মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা

পিরোজপুরের আবদুর রহিমের (ছদ্মনাম) ১০ মাসের ছেলে জন্মগত হৃদ্রোগের জটিলতায় ভুগছে। চিকিৎসকের পরামর্শে সম্প্রতি ভর্তি করানো হয় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে (এনআইসিভিডি)। হৃৎপিণ্ডের সংক্রমণ তীব্র হওয়ায় উচ্চ-মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করায় শিশুটির সিরাম ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে কিডনি প্রায় শতভাগ কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হয়। শিশুটির স্নায়বিক সমস্যা থাকায় যা করাতে হবে পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিআইসিইউ) রেখে।
আবদুর রহিম ছেলের কিডনি ডায়ালাইসিসের জন্য পাশের জাতীয় কিডনি রোগ ও ইউরোলজি ইনস্টিটিউটে (এনআইকেডিইউ) যোগাযোগ করে জানতে পারেন, সেখানে শিশুদের ডায়ালাইসিস সুবিধা নেই। রাজধানীর আরও অন্তত ১০টি বিশেষায়িত হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে রহিমের উদ্বেগ আরও বাড়ে। কারণ, এসব হাসপাতালেও সেই সুবিধা নেই। সবশেষে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে (ঢাকা শিশু হাসপাতাল) পিআইসিইউসহ ডায়ালাইসিসের সুবিধার খোঁজ পান; কিন্তু শয্যা খালি নেই। দুদিন অপেক্ষার পর ছেলেকে ভর্তি করাতে পেরেছেন।
দেশে শিশুদের কিডনি রোগের চিকিৎসার বাস্তব চিত্র অনেকটাই ফুটে উঠেছে আবদুর রহিমের অভিজ্ঞতা থেকে। জাতীয় পর্যায়ে নিবন্ধনের ব্যবস্থা না থাকায় দেশে শিশু কিডনি রোগীর সঠিক সংখ্যা কারও জানা নেই। তবে ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব মেডিকেল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল রিসার্চ জার্নাল বলছে, দেশে হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের মধ্যে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ কিডনি রোগী। আর গত অক্টোবরে ঢাকায় ডা. এম আর খান শিশু হাসপাতাল ও শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট আয়োজিত একটি সম্মেলনে বলা হয়, দেশের প্রায় ৫০ লাখ শিশু বিভিন্ন পর্যায়ের কিডনি রোগে ভুগছে। তাদের মধ্যে আড়াই লাখ দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগী (সিকেডি)। জন্মগত, ডায়রিয়ার পরে অ্যাকিউট কিডনি ফেইলিওর এবং নেফ্রাইটিসের প্রদাহ শিশুদের কিডনি রোগের প্রধান কারণ।
শিশু কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খুব কম বয়সী শিশুদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ এবং শেষ পর্যায়ের কিডনি রোগ (ইএসআরডি) দেখা যায় না। ছয়-সাত বছরের শিশুদের মধ্যে এই পর্যায়ের কিডনি রোগ দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া যেকোনো বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে বিভিন্ন রোগের কারণে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ বা অন্য কোনো কারণে কিডনির কার্যকারিতা হঠাৎ কমে যেতে পারে; যাকে অ্যাকিউট কিডনি ইনজুরি (একেআই) বলা হয়। সে ক্ষেত্রে শিশুটিকে জরুরি ভিত্তিতে পিআইসিইউতে রেখে ডায়ালাইসিস করাতে হয়।
কিন্তু দেশে শিশু কিডনি রোগীর তুলনায় চিকিৎসার সুবিধা একেবারেই কম। শিশুদের জন্য স্বতন্ত্র ডায়ালাইসিস মেশিন লাগে। দেশে কিডনি রোগের সরকারি সর্বোচ্চ চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠান এনআইকেডিইউর সূত্র জানায়, সেখানে শিশুদের ডায়ালাইসিস সুবিধা না থাকায় ১০ শয্যার শিশু ডায়ালাইসিস ইউনিট খুলতে এরই মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। দেশে কিডনি রোগের চিকিৎসা ও শিক্ষার সর্বোচ্চ সরকারি এই প্রতিষ্ঠান থেকে শিশু কিডনি রোগের ওপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও নিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। অবশ্য শিশু ডায়ালাইসিস ইউনিট না থাকায় ডায়ালাইসিস শিখতে তাঁদের যেতে হয় বাংলাদেশে শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট অথবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এনআইকেডিইউতে এখনো ১২ বছরের কম বয়সী কারও কিডনি প্রতিস্থাপিত হয়নি। ৫ শয্যার পিআইসিইউতে রিভার্স অসমোসিস সুবিধা থাকায় শিশুদের জন্য ডায়ালাইসিস মেশিন এলেই সেবা চালু করা যাবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
শিশু হাসপাতাল ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) শিশুদের ডায়ালাইসিসের সুবিধা আছে। কিছু বেসরকারি হাসপাতালে সীমিতভাবে এই সুবিধা আছে।
কিডনি মানবদেহে প্রবাহিত সব রক্ত ছেঁকে দূষিত বর্জ্য পানির সঙ্গে মিশিয়ে মূত্র হিসেবে বের করে দেয়। কিডনি বিকল হলে এ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। কিডনির পরিবর্তে কৃত্রিম ছাঁকনি ব্যবহার করে দেহ থেকে রক্ত ছেঁকে বর্জ্য বের করার প্রক্রিয়াকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে ডায়ালাইসিস বলা হয়।
কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিডনি রোগের ক্ষেত্রে সাধারণত বড় কোনো উপসর্গ দেখা দেয় না। অনেকের ক্ষেত্রে এমনও হয়, কিডনি পুরোপুরি বিকল হওয়ার পর উপসর্গ প্রকাশ পায়। এ ছাড়া দেশে কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা চিকিৎসার জন্য আসেন একদম শেষ পর্যায়ে। যত দিন কিডনি প্রতিস্থাপন সম্ভব হয় না, তত দিন নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতে হয়।
এনআইকেডিইউর তথ্য বলছে, দেশে অন্তত ২ কোটি মানুষ দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগে ভুগছে। তাদের মধ্যে বছরে ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার মানুষের মধ্যে কিডনি রোগের শেষ পর্যায়ে পৌঁছায়। গ্লোমারুলোনেফ্রাইটিস (জিএন), ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, নেফ্রোপ্যাথি দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের প্রধান কারণ। দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১৩০টি প্রতিষ্ঠানে কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিসের সুবিধা রয়েছে। কিডনি প্রতিস্থাপনের সুবিধা রয়েছে ১০টি প্রতিষ্ঠানে। ডায়ালাইসিস মেশিন রয়েছে ৬৫০টি। ডায়ালাইসিস প্রয়োজন এমন রোগীদের মাত্র ২৫ শতাংশ এই সুবিধার আওতায় আসছে। এর কারণ, ডায়ালাইসিস সেবার অপর্যাপ্ততা ও উচ্চ খরচ।
