Ajker Patrika

আচরণবিধি ভঙ্গের হিড়িক

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬: ৫১
আচরণবিধি ভঙ্গের হিড়িক

জয়পুরহাটে ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন হবে সদর উপজেলার নয় ইউপিতে। নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসায় ইতিমধ্যেই প্রচারে ব্যস্ত চেয়ারম্যান ও মেম্বার পদে প্রার্থীরা। তবে কিছু ইউপিতে মানা হচ্ছে না নির্বাচনী আচরণবিধি। সেখানে বিধি লঙ্ঘন করে বাড়িঘর, স্কুল ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের দেয়াল, রাস্তার পাশের গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটিতে, শৌচাগারে পোস্টার সাঁটিয়েছেন প্রার্থীরা। এমন অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে বিধিনিষেধ প্রয়োগের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের তৎপরতাও চোখে পড়েনি।

জয়পুরহাট সদরের চকবরকত, দোগাছী, ধলাহারসহ কয়েকটি ইউপি ঘুরে দেখা যায়, প্রার্থীদের ব্যানার-পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা। নিয়মের তোয়াক্কা না করেই চলছে প্রচার। নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী প্রার্থীদের পোস্টার নির্বাচনী এলাকায় অবস্থিত দেয়ালে লাগানো যাবে না। কিন্তু সেটা কেউই মানছেন না। বাড়িঘর, স্কুল ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের দেয়াল, রাস্তার পাশের গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটিতে, শৌচাগারে পোস্টার সাঁটিয়েছেন প্রার্থীরা। এ ক্ষেত্রে বাদ যায়নি স্কুলের দেয়ালও।

চকবরকত ইছুয়া নওপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেয়ালে বিভিন্ন প্রার্থীর পোস্টারে ভরে গেছে। সেখানে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজেরা খাতুন লিলির মোটরসাইকেল প্রতীক, ইউপি সাধারণ সদস্য পদে সায়েম মোল্লার মোরগ, আমিনুর ইসলাম আফিলের বৈদ্যুতিক পাখা, হাকিম মণ্ডলের ফুটবল, মাহবুব আলমের টিউবওয়েল, মোকাদ্দেছুর রহমানের আপেল প্রতীকসহ অনেক প্রার্থীর পোস্টার লাগানো হয়েছে। সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পোস্টারও আছে।

জানতে চাইলে ওই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. শাহজাহান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, অন্য প্রার্থীদের পোস্টারও তো দেয়ালে, গাছে ও বিদ্যুতের পোলে সাঁটানো হয়েছে। তাঁদের কেউ কেউ দু-তিনটি মাইক বাজিয়ে প্রচার করছেন।

এ বিষয়ে জানার জন্য চকবরকত ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজেরা খাতুনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ধরেননি।

ওই ইউনিয়নে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদপ্রার্থী সায়েম মোল্লা বলেন, ‘দেয়ালে পোস্টার লাগানো যাবে না, ঠিক আছে। কিন্তু অন্য প্রার্থীরাও তো তাঁদের পোস্টার বিভিন্ন জায়গায় সাঁটিয়েছেন। আমরা আমাদের পোস্টারগুলো তুলে ফেলে দেব।’

একই ওয়ার্ডের প্রার্থী আমিনুর ইসলাম আফিল বলেন, ‘চেয়ারম্যানসহ অন্য প্রার্থীরা দেয়ালে পোস্টার লাগিয়েছেন। নৌকা মার্কা, আনারস, মোটরসাইকেল, ঘোড়া মার্কার হেভিওয়েট প্রার্থীরাই তো দেয়ালে, গাছে, বিদ্যুতের পোলে পোস্টার লাগিয়েছেন। আমরা ছোট প্রার্থী। তাঁদের দেখা দেখি আমরাও করেছি।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে চকবরকত ইউনিয়নের পাহুনন্দা গ্রামের এক ভোটার বলেন, ‘এখন থেকেই শোনা যাচ্ছে, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে দেওয়া হবে না। তাই আমরা ভয়ে ভয়ে আছি। ভোট কেমন হবে জানি না।’

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিছুর রহমান মিঞা বলেন, ‘নির্বাচনী এলাকায় দেয়ালে, গাছে-গাছে পোস্টার লাগানো যাবে না। এমন আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং এই বিষয়গুলো আমি দেখছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

রাখাইনে মানবিক করিডর কি প্রক্সি যুদ্ধের ফাঁদ হবে, ভারত-চীন কীভাবে দেখবে

পিটুনিতে নিহত সেই শামীম মোল্লাকে বহিষ্কার করল জাবি প্রশাসন, সমালোচনার ঝড়

চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিতের আবেদন, শুনানি রোববার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত