সপ্তাহ, এক সপ্তাহ করে কমিয়ে দিতে হয়। দিনে একটি, দুদিন পরে আরেকটি করে ওষুধ দেওয়া যেতে পারে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, ‘আমরা দেখছি বাংলাদেশের মানুষ রাস্তাঘাটে পণ্যের মতো ওষুধ কিনে থাকেন। অনেকে আবার ফার্মাসিতে গিয়ে দামি ওষুধ কিনে থাকেন। অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের ফলে আমরা অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে যে অবস্থায় আছি তাতে দেশে ২০৫০ সালের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক এর অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে করোনা ভাইরাসের চেয়ে বেশি লোক মারা যাবে। আমাদের অনেকে যখন-তখন স্টেরয়েড কিনে খাই। স্টেরয়েড খেয়ে মোটাতাজা হই। কিন্তু তার ভবিষ্যৎ খারাপ।’
নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ সবুজের সঞ্চালনায় প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররাফ হোসেন, উপ উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান।
বাংলাদেশে গত এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আর নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৪৩৪ জন ডেঙ্গু রোগী। ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা এ তথ্য আজ সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
১২ ঘণ্টা আগেঘুমের সময় শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া বা অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া (ওএসএ) নামের সমস্যায় ভোগেন বিশ্বের বহু মানুষ। তবে নিয়মিত শঙ্খ বাজালে এ সমস্যা কমে যেতে পারে বলে দাবি করছেন গবেষকেরা।
২০ ঘণ্টা আগেবিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) কাউন্সিলে সভাপতি, মহাসচিবসহ পূর্ণ প্যানেলে জয় পেয়েছেন হারুন-শাকিল প্যানেল। গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে মধ্যরাতে নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
২ দিন আগেচিকিৎসাবিজ্ঞানে নতুন এক দিগন্তের সূচনা হতে চলেছে। অস্ত্রোপচারের পর ক্ষত সারাতে সেলাই বা স্ট্যাপলারের ব্যবহারের বদলে এবার আলোর মাধ্যমে সক্রিয় হওয়া বডি গ্লু বা শরীরবান্ধব আঠা ব্যবহার করার পথে এগোচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
২ দিন আগে