বিএসএমএমইউর শিশু কিডনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আফরোজা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রথমে ডায়ালাইসিস শুরু করি। এরপর শুরু হয় ঢাকা শিশু হাসপাতালে। এর বাইরে কিছু বেসরকারি হাসপাতালে শুরু হলেও তা উল্লেখযোগ্য নয়। শিশু কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিসের চাহিদার তুলনায় বিদ্যমান সুবিধা খুব নগণ্য। এই সুবিধা চালুর বিষয়ে বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সরকারের পদক্ষেপের তেমন অগ্রগতি হয়নি।’ তিনি জানান, দেশে বর্তমানে বিএসএমএমইউ, এনআইকেডিইউ ও শিশু হাসপাতালে শিশু কিডনি রোগের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি (ডক্টর অব মেডিসিন) রয়েছে। প্রতিবছর নতুন করে ৬-৭ জন শিশু কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ বের হচ্ছেন।
জাতীয় কিডনি রোগ ও ইউরোলজি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. বাবরুল আলম বলেন, ‘শিশুদের কিডনি প্রতিস্থাপন ছাড়া ইউরোলজির সব ধরনের অস্ত্রোপচার আমরা করতে পারি। এখানে শিশু কিডনি রোগ বিভাগ অনেক গোছানো। আমরা চেষ্টা করছি, শিগগির শিশুদের ডায়ালাইসিস চালু করতে পারব।’

পিরোজপুরের আবদুর রহিমের (ছদ্মনাম) ১০ মাসের ছেলে জন্মগত হৃদ্রোগের জটিলতায় ভুগছে। চিকিৎসকের পরামর্শে সম্প্রতি ভর্তি করানো হয় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে (এনআইসিভিডি)। হৃৎপিণ্ডের সংক্রমণ তীব্র হওয়ায় উচ্চ-মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করায় শিশুটির সিরাম ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে কিডনি প্রায় শতভাগ কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হয়। শিশুটির স্নায়বিক সমস্যা থাকায় যা করাতে হবে পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিআইসিইউ) রেখে।
আবদুর রহিম ছেলের কিডনি ডায়ালাইসিসের জন্য পাশের জাতীয় কিডনি রোগ ও ইউরোলজি ইনস্টিটিউটে (এনআইকেডিইউ) যোগাযোগ করে জানতে পারেন, সেখানে শিশুদের ডায়ালাইসিস সুবিধা নেই। রাজধানীর আরও অন্তত ১০টি বিশেষায়িত হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে রহিমের উদ্বেগ আরও বাড়ে। কারণ, এসব হাসপাতালেও সেই সুবিধা নেই। সবশেষে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে (ঢাকা শিশু হাসপাতাল) পিআইসিইউসহ ডায়ালাইসিসের সুবিধার খোঁজ পান; কিন্তু শয্যা খালি নেই। দুদিন অপেক্ষার পর ছেলেকে ভর্তি করাতে পেরেছেন।
দেশে শিশুদের কিডনি রোগের চিকিৎসার বাস্তব চিত্র অনেকটাই ফুটে উঠেছে আবদুর রহিমের অভিজ্ঞতা থেকে। জাতীয় পর্যায়ে নিবন্ধনের ব্যবস্থা না থাকায় দেশে শিশু কিডনি রোগীর সঠিক সংখ্যা কারও জানা নেই। তবে ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব মেডিকেল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল রিসার্চ জার্নাল বলছে, দেশে হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের মধ্যে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ কিডনি রোগী। আর গত অক্টোবরে ঢাকায় ডা. এম আর খান শিশু হাসপাতাল ও শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট আয়োজিত একটি সম্মেলনে বলা হয়, দেশের প্রায় ৫০ লাখ শিশু বিভিন্ন পর্যায়ের কিডনি রোগে ভুগছে। তাদের মধ্যে আড়াই লাখ দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগী (সিকেডি)। জন্মগত, ডায়রিয়ার পরে অ্যাকিউট কিডনি ফেইলিওর এবং নেফ্রাইটিসের প্রদাহ শিশুদের কিডনি রোগের প্রধান কারণ।
শিশু কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খুব কম বয়সী শিশুদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ এবং শেষ পর্যায়ের কিডনি রোগ (ইএসআরডি) দেখা যায় না। ছয়-সাত বছরের শিশুদের মধ্যে এই পর্যায়ের কিডনি রোগ দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া যেকোনো বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে বিভিন্ন রোগের কারণে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ বা অন্য কোনো কারণে কিডনির কার্যকারিতা হঠাৎ কমে যেতে পারে; যাকে অ্যাকিউট কিডনি ইনজুরি (একেআই) বলা হয়। সে ক্ষেত্রে শিশুটিকে জরুরি ভিত্তিতে পিআইসিইউতে রেখে ডায়ালাইসিস করাতে হয়।
কিন্তু দেশে শিশু কিডনি রোগীর তুলনায় চিকিৎসার সুবিধা একেবারেই কম। শিশুদের জন্য স্বতন্ত্র ডায়ালাইসিস মেশিন লাগে। দেশে কিডনি রোগের সরকারি সর্বোচ্চ চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠান এনআইকেডিইউর সূত্র জানায়, সেখানে শিশুদের ডায়ালাইসিস সুবিধা না থাকায় ১০ শয্যার শিশু ডায়ালাইসিস ইউনিট খুলতে এরই মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। দেশে কিডনি রোগের চিকিৎসা ও শিক্ষার সর্বোচ্চ সরকারি এই প্রতিষ্ঠান থেকে শিশু কিডনি রোগের ওপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও নিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। অবশ্য শিশু ডায়ালাইসিস ইউনিট না থাকায় ডায়ালাইসিস শিখতে তাঁদের যেতে হয় বাংলাদেশে শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট অথবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এনআইকেডিইউতে এখনো ১২ বছরের কম বয়সী কারও কিডনি প্রতিস্থাপিত হয়নি। ৫ শয্যার পিআইসিইউতে রিভার্স অসমোসিস সুবিধা থাকায় শিশুদের জন্য ডায়ালাইসিস মেশিন এলেই সেবা চালু করা যাবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
শিশু হাসপাতাল ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) শিশুদের ডায়ালাইসিসের সুবিধা আছে। কিছু বেসরকারি হাসপাতালে সীমিতভাবে এই সুবিধা আছে।
