ডা. অদিতি সরকার
দেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর রেকর্ড তৈরি হয়েছে। প্রতিদিন এ রোগে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। এরই মধ্যে চলে এল অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। দেশে করোনা মোকাবিলায় ২২ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। ২৩ জুলাই থেকে আবার কঠোর লকডাউন শুরু হবে। কিন্তু, ইতিমধ্যে সংক্রমণের হার ৩০-৩১ শতাংশ। অথচ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৫ শতাংশের নিচে না নামলে ঢেউ বন্ধ হবে না। ফলে এই ঈদ হয়ে গেছে কঠিন।
এবারের ঈদ যে যেখানে অবস্থান করছেন, সেখানে থেকেই উদ্যাপন করা নিরাপদ। ঈদে লোকজনের ঢাকা ছেড়ে গ্রামে চলে যাওয়ার কারণে ঈদ-পরবর্তী সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
যা করবেন
• যাঁদের বয়স বেশি, যাঁদের বিভিন্ন ধরনের শারীরিক অসুস্থতা আছে, তাঁদের ঝুঁকি আরও বেশি। ফলে তাঁদের সাবধানে থাকতে হবে।
• করোনার কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই বলে প্রতিরোধই সবচেয়ে ভালো উপায়। জরুরি প্রয়োজনে বাইরে যেতে হলে, অবশ্যই সঠিক নিয়মে মাস্ক পরে যেতে হবে। ব্যবহার করতে হবে স্যানিটাইজার।
• হাত অপরিচ্ছন্ন মনে হলে, সাবানপানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুতে হবে।
• গণপরিবহন ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।
• কাশির শিষ্টাচার বজায় রাখতে হবে। অর্থাৎ, কাশির সময় মানুষজন থেকে দূরে থাকতে হবে, মাস্ক যাতে খুলেবা সরে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
• রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এমন খাবার বেশি করে খেতে হবে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবার, যেমন: লেবু, কমলা, মালটা, পেয়ারা, আমলকী, আমিষজাতীয় খাবার, যেমন: দুধ, ডিম, মাছ, মাংস প্রভৃতি নিয়মিত খেতে হবে।
• ভিটামিন ডি শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়ক। সে ক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে অন্তত ২০ মিনিট রোদে দাঁড়ালে উপকার পাওয়া
যেতে পারে।
• সারা দিন বাসায় বসে থেকে মুটিয়ে না গিয়ে, দৈনিক অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটাচলা করুন।
• ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ব্যায়াম আছে, সেগুলো অনুশীলন করা যেতে পারে।
• করোনার যেকোনো লক্ষণ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
• বেশির ভাগ রোগীই বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে যান। তবে যিনি অসুস্থ তাঁকে পরিবারের অন্যান্য সদস্য থেকে আলাদা থাকতে হবে।
• রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা দেখার জন্য পালস অক্সিমিটার বাসায় থাকলে ভালো। ৬০ বা তদূর্ধ্ব বয়সী মানুষের রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৯০-এর নিচে নেমে গেলে হাসপাতালে নিতে হবে।
• ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অ্যাজমা, দীর্ঘমেয়াদি ফুসফুসের সমস্যা, ক্যানসার, উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভবতী নারী বা দীর্ঘদিন স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধ খাওয়ার ইতিহাস আছে–এমন রোগীদের করোনার যেকোনো উপসর্গ দেখা গেলে অবশ্যই হাসপাতালে নিতে হবে। এত কিছুর মধ্যে স্বস্তির সংবাদ হচ্ছে, দেশে আবার করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনেশন শুরু হয়েছে। সবাইকে টিকা নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী করতে হবে। টিকা দিলেও মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। করোনা অতিমারিতে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।
লেখক: অ্যাসিস্ট্যান্ট সার্জন, মিনিস্ট্রি অব হেলথ অ্যান্ড ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার
দেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর রেকর্ড তৈরি হয়েছে। প্রতিদিন এ রোগে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। এরই মধ্যে চলে এল অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। দেশে করোনা মোকাবিলায় ২২ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। ২৩ জুলাই থেকে আবার কঠোর লকডাউন শুরু হবে। কিন্তু, ইতিমধ্যে সংক্রমণের হার ৩০-৩১ শতাংশ। অথচ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৫ শতাংশের নিচে না নামলে ঢেউ বন্ধ হবে না। ফলে এই ঈদ হয়ে গেছে কঠিন।
