আলমগীর আলম

খাবার কেবল শরীরের জ্বালানি নয়, এটি মনেরও খাদ্য। আমাদের প্রতিদিনের খাবার শুধু পেট ভরায় না, এর সরাসরি প্রভাব পড়ে আবেগ, মনোভাব, মানসিক স্থিতি ও একাগ্রতার ওপর। একটা ভালো খাবার যেমন মুখে হাসি এনে দিতে পারে, তেমনি খাওয়ার অনুপযোগী কিছুদিনের আনন্দ কেড়ে নিতে পারে। তাই খাবার হওয়া চাই শরীর ও মনের সঙ্গে সমন্বয়ের বিষয়। আপনি এমন খাবার খাবেন, যা মনে চঞ্চলতা এনে দেবে। কিন্তু আমরা এমন কিছু খাই, যা পেট ভরালেও শরীর ও মনে অস্বস্তি এনে দেয়। তাই খাবার গ্রহণের সঙ্গে শরীর ও মনে সম্পর্কের বিষয়ে জানা জরুরি।
মস্তিষ্কের রাসায়নিকের সঙ্গে খাবারের সম্পর্ক
আমাদের মনের অবস্থা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রিত হয় নিউরোট্রান্সমিটার নামের কিছু রাসায়নিকের মাধ্যমে। যেমন সেরোটোনিন আমাদের মনে সুখী অনুভূতি এনে দেয়। আপনার মন খারাপ? চকলেট খেতে ইচ্ছা করে? এটা কেবল স্বাদের জন্য নয়, এর সঙ্গে আপনার শরীর ও মনের চাহিদা জড়িয়ে আছে। ডার্ক চকলেট, কলার মতো ফল, বাদাম—এগুলো প্রাকৃতিকভাবে সেরোটোনিন বাড়াতে সাহায্য করে। তাই মুড ভালো রাখতে ‘ফিলগুড ফুডস’ খাওয়ার অভ্যাস করা জরুরি।
যেমন মন, তেমন খাবার। আবার যেমন খাবার, তেমন মন। খাবার বেছে নেওয়া মানে কেবল ওজন নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং মানসিক সুস্থতার চাবিকাঠিও বটে। তাই প্রতিদিন প্লেটে শুধু খাবার নয়, রাখুন ভালোবাসা, সচেতনতা আর পুষ্টি; যাতে মনও খায়, মনও হাসে। অন্যদিকে অতিরিক্ত চিনি, ফাস্ট ফুড, প্রসেসড খাবার রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণে ব্যাঘাত ঘটায় এবং মানসিক চাপ বাড়ায়। ‘পুষ্টি হলো মস্তিষ্কের জ্বালানি—সঠিক জ্বালানি মানেই সুস্থ চিন্তা ও আবেগ!’
মস্তিষ্কের জন্য পুষ্টির ভূমিকা
মস্তিষ্ক মানবদেহের প্রায় ২ শতাংশ ওজনের অঙ্গ হলেও এটি ২০ শতাংশ ক্যালরি ব্যবহার করে। এই শক্তি আসে খাদ্য থেকে প্রাপ্ত গ্লুকোজ এবং পুষ্টি উপাদান থেকে।
গ্লুকোজ: মস্তিষ্কের প্রাথমিক জ্বালানি, যা কার্বোহাইড্রেট (ভাত, রুটি, ফল) থেকে পাওয়া যায়।
ফ্যাটি অ্যাসিড (ওমেগা ৩): মস্তিষ্কের কোষের ঝিল্লি গঠন করে এবং স্নায়ু সংকেত পাঠাতে সাহায্য করে।
অ্যামিনো অ্যাসিড (প্রোটিন): নিউরোট্রান্সমিটার (যেমন: সেরোটোনিন, ডোপামিন) তৈরির মূল উপাদান।
ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ ও মানসিক স্থিতিশীলতা বাড়ায়। সামুদ্রিক মাছ (স্যালমন, টুনা), আখরোট, ফ্ল্যাক্সসিড।
বি ভিটামিন (বি৬, বি৯, বি১২): নিউরোট্রান্সমিটার সংশ্লেষণ, হোমোসিস্টেইন মাত্রা নিয়ন্ত্রণ (যা মস্তিষ্কের ক্ষতি রোধ করে)। ডিম, মাংস, সবুজ শাকসবজি, ডাল।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস (ভিটামিন সি, ই, জিংক): ফ্রি র্যাডিকেল দূর করে মস্তিষ্কের কোষের ক্ষতি রোধ। বেরি, ডার্ক চকলেট, বাদাম, টক ফল। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস, আলঝেইমারের ঝুঁকি।
ম্যাগনেসিয়াম ও জিংক: স্নায়ু সংকেত স্থানান্তর, মানসিক চাপ কমাতে এটি সাহায্য করে। কুমড়ার বীজ, পালংশাক, গোটা শস্য তিল, তিসি।
ভিটামিন ডি: সেরোটোনিন উৎপাদনে এটি সাহায্য করে, যা মেজাজ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। সূর্যালোক, ফর্টিফায়েড দুধ, মাশরুমে ভিটামিন ডি মেলে।
সঠিক খাবার কেন গুরুত্বপূর্ণ
শক্তি সরবরাহ করে কম গ্লাইসেমিক সূচকের খাবার (যেমন ওটস, শাকসবজি) ধীরে ধীরে শক্তি ছাড়ে, যা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা স্থির রাখে। নিউরোপ্লাস্টিসিটি পুষ্টি মস্তিষ্কের কোষের পুনর্গঠন এবং নতুন সংযোগ তৈরিতে সাহায্য করে। মেন্টাল হেলথের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ভূমধ্যসাগরীয় খাবার (যেমন ফল, শাকসবজি, মাছ, জলপাই তেল) বিষণ্নতার ঝুঁকি ৩০ শতাংশ কমায়।