কিডনি মানবদেহে প্রবাহিত সব রক্ত ছেঁকে দূষিত বর্জ্য পানির সঙ্গে মিশিয়ে মূত্র হিসেবে বের করে দেয়। কিডনি বিকল হলে এ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। কিডনির পরিবর্তে কৃত্রিম ছাঁকনি ব্যবহার করে দেহ থেকে রক্ত ছেঁকে বর্জ্য বের করার প্রক্রিয়াকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে ডায়ালাইসিস বলা হয়।
কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিডনি রোগের ক্ষেত্রে সাধারণত বড় কোনো উপসর্গ দেখা দেয় না। অনেকের ক্ষেত্রে এমনও হয়, কিডনি পুরোপুরি বিকল হওয়ার পর উপসর্গ প্রকাশ পায়। এ ছাড়া দেশে কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা চিকিৎসার জন্য আসেন একদম শেষ পর্যায়ে। যত দিন কিডনি প্রতিস্থাপন সম্ভব হয় না, তত দিন নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতে হয়।
এনআইকেডিইউর তথ্য বলছে, দেশে অন্তত ২ কোটি মানুষ দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগে ভুগছে। তাদের মধ্যে বছরে ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার মানুষের মধ্যে কিডনি রোগের শেষ পর্যায়ে পৌঁছায়। গ্লোমারুলোনেফ্রাইটিস (জিএন), ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, নেফ্রোপ্যাথি দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের প্রধান কারণ। দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১৩০টি প্রতিষ্ঠানে কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিসের সুবিধা রয়েছে। কিডনি প্রতিস্থাপনের সুবিধা রয়েছে ১০টি প্রতিষ্ঠানে। ডায়ালাইসিস মেশিন রয়েছে ৬৫০টি। ডায়ালাইসিস প্রয়োজন এমন রোগীদের মাত্র ২৫ শতাংশ এই সুবিধার আওতায় আসছে। এর কারণ, ডায়ালাইসিস সেবার অপর্যাপ্ততা ও উচ্চ খরচ।
বিএসএমএমইউর শিশু কিডনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আফরোজা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রথমে ডায়ালাইসিস শুরু করি। এরপর শুরু হয় ঢাকা শিশু হাসপাতালে। এর বাইরে কিছু বেসরকারি হাসপাতালে শুরু হলেও তা উল্লেখযোগ্য নয়। শিশু কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিসের চাহিদার তুলনায় বিদ্যমান সুবিধা খুব নগণ্য। এই সুবিধা চালুর বিষয়ে বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সরকারের পদক্ষেপের তেমন অগ্রগতি হয়নি।’ তিনি জানান, দেশে বর্তমানে বিএসএমএমইউ, এনআইকেডিইউ ও শিশু হাসপাতালে শিশু কিডনি রোগের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি (ডক্টর অব মেডিসিন) রয়েছে। প্রতিবছর নতুন করে ৬-৭ জন শিশু কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ বের হচ্ছেন।
জাতীয় কিডনি রোগ ও ইউরোলজি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. বাবরুল আলম বলেন, ‘শিশুদের কিডনি প্রতিস্থাপন ছাড়া ইউরোলজির সব ধরনের অস্ত্রোপচার আমরা করতে পারি। এখানে শিশু কিডনি রোগ বিভাগ অনেক গোছানো। আমরা চেষ্টা করছি, শিগগির শিশুদের ডায়ালাইসিস চালু করতে পারব।’
মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা

পিরোজপুরের আবদুর রহিমের (ছদ্মনাম) ১০ মাসের ছেলে জন্মগত হৃদ্রোগের জটিলতায় ভুগছে। চিকিৎসকের পরামর্শে সম্প্রতি ভর্তি করানো হয় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে (এনআইসিভিডি)। হৃৎপিণ্ডের সংক্রমণ তীব্র হওয়ায় উচ্চ-মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করায় শিশুটির সিরাম ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে কিডনি প্রায় শতভাগ কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হয়। শিশুটির স্নায়বিক সমস্যা থাকায় যা করাতে হবে পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিআইসিইউ) রেখে।
আবদুর রহিম ছেলের কিডনি ডায়ালাইসিসের জন্য পাশের জাতীয় কিডনি রোগ ও ইউরোলজি ইনস্টিটিউটে (এনআইকেডিইউ) যোগাযোগ করে জানতে পারেন, সেখানে শিশুদের ডায়ালাইসিস সুবিধা নেই। রাজধানীর আরও অন্তত ১০টি বিশেষায়িত হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে রহিমের উদ্বেগ আরও বাড়ে। কারণ, এসব হাসপাতালেও সেই সুবিধা নেই। সবশেষে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে (ঢাকা শিশু হাসপাতাল) পিআইসিইউসহ ডায়ালাইসিসের সুবিধার খোঁজ পান; কিন্তু শয্যা খালি নেই। দুদিন অপেক্ষার পর ছেলেকে ভর্তি করাতে পেরেছেন।
দেশে শিশুদের কিডনি রোগের চিকিৎসার বাস্তব চিত্র অনেকটাই ফুটে উঠেছে আবদুর রহিমের অভিজ্ঞতা থেকে। জাতীয় পর্যায়ে নিবন্ধনের ব্যবস্থা না থাকায় দেশে শিশু কিডনি রোগীর সঠিক সংখ্যা কারও জানা নেই। তবে ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব মেডিকেল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল রিসার্চ জার্নাল বলছে, দেশে হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের মধ্যে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ কিডনি রোগী। আর গত অক্টোবরে ঢাকায় ডা. এম আর খান শিশু হাসপাতাল ও শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট আয়োজিত একটি সম্মেলনে বলা হয়, দেশের প্রায় ৫০ লাখ শিশু বিভিন্ন পর্যায়ের কিডনি রোগে ভুগছে। তাদের মধ্যে আড়াই লাখ দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগী (সিকেডি)। জন্মগত, ডায়রিয়ার পরে অ্যাকিউট কিডনি ফেইলিওর এবং নেফ্রাইটিসের প্রদাহ শিশুদের কিডনি রোগের প্রধান কারণ।
শিশু কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খুব কম বয়সী শিশুদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ এবং শেষ পর্যায়ের কিডনি রোগ (ইএসআরডি) দেখা যায় না। ছয়-সাত বছরের শিশুদের মধ্যে এই পর্যায়ের কিডনি রোগ দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া যেকোনো বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে বিভিন্ন রোগের কারণে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ বা অন্য কোনো কারণে কিডনির কার্যকারিতা হঠাৎ কমে যেতে পারে; যাকে অ্যাকিউট কিডনি ইনজুরি (একেআই) বলা হয়। সে ক্ষেত্রে শিশুটিকে জরুরি ভিত্তিতে পিআইসিইউতে রেখে ডায়ালাইসিস করাতে হয়।
