মিন্টু মিয়া, নান্দাইল
নান্দাইলের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের পাশে নরসুন্দা নদীর পাড়ের চা বিক্রেতা মোহাম্মদ আলী। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে চা বিক্রি করে চলে সংসার। দিনে ২৫০-৩০০ টাকা আয় করে পরিবারের পাঁচ সদস্য নিয়ে দিন কাটালেও এখন রয়েছেন বিপদে।
মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘যা ইনকাম করি তা দিয়ে চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ কিনে সন্ধ্যায় বাড়ি যাই। সয়াবিন তেলের দাম ১৭০ টাকা। এক কেজি তেল কিনলে চাল কিনতে পারি না। একদিন তেল কিনি, আরেকদিন চাল কিনি।’ শুধু মোহাম্মদ আলী নয়, তাঁর মতো আরও অনেকের আয়ের সিংহভাগই চলে যায় তেল আর চাল কিনতে।
ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খেটে খাওয়া মানুষ রয়েছেন বিপদে। অপরদিকে দোকানে মূল্যতালিকা টানানোর কথা থাকলেও ব্যবসায়ীরা তা মানছেন না। ফলে প্রতিদিনই দামের পার্থক্য দেখতে হয় সাধারণ ক্রেতাদের।
কাঁচাবাজারে আসা ক্রেতা আতিকুল ইসলাম পিতুল বলেন, ‘শীতকালীন শাক-সবজির দাম ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। সব নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। গরুর মাংসের দাম বৃদ্ধি দেখে মুরগি কিনতে গেলাম, সেখানেও দেখি চড়া দাম। এখন ডিম আর কিছু সবজি কিনে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি।’
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৮ থেকে ১৭০ টাকা কেজি। বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়। নির্ধারিত দামের চেয়েও বেশিতে বিক্রি হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। পাঁচ লিটারের বোতল কিনতে দিতে হচ্ছে ৭৪৫ থেকে ৮০০ টাকা।
বিক্রেতারা জানান, যাঁদের কাছে আগের কেনা তেল রয়েছে, তাঁরাই কিছুটা কমে বিক্রি করছেন। নতুন কেনা বোতল বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
টিসিবির হিসাবে দেখা গেছে, টিসিবির সয়াবিন তেল ১১০ টাকা ও খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। এ ছাড়া ৬৫ টাকার ডাল খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকায়। এ ছাড়া ৫৫ টাকার চিনি খোলা বাজারে ৮০ টাকা, ৩০ টাকার চাল খোলা বাজারে ৫০ টাকা ও ২৩ টাকার আটা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। কিছু দোকানে তেলের বোতলের গায়ে মূল্য লেখা থাকলেও দাম চাওয়া হচ্ছে বাড়তি।
নান্দাইল বাজারের কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, ভরা মৌসুমেও অনেক সবজি বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ৬০ টাকা ও কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুদিন আগেও যা ছিল ২৫-৩০ টাকা কেজি। পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫-১০ টাকা। আদার দাম বেড়েছে ৫ টাকা। তবে নতুন আলুর দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
এদিকে দাম কিছুটা নাগালে থাকায় ক্রেতারা ব্রয়লার মুরগি এবং ডিম কিনছেন বেশি। যদিও দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকায়। ব্রয়লার ১৫০ টাকা ও দেশি ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি ৪০ টাকায়।
নান্দাইল কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম রন্জু বলেন, ‘প্রতিনিয়ত বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। আমরা বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছি। এ কারণে ক্রেতাদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়।’
পারভীন আক্তার নামের এক গৃহিণী বলেন, ‘শুধু তেলের দাম বাড়েনি, গরিবের মরণের ব্যবস্থা হয়েছে। আমাদের তো কিছু করার নেই। টাকা থাকলে তেল কিনব, না থাকলে তেল ছাড়াই খামু। চাল কিনমু না তেল কিনমু, তা চিন্তা করেই জীবন শেষ। ২৫০ গ্রাম তেল কিনতে এসেছি।’
নান্দাইল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী অপূর্ব দত্ত বলেন, ‘খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। আমরা পাইকারিভাবে ১৪৮ টাকা কেজি ধরে সয়াবিন তেল বিক্রি করছি। সীমিত লাভে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছি। মসুর ডালও দুদিনে ১০ টাকা বেড়েছে।’
নান্দাইলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাহফুজুল হক বলেন, ‘বাজার সহনশীল করার লক্ষ্যে আমরা বাজার তদারকি শুরু করব। রোববার থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি দামে তেল বিক্রি করা যাবে না। প্রতিটি দোকানে মূল্যতালিকা টানাতে হবে।’
