লিনা আকতার
গর্ভাবস্থায় সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। কেননা একজন মা যদি সুস্থ, সুন্দর ও রোগমুক্ত থাকতে পারেন, তাহলে অনাগত সন্তানও সুস্থ থাকবে। গর্ভাবস্থায় একজন নারী নানা শারীরিক পরিবর্তন অতিক্রম করেন। তাই এ সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে খাবার খেলে গর্ভাবস্থার জটিলতা থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে।
যেসব খাবার ঝুঁকিপূর্ণ
অর্ধসেদ্ধ মাংস
রান্না করা মাংস ভালোভাবে সেদ্ধ না হলে টক্সোপ্লাজমা প্যারাসাইট ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া সালমোনেলার উপস্থিতি রয়ে যায়। ফলে খাওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরে ফ্লুর মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে, যাতে গর্ভপাত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
অপাস্তুরিত দুধ
গর্ভাবস্থায় কাঁচা দুধ বা অপাস্তুরিত দুধ পান করা নিরাপদ নয়। কারণ, এগুলোতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া, যেমন লিস্টেরিয়া, ই-কোলাই এবং ক্রিপ্টোস্পোরিডিয়াম থাকে। এগুলো শিশু ও মা উভয়ের জন্য বিপজ্জনক। এর পরিবর্তে দুধ ভালোভাবে ফুটিয়ে খেতে হবে।
না-ধোয়া ফল ও সবজি
গর্ভাবস্থায় না-ধোয়া ফল ও সবজি খাওয়া উচিত নয়। এসব সবজি টক্সোপ্লাজমা পরজীবী বহন করে। টক্সোপ্লাজমোসিস মাটিকে দূষিত করে, যেখানে ফল ও শাকসবজি জন্মে। এগুলো গর্ভাবস্থায় খেলে শিশু ও মায়ের উভয়ের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই এ সময় ভালো করে ধুয়ে সবজি ও ফল খেতে হবে। এ ছাড়া গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস শজনে না খাওয়া ভালো। শজনেতে থাকা আলফাসিটোসরল নামে একধরনের উপাদান গর্ভপাত ঘটাতে পারে।
দূষণকারী মাছ
হ্রদ ও নদীর কিছু মাছে ক্ষতিকর মাত্রায় পলিক্লোরিনেটেড বাইফেনাইল থাকে, যা শিশুর কম ওজন, ছোট মাথার আকার, স্মৃতিশক্তির সমস্যার কারণ হতে পারে। খাওয়ার জন্য স্বাদুপানির মাছ বেছে নিতে পারেন।
কাঁচা বা আধপাকা পেঁপে
কাঁচা পেঁপেতে ল্যাটেক্রা নামক একটি ক্ষতিকর উপাদান থাকে, যা গর্ভপাতের কারণ হতে পারে। পেঁপে পাকা হলে খাওয়া যাবে। তবে সেটি গাছপাকা হতে হবে। গর্ভের সন্তানের সুস্থতার কথা চিন্তা করে পেঁপে না খাওয়া ভালো।
কলিজা
কলিজায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ থাকে। অতিরিক্ত ভিটামিন এ প্রথম ট্রাইমেস্টারে গর্ভপাত ঘটতে পারে। তাই এ সময় পরামর্শ ছাড়া অতিরিক্ত ভিটামিন এ খাওয়া যাবে না।
টিনজাত খাবার
খাবারের ক্যানের আস্তরণে বিসফেনল এ বা বিপিএ নামক একটি বিষাক্ত পদার্থ থাকে। এটি গর্ভবতীদের উর্বরতার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করে। এ ছাড়া টিনজাত খাবার পুরোনো হলে তাতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া তৈরির আশঙ্কা থাকে। এর বদলে মৌসুমি ফল বেছে নিন।
লিনা আকতার, পুষ্টিবিদ, রাইয়ান হেলথ কেয়ার,হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার, দিনাজপুর।
গর্ভাবস্থায় সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। কেননা একজন মা যদি সুস্থ, সুন্দর ও রোগমুক্ত থাকতে পারেন, তাহলে অনাগত সন্তানও সুস্থ থাকবে। গর্ভাবস্থায় একজন নারী নানা শারীরিক পরিবর্তন অতিক্রম করেন। তাই এ সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে খাবার খেলে গর্ভাবস্থার জটিলতা থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে।
যেসব খাবার ঝুঁকিপূর্ণ
অর্ধসেদ্ধ মাংস
