ডা. শুভাগত চৌধুরী
শুধু বেঁচে থাকাটাই যথেষ্ট নয়। এ জন্য দরকার রৌদ্রালোক স্বাধীনতা আর ছোট একটি ফুল। -হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান এনডারসন
আমাদের সুখের পেছনে থাকে মুক্তির স্বাদ ‘এই আকাশে আমার মুক্তি আলোয় আলোয়।’ আর ফুল? ‘ফুলের বনে যার কাছে যাই তারেই লাগে ভালো।’ গবেষকেরা বলেন, ঘরের বাইরে রোদের আলোয় দিন কাটানো আমাদের শরীর আর মনের কুশলের জন্য খুব দরকার। উত্তর ফ্লোরিডা ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা জানিয়েছেন, ঘরে ফুল থাকলে তা যে কেবল নান্দনিক আবেদন বাড়ায়, সেটা নয়। এর চেয়ে বড় কিছু করে। কেমন তা হলে ফুলের স্বাস্থ্য হিত?
১. ফুল মানসিক চাপ কমায়
একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৬৮ শতাংশ মানুষ সপ্তাহে একবার মানসিক চাপ অনুভব করে। আর ৩২ শতাংশ অনুভব করে এক দিন পর পর। মানসিক চাপ
বেশি হয় নারীদের। অনেকে সেই চাপ দিনে কয়েক বারও অনুভব করতে পারে। গবেষকেরা ১৮ থেকে ৬০ বছরের ১৪০ জন নারীর ওপর একটি পরীক্ষা চালান। এই পরীক্ষায় কিছু নারীকে দেওয়া হয় আকর্ষণীয় মোমবাতি, কিছু নারীকে দেওয়া হয় তাজা ফুল। পরীক্ষার পর দেখা যায়, অন্যদের চেয়ে যাঁরা ফুল পেয়েছিলেন, তাঁদের মানসিক চাপ কমেছে অনেক বেশি। মন মেজাজ হয়েছে চনমনে। গবেষকেরা জানিয়েছেন, ফুলের সংস্পর্শে এলে প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ ঘটে। তাতে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে মনে।
২. সম্পর্ক উজ্জীবিত করে
ফুলের পাশে থাকলে একে অপরের প্রতি সহানুভূতি বাড়ে, বাড়ে সহমর্মিতা। একে অন্যের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার তাগিদ অনুভব করে মানুষ। এতে পরস্পরের সম্পর্ক ভালো হয়।
৩. ফুল স্মৃতি সক্রিয় করে
আরেকটি গবেষণায় ৫৫ বছর বয়সী মানুষদের ওপর ফুলের প্রভাব পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, ফুল জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের মেজাজ ভালো রাখে। আরও অবাক করা বিষয়, সেই গবেষণায় দেখা গেছে, ফুলের হিতকর প্রভাব পড়ে বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষদের স্মৃতিশক্তির ওপর। গবেষকেরা জানান, ফুল খুলে দেয় মগজের আনন্দ দুয়ার। এর সুবাস আমদের স্মৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত। মগজের স্মৃতি এলাকাকে সক্রিয় করতে ফুলের আছে দারুণ ক্ষমতা।
৪. ফুল ঘুমপাড়ানি হতে পারে
ল্যাভেন্ডার হতে পারে চমৎকার ঘুমের ওষুধ। গবেষকেরা ৩১ জন নারী ও পুরুষকে রাতের বেলা ল্যাভেন্ডার তেলের সুবাস শুঁকতে দেন। এতে দেখা য়ায়, রাতে তাঁদের ঘুম ভালো হয়। আর গবেষণায় অংশ নেওয়া নারী ও পুরুষেরা পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজেদের খুব সজীব মনে করেন। এ জন্যই হয়তো পৃথিবীতে ল্যাভেন্ডার ফুলের নির্যাস থেকে বিভিন্ন প্রসাধনী পণ্য বানানোর প্রবণতা বেড়েছে এখন।
৫. ফুল শরীরের জন্য মঙ্গলজনক
