ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সম্প্রতি ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হচ্ছে, ‘ইন্ডিয়াতে স্বামী-স্ত্রীকে পুলিশ গুলি করে মেরে ফেলল।’
ফেসবুকের অসংখ্য আইডি, পেজ ও গ্রুপে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিওর মন্তব্যের ঘরে করা মন্তব্যগুলো পড়ে অনুমান করা যায়, বিষয়টি বিশ্বাসও করেছেন অধিকাংশ ফেসবুক ব্যবহারকারী।
গত ১৪ এপ্রিল বাবো সোহাইন (Babo Sohhain) নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিওটি প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই আইডি থেকে ভিডিওটি ৩৭ হাজার রিঅ্যাকশন ও আড়াই লাখেরও বেশি শেয়ার হয়েছে। ভিডিওটি দেখা হয়েছে প্রায় ৩০ লাখ বার।
৩৬ মিনিট ১০ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশের ইউনিফর্ম পরা এক ব্যক্তি প্রকাশ্যে দুজনকে গুলি করছেন। প্রথমে পুরুষ ব্যক্তিটিকে গুলি করলে ওই নারী চিৎকার করতে থাকেন। পরে ওই নারীকেও গুলি করা হয়।
ভিডিওতে আশপাশে বেশ কয়েকজন লোককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ভিডিওটি ৩৬ মিনিট দৈর্ঘ্যের হলেও মূলত ২১ সেকেন্ডের ছোট একটি ভিডিও ক্লিপ বারবার বসিয়ে সম্পাদনার মাধ্যমে ভিডিওটি নির্মাণ করা হয়েছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওর শিরোনামে দাবি করা হচ্ছে, ভারতের এক পুলিশ স্বামী-স্ত্রীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেছে। কোনো কোনো পোস্টে উল্লেখ করা হচ্ছে, এই দম্পতি মুসলমান।
ফ্যাক্টচেক
কি-ওয়ার্ড নিয়ে অনুসন্ধান করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিতে এ প্রসঙ্গে গত ১৪ এপ্রিল প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদনে উত্তর প্রদেশের আ্যন্টি টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার রাহুল শ্রীবাস্তবের বরাত দিয়ে বলা হয়, দৃশ্যটি একটি ওয়েব সিরিজের শুটিংয়ের সময় ধারণ করা।
ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভিডিওতে দৃশ্যমান ফ্রেন্ডস ক্যাফের ম্যানেজারও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গুগল ম্যাপে অনুসন্ধান করে জানা যায়, ফ্রেন্ডস ক্যাফে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের কারনাল এলাকার একটি রেস্তোরাঁ।
পুলিশ সুপার রাহুল শ্রীবাস্তব তাঁর ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিষয়টি স্পষ্ট করেছিলেন। তাঁর টুইটের বরাতেই মূলত এনডিটিভির প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।
সিদ্ধান্ত
ভারতে এক পুলিশ সদস্য প্রকাশ্যে স্বামী-স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করেছেন—এমন দাবিতে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি মূলত একটি ওয়েব সিরিজের শুটিংয়ের সময় ধারণ করা হয়েছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে, তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা—[email protected]
সম্প্রতি ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হচ্ছে, ‘ইন্ডিয়াতে স্বামী-স্ত্রীকে পুলিশ গুলি করে মেরে ফেলল।’
ফেসবুকের অসংখ্য আইডি, পেজ ও গ্রুপে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিওর মন্তব্যের ঘরে করা মন্তব্যগুলো পড়ে অনুমান করা যায়, বিষয়টি বিশ্বাসও করেছেন অধিকাংশ ফেসবুক ব্যবহারকারী।
গত ১৪ এপ্রিল বাবো সোহাইন (Babo Sohhain) নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিওটি প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই আইডি থেকে ভিডিওটি ৩৭ হাজার রিঅ্যাকশন ও আড়াই লাখেরও বেশি শেয়ার হয়েছে। ভিডিওটি দেখা হয়েছে প্রায় ৩০ লাখ বার।
৩৬ মিনিট ১০ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশের ইউনিফর্ম পরা এক ব্যক্তি প্রকাশ্যে দুজনকে গুলি করছেন। প্রথমে পুরুষ ব্যক্তিটিকে গুলি করলে ওই নারী চিৎকার করতে থাকেন। পরে ওই নারীকেও গুলি করা হয়।
ভিডিওতে আশপাশে বেশ কয়েকজন লোককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ভিডিওটি ৩৬ মিনিট দৈর্ঘ্যের হলেও মূলত ২১ সেকেন্ডের ছোট একটি ভিডিও ক্লিপ বারবার বসিয়ে সম্পাদনার মাধ্যমে ভিডিওটি নির্মাণ করা হয়েছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওর শিরোনামে দাবি করা হচ্ছে, ভারতের এক পুলিশ স্বামী-স্ত্রীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেছে। কোনো কোনো পোস্টে উল্লেখ করা হচ্ছে, এই দম্পতি মুসলমান।
ফ্যাক্টচেক
কি-ওয়ার্ড নিয়ে অনুসন্ধান করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিতে এ প্রসঙ্গে গত ১৪ এপ্রিল প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদনে উত্তর প্রদেশের আ্যন্টি টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার রাহুল শ্রীবাস্তবের বরাত দিয়ে বলা হয়, দৃশ্যটি একটি ওয়েব সিরিজের শুটিংয়ের সময় ধারণ করা।
ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভিডিওতে দৃশ্যমান ফ্রেন্ডস ক্যাফের ম্যানেজারও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গুগল ম্যাপে অনুসন্ধান করে জানা যায়, ফ্রেন্ডস ক্যাফে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের কারনাল এলাকার একটি রেস্তোরাঁ।
পুলিশ সুপার রাহুল শ্রীবাস্তব তাঁর ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিষয়টি স্পষ্ট করেছিলেন। তাঁর টুইটের বরাতেই মূলত এনডিটিভির প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।
সিদ্ধান্ত
ভারতে এক পুলিশ সদস্য প্রকাশ্যে স্বামী-স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করেছেন—এমন দাবিতে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি মূলত একটি ওয়েব সিরিজের শুটিংয়ের সময় ধারণ করা হয়েছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে, তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা—[email protected]
গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
১৭ জুলাই ২০২৫রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো...
১৪ জুলাই ২০২৫বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রেখে গেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। এটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩০ জুন ২০২৫পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবী ইউনিয়নে এক তরুণীকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবেও ছড়িয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, রাতের বেলা একজন তরুণীকে তিন থেকে চারজন পুরুষ মিলে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে। ওই তরুণী...
২৯ জুন ২০২৫