এবারের ঈদ যে যেখানে অবস্থান করছেন, সেখানে থেকেই উদ্যাপন করা নিরাপদ। ঈদে লোকজনের ঢাকা ছেড়ে গ্রামে চলে যাওয়ার কারণে ঈদ-পরবর্তী সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
যা করবেন
• যাঁদের বয়স বেশি, যাঁদের বিভিন্ন ধরনের শারীরিক অসুস্থতা আছে, তাঁদের ঝুঁকি আরও বেশি। ফলে তাঁদের সাবধানে থাকতে হবে।
• করোনার কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই বলে প্রতিরোধই সবচেয়ে ভালো উপায়। জরুরি প্রয়োজনে বাইরে যেতে হলে, অবশ্যই সঠিক নিয়মে মাস্ক পরে যেতে হবে। ব্যবহার করতে হবে স্যানিটাইজার।
• হাত অপরিচ্ছন্ন মনে হলে, সাবানপানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুতে হবে।
• গণপরিবহন ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।
• কাশির শিষ্টাচার বজায় রাখতে হবে। অর্থাৎ, কাশির সময় মানুষজন থেকে দূরে থাকতে হবে, মাস্ক যাতে খুলেবা সরে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
• রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এমন খাবার বেশি করে খেতে হবে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবার, যেমন: লেবু, কমলা, মালটা, পেয়ারা, আমলকী, আমিষজাতীয় খাবার, যেমন: দুধ, ডিম, মাছ, মাংস প্রভৃতি নিয়মিত খেতে হবে।
• ভিটামিন ডি শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়ক। সে ক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে অন্তত ২০ মিনিট রোদে দাঁড়ালে উপকার পাওয়া
যেতে পারে।
• সারা দিন বাসায় বসে থেকে মুটিয়ে না গিয়ে, দৈনিক অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটাচলা করুন।
• ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ব্যায়াম আছে, সেগুলো অনুশীলন করা যেতে পারে।
• করোনার যেকোনো লক্ষণ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
• বেশির ভাগ রোগীই বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে যান। তবে যিনি অসুস্থ তাঁকে পরিবারের অন্যান্য সদস্য থেকে আলাদা থাকতে হবে।
• রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা দেখার জন্য পালস অক্সিমিটার বাসায় থাকলে ভালো। ৬০ বা তদূর্ধ্ব বয়সী মানুষের রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৯০-এর নিচে নেমে গেলে হাসপাতালে নিতে হবে।
• ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অ্যাজমা, দীর্ঘমেয়াদি ফুসফুসের সমস্যা, ক্যানসার, উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভবতী নারী বা দীর্ঘদিন স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধ খাওয়ার ইতিহাস আছে–এমন রোগীদের করোনার যেকোনো উপসর্গ দেখা গেলে অবশ্যই হাসপাতালে নিতে হবে। এত কিছুর মধ্যে স্বস্তির সংবাদ হচ্ছে, দেশে আবার করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনেশন শুরু হয়েছে। সবাইকে টিকা নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী করতে হবে। টিকা দিলেও মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। করোনা অতিমারিতে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।
লেখক: অ্যাসিস্ট্যান্ট সার্জন, মিনিস্ট্রি অব হেলথ অ্যান্ড ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার
মাত্র তিন মিনিটে ভাঙা হাড় জোড়া লাগানো যাবে—এমন একধরনের চিকিৎসা-প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন চীনা বিজ্ঞানীরা। এই ‘বোন গ্লু’ বা ‘হাড়ের আঠা’ শরীরে প্রাকৃতিকভাবে শোষিত হয়ে যায়, ফলে ধাতব ইমপ্ল্যান্টের মতো এটি অপসারণের জন্য দ্বিতীয়বার অস্ত্রোপচারের দরকার হয় না।
২০ ঘণ্টা আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজন চিকিৎসাধীন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ আরও ২৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী সারা দেশের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগেসরকারি হাসপাতালে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের অবাধ বিচরণ নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ি আরোপ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এখন থেকে তাঁরা সপ্তাহে সর্বোচ্চ দুই দিন চিকিৎসকদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন, মোট পাঁচ ঘণ্টার জন্য।
২ দিন আগেহৃদ্রোগের পর সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর একটি হলো ব্যায়াম। নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ শুধু শক্তি এবং উদ্যমই বাড়ায় না, বরং হৃদ্রোগে মৃত্যুঝুঁকি প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনতে পারে।
২ দিন আগে