রান্না করা মাংস ভালোভাবে সেদ্ধ না হলে টক্সোপ্লাজমা প্যারাসাইট ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া সালমোনেলার উপস্থিতি রয়ে যায়। ফলে খাওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরে ফ্লুর মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে, যাতে গর্ভপাত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
অপাস্তুরিত দুধ
গর্ভাবস্থায় কাঁচা দুধ বা অপাস্তুরিত দুধ পান করা নিরাপদ নয়। কারণ, এগুলোতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া, যেমন লিস্টেরিয়া, ই-কোলাই এবং ক্রিপ্টোস্পোরিডিয়াম থাকে। এগুলো শিশু ও মা উভয়ের জন্য বিপজ্জনক। এর পরিবর্তে দুধ ভালোভাবে ফুটিয়ে খেতে হবে।
না-ধোয়া ফল ও সবজি
গর্ভাবস্থায় না-ধোয়া ফল ও সবজি খাওয়া উচিত নয়। এসব সবজি টক্সোপ্লাজমা পরজীবী বহন করে। টক্সোপ্লাজমোসিস মাটিকে দূষিত করে, যেখানে ফল ও শাকসবজি জন্মে। এগুলো গর্ভাবস্থায় খেলে শিশু ও মায়ের উভয়ের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই এ সময় ভালো করে ধুয়ে সবজি ও ফল খেতে হবে। এ ছাড়া গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস শজনে না খাওয়া ভালো। শজনেতে থাকা আলফাসিটোসরল নামে একধরনের উপাদান গর্ভপাত ঘটাতে পারে।
দূষণকারী মাছ
হ্রদ ও নদীর কিছু মাছে ক্ষতিকর মাত্রায় পলিক্লোরিনেটেড বাইফেনাইল থাকে, যা শিশুর কম ওজন, ছোট মাথার আকার, স্মৃতিশক্তির সমস্যার কারণ হতে পারে। খাওয়ার জন্য স্বাদুপানির মাছ বেছে নিতে পারেন।
কাঁচা বা আধপাকা পেঁপে
কাঁচা পেঁপেতে ল্যাটেক্রা নামক একটি ক্ষতিকর উপাদান থাকে, যা গর্ভপাতের কারণ হতে পারে। পেঁপে পাকা হলে খাওয়া যাবে। তবে সেটি গাছপাকা হতে হবে। গর্ভের সন্তানের সুস্থতার কথা চিন্তা করে পেঁপে না খাওয়া ভালো।
কলিজা
কলিজায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ থাকে। অতিরিক্ত ভিটামিন এ প্রথম ট্রাইমেস্টারে গর্ভপাত ঘটতে পারে। তাই এ সময় পরামর্শ ছাড়া অতিরিক্ত ভিটামিন এ খাওয়া যাবে না।
টিনজাত খাবার
খাবারের ক্যানের আস্তরণে বিসফেনল এ বা বিপিএ নামক একটি বিষাক্ত পদার্থ থাকে। এটি গর্ভবতীদের উর্বরতার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করে। এ ছাড়া টিনজাত খাবার পুরোনো হলে তাতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া তৈরির আশঙ্কা থাকে। এর বদলে মৌসুমি ফল বেছে নিন।
লিনা আকতার, পুষ্টিবিদ, রাইয়ান হেলথ কেয়ার,হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার, দিনাজপুর।
বিশ্বের অন্যতম নিষ্ঠুর ও ধ্বংসাত্মক স্নায়বিক অসুখ হান্টিংটন রোগের প্রথম সফল চিকিৎসার ঘোষণা দিলেন চিকিৎসকেরা। এই রোগ বংশানুক্রমে এবং পরিবার থেকে পরিবারে ছড়িয়ে পড়ে। এটি মস্তিষ্কের কোষ ধ্বংস করে এবং একই সঙ্গে ডিমেনশিয়া, পারকিনসন ও মোটর নিউরন রোগের মতো উপসর্গ তৈরি করে।
২ দিন আগেডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। সবাই ঢাকার হাসপাতালে মারা গেছে। আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এসব তথ্য জানিয়েছে।
২ দিন আগেএডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু ভাইরাস দেশের জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রথম দিকে এর বিস্তার মূলত নগরাঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকলেও গত পাঁচ বছরে কম-বেশি দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বব্যাপী গণপরিসরে কার্যকর প্রতিষেধক না থাকায় রোগী ও মৃত্যুহার কমানোর...
৩ দিন আগেদেশে বর্তমানে যেসব ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাচ্ছে, তাদের বেশির ভাগের মৃত্যুর কারণ শক সিনড্রোম। এসব রোগীর অর্ধেকের বেশি মারা যাচ্ছে হাসপাতালে ভর্তির এক দিনের মধ্যে। দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আজ সোমবার বিকেলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর...
৪ দিন আগে