একটি হাসপাতালে পাইলস অপারেশনের পর সেরে ওঠা ৯০ জন রোগীর ওপর একটি গবেষণা চালানো হয়। তাতে দেখা যায়, যেসব রোগীর কক্ষে ফুল ছিল তারা শারীরিকভাবে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে অন্যদের তুলনায়। যেসব রোগীর কক্ষে ফুল ছিল না, তাদের চেয়ে কক্ষে ফুল থাকা রোগীদের সিস্টোলিক রক্তচাপ ও ব্যথা-বেদনা এবং দুশ্চিন্তা কমে দ্রুততম সময়ে। তারা ছিল অনেক ইতিবাচক। তারা মনে করেছে, তাদের খেয়াল নেওয়া হচ্ছে সব সময়। এই ইতিবাচক চিন্তা রোগীদের সেরে ওঠার হার বাড়ায়।
৬. ফুল বড় আবেদনময়
অনেক প্রাচীন রীতি বদলে গেছে আধুনিক সময়ে। কিন্তু ফুল দিয়ে প্রেম নিবেদনের পুরোনো সেই রীতি এখনো বদলে যায়নি। ফুল দিয়ে মালা গেঁথে পরা বা খোঁপায় ফুল গুঁজে দেওয়া নারী-পুরুষের সম্পর্কে আবেগ আনে ঘনিষ্ঠ হওয়ার।
শুধু বেঁচে থাকাটাই যথেষ্ট নয়। এ জন্য দরকার রৌদ্রালোক স্বাধীনতা আর ছোট একটি ফুল। -হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান এনডারসন
আমাদের সুখের পেছনে থাকে মুক্তির স্বাদ ‘এই আকাশে আমার মুক্তি আলোয় আলোয়।’ আর ফুল? ‘ফুলের বনে যার কাছে যাই তারেই লাগে ভালো।’ গবেষকেরা বলেন, ঘরের বাইরে রোদের আলোয় দিন কাটানো আমাদের শরীর আর মনের কুশলের জন্য খুব দরকার। উত্তর ফ্লোরিডা ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা জানিয়েছেন, ঘরে ফুল থাকলে তা যে কেবল নান্দনিক আবেদন বাড়ায়, সেটা নয়। এর চেয়ে বড় কিছু করে। কেমন তা হলে ফুলের স্বাস্থ্য হিত?
১. ফুল মানসিক চাপ কমায়
একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৬৮ শতাংশ মানুষ সপ্তাহে একবার মানসিক চাপ অনুভব করে। আর ৩২ শতাংশ অনুভব করে এক দিন পর পর। মানসিক চাপ
বেশি হয় নারীদের। অনেকে সেই চাপ দিনে কয়েক বারও অনুভব করতে পারে। গবেষকেরা ১৮ থেকে ৬০ বছরের ১৪০ জন নারীর ওপর একটি পরীক্ষা চালান। এই পরীক্ষায় কিছু নারীকে দেওয়া হয় আকর্ষণীয় মোমবাতি, কিছু নারীকে দেওয়া হয় তাজা ফুল। পরীক্ষার পর দেখা যায়, অন্যদের চেয়ে যাঁরা ফুল পেয়েছিলেন, তাঁদের মানসিক চাপ কমেছে অনেক বেশি। মন মেজাজ হয়েছে চনমনে। গবেষকেরা জানিয়েছেন, ফুলের সংস্পর্শে এলে প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ ঘটে। তাতে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে মনে।
২. সম্পর্ক উজ্জীবিত করে
ফুলের পাশে থাকলে একে অপরের প্রতি সহানুভূতি বাড়ে, বাড়ে সহমর্মিতা। একে অন্যের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার তাগিদ অনুভব করে মানুষ। এতে পরস্পরের সম্পর্ক ভালো হয়।
৩. ফুল স্মৃতি সক্রিয় করে
আরেকটি গবেষণায় ৫৫ বছর বয়সী মানুষদের ওপর ফুলের প্রভাব পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, ফুল জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের মেজাজ ভালো রাখে। আরও অবাক করা বিষয়, সেই গবেষণায় দেখা গেছে, ফুলের হিতকর প্রভাব পড়ে বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষদের স্মৃতিশক্তির ওপর। গবেষকেরা জানান, ফুল খুলে দেয় মগজের আনন্দ দুয়ার। এর সুবাস আমদের স্মৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত। মগজের স্মৃতি এলাকাকে সক্রিয় করতে ফুলের আছে দারুণ ক্ষমতা।
