ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
দেশের পূর্বাঞ্চলে চলমান বন্যা পরিস্থিতি, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশত্যাগী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থানসহ বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশে বর্তমানে ভারত বিরোধিতা তুঙ্গে। এমন পরিস্থিতিতে ফেসবুকে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে দাবি করা হচ্ছে, বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া গ্যাস লাইন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের নামে খোলা একটি ভুয়া পেজ থেকে গতকাল সোমবার রাত ৮টায় এমন একটি পোস্ট দেওয়া হয়। পোস্টটিতে আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার রিয়েকশন পড়েছে। শেয়ার হয়েছে শতাধিক।
দাবিটির সূত্র হিসেবে বিভিন্ন ফেসবুক পোস্টে ‘Ironclad’ নামের একটি ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টের টুইটকে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এক্স অ্যাকাউন্টটির ইউজার নেম ‘Navcom 24’। এটিতে গত রোববার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় টুইটটি করা হয়। টুইটটিতে দাবি করা হয়, বাংলাদেশ থেকে ‘সেভেন সিস্টার্স’ খ্যাত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। টুইটটিতে এই তথ্যের কোনো সূত্র উল্লেখ করা হয়নি। এক্স অ্যাকাউন্টটি নিয়ে অনুসন্ধানে দেখা যায়, এটি গত বছরের সেপ্টেম্বরে খোলা হয়েছে। অ্যাকাউন্টটির লোকেশন দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন। এটি দক্ষিণ এশিয়া কেন্দ্রিক সংঘাত-সংঘর্ষ, কৌশলগত উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে বলে দাবি করা হয়েছে।
অ্যাকাউন্টটি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ভারতের সংবাদমাধ্যমসহ বেশ কয়েকটি ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান এই এক্স অ্যাকাউন্টটিকে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর জন্য শনাক্ত করেছে। অর্থাৎ, বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া গ্যাস লাইন বন্ধ করে দেওয়ার দাবিতে প্রচারিত সূত্রটি নির্ভরযোগ্য নয়।
বাংলাদেশ থেকে ভারতের সেভেন সিস্টার্স রাজ্যে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ করার ব্যাপারেও কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ থেকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানি করা হবে এমন একটি দাবি ছড়িয়ে পড়ে।
এ প্রসঙ্গে বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে প্রাকৃতিক গ্যাস নয়, তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপিজি রপ্তানি করবে। ২০১৯ সালে ভারত সফরে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের রাজধানী দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী মোদী ও শেখ হাসিনার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে বাংলাদেশ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এলপিজি রপ্তানি করার ব্যাপারে সমঝোতা হয়। এলপিজি রপ্তানির জন্য একটি প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন নরেন্দ্র মোদী ও শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ থেকে ভারতে ২০২২ সাল পর্যন্ত তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপিজি রপ্তানির তথ্য পাওয়া যায়। ২০১৯ সালের সমঝোতা অনুযায়ী, বাংলাদেশের ব্যক্তি মালিকানাধীন ওমেরা, বেক্সিমকো ও বিএম এনার্জি পেট্রোলিয়ামের মাধ্যমে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর জন্য এলপিজি আমদানি করে ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন। ২০২২ সালের পরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এলপিজি গ্যাস রপ্তানি করা হয়েছে কিনা এ ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায় না।
সর্বোপরি, এটি নিশ্চিত যে, বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া গ্যাস লাইন বন্ধ করার দাবিটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
দেশের পূর্বাঞ্চলে চলমান বন্যা পরিস্থিতি, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশত্যাগী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থানসহ বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশে বর্তমানে ভারত বিরোধিতা তুঙ্গে। এমন পরিস্থিতিতে ফেসবুকে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে দাবি করা হচ্ছে, বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া গ্যাস লাইন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের নামে খোলা একটি ভুয়া পেজ থেকে গতকাল সোমবার রাত ৮টায় এমন একটি পোস্ট দেওয়া হয়। পোস্টটিতে আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার রিয়েকশন পড়েছে। শেয়ার হয়েছে শতাধিক।
দাবিটির সূত্র হিসেবে বিভিন্ন ফেসবুক পোস্টে ‘Ironclad’ নামের একটি ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টের টুইটকে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এক্স অ্যাকাউন্টটির ইউজার নেম ‘Navcom 24’। এটিতে গত রোববার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় টুইটটি করা হয়। টুইটটিতে দাবি করা হয়, বাংলাদেশ থেকে ‘সেভেন সিস্টার্স’ খ্যাত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। টুইটটিতে এই তথ্যের কোনো সূত্র উল্লেখ করা হয়নি। এক্স অ্যাকাউন্টটি নিয়ে অনুসন্ধানে দেখা যায়, এটি গত বছরের সেপ্টেম্বরে খোলা হয়েছে। অ্যাকাউন্টটির লোকেশন দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন। এটি দক্ষিণ এশিয়া কেন্দ্রিক সংঘাত-সংঘর্ষ, কৌশলগত উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে বলে দাবি করা হয়েছে।
অ্যাকাউন্টটি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ভারতের সংবাদমাধ্যমসহ বেশ কয়েকটি ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান এই এক্স অ্যাকাউন্টটিকে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর জন্য শনাক্ত করেছে। অর্থাৎ, বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া গ্যাস লাইন বন্ধ করে দেওয়ার দাবিতে প্রচারিত সূত্রটি নির্ভরযোগ্য নয়।
বাংলাদেশ থেকে ভারতের সেভেন সিস্টার্স রাজ্যে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ করার ব্যাপারেও কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ থেকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানি করা হবে এমন একটি দাবি ছড়িয়ে পড়ে।
এ প্রসঙ্গে বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে প্রাকৃতিক গ্যাস নয়, তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপিজি রপ্তানি করবে। ২০১৯ সালে ভারত সফরে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের রাজধানী দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী মোদী ও শেখ হাসিনার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে বাংলাদেশ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এলপিজি রপ্তানি করার ব্যাপারে সমঝোতা হয়। এলপিজি রপ্তানির জন্য একটি প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন নরেন্দ্র মোদী ও শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ থেকে ভারতে ২০২২ সাল পর্যন্ত তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপিজি রপ্তানির তথ্য পাওয়া যায়। ২০১৯ সালের সমঝোতা অনুযায়ী, বাংলাদেশের ব্যক্তি মালিকানাধীন ওমেরা, বেক্সিমকো ও বিএম এনার্জি পেট্রোলিয়ামের মাধ্যমে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর জন্য এলপিজি আমদানি করে ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন। ২০২২ সালের পরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এলপিজি গ্যাস রপ্তানি করা হয়েছে কিনা এ ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায় না।
সর্বোপরি, এটি নিশ্চিত যে, বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া গ্যাস লাইন বন্ধ করার দাবিটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
গত ২৭ এপ্রিল (রোববার) রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভিত্তিক আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও মায়ানমারের আরাকান রাজ্যবাসীরা স্থানীয় বাঙালিদের ওপর হামলা চালিয়েছে-এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একই ক্যাপশনে ছ
১৫ ঘণ্টা আগেদীর্ঘক্ষণ পায়ের ওপর পা তুলে বসে থাকলে পায়ের রগ ফুলে যায়, অনেক সময় পা টনটন করে। অনেকে ধারণা করেন, এভাবে পা তুলে বসলে পায়ের শিরা স্থায়ীভাবে ফুলে যায়। আসলেই কি পায়ের ওপর পা তুলে বসলে এমন সমস্যা হয়? চিকিৎসাবিজ্ঞানে এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
২১ ঘণ্টা আগেভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগাম পর্যটন এলাকায় গত মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত ও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। এই হামলায় জড়িত সন্দেহে তিন ব্যক্তির স্কেচ ও নাম প্রকাশ করেছে ভারতীয় পুলিশ। তাদের দাবি, এই তিনজনের মধ্যে দুজন পাকিস্তানি নাগরিক এবং সবাই পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী.
৩ দিন আগেচীনের একটি পোশাক কারখানা ইংরেজি ভাষায় ‘বয়কট চায়না’ লেখাসহ ১ লাখ টি-শার্ট এবং ক্যাপ যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি করেছে—এমন দাবিতে একটি ফটোকার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হচ্ছে।
৩ দিন আগে