কিন্তু দেশে শিশু কিডনি রোগীর তুলনায় চিকিৎসার সুবিধা একেবারেই কম। শিশুদের জন্য স্বতন্ত্র ডায়ালাইসিস মেশিন লাগে। দেশে কিডনি রোগের সরকারি সর্বোচ্চ চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠান এনআইকেডিইউর সূত্র জানায়, সেখানে শিশুদের ডায়ালাইসিস সুবিধা না থাকায় ১০ শয্যার শিশু ডায়ালাইসিস ইউনিট খুলতে এরই মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। দেশে কিডনি রোগের চিকিৎসা ও শিক্ষার সর্বোচ্চ সরকারি এই প্রতিষ্ঠান থেকে শিশু কিডনি রোগের ওপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও নিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। অবশ্য শিশু ডায়ালাইসিস ইউনিট না থাকায় ডায়ালাইসিস শিখতে তাঁদের যেতে হয় বাংলাদেশে শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট অথবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এনআইকেডিইউতে এখনো ১২ বছরের কম বয়সী কারও কিডনি প্রতিস্থাপিত হয়নি। ৫ শয্যার পিআইসিইউতে রিভার্স অসমোসিস সুবিধা থাকায় শিশুদের জন্য ডায়ালাইসিস মেশিন এলেই সেবা চালু করা যাবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
শিশু হাসপাতাল ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) শিশুদের ডায়ালাইসিসের সুবিধা আছে। কিছু বেসরকারি হাসপাতালে সীমিতভাবে এই সুবিধা আছে।
কিডনি মানবদেহে প্রবাহিত সব রক্ত ছেঁকে দূষিত বর্জ্য পানির সঙ্গে মিশিয়ে মূত্র হিসেবে বের করে দেয়। কিডনি বিকল হলে এ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। কিডনির পরিবর্তে কৃত্রিম ছাঁকনি ব্যবহার করে দেহ থেকে রক্ত ছেঁকে বর্জ্য বের করার প্রক্রিয়াকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে ডায়ালাইসিস বলা হয়।
কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিডনি রোগের ক্ষেত্রে সাধারণত বড় কোনো উপসর্গ দেখা দেয় না। অনেকের ক্ষেত্রে এমনও হয়, কিডনি পুরোপুরি বিকল হওয়ার পর উপসর্গ প্রকাশ পায়। এ ছাড়া দেশে কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা চিকিৎসার জন্য আসেন একদম শেষ পর্যায়ে। যত দিন কিডনি প্রতিস্থাপন সম্ভব হয় না, তত দিন নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতে হয়।
এনআইকেডিইউর তথ্য বলছে, দেশে অন্তত ২ কোটি মানুষ দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগে ভুগছে। তাদের মধ্যে বছরে ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার মানুষের মধ্যে কিডনি রোগের শেষ পর্যায়ে পৌঁছায়। গ্লোমারুলোনেফ্রাইটিস (জিএন), ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, নেফ্রোপ্যাথি দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের প্রধান কারণ। দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১৩০টি প্রতিষ্ঠানে কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিসের সুবিধা রয়েছে। কিডনি প্রতিস্থাপনের সুবিধা রয়েছে ১০টি প্রতিষ্ঠানে। ডায়ালাইসিস মেশিন রয়েছে ৬৫০টি। ডায়ালাইসিস প্রয়োজন এমন রোগীদের মাত্র ২৫ শতাংশ এই সুবিধার আওতায় আসছে। এর কারণ, ডায়ালাইসিস সেবার অপর্যাপ্ততা ও উচ্চ খরচ।
বিএসএমএমইউর শিশু কিডনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আফরোজা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রথমে ডায়ালাইসিস শুরু করি। এরপর শুরু হয় ঢাকা শিশু হাসপাতালে। এর বাইরে কিছু বেসরকারি হাসপাতালে শুরু হলেও তা উল্লেখযোগ্য নয়। শিশু কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিসের চাহিদার তুলনায় বিদ্যমান সুবিধা খুব নগণ্য। এই সুবিধা চালুর বিষয়ে বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সরকারের পদক্ষেপের তেমন অগ্রগতি হয়নি।’ তিনি জানান, দেশে বর্তমানে বিএসএমএমইউ, এনআইকেডিইউ ও শিশু হাসপাতালে শিশু কিডনি রোগের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি (ডক্টর অব মেডিসিন) রয়েছে। প্রতিবছর নতুন করে ৬-৭ জন শিশু কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ বের হচ্ছেন।
জাতীয় কিডনি রোগ ও ইউরোলজি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. বাবরুল আলম বলেন, ‘শিশুদের কিডনি প্রতিস্থাপন ছাড়া ইউরোলজির সব ধরনের অস্ত্রোপচার আমরা করতে পারি। এখানে শিশু কিডনি রোগ বিভাগ অনেক গোছানো। আমরা চেষ্টা করছি, শিগগির শিশুদের ডায়ালাইসিস চালু করতে পারব।’

পিরোজপুরের আবদুর রহিমের (ছদ্মনাম) ১০ মাসের ছেলে জন্মগত হৃদ্রোগের জটিলতায় ভুগছে। চিকিৎসকের পরামর্শে সম্প্রতি ভর্তি করানো হয় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে (এনআইসিভিডি)। হৃৎপিণ্ডের সংক্রমণ তীব্র হওয়ায় উচ্চ-মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করায় শিশুটির সিরাম ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে কিডনি প্রায় শতভাগ কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হয়। শিশুটির স্নায়বিক সমস্যা থাকায় যা করাতে হবে পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিআইসিইউ) রেখে।
আবদুর রহিম ছেলের কিডনি ডায়ালাইসিসের জন্য পাশের জাতীয় কিডনি রোগ ও ইউরোলজি ইনস্টিটিউটে (এনআইকেডিইউ) যোগাযোগ করে জানতে পারেন, সেখানে শিশুদের ডায়ালাইসিস সুবিধা নেই। রাজধানীর আরও অন্তত ১০টি বিশেষায়িত হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে রহিমের উদ্বেগ আরও বাড়ে। কারণ, এসব হাসপাতালেও সেই সুবিধা নেই। সবশেষে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে (ঢাকা শিশু হাসপাতাল) পিআইসিইউসহ ডায়ালাইসিসের সুবিধার খোঁজ পান; কিন্তু শয্যা খালি নেই। দুদিন অপেক্ষার পর ছেলেকে ভর্তি করাতে পেরেছেন।
