ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের একটি চীনের মহাপ্রাচীর। আনুমানিক ২২০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে চীনের প্রথম সম্রাট কিন শি হুয়াং মহাপ্রাচীরটির নির্মাণকাজ শুরু করেন। পরবর্তী সম্রাটেরা চীনের প্রতিরক্ষায় এই প্রাচীরকে আরও শক্তিশালী ও বিস্তৃত করেন। খ্রিষ্টপূর্ব ২২০ অব্দ থেকে মিং শাসনামলের ১৬০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এই প্রাচীর বহুবার নির্মাণ পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। প্রাচীরটির সম্মিলিত দৈর্ঘ্য প্রায় ২১ হাজার ১৯৬ কিলোমিটার বা ১৩ হাজার ১৭১ মাইল এবং প্রশস্ত গড়ে প্রায় ৪–৫ মিটার। অবশ্য এর অনেকটাই এখন ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে। চীনের মহাপ্রাচীরকে ১৯৮৭ সালে বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণা করে ইউনেসকো। চীনের মহাপ্রাচীরকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সামরিক স্থাপনা হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরেই এই মহাপ্রাচীর নিয়ে একটি গল্প প্রচলিত যে, এটি মহাকাশ থেকে দেখা যাওয়া পৃথিবীর একমাত্র স্থাপনা। কেউ কেউ আবার দাবি করেন, মহাকাশ থেকে এটি দেখা যায় খালি চোখেই। এমন দাবিও প্রচলিত আছে যে, চাঁদ থেকেও চীনের মহাপ্রাচীর দেখা যায়!
আসলেই কি তাই?

ব্রিটিশ সাময়িকী বিবিসি স্কাই অ্যাট নাইট এমন দাবিকে ‘জনপ্রিয় মিথ’ বলে অভিহিত করেছে। ম্যাগাজিনটি জানায়, প্রকৃতপক্ষে চীনের মহাপ্রাচীর মহাকাশ থেকে খালি চোখে দেখা যায় না। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, এটি খালি চোখে দেখা সম্ভব নয়। মিথটি মহাকাশে মানুষের যাত্রার অনেক আগে থেকেই প্রচলিত ছিল। যেমন, ১৭৫৪ সালে খ্যাতিমান ইংরেজ বিজ্ঞানী এবং পুরাতাত্ত্বিক রেভ. উইলিয়াম স্টুকলি তাঁর এক ব্যক্তিগত চিঠিতে উল্লেখ করেছিলেন, পৃথিবীর অন্যতম বিখ্যাত স্থাপনা চীনের মহাপ্রাচীর চাঁদ থেকে দেখা যেতে পারে।
এই ধারণা বৈজ্ঞানিকভাবে ভুল প্রমাণিত হয় ১৯৬০–এর দশকে অ্যাপোলো মিশনের সময়। অ্যাপোলো ১২–এর লুনার মডিউল পাইলট অ্যালান বিন বলেন, ‘চাঁদ থেকে আপনি যা দেখতে পারেন তা হলো একটি সুন্দর গোলক—প্রধানত সাদা, কিছুটা নীল, হলুদ আর মাঝে মাঝে সবুজ। এখান থেকে কোনো মানবসৃষ্ট বস্তু দৃশ্যমান নয়।

তাহলে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে চীনের মহাপ্রাচীর দেখা যাবে কি? মার্কিন মহাকাশচারী এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের কমান্ডার লেরয় চিয়াও ২০০৪ সালের ২৪ নভেম্বর পৃথিবীর নিকটস্থ কক্ষপথ থেকে চীনের মহাপ্রাচীরের একটি ছবি ধারণ করেছিলেন। ছবিটি ধারণ করা হয়েছিল ১৮০ মিলিমিটার লেন্স দিয়ে ডিজিটাল ক্যামেরা ব্যবহার করে।
ছবিটি সম্পর্কে নাসার ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ছবিটিতে চীনের মহাপ্রাচীর ও মঙ্গোলিয়া দেখা যায়। প্রচলিত মিথের বিপরীতে সত্য হলো, চাঁদ থেকে প্রাচীরটি দৃশ্যমান নয় এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন লেন্স ছাড়া পৃথিবীর নিকটববর্তী কক্ষপথ থেকেও এটি দেখা কঠিন বা প্রায় অসম্ভব।
ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার (ইএসএ) মহাকাশচারী থমাস পেসকেট তাঁর দ্বিতীয় মিশন আলফার অংশ হিসেবে ছয় মাস আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ছিলেন। তাঁর ওই সময়ের অভিজ্ঞতা উঠে এসেছে সংস্থাটির ওয়েবসাইটে। মহাকাশ স্টেশনে অবস্থানকালে অবসরে অন্য অনেক মহাকাশচারীর মতো পেসকেটও কাপোলা উইন্ডো (আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের জন্য ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা নির্মিত একটি পর্যবেক্ষণ মডিউল) দিয়ে পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে থাকতেন। ওই সময় তিনি চীনের মহাপ্রাচীরের একটি ছবি তুলেছিলেন।

থমাস ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে লিখেছেন, ‘সবাই জানতে চায় যে, মহাকাশ থেকে চীনের মহাপ্রাচীর দেখা যায় কি না। তাদের জন্য দুঃসংবাদ হলো, এটি দেখা যায় না। তবে মহাকাশে অবস্থানকারী কেউ যদি জানেন এটি কোথায়? তাহলে তাঁর পক্ষে মহাপ্রাচীরের ছবি তোলা সম্ভব। ক্যামেরার ছোট ভিউফাইন্ডারে এটি দেখা অসম্ভব। কিন্তু ক্যামেরার জিওগ্রাফিক্যাল ফিচার ব্যবহার করে সঠিক স্থানে লেন্স স্থাপন করতে পারলে মহাকাশচারী চোখ বন্ধ করেই চীনের প্রাচীরের ছবি তুলতে পারবেন।
ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার আরেক মহাকাশচারী আলেকজান্ডার গার্স্ট ২০১৮ সালের ১৯ জুন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে চীনের মহাপ্রাচীরের একটি ছবি তোলেন। ছবিটি গার্স্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লেখেন, ‘আমি অবশেষে একটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেয়েছি, যা আমাকে হাজার বার জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। আমরা কি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে চীনের মহাপ্রাচীর দেখতে পাই? খালি চোখে দেখা প্রায় অসম্ভব। তবে আমি ৮০০ মিলিমিটার টেলি লেন্স দিয়ে চেষ্টা করেছি। তাও খুঁজে পাওয়া কঠিন!’

শুধু ইউরোপীয় মহাকাশচারীরাই নন, চীনের প্রথম মহাকাশচারী ইয়াং লিওয়েইও নিশ্চিত করেছেন, মহাকাশ থেকে চীনের মহাপ্রাচীর দেখা যায় না। ইয়াং লিওয়েই ২০০৩ সালের অক্টোবরে চীনের মহাকাশ সংস্থার শেনঝু–৫ মিশনে পৃথিবীকে ১৪ বার প্রদক্ষিণ করেছিলেন। নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে ইয়াং লিওয়েই বলেছিলেন, ‘মহাকাশ থেকে পৃথিবী খুব সুন্দর দেখাচ্ছিল, কিন্তু আমি আমাদের মহাপ্রাচীরটি দেখিনি।’
চাঁদ থেকে মহাপ্রাচীর দেখা যাওয়ার দাবি প্রসঙ্গে নাসার শাটল অ্যাস্ট্রোনট জে অ্যাপট বলেন, ‘আমরা চীনের প্রাচীর খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করি। যদিও মহাকাশ স্টেশন থেকে বিমানবন্দরের রানওয়ের মতো ছোট অবকাঠামোও কিছুটা দেখতে পারি, কিন্তু চীনের প্রাচীরের নির্মাণ উপাদান এবং এর আশপাশের মাটির রং একই হওয়ায় এটিকে আলাদা করে শনাক্ত করা কঠিন। চাঁদ থেকেও দেখা যায় এমন জনপ্রিয় গল্প থাকলেও, চীনের প্রাচীর পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১৮০ মাইল ওপর থেকেই দেখা মশকিল।’
মহাকাশ থেকে চীনের মহাপ্রাচীর কেন দেখা যায় না?
চীনের মহাপ্রাচীরের প্রস্থ সর্বাধিক ৯ দশমিক ১ মিটার বা ৩০ ফুট এবং প্রাচীরটির বেশির ভাগ অংশের রং আশপাশের মাটি বা কাছাকাছি অঞ্চলের পাথরের রঙের মতোই। ফলে দূরে থেকে প্রাচীরটিকে আলাদা করা কঠিন; এমনকি পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথ থেকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন স্যাটেলাইট ছবিতেও স্পষ্ট বোঝা যায় না। মহাকাশ স্টেশন থেকে দেখলে পৃথিবীকে একটি সাদা–নীল ছোট গোলকের মতো দেখায়, সেখানে ৯ দশমিক ১ মিটার প্রস্থের প্রাচীর তো দূরের কথা!

মহাকাশ থেকে পৃথিবীর কোনো স্থাপনা দেখা যায়?
মহাকাশ থেকে খালি চোখে চীনের মহাপ্রাচীর দেখা না গেলেও অন্যান্য অনেক অবকাঠামো দেখা যায়। এর মধ্যে রয়েছে— মিসরের গিজার পিরামিড, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন এক্সপিডিশন ৩২–এর সময় এর ছবি তোলা হয়েছিল। মহাকাশ স্টেশন থেকে তোলা অসাধারণ ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে: রাতের পৃথিবী।

পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের একটি চীনের মহাপ্রাচীর। আনুমানিক ২২০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে চীনের প্রথম সম্রাট কিন শি হুয়াং মহাপ্রাচীরটির নির্মাণকাজ শুরু করেন। পরবর্তী সম্রাটেরা চীনের প্রতিরক্ষায় এই প্রাচীরকে আরও শক্তিশালী ও বিস্তৃত করেন। খ্রিষ্টপূর্ব ২২০ অব্দ থেকে মিং শাসনামলের ১৬০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এই প্রাচীর বহুবার নির্মাণ পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। প্রাচীরটির সম্মিলিত দৈর্ঘ্য প্রায় ২১ হাজার ১৯৬ কিলোমিটার বা ১৩ হাজার ১৭১ মাইল এবং প্রশস্ত গড়ে প্রায় ৪–৫ মিটার। অবশ্য এর অনেকটাই এখন ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে। চীনের মহাপ্রাচীরকে ১৯৮৭ সালে বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণা করে ইউনেসকো। চীনের মহাপ্রাচীরকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সামরিক স্থাপনা হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরেই এই মহাপ্রাচীর নিয়ে একটি গল্প প্রচলিত যে, এটি মহাকাশ থেকে দেখা যাওয়া পৃথিবীর একমাত্র স্থাপনা। কেউ কেউ আবার দাবি করেন, মহাকাশ থেকে এটি দেখা যায় খালি চোখেই। এমন দাবিও প্রচলিত আছে যে, চাঁদ থেকেও চীনের মহাপ্রাচীর দেখা যায়!
আসলেই কি তাই?

ব্রিটিশ সাময়িকী বিবিসি স্কাই অ্যাট নাইট এমন দাবিকে ‘জনপ্রিয় মিথ’ বলে অভিহিত করেছে। ম্যাগাজিনটি জানায়, প্রকৃতপক্ষে চীনের মহাপ্রাচীর মহাকাশ থেকে খালি চোখে দেখা যায় না। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, এটি খালি চোখে দেখা সম্ভব নয়। মিথটি মহাকাশে মানুষের যাত্রার অনেক আগে থেকেই প্রচলিত ছিল। যেমন, ১৭৫৪ সালে খ্যাতিমান ইংরেজ বিজ্ঞানী এবং পুরাতাত্ত্বিক রেভ. উইলিয়াম স্টুকলি তাঁর এক ব্যক্তিগত চিঠিতে উল্লেখ করেছিলেন, পৃথিবীর অন্যতম বিখ্যাত স্থাপনা চীনের মহাপ্রাচীর চাঁদ থেকে দেখা যেতে পারে।
এই ধারণা বৈজ্ঞানিকভাবে ভুল প্রমাণিত হয় ১৯৬০–এর দশকে অ্যাপোলো মিশনের সময়। অ্যাপোলো ১২–এর লুনার মডিউল পাইলট অ্যালান বিন বলেন, ‘চাঁদ থেকে আপনি যা দেখতে পারেন তা হলো একটি সুন্দর গোলক—প্রধানত সাদা, কিছুটা নীল, হলুদ আর মাঝে মাঝে সবুজ। এখান থেকে কোনো মানবসৃষ্ট বস্তু দৃশ্যমান নয়।

তাহলে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে চীনের মহাপ্রাচীর দেখা যাবে কি? মার্কিন মহাকাশচারী এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের কমান্ডার লেরয় চিয়াও ২০০৪ সালের ২৪ নভেম্বর পৃথিবীর নিকটস্থ কক্ষপথ থেকে চীনের মহাপ্রাচীরের একটি ছবি ধারণ করেছিলেন। ছবিটি ধারণ করা হয়েছিল ১৮০ মিলিমিটার লেন্স দিয়ে ডিজিটাল ক্যামেরা ব্যবহার করে।
ছবিটি সম্পর্কে নাসার ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ছবিটিতে চীনের মহাপ্রাচীর ও মঙ্গোলিয়া দেখা যায়। প্রচলিত মিথের বিপরীতে সত্য হলো, চাঁদ থেকে প্রাচীরটি দৃশ্যমান নয় এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন লেন্স ছাড়া পৃথিবীর নিকটববর্তী কক্ষপথ থেকেও এটি দেখা কঠিন বা প্রায় অসম্ভব।
ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার (ইএসএ) মহাকাশচারী থমাস পেসকেট তাঁর দ্বিতীয় মিশন আলফার অংশ হিসেবে ছয় মাস আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ছিলেন। তাঁর ওই সময়ের অভিজ্ঞতা উঠে এসেছে সংস্থাটির ওয়েবসাইটে। মহাকাশ স্টেশনে অবস্থানকালে অবসরে অন্য অনেক মহাকাশচারীর মতো পেসকেটও কাপোলা উইন্ডো (আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের জন্য ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা নির্মিত একটি পর্যবেক্ষণ মডিউল) দিয়ে পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে থাকতেন। ওই সময় তিনি চীনের মহাপ্রাচীরের একটি ছবি তুলেছিলেন।

থমাস ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে লিখেছেন, ‘সবাই জানতে চায় যে, মহাকাশ থেকে চীনের মহাপ্রাচীর দেখা যায় কি না। তাদের জন্য দুঃসংবাদ হলো, এটি দেখা যায় না। তবে মহাকাশে অবস্থানকারী কেউ যদি জানেন এটি কোথায়? তাহলে তাঁর পক্ষে মহাপ্রাচীরের ছবি তোলা সম্ভব। ক্যামেরার ছোট ভিউফাইন্ডারে এটি দেখা অসম্ভব। কিন্তু ক্যামেরার জিওগ্রাফিক্যাল ফিচার ব্যবহার করে সঠিক স্থানে লেন্স স্থাপন করতে পারলে মহাকাশচারী চোখ বন্ধ করেই চীনের প্রাচীরের ছবি তুলতে পারবেন।
ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার আরেক মহাকাশচারী আলেকজান্ডার গার্স্ট ২০১৮ সালের ১৯ জুন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে চীনের মহাপ্রাচীরের একটি ছবি তোলেন। ছবিটি গার্স্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লেখেন, ‘আমি অবশেষে একটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেয়েছি, যা আমাকে হাজার বার জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। আমরা কি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে চীনের মহাপ্রাচীর দেখতে পাই? খালি চোখে দেখা প্রায় অসম্ভব। তবে আমি ৮০০ মিলিমিটার টেলি লেন্স দিয়ে চেষ্টা করেছি। তাও খুঁজে পাওয়া কঠিন!’

শুধু ইউরোপীয় মহাকাশচারীরাই নন, চীনের প্রথম মহাকাশচারী ইয়াং লিওয়েইও নিশ্চিত করেছেন, মহাকাশ থেকে চীনের মহাপ্রাচীর দেখা যায় না। ইয়াং লিওয়েই ২০০৩ সালের অক্টোবরে চীনের মহাকাশ সংস্থার শেনঝু–৫ মিশনে পৃথিবীকে ১৪ বার প্রদক্ষিণ করেছিলেন। নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে ইয়াং লিওয়েই বলেছিলেন, ‘মহাকাশ থেকে পৃথিবী খুব সুন্দর দেখাচ্ছিল, কিন্তু আমি আমাদের মহাপ্রাচীরটি দেখিনি।’
চাঁদ থেকে মহাপ্রাচীর দেখা যাওয়ার দাবি প্রসঙ্গে নাসার শাটল অ্যাস্ট্রোনট জে অ্যাপট বলেন, ‘আমরা চীনের প্রাচীর খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করি। যদিও মহাকাশ স্টেশন থেকে বিমানবন্দরের রানওয়ের মতো ছোট অবকাঠামোও কিছুটা দেখতে পারি, কিন্তু চীনের প্রাচীরের নির্মাণ উপাদান এবং এর আশপাশের মাটির রং একই হওয়ায় এটিকে আলাদা করে শনাক্ত করা কঠিন। চাঁদ থেকেও দেখা যায় এমন জনপ্রিয় গল্প থাকলেও, চীনের প্রাচীর পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১৮০ মাইল ওপর থেকেই দেখা মশকিল।’
মহাকাশ থেকে চীনের মহাপ্রাচীর কেন দেখা যায় না?
চীনের মহাপ্রাচীরের প্রস্থ সর্বাধিক ৯ দশমিক ১ মিটার বা ৩০ ফুট এবং প্রাচীরটির বেশির ভাগ অংশের রং আশপাশের মাটি বা কাছাকাছি অঞ্চলের পাথরের রঙের মতোই। ফলে দূরে থেকে প্রাচীরটিকে আলাদা করা কঠিন; এমনকি পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথ থেকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন স্যাটেলাইট ছবিতেও স্পষ্ট বোঝা যায় না। মহাকাশ স্টেশন থেকে দেখলে পৃথিবীকে একটি সাদা–নীল ছোট গোলকের মতো দেখায়, সেখানে ৯ দশমিক ১ মিটার প্রস্থের প্রাচীর তো দূরের কথা!

মহাকাশ থেকে পৃথিবীর কোনো স্থাপনা দেখা যায়?
মহাকাশ থেকে খালি চোখে চীনের মহাপ্রাচীর দেখা না গেলেও অন্যান্য অনেক অবকাঠামো দেখা যায়। এর মধ্যে রয়েছে— মিসরের গিজার পিরামিড, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন এক্সপিডিশন ৩২–এর সময় এর ছবি তোলা হয়েছিল। মহাকাশ স্টেশন থেকে তোলা অসাধারণ ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে: রাতের পৃথিবী।

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
৪ দিন আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
৫ দিন আগে
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
৯ দিন আগে
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।
আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।
আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।

দীর্ঘদিন ধরেই এই মহাপ্রাচীর নিয়ে একটি গল্প প্রচলিত যে, এটি মহাকাশ থেকে দেখা যাওয়া পৃথিবীর একমাত্র স্থাপনা। কেউ কেউ আবার দাবি করেন, মহাকাশ থেকে এটি দেখা যায় খালি চোখেই। এমন দাবিও প্রচলিত আছে যে, চাঁদ থেকেও চীনের মহাপ্রাচীর দেখা যায়!
২৬ অক্টোবর ২০২৪
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
৫ দিন আগে
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
৯ দিন আগে
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’
ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি
বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।
বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ
এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।
এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।
একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’
ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি
বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।
বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ
এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।
এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।
একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

দীর্ঘদিন ধরেই এই মহাপ্রাচীর নিয়ে একটি গল্প প্রচলিত যে, এটি মহাকাশ থেকে দেখা যাওয়া পৃথিবীর একমাত্র স্থাপনা। কেউ কেউ আবার দাবি করেন, মহাকাশ থেকে এটি দেখা যায় খালি চোখেই। এমন দাবিও প্রচলিত আছে যে, চাঁদ থেকেও চীনের মহাপ্রাচীর দেখা যায়!
২৬ অক্টোবর ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
৪ দিন আগে
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
৯ দিন আগে
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

দীর্ঘদিন ধরেই এই মহাপ্রাচীর নিয়ে একটি গল্প প্রচলিত যে, এটি মহাকাশ থেকে দেখা যাওয়া পৃথিবীর একমাত্র স্থাপনা। কেউ কেউ আবার দাবি করেন, মহাকাশ থেকে এটি দেখা যায় খালি চোখেই। এমন দাবিও প্রচলিত আছে যে, চাঁদ থেকেও চীনের মহাপ্রাচীর দেখা যায়!
২৬ অক্টোবর ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
৪ দিন আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
৫ দিন আগে
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

দীর্ঘদিন ধরেই এই মহাপ্রাচীর নিয়ে একটি গল্প প্রচলিত যে, এটি মহাকাশ থেকে দেখা যাওয়া পৃথিবীর একমাত্র স্থাপনা। কেউ কেউ আবার দাবি করেন, মহাকাশ থেকে এটি দেখা যায় খালি চোখেই। এমন দাবিও প্রচলিত আছে যে, চাঁদ থেকেও চীনের মহাপ্রাচীর দেখা যায়!
২৬ অক্টোবর ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
৪ দিন আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
৫ দিন আগে
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
৯ দিন আগে