পুষ্টি ঘাটতির প্রভাব আমাদের নেতিবাচক পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। এর মধ্যে ক্লান্তি, ব্রেইন ফগ, মুড সুইং। এগুলো আবার দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিও করতে পারে, এসবের মধ্যে স্মৃতিভ্রংশ, হতাশা, স্নায়বিক রোগ, পারকিনসন, আলঝেইমারের মতো কঠিন অনিরাময়যোগ্য রোগ।
তাই বুঝতে হবে, মস্তিষ্ক একটি জটিল অঙ্গ, যা সঠিক পুষ্টি ছাড়া সর্বোচ্চ দক্ষতায় কাজ করতে পারে না। পুষ্টিকর খাবার শুধু শারীরিক স্বাস্থ্যই নয়, মানসিক সুস্থতা, সৃজনশীলতা ও আবেগ নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি।
পরামর্শ দিয়েছেন: খাদ্যপথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ; প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র

খাবার কেবল শরীরের জ্বালানি নয়, এটি মনেরও খাদ্য। আমাদের প্রতিদিনের খাবার শুধু পেট ভরায় না, এর সরাসরি প্রভাব পড়ে আবেগ, মনোভাব, মানসিক স্থিতি ও একাগ্রতার ওপর। একটা ভালো খাবার যেমন মুখে হাসি এনে দিতে পারে, তেমনি খাওয়ার অনুপযোগী কিছুদিনের আনন্দ কেড়ে নিতে পারে। তাই খাবার হওয়া চাই শরীর ও মনের সঙ্গে সমন্বয়ের বিষয়। আপনি এমন খাবার খাবেন, যা মনে চঞ্চলতা এনে দেবে। কিন্তু আমরা এমন কিছু খাই, যা পেট ভরালেও শরীর ও মনে অস্বস্তি এনে দেয়। তাই খাবার গ্রহণের সঙ্গে শরীর ও মনে সম্পর্কের বিষয়ে জানা জরুরি।
মস্তিষ্কের রাসায়নিকের সঙ্গে খাবারের সম্পর্ক
আমাদের মনের অবস্থা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রিত হয় নিউরোট্রান্সমিটার নামের কিছু রাসায়নিকের মাধ্যমে। যেমন সেরোটোনিন আমাদের মনে সুখী অনুভূতি এনে দেয়। আপনার মন খারাপ? চকলেট খেতে ইচ্ছা করে? এটা কেবল স্বাদের জন্য নয়, এর সঙ্গে আপনার শরীর ও মনের চাহিদা জড়িয়ে আছে। ডার্ক চকলেট, কলার মতো ফল, বাদাম—এগুলো প্রাকৃতিকভাবে সেরোটোনিন বাড়াতে সাহায্য করে। তাই মুড ভালো রাখতে ‘ফিলগুড ফুডস’ খাওয়ার অভ্যাস করা জরুরি।
যেমন মন, তেমন খাবার। আবার যেমন খাবার, তেমন মন। খাবার বেছে নেওয়া মানে কেবল ওজন নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং মানসিক সুস্থতার চাবিকাঠিও বটে। তাই প্রতিদিন প্লেটে শুধু খাবার নয়, রাখুন ভালোবাসা, সচেতনতা আর পুষ্টি; যাতে মনও খায়, মনও হাসে। অন্যদিকে অতিরিক্ত চিনি, ফাস্ট ফুড, প্রসেসড খাবার রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণে ব্যাঘাত ঘটায় এবং মানসিক চাপ বাড়ায়। ‘পুষ্টি হলো মস্তিষ্কের জ্বালানি—সঠিক জ্বালানি মানেই সুস্থ চিন্তা ও আবেগ!’
মস্তিষ্কের জন্য পুষ্টির ভূমিকা
মস্তিষ্ক মানবদেহের প্রায় ২ শতাংশ ওজনের অঙ্গ হলেও এটি ২০ শতাংশ ক্যালরি ব্যবহার করে। এই শক্তি আসে খাদ্য থেকে প্রাপ্ত গ্লুকোজ এবং পুষ্টি উপাদান থেকে।
গ্লুকোজ: মস্তিষ্কের প্রাথমিক জ্বালানি, যা কার্বোহাইড্রেট (ভাত, রুটি, ফল) থেকে পাওয়া যায়।
ফ্যাটি অ্যাসিড (ওমেগা ৩): মস্তিষ্কের কোষের ঝিল্লি গঠন করে এবং স্নায়ু সংকেত পাঠাতে সাহায্য করে।
অ্যামিনো অ্যাসিড (প্রোটিন): নিউরোট্রান্সমিটার (যেমন: সেরোটোনিন, ডোপামিন) তৈরির মূল উপাদান।
ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ ও মানসিক স্থিতিশীলতা বাড়ায়। সামুদ্রিক মাছ (স্যালমন, টুনা), আখরোট, ফ্ল্যাক্সসিড।
বি ভিটামিন (বি৬, বি৯, বি১২): নিউরোট্রান্সমিটার সংশ্লেষণ, হোমোসিস্টেইন মাত্রা নিয়ন্ত্রণ (যা মস্তিষ্কের ক্ষতি রোধ করে)। ডিম, মাংস, সবুজ শাকসবজি, ডাল।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস (ভিটামিন সি, ই, জিংক): ফ্রি র্যাডিকেল দূর করে মস্তিষ্কের কোষের ক্ষতি রোধ। বেরি, ডার্ক চকলেট, বাদাম, টক ফল। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস, আলঝেইমারের ঝুঁকি।
ম্যাগনেসিয়াম ও জিংক: স্নায়ু সংকেত স্থানান্তর, মানসিক চাপ কমাতে এটি সাহায্য করে। কুমড়ার বীজ, পালংশাক, গোটা শস্য তিল, তিসি।
ভিটামিন ডি: সেরোটোনিন উৎপাদনে এটি সাহায্য করে, যা মেজাজ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। সূর্যালোক, ফর্টিফায়েড দুধ, মাশরুমে ভিটামিন ডি মেলে।
সঠিক খাবার কেন গুরুত্বপূর্ণ
শক্তি সরবরাহ করে কম গ্লাইসেমিক সূচকের খাবার (যেমন ওটস, শাকসবজি) ধীরে ধীরে শক্তি ছাড়ে, যা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা স্থির রাখে। নিউরোপ্লাস্টিসিটি পুষ্টি মস্তিষ্কের কোষের পুনর্গঠন এবং নতুন সংযোগ তৈরিতে সাহায্য করে। মেন্টাল হেলথের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ভূমধ্যসাগরীয় খাবার (যেমন ফল, শাকসবজি, মাছ, জলপাই তেল) বিষণ্নতার ঝুঁকি ৩০ শতাংশ কমায়।
পুষ্টি ঘাটতির প্রভাব আমাদের নেতিবাচক পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। এর মধ্যে ক্লান্তি, ব্রেইন ফগ, মুড সুইং। এগুলো আবার দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিও করতে পারে, এসবের মধ্যে স্মৃতিভ্রংশ, হতাশা, স্নায়বিক রোগ, পারকিনসন, আলঝেইমারের মতো কঠিন অনিরাময়যোগ্য রোগ।
তাই বুঝতে হবে, মস্তিষ্ক একটি জটিল অঙ্গ, যা সঠিক পুষ্টি ছাড়া সর্বোচ্চ দক্ষতায় কাজ করতে পারে না। পুষ্টিকর খাবার শুধু শারীরিক স্বাস্থ্যই নয়, মানসিক সুস্থতা, সৃজনশীলতা ও আবেগ নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি।
পরামর্শ দিয়েছেন: খাদ্যপথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ; প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র
আলমগীর আলম

খাবার কেবল শরীরের জ্বালানি নয়, এটি মনেরও খাদ্য। আমাদের প্রতিদিনের খাবার শুধু পেট ভরায় না, এর সরাসরি প্রভাব পড়ে আবেগ, মনোভাব, মানসিক স্থিতি ও একাগ্রতার ওপর। একটা ভালো খাবার যেমন মুখে হাসি এনে দিতে পারে, তেমনি খাওয়ার অনুপযোগী কিছুদিনের আনন্দ কেড়ে নিতে পারে। তাই খাবার হওয়া চাই শরীর ও মনের সঙ্গে সমন্বয়ের বিষয়। আপনি এমন খাবার খাবেন, যা মনে চঞ্চলতা এনে দেবে। কিন্তু আমরা এমন কিছু খাই, যা পেট ভরালেও শরীর ও মনে অস্বস্তি এনে দেয়। তাই খাবার গ্রহণের সঙ্গে শরীর ও মনে সম্পর্কের বিষয়ে জানা জরুরি।
মস্তিষ্কের রাসায়নিকের সঙ্গে খাবারের সম্পর্ক
আমাদের মনের অবস্থা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রিত হয় নিউরোট্রান্সমিটার নামের কিছু রাসায়নিকের মাধ্যমে। যেমন সেরোটোনিন আমাদের মনে সুখী অনুভূতি এনে দেয়। আপনার মন খারাপ? চকলেট খেতে ইচ্ছা করে? এটা কেবল স্বাদের জন্য নয়, এর সঙ্গে আপনার শরীর ও মনের চাহিদা জড়িয়ে আছে। ডার্ক চকলেট, কলার মতো ফল, বাদাম—এগুলো প্রাকৃতিকভাবে সেরোটোনিন বাড়াতে সাহায্য করে। তাই মুড ভালো রাখতে ‘ফিলগুড ফুডস’ খাওয়ার অভ্যাস করা জরুরি।
যেমন মন, তেমন খাবার। আবার যেমন খাবার, তেমন মন। খাবার বেছে নেওয়া মানে কেবল ওজন নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং মানসিক সুস্থতার চাবিকাঠিও বটে। তাই প্রতিদিন প্লেটে শুধু খাবার নয়, রাখুন ভালোবাসা, সচেতনতা আর পুষ্টি; যাতে মনও খায়, মনও হাসে। অন্যদিকে অতিরিক্ত চিনি, ফাস্ট ফুড, প্রসেসড খাবার রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণে ব্যাঘাত ঘটায় এবং মানসিক চাপ বাড়ায়। ‘পুষ্টি হলো মস্তিষ্কের জ্বালানি—সঠিক জ্বালানি মানেই সুস্থ চিন্তা ও আবেগ!’
মস্তিষ্কের জন্য পুষ্টির ভূমিকা
মস্তিষ্ক মানবদেহের প্রায় ২ শতাংশ ওজনের অঙ্গ হলেও এটি ২০ শতাংশ ক্যালরি ব্যবহার করে। এই শক্তি আসে খাদ্য থেকে প্রাপ্ত গ্লুকোজ এবং পুষ্টি উপাদান থেকে।
গ্লুকোজ: মস্তিষ্কের প্রাথমিক জ্বালানি, যা কার্বোহাইড্রেট (ভাত, রুটি, ফল) থেকে পাওয়া যায়।
ফ্যাটি অ্যাসিড (ওমেগা ৩): মস্তিষ্কের কোষের ঝিল্লি গঠন করে এবং স্নায়ু সংকেত পাঠাতে সাহায্য করে।
অ্যামিনো অ্যাসিড (প্রোটিন): নিউরোট্রান্সমিটার (যেমন: সেরোটোনিন, ডোপামিন) তৈরির মূল উপাদান।
ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ ও মানসিক স্থিতিশীলতা বাড়ায়। সামুদ্রিক মাছ (স্যালমন, টুনা), আখরোট, ফ্ল্যাক্সসিড।
