ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সদ্য শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর সমালোচনার মুখে পড়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সমালোচনার জবাবে ক্রিকেটারদের প্রতিক্রিয়াকে কেন্দ্র করে সরব হয়ে ওঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। ক্রিকেটার ও বোর্ডের নানা কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে তৈরি হয় স্যাটায়ার।
এরই অংশ হিসেবে এবারের বিশ্বকাপে আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের অর্থের উৎস নিয়ে একটি তথ্য ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। অনেকেই দাবি করেন, তালেবান স্পনসর না করায় মোহাম্মদ নবীর টাকায় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলতে গেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল।
ফ্যাক্টচেক
কি-ওয়ার্ড দিয়ে অনুসন্ধান করে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ ও টুইটার অ্যাকাউন্টে এ-সংক্রান্ত পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। গত ১৪ অক্টোবর করা পোস্ট থেকে জানা যায়, আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের অফিশিয়াল স্পনসর সেডিকি গ্রুপ (Sediki Group)। ৪ লাখ ৫০ হাজার ডলারের চুক্তি হয় গ্রুপটির সঙ্গে।
সেডিকি গ্রুপের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত আফগানিস্তানের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানটির কাজ মূলত সম্পত্তি ক্রয়, বিক্রয়, নির্মাণ ও আমদানি-রপ্তানি। বর্তমানে দুবাই, চীন, সুইজারল্যান্ড, তুরস্কেও প্রতিষ্ঠানটির শাখা রয়েছে।
গত ১৭ জুন আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের স্পনসরশিপের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। গত ২৭ সেপ্টেম্বর একই দরপত্র পুনরায় আহ্বান করা হয়।
বিশ্বকাপে আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের জার্সিতেও সেডিকি গ্রুপের লোগো দেখা গেছে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তান প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের পর তালেবান সরকারের অন্যতম মুখপাত্র সুহাইল শাহিন তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানান।
বিশ্বকাপে ক্রিকেট দলের কিছু খরচ আইসিসিই বহন করে
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২১-এ অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দলে ১৫ জন ক্রিকেটার ও ৮ জন অফিশিয়াল রাখার অনুমতি দিয়েছিল আইসিসি। বিশ্বকাপ ভেন্যুতে এই ২৩ জনের খরচ আইসিসিই বহন করে।
বিভ্রান্তির উৎস
ধারণা করা যায়, আফগানিস্তানের জার্সিতে এমএন-৭ (MN7)-এর লোগো থাকায় মোহাম্মদ নবী আফগানিস্তান দলের স্পনসর—এমন বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। প্রসঙ্গত, আফগান ক্রিকেটার মোহাম্মদ নবীর জার্সি নম্বর ৭। ফলে দুই মিলিয়ে এ বিভ্রান্তি ছড়ায়। আদতে এমএন-৭ ক্রিকেটার মোহাম্মদ নবীর স্পোর্টস ইউনিফর্ম কোম্পানি।
গত ১৩ অক্টোবর আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত একটি বিবৃতি থেকে জানা যায়, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তান দলের কিট স্পনসর কাবুল স্পোর্টস মোহাম্মদ নবীর এমএন-৭-এর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করে।
চুক্তি অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোর জার্সিতে স্পনসর হিসেবে থাকবে এমএন-৭-এর লোগো। আর ঘরোয়া ম্যাচগুলোতে থাকবে কাবুল স্পোর্টসের লোগো। এ কারণে আফগানিস্তানের বিশ্বকাপ জার্সিতে এমএন-৭-এর লোগো দেখা যাচ্ছে।
কোনো বিশ্বাসযোগ্য সংবাদমাধ্যমে মোহাম্মদ নবীর টাকায় আফগানিস্তান ক্রিকেট দল বিশ্বকাপে খেলতে গেছে—এমন তথ্য সংবাদ হিসেবে প্রকাশিত হতে দেখা যায়নি।
সিদ্ধান্ত
তালেবান সরকারের কাছ থেকে স্পনসর না পাওয়ায় আফগানিস্তান ক্রিকেট দল মোহাম্মদ নবীর টাকায় বিশ্বকাপ খেলতে গেছে, ফেসবুকে প্রচারিত এমন তথ্য সত্য নয়। ৪ লাখ ৫০ হাজার ডলারের চুক্তিতে বিশ্বকাপে আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের স্পনসর ছিল সেডিকি গ্রুপ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে, তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে-সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা—[email protected]
সদ্য শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর সমালোচনার মুখে পড়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সমালোচনার জবাবে ক্রিকেটারদের প্রতিক্রিয়াকে কেন্দ্র করে সরব হয়ে ওঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। ক্রিকেটার ও বোর্ডের নানা কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে তৈরি হয় স্যাটায়ার।
এরই অংশ হিসেবে এবারের বিশ্বকাপে আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের অর্থের উৎস নিয়ে একটি তথ্য ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। অনেকেই দাবি করেন, তালেবান স্পনসর না করায় মোহাম্মদ নবীর টাকায় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলতে গেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল।
ফ্যাক্টচেক
কি-ওয়ার্ড দিয়ে অনুসন্ধান করে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ ও টুইটার অ্যাকাউন্টে এ-সংক্রান্ত পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। গত ১৪ অক্টোবর করা পোস্ট থেকে জানা যায়, আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের অফিশিয়াল স্পনসর সেডিকি গ্রুপ (Sediki Group)। ৪ লাখ ৫০ হাজার ডলারের চুক্তি হয় গ্রুপটির সঙ্গে।
সেডিকি গ্রুপের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত আফগানিস্তানের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানটির কাজ মূলত সম্পত্তি ক্রয়, বিক্রয়, নির্মাণ ও আমদানি-রপ্তানি। বর্তমানে দুবাই, চীন, সুইজারল্যান্ড, তুরস্কেও প্রতিষ্ঠানটির শাখা রয়েছে।
গত ১৭ জুন আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের স্পনসরশিপের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। গত ২৭ সেপ্টেম্বর একই দরপত্র পুনরায় আহ্বান করা হয়।
বিশ্বকাপে আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের জার্সিতেও সেডিকি গ্রুপের লোগো দেখা গেছে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তান প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের পর তালেবান সরকারের অন্যতম মুখপাত্র সুহাইল শাহিন তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানান।
বিশ্বকাপে ক্রিকেট দলের কিছু খরচ আইসিসিই বহন করে
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২১-এ অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দলে ১৫ জন ক্রিকেটার ও ৮ জন অফিশিয়াল রাখার অনুমতি দিয়েছিল আইসিসি। বিশ্বকাপ ভেন্যুতে এই ২৩ জনের খরচ আইসিসিই বহন করে।
বিভ্রান্তির উৎস
ধারণা করা যায়, আফগানিস্তানের জার্সিতে এমএন-৭ (MN7)-এর লোগো থাকায় মোহাম্মদ নবী আফগানিস্তান দলের স্পনসর—এমন বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। প্রসঙ্গত, আফগান ক্রিকেটার মোহাম্মদ নবীর জার্সি নম্বর ৭। ফলে দুই মিলিয়ে এ বিভ্রান্তি ছড়ায়। আদতে এমএন-৭ ক্রিকেটার মোহাম্মদ নবীর স্পোর্টস ইউনিফর্ম কোম্পানি।
গত ১৩ অক্টোবর আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত একটি বিবৃতি থেকে জানা যায়, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তান দলের কিট স্পনসর কাবুল স্পোর্টস মোহাম্মদ নবীর এমএন-৭-এর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করে।
চুক্তি অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোর জার্সিতে স্পনসর হিসেবে থাকবে এমএন-৭-এর লোগো। আর ঘরোয়া ম্যাচগুলোতে থাকবে কাবুল স্পোর্টসের লোগো। এ কারণে আফগানিস্তানের বিশ্বকাপ জার্সিতে এমএন-৭-এর লোগো দেখা যাচ্ছে।
কোনো বিশ্বাসযোগ্য সংবাদমাধ্যমে মোহাম্মদ নবীর টাকায় আফগানিস্তান ক্রিকেট দল বিশ্বকাপে খেলতে গেছে—এমন তথ্য সংবাদ হিসেবে প্রকাশিত হতে দেখা যায়নি।
সিদ্ধান্ত
তালেবান সরকারের কাছ থেকে স্পনসর না পাওয়ায় আফগানিস্তান ক্রিকেট দল মোহাম্মদ নবীর টাকায় বিশ্বকাপ খেলতে গেছে, ফেসবুকে প্রচারিত এমন তথ্য সত্য নয়। ৪ লাখ ৫০ হাজার ডলারের চুক্তিতে বিশ্বকাপে আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের স্পনসর ছিল সেডিকি গ্রুপ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে, তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে-সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা—[email protected]
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আ
৮ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
১৭ জুলাই ২০২৫রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো...
১৪ জুলাই ২০২৫বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রেখে গেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। এটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩০ জুন ২০২৫