দেশে শিশুদের কিডনি রোগের চিকিৎসার বাস্তব চিত্র অনেকটাই ফুটে উঠেছে আবদুর রহিমের অভিজ্ঞতা থেকে। জাতীয় পর্যায়ে নিবন্ধনের ব্যবস্থা না থাকায় দেশে শিশু কিডনি রোগীর সঠিক সংখ্যা কারও জানা নেই। তবে ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব মেডিকেল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল রিসার্চ জার্নাল বলছে, দেশে হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের মধ্যে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ কিডনি রোগী। আর গত অক্টোবরে ঢাকায় ডা. এম আর খান শিশু হাসপাতাল ও শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট আয়োজিত একটি সম্মেলনে বলা হয়, দেশের প্রায় ৫০ লাখ শিশু বিভিন্ন পর্যায়ের কিডনি রোগে ভুগছে। তাদের মধ্যে আড়াই লাখ দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগী (সিকেডি)। জন্মগত, ডায়রিয়ার পরে অ্যাকিউট কিডনি ফেইলিওর এবং নেফ্রাইটিসের প্রদাহ শিশুদের কিডনি রোগের প্রধান কারণ।
শিশু কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খুব কম বয়সী শিশুদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ এবং শেষ পর্যায়ের কিডনি রোগ (ইএসআরডি) দেখা যায় না। ছয়-সাত বছরের শিশুদের মধ্যে এই পর্যায়ের কিডনি রোগ দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া যেকোনো বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে বিভিন্ন রোগের কারণে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ বা অন্য কোনো কারণে কিডনির কার্যকারিতা হঠাৎ কমে যেতে পারে; যাকে অ্যাকিউট কিডনি ইনজুরি (একেআই) বলা হয়। সে ক্ষেত্রে শিশুটিকে জরুরি ভিত্তিতে পিআইসিইউতে রেখে ডায়ালাইসিস করাতে হয়।
কিন্তু দেশে শিশু কিডনি রোগীর তুলনায় চিকিৎসার সুবিধা একেবারেই কম। শিশুদের জন্য স্বতন্ত্র ডায়ালাইসিস মেশিন লাগে। দেশে কিডনি রোগের সরকারি সর্বোচ্চ চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠান এনআইকেডিইউর সূত্র জানায়, সেখানে শিশুদের ডায়ালাইসিস সুবিধা না থাকায় ১০ শয্যার শিশু ডায়ালাইসিস ইউনিট খুলতে এরই মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। দেশে কিডনি রোগের চিকিৎসা ও শিক্ষার সর্বোচ্চ সরকারি এই প্রতিষ্ঠান থেকে শিশু কিডনি রোগের ওপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও নিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। অবশ্য শিশু ডায়ালাইসিস ইউনিট না থাকায় ডায়ালাইসিস শিখতে তাঁদের যেতে হয় বাংলাদেশে শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট অথবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এনআইকেডিইউতে এখনো ১২ বছরের কম বয়সী কারও কিডনি প্রতিস্থাপিত হয়নি। ৫ শয্যার পিআইসিইউতে রিভার্স অসমোসিস সুবিধা থাকায় শিশুদের জন্য ডায়ালাইসিস মেশিন এলেই সেবা চালু করা যাবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
শিশু হাসপাতাল ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) শিশুদের ডায়ালাইসিসের সুবিধা আছে। কিছু বেসরকারি হাসপাতালে সীমিতভাবে এই সুবিধা আছে।
কিডনি মানবদেহে প্রবাহিত সব রক্ত ছেঁকে দূষিত বর্জ্য পানির সঙ্গে মিশিয়ে মূত্র হিসেবে বের করে দেয়। কিডনি বিকল হলে এ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। কিডনির পরিবর্তে কৃত্রিম ছাঁকনি ব্যবহার করে দেহ থেকে রক্ত ছেঁকে বর্জ্য বের করার প্রক্রিয়াকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে ডায়ালাইসিস বলা হয়।
কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিডনি রোগের ক্ষেত্রে সাধারণত বড় কোনো উপসর্গ দেখা দেয় না। অনেকের ক্ষেত্রে এমনও হয়, কিডনি পুরোপুরি বিকল হওয়ার পর উপসর্গ প্রকাশ পায়। এ ছাড়া দেশে কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা চিকিৎসার জন্য আসেন একদম শেষ পর্যায়ে। যত দিন কিডনি প্রতিস্থাপন সম্ভব হয় না, তত দিন নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতে হয়।
এনআইকেডিইউর তথ্য বলছে, দেশে অন্তত ২ কোটি মানুষ দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগে ভুগছে। তাদের মধ্যে বছরে ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার মানুষের মধ্যে কিডনি রোগের শেষ পর্যায়ে পৌঁছায়। গ্লোমারুলোনেফ্রাইটিস (জিএন), ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, নেফ্রোপ্যাথি দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের প্রধান কারণ। দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১৩০টি প্রতিষ্ঠানে কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিসের সুবিধা রয়েছে। কিডনি প্রতিস্থাপনের সুবিধা রয়েছে ১০টি প্রতিষ্ঠানে। ডায়ালাইসিস মেশিন রয়েছে ৬৫০টি। ডায়ালাইসিস প্রয়োজন এমন রোগীদের মাত্র ২৫ শতাংশ এই সুবিধার আওতায় আসছে। এর কারণ, ডায়ালাইসিস সেবার অপর্যাপ্ততা ও উচ্চ খরচ।
বিএসএমএমইউর শিশু কিডনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আফরোজা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রথমে ডায়ালাইসিস শুরু করি। এরপর শুরু হয় ঢাকা শিশু হাসপাতালে। এর বাইরে কিছু বেসরকারি হাসপাতালে শুরু হলেও তা উল্লেখযোগ্য নয়। শিশু কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিসের চাহিদার তুলনায় বিদ্যমান সুবিধা খুব নগণ্য। এই সুবিধা চালুর বিষয়ে বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সরকারের পদক্ষেপের তেমন অগ্রগতি হয়নি।’ তিনি জানান, দেশে বর্তমানে বিএসএমএমইউ, এনআইকেডিইউ ও শিশু হাসপাতালে শিশু কিডনি রোগের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি (ডক্টর অব মেডিসিন) রয়েছে। প্রতিবছর নতুন করে ৬-৭ জন শিশু কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ বের হচ্ছেন।
জাতীয় কিডনি রোগ ও ইউরোলজি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. বাবরুল আলম বলেন, ‘শিশুদের কিডনি প্রতিস্থাপন ছাড়া ইউরোলজির সব ধরনের অস্ত্রোপচার আমরা করতে পারি। এখানে শিশু কিডনি রোগ বিভাগ অনেক গোছানো। আমরা চেষ্টা করছি, শিগগির শিশুদের ডায়ালাইসিস চালু করতে পারব।’

শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক..
৯ মিনিট আগে
দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরেকটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।
২৪ মিনিট আগে
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে আক্রান্ত ১ হাজার ১৭৯ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষ
২১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দেশের দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. রুবীনা ইয়াসমীন। তবে তিনি কলেজ দুটি নাম তাৎক্ষণিক জানাননি।
অধিদপ্তরের চিকিৎসা শিক্ষা শাখার একাধিক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানান, রোববার স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ হতে যাওয়া দুই মেডিকেল কলেজ হলো—শরীয়তপুরের মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ এবং মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর ভূইয়া মেডিকেল কলেজ। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা ও শিক্ষার পরিবেশ না থাকায় এই দুই মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বিদ্যমান শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম চলমান থাকবে।

শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দেশের দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. রুবীনা ইয়াসমীন। তবে তিনি কলেজ দুটি নাম তাৎক্ষণিক জানাননি।
অধিদপ্তরের চিকিৎসা শিক্ষা শাখার একাধিক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানান, রোববার স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ হতে যাওয়া দুই মেডিকেল কলেজ হলো—শরীয়তপুরের মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ এবং মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর ভূইয়া মেডিকেল কলেজ। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা ও শিক্ষার পরিবেশ না থাকায় এই দুই মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বিদ্যমান শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম চলমান থাকবে।

পিরোজপুরের আবদুর রহিমের (ছদ্মনাম) ১০ মাসের ছেলে জন্মগত হৃদ্রোগের জটিলতায় ভুগছে। চিকিৎসকের পরামর্শে সম্প্রতি ভর্তি করানো হয় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে (এনআইসিভিডি)। হৃৎপিণ্ডের সংক্রমণ তীব্র হওয়ায় উচ্চ-মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করায় শিশুটির সিরাম ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে কিডনি প্রায় শতভা
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরেকটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।
২৪ মিনিট আগে
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে আক্রান্ত ১ হাজার ১৭৯ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষ
২১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরেকটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. রুবীনা ইয়াসমীন।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা কয়েক বছর আগে ৭০টির বেশি ছিল। পরে ২০২৩ সালে ৬টি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এরপর কয়েকটির অনুমোদনও বাতিল করা হয়। বর্তমানে দেশে ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। নতুন করে আরও একটি কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
ডা. রুবীনা ইয়াসমীন বলেন, ‘৬৭টি মেডিকেল কলেজের মধ্যে দুইটি কলেজে নতুন করে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ তারা ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না। তবে বিদ্যমান শিক্ষাবর্ষের একাডেমিক কার্যক্রম চলবে। এই হিসাবে দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬টিতে।’
চিকিৎসা শিক্ষার মান নিয়ে বিতর্কের মধ্যে সরকার কেন নতুন করে একটি কলেজের অনুমোদন দিয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি জানান, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন অনুযায়ী শর্ত মেনে আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই কলেজকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার সরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তির আসন কমানো হলেও বেসরকারি কলেজের আসন কমানো হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টিকে আসন পুনর্বিন্যাস বলছি। সরকারিতেই শুধু নয়। বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর মধ্যেও যেসব কলেজ বিভিন্ন শর্ত পূরণ করতে পারেনি তাদেরও কমানো হয়েছে। শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।’
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, নতুন মেডিকেল কলেজ অনুমোদনসহ আসন্ন এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নানা বিষয়ে সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন এই মেডিকেল কলেজে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকেই শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবেন। ৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এই মেডিকেলের কার্যক্রম শুরু হবে।

দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরেকটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. রুবীনা ইয়াসমীন।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা কয়েক বছর আগে ৭০টির বেশি ছিল। পরে ২০২৩ সালে ৬টি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এরপর কয়েকটির অনুমোদনও বাতিল করা হয়। বর্তমানে দেশে ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। নতুন করে আরও একটি কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
ডা. রুবীনা ইয়াসমীন বলেন, ‘৬৭টি মেডিকেল কলেজের মধ্যে দুইটি কলেজে নতুন করে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ তারা ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না। তবে বিদ্যমান শিক্ষাবর্ষের একাডেমিক কার্যক্রম চলবে। এই হিসাবে দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬টিতে।’
চিকিৎসা শিক্ষার মান নিয়ে বিতর্কের মধ্যে সরকার কেন নতুন করে একটি কলেজের অনুমোদন দিয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি জানান, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন অনুযায়ী শর্ত মেনে আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই কলেজকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার সরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তির আসন কমানো হলেও বেসরকারি কলেজের আসন কমানো হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টিকে আসন পুনর্বিন্যাস বলছি। সরকারিতেই শুধু নয়। বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর মধ্যেও যেসব কলেজ বিভিন্ন শর্ত পূরণ করতে পারেনি তাদেরও কমানো হয়েছে। শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।’
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, নতুন মেডিকেল কলেজ অনুমোদনসহ আসন্ন এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নানা বিষয়ে সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন এই মেডিকেল কলেজে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকেই শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবেন। ৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এই মেডিকেলের কার্যক্রম শুরু হবে।

পিরোজপুরের আবদুর রহিমের (ছদ্মনাম) ১০ মাসের ছেলে জন্মগত হৃদ্রোগের জটিলতায় ভুগছে। চিকিৎসকের পরামর্শে সম্প্রতি ভর্তি করানো হয় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে (এনআইসিভিডি)। হৃৎপিণ্ডের সংক্রমণ তীব্র হওয়ায় উচ্চ-মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করায় শিশুটির সিরাম ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে কিডনি প্রায় শতভা
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক..