বি ভিটামিন (বি৬, বি৯, বি১২): নিউরোট্রান্সমিটার সংশ্লেষণ, হোমোসিস্টেইন মাত্রা নিয়ন্ত্রণ (যা মস্তিষ্কের ক্ষতি রোধ করে)। ডিম, মাংস, সবুজ শাকসবজি, ডাল।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস (ভিটামিন সি, ই, জিংক): ফ্রি র্যাডিকেল দূর করে মস্তিষ্কের কোষের ক্ষতি রোধ। বেরি, ডার্ক চকলেট, বাদাম, টক ফল। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস, আলঝেইমারের ঝুঁকি।
ম্যাগনেসিয়াম ও জিংক: স্নায়ু সংকেত স্থানান্তর, মানসিক চাপ কমাতে এটি সাহায্য করে। কুমড়ার বীজ, পালংশাক, গোটা শস্য তিল, তিসি।
ভিটামিন ডি: সেরোটোনিন উৎপাদনে এটি সাহায্য করে, যা মেজাজ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। সূর্যালোক, ফর্টিফায়েড দুধ, মাশরুমে ভিটামিন ডি মেলে।
সঠিক খাবার কেন গুরুত্বপূর্ণ
শক্তি সরবরাহ করে কম গ্লাইসেমিক সূচকের খাবার (যেমন ওটস, শাকসবজি) ধীরে ধীরে শক্তি ছাড়ে, যা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা স্থির রাখে। নিউরোপ্লাস্টিসিটি পুষ্টি মস্তিষ্কের কোষের পুনর্গঠন এবং নতুন সংযোগ তৈরিতে সাহায্য করে। মেন্টাল হেলথের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ভূমধ্যসাগরীয় খাবার (যেমন ফল, শাকসবজি, মাছ, জলপাই তেল) বিষণ্নতার ঝুঁকি ৩০ শতাংশ কমায়।
পুষ্টি ঘাটতির প্রভাব আমাদের নেতিবাচক পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। এর মধ্যে ক্লান্তি, ব্রেইন ফগ, মুড সুইং। এগুলো আবার দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিও করতে পারে, এসবের মধ্যে স্মৃতিভ্রংশ, হতাশা, স্নায়বিক রোগ, পারকিনসন, আলঝেইমারের মতো কঠিন অনিরাময়যোগ্য রোগ।
তাই বুঝতে হবে, মস্তিষ্ক একটি জটিল অঙ্গ, যা সঠিক পুষ্টি ছাড়া সর্বোচ্চ দক্ষতায় কাজ করতে পারে না। পুষ্টিকর খাবার শুধু শারীরিক স্বাস্থ্যই নয়, মানসিক সুস্থতা, সৃজনশীলতা ও আবেগ নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি।
পরামর্শ দিয়েছেন: খাদ্যপথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ; প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র

খাবার কেবল শরীরের জ্বালানি নয়, এটি মনেরও খাদ্য। আমাদের প্রতিদিনের খাবার শুধু পেট ভরায় না, এর সরাসরি প্রভাব পড়ে আবেগ, মনোভাব, মানসিক স্থিতি ও একাগ্রতার ওপর। একটা ভালো খাবার যেমন মুখে হাসি এনে দিতে পারে, তেমনি খাওয়ার অনুপযোগী কিছুদিনের আনন্দ কেড়ে নিতে পারে। তাই খাবার হওয়া চাই শরীর ও মনের সঙ্গে সমন্বয়ের বিষয়। আপনি এমন খাবার খাবেন, যা মনে চঞ্চলতা এনে দেবে। কিন্তু আমরা এমন কিছু খাই, যা পেট ভরালেও শরীর ও মনে অস্বস্তি এনে দেয়। তাই খাবার গ্রহণের সঙ্গে শরীর ও মনে সম্পর্কের বিষয়ে জানা জরুরি।
মস্তিষ্কের রাসায়নিকের সঙ্গে খাবারের সম্পর্ক
আমাদের মনের অবস্থা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রিত হয় নিউরোট্রান্সমিটার নামের কিছু রাসায়নিকের মাধ্যমে। যেমন সেরোটোনিন আমাদের মনে সুখী অনুভূতি এনে দেয়। আপনার মন খারাপ? চকলেট খেতে ইচ্ছা করে? এটা কেবল স্বাদের জন্য নয়, এর সঙ্গে আপনার শরীর ও মনের চাহিদা জড়িয়ে আছে। ডার্ক চকলেট, কলার মতো ফল, বাদাম—এগুলো প্রাকৃতিকভাবে সেরোটোনিন বাড়াতে সাহায্য করে। তাই মুড ভালো রাখতে ‘ফিলগুড ফুডস’ খাওয়ার অভ্যাস করা জরুরি।
যেমন মন, তেমন খাবার। আবার যেমন খাবার, তেমন মন। খাবার বেছে নেওয়া মানে কেবল ওজন নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং মানসিক সুস্থতার চাবিকাঠিও বটে। তাই প্রতিদিন প্লেটে শুধু খাবার নয়, রাখুন ভালোবাসা, সচেতনতা আর পুষ্টি; যাতে মনও খায়, মনও হাসে। অন্যদিকে অতিরিক্ত চিনি, ফাস্ট ফুড, প্রসেসড খাবার রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণে ব্যাঘাত ঘটায় এবং মানসিক চাপ বাড়ায়। ‘পুষ্টি হলো মস্তিষ্কের জ্বালানি—সঠিক জ্বালানি মানেই সুস্থ চিন্তা ও আবেগ!’
মস্তিষ্কের জন্য পুষ্টির ভূমিকা
মস্তিষ্ক মানবদেহের প্রায় ২ শতাংশ ওজনের অঙ্গ হলেও এটি ২০ শতাংশ ক্যালরি ব্যবহার করে। এই শক্তি আসে খাদ্য থেকে প্রাপ্ত গ্লুকোজ এবং পুষ্টি উপাদান থেকে।
গ্লুকোজ: মস্তিষ্কের প্রাথমিক জ্বালানি, যা কার্বোহাইড্রেট (ভাত, রুটি, ফল) থেকে পাওয়া যায়।
ফ্যাটি অ্যাসিড (ওমেগা ৩): মস্তিষ্কের কোষের ঝিল্লি গঠন করে এবং স্নায়ু সংকেত পাঠাতে সাহায্য করে।
অ্যামিনো অ্যাসিড (প্রোটিন): নিউরোট্রান্সমিটার (যেমন: সেরোটোনিন, ডোপামিন) তৈরির মূল উপাদান।
ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ ও মানসিক স্থিতিশীলতা বাড়ায়। সামুদ্রিক মাছ (স্যালমন, টুনা), আখরোট, ফ্ল্যাক্সসিড।
বি ভিটামিন (বি৬, বি৯, বি১২): নিউরোট্রান্সমিটার সংশ্লেষণ, হোমোসিস্টেইন মাত্রা নিয়ন্ত্রণ (যা মস্তিষ্কের ক্ষতি রোধ করে)। ডিম, মাংস, সবুজ শাকসবজি, ডাল।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস (ভিটামিন সি, ই, জিংক): ফ্রি র্যাডিকেল দূর করে মস্তিষ্কের কোষের ক্ষতি রোধ। বেরি, ডার্ক চকলেট, বাদাম, টক ফল। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস, আলঝেইমারের ঝুঁকি।
ম্যাগনেসিয়াম ও জিংক: স্নায়ু সংকেত স্থানান্তর, মানসিক চাপ কমাতে এটি সাহায্য করে। কুমড়ার বীজ, পালংশাক, গোটা শস্য তিল, তিসি।
ভিটামিন ডি: সেরোটোনিন উৎপাদনে এটি সাহায্য করে, যা মেজাজ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। সূর্যালোক, ফর্টিফায়েড দুধ, মাশরুমে ভিটামিন ডি মেলে।
সঠিক খাবার কেন গুরুত্বপূর্ণ
শক্তি সরবরাহ করে কম গ্লাইসেমিক সূচকের খাবার (যেমন ওটস, শাকসবজি) ধীরে ধীরে শক্তি ছাড়ে, যা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা স্থির রাখে। নিউরোপ্লাস্টিসিটি পুষ্টি মস্তিষ্কের কোষের পুনর্গঠন এবং নতুন সংযোগ তৈরিতে সাহায্য করে। মেন্টাল হেলথের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ভূমধ্যসাগরীয় খাবার (যেমন ফল, শাকসবজি, মাছ, জলপাই তেল) বিষণ্নতার ঝুঁকি ৩০ শতাংশ কমায়।
পুষ্টি ঘাটতির প্রভাব আমাদের নেতিবাচক পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। এর মধ্যে ক্লান্তি, ব্রেইন ফগ, মুড সুইং। এগুলো আবার দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিও করতে পারে, এসবের মধ্যে স্মৃতিভ্রংশ, হতাশা, স্নায়বিক রোগ, পারকিনসন, আলঝেইমারের মতো কঠিন অনিরাময়যোগ্য রোগ।
তাই বুঝতে হবে, মস্তিষ্ক একটি জটিল অঙ্গ, যা সঠিক পুষ্টি ছাড়া সর্বোচ্চ দক্ষতায় কাজ করতে পারে না। পুষ্টিকর খাবার শুধু শারীরিক স্বাস্থ্যই নয়, মানসিক সুস্থতা, সৃজনশীলতা ও আবেগ নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি।
পরামর্শ দিয়েছেন: খাদ্যপথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ; প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) এবং ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
৩৩ মিনিট আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
১ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
১ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) এবং ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ফলাফল প্রকাশ করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভর্তি পরীক্ষায় মোট পাসকৃত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮১ হাজার ৬৪২ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ১২৮ জন এবং নারী পরীক্ষার্থী ৫০ হাজার ৫১৪ জন। ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ হতে প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী ৫ হাজার ৬৪৫ জন প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, সরকারি ৩৭টি মেডিকেল কলেজ, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ, ৮টি মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটসমূহের ৫ হাজার ৬৪৫টি আসনের জন্য নির্বাচিত নারী পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ৬০৩ জন এবং পুরুষ পরীক্ষার্থী ২ হাজার ৪২ জন।
গত শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দেশের ১৭টি কেন্দ্র ও ৪৯টি ভেন্যুতে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৫ হাজার ৬৪৫টি। যার মধ্যে এমবিবিএস ৫ হাজার ১০০ এবং বিডিএস ৫৪৫।
বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৭ হাজার ৩৬১টি। যার মধ্যে এমবিসিএস ৬ হাজার ১ এবং বিডিএস ১ হাজার ৩৬০। সর্বমোট ১৩ হাজার ৬টি আসনের বিপরীতে এ বছর মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন। ভর্তি পরীক্ষায় ১ লাখ ২০ হাজার ৪৪০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন।

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) এবং ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ফলাফল প্রকাশ করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভর্তি পরীক্ষায় মোট পাসকৃত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮১ হাজার ৬৪২ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ১২৮ জন এবং নারী পরীক্ষার্থী ৫০ হাজার ৫১৪ জন। ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ হতে প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী ৫ হাজার ৬৪৫ জন প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, সরকারি ৩৭টি মেডিকেল কলেজ, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ, ৮টি মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটসমূহের ৫ হাজার ৬৪৫টি আসনের জন্য নির্বাচিত নারী পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ৬০৩ জন এবং পুরুষ পরীক্ষার্থী ২ হাজার ৪২ জন।
গত শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দেশের ১৭টি কেন্দ্র ও ৪৯টি ভেন্যুতে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৫ হাজার ৬৪৫টি। যার মধ্যে এমবিবিএস ৫ হাজার ১০০ এবং বিডিএস ৫৪৫।
বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৭ হাজার ৩৬১টি। যার মধ্যে এমবিসিএস ৬ হাজার ১ এবং বিডিএস ১ হাজার ৩৬০। সর্বমোট ১৩ হাজার ৬টি আসনের বিপরীতে এ বছর মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন। ভর্তি পরীক্ষায় ১ লাখ ২০ হাজার ৪৪০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন।

খাবার কেবল শরীরের জ্বালানি নয়, এটি মনেরও খাদ্য। আমাদের প্রতিদিনের খাবার শুধু পেট ভরায় না, এর সরাসরি প্রভাব পড়ে আবেগ, মনোভাব, মানসিক স্থিতি ও একাগ্রতার ওপর। একটা ভালো খাবার যেমন মুখে হাসি এনে দিতে পারে, তেমনি খাওয়ার অনুপযোগী কিছুদিনের আনন্দ কেড়ে নিতে পারে। তাই খাবার হওয়া চাই শরীর ও মনের সঙ্গে...
১২ এপ্রিল ২০২৫
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
১ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
১ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
১ দিন আগেমো. ইকবাল হোসেন

ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
মানুষের শরীরের গঠন অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। পৃথিবীর বেশির ভাগ প্রাণীর চেয়ে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন। আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য আলাদা পুষ্টির প্রয়োজন হয়। যেমন চোখের যত্নে ভিটামিন এ, ত্বকের যত্নে ভিটামিন বি, হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি ইত্যাদি। এসব চাহিদা পূরণ করে খাবার খেলে শরীরে সুখের হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং আমাদের সুখানুভূতি হয়, মন শান্ত থাকে।
মন ভালো রাখার অন্যতম হরমোন ডোপামিন। এটি নিঃসরণে খাবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমাদের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা যত বাড়বে, ডোপামিনের নিঃসরণও তত বাড়বে। তাই অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে গুড ফ্যাট বা ভালো চর্বিসমৃদ্ধ, গাঁজানো এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
সে ক্ষেত্রে চমৎকার খাবার হতে পারে শীতকালীন বিভিন্ন শাকসবজি। শিমের বিচি, মটরশুঁটি, বরবটিসহ অন্যান্য শাকসবজি ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে চমৎকার কাজ করে। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, মাছের তেল, অলিভ অয়েল, টক দই ইত্যাদি খাবারও পর্যাপ্ত খেতে হবে। আঁশের উৎস হিসেবে লালশাক, পালংশাক, সবুজ শাক খেতে হবে। ভাজাপোড়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ডুবোতেলে ভাজা খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
আমাদের মন ভালো রাখার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন হচ্ছে সেরোটোনিন। ৯০ শতাংশ সেরোটোনিন উৎপন্ন হয় অন্ত্রের এন্টেরোক্রমাফিন কোষের এন্টেরিক নার্ভাস সিস্টেম থেকে। এ জন্য অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা বেশি জরুরি। অন্ত্রের পেশি নড়াচড়ায় সেরোটোনিন সাহায্য করে। মাত্র ১ শতাংশ সেরোটোনিন মস্তিষ্কে নিঃসৃত হয়। এই ১ শতাংশ সেরোটোনিন মুড, ঘুম, স্মৃতি, ক্ষুধা, মন ভালো থাকা ইত্যাদির ওপর প্রভাব বিস্তার করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন বি-১২ এবং ভিটামিন ডি সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়ায়। খাবারের পাশাপাশি রাতে ভালো ঘুম সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে পরিমিত রেডমিট, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শিম, গাজরসহ সব ধরনের শীতকালীন সবজি এবং শীতের মিষ্টি রোদ দারুণ কাজ করে।
এ ছাড়া অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণসমৃদ্ধ খাবার, যেমন দারুচিনি, লবঙ্গ, হলুদ, ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে।
শীতে শরীরে ব্যথার প্রকোপ কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। তবে এন্ডোরফিন নামক হরমোন প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা উপশম করে। শারীরিক বা মানসিকভাবে আহত হলে এন্ডোরফিন সক্রিয় হয়ে আমাদের ব্যথা নিরাময় করে। অতিরিক্ত ওজন, বিষণ্নতা, উচ্চ রক্তচাপ এন্ডোরফিনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। তবে কিছু খাবার আছে; যেগুলো খেলে এন্ডোরফিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবারগুলো শরীরে ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এন্ডোরফিন নিঃসরণে সহযোগিতা করে। তাই শীতে মন ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পাতিলেবু, মোসাম্বি, পেয়ারা, কলা, জাম্বুরা ও কমলা খেতে হবে।
এর পাশাপাশি টমেটো, কাঁচা মরিচ, ক্যাপসিকাম ও পালংশাক শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর জোগান দিতে পারে; সঙ্গে মেটায় আঁশ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতিও।
এ ছাড়া শীতকালীন প্রায় সব শাকসবজি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এবং ক্যানসার প্রতিরোধী গুণসমৃদ্ধ। এগুলো যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে বাড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। শীতকালীন পালংশাক, গাজর, টমেটো, বিটরুট, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি হয়ে উঠতে পারে সুস্থ থাকার অন্যতম হাতিয়ার। শীতকালীন সবজি ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে অত্যন্ত উপযোগী। তাই শীতকালে সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি হতে পারে এসব সবজি।
আমাদের শরীরের অবহেলিত অঙ্গ ক্ষুদ্রান্ত্র। আমরা বিভিন্ন রকমের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাই। সেসবের প্রভাব পড়ে ক্ষুদ্রান্ত্রের ওপর। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারের ফলে আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমতে থাকে।
ফলে গ্যাসের সমস্যা, ফ্যাটি লিভার, কোলেস্টেরল, কোষ্ঠকাঠিন্য বা কিডনি সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। আবার বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও কমে যায় এসব ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা। তাই সুস্থ থাকতে এবং মন ভালো রাখতে শীতকাল হতে পারে আপনার জীবনের সেরা সময়।
খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে—
পুষ্টিবিদ ও জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
মানুষের শরীরের গঠন অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। পৃথিবীর বেশির ভাগ প্রাণীর চেয়ে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন। আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য আলাদা পুষ্টির প্রয়োজন হয়। যেমন চোখের যত্নে ভিটামিন এ, ত্বকের যত্নে ভিটামিন বি, হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি ইত্যাদি। এসব চাহিদা পূরণ করে খাবার খেলে শরীরে সুখের হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং আমাদের সুখানুভূতি হয়, মন শান্ত থাকে।
মন ভালো রাখার অন্যতম হরমোন ডোপামিন। এটি নিঃসরণে খাবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমাদের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা যত বাড়বে, ডোপামিনের নিঃসরণও তত বাড়বে। তাই অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে গুড ফ্যাট বা ভালো চর্বিসমৃদ্ধ, গাঁজানো এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
সে ক্ষেত্রে চমৎকার খাবার হতে পারে শীতকালীন বিভিন্ন শাকসবজি। শিমের বিচি, মটরশুঁটি, বরবটিসহ অন্যান্য শাকসবজি ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে চমৎকার কাজ করে। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, মাছের তেল, অলিভ অয়েল, টক দই ইত্যাদি খাবারও পর্যাপ্ত খেতে হবে। আঁশের উৎস হিসেবে লালশাক, পালংশাক, সবুজ শাক খেতে হবে। ভাজাপোড়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ডুবোতেলে ভাজা খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
আমাদের মন ভালো রাখার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন হচ্ছে সেরোটোনিন। ৯০ শতাংশ সেরোটোনিন উৎপন্ন হয় অন্ত্রের এন্টেরোক্রমাফিন কোষের এন্টেরিক নার্ভাস সিস্টেম থেকে। এ জন্য অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা বেশি জরুরি। অন্ত্রের পেশি নড়াচড়ায় সেরোটোনিন সাহায্য করে। মাত্র ১ শতাংশ সেরোটোনিন মস্তিষ্কে নিঃসৃত হয়। এই ১ শতাংশ সেরোটোনিন মুড, ঘুম, স্মৃতি, ক্ষুধা, মন ভালো থাকা ইত্যাদির ওপর প্রভাব বিস্তার করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন বি-১২ এবং ভিটামিন ডি সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়ায়। খাবারের পাশাপাশি রাতে ভালো ঘুম সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে পরিমিত রেডমিট, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শিম, গাজরসহ সব ধরনের শীতকালীন সবজি এবং শীতের মিষ্টি রোদ দারুণ কাজ করে।
এ ছাড়া অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণসমৃদ্ধ খাবার, যেমন দারুচিনি, লবঙ্গ, হলুদ, ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে।
শীতে শরীরে ব্যথার প্রকোপ কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। তবে এন্ডোরফিন নামক হরমোন প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা উপশম করে। শারীরিক বা মানসিকভাবে আহত হলে এন্ডোরফিন সক্রিয় হয়ে আমাদের ব্যথা নিরাময় করে। অতিরিক্ত ওজন, বিষণ্নতা, উচ্চ রক্তচাপ এন্ডোরফিনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। তবে কিছু খাবার আছে; যেগুলো খেলে এন্ডোরফিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবারগুলো শরীরে ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এন্ডোরফিন নিঃসরণে সহযোগিতা করে। তাই শীতে মন ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পাতিলেবু, মোসাম্বি, পেয়ারা, কলা, জাম্বুরা ও কমলা খেতে হবে।
এর পাশাপাশি টমেটো, কাঁচা মরিচ, ক্যাপসিকাম ও পালংশাক শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর জোগান দিতে পারে; সঙ্গে মেটায় আঁশ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতিও।
এ ছাড়া শীতকালীন প্রায় সব শাকসবজি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এবং ক্যানসার প্রতিরোধী গুণসমৃদ্ধ। এগুলো যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে বাড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। শীতকালীন পালংশাক, গাজর, টমেটো, বিটরুট, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি হয়ে উঠতে পারে সুস্থ থাকার অন্যতম হাতিয়ার। শীতকালীন সবজি ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে অত্যন্ত উপযোগী। তাই শীতকালে সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি হতে পারে এসব সবজি।
আমাদের শরীরের অবহেলিত অঙ্গ ক্ষুদ্রান্ত্র। আমরা বিভিন্ন রকমের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাই। সেসবের প্রভাব পড়ে ক্ষুদ্রান্ত্রের ওপর। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারের ফলে আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমতে থাকে।
ফলে গ্যাসের সমস্যা, ফ্যাটি লিভার, কোলেস্টেরল, কোষ্ঠকাঠিন্য বা কিডনি সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। আবার বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও কমে যায় এসব ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা। তাই সুস্থ থাকতে এবং মন ভালো রাখতে শীতকাল হতে পারে আপনার জীবনের সেরা সময়।
খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে—
পুষ্টিবিদ ও জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

খাবার কেবল শরীরের জ্বালানি নয়, এটি মনেরও খাদ্য। আমাদের প্রতিদিনের খাবার শুধু পেট ভরায় না, এর সরাসরি প্রভাব পড়ে আবেগ, মনোভাব, মানসিক স্থিতি ও একাগ্রতার ওপর। একটা ভালো খাবার যেমন মুখে হাসি এনে দিতে পারে, তেমনি খাওয়ার অনুপযোগী কিছুদিনের আনন্দ কেড়ে নিতে পারে। তাই খাবার হওয়া চাই শরীর ও মনের সঙ্গে...
১২ এপ্রিল ২০২৫
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) এবং ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
৩৩ মিনিট আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
১ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
১ দিন আগেডা. অবন্তি ঘোষ

চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
বীর্য পরীক্ষার পর শুক্রাণুর সংখ্যা, গতি, আকৃতি, পরিমাণ ইত্যাদি
দেখা হয়।
চিকিৎসা নির্ভর করে সমস্যা কেমন এবং কোন স্তরে রয়েছে, তার ওপর। সাধারণভাবে চিকিৎসা কয়েকটি ধাপে করা হয়।
শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতি উন্নত করতে কিছু পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন দেওয়া হয়, যেমন:
ওষুধ শুরুর পর রোগীকে তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কারণ, নতুন শুক্রাণু তৈরিতে প্রায় ৭৫ দিন লাগে।
ওষুধে উন্নতি হলে স্বামী-স্ত্রী স্বাভাবিক পদ্ধতিতে গর্ভধারণের চেষ্টা করতে পারেন। প্রয়োজনে স্ত্রীকে ডিম্বাণু উৎপাদন বাড়ানোর ওষুধ দেওয়া হয়।
ভেরিকোসিল কিংবা শুক্রনালির ব্লকেজ থাকলে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।
যাঁদের বীর্যে একেবারেই শুক্রাণু পাওয়া যায় না, যাকে অ্যাজোস্পার্মিয়া বলা হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ থেকে সরাসরি শুক্রাণু সংগ্রহ করে আইসিএসআই করাই সবচেয়ে কার্যকর।
গাইনি, প্রসূতি ও বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ, আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর-১০

চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
বীর্য পরীক্ষার পর শুক্রাণুর সংখ্যা, গতি, আকৃতি, পরিমাণ ইত্যাদি
দেখা হয়।
চিকিৎসা নির্ভর করে সমস্যা কেমন এবং কোন স্তরে রয়েছে, তার ওপর। সাধারণভাবে চিকিৎসা কয়েকটি ধাপে করা হয়।
শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতি উন্নত করতে কিছু পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন দেওয়া হয়, যেমন:
ওষুধ শুরুর পর রোগীকে তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কারণ, নতুন শুক্রাণু তৈরিতে প্রায় ৭৫ দিন লাগে।
ওষুধে উন্নতি হলে স্বামী-স্ত্রী স্বাভাবিক পদ্ধতিতে গর্ভধারণের চেষ্টা করতে পারেন। প্রয়োজনে স্ত্রীকে ডিম্বাণু উৎপাদন বাড়ানোর ওষুধ দেওয়া হয়।
ভেরিকোসিল কিংবা শুক্রনালির ব্লকেজ থাকলে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।
যাঁদের বীর্যে একেবারেই শুক্রাণু পাওয়া যায় না, যাকে অ্যাজোস্পার্মিয়া বলা হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ থেকে সরাসরি শুক্রাণু সংগ্রহ করে আইসিএসআই করাই সবচেয়ে কার্যকর।
গাইনি, প্রসূতি ও বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ, আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর-১০

খাবার কেবল শরীরের জ্বালানি নয়, এটি মনেরও খাদ্য। আমাদের প্রতিদিনের খাবার শুধু পেট ভরায় না, এর সরাসরি প্রভাব পড়ে আবেগ, মনোভাব, মানসিক স্থিতি ও একাগ্রতার ওপর। একটা ভালো খাবার যেমন মুখে হাসি এনে দিতে পারে, তেমনি খাওয়ার অনুপযোগী কিছুদিনের আনন্দ কেড়ে নিতে পারে। তাই খাবার হওয়া চাই শরীর ও মনের সঙ্গে...
১২ এপ্রিল ২০২৫
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) এবং ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
৩৩ মিনিট আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
১ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
১ দিন আগেডা. কাকলী হালদার

শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
সাধারণ সর্দি-কাশি: রাইনোভাইরাস দিয়ে সংক্রমণ হলে হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং হালকা গলাব্যথা পর্যন্ত হতে পারে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে সাধারণ সর্দির চেয়ে গুরুতর সমস্যা দেখা যায়। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ জ্বর, শরীর ও পেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা, ক্লান্তি এবং গাঢ় কাশি।
রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস বা আরএসভি: এটি শিশুদের মধ্যে ব্রঙ্কিওলাইটিসের মতো গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়।
এ ধরনের রোগ নিউমোনিয়া অথবা স্ট্রেপটোকক্কাসজনিত গলাব্যথার মতো কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের দিকে মোড় নিতে পারে, যা অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
সংক্রমণ এড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে কিছু সহজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন—
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা: নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পরে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার পরে, অপরিচ্ছন্ন কিছু স্পর্শ করার পর হাত ধোয়া জরুরি। হাঁচি-কাশির সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা এবং ব্যবহৃত টিস্যু নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা উচিত।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পানি পান করা: পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল; যেমন লেবু, কমলা, আমলকী ইত্যাদি এবং শাকসবজি খেয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে হবে। পানিশূন্যতা এড়াতে হালকা গরম পানি পান করুন।
উষ্ণতা বজায় রাখা: কান, মাথা ও গলা ঢেকে গরম জামাকাপড় পরুন। ঘর উষ্ণ রাখুন এবং সরাসরি ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলুন।
ভিড় এড়িয়ে চলা: অসুস্থতা চলাকালে যেকোনো ভিড় অথবা জনসমাগমপূর্ণ স্থানে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
টিকা নেওয়া: শিশু, বয়স্ক বা দীর্ঘমেয়াদি রোগীদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়ার টিকা নিতে পারেন।
সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
সাধারণ সর্দি-কাশি: রাইনোভাইরাস দিয়ে সংক্রমণ হলে হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং হালকা গলাব্যথা পর্যন্ত হতে পারে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে সাধারণ সর্দির চেয়ে গুরুতর সমস্যা দেখা যায়। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ জ্বর, শরীর ও পেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা, ক্লান্তি এবং গাঢ় কাশি।
রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস বা আরএসভি: এটি শিশুদের মধ্যে ব্রঙ্কিওলাইটিসের মতো গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়।
এ ধরনের রোগ নিউমোনিয়া অথবা স্ট্রেপটোকক্কাসজনিত গলাব্যথার মতো কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের দিকে মোড় নিতে পারে, যা অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
সংক্রমণ এড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে কিছু সহজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন—
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা: নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পরে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার পরে, অপরিচ্ছন্ন কিছু স্পর্শ করার পর হাত ধোয়া জরুরি। হাঁচি-কাশির সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা এবং ব্যবহৃত টিস্যু নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা উচিত।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পানি পান করা: পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল; যেমন লেবু, কমলা, আমলকী ইত্যাদি এবং শাকসবজি খেয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে হবে। পানিশূন্যতা এড়াতে হালকা গরম পানি পান করুন।
উষ্ণতা বজায় রাখা: কান, মাথা ও গলা ঢেকে গরম জামাকাপড় পরুন। ঘর উষ্ণ রাখুন এবং সরাসরি ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলুন।
ভিড় এড়িয়ে চলা: অসুস্থতা চলাকালে যেকোনো ভিড় অথবা জনসমাগমপূর্ণ স্থানে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
টিকা নেওয়া: শিশু, বয়স্ক বা দীর্ঘমেয়াদি রোগীদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়ার টিকা নিতে পারেন।
সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

খাবার কেবল শরীরের জ্বালানি নয়, এটি মনেরও খাদ্য। আমাদের প্রতিদিনের খাবার শুধু পেট ভরায় না, এর সরাসরি প্রভাব পড়ে আবেগ, মনোভাব, মানসিক স্থিতি ও একাগ্রতার ওপর। একটা ভালো খাবার যেমন মুখে হাসি এনে দিতে পারে, তেমনি খাওয়ার অনুপযোগী কিছুদিনের আনন্দ কেড়ে নিতে পারে। তাই খাবার হওয়া চাই শরীর ও মনের সঙ্গে...
১২ এপ্রিল ২০২৫
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) এবং ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
৩৩ মিনিট আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
১ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
১ দিন আগে