নান্দাইলের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের পাশে নরসুন্দা নদীর পাড়ের চা বিক্রেতা মোহাম্মদ আলী। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে চা বিক্রি করে চলে সংসার। দিনে ২৫০-৩০০ টাকা আয় করে পরিবারের পাঁচ সদস্য নিয়ে দিন কাটালেও এখন রয়েছেন বিপদে।
মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘যা ইনকাম করি তা দিয়ে চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ কিনে সন্ধ্যায় বাড়ি যাই। সয়াবিন তেলের দাম ১৭০ টাকা। এক কেজি তেল কিনলে চাল কিনতে পারি না। একদিন তেল কিনি, আরেকদিন চাল কিনি।’ শুধু মোহাম্মদ আলী নয়, তাঁর মতো আরও অনেকের আয়ের সিংহভাগই চলে যায় তেল আর চাল কিনতে।
ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খেটে খাওয়া মানুষ রয়েছেন বিপদে। অপরদিকে দোকানে মূল্যতালিকা টানানোর কথা থাকলেও ব্যবসায়ীরা তা মানছেন না। ফলে প্রতিদিনই দামের পার্থক্য দেখতে হয় সাধারণ ক্রেতাদের।
কাঁচাবাজারে আসা ক্রেতা আতিকুল ইসলাম পিতুল বলেন, ‘শীতকালীন শাক-সবজির দাম ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। সব নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। গরুর মাংসের দাম বৃদ্ধি দেখে মুরগি কিনতে গেলাম, সেখানেও দেখি চড়া দাম। এখন ডিম আর কিছু সবজি কিনে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি।’
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৮ থেকে ১৭০ টাকা কেজি। বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়। নির্ধারিত দামের চেয়েও বেশিতে বিক্রি হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। পাঁচ লিটারের বোতল কিনতে দিতে হচ্ছে ৭৪৫ থেকে ৮০০ টাকা।
বিক্রেতারা জানান, যাঁদের কাছে আগের কেনা তেল রয়েছে, তাঁরাই কিছুটা কমে বিক্রি করছেন। নতুন কেনা বোতল বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
টিসিবির হিসাবে দেখা গেছে, টিসিবির সয়াবিন তেল ১১০ টাকা ও খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। এ ছাড়া ৬৫ টাকার ডাল খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকায়। এ ছাড়া ৫৫ টাকার চিনি খোলা বাজারে ৮০ টাকা, ৩০ টাকার চাল খোলা বাজারে ৫০ টাকা ও ২৩ টাকার আটা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। কিছু দোকানে তেলের বোতলের গায়ে মূল্য লেখা থাকলেও দাম চাওয়া হচ্ছে বাড়তি।
নান্দাইল বাজারের কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, ভরা মৌসুমেও অনেক সবজি বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ৬০ টাকা ও কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুদিন আগেও যা ছিল ২৫-৩০ টাকা কেজি। পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫-১০ টাকা। আদার দাম বেড়েছে ৫ টাকা। তবে নতুন আলুর দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
এদিকে দাম কিছুটা নাগালে থাকায় ক্রেতারা ব্রয়লার মুরগি এবং ডিম কিনছেন বেশি। যদিও দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকায়। ব্রয়লার ১৫০ টাকা ও দেশি ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি ৪০ টাকায়।
নান্দাইল কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম রন্জু বলেন, ‘প্রতিনিয়ত বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। আমরা বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছি। এ কারণে ক্রেতাদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়।’
পারভীন আক্তার নামের এক গৃহিণী বলেন, ‘শুধু তেলের দাম বাড়েনি, গরিবের মরণের ব্যবস্থা হয়েছে। আমাদের তো কিছু করার নেই। টাকা থাকলে তেল কিনব, না থাকলে তেল ছাড়াই খামু। চাল কিনমু না তেল কিনমু, তা চিন্তা করেই জীবন শেষ। ২৫০ গ্রাম তেল কিনতে এসেছি।’
নান্দাইল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী অপূর্ব দত্ত বলেন, ‘খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। আমরা পাইকারিভাবে ১৪৮ টাকা কেজি ধরে সয়াবিন তেল বিক্রি করছি। সীমিত লাভে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছি। মসুর ডালও দুদিনে ১০ টাকা বেড়েছে।’
নান্দাইলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাহফুজুল হক বলেন, ‘বাজার সহনশীল করার লক্ষ্যে আমরা বাজার তদারকি শুরু করব। রোববার থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি দামে তেল বিক্রি করা যাবে না। প্রতিটি দোকানে মূল্যতালিকা টানাতে হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