৯ মিনিট আগে
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে আক্রান্ত ১ হাজার ১৭৯ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষ
২১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে আক্রান্ত ১ হাজার ১৭৯ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দুজন মারা গেছেন। দুজনই পুরুষ। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৭৫ ও ৭১ বছর।
গত এক দিনে সারা দেশে ১ হাজার ১১৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছে ৭৬ হাজার ৯ জন।
এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৭৯ হাজার ৭২২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩১৫ জনের।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে আক্রান্ত ১ হাজার ১৭৯ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দুজন মারা গেছেন। দুজনই পুরুষ। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৭৫ ও ৭১ বছর।
গত এক দিনে সারা দেশে ১ হাজার ১১৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছে ৭৬ হাজার ৯ জন।
এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৭৯ হাজার ৭২২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩১৫ জনের।

পিরোজপুরের আবদুর রহিমের (ছদ্মনাম) ১০ মাসের ছেলে জন্মগত হৃদ্রোগের জটিলতায় ভুগছে। চিকিৎসকের পরামর্শে সম্প্রতি ভর্তি করানো হয় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে (এনআইসিভিডি)। হৃৎপিণ্ডের সংক্রমণ তীব্র হওয়ায় উচ্চ-মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করায় শিশুটির সিরাম ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে কিডনি প্রায় শতভা
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক..
৯ মিনিট আগে
দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরেকটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।
২৪ মিনিট আগে
দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষ
২১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এটি প্রতিরোধে বাড়তি সতর্কতা এবং পর্যবেক্ষণের পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা।
হাসপাতাল সূত্রে ঘটা সংক্রমণ (এইচএআই) এখন বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় উদ্বেগের কারণ। এসব সংক্রমণের জন্য দায়ী রোগজীবাণু বা পরজীবীর একটি হচ্ছে ক্যান্ডিডা অরিস নামের ছত্রাক। ‘ক্যান্ডিডা’ গণের আওতায় অরিসসহ বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক রয়েছে। সাম্প্রতিককালে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ছত্রাক সংক্রমণের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে ক্যান্ডিডা অরিস।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যান্ডিডা অরিস দেশের নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে। আইসিডিডিআরবি এবং সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) যৌথ উদ্যোগে চালানো হয়েছে গবেষণাটি। এতে অর্থায়ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ জনস্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)। একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হওয়ায় অরিস ছত্রাককে সিডিসিই ২০১৯ সালে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল।
২০২১ সালের আগস্ট থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকার একটি সরকারি ও একটি বেসরকারি হাসপাতালের এনআইসিইউতে ভর্তি থাকা ৩৭৪টি নবজাতকের ওপর ওপরের গবেষণাটি পরিচালিত হয়। দেখা যায়, ৩২টি (৯ শতাংশ) নবজাতক ত্বকে ক্যান্ডিডা অরিস বহন করছিল। একজনের রক্তেও সংক্রমণ প্রবেশ করে। এদের মধ্যে ১৪টি নবজাতক হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময়ই ছত্রাকে আক্রান্ত ছিল। আর ১৮টি নবজাতক সংক্রমিত হয় ভর্তি হওয়ার পর। আক্রান্ত ৩২টি নবজাতকের মধ্যে রক্তে সংক্রমিতসহ ৭টি নবজাতকের মৃত্যু ঘটে। গবেষকেরা বলছেন, এই ফল ইঙ্গিত দেয়, এনআইসিইউর ভেতরেই প্রায়শ ছত্রাকটির সংক্রমণ ঘটছে।
আইসিডিডিআরবির আরেকটি সাম্প্রতিক গবেষণায়ও দেখা গেছে, এর আওতায় পর্যবেক্ষণ করা রোগীদের কেউই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে স্থানীয়ভাবে ক্যান্ডিডা অরিসে আক্রান্ত হয়নি।
নতুন গবেষণায় সংগৃহীত ছত্রাকের নমুনার ৮২ শতাংশই ফ্লুকোনাজোল নামের একটি ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী ছিল। অর্থাৎ নির্দিষ্ট এই ছত্রাকের চিকিৎসায় ওষুধটির কার্যকারিতা বিভিন্ন মাত্রায় কমে যেতে পারে। অথচ ক্যান্ডিডা অরিসের বিরুদ্ধে ফ্লুকোনাজোল প্রথম সারির ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এমআরএসের মতো ‘সুপারবাগ’ (অতি প্রাণঘাতী জীবাণু) কোনো ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠার অর্থ দীর্ঘ মেয়াদে ওষুধটি কার্যত পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে পড়া। আর ক্যান্ডিডা অরিসকে আইসিডিডিআরবির বিশেষজ্ঞ ফাহমিদা চৌধুরী ‘সুপারবাগ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, সংক্রমিত নবজাতকদের ৮১ শতাংশেরই জন্ম হয়েছে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে। গবেষকদের মতে, সিজারিয়ান পদ্ধতিতে ডেলিভারির পর নবজাতক তুলনামূলকভাবে দীর্ঘ সময় হাসপাতালে অবস্থান করায় এই ছত্রাকের সংস্পর্শে আসার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
আইসিডিডিআরবি থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ক্যান্ডিডা অরিস এমন এক ধরনের ছত্রাক, যা মানুষের ত্বকে কোনো লক্ষণ ছাড়াই অবস্থান করতে এবং দীর্ঘ সময় টিকে থাকতে পারে। প্রায় ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই অবস্থান সংক্রমণে রূপ নেয়; বিশেষ করে যখন এটি রক্তের মতো জীবাণুমুক্ত অংশে প্রবেশ করে এবং রোগটিকে অত্যন্ত প্রাণঘাতী করে তোলে।
গবেষণায় দেখা গেছে, অনুন্নত ও স্বল্পোন্নত দেশে ক্যান্ডিডা অরিসজনিত রোগে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মৃত্যুহার প্রায় ৭০ শতাংশ। দুর্বল রোগ প্রতিরোধক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তি, গুরুতর অসুস্থ রোগী এবং অপরিণত নবজাতকেরা এই সংক্রমণের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।
আইসিডিডিআরবির সহযোগী বিজ্ঞানী ও সংক্রামক রোগ বিভাগের এএমআর গবেষণা শাখার প্রধান ফাহমিদা চৌধুরী বলেন, ‘এই গবেষণা নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ঝুঁকিপূর্ণ বাচ্চাদের মধ্যে সুপারবাগ সংক্রমণের গুরুতর প্রমাণ দিয়েছে। প্রশাসনিক ও নীতিগতভাবে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার গবেষণাটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রথম ধাপ।’
সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা সুপারিশ হিসেবে হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ও ব্যবহার্য সামগ্রী ক্লোরিনভিত্তিক জীবাণুনাশক দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করা এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের হাত ধোয়ার অভ্যাস উন্নত করার তাগিদ দিয়েছেন। একই সঙ্গে এনআইসিইউতে ক্যান্ডিডা অরিস সংক্রমণের ওপর ধারাবাহিকভাবে নজরদারি চালিয়ে যাওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন তাঁরা। এতে আক্রান্ত নবজাতকদের দ্রুত শনাক্ত এবং আলাদা করে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে।

দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এটি প্রতিরোধে বাড়তি সতর্কতা এবং পর্যবেক্ষণের পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা।
হাসপাতাল সূত্রে ঘটা সংক্রমণ (এইচএআই) এখন বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় উদ্বেগের কারণ। এসব সংক্রমণের জন্য দায়ী রোগজীবাণু বা পরজীবীর একটি হচ্ছে ক্যান্ডিডা অরিস নামের ছত্রাক। ‘ক্যান্ডিডা’ গণের আওতায় অরিসসহ বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক রয়েছে। সাম্প্রতিককালে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ছত্রাক সংক্রমণের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে ক্যান্ডিডা অরিস।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যান্ডিডা অরিস দেশের নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে। আইসিডিডিআরবি এবং সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) যৌথ উদ্যোগে চালানো হয়েছে গবেষণাটি। এতে অর্থায়ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ জনস্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)। একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হওয়ায় অরিস ছত্রাককে সিডিসিই ২০১৯ সালে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল।
২০২১ সালের আগস্ট থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকার একটি সরকারি ও একটি বেসরকারি হাসপাতালের এনআইসিইউতে ভর্তি থাকা ৩৭৪টি নবজাতকের ওপর ওপরের গবেষণাটি পরিচালিত হয়। দেখা যায়, ৩২টি (৯ শতাংশ) নবজাতক ত্বকে ক্যান্ডিডা অরিস বহন করছিল। একজনের রক্তেও সংক্রমণ প্রবেশ করে। এদের মধ্যে ১৪টি নবজাতক হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময়ই ছত্রাকে আক্রান্ত ছিল। আর ১৮টি নবজাতক সংক্রমিত হয় ভর্তি হওয়ার পর। আক্রান্ত ৩২টি নবজাতকের মধ্যে রক্তে সংক্রমিতসহ ৭টি নবজাতকের মৃত্যু ঘটে। গবেষকেরা বলছেন, এই ফল ইঙ্গিত দেয়, এনআইসিইউর ভেতরেই প্রায়শ ছত্রাকটির সংক্রমণ ঘটছে।
আইসিডিডিআরবির আরেকটি সাম্প্রতিক গবেষণায়ও দেখা গেছে, এর আওতায় পর্যবেক্ষণ করা রোগীদের কেউই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে স্থানীয়ভাবে ক্যান্ডিডা অরিসে আক্রান্ত হয়নি।
নতুন গবেষণায় সংগৃহীত ছত্রাকের নমুনার ৮২ শতাংশই ফ্লুকোনাজোল নামের একটি ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী ছিল। অর্থাৎ নির্দিষ্ট এই ছত্রাকের চিকিৎসায় ওষুধটির কার্যকারিতা বিভিন্ন মাত্রায় কমে যেতে পারে। অথচ ক্যান্ডিডা অরিসের বিরুদ্ধে ফ্লুকোনাজোল প্রথম সারির ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এমআরএসের মতো ‘সুপারবাগ’ (অতি প্রাণঘাতী জীবাণু) কোনো ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠার অর্থ দীর্ঘ মেয়াদে ওষুধটি কার্যত পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে পড়া। আর ক্যান্ডিডা অরিসকে আইসিডিডিআরবির বিশেষজ্ঞ ফাহমিদা চৌধুরী ‘সুপারবাগ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, সংক্রমিত নবজাতকদের ৮১ শতাংশেরই জন্ম হয়েছে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে। গবেষকদের মতে, সিজারিয়ান পদ্ধতিতে ডেলিভারির পর নবজাতক তুলনামূলকভাবে দীর্ঘ সময় হাসপাতালে অবস্থান করায় এই ছত্রাকের সংস্পর্শে আসার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
আইসিডিডিআরবি থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ক্যান্ডিডা অরিস এমন এক ধরনের ছত্রাক, যা মানুষের ত্বকে কোনো লক্ষণ ছাড়াই অবস্থান করতে এবং দীর্ঘ সময় টিকে থাকতে পারে। প্রায় ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই অবস্থান সংক্রমণে রূপ নেয়; বিশেষ করে যখন এটি রক্তের মতো জীবাণুমুক্ত অংশে প্রবেশ করে এবং রোগটিকে অত্যন্ত প্রাণঘাতী করে তোলে।
গবেষণায় দেখা গেছে, অনুন্নত ও স্বল্পোন্নত দেশে ক্যান্ডিডা অরিসজনিত রোগে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মৃত্যুহার প্রায় ৭০ শতাংশ। দুর্বল রোগ প্রতিরোধক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তি, গুরুতর অসুস্থ রোগী এবং অপরিণত নবজাতকেরা এই সংক্রমণের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।
আইসিডিডিআরবির সহযোগী বিজ্ঞানী ও সংক্রামক রোগ বিভাগের এএমআর গবেষণা শাখার প্রধান ফাহমিদা চৌধুরী বলেন, ‘এই গবেষণা নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ঝুঁকিপূর্ণ বাচ্চাদের মধ্যে সুপারবাগ সংক্রমণের গুরুতর প্রমাণ দিয়েছে। প্রশাসনিক ও নীতিগতভাবে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার গবেষণাটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রথম ধাপ।’
সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা সুপারিশ হিসেবে হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ও ব্যবহার্য সামগ্রী ক্লোরিনভিত্তিক জীবাণুনাশক দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করা এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের হাত ধোয়ার অভ্যাস উন্নত করার তাগিদ দিয়েছেন। একই সঙ্গে এনআইসিইউতে ক্যান্ডিডা অরিস সংক্রমণের ওপর ধারাবাহিকভাবে নজরদারি চালিয়ে যাওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন তাঁরা। এতে আক্রান্ত নবজাতকদের দ্রুত শনাক্ত এবং আলাদা করে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে।

পিরোজপুরের আবদুর রহিমের (ছদ্মনাম) ১০ মাসের ছেলে জন্মগত হৃদ্রোগের জটিলতায় ভুগছে। চিকিৎসকের পরামর্শে সম্প্রতি ভর্তি করানো হয় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে (এনআইসিভিডি)। হৃৎপিণ্ডের সংক্রমণ তীব্র হওয়ায় উচ্চ-মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করায় শিশুটির সিরাম ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে কিডনি প্রায় শতভা
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক..
৯ মিনিট আগে
দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরেকটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।
২৪ মিনিট আগে
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে আক্রান্ত ১ হাজার ১৭৯ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে