ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুকে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, পরিচিতজনদের সঙ্গে যোগাযোগকে আকর্ষণীয় করতে নানা সময়ে যোগ হয়েছে নানা ফিচার। এসব ফিচারের মধ্যে অন্যতম পুরোনো একটি হল পোক (Poke)।
এই ফিচার সম্প্রতি দেশের ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে আবার আলোচনায় এসেছে। এই আলোচনার মধ্যেই ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপ, পেজ ও ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে একটি তথ্য প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, পোক দেওয়ার মাধ্যমে কারও অ্যাকাউন্টে টেম্পরারি ব্লক থাকলে তা ঠিক হয়ে যায়। অপরিচিত কেউ পোক করলে এবং সেই পোক ব্যাক করলে সেই লোক ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট ছাড়াই তার প্রোফাইল দেখতে পারবে। অ্যাকাউন্টে কোনো সমস্যা হলে অন্যরা যদি পোক দেয় তাহলে সেই অ্যাকাউন্ট অনেকটাই ভালো হয়ে যায়। পোক দেওয়ার পর কেউ পোক ব্যাক করলে অ্যাকাউন্ট অনেকটা নিরাপদ হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন আরেকজনকে পোক দিলে আইডির রিচ বাড়ে।
এই দাবিগুলোর সত্যতা যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানে ২০০৭ সালের ৩০ আগস্টে প্রকাশিত এক মতামত কলামে ফেসবুককে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ফেসবুকে ‘পোক’ ফিচারটি নির্দিষ্ট কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি করা হয়নি। পোকের ব্যবহার এবং অর্থ ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ওপরই ছেড়ে দেয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ফেসবুক ব্যবহারকারীরাও ‘পোক’কে বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম বিজনেস ইনসাইডারে ২০১৫ সালের ২ আগস্ট প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ‘পোক’ ফিচারটি আলোচনা পাওয়া যায়। এ প্রতিবেদনেও বলা হয়, ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ প্রকৃত কোনো উদ্দেশ্য বা ব্যাখ্যা ছাড়াই ‘পোক’ ফিচারটি তৈরি করেছিলেন।
ফেসবুকের প্রাথমিক যুগে পোক করা এবং পোক ব্যাক দেওয়ার ব্যাপারটি তখনকার ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কাছে ‘পোক ওয়ার’ নামে পরিচিত ছিল। তবে পরে অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, স্ন্যাপচ্যাটে যুক্ত হওয়া পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া বা যোগাযোগের বিভিন্ন ফিচার যেমন লাইক, ফেভারিট, হার্ট ইত্যাদি যুক্ত হওয়ার ফলে মানুষের কাছে ‘পোক’ এর আবেদন কমে যেতে থাকে।
দ্য গার্ডিয়ান বা বিজনেস ইনসাইডারের এই প্রতিবেদন দুটিতে ‘পোক’ সম্পর্কে ফেসবুকে সম্প্রতি প্রচারিত দাবিগুলোর কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
পোক সম্পর্কে কি বলছে ফেসবুক?
ফেসবুকের হেল্প সেন্টারে ‘পোক’ ফিচারটি সম্পর্কে বলা হয়েছে, ফেসবুকের এই ফিচারের মাধ্যমে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী তাঁর বন্ধু তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের ‘পোক’ করতে বা খোঁচা দিতে পারেন। কেউ যখন কাউকে ‘পোক’ করবে, তখন অপর প্রান্তের ব্যক্তি একটি নোটিফিকেশন পাবেন। এখানেও ‘পোক’ এর মাধ্যমে অ্যাকাউন্টে ‘অস্থায়ী ব্লক’ থাকলে বা কোনো সমস্যা থাকলে সেটি ঠিক হয়ে যাওয়া, অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারার দাবিগুলো প্রসঙ্গে কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
এছাড়া ‘পোক’ ফিচারটি নিয়ে দাবি করা হয়েছে, অপরিচিত কেউ পোক করলে এবং সেই পোক ব্যাক করলে সেই লোক ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট ছাড়াই তার প্রোফাইল দেখতে পারবে। তবে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ফেসবুকে বন্ধু তালিকার বাইরে এই ‘পোক’ ফিচার প্রয়োগ করার সুযোগ নেই। অর্থাৎ কেবল ফেসবুকে কেউ বন্ধু তালিকায় থাকলেই অপর কাউকে ‘পোক’ করা যায়।
স্পষ্টত, ফেসবুকের ‘পোক’ ফিচারটি ফেসবুকের যোগাযোগের অন্যান্য ফিচারগুলোর মতো একটি ফিচার মাত্র। এই ফিচারের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি তার বন্ধু তালিকায় থাকা কাউকে ‘পোক’ করতে পারেন এবং এর মাধ্যমে অপর বন্ধুর কাছে একটি নোটিফিকেশন যায় কেবল। এর বাইরে ফিচারটির ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য নেই।
‘পোক’ করবেন যেভাবে
ফেসবুকের হেল্প সেন্টারে ‘পোক’ ফিচারটির ব্যবহারবিধি সম্পর্কে বলা আছে। কাউকে ‘পোক’ করতে হলে প্রথমে ফেসবুকের ‘পোক’ পেজে যেতে হবে। সেখানে একটি বার (bar) দেখা যাবে। বারে বন্ধু তালিকায় থাকা যে ব্যক্তিকে ‘পোক’ করতে চান, তার নাম লিখতে হবে। নাম লেখার পরেই বন্ধু তালিকায় থাকা ওই ব্যক্তির নাম ভেসে উঠবে এবং নামের পাশেই ইংরেজিতে ‘পোক’ লেখা দেখা যাবে। তাতে ক্লিক করলেই ওই ব্যক্তির কাছে একটি নোটিফিকেশন চলে যাবে।
এই ব্যবহারবিধিতে পোক থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে বলা হয়েছে, কেউ ‘পোক’ এর শিকার না হতে চাইলে যিনি ‘পোক’ করছেন, তাকে ফেসবুক থেকে ব্লক করে দিতে পারেন।
ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুকে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, পরিচিতজনদের সঙ্গে যোগাযোগকে আকর্ষণীয় করতে নানা সময়ে যোগ হয়েছে নানা ফিচার। এসব ফিচারের মধ্যে অন্যতম পুরোনো একটি হল পোক (Poke)।
এই ফিচার সম্প্রতি দেশের ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে আবার আলোচনায় এসেছে। এই আলোচনার মধ্যেই ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপ, পেজ ও ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে একটি তথ্য প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, পোক দেওয়ার মাধ্যমে কারও অ্যাকাউন্টে টেম্পরারি ব্লক থাকলে তা ঠিক হয়ে যায়। অপরিচিত কেউ পোক করলে এবং সেই পোক ব্যাক করলে সেই লোক ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট ছাড়াই তার প্রোফাইল দেখতে পারবে। অ্যাকাউন্টে কোনো সমস্যা হলে অন্যরা যদি পোক দেয় তাহলে সেই অ্যাকাউন্ট অনেকটাই ভালো হয়ে যায়। পোক দেওয়ার পর কেউ পোক ব্যাক করলে অ্যাকাউন্ট অনেকটা নিরাপদ হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন আরেকজনকে পোক দিলে আইডির রিচ বাড়ে।
এই দাবিগুলোর সত্যতা যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানে ২০০৭ সালের ৩০ আগস্টে প্রকাশিত এক মতামত কলামে ফেসবুককে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ফেসবুকে ‘পোক’ ফিচারটি নির্দিষ্ট কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি করা হয়নি। পোকের ব্যবহার এবং অর্থ ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ওপরই ছেড়ে দেয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ফেসবুক ব্যবহারকারীরাও ‘পোক’কে বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম বিজনেস ইনসাইডারে ২০১৫ সালের ২ আগস্ট প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ‘পোক’ ফিচারটি আলোচনা পাওয়া যায়। এ প্রতিবেদনেও বলা হয়, ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ প্রকৃত কোনো উদ্দেশ্য বা ব্যাখ্যা ছাড়াই ‘পোক’ ফিচারটি তৈরি করেছিলেন।
ফেসবুকের প্রাথমিক যুগে পোক করা এবং পোক ব্যাক দেওয়ার ব্যাপারটি তখনকার ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কাছে ‘পোক ওয়ার’ নামে পরিচিত ছিল। তবে পরে অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, স্ন্যাপচ্যাটে যুক্ত হওয়া পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া বা যোগাযোগের বিভিন্ন ফিচার যেমন লাইক, ফেভারিট, হার্ট ইত্যাদি যুক্ত হওয়ার ফলে মানুষের কাছে ‘পোক’ এর আবেদন কমে যেতে থাকে।
দ্য গার্ডিয়ান বা বিজনেস ইনসাইডারের এই প্রতিবেদন দুটিতে ‘পোক’ সম্পর্কে ফেসবুকে সম্প্রতি প্রচারিত দাবিগুলোর কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
পোক সম্পর্কে কি বলছে ফেসবুক?
ফেসবুকের হেল্প সেন্টারে ‘পোক’ ফিচারটি সম্পর্কে বলা হয়েছে, ফেসবুকের এই ফিচারের মাধ্যমে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী তাঁর বন্ধু তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের ‘পোক’ করতে বা খোঁচা দিতে পারেন। কেউ যখন কাউকে ‘পোক’ করবে, তখন অপর প্রান্তের ব্যক্তি একটি নোটিফিকেশন পাবেন। এখানেও ‘পোক’ এর মাধ্যমে অ্যাকাউন্টে ‘অস্থায়ী ব্লক’ থাকলে বা কোনো সমস্যা থাকলে সেটি ঠিক হয়ে যাওয়া, অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারার দাবিগুলো প্রসঙ্গে কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
এছাড়া ‘পোক’ ফিচারটি নিয়ে দাবি করা হয়েছে, অপরিচিত কেউ পোক করলে এবং সেই পোক ব্যাক করলে সেই লোক ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট ছাড়াই তার প্রোফাইল দেখতে পারবে। তবে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ফেসবুকে বন্ধু তালিকার বাইরে এই ‘পোক’ ফিচার প্রয়োগ করার সুযোগ নেই। অর্থাৎ কেবল ফেসবুকে কেউ বন্ধু তালিকায় থাকলেই অপর কাউকে ‘পোক’ করা যায়।
স্পষ্টত, ফেসবুকের ‘পোক’ ফিচারটি ফেসবুকের যোগাযোগের অন্যান্য ফিচারগুলোর মতো একটি ফিচার মাত্র। এই ফিচারের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি তার বন্ধু তালিকায় থাকা কাউকে ‘পোক’ করতে পারেন এবং এর মাধ্যমে অপর বন্ধুর কাছে একটি নোটিফিকেশন যায় কেবল। এর বাইরে ফিচারটির ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য নেই।
‘পোক’ করবেন যেভাবে
ফেসবুকের হেল্প সেন্টারে ‘পোক’ ফিচারটির ব্যবহারবিধি সম্পর্কে বলা আছে। কাউকে ‘পোক’ করতে হলে প্রথমে ফেসবুকের ‘পোক’ পেজে যেতে হবে। সেখানে একটি বার (bar) দেখা যাবে। বারে বন্ধু তালিকায় থাকা যে ব্যক্তিকে ‘পোক’ করতে চান, তার নাম লিখতে হবে। নাম লেখার পরেই বন্ধু তালিকায় থাকা ওই ব্যক্তির নাম ভেসে উঠবে এবং নামের পাশেই ইংরেজিতে ‘পোক’ লেখা দেখা যাবে। তাতে ক্লিক করলেই ওই ব্যক্তির কাছে একটি নোটিফিকেশন চলে যাবে।
এই ব্যবহারবিধিতে পোক থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে বলা হয়েছে, কেউ ‘পোক’ এর শিকার না হতে চাইলে যিনি ‘পোক’ করছেন, তাকে ফেসবুক থেকে ব্লক করে দিতে পারেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক ও অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের বাড়ি থেকে সাড়ে চার কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে—এমন দাবিতে সম্প্রতি একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেইরানের নারীরা হিজাব খুলে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির বিরুদ্ধে রাস্তায় বিক্ষোভ করছেন—এমন দাবিতে সম্প্রতি একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ এবং এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
১ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা জেলার সমন্বয়ক শিমুলের বাড়ি থেকে সেনাবাহিনী অস্ত্র উদ্ধার করছে-এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৪ দিন আগেব্রণ ত্বকের একটি সাধারণ সমস্যা। কিশোর-কিশোরী থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্কদেরও ব্রণ হতে পারে। এটি শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি মানসিক চাপও সৃষ্টি করে। ব্রণ নিয়ে সমাজে একটি সাধারণ প্রচলিত আছে—এগুলো প্রায়শই সঠিক চিকিৎসার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে আজকের..
৫ দিন আগে