৪. ফুল ঘুমপাড়ানি হতে পারে
ল্যাভেন্ডার হতে পারে চমৎকার ঘুমের ওষুধ। গবেষকেরা ৩১ জন নারী ও পুরুষকে রাতের বেলা ল্যাভেন্ডার তেলের সুবাস শুঁকতে দেন। এতে দেখা য়ায়, রাতে তাঁদের ঘুম ভালো হয়। আর গবেষণায় অংশ নেওয়া নারী ও পুরুষেরা পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজেদের খুব সজীব মনে করেন। এ জন্যই হয়তো পৃথিবীতে ল্যাভেন্ডার ফুলের নির্যাস থেকে বিভিন্ন প্রসাধনী পণ্য বানানোর প্রবণতা বেড়েছে এখন।
৫. ফুল শরীরের জন্য মঙ্গলজনক
একটি হাসপাতালে পাইলস অপারেশনের পর সেরে ওঠা ৯০ জন রোগীর ওপর একটি গবেষণা চালানো হয়। তাতে দেখা যায়, যেসব রোগীর কক্ষে ফুল ছিল তারা শারীরিকভাবে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে অন্যদের তুলনায়। যেসব রোগীর কক্ষে ফুল ছিল না, তাদের চেয়ে কক্ষে ফুল থাকা রোগীদের সিস্টোলিক রক্তচাপ ও ব্যথা-বেদনা এবং দুশ্চিন্তা কমে দ্রুততম সময়ে। তারা ছিল অনেক ইতিবাচক। তারা মনে করেছে, তাদের খেয়াল নেওয়া হচ্ছে সব সময়। এই ইতিবাচক চিন্তা রোগীদের সেরে ওঠার হার বাড়ায়।
৬. ফুল বড় আবেদনময়
অনেক প্রাচীন রীতি বদলে গেছে আধুনিক সময়ে। কিন্তু ফুল দিয়ে প্রেম নিবেদনের পুরোনো সেই রীতি এখনো বদলে যায়নি। ফুল দিয়ে মালা গেঁথে পরা বা খোঁপায় ফুল গুঁজে দেওয়া নারী-পুরুষের সম্পর্কে আবেগ আনে ঘনিষ্ঠ হওয়ার।
পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের সিটি স্ক্যান মেশিনের ফিল্মসংকট দেখা দিয়েছে। এতে সিটি স্ক্যান করার প্রয়োজন এমন রোগী ও তাঁদের স্বজনদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে যাঁদের জরুরি ভিত্তিতে সিটি স্ক্যান করা প্রয়োজন, তাঁরা পড়ছেন সবচেয়ে বেশি...
১০ ঘণ্টা আগেআশার কথা হলো, পরিবর্তন আসছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক যুগান্তকারী পরীক্ষায় দেখা গেছে, তীব্রভাবে চিনাবাদামের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত দুই-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ককে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে চিনাবাদাম খাইয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় আনা সম্ভব হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগেঅতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার বা ‘আল্ট্রা প্রসেসড ফুড’ (ইউপিএফ) বেশি খাওয়ার কারণে শুধু স্থূলতা, হতাশা, ডায়াবেটিস কিংবা হৃদরোগই নয়, বাড়ছে অকালমৃত্যুর ঝুঁকিও। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এই ধরনের খাবার খাওয়ার কারণে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু ঘটছে।
২১ ঘণ্টা আগেদেশের প্রায় পাঁচ লাখ শিশু সময়মতো টিকার সব ডোজ পাচ্ছে না। তাদের মধ্যে ৭০ হাজার শিশু কোনো টিকাই পায় না। টিকা না পাওয়ার হার শহরাঞ্চলে বেশি। টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলেও এসব তথ্য উঠে এসেছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)...